Corona Virus – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Tue, 04 Jan 2022 11:54:09 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Corona Virus – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Omicron: আতঙ্কের কিছু নেই, ওমিক্রন মানুষের বন্ধু হতে পারে বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক https://ekolkata24.com/uncategorized/omicron-may-help-us-said-by-expert Tue, 04 Jan 2022 09:19:19 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17938 সম্প্রতি গোটা বিশ্বকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের (Omicron) আতঙ্ক। এই নতুন প্রজাতির ভাইরাস কি ডেল্টার মত, নাকি তার থেকেও ভয়ঙ্কর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিশেষজ্ঞদের কাছে এখনও ওমিক্রনের চরিত্র স্পষ্ট নয়। স্বাভাবিকভাবেই ওমিক্রন নিয়ে মানুষের মনে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। তবে এবার ওমিক্রন নিয়ে মানুষকে আশ্বস্ত করলেন ইজরায়েলের চিকিৎসক আফসাইন এমরানি।

ইজরায়েলের এই বিখ্যাত চিকিৎসক ওমিক্রন সম্পর্কে যে কথা বলেছেন তা মানুষকে ভরসা জোগাতে পারে। বলা যেতে পারে ওমিক্রন কোনও আতঙ্ক বা সঙ্কটের কারণ নয় বরং ওমিক্রন মানুষের বন্ধু হতে চলেছে।

চিকিৎসক এমরানির দাবি, ওমিক্রন হল একটি প্রাকৃতিক ভ্যাকসিন। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোনও সংস্থাই এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারেনি। ওমিক্রন আক্রান্তদের ক্ষেত্রে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না। রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হয় না। এমনকী, রোগীদের হাসপাতালে ভর্তিরও প্রয়োজন হয় খুব কম। বরং ওমিক্রন মানুষের মধ্যে গড়ে তুলতে পারে গণপ্রতিরোধ ক্ষমতা।

এমরানির দাবি, আগামী ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে ওমিক্রনের মাধ্যমে গোটা বিশ্বেই টিকাকরণ হয়ে যাবে। তাই ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বরং প্রকৃতির কাছে মানুষের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। ওমিক্রন নামে এই ভাইরাস মানুষের কাছে আতঙ্কের কারণ নয় বরং আশীর্বাদ।

ইজরায়েলের এই বিশিষ্ট চিকিৎসকের বক্তব্যের সঙ্গে ভারতের বহু চিকিৎসকও সহমত পোষণ করেছেন। তাঁরা বলছেন ডেল্টা প্রজাতির ছিল ওমিক্রনের থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্তদের সাধারণ জ্বর, সর্দিকাশির মত সাধারণ উপসর্গ থাকছে।

তবে শুধু ভারতীয় চিকিৎসকরা নন একই কথা বলছেন বিদেশের চিকিৎসকরাও। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের দাবি, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে সাধারণ জ্বর, সর্দিকাশির মত উপসর্গ থাকছে। আক্রান্তদের কারও শারীরিক পরিস্থিতি জটিল পর্যায়ে যায়নি। তবে সকল এটাও স্বীকার করেছেন যে, ওমিক্রন অন্য প্রজাতিরগুলির তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক কিন্তু ভয়ঙ্করতার দিক থেকে দেখতে গেলে ডেল্টার তুলনায় অনেকটাই কম।

কলকাতার বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, আমাদের এখানে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমেছে। তাই আরও সপ্তাহ দুয়েক সময় গেলেই বোঝা যাবে ওমিক্রন আক্রান্তদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে কিনা। যদি অক্সিজেনের পরিমাণ না কমে তাহলে এটা বলা যেতেই পারে যে, আগামী দিনে ওমিক্রনের মাধ্যমে অনেকেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন। কারণ ওমিক্রনের মাধ্যমে মানুষের শরীরে একটা ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ মানুষ টিকা পেয়েছেন। ফলে একটা হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে, যা পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক দিক।

]]>
CoronaVirus: দক্ষিণ কলকাতার হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ৩০ চিকিৎসক সহ ৩৬ জন! https://ekolkata24.com/uncategorized/coronavirus-effects-30-doctors-of-a-hospital-in-kolkata Mon, 03 Jan 2022 07:16:15 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17742 নতুন বছরের তৃতীয় দিনেই মিলল চাঞ্চল্যকর এক খবর। তাও খাস কলকাতায়। শহরের দক্ষিণের এক হাসপাতালে করোনা (CoronaVirus) আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৬ জন। যার মধ্যে ৩০ জন চিকিৎসক রয়েছেন বলে খবর।

খবরে প্রকাশ, হাজরার চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে মোট ৩৬ জন কোভিড পজিটিভ। সহকারী সুপার, চিকিৎসক এবং কর্মীদের দেহেও থাবা বসিয়েছে করোনা। হাসপাতালের অধ্যক্ষ আশিস মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ৩০ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দুজনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে৷ বাকিরা রয়েছেন আইসোলেশনে। চিকিৎসক ছাড়াও পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে দু’জন সহকারী সুপার, তিন জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং একজন অফিস কর্মচারীর।

ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও প্রবেশ করেছে কোভিড। অধ্যক্ষ অজয় রায়ের টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসার খবর মিলেছিল শুক্রবারেই। এছাড়াও হাসপাতালে একাধিক চিকিৎসক করণায় আক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অজয় রায়ের রিপোর্ট পজেটিভ আসার পরেই বাকিদের দেহে করোনার হদিস মিলেছিল। তিনি আপাতত রয়েছেন নিজের বাড়িতেই, আইসোলেশনে।

গোটা বিষয়টি আপাতত নজরে রাজ্যের রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। চিকিৎসা পরিষেবায় যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে সে ব্যাপারে তৎপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতির বিরুদ্ধে কিভাবে মোকাবিলা করতে চেয়ে স্বাস্থ্য ভবন এর কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে, বলে জানা গিয়েছে।

]]>
Haryana: করোনা টিকা নিয়ে কঠোর সরকার, হই হই কাণ্ড  https://ekolkata24.com/uncategorized/without-taking-double-doses-of-vaccinationno-one-will-allow-in-public Thu, 23 Dec 2021 14:07:21 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16020 News Desk: করোনার ভ্যাকসিনের (corona vaccine) দু’টি ডোজ নেওয়া না হলে আর কেউ জনসমক্ষে আসতে পারবেন না। কোনও বড় জমায়েত বা অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়ি বা অন্য যেকোনও ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানেও (social ceremony) উপস্থিত হতে থাকতে পারবেন না তাঁরা। এমনই নির্দেশ জারি করল হরিয়ানা সরকার (hariyana goverment) এই নিয়ম কার্যকর হবে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ (anil viz) এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছেন।

 স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাঁরা করোনার টিকার দু’টি ডোজ নেননি তাঁরা কোনও সরকারি-বেসরকারি অফিসে যেতে পারবেন না। বাস-ট্রেনে উঠতে পারবেন না। বিয়ে বা অন্য কোনও ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান, হোটেল, রেস্তোরাঁতে আসতে পারবেন না। অর্থাৎ যাঁরা ভ্যাকসিন নেননি তাঁরা গনপরিবহণ ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারবেন না। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ডেল্টা এবং ওমিক্রন দুই ধরনের ভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনে রাখতে হবে, দেশে শীত পড়ছে। শীতেই করোনার বাড়বাড়ন্ত হয়। তাই করোনা প্রতিরোধ করতেই এই নতুন নির্দেশিকা। প্রত্যেককে এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে। যাঁরা এই নির্দেশ অমান্য বা উপেক্ষা করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

 অনিল এদিন বলেন, সরকার কোনও স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই নির্দেশিকা জারি করেনি। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশ জারি করা হল। এখনও পর্যন্ত হরিয়ানায় ওমিক্রন সংক্রমণের কোনও খবর নেই। তবুও মন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার ওমিক্রনের মোকাবিলা করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভিজ এদিন আরও বলেন, আমরা সকলেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি হয়েছি। আমরা দেখেছি ওই দ্বিতীয় ঢেউয়ে কিভাবে মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আমরা চাই না, নতুন করে আরও মানুষের মৃত্যু হোক। সে কারণেই এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট প্রতিরোধে রাজ্যগুলিকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ওমিক্রন ডেল্টার থেকে তিনগুণ বেশি সংক্রামক। তাই উপযুক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নিলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই মিলবে না। প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি পাঠিয়ে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।

]]>
Omicron: রুশ টিকা স্পুটনিক ভি করবে প্রতিরোধ https://ekolkata24.com/uncategorized/sputnik-v-can-defend-omicron Wed, 22 Dec 2021 11:03:17 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15844 নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে আবারো একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি শক্তিশালী ওমিক্রণ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা বিশ্বে। ভারতেও ওমিক্রণ তার দাপট চালানো শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে যখন করোনাভাইরাসের এই নতুন সংযোজিত নিয়ে চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসকদের কপালে এরইমধ্যে সুখবর দিল স্পুটনিক’ ভি প্রস্তুতকারী সংস্থা। ওমিক্রণের মতো শক্তিশালী ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম এই টিকা।

গামলেয়া সেন্টারের প্রাথমিক পরীক্ষাগার সমীক্ষা দেখায় যে, স্পুটনিক ভি (Sputnik v) ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রণেরর শক্তিশালী ভাইরাসের বিরুদ্ধে এবং তাদের কার্যকলাপ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। উচ্চ ভাইরাস নিরপেক্ষ কার্যকলাপ (high virus neutralizing activity) প্রদান করে এই স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন। শুধুমাত্র করোনাভাইরাস প্রতিরোধেই‌ সক্ষম নয় স্পুটনিক’ ভি এমনকি‌ বেশকিছু গুরুতর রোগের চিকিৎসায় ‌এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের চিকিৎসায় এটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা প্রদান করবে বলে আশা করছেন স্পুটনিক’ ভি প্রস্তুতকারী সংস্থা।

যে কোন ভ্যাকসিন তৈরি হলেই তার দীর্ঘস্থায়ী কার্যকারিতা হিসেবেই প্রশ্ন ওঠে। কতদিন পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের মেয়াদ দীর্ঘস্থায়ী হবে,কতদিন পর্যন্ত ভ্যাকসিন মানবদেহকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম,এই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে হয়।

স্পুটনিক ভি‌ টিকা দেওয়ার দীর্ঘ সময় এমনকি প্রায় ছয় মাসেরও বেশি সময় পরে সুরক্ষা দিতে সক্ষম কিনা তা জানতেই টিকা দেওয়ার পর সেরা(SERA) ব্যবহার করে একটি গবেষণা চালানো হয়েছিল। এই গবেষণাতে উত্তীর্ণ হয়েছে স্পুটনিক’ ভি।যা প্রমাণ করে এইখানেও দীর্ঘসময় পরেও এটি মানবদেহে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম।

]]>
Durga Puja 2012: মণ্ডপে মানুষ দেখবে করোনা বধের গল্প https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2012pujo-pandel-theme-of-the-young-boys-club-is-the-destruction-of-the-corona-virus Sun, 10 Oct 2021 02:25:23 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7053 বিশেষ প্রতিবেদন: দুর্গাপূজা উৎসবের সময় থিম-ভিত্তিক প্যান্ডেলের জন্য বাংলা বিখ্যাত। ইয়ং বয়েজ ক্লাবের সদস্যরা বরাবরের মতোই প্রাসঙ্গিক সামাজিক বিষয়গুলি থিম হিসাবে ব্যাবহার করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। এই বছর তাদের থিমের নাম – “দুর্গা – করোনার ধ্বংসকারী”।

প্রতিবছর দুর্গাপূজায় সৃজনশীলতা এবং শিল্পের দিক থেকে সেরাটি বের করে আনে পশ্চিমবঙ্গের পূজা প্যান্ডেলগুলি। ইয়ং বয়েজ ক্লাব, যারা এই বছর ৫২ বছর পূর্ণ করছে, বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কিত একটি থিম নিয়ে এসেছে। এই পূজা মধ্য কলকাতার তারা চাঁদ দত্ত স্ট্রিটের কাছে অবস্থিত যা সেন্ট্রাল এভিনিউকে রবীন্দ্র সরণির সাথে সংযুক্ত করে এবং বাসিন্দাদের কাছে এটি একটি বড় আকর্ষণ।

Pandel theme of the Young Boys Club

এই প্রসঙ্গে পুজোর প্রধান আয়োজক রাকেশ সিং বলেন, “মহামারীর সময় প্রত্যেকেই দেবী দুর্গা করোনা রাক্ষসকে নির্মূল করবে এমন প্রত্যাশা করছে এবং তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা ভেবেছি মা দুর্গা আমাদের ত্রাণকর্তা হতে পারেন এবং আমরা প্রার্থনা করছি যে তিনি করোনাভাইরাসকে চিরতরে ধ্বংস করুন। কোভিডের কারণে আমরা মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। ভাইরাস এখনও আছে। কোভিড যোদ্ধারা তাদের জীবনের ভয় না করে আমাদের বাঁচিয়েছে।

অতএব, এই বছর আমরা এই থিম তাদের উৎসর্গ করছি। এই থিমটি কোভিড যোদ্ধাদেরও স্যালুট জানায়, যার মধ্যে রয়েছেন ডাক্তার, পুলিশ, মেডিকেল স্টাফ, ক্লিনিং স্টাফ, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ড্রাইভার এবং কন্ডাক্টর প্রত্যেকে। প্রত্যেক ব্যক্তির মতো আমরাও প্রার্থনা করি যে মা দুর্গা মারাত্মক ভাইরাস নির্মূল করবেন এবং আশা করি এই মূর্তিটি রাজ্য জুড়ে স্বীকৃতি পাবে।”

একইসঙ্গে তিনি বলেন, “মহামারী আমাদের জীবনকে স্বীকৃতির বাইরে বদলে দিয়েছে। করোনা হল সেই রাক্ষস যার সঙ্গে সবাই যুদ্ধ করছে, এবং আমরা সবাই একে পরাস্ত করার শক্তি খুঁজছি। এইভাবে, আমরা করোনার দানব থেকে আমাদের সবাইকে রক্ষা করার জন্য দেবীর কাছে প্রার্থনা করার জন্য এই থিম নিয়ে কাজ করছি।”

]]>
করোনা ভাইরাস: ভারত, ব্রাজিল, ইউকে-দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্ট আসলে কী? https://ekolkata24.com/uncategorized/corona-virus-what-are-the-india-brazil-uk-south-africa-variants Sat, 03 Jul 2021 07:23:13 +0000 https://ekolkata24x7.com/?p=109 ডিজিটাল ডেস্ক: সারা বিশ্বের নজর এখন করোনাভাইরাসের নানা মিউটেশনের দিকে৷ কোভিডের নতুন নতুন ধরন দ্রুত ছড়াচ্ছে৷ একই সঙ্গে বেশি সংখ্যায় লোক এখন সংক্রমিত হচ্ছে৷ ভ্যাকসিনকে ঠেকিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও এসব ভ্যারিয়েন্টের বেশি।

মিউটেশন কেন ঘটে?
বেঁচে থাকা এবং বংশবৃদ্ধির জন্য সব ভাইরাসের দেহেই পরিবর্তন ঘটে। বেশিরভাগ সময়েই এসব পরিবর্তন খুবই সূক্ষ্ম। কোন কোন সময়ে এতে ভাইরাসেরই ক্ষতি হয়। তবে অন্যগুলোতে যখন বড় ধরনের মিউটেশন ঘটে তখন রোগটা আরও বেশি সংক্রামক রূপ নেয় এবং রোগীর ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়৷ সংক্রমণ কিংবা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে যখন মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়৷ ভাইরাস তখন মিউটেশনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে ফেলে। কোন ভাইরাস কতখানি বিপজ্জনক, তা জানতে বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের জেনেটিক কোড, পরীক্ষাগারে তার আচরণ এবং মানুষের মধ্যে সংক্রমণের দিকটি লক্ষ্য করেন।

নানান ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে কী জানি?
সমগ্র বিশ্বে করোনাভাইরাসের হাজার হাজার ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু ইউকে, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্টকে ”উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট” বলে মনে করা হয়। ইউকে বা কেন্ট ভ্যারিয়েন্ট (যার আরেক নাম B.1.1.7) প্রথম দেখা গিয়েছে ব্রিটেনে। পরে ৫০টিরও বেশি দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এটি এখনও মিউটেট করছে। ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্ট (P.1) ছড়িয়ে পড়েছে শতাধিক দেশে। এর মধ্যে ব্রিটেনও রয়েছে৷ এছাড়াও ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ব্রিটেনে ইন্ডিয়া ভ্যারিয়েন্টের (B.1.617 ) দুই শতাধিক কেস ধরা পড়েছে। তবে ভারতে কোভিড-১৯ মহামারির বর্তমান ঢেউয়ের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই বলেই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।

নতুন ভ্যারিয়েন্ট কি সত্যিই বেশি বিপজ্জনক?
যারা এসব ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগের অসুস্থতার মাত্রা অনেক বেশি এমন কোন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। করোনার মূল রূপের ক্ষেত্রে যেমনটা দেখা গিয়েছে, বয়স্ক এবং শারীরিক সমস্যা যাদের প্রকট এসব ভ্যারিয়েন্টেও তারাই বেশি ঝুঁকির মুখে। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়া হয়নি এমন জনগোষ্ঠীর জন্য বেশি সংক্রামক কোন ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটবে বেশি। কিছু গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, ইউকে ভ্যারিয়েন্টে ব্যক্তি-বিশেষের ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি ৩০% বেশি। তবে এর পক্ষে প্রমাণ খুব একটা জোরাল নয়। কিন্তু করোনার সব ধরনের স্ট্রেইনের ক্ষেত্রেই ডাক্তারদের উপদেশ একই- ভাল করে হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ফেস মাস্ক ব্যবহার করা এবং ঘরের মধ্যে বাতাস চলাচল নিশ্চিত করা।

ইউকে, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল কিংবা ইন্ডিয়ান – সবগুলো ভ্যারিয়েন্টই নিজের দেহের স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এটি ভাইরাসের একটি অংশ যেটি দিয়ে সে মানুষের দেহকোষের ভেতরে ঢুকে পড়তে পারে। । N501Y নামে পরিচিত একটি মিউটেশনে দেখা গিয়েছে, দেহকোষে সংক্রমণ এবং বিস্তারের ক্ষেত্রে এটি ভাইরাসকে বিশেষ সুবিধে করে দেয়। কোন কোন বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ইউকে/কেন্ট ভ্যারিয়েন্টটি ৭০% বেশি সংক্রামক৷ যদিও পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড বলছে, এটি ৩০%-৫০% সংক্রামক। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্টেও E484K নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন ঘটেছে। এর ফলে ভাইরাস অ্যান্টিবডির হাত থেকে পালাতে পারে। অ্যান্টিবডি দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইউকে ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে সম্প্রতি এধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। ইন্ডিয়া ভ্যারিয়েন্টেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন ঘটেছে৷ যার ফলে এটা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেদ করতে পারে। সেজন্যই বিজ্ঞানীরা এখন এটি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে গবেষণা চালাচ্ছেন।

নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কি কাজ করতে পারবে?
এখন যেসব ভ্যাকসিন চালু রয়েছে, সেগুলো তৈরি করা হয়েছিল করোনার মূল ধরনটির চিকিৎসার জন্য। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও এগুলো কাজ করবে, তবে তার কার্যকারিতা হবে কম। একটি গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, আগে যাদের কোভিড হয়েছে এবং কিছুটা ইমিউনিটি রয়েছে, ব্রাজিলিয়ান ভ্যারিয়েন্ট সম্ভবত তাদের দেহের অ্যান্টিবডিকে ঠেকিয়ে দিতে পারে। ফাইজারের ভ্যাকসিনের ওপর গবেষণাগারের প্রাথমিক তথ্য এবং রোগীদের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, এটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করে, তবে কার্যকারিতা কম। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডেটা থেকে জানা যাচ্ছে, এটি ইউকে/কেন্ট ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও একইভাবে কার্যকর। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এটি কম সুরক্ষা দেয়। কিছু প্রাথমিক ফলাফল থেকে জানা যাচ্ছে, মডার্না ভ্যাকসিন দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর। তবে এর ইমিউন রেসপন্স দুর্বল এবং স্বল্পস্থায়ী।

নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্য কি বুস্টার টিকা লাগবে?
ভবিষ্যতের করোনা ভ্যারিয়েন্টগুলোর জন্য টিকা তৈরি করতে ব্রিটিশ সরকার কিওরভ্যাক নামে একটি ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। পাঁচ কোটি ডোজ টিকার আগাম অর্ডারও দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে ভ্যারিয়েন্টগুলোতে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটবে তার ওপর নির্ভর করবে বয়োবৃদ্ধ এবং প্রকট শারীরিক সমস্যার শিকার ব্যক্তিদের চলতি বছরের শেষ নাগাদ এধরনের বুস্টার টিকার প্রয়োজন হবে কিনা।
সবার নজর এখন করোনাভাইরাসের মিউটেশনের দিকে – কোভিড-১৯য়ের নতুন নতুন ধরন যেমন দ্রুত ছড়ায়, তেমনি বেশি সংখ্যায় লোক এখন এগুলোতে সংক্রমিত হচ্ছে, এবং ভ্যাকসিনকে ঠেকিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও এসব ভ্যারিয়েন্টের বেশি।

]]>