কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিগত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন। একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। গতকাল সেখানে মৃত্যু সংখ্যা ছিল ৩২৭ জন। এর ফলে এক ধাক্কায় বাড়ল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। দেশে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা হল ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৬১৯ জন।
দৈনিক সুস্থতার হার ১৩.২৯%। অন্যদিকে এক ধাক্কায় বেড়েছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যাও। দেশে বর্তমানে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০৩৩।
রবিবার দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৩২ জন। প্রসঙ্গত, করোনা রুখতে নাইট কারফিউ, কড়া বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাধিক রাজ্য। করোনার পাশপাশি বাড়ছে ওমিক্রনের দাপট। দিল্লি, মুম্বই থেকে শুরু করে কলকাতা, দেশের সব বড় শহরের পরিস্থিতি ভয়াবহ।
এদিকে আগামী দিনে এই সংক্রমণের গ্রাফ আরো ভয়াবহ রূপ নিতে চলেছে সেই আশঙ্কায় ভুগছেন আপামর চিকিৎসক মহল। প্রথম ঢেউয়ের সময়ে দৈনিক সংক্রমণ-এর হার ৯০ হাজারের কাছাকাছি ছিল, কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ে এই দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন-এর তা বলাই বাহুল্য।
এর পাশাপাশি সোমবার থেকে গোটা দেশজুড়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার এবং বয়স্করাই টিকার তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। পাশাপাশি, যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরা ওই ডোজ পাবেন।
]]>হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত সুকান্ত মজুমদারের অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্থিতিশীল। অ্যান্টিজেনের পাশাপাশি রাজ্য সভাপতির আরটিপিসিআর টেস্টও হয়েছে। সেই রিপোর্ট কী আসে, সেদিকে তাকিয়ে চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন যারা তার সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের চিকিত্সকদের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা বলেছেন। সেইসঙ্গে করোনা পরীক্ষা করানোর অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্য সভাপতি।
রাজনৈতিক জগতে করোনার থাবা নতুন নয়। ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েও সম্প্রতি তৃতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হন আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। নিজেই টুইট করে সে কথা সকলকে জানান। অন্যদিকে তৃতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়।
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পরেছে দেশে। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। রাজনৈতিক জগতেও থাবা বসিয়েছে এই মারণ সংক্রমণ। সারা দেশে আক্রান্তের নিরিখে বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। করোনার পাশাপাশি রাজ্যে বেড়েছে ওমিক্রনের সংখ্যাও।
সামনে দ্বিতীয় দফার পুরভোট। চলছে রাজনৈতিক প্রচার। যদিও এহেন করোনাকালে ভোট করা কতটা সুরক্ষিত সেই নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা।
রাজ্যজুড়ে থাবা বসিয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোট স্থগিত রাখার কোনও নির্দেশিকা এখনও অবধি জারি করেনি। আগামী ২২ জানুয়ারি ভোট রয়েছে রাজ্যের ৪ পৌর নিগমে। তার পরেই ২৭ ফেব্রুয়ারি রয়েছে ভোট গণনা।
]]>অন্যদিকে, ২০২১-২২ মরসুমে আই লিগ কলকাতায় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহুর্তে লিগ কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের বাড়বাড়ন্তের কারণে আই লিগ (I-League) সাময়িক ভাবে স্থগিত করার।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে’র(AIFF) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত জানান, AIFF লীগ কমিটির সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আই লিগ সাময়িক ভাবে স্থগিত করার।
কোভিড-১৯’র নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের আবহে ভারতের মাটিতে চলছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ(ISL)। এই টুর্নামেন্টের সংগঠক সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে’র(AIFF) এবং ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (FSDL)। গত শনিবারের ঘটনা, ATK মোহনবাগানের একজন ফুটবলারের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয় এবং ওই টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর জেরে গত শনিবারের ম্যাচ, যা মোহনবাগান বনাম ওডিশা এফসি’র মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার ছিল তা, স্থগিত হয়ে যায়। ম্যাচ স্থগিতকরণের বিষয়টি টুইটারে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়।
অতিমারির ভয়াল আতঙ্কে যেখানে সংক্রমণের গতি ক্রমেই ওপরের দিকে পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে নাইট কাফিউ এবং লকডাউনের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে,জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে এগোতে পারছে না কোভিড-১৯ প্রটোকলের বিধিনিষেধের জন্য। এমন এক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়েও দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে এবং চরম উদাসীনতার পরিচয় রেখে চলেছে AIFF এবং FSDL কর্তৃপক্ষ।
টুর্নামেন্টে চলাকালীন ATK মোহনবাগানের ফুটবলার কোভিড-১৯ পজিটিভ চিহ্নিত হওয়ার পরেও আইএসএল (ISL) বহাল তবিয়ৎ’এ চলছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপরে কোনও ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের একক, চরম, চূড়ান্ত ক্ষমতা নেই। ভারত রাষ্ট্রের নির্দেশ মেনেই BCCI এবং আই লিগ কমিটি টুর্নামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
তাহলে কোন ক্ষমতা বলে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) এবং ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (FSDL) ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL) টুর্নামেন্ট স্থগিত না করে তা আয়োজিত করে চলেছে। রবিবার সন্ধ্যে ৭.৩০ মিনিটে আইএসএলের ম্যাচ রয়েছে,কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম হায়দরাবাদ এফসি’র মধ্যে।
মানুষের জীবন জীবিকা কোভিড-১৯’র নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের দাপটের মুখে পড়ে ওষ্ঠাগত, আর নির্বোধের মতো ভারতের মাটিতে চলছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL)। দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক,ক্রীড়া মন্ত্রক,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কারোর কোনও হেলদোল নেই, অতিমারির আবহে ISL টুর্নামেন্ট স্থগিতকরণ নিয়ে।
]]>
অন্যদিকে একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ৩২৭ জন। গতকালের তুলনায় যা অনেকটা বেশি। দৈনিক সুস্থতার হার ১০.২১%। দেশে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯০ হাজার ৬১১ জন। ভারতে এখনো অবধি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩, ৪৪,৫৩,৬০৩ জন। মোট মৃত্যু সংখ্যা ৪, ৮৩, ৭৯০। এখনো অবধি করোনার টিকা পেয়েছেন
১৫১.৫৮ কোটি মানুষ।
করোনার সংক্রমন ঠেকাতে নাইট কারফিউ, কড়া বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাধিক রাজ্য। করোনার পাশপাশি বাড়ছে ওমিক্রনের দাপট। দিল্লি, মুম্বই থেকে শুরু করে কলকাতা, দেশের সব বড় শহরের পরিস্থিতি ভয়াবহ।
জানা গিয়েছে, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২ কোটি পেরিয়ে গিয়েছে। যদিও ছোটদের টিকাকরণের এই গতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে আগামী দিনে এই সংক্রমণের গ্রাফ আরো ভয়াবহ রূপ নিতে চলেছে সেই আশঙ্কায় ভুগছেন আপামর চিকিৎসক মহল। প্রথম ঢেউয়ের সময়ে দৈনিক সংক্রমণ-এর হার ৯০ হাজারের কাছাকাছি ছিল, কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ে এই দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন-এর তা বলাই বাহুল্য।
]]>এই ম্যাচ স্থগিতের জেরে ATK মোহনবাগান নিজেদের টুইটার হ্যাণ্ডেলে পোস্ট করেছে, “হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল) ফাতোর্দার পিজেএন স্টেডিয়ামে আজ, 8 জানুয়ারী, 2022, শনিবার, ATK মোহনবাগান এবং ওড়িশা FC-এর মধ্যে ম্যাচ নম্বর 53 স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এই স্থগিত ম্যাচের পরবর্তী তারিখের ফিক্সচারটি পুনরায় নির্ধারণ করা হবে”।
আইএসএল টুইটার হ্যান্ডেলের পোস্টে বলা হয়েছে, “ATK মোহনবাগানের একজন খেলোয়াড়কে কোভিড -19 টেস্ট করা হয় এবং ওই টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরে লীগের মেডিকেল টিমের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই টুইট পোস্টে এও বলা হয়েছে,”লিগ স্কোয়াডের সমস্ত খেলোয়াড় এবং সহযোগী স্টাফ এবং জড়িত অন্যান্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিশেষজ্ঞদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হবে”।
জানা গিয়েছে, ATK মোহনবাগানের একজন খেলোয়াড় কোভিড -19 টেস্টে পজিটিভ আসার পর লীগের মেডিকেল টিমের সাথে পরামর্শ করে এই ম্যাচ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
]]>কী শর্ত দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে?
রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছিল কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রেও সেই বিজ্ঞপ্তি প্রযোজ্য হবে। বিষয়টি স্বরাষ্ট্র সচিবকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে। গঙ্গাসাগর মেলায় একত্রে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। এই সম্পূর্ণ বিষয়টি দেখার জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
কমিটিতে থাকবেন:—
১) মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
২) বিরোধী দলনেতা
৩) রাজ্যের মুখ্যসচিব বা মুখ্যসচিব মনোনীত কোনও রাজ্যের প্রতিনিধি।
এই কমিটি নজরদারি করবে এবং যদি রাজ্য সরকারের ওই বিজ্ঞপ্তির অবমাননা হয় বা সঠিক ভাবে পালিত না হয় তাহলে এই কমিটি মেলা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারবে।
]]>বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯০,৯২৮। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩২৫। দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫২ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৮৬ জন। এখনও পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০৭। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৩৭৭ জন। মহারাষ্ট্রে সবথেকে বেশি ৮৭৬ জন আক্রান্ত। দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৫।
দিন দশেক আগেও যেখানে দৈনিক সংক্রমণ ৭ হাজারের আশেপাশে ছিল, সেখানে শুক্রবার ৭ মাস পর প্রথমবার সংক্রমণ ১ লক্ষ পেরোল। শুধু তাই নয়, একদিনে দেশে অ্যাকটিভ কেস বেড়েছে প্রায় ৮৫ হাজার। হু হু করে বাড়ছে পজিটিভিটি রেট।
]]>India reports 1,17,100 fresh COVID cases, 30,836 recoveries, and 302 deaths in the last 24 hours
Daily positivity rate: 7.74%
Active cases: 3,71,363
Total recoveries: 3,43,71,845
Death toll: 4,83,178Total vaccination: 149.66 crore doses pic.twitter.com/5uqB5lmnMj
— ANI (@ANI) January 7, 2022
গত কয়েকদিন ধরেই দেশে দৈনিক পজিটিভিটি রেট বেড়েছে। পাশাপাশি ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৫ জন। এরই মধ্যে ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০৮৪৬ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। যা রবিবারের তুলনায় অনেকটাই কম।
সর্বাধিক ওমিক্রন আক্রান্তের খবর এসেছে মহারাষ্ট্র থেকে। দ্বিতীয় স্থানে আছে রাজধানী দিল্লি। এছাড়াও গুজরাত, রাজস্থান, তামিলনাড়ুতেও অনেকেই ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনা রুখতে প্রতিটি রাজ্যই নতুন করে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে। উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, রাজস্থানে রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারি করা হয়েছে। মানুষকে মাস্ক ছাড়া বাইরে না বেরুতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার জিম, স্টেডিয়াম, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ ৫০ শতাংশ মানুষের উপস্থিতিতে খোলা যাবে বলে জানিয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, যেকোনো ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি লোক উপস্থিত থাকতে পারবে না। শেষকৃত্যানুষ্ঠানে সর্বাধিক ২০জন থাকার অনুমতি মিলেছে। এই রাজ্যে রাত ৯ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারি থাকছে। বিধি লংঘন করলে এখানে আদায় করা হবে ৫০০ টাকা জরিমানা।
হরিয়ানাতে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকছে স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ১০০ এবং শেষকৃত্যানুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জনের উপস্থিত থাকার ছাড়পত্র মিলেছে। এছাড়া হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ থাকতে পারবেন না। রাজস্থানে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুলের ক্লাস বন্ধ থাকছে। অন্যদিকে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, ২০২১-এর শেষ দুদিনে রাজধানীতে যতজন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৮৪ শতাংশের শরীরে মিলেছে ওমিক্রন।
এদিনই জানা গিয়েছে, বিহারের নালন্দা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৮৪ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা ঠেকানোর উদ্দেশ্যে সোমবার থেকেই দেশজুড়ে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। আক্রান্তের হার যেভাবে বাড়ছে সে বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিটি রাজ্যকেই হাসপাতালে সব ধরনের পরিষেবা তৈরি রাখার জন্য কেন্দ্র পরামর্শ দিয়েছে।
]]>কল্পতরু উত্সবের আগেই ঘোষণা হয়েছিল, ১ জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বেলুড় মঠ বন্ধ থাকবে। ওই সময় মঠে ভক্তরা প্রবেশ করতে পারবেন না। মঠ কর্তৃপক্ষ জানায়, অনিবার্য কারণবশত এই পদক্ষেপ। তবে মনে করা হচ্ছে, কোভিড সতর্কতার কারণেই অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে এই সিদ্ধান্ত।
মঠ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ৫ জানুয়ারি থেকে ফের যথারীতি খুলে যাবে বেলুড় মঠ। কিন্তু এরই মধ্যে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে গেল।
গত সাতদিনেই ৪৩৯ থেকে বেড়ে রাজ্যের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজারের বেশি। শুধু কলকাতাতেই সংক্রামিতের সংখ্যা বেড়েছে ১৬ গুণ। উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক আক্রান্ত প্রায় হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৮ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই এই সিদ্ধান্ত বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষের।
]]>রবিবার সকালে ভারতের দৈনিক নতুন কোভিড রোগীর সংখ্যা ছিল ২৭,৫৩৩। অর্থাত্ একদিনে ২২% বাড়ল ভারতের দৈনিক করোনা সংক্রণের সংখ্যা। অন্যদিকে, ভারতে ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছেছে ১,৭০০-তে। সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে, ৫১০টি। রবিবারের তুলনায় এদিন অনেকটাই কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। একদিন আগে এই সংখ্যাটা ছিল ২২০। চিকিত্সাধীন রোগীর সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ১,৪৫,৫৮২-তে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০,৮৪৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত একদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১,৪৫,৬৮,৮৯,৩০৬ টি।
]]>কীভাবে করবেন রেজিস্ট্রেশন, জেনে নিন-
অনলাইনে কোউইন পোর্টালের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। মোবাইল নম্বর দিয়ে ওটিপি ব্যবহার করে লগইন করতে হবে। আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করেও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
লগইন কিংবা সাইন ইন করার পর নিজের সুবিধামত টিকাকেন্দ্র, তারিখ ও সময় বেছে নিয়ে স্লট বুক করতে হবে।
টিকাকেন্দ্রে গিয়েও ওয়াক ইন অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। ১৫-১৮ বছর বয়সীদের জন্য আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। স্কুলের আইডি কার্ড থাকলেও রেজিস্ট্রেশন হবে।
]]>শনিবার নববর্ষের সকালে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার (ajit pawer) জানিয়েছেন, সে রাজ্যের ১০ জন মন্ত্রী এবং ২০ জন বিধায়ক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও বিধায়করা (minister and mla) আইসোলেশনে চলে গিয়েছেন। পাশাপাশি গত কয়েকদিন ওই সমস্ত মন্ত্রী ও বিধায়কদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তাদের খোঁজ চলছে।
রাজ্যে করোনা এবং ওমিক্রনের সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে কি মহারাষ্ট্র ফের লকডাউনের পথে হাঁটবে?
এই প্রশ্নের উত্তরে উপ মুখ্যমন্ত্রী পাওয়ার বলেন, যদি দেখা যায় আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে তাহলে সরকার হয়তো নতুন করে আরও কিছু বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাববে। তবে এখনই নতুন কোনও বিধিনিষেধ বলবৎ করা হচ্ছে না। বর্তমানে যে সমস্ত বিধিনিষেধ আছে সেগুলি সকলকেই কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। রাজ্যবাসীকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পড়তে এবং দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে।
উল্লেখ্য, যে সব রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে তার মধ্যে অন্যতম হল মহারাষ্ট্র। ওমিক্রন আক্রান্তের নিরিখেও শীর্ষে আছে এই রাজ্য। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৮৫ হাজারেরও বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও। উল্লেখ্য, মানুষ যাতে বর্ষবরণের উৎসবে অবাধ মেলামেশা না করে তার জন্য আগেই একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার।
]]>গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪০৬ জনের। ফলে দেশজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৪৮৬। মৃত্যু হার ১.৩৮ শতাংশ।

Covid 19: Corona attack threatens Delhi, high alert in Mumbai
একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন ৮ হাজার ৯৪৯। মোট সুস্থতার সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৩১২। ভারতে সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৩২ শতাংশ। ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা একলাফে বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৭৮১।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকাকরণের সংখ্যা ৫৮ লক্ষ ১১ হাজার ৪৮৭। এখনও পর্যন্ত মোট করোনা টিকাকরণের সংখ্যা ১৪৫ কোটি ১৬ লক্ষ ২৪ হাজার ১৫০।
]]>বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র (sudhil chanda) জানিয়েছেন, আগামী বছরের শুরুতেই যথাসময়ে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
২০২২-এর শুরুতেই যে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট রয়েছে সেগুলি হল পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, গোয়া এবং মণিপুর। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতিটি রাজ্যে সব রাজনৈতিক দলই চাইছে যথা সময়ে ভোটগ্রহণ হোক। তাই আমরা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছি না। যথাসময়ে নির্বাচন হবে। করোনাজনিত বিধিনিষেধ মেনেই হবে ভোটগ্রহণ। এজন্য সব রাজ্যেই বুথের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীলচন্দ্র এদিন বলেন, শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশ এবার ১১ হাজার বুথ বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ভিড় এড়াতে বাড়ানো হয়েছে ভোট দানের সময়সীমাও। সকাল ৬টা থেকে ভোট শুরু হয়ে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, পাঁচ রাজ্যে যথা সময়ে ভোট করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে কমিশন এক প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল। সেই প্রতিনিধিদলের রিপোর্ট ছিল ইতিবাচক। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই বলা হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ে ভোট গ্রহণ করতে কোন সমস্যা হবে না। এখনই নির্বাচনী সভা-সমাবেশের উপরও কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না বলেও সুশীল চন্দ্র জানান।
তবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সব রাজনৈতিক দলকে করোনাজনিত বিধিনিষেধ মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, যাঁদের বয়স ৮০ বা তার বেশি, যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং যাঁরা শারীরিকভাবে অক্ষম তাঁরা মনে করলে বাড়িতে বসেই ভোট দিতে পারবেন। এজন্য কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। যে সমস্ত ভোট কর্মী ভোটগ্রহণের কাজে যুক্ত থাকবেন তাদের অবশ্যই করোনার টিকার দুটি ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক।
]]>কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬৫০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সর্বমোট ৩,৪৭,৭২,৬২৬ জন। একদিনে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৭,০৫১ জন, যার ফলে দেশের সর্ব মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৩,৪২,১৫,৯৭৭ জনে। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৭৪ জনের। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭৭,৫১৬ জন।
একদিনে এক লাফে বেড়েছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ জন,মঙ্গলবার যে সংখ্যাটা ছিল সর্বোচ্চ ৪৪ জন।করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫৮ জনে। দেশের মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে মহারাষ্ট্র। এখনো পর্যন্ত সেখানে ৮৮ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন,যেখানে দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ জন। এরমধ্যে ১১৪ ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
]]>স্বাস্থ্য দফতর (Health Department) সূত্রে খবর, জেনোম সিকোয়েন্সিয়ের জন্য ৩টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে ২টোতে ওমিক্রন (Omicron) ধরা পড়েছে। একজন করোনার ডেল্টা প্রজাতিতে আক্রান্ত। এদের প্রত্যেককেই কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। গত কয়েকদিনে আক্রান্তরা কাদের সংস্পর্শে এসেছেন, সেই খোঁজ শুরু হয়েছে।
এদিকে দেশে ২০০-র গণ্ডি পেরিয়েছে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার ডেল্টা প্রজাতির তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন (Omicron)। ফলে কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সামনেই উৎসবের মরসুম। তার আগে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দেন। সংক্রমণ যাতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এলাকাভিত্তিক ও জেলাস্তরে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, কলকাতা বিমানবন্দরে আসা যেসকল আন্তর্জাতিক যাত্রী কোভিড পজিটিভ হবেন, তাঁদের সবাইকে রাজ্যের ঠিক করে দেওয়া হেলথ ফেসিলিটিতে থাকতেই হবে। বিদেশ ফেরত কোভিড পজিটিভ রোগীদের ক্ষেত্রে কোনও হোম আইসোলেশন চলবে না। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে ফেরার ১৪ দিনের মধ্যে যদি কোনও ‘হাই রিস্ক’ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের কেউ কোভিড পজিটিভ হন, তাহলে তাঁদেরকেও হাসপাতালের আইসোলেশনেই থাকতে হবে। জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁদের হাসাপাতালের আইসোলেশনে থাকা বাধ্যতামূলক। এমনকি হাসপাতালের আইসোলেশনেও এদের অন্য কোভিড রোগীদের থেকে আলাদা জায়গায় রাখতে হবে। এরপর জেনোম সিকোয়েন্সিং রিপোর্টে যদি কারও ওমিক্রন (Omicron) পজিটিভ ধরা পড়ে, তাহলে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে তাঁদের ২ বার RT-PCR টেস্ট করতে হবে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছাড়া যাবে না।
]]>
সোমবার কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রীর কাছে সৌগত রায় জানতে চান করোনাজনিত (corona pandemic ) কারণে পর্যটকের সংখ্যা কি কমেছে? বিশেষত বিদেশি পর্যযটক? যদি কমে থাকে তবে বিগত বছরগুলির তুলনায় কতটা কমেছে? দেশের পর্যটন ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে সরকার কি কোন বিশেষ প্যাকেজ (Stumulating Package) দেওয়ার কথা ভাবছে? দেশে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কেন্দ্র কি কোন বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে?
সৌগত রায়ের এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতে এক কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার ৩৫৫ জন পর্যটক এসেছিলেন। কিন্তু করোনাজনিত কারণে ২০২০ সালে সেই সংখ্যাটি কমে হয় ২৭ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৬৬ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ১২ জন বিদেশি পর্যটক এসেছেন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫ লক্ষ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই জবাব থেকে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে, করোনাজনিত পরিস্থিতি দেশের পর্যটন ব্যবস্থায় বড় মাপের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখজনকভাবে কমায় কমেছে সরকারের আয়।
পর্যটন মন্ত্রী আরও জানান, পর্যটন ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে সরকার একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। যার মধ্যে কিছু আর্থিক ব্যবস্থা রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে অন্যান্য ব্যবস্থাও। যে সমস্ত ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের সুবিধার জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। করোনাজনিত কারণে যে সমস্ত ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই সমস্ত ক্ষেত্রগুলিকে সাহায্য করতে ২০২১-এর ২৮ জুন কেন্দ্র বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করে। এই এই প্যাকেজের মধ্যে পর্যটন ব্যবস্থার জন্যও বিশেষ অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যটন ব্যবস্থাকে সহজ ও স্বাভাবিক করতে হোটেল ও রেস্তোরাঁ গুলির জন্য করোনাজনিত বিধি নিষেধেও কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বিদেশি পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই ভারতে আসতে পারেন তার জন্য স্বরাষ্ট্র ও বিদেশমন্ত্রকও বিধি নিষেধের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শিথিলতা দিয়েছে। বিদেশি পর্যটকরা যাতে ভারতে আসতে পারেন তার জন্য যে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা ছিল তাও ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা যাতে মনে করলে এদেশে আসতে পারেন তার জন্য ই-ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ই-ভিসার মেয়াদ ছিল এক মাস।
পাশাপাশি দেশের যে সমস্ত মানুষ নিয়মিত এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ঘুরতে গিয়ে থাকেন তাদের জন্যও বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। পর্যটনে উৎসাহ দিতে সরকার চালু করেছে ‘দেখো আপনা দেশ’ নামে একটি প্রকল্প। পর্যটনের জন্য মানুষকে আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও প্রচার চালানোর ব্যবস্থা করেছে সরকার।
]]>এই নিয়ে দেশে রবিবার পর্যন্ত পাঁচজন ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে সংক্রামিত হলেন। এরই মাঝে দেশকে এক সতর্কবার্তা দিল কানপুর আইআইটি (kanpur iit)। কানপুর আইআইটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২২-এর জানুয়ারির (january) শেষ বা ফেব্রুয়ারির (February) গোড়া থেকেই শুরু হবে করোনার তৃতীয় ওয়েভ (third wave)। করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন ভয়ঙ্কর চেহারায় আত্মপ্রকাশ করবে।
কানপুর আইআইটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর অধ্যাপক ডক্টর মনিন্দর আগরওয়াল বলেছেন, ২০২২ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে বা ফেব্রুয়ারির প্রথম থেকেই মারাত্মক আকার ধারণ করবে ওমিক্রন। এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট হয়তো ততটা প্রাণঘাতী নয়। কিন্তু এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের বৈশিষ্ট্য হল, এটি অতি বিপজ্জনক মাত্রায় সংক্রামক। অর্থাৎ দ্রুত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রবিবারই দেশে ওমিক্রন আক্রান্ত পঞ্চম ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। এদিন নতুন করে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন দিল্লির এক ব্যক্তি। দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, দিল্লির ওই ব্যক্তি সম্প্রতি তানজানিয়া থেকে দেশে ফিরেছিলেন। আক্রান্ত ব্যক্তি দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তানজানিয়া থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরেই তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। তখনই রিপোর্ট আসে পজিটিভ। সঙ্গে সঙ্গেই ওই ব্যক্তির নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। রবিবার সেই পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায় ওই ব্যক্তি ওমিক্রন আক্রান্ত।
উল্লেখ্য, দুদিন আগেই জানা গিয়েছিল তানজানিয়া থেকে আসা ১২ জন বিদেশি যাত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই বিদেশি নাগরিকদের বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। ১২ জনের মধ্যে একজন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত বলে খবর। দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্ত ওই ব্যক্তি গত কয়েকদিনে যাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের চিহ্নিত করে করোনা পরীক্ষার চেষ্টা চলছে।
এখনও পর্যন্ত গোটা দুনিয়ায় ৪০টি দেশে ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, ওমিক্রন নিয়ে অহেতুক উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ এই ভাইরাস খুব একটা প্রাণঘাতী নয়। তবে খুবই সংক্রামক। বিধিনিষেধ মেনে চললে ওমিক্রন ঠেকানো যাবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতেই মুম্বইয়ে এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা যায়। দেশে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল কর্নাটকে। সেখানে দুই ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপরই গুজরাতেও হদিশ মিলেছে ওমিক্রনের।
]]>রাজস্থানের ওই পরিবারের সংস্পর্শে আসা আরও ৫ জন করোনা পজিটিভ। এঁদের ওমিক্রন সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ভারতসহ বিশ্বের ৩১টি দেশে এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কর্নাটকের দুই ব্যক্তি করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট (Omicron) সংক্রামিত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বাসিন্দা ৬৬ বছরের এক ব্যক্তি ২৭ নভেম্বর ভারত থেকে চলে গিয়েছেন। ওই ব্যক্তি অবশ্য ভারতীয় নাগরিক নন ২০ নভেম্বর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বেঙ্গালুরু এসে পৌঁছেছিলেন তবে তার হাতে ছিল না শংসাপত্র। শুধু তাই নয় ওই ব্যক্তি করোনার টিকা নিয়েছিলেন কিন্তু বেঙ্গালুরু এক হোটেলে গিয়ে তিনি নতুন করে কোন ভাইরাসে আক্রান্ত হন।
পরে জানা যায় আক্রান্ত ব্যক্তির বেঙ্গালুরুতে সরাসরি আরো ২৪ জন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে ছিলেন তবে তাদের সকলেরই করো না রিপোর্ট নেগেটিভ। পাশাপাশি পরোক্ষভাবে ওই ব্যক্তি ২৫০ জন মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের রিপোর্ট ও নেগেটিভ জানা গিয়েছে ওই কর্ণাটকের ভাষা ওই ব্যক্তির প্রথমে ২৩ নভেম্বর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল সেই পরীক্ষায় তার রিপোর্ট ছিল নেগেটিভ সে কারণেই তিনি ২৭ নভেম্বর হোটেল থেকে বেরিয়ে ব্যক্তিকে বিমানবন্দরে যান সেখান থেকেই তিনি দুবাই পাড়ি জমান।
মনে করা হচ্ছে রিপোর্ট আসার আগেই ওই ব্যক্তি কর্ণাটক থেকে দুবাই পাড়ি জমিয়েছেন এদিন কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা আরো পাঁচজন করনা আক্রান্ত হয়েছেন তবে তাদের নমুনায় আছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
ওমিক্রণিক দাপট রুখতে এদিন কেন্দ্রীয় সরকার ফের একবার মানুষকে নতুন করে কিছু রীতিনীতি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। নীতি আয়োগ এর চেয়ারম্যান ব্রিঃ কেপল জানিয়েছেন প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কে যত শীঘ্র সম্ভব টিকাকরণের কাজ শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে বুস্টার ডোজ দেওয়া এবং শিশুদের অধিকার বিষয়ক সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিদেশ থেকে আগত কোন যাত্রী বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ গুলি থেকে কোনো যাত্রী এলে তাদেরকে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে শারীরিক পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রী বিমান মূলত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ গুলি থেকে আগত যাত্রীদের বিমান বন্দর সংলগ্ন এলাকাতেই সাতদিনের নিভৃত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সাতদিন পরে দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষা হলে যদি রিপোর্ট নেগেটিভ হয় তবেই তারা বিমান বন্দর সংলগ্ন নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে আসতে পারবেন।
]]>