এদিন রাজনাথ সিং টুইট করে জানান, ‘আজ আমার করোনা ধরা পড়েছে, সেইসঙ্গে হালকা উপসর্গ রয়েছে। আমি আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে যারাই আমার সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের প্রতি অনুরোধ যে তাঁরাও যেন নিজেদের টেস্ট করিয়ে নেন।’
প্রসঙ্গত, চলমান করোনার তৃতীয় ঢেউ ও ওমিক্রনের আবহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সহ অনেক নেতা মন্ত্রী করোনার কবলে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী একটি ওয়েবিনারে ভাষণ দিয়েছিলেন যেখানে ১০০টি নতুন সৈনিক স্কুলকে মেয়েদের সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিগত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন। একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। গতকাল সেখানে মৃত্যু সংখ্যা ছিল ৩২৭ জন। এর ফলে এক ধাক্কায় বাড়ল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। দেশে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা হল ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৬১৯ জন।
]]>I have tested positive for Corona today with mild symptoms. I am under home quarantine. I request everyone who have recently come in my contact to isolate themselves and get tested.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) January 10, 2022
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিগত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন। একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। গতকাল সেখানে মৃত্যু সংখ্যা ছিল ৩২৭ জন। এর ফলে এক ধাক্কায় বাড়ল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। দেশে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা হল ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৬১৯ জন।
দৈনিক সুস্থতার হার ১৩.২৯%। অন্যদিকে এক ধাক্কায় বেড়েছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যাও। দেশে বর্তমানে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০৩৩।
রবিবার দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৩২ জন। প্রসঙ্গত, করোনা রুখতে নাইট কারফিউ, কড়া বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাধিক রাজ্য। করোনার পাশপাশি বাড়ছে ওমিক্রনের দাপট। দিল্লি, মুম্বই থেকে শুরু করে কলকাতা, দেশের সব বড় শহরের পরিস্থিতি ভয়াবহ।
এদিকে আগামী দিনে এই সংক্রমণের গ্রাফ আরো ভয়াবহ রূপ নিতে চলেছে সেই আশঙ্কায় ভুগছেন আপামর চিকিৎসক মহল। প্রথম ঢেউয়ের সময়ে দৈনিক সংক্রমণ-এর হার ৯০ হাজারের কাছাকাছি ছিল, কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ে এই দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন-এর তা বলাই বাহুল্য।
এর পাশাপাশি সোমবার থেকে গোটা দেশজুড়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার এবং বয়স্করাই টিকার তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। পাশাপাশি, যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরা ওই ডোজ পাবেন।
]]>
অন্যদিকে একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ৩২৭ জন। গতকালের তুলনায় যা অনেকটা বেশি। দৈনিক সুস্থতার হার ১০.২১%। দেশে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯০ হাজার ৬১১ জন। ভারতে এখনো অবধি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩, ৪৪,৫৩,৬০৩ জন। মোট মৃত্যু সংখ্যা ৪, ৮৩, ৭৯০। এখনো অবধি করোনার টিকা পেয়েছেন
১৫১.৫৮ কোটি মানুষ।
করোনার সংক্রমন ঠেকাতে নাইট কারফিউ, কড়া বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাধিক রাজ্য। করোনার পাশপাশি বাড়ছে ওমিক্রনের দাপট। দিল্লি, মুম্বই থেকে শুরু করে কলকাতা, দেশের সব বড় শহরের পরিস্থিতি ভয়াবহ।
জানা গিয়েছে, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২ কোটি পেরিয়ে গিয়েছে। যদিও ছোটদের টিকাকরণের এই গতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে আগামী দিনে এই সংক্রমণের গ্রাফ আরো ভয়াবহ রূপ নিতে চলেছে সেই আশঙ্কায় ভুগছেন আপামর চিকিৎসক মহল। প্রথম ঢেউয়ের সময়ে দৈনিক সংক্রমণ-এর হার ৯০ হাজারের কাছাকাছি ছিল, কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ে এই দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন-এর তা বলাই বাহুল্য।
]]>করোনার তৃতীয় ঢেউতে ভারত তথৈবচ। পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদের ভিড় এড়াতে চলতি মাস জুড়ে মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার থেকে দর্শনার্থীদের জন্য ফের বন্ধ হচ্ছে মন্দির৷ তবে পুজো হবে। দর্শনার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ থাকবে৷
বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ দেখে চিন্তিত ওডিশা সরকার। পুরীর জেলাশাসক জানিয়েছেন, আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মন্দির৷ ৩১ জানুয়ারির পর করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে পুনরায় খোলা হতে পারে জগন্নাথ মন্দিরের দরজা৷
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে জগন্নাথ মন্দির বন্ধ হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত জগন্নাথ দর্শন করতে পারেননি দর্শনার্থীরা।
]]>রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছিল কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রেও সেই বিজ্ঞপ্তি প্রযোজ্য হবে। মেলায় একত্রে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। এই সম্পূর্ণ বিষয়টি দেখার জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
পড়ুন: High Court: মিলল অনুমতি, হবে গঙ্গাসাগর মেলা
প্রশ্ন উঠছে, বিপুল ভিড়ের সামাল দিতে যেখানে প্রশাসন হিমশিম খায়। সেখানে কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য গঙ্গাসাগর কতটা উপযুক্ত ?
মেলা থেকে বিপজ্জনক হারে সংক্রমণের তীব্র আশঙ্কা থাকছেই। গত কয়েকদিন ধরেই চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞদের বারবার আবেদন ছিল এবারও এই মেলা বন্ধ করা হোক। কারণ, সংক্রমণ গতি অতি তীব্র।
বিশেষজ্ঞরা তুলনা করে দেখিয়েছেন, কলকাতার বড়দিন উৎসবে পার্ক স্ট্রিটের ভিড় অথবা অফিস টাইম শিয়ালদহ, হাওড়া, বনগাঁ, কৃষ্ণনগর সিটি, বারাসত, দমদম যে কোনও স্টেশনের ভিড়কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে বিশাল চেহারা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপের গঙ্গাসাগর মেলা।
দেশজোড়া করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ চলছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী শহর কলকাতায় যেন করোনা বোমার বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘরে ঘরে করোনা আপাত দৃষ্টিতে এইটুকু তথ্য আতঙ্কের কারণ। এই অবস্থায় যেমন পার্ক স্ট্রিটে বড়দিনের মেলায় উদ্বেগজনক ভিড় ছিল তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি জনতার ঢেউ আসতে চলেছে সাগরদ্বীপে।
আরও পড়ুন: Covid19: শেষ সাত দিনে ৭১ শতাংশ সংক্রমণ, করোনা যেন মরণহীন রক্তবীজ
চিকিৎসকদের বেশিরভাগ মনে করছেন নির্বোধের মতো সিদ্ধান্ত। আরও ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা জন্ম নিল।
<
p style=”text-align: justify;”>মেলায় আসা নিরানব্বই শতাংশ পূণ্যার্থীরা কোভিড বিধি মানতে পারবেন না। কারণ বিপুল ভিড়। গঙ্গাসাগরের এই ভিড়ে কোনও কোভিড বিধি মানা সম্ভব নয়। ভিড়ের গুঁতোয় নাক থেকে মাস্ক কোনদিকে উড়ে যাবে তাই বোঝা সম্ভব নয়।
]]>কী শর্ত দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে?
রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছিল কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রেও সেই বিজ্ঞপ্তি প্রযোজ্য হবে। বিষয়টি স্বরাষ্ট্র সচিবকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে। গঙ্গাসাগর মেলায় একত্রে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। এই সম্পূর্ণ বিষয়টি দেখার জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
কমিটিতে থাকবেন:—
১) মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
২) বিরোধী দলনেতা
৩) রাজ্যের মুখ্যসচিব বা মুখ্যসচিব মনোনীত কোনও রাজ্যের প্রতিনিধি।
এই কমিটি নজরদারি করবে এবং যদি রাজ্য সরকারের ওই বিজ্ঞপ্তির অবমাননা হয় বা সঠিক ভাবে পালিত না হয় তাহলে এই কমিটি মেলা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারবে।
]]>সাধারণ মানুষকে আতঙ্কে রাখার অভিযোগ তুলে যে যুক্তি উঠে এসেছে তা রীতিমতো চমকপ্রদ। বিভিন্ন দেশের চিকিৎসা গবেষক, জীবাণু গবেষকরা কর্পোরেট- বহুজাতিক সংস্থার প্রচার বিরোধী অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, মানুষকে ঘরবন্দি করে মৃত্যু আশঙ্কা এমন করে তুলে ধরা হচ্ছে যাতে সাধারণ বোধবুদ্ধি লোপ পায়।
তথ্য হিসেবে বিভিন্ন দেশ ভিত্তিক করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ হারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অন লাইন নির্ভরতা ও একলা করে দেওয়ার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ফল এসেছে উদ্বেগজনক। বিশ্লেষণ বলছে কর্পোরেট দুনিয়া টিকা বাণিজ্যকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে যে একের পর এক ভাইরাস ভ্যারিয়েন্টের নাম আসবে। তার সম্পর্কে প্রচার তুঙ্গে তোলা হবে।
ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মূল করোনাভাইরাসের ৪৬ দফা রূপান্তর হয়েছে এখনও পর্যন্ত। মহামারি বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইগল ডিং জানিয়েছেন, ওমিক্রনের পর এখন করোনার নতুন ধরনগুলো একের পর এক আসতে থাকবে। তার মানে এমন নয় যে সবগুলো বিপজ্জনক। সংখ্যা বৃদ্ধি করার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে এটির বিপজ্জনক হয়ে ওঠা।
লক্ষাধিক কৃষক সমাবেশে করোনা কি ভয় পেল?
যুক্তিবাদীরা তথ্য তুলে ধরেছেন। ভারতের সাপেক্ষে তাঁদের যুক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিশাল কৃষক আন্দোলন। ভারত সরকারের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে লক্ষ লক্ষ কৃষকের জমায়েতে কতজন করোনা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন? তোলা হয়েছে এই প্রশ্ন। কৃষক আন্দোলনের বিপুল জমায়েত থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বারবার ছড়ানো হয়েছিল। তবে আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে সংক্রমণ তেমন কই বলেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভারত সরকার আন্দোলনের অনড় চেহারা দেখে কৃষি আইন বাতিল করেছে।
করোনাভাইরাসের পরপর ধরণ ডেল্টা, ডেল্টা প্লাস, ওমিক্রন, ডেলমিক্রন এবং নবতম সংযোজন ইহু যেমন এসেছে, তেমনই এসেছে ভিন্ন জীবাণু ফ্লোরনা। কর্পোরেট প্রচার সমালোচক বিশেষজ্ঞরা বলছেন জীবাণু আগেও ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু জীবাণু সংক্রমণের যুযু ধরানোর খেলা শুরু হয়েছে। টিকা বিক্রি, স্যানিটাইজার বিক্রি, আনুষঙ্গিক ওষুধ ব্যবসার গতি এতে বাড়বে। বেড়েওছে। এতে আখেরে লাভ সংস্থাগুলির। আতঙ্ক ছড়ানোর এই ব্যবসা জীবাণু সংক্রমণের থেকেও ভয়াবহ।
]]>বাংলাদেশেও ফের করোনা সংক্রমণের গতি বেড়েছে। রাজধানী ঢাকাতেই সংক্রমণ সর্বাধিক। পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন খুলনা, রাজশাহি, রংপুর বিভাগগুলির পরিস্থিতির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। এই বিভাগগুলিতেই বিভিন্ন সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতকারী বেশি।

মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, যদি কারোর টিকা না নেওয়া থাকে সেই ব্যক্তি কোনও রেস্তোরাঁয় ঢুকতে পারবেন না। মাস্ক ব্যবহার না করলে জরিমানা ধার্য হবে।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের জেরে ফের আরোপিত হয়েছে বিধিনিষেধ। বাংলাদেশেও পরিস্থিতি বিচার করে আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ লকডাউন করার কথা চিন্তা করছে শেখ হাসিনার সরকার। জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে আরও পর্যালোচনা করা হবে।
বাড়তে থাকা সংক্রমণের কারণে পশ্চিমবঙ্গের মতো বাংলাদেশেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে।
বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আমরা সারাক্ষণই করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যদি আমাদের মনে হয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য ক্লাস কমাতে হবে, কমিয়ে দেব। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হবে।
দীপু মনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে মার্চ মাসে এদেশে সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। তাই মার্চ মাস না আসা পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে সেটা বোঝা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মানলে আমরা সংক্রমণ কম রাখতে পারব। এরইমধ্যে কয়েকজনের দেহে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। তাই আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
মার্চ-এপ্রিলে আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মহম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা পর্যায়ে হাসপাতালের পুরো প্রস্তুতি জানুয়ারিতে শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সোমবার পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ১৪০ জন।
]]>গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪০৬ জনের। ফলে দেশজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৪৮৬। মৃত্যু হার ১.৩৮ শতাংশ।

Covid 19: Corona attack threatens Delhi, high alert in Mumbai
একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন ৮ হাজার ৯৪৯। মোট সুস্থতার সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৩১২। ভারতে সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৩২ শতাংশ। ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা একলাফে বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৭৮১।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকাকরণের সংখ্যা ৫৮ লক্ষ ১১ হাজার ৪৮৭। এখনও পর্যন্ত মোট করোনা টিকাকরণের সংখ্যা ১৪৫ কোটি ১৬ লক্ষ ২৪ হাজার ১৫০।
]]>হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওমিক্রনে সংক্রমিত হননি সৌরভ গাঙ্গুলি। করোনা আক্রান্ত হলেও সংকটজনক নয় তিনি। তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বাড়িতেই কোয়ারান্টাইনে রেখে চিকিৎসা চলবে।
এই মুহূর্তে ওমিক্রন আতঙ্কে গোটা দেশে, ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গ। কয়েকদিন আগে জ্বর আসায় করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল সৌরভের। রিপোর্ট পজিটিভ এলে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা তা জানতে তাঁর নমুনা জিন পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ওমিক্রনের সংক্রমণ না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফেরে চিকিৎসকদের মধ্যে। যদিও সৌরভের চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
]]>দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনার নমুনায় ৫৪% ক্ষেত্রে ওমিক্রন বাড়ছে। মুম্বইয়ে ৩৬৭১ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। অর্থাৎ দৈনিক প্রায় ৪৬% সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্ত ১৩১৩ জন, অর্থাৎ আক্রান্ত ৪২% বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০৯০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। লোকাল ট্রেন এবং উড়ান পরিষেবার জেরে ফের বাড়ছে কোভিড, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
মুম্বইয়ের পরিসংখ্যান বলছে, এক সপ্তাহে প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা। গত শুক্রবার যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৮৩। এ সপ্তাহে তা ৩৬৭১। যদিও মৃত্যুহার অনেকটাই কম। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, শহরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জোর দেওয়া হচ্ছে। মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, দিল্লি, কর্ণাটক, গুজরাটের পরিস্থিতি ক্রমশই চিন্তিত করে তুলছে।
এদিকে, কলকাতায় ফের ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলল। বৃহস্পতিবার নতুন করে ৫ জনের নমুনায় নয়া ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিদেশ থেকে আসা ৬ জন করোনা আক্রান্তের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৫ জনই ওমিক্রন আক্রান্ত। এদের মধ্যে একটি পাঁচ বছরের শিশুও রয়েছে।
]]>দেশে ওমিক্রন হামলার প্রথম শিকার তিনিই। এমনই জানাচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। সংক্রমণের গতি দেখে দেশজুড়ে সতর্কতা জারি হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কাছে বিশেষ সতর্কতার বার্তা দেওয়া হয়।
বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই বেড়েছে। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও প্রতিদিনই বাড়ছে। সংক্রমণ ছড়ানোর কারণে স্বাস্থ্যমন্ত্রক ৮ রাজ্যকে অবিলম্বে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। প্রতিটি রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের হার ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। চেন্নাই , গুরুগ্রাম, বেঙ্গালুরু , আমেদাবাদ, দিল্লি, মুম্বইয়ের মত শহরে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। এর মধ্যে এদিন সবথেকে উদ্বেগজনক খবরটি এসেছে দিল্লি থেকে। রাজধানী দিল্লিতে ও মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বইতে জারি হয়েছে সতর্কতা।
]]>বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে কলকাতায় ব্রিটেনের বিমান অবতরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও বলা হয়েছে, কেন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী ব্রিটেনের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে উদ্বেগজনক। তাই আপাতত ব্রিটেন থেকে কোনো বিমান কলকাতায় আসবেনা।
করোনা পরিস্থিতির অবনতি আটকাতে তৎপর রাজ্য। ভিন দেশ থেকে এরাজ্যে প্রবেশ করতে হলে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।
কেন্দ্র ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৮ রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে। করোনা টিকাকরণে জোর দিতে বলা হয়েছে এবং হাসপাতালে বেড মজুত রাখার কথাও বলা হয়েছে।
]]>মঙ্গলবার ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স মহামারি শুরু হওয়ার পর রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত দেখল। এদিন দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮০৭ জনের। ফ্রান্সে একদিনে এত সংখ্যক সংক্রমণ এবারই প্রথম। ইটালি, গ্রিস, পর্তুগাল ও ইংল্যান্ডেও সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা গিয়েছে।
সোমবার ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরান দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেছেন, সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে জানুয়ারির শুরুর দিকে ফ্রান্সের দৈনিক সংক্রমণ আড়াই লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর ফ্রান্সের হাসপাতাল ফেডারেশন সতর্ক করে বলেছে, সবচেয়ে কঠিন সপ্তাহগুলো এখনো আসেনি।
ওয়ার্ল্ডোমিটার জানাচ্ছে, এক দিনের ব্যবধানে ইউরোপীয় অঞ্চলে সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে। গত সোমবার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল ৩ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি। ওই দিন মারা গিয়েছিলেন প্রায় ২ হাজার ৮০০ করোনা রোগী। এর আগের দিন মৃত্যু ছিল প্রায় ২ হাজার। আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২৮ হাজার মানুষ।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল ফ্রান্সে যে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, তা ইউরোপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। এর আগে এক দিনের ব্যবধানে কোনো দেশেই এত বেশি রোগী শনাক্ত হয়নি।
]]>গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ হাজার ১৪১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৯৫। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৪০ শতাংশ। দেশে করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৮৪১।
সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা টিকাকরণের সংখ্যা ২৯ লক্ষ ৯৩ হাজার ২৮৩। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকাকরণের সংখ্যা ১৪১ কোটি ৭০ লক্ষ ২৫ হাজার ৬৫৪।
]]>শীত পড়তেই ইউরোপ জুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত । ধরা পড়ার কয়েকদিনের মধ্যেই বিশ্বের ১১০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই নতুন ভেরিয়েন্ট। ইতিমধ্যেই ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে দাপট দেখাতে শুরু করেছে ওমিক্রন।
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই জরুরি বৈঠকে বসেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। স্বাস্থ্য-সহ বিভিন্ন দফতরের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন তিনি। পরিস্থিতির উপর সরকার কড়া নজর রাখছে বলেও ম্যাঁক্রো জানিয়েছেন। শেষ ২৪ ঘন্টায় ফ্রান্সে যতজন আক্রান্ত হয়েছেন তার অধিকাংশই ওমিক্রন আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। ২৪ ঘন্টায় ফ্রান্সে মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বের প্রথম দশটি দেশের মধ্যে ফ্রান্স রয়েছে সাত নম্বরে। শুক্রবার ফ্রান্সে ৯৪১২৪ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১৬৭ জনের। তুলনায় শনিবার মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমলেও আক্রান্ত সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে।
ইতিমধ্যেই গোটা ইউরোপে শুরু হয়েছে নববর্ষ বরণ উৎসব। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো সে দেশের প্রত্যেক মানুষকে ঘরে থেকে উৎসব পালনের ডাক দিয়েছেন।
শনিবার যিশুর জন্মদিন উপলক্ষে পোপ ফ্রান্সিস সকলকে দ্রুত টিকা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। ভ্যাটিকান সিটির ওই অনুষ্ঠানে পোপ বলেন, গরিব মানুষের প্রতি উদাসীন আচরণ ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছে। শুধু ধনী দেশগুলিতেই ভ্যাকসিন দিলে যে গোটা বিশ্ব করোনার হাত থেকে মুক্তি পাবে না এটা আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। মনে রাখতে হবে, প্রদীপের নিচেই থাকে অন্ধকার। তাই বিশ্বের প্রতিটি মানুষ যাতে টিকা পায় সেদিকে সবার আগে নজর দিতে হবে।
ব্রিটেনেও ওমিক্রন বড় মাপের ছাপ ফেলেছে। বরিস জনসনের দেশে একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ। যার মধ্যে বেশিরভাগই ওমিক্রন আক্রান্ত। ফলে ব্রিটেনেও করোনা নতুন করে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। ব্রিটেনে প্রতিদিনই আক্রান্তের নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। একদিনে এক লাখ কুড়ি হাজারের বেশি মানুষের করোনা আক্রান্ত হওয়া এক নতুন রেকর্ড।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। নববর্ষের উৎসব শেষ হলে এক ধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি দেশে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তাই প্রতি দেশকেই আরও সতর্ক থাকতে হবে। অন্যথায় এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে গোটা বিশ্বকে।
]]>সাংবাদিক সম্মেলনে অ্যাডহোম (adhome) বলেন, গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু প্রতিরোধ করতে করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বে প্রতিদিন যে পরিমাণ টিকা দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে ২০ শতাংশ বুস্টার ডোজ। অভিজ্ঞতা বলছে, প্রথম বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলির কাছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বাড়তি টিকা আছে। কিন্ত গরিব ও অনুন্নত দেশগুলিতে বেশিরভাগ মানুষই এখনও টিকার একটি ডোজও পাননি। উন্নত দেশগুলি যদি মনে করে, বুস্টার ডোজ দিলেই তারা করোনার হাত থেকে রেহাই পাবে তবে তারা ভুল করছে। বরং সেক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়াবে।
তাই যে সমস্ত দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনও টিকা পায়নি সবার আগে সেই সমস্ত দেশগুলিতে টিকা পৌঁছে দেওয়া দরকার। অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যাচ্ছে, করোনার কারণে যে সমস্ত মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বা প্রাণ হারাচ্ছেন তাঁদের অধিকাংশই টিকা পাননি। তাই বুস্টার ডোজ নিয়ে মাতামাতি না করে বরং যারা করোনা টিকার একটি ডোজও পাননি তাঁদের টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া দরকার।
হু প্রধান আরও বলেন, বর্তমানে করোনার যে টিকাগুলি চালু আছে সেগুলি ওমিক্রন ও ডেল্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। তাই ওমিক্রন ঠেকাতে যে বুস্টার ডোজ দিতেই হবে তার কোন অর্থ নেই। বরং যত শীঘ্র সম্ভব বিশ্বের অন্ততপক্ষে ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া দরকার। আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ বিশ্বের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ মানুষকে যাতে টিকা দেওয়া যায় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। গোটা বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষ টিকা পেলে তবেই এই ভাইরাস প্রতিরোধের কাজ অনেকটাই এগিয়ে যাবে।
একাধিকবার টিকা বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন হু প্রধান। বুধবার তিনি বলেছেন, আর এক সপ্তাহের মধ্যেই বড়দিন ও নববর্ষের মত দুটি বড় ধরনের উৎসব রয়েছে। কিন্তু মানুষ যেন উৎসবে অবাধ মেলামেশা না করেন। বরং বাড়ি থেকেই উৎসব পালন করতে মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন অ্যাডহোম।
যারা ওমিক্রন আক্রান্ত বা সন্দেহজনক আক্রান্তের কাছাকাছি যাবেন তাঁরা যেন অবশ্যই সবধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। বিশেষ করে তাঁদের অবশ্যই মেডিকেল মাস্ক পড়তে হবে। বদ্ধ জায়গায় এন-৯৫ জাতীয় মাস্ক পড়লে অনেকটাই নিরাপদ থাকা যাবে।
]]>
রাজ্য সরকারের প্রকাশিত নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিদেশ থেকে এরাজ্যে এলে ১৪ দিনের আইসোলেশনে থাকতেই হবে যাত্রীদের। বিমান যাত্রীদের ক্ষেত্রে rt-pcr টেস্ট বাধ্যতামূলক। এই টেস্টের জন্য প্রি বুকিং করতে হবে যাত্রীদের। দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং বেঙ্গালুরুতে সোমবার থেকেই যাত্রীদের সুবিধার্থে সরকারের তরফ থেকে “এয়ার সুবিধা” নামে অনলাইন পোর্টালে প্রি-বুকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশনে রাখার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নয়া নিয়মের কথা বলা রয়েছে এই গাইডলাইনে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিদেশ ফেরত যাত্রীদের rt-pcr টেস্ট করাতে হবে এবং রিপোর্ট পজিটিভ হলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা হবে সেখানে এবং তাদের জন্য আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থাও করা হবে। বিদেশ ফেরত যাত্রীদের নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসা পর্যন্ত যাত্রীদের আলাদা ঘর বা আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকতে হবে। সংক্রমনের সামান্য উপসর্গ থাকলেও একই নিয়ম লাগু হবে। করোনাই আক্রান্ত যাত্রীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে শুরু করে টয়লেট ও বাথরুম সবই থাকবে আলাদা। পিপিই কি করে তবেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে ঢুকতে পারবেন চিকিৎসক ও কেয়ারগিভাররা।
কোনভাবেই যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আগেভাগেই গ্রহণ করতে হবে। ১৪ দিন আইসোলেশনের থাকার পর ফের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হবে রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেই তবে রোগীকে তার গন্তব্যস্থানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। অমিক্রণ এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। সেক্ষেত্রে সংক্রমণ কমে গেলে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি রিয়েল টাইম rt-pcr টেস্ট করা হবে এবং রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে তবেই যাত্রীকে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা হবে।
]]>কিছুদিন আগে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল নতুন বছরেই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজা ফের একবার খুলতে চলেছে। এমনকি পড়ুয়াদের অভিভাবকদের হাতে মিড ডে মিলের সামগ্রী তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ওমিক্রণের বাড়বাড়ন্তে সিদ্ধান্ত বদল শিক্ষা দফতরের। জানুয়ারি মাসে প্রাথমিক স্তরে স্কুল খোলার পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হবে না। ওমিক্রণের সংক্রমণ এড়াতে ধীরে চলো নীতিতেই আস্থা রাখছে রাজ্য সরকার।
পুস্তক সপ্তাহ পালন নিয়ে বিকাশ ভবন নতুন করে নির্দেশিকা জারি করেছে। বিকাশ ভবনে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে যেহেতু অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকছে তাই রাজ্যের স্কুলগুলিকে সব শ্রেণির পড়ুয়াদের জানুয়ারির ৭ তারিখের মধ্যে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে হবে। সুতরাং,জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে না প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস।
অন্যদিকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুল খোলার দাবিতে অনড় রয়েছেন শিক্ষক সংগঠনগুলি। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস যত শীঘ্র সম্ভব শুরু হওয়ার দাবি অটল রয়েছেন শিক্ষক সংগঠনগুলি। তবে তাদের দাবি মতো এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি রাজ্য শিক্ষা দফতর। কবে থেকে আবার স্কুল যেতে পারবে প্রাথমিক ও উচ্চ-প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়ারা; তা নিয়ে জটিলতা ক্রমশ আরও জোরালো উঠছে।
]]>মঙ্গলবার কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের এক সম্মেলনে অনলাইন ব্যবস্থায় যোগ দেন সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা। ওই সম্মেলনে তিনি বলেন, তাঁদের সংস্থার তৈরি করোনার টিকা নভোভ্যাক্সের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। তিন বছর বা তার বেশি বয়সি শিশুদের উপর এই ভ্যাকসিন অত্যন্ত ভাল ফল করেছে। তিনি নিশ্চিত যে, আগামী ৬ মাসের মধ্যেই শিশুদের জন্য করোনার টিকা নভোভ্যাক্স ভারতের বাজারে এসে যাবে।
এই সম্মেলনে আদর আরও বলেছেন, করোনাজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত তেমন গুরুতর অসুস্থতা দেখা যায়নি। তাই শিশুদের জন্য এতটা উদ্বেগের কিছু নেই। কিন্তু আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশের বাজারে তাঁরা শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করতে পারবেন। এই মুহূর্তে শিশুদের জন্য যে ভ্যাকসিন তাঁরা তৈরি করেছেন তার চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আশা করা যায় ছয় মাসের মধ্যে এই ভ্যাকসিন চালু হয়ে যাবে।
একইসঙ্গে আদর জানান, প্রত্যেক মা-বাবারই উচিত তাঁদের সন্তানদেরও টিকা দেওয়া। কারণ টিকা নিলে ক্ষতি কিছু হবে না। বরং করোনা প্রতিরোধ করা আরও সহজ হবে, এটা তো ইতিমধ্যেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতে এখনো পর্যন্ত শিশুদের জন্য একটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেটি হল জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি জাইকোভ-ডি। তবে এই ভ্যাকসিনটি ১২ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য প্রযোজ্য। অর্থাৎ ১২ বছরের কম বয়সিদের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন নেই। সেরাম ইনস্টিটিউট ছয় মাসেরমমধ্যে শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন চালু করলে অভিভাবকরা অনেকটাই উদ্বেগমুক্ত হতে পারবেন।
]]>