country – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Mon, 03 Jan 2022 11:51:11 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png country – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Corona Updates: গত ২৪ ঘন্টায় দেশে বাড়ল আক্রান্তের হার, কমল সুস্থতার হার https://ekolkata24.com/uncategorized/last-24-hours-the-rate-of-corona-infection-has-increased-in-the-country Mon, 03 Jan 2022 11:51:11 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17792 নতুন বছরের শুরু থেকেই করোনার (Corona) দৈনিক সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৭৫০ জন। সংখ্যাটা রবিবারের থেকে ৬ হাজারের বেশি। অর্থাৎ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২২.৫ শতাংশ বেড়েছে। একইসঙ্গে করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮২। কমেছে সুস্থতার হার। ২৪ ঘন্টায় দেশে সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৯৮.২০ শতাংশ।

গত কয়েকদিন ধরেই দেশে দৈনিক পজিটিভিটি রেট বেড়েছে। পাশাপাশি ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৫ জন। এরই মধ্যে ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০৮৪৬ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। যা রবিবারের তুলনায় অনেকটাই কম।

সর্বাধিক ওমিক্রন আক্রান্তের খবর এসেছে মহারাষ্ট্র থেকে। দ্বিতীয় স্থানে আছে রাজধানী দিল্লি। এছাড়াও গুজরাত, রাজস্থান, তামিলনাড়ুতেও অনেকেই ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনা রুখতে প্রতিটি রাজ্যই নতুন করে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে। উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, রাজস্থানে রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারি করা হয়েছে। মানুষকে মাস্ক ছাড়া বাইরে না বেরুতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার জিম, স্টেডিয়াম, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ ৫০ শতাংশ মানুষের উপস্থিতিতে খোলা যাবে বলে জানিয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, যেকোনো ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি লোক উপস্থিত থাকতে পারবে না। শেষকৃত্যানুষ্ঠানে সর্বাধিক ২০জন থাকার অনুমতি মিলেছে। এই রাজ্যে রাত ৯ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারি থাকছে। বিধি লংঘন করলে এখানে আদায় করা হবে ৫০০ টাকা জরিমানা।

হরিয়ানাতে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকছে স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ১০০ এবং শেষকৃত্যানুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জনের উপস্থিত থাকার ছাড়পত্র মিলেছে। এছাড়া হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ থাকতে পারবেন না। রাজস্থানে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুলের ক্লাস বন্ধ থাকছে। অন্যদিকে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, ২০২১-এর শেষ দুদিনে রাজধানীতে যতজন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৮৪ শতাংশের শরীরে মিলেছে ওমিক্রন।

এদিনই জানা গিয়েছে, বিহারের নালন্দা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৮৪ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা ঠেকানোর উদ্দেশ্যে সোমবার থেকেই দেশজুড়ে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। আক্রান্তের হার যেভাবে বাড়ছে সে বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিটি রাজ্যকেই হাসপাতালে সব ধরনের পরিষেবা তৈরি রাখার জন্য কেন্দ্র পরামর্শ দিয়েছে।

]]>
দেশের ২৩ রাজ্যে ছড়াল ওমিক্রন, ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ল https://ekolkata24.com/uncategorized/omicron-spread-in-23-states-of-the-country-the-number-of-infected-and-dead-increased-in-24-hours Sat, 01 Jan 2022 12:45:41 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17499 নিউড ডেস্ক, নয়াদিল্লি: মাত্র এক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতিটা আমূল বদলে গিয়েছে। ডিসেম্বরের (december) শুরুর দিকেও দৈনিক করোনা সংক্রমণের (corona infection) সংখ্যা ছিল ৬ হাজারের আশেপাশে। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম দিনেই গোটা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৭৭৫ জন। ৬ অক্টোবরের (october) পর এই প্রথম দেশে এতজন মানুষ আক্রান্ত হলেন। একই সঙ্গে শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে ওমিক্রন (omicron) আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৩১ জন। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা আরও ১৬১ জন বেড়েছে।

সংক্রমণ বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। নতুন বছরের প্রথম দিনেই অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ২৪ ঘন্টায় মৃতের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশের ৪৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে অবশ্য ৩৭৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

ওমিক্রন আক্রান্তের নিরিখে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রই এগিয়ে আছে। এই রাজ্যে ৪৫৪ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরেই আছে দিল্লি। রাজধানীতে ৩৫১ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যত আছে যথাক্রমে কেরল ও গুজরাত এই দুই রাজ্যে যথাক্রমে ১১৮ এবং ১১৪ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন।

তবে গোটা দেশেই সুস্থ হওয়ার হার কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৯৮.৩২ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশের ২৩ টি রাজ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। দিল্লি ও মুম্বইয়ের মত বড় শহরে ইতিমধ্যেই করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। যা নিশ্চিতভাবেই সরকারকে উদ্বেগে রেখেছে।

]]>
দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধের পক্ষেই সওয়াল রিজার্ভ ব্যাংকের https://ekolkata24.com/business/reserve-bank-of-india-has-asked-for-a-complete-ban-on-the-use-of-cryptocurrencies-in-the-country Sun, 19 Dec 2021 12:18:57 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15453 নিউজ ডেস্ক, মুম্বই: দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির (Cryptocurrency) ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধের পক্ষেই সওয়াল করল রিজার্ভ ব্যাং ক (RBI) অফ ইন্ডিয়া। আর্থিক স্থিতাবস্থা আনার জন্যcই তাদের এই প্রস্তাব বলে আরবিআই জানিয়েছে।

দুদিন আগে দেশের অর্থনীতি নিয়ে এক আলোচনায় আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা আইএমএফের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গীতা গোপীনাথ বলেছিলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা (digital currence) বন্ধ করা কার্যত অসম্ভব। তাই ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধ করার বদলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

কিন্তু গোপীনাথের ওই বক্তব্যের দু’দিন পরেই আরবিআই সারা দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধ করার সুপারিশ করল। কেন্দ্রীয় ব্যাং কের তরফে অর্থমন্ত্রককে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, আর্থিক স্থিতাবস্থার জন্যরই দেশে এই ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার বন্ধ হওয়া দরকার। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা বন্ধের এই প্রস্তাব সরকারের মনোমতই হয়েছে। কিছুদিন আগে আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ (shaktikant das) বলেছিলেন, গোটা দুনিয়াতেই ক্রিপ্টোকারেন্সির বিপুল চাহিদা তৈরি হয়েছে। কিন্তু ভারতের পক্ষে ক্রিপ্টোকারেন্সি অন্যপতম মাথাব্যনথার বিষয় হতে পারে। কারণ, ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্যক ম্যাকক্রোইকনমির উপর বড় রকমের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সূত্রের খবর, আরবিআইয়ের জরুরি বৈঠকে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে দুটি মতামত উঠে আসে। ওই বৈঠকে বোর্ডের বেশ কিছু সদস্যয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রার বিষয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে চলারই পক্ষেই মত দেন। এক্ষেত্রে তাঁদের বক্তব্যি ছিল, সময়ের চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে গেলে অর্থনীতিতেও তথ্যএপ্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়ানো প্রয়োজন। অপর কিছু সদস্য জানান, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিময়ের মাধ্য ম বিদেশি মুদ্রা। নিজের পরিচয় প্রকাশ না করেও ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন করা সম্ভব। তাই দেশের বর্তমান পরিকাঠামোয় ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর সম্পূর্ণ নজরদারি চালানো কার্যত অসম্ভব। এর আগে ২০১৮ সালেও একবার ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধ করার পথে হেঁটেছিল আরবিআই। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

আরবিআইয়ের দেওয়া সর্বশেষ রিপোর্ট থেকে এটা স্পষ্ট যে, নিজেদের অবস্থান থেকে গত তিন বছরেও সরে আসেনি কেন্দ্রীয় ব্যা ঙ্ক। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যা ঙ্কের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। যার মধ্যে রিজার্ভ ব্যাং কের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা ও বেসরকারি ডিজিটাল মুদ্রার মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা হয়। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ক নীতি নির্ধারক বিশেষ বিল আনার কথা ছিল। তবে সেই বিল আসবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ওই বিশেষ বিল আনার আগে আরবিআইয়ের এই মতামত নিশ্চিতভাবেই আলাদা মাত্রা যোগ করল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কয়েকদিন আগে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্ভবত প্রধানমন্ত্রীই নেবেন। এ বিষয়ে মোদি আর্থিক বিশেষজ্ঞদের কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন বলে খবর।

]]>
Rajnath Singh: দেশকে ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য তৈরি করছে ডিআরডিও https://ekolkata24.com/uncategorized/drdo-is-preparing-the-country-for-future-war-rajnath-singh Tue, 14 Dec 2021 17:30:34 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14875 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: হলিউডের বিভিন্ন ছবি এবং কল্পবিজ্ঞানের গল্পে ভবিষ্যতের যুদ্ধের (future war)চেহারাটা কেমন হতে পারে বারেবারেই তার একটা ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। গোটা দুনিয়ায় যেভাবে প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে তাতে আগামী দিনে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিও যে একেবারেই পাল্টে যাবে সেটা মেনে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, দেশের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে আমাদের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও (drdo)।

মঙ্গলবার ডিআরডিও আয়োজিত ‘প্রিপেয়ারিং ফর ফিউচার’ (preoareing for future) শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে রাজনাথ (rajnath sing) বলেন, বর্তমানে এবং আগত দিনে দেশ যে সমস্ত সম্ভাব্য বিপদের মুখে পড়তে পারে কিভাবে তার মোকাবিলা করা হবে সে ব্যাপারে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ডিআরডিও। আগামী দিনে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বহুগুণ বাড়বে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে যুদ্ধক্ষেত্রেও। সে কথা মাথায় রেখেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি ও রোবটিক্স সংক্রান্ত বিষয় নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে। এরই মধ্যে আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করেছে এই প্রতিরক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও যাতে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়নের কাজ কাজ করতে পারে তার জন্য অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিআরডিও। আগামী দিনে দেশের এই উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত ও অত্যাধুনিক করে তুলবেন। ভবিষ্যতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর করে তুলবেন, পাল্টে দেবেন আজকের চেহারা।

উল্লেখ্য, ডিআরডিও সম্প্রতি একাধিক অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তোলার পিছনে ডিআরডিও অবদান অনস্বীকার্য। মাস দুয়েক আগেই অগ্নি-৫ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করেছে। গত সপ্তাহে রকেট লঞ্চার সিস্টেম পিনাকা এবং অত্যাধুনিক টর্পেডো বহনকারী স্মার্ট মিসাইলেরও সফল উৎক্ষেপণ চালিয়েছে ডিআরডিও। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং ডিআরডিও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী দিনের যুদ্ধে কোনভাবেই ভারত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না।

]]>
Omicron: দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ https://ekolkata24.com/uncategorized/omicron-the-number-of-infected-people-in-the-country-has-increased-to-33 Sat, 11 Dec 2021 15:55:45 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14494 নিউজ ডেস্ক: সারাদেশেই ওমিক্রন (omicron) ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে (maharastra) নতুন করে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন। যার মধ্যে একটি সাড়ে তিন বছরের শিশুও আছে।

একই সঙ্গে শনিবার গুজরাতে (gujrat) আরও দু’জনের এবং দিল্লিতে একজনের ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। ফলে গোটা দেশে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩। যার অর্ধেকেরও বেশি ১৭ জন মহারাষ্ট্রের।

মহারাষ্ট্রের আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন মুম্বই শহরের বাসিন্দা। ওই তিনজন সম্প্রতি ব্রিটেন, তানজানিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরেছেন। অপর চারজন মুম্বইয়ের পিম্পিরি এলাকার বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে চারজন করোনা টিকার দুটি ডোজই নিয়েছিলেন। একজন নিয়েছেন একটি ডোজ। অপরজন অবশ্য করোনার টিকা নেননি। বৃহনমুম্বই কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তানজানিয়া থেকে দেশে ফেরা ওই ব্যক্তি ধারাভি বস্তির বাসিন্দা।

ওই ব্যক্তির শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না। তাই ওই ব্যক্তি বস্তির কতজন মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন সেটাই সবচেয়ে বড় চিন্তা। তবে বস্তির মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আগেই ওই ব্যক্তিকে সনাক্তকরণ করা গিয়েছে বলে পুরসভা জানিয়েছে। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মুম্বইয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং ১১ ও ১২ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে কোনও ধরনের বড় জমায়েত করা যাবে না বলে পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে।

দিল্লিতে এদিন খোঁজ মিলল ওমিক্রন আক্রান্ত আরও একজনের। ফলে দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল দুই। ওই ব্যক্তি কয়েকদিন আগে জিম্বাবোয়ে থেকে দেশে ফেরেন। জিম্বাবোয়ে যাওয়ার আগে ওই ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকাও গিয়েছিলেন বলে খবর। তবে দিল্লির ওই ব্যক্তি টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন। টিকার দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও যেভাবে মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন সেটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়।

মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট থেকে বাঁচতে প্রত্যেকেই যেন করোনাজনিত বিধিনিষেধ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে মেনে চলেন। মানুষকে অযথা ঝুঁকি না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে কেউ বাইরে থেকে দেশে ফিরলে সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর নজর রাখার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

]]>
দেশের ছোট-বড় সব বাঁধেরই নিয়মিত সুরক্ষা অডিট হয় জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী https://ekolkata24.com/uncategorized/union-minister-said-that-all-the-dams-of-the-country-big-and-small-are-regularly-audited-for-safety Thu, 09 Dec 2021 11:39:29 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14224 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, সেচের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে গোটা দেশে একাধিক বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এই বাঁধগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে কী নিয়মিত সুরক্ষা অডিট করা হয়? ইতিমধ্যেই যে সমস্ত বাঁধের সুরক্ষা অডিটের কাজ হয়ে গিয়েছে সেগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হোক। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাঁধগুলির সংস্কারের বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ করেছে? কেরলের মুল্লাপেরিয়ার বাঁধের সংস্কারের জন্য কেরল সরকারের কাছ থেকে কেন্দ্র কি কোন প্রস্তাব পেয়েছে? বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের কাছে এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানতে চান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের ওই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় জল সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বিশ্বেশ্বর টুডু বলেন, দেশের প্রতিটি বাঁধেরই নিয়মিত সুরক্ষা অডিট করা হয়। প্রতিটি বাঁধ যে রাজ্যে অবস্থিত সেই রাজ্যের সরকারই বাঁধগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা দেখভাল করে। সব রাজ্যই নিয়মিত বর্ষার আগে এবং পরে বাঁধগুলি সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে। বাঁধগুলির সুরক্ষায় যাতে কোনওরকম ত্রুটি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি রাজ্য পৃথকভাবে ড্যাম রিভিউ প্যানেল গঠন করেছে। বাঁধগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করার লক্ষ্যে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা দরকার। এই কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় সেজন্য সম্প্রতি রাজ্যসভায় বাঁধ সুরক্ষা বিল পাস হয়েছে।

গোটা দেশে ২২৭ টি বড়মাপের বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে কেন্দ্রীয় জনসম্পদ কমিশন। এই বাঁধগুলি প্রায় ১০০ বছরের পুরনো। কেরলের মুল্লাপেরিয়ার বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইতিমধ্যেই দেশের সর্বোচ্চ আদালত একটি কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি দেখভাল করে। শুধু রক্ষণাবেক্ষণ নয়, ওই কমিটি মুল্লাপেরিয়ার বাঁধ থেকে কেরল ও তামিলনাড়ু কোন রাজ্য কী পরিমাণ জল পাবে সে বিষয়টিও দেখে।

]]>
আজাজের বিধ্বংসী স্পেল, ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোরের যোগ্যতাকে কটাক্ষ দেশের ক্রিকেট ভক্তদের https://ekolkata24.com/sports-news/batting-coach-vikram-rathores-qualifications-are-ridiculed-by-the-countrys-cricket-fans Sat, 04 Dec 2021 08:16:31 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13463 Sports desk: মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে চলছে সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে ভারত এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে ৬, উইকেটে ২৭৬ রান প্রথম ইনিংসের, দ্বিতীয় দিনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে।

৩৩ বছর ৪৪ দিন বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত,মুম্বই’তে জন্ম কিউই বাহাতি অর্থোডক্স স্পিনার আজাজ প্যাটেল ৪১ ওভার হাত ঘুড়িয়ে ১১ মেডেন ওভারে ১০২ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেছে, এখনও পর্যন্ত।

আজাজের এই বিধ্বংসী স্পেলের মুখে পড়ে ভারতের গর্বের ব্যাটিং লাইন আপ খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে।শুভমান গিল,চেতেশ্বর পূজারা, ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, ঋদ্ধিমান সাহা,রবিচন্দ্রন অশ্বিন আজাজ প্যাটেলের বিষাক্ত স্পিনের ছোবলে কার্যত ঘায়েল হয়ে প্যাভিলিয়নে বসে রয়েছে।

দ্বিতীয় দিনে ভারতের প্রথম ইনিংসে ৭১.৪ ঋদ্ধিমান সাহা এবং পরের ডেলিভারিতে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের উইকেট ‘ব্যাক টু ব্যাক’ দুই উইকেট আজাজ প্যাটেল তুলে নেয়। রবিচন্দ্রন অশ্বিন রানের খাতা না খুলেই আউট নিয়ে বিসিসিআই নিজেদের টুইটার হ্যাণ্ডেলে পোস্ট করে। এই টুইটার পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোরের যোগ্যতাকে কাঠগড়ায় তুলে একের পর এক কটাক্ষ ছুঁড়ে আসতে থাকে বিসিসিআই’র করা টুইটার পোস্টের প্রতিক্রিয়াতে রিটুইট পোস্টে।

ভারতের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোরের যোগ্যতার প্রসঙ্গে রিটুইটে দেশের ক্রিকেট ভক্তরা ভারতীয় বোর্ডকে ফের একবার নিশানা করেছে।
Haahaa রিটুইট পোস্ট, “ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা একজন রকি স্পিনারকে সামলাতে পারে না। 🤔 চমৎকার।”
বৈভব গর্গ Haahaa রিটুইটের রিপ্লাই রিটুইট পোস্ট, “১১ম্যাচে তার ৩ টি ফিফার নেই পিচ ট্যাক্স মানের বোলার + ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারের লাল হট ফর্ম।”
Haahaa রিটুইটের রিপ্লাই রিটুইট অম্বুস. রিটুইটে রিপ্লাই পোস্ট
“বলের কতটা বাঁক দেখেছেন?”

সত্যজিৎ বারিক বিসিসিআই’র অশ্বিনের আউটের প্রসঙ্গে টুইটের রিটুইট পোস্টে প্রশ্নের ফুলঝুরি, “বিক্রম দলে কেন? তার ভূমিকা কী? কোহলি, রাহানে এবং পূজারা সেরা ব্যাটসম্যান কিন্তু তাদের কৌশল উন্নত করতে এখনই রঞ্জি ট্রফি খেলতে হবে। ওয়াশিংটন সুন্দর কেন দলের বাইরে? নির্বাচকরা খেলোয়াড় নির্বাচন করতে না পারলে তাদের কিক আউট করবেন? রাহুল দ্রাবিড় সব দায়িত্ব সামলাতে পারেন।”

Lax_being soul❤বোর্ডের টুইট প্রসঙ্গে রিটুইট পোস্ট, “জবসে বিক্রম ব্যাটিং কোচ বন হ্যায় সম্পূর্ণ পতন হো রহা টিম ইন্ডিয়া কা, সোচনা চাহিয়ে কিসি কো রোজগার দেনে কে চক্কর মে আপ বর্তমান এবং ভবিষ্যত কো বরবাদ নেহি কর রহে।”

রিটুইট পোস্টে, “আজাজ ভাই কনসে জনম কা বদলা লে রাহে হো।” এই টুইটের রিটুইট অর্ণবের🤓👍”ভারতীয় দলে চান্স না মিলনা কা বদলা।”
জয়দীপ গাঙ্গুলির বোর্ডের করা টুইট পোস্টের রিটুইটে,”ভারতীয় ব্যাটসম্যান কেন খেলতে পারেন না আজাজ তাদের কি দোষ।
উইকেট কি কঠিন নাকি বোলার উজ্জ্বল?”
Lax_being soul❤ বিসিসিআই,র টুইট নিয়ে রিটুইটে,
“হাহাহাহা……

মিঃ প্রেসিডেন্ট, বিক্রম কি ছুটি করো ইয়ে কুছ নেহি শিখা রাহা হ্যায়, ওয়াল হি কাফি হ্যায়।”
The Sarcastic Indian🇮🇳 রিটুইট বোর্ডের টুইট নিয়ে,” আঘ দিয়া বিসি 😐।”

]]>
দেশে সারের কোনও সমস্যাই নেই, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য https://ekolkata24.com/uncategorized/there-is-no-problem-of-fertilizer-in-the-country-said-union-minister-mansukh-mandbay Fri, 03 Dec 2021 11:59:27 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13366 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: ​রবিশস্য বপনের ভরা মরসুম চলছে। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্য থেকে কৃষকরা (farmer) অভিযোগ করেছেন তাঁরা প্রয়োজনীয় সার (Fertilizer) বাজারে পাচ্ছেন না। কৃষকদের এই অভিযোগকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত (Sougata ray) রায় ও মালা রায় শুক্রবার সংসদে কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রীর (Minister of Fertilizer) কাছে জানতে চান, দেশে কি কৃষকদের প্রয়োজনীয় সারের অভাব রয়েছে? কোন কোন রাজ্য থেকে পর্যাপ্ত সার না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে?

কোন ধরনের সার পাওয়া যাচ্ছে না? সারের এই সঙ্কট দূর করতে কেন্দ্র কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে? বিভিন্ন রাজ্যে কোন ধরনের সার এবং কি পরিমাণ পাঠানো হয় সে ব্যাপারে সরকারের কাছে কি কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে? সারের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সরকার কি কোনও উদ্যোগ নিয়েছে?

সৌগত রায়ের এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য বলেন, দেশের বাজারে সারের কোনও সঙ্কট নেই। কয়েকটি রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু জেলায় ডিএপি সারের যোগান কম ছিল। কিন্তু ওই সমস্ত জেলাগুলিতে সময়মতোই ডিএপি পাঠানো হয়েছে। ২০২১-২২ রবিশস্যের মরসুমে ডিএপির কোনও অভাব নেই। রবি মরসুমে গোটা দেশে সারের মোট চাহিদা ৩৪.৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন। কিন্তু সরকারের কাছে ৩৬.৬০ লক্ষ মেট্রিক টন ডিএপি রয়েছে। কাজেই সারের সঙ্কট আছে এটা বলা যায় না।

ফসলের মরসুম শুরুর আগেই যাতে কোথাও কোন সারের সঙ্কট না থাকে সে জন্য কেন্দ্রীয় কৃষি এবং কৃষক উন্নয়ন মন্ত্রক সব রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসে। প্রতিটি রাজ্যের কী পরিমাণ সার প্রয়োজন আছে তা জানার পর সরবরাহের ব্যবস্থা করে কেন্দ্র। যে সমস্ত সারে সরকার ভর্তুকি দিয়ে থাকে সেই সমস্ত সার বিক্রির ওপর সরকার অনলাইন ব্যবস্থায় গোটা দেশে নজরদারি চালায়। বিভিন্ন রাজ্যে সার যাতে সময়মতো পৌঁছে দেওয়া যায় সে জন্য প্রতিনিয়ত উৎপাদক এবং আমদানিকারকদের সঙ্গেও কথা বলে সরকার। সারের বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জানতে প্রতি সপ্তাহে একবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের কৃষি দফতরগুলির সঙ্গে সরকারিভাবে আলোচনা করা হয়। যে সমস্ত সার চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কিছুটা কম হয় সেগুলি বিদেশ থেকে আনা হয়।

শুধু তাই নয়, যাতে সময় মতো সেই সার কৃষকদের কাছে পৌঁছয় তার জন্য অনেক আগেই সরকার আমদানি করে থাকে। মন্ত্রী আরও বলেন, গোটা দেশেই ভর্তুকি মূল্যে সরকার ইউরিয়া বিক্রি করে থাকে। ইউরিয়ার ৪৫ কেজি ব্যাগের দাম ২৪২ টাকা। সারের অভাবের জন্য কৃষকরা যাতে কোনও রকম সমস্যায় না পড়েন সে বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে। তাই চাষ শুরুর আগেই কৃষকরা যাতে তাঁদের প্রয়োজনীয় সার পেয়ে যান তার জন্য সরকার আগাম ব্যবস্থা নিয়ে থাকে

]]>
দেশের উন্নয়নে যেমন কিষানদের চাই, তেমনই চাই আম্বানি-আদানিদের: Mamata Banerjee https://ekolkata24.com/uncategorized/i-want-ambani-adanis-as-much-as-kisan-wants-in-the-development-of-the-country-mamata-banerjee Wed, 01 Dec 2021 15:27:42 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13046 News Desk: দেশের উন্নয়নের জন্য যেমন কিষানদের (Farmer) চাই, তেমনই চাই আম্বানি-আদানিদের (Ambani-Adani) মত শিল্পপতিদের। দেশের উন্নয়ন (Development) ও অগ্রগতির জন্য যেমন হিন্দুদের প্রয়োজন, তেমনই প্রয়োজন মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রীস্টান পারসিক ও জৈনদের। বুধবার মুম্বই সফররত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই মন্তব্য করেন। বিশিষ্ট সমাজকর্মী মেধা পাটকরের এক প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

মেধা এদিন মমতাকে বলেন উদার অর্থনীতি, বেসরকারিকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ গোটা দেশে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে কর্পোরেট পুঁজির অনুপ্রবেশ কৃষকদের চরম সঙ্কটের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

মেধার এই প্রশ্নের উত্তরেই মমতা বলেন, দেশ চালাতে গেলে সকলকেই দরকার আছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য যেমন কৃষকদের প্রয়োজন আছে তেমনই আম্বানি-আদানিদের মত শিল্পপতিদেরও প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন আছে আরও বেশি শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, গরীব ও দুঃস্থ মানুষের খারাপ হয় এমন কোনও কাজ তিনি করেন না এবং করতে দেবেন না। দেশের প্রতিটি প্রান্তিক মানুষের যাতে ভাল হয় সেটা সেটা নিশ্চিত করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।

আগামী দিনে দেশ ও রাজ্যের উন্নয়নে তাঁর পরিকল্পনা কী? এই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, সবার আগে দেশ থেকে বিজেপিকে হঠানো দরকার। বিজেপি ক্ষমতা থেকে সরে গেলে অনেক সমস্যাই মিটে যাবে। আম্বানি-আদানিদের মত শিল্পপতিদের বিষয়ে মমতার বক্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দ কারাট।

বৃন্দা বলেন, মমতার রাজনীতি দ্বিচারিতায় ভরা। উনি সবসময় মুখোশ নিয়ে রাজনীতি করেন। মাঝে মধ্যে সেটা খসে গিয়ে মমতার আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ে। মমতা আম্বানি- আদানিদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন কীভাবে! ওঁর দলের সিন্দুকের চাবি কাঠি তো ওই সমস্ত শিল্পপতিদের হাতে।

]]>
Number of women: দেশের ইতিহাসে এই প্রথম পুরুষের তুলনায় বাড়ল নারীর সংখ্যা https://ekolkata24.com/uncategorized/this-is-the-first-time-in-the-history-of-the-country-that-the-number-of-women-has-increased-as-compared-to-men Thu, 25 Nov 2021 18:07:20 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12411 Number of women has increased
নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দেশের জনসংখ্যার ইতিহাসে তৈরি হল এক নতুন মাইলফলক। দেশের জনসংখ্যার ইতিহাসে এই প্রথম পুরুষের (Male) তুলনায় মহিলার (Female) সংখ্যা বেশি হল। একই সঙ্গে কমল জনসংখ্যা (Population)। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের (National family health survey) সমীক্ষা রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে ভারতে প্রতি ১০০০ পুরুষে নারীর সংখ্যা ১০২০জন। যা কিছুদিন আগে পর্যন্তও ছিল ৯৯১।

কেন্দ্রীয় নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ড. বিনোদ কুমার পাল ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ এই খবর জানিয়েছেন। এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। কারণ এতদিন দেশে ছেলের তুলনায় মেয়ের সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম। এই প্রথম হিসাবটা পুরোপুরি উল্টে গেল। দেশের ২২ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপর এই সমীক্ষা চালিয়ে ছিল ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে। এটা ছিল তাদের পঞ্চম দফার সমীক্ষা।

দিল্লি, চণ্ডীগড়, ছত্রিশগড়, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, অরুণাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মোট ৭০০টি জেলায় ছয় লাখেরও বেশি পরিবারের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। কয়েক লক্ষ কর্মী এই কাজ করেছেন।

প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, জাতীয় স্তরে মহিলাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার সংখ্যাও আগের তুলনায় কিছুটা হলেও কমেছে। ২০২০ সালে দেশের প্রতি মহিলার সন্তান সংখ্যা ছিল ২.২। চলতি বছরে যেটা কমে হয়েছে ২.০। চণ্ডীগড়ে এই হার আরও কম ১.৪। তবে উত্তরপ্রদেশে এই হার জাতীয় স্তরের তুলনায় সামান্য হলেও বেশি। উত্তরপ্রদেশে প্রতি মহিলার সন্তান সংখ্যা ২.৪। সমীক্ষা বলছে, গ্রামীণ এলাকার তুলনায় শহরে মহিলাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার হার অনেকটাই কম। ওই সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের জনসংখ্যা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি নয় বরং কিছুটা কমেছে।

সমীক্ষা রিপোর্ট আরও বলছে, সারাদেশে হাসপাতালে শিশু জন্মের হার আগের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে ৮৯ শতাংশ হয়েছে। তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির মত রাজ্যে ১০০ শতাংশ শিশু হাসপাতালেই প্রসব হয়েছে। সেই সঙ্গে অন্য সাতটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে হাসপাতালে শিশু জন্মের হার ৯০ শতাংশেরও বেশি।

]]>
Ban Cryptocurrency: দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত https://ekolkata24.com/uncategorized/decision-to-ban-cryptocurrency-to-save-the-countrys-economy Wed, 24 Nov 2021 10:54:52 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12227 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দেশে জনপ্রিয়তা বাড়লেও ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (central goverment)। সরকারের আশঙ্কা, এই ডিজিটাল মুদ্রা ঠিকমতো ব্যবহার করা না হলে একদিকে যেমন দেশের অর্থনীতিতে (economy) বিপর্যয় নেমে আসতে পারে, তেমনই এই মুদ্রা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

কারণ সন্ত্রাসবাদী (terroist) কার্যকলাপেও এই ডিজিটাল মুদ্রা ব্যাপক ব্যবহার হতে পারে। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ দিক মাথায় রেখে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে (winter season) ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র।

সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে, আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে এবার ২৬টি বিল সংসদে পেশ হতে পারে। যার মধ্যে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল অন্যতম। এছাড়াও অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলির মধ্যে রয়েছে ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অফিশিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল ২০২১’। এই বিল পাসের মাধ্যমে দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা হতে পারে। তবে অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহে না এনে এই বিল পেশ হতে পারে দ্বিতীয় সপ্তাহে।

কেন্দ্রের এই পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার দর মুখ থুবড়ে পড়েছে। একইভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিটকয়েনের বাজার দরও। জানা গিয়েছে কেন্দ্রের এই পরিকল্পনার কথা জানান পর ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার দর ১৫ শতাংশ, বিটকয়েনের ১৭ শতাংশ, ইথেরিয়ামের ১৫ শতাংশ এবং টেথারের দাম ১৮ শতাংশ কমেছে।

যদিও সূত্রের খবর, এখনই ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটছে না কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ছাড় দওওয়া হতে পারে। এজন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে একটি পরিকাঠামো তৈরি করার কথা ভাবছে। তবে দেশের সমস্ত বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতে চলেছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তি ও তার ব্যবহার সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরির জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আরবিআই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত লাভের আশায় যেভাবে ডিজিটাল বিনিয়োগ বাড়ছে তা দেশের অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সম্প্রতি বেশকিছু বেসরকারি সংস্থা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে মোটা টাকা ফেরত পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। এই বিজ্ঞাপন প্রচারিত হতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কা, এ ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে দেশের যুব সম্প্রদায়কে বিপথে চালিত করা হতে পারে।

]]>
ইংরেজি ভাষা শেখা নিয়ে কী বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি https://ekolkata24.com/uncategorized/what-did-the-chief-justice-of-the-country-say-about-learning-english Sat, 13 Nov 2021 15:27:12 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11204 News Desk: শনিবার দিল্লির দূষণ নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে (supreme court)। এদিন শুনানি চলাকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি (chief justice) এনভি রামান্না (nv ramanna) এবং সলিসিটর (solicitor general) জেনারেল তুষার মেহতার মধ্যে হালকা মেজাজে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়।

সে সময়ে ইংরেজি (english) ভাষা শেখা নিয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। বর্তমান প্রধান বিচারপতি রামান্না অন্ধপ্রদেশের (andhrapradesh) বাসিন্দা। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। স্কুলের প্রথম পাঠ। সুপ্রিম কোর্টে অর্থাৎ পেশার তাগিদে রামান্নাকে সবসময় ইংরেজিতে কথা বলতে হয়। অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলতেই তিনি অভ্যস্ত।

কিন্তু দেশের প্রধান বিচারপতির ইংরেজির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অষ্টম শ্রেণীতে ওঠার পর। অর্থাৎ সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত তিনি ইংরেজি অক্ষর টুকুও চিনতেন না। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শিখেছেন সম্পূর্ণ তেলুগু (telegu) মাধ্যমে।

রামান্নার বক্তব্য শেষ হতে পাল্টা বক্তব্য রাখেন সলিসিটর জেনারেল। মেহতাও প্রায় একই কথা বলেন। সলিসিটর জেনারেল বলেন, সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত তিনি কখনও ইংরেজি পড়েননি। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা পুরোটাই করেছিলেন গুজরাতি (gujrati) ভাষায়। অষ্টম শ্রেণীতে ওঠার পরই তিনি প্রথম ইংরেজি চর্চা শুরু করেন।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, তিনি আদৌ সুবক্তা নন। কারণ তিনি ভাল করে ইংরেজি বলতে পারেন না। এটা তাঁর একটা খারাপ দিক। যদিও রামান্নার ইংরেজি ভাষণ যথেষ্টই সাবলীল এবং আকর্ষণীয়। প্রধান বিচারপতি এবং দেশের সলিসিটর জেনারেল দুজনেই জানিয়েছেন, তাঁরা আইন নিয়ে পড়াশোনাটা অবশ্য সম্পূর্ণ ইংরেজীতেই করেছেন।

রামান্নার বক্তব্য শেষ হতেই হেসে ওঠেন সলিসিটর জেনারেল। তিনি বলেন, এতদিন আমি জানতাম না যে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে লেখাপড়া শেখার ব্যাপারে আমার এত মিল আছে। দিল্লি দূষণ নিয়ে অত্যন্ত গুরুগম্ভীর আলোচনার মাঝে প্রধান বিচারপতি ও সলিসিটর জেনারেলের এই হালকা চালে কথাবার্তা পরিবেশকে কিছুটা হলেও হালকা করে।

]]>
দেশের ৩৩ লক্ষেরও বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে, স্বীকার করল মোদি সরকার https://ekolkata24.com/uncategorized/more-than-3-3-million-children-in-the-country-are-suffering-from-malnutrition-the-modi-government-has-admitted Mon, 08 Nov 2021 07:55:47 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10692 News Desk: কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের ব্যর্থতায় দেশে ৩৩ লক্ষেরও বেশি শিশু অপুষ্টিতে (malnutrition) ভুগছে। এই শিশুদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি গুরুতর অপুষ্টির শিকার। অপুষ্টির শিকার হওয়া শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু রয়েছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। তার পরেই রয়েছে যথাক্রমে বিহার(Bihar) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাত (Gujrat)। কেন্দ্রের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক চাঞ্চল্যকর এই পরিসংখ্যানের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।

দেড় ছরেরও বেশি সময় দেশ তীব্র করোনার আতঙ্কে ভুগছে। করোনা জনিত কারণে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অনেকের রোজকার কমে অর্ধেক হয়েছে। মানুষের আয় কমলেও লাফিয়ে বেড়েছে সংসার প্রতি পালনের খরচ। কারণ প্রতিটি জিনিসের মূল্য আকাশছোঁয়া। এই পরিস্থিতির জন্যই দেশে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে। তথ্য জানার অধিকার আইনে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ ( women and child development ministry) মন্ত্রকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল।

ওই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রক জানিয়েছে দেশের ৩৪ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলে ৩৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৬২টি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। এই শিশুদের মধ্যে ১৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯০২টি শিশু গুরুতর অপুষ্টির শিকার। অন্যদিকে ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪২০ টি শিশু মাঝরি মানের অপুষ্টিতে ভুগছে। করোনাজনিত এই সঙ্কটকালে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি আরও বাড়তে পারে বলেই কেন্দ্রের আশঙ্কা।

দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিসংখ্যান যথেষ্টই উদ্বেগজনক। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের তুলনায় চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত গুরুতর অপুষ্টির শিকার হওয়া শিশুদের সংখ্যা প্রায় ৯১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০-র নভেম্বর পর্যন্ত দেশে গুরুতর অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০৬ জন। কিন্তু চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই সেটা ১৭ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

‘চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ইউ’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সিইও পূজা মারওয়াহা (Puja Marwaha) বলেছেন, করোনাজনিত মহামারী আর্থ-সামাজিক দিক থেকে প্রবল আঘাত হেনেছে। যে কারণে পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে। গত দেড় বছরে দেশে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। গত এক দশকে আমরা যতটা উন্নতি করতে পেরেছিলাম দেড় বছরে তার চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় মিড ডে মিলও পাচ্ছে না দরিদ্র শিশুরা। মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু শিশুর আরও কষ্টে পড়েছে। অশোক জৈন (Ashok Jain) নামে দিল্লির এক চিকিৎসক বলেন, অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও কমবে। ফলে এই সমস্ত শিশুদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা আরও বাড়বে। কারণ অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে যাবে।

উল্লেখ্য, গত মাসেই বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারত অনেকটাই পিছনের দিকে চলে গিয়েছে। এমনকী, ভারতের চেয়ে নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তানও অনেক উপরের দিকে ঠাঁই পেয়েছে। সে সময় অবশ্য কেন্দ্র ওই তালিকা তৈরির পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের ওই তালিকাক্রম যে ভুল নয়, কেন্দ্রের কথায় সেটাই প্রমাণ হল। কারণ এবার কেন্দ্রীয় সরকারের এক মন্ত্রকই জানাল, দেশে অপুষ্টিজনিত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে।

]]>
By Election: পশ্চিমবঙ্গ ও হিমাচলে হোয়াইট ওয়াশ বিজেপি https://ekolkata24.com/uncategorized/bjp-has-had-very-bad-results-across-the-country-in-the-by-elections Tue, 02 Nov 2021 14:29:24 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10068 News Desk, New Delhi: আগামী বছরের শুরুতেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ওই নির্বাচনে কী ফলাফল হতে পারে তার একটি ইঙ্গিত মিলল মঙ্গলবার একাধিক রাজ্যের বেশ কয়েকটি আসনের উপনির্বাচনী ফলাফলে। ৩০ অক্টোবর ১৩ টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে উপনির্বাচন হয়েছিল।

সব মিলিয়ে ২৯ টি বিধানসভা ও তিনটি লোকসভা আসনে এই ভোট হয়েছিল। একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপনির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, বিরোধীরা কার্যত বিজেপিকে উড়িয়ে দিয়েছে। প্রত্যাশামতোই পশ্চিমবঙ্গের চার বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে বিজেপিকে উড়িয়ে দিয়েছে এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে যে চারটি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে তার মধ্যে খড়দহ, দিনহাটা এবং গোসাবা কেন্দ্রে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

একমাত্র শান্তিপুরে কোনওরকমে নিজের জামানত রক্ষা করতে পেরেছেন বিজেপি প্রার্থী। একই অবস্থা হয়েছে বিজেপি শাসিত হিমাচলপ্রদেশেও। এই রাজ্যে একটি লোকসভা আসন এবং তিনটি বিধানসভা আসনে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলির একমাত্র লোকসভা আসনে বিজেপি তার এক সময়ের শরিক দল শিবসেনার কাছে খুইয়ে বসেছে। এই প্রথম শিবসেনা মহারাষ্ট্রের বাইরে কোন লোকসভা আসনে জয় পেল।

রাজস্থানেও বিজেপির চরম কোণঠাসা। এই রাজ্যের বল্লভনগর বিধানসভা আসন কংগ্রেস ধরে রেখেছে। পাশাপাশি বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে ধারিওয়াড় কেন্দ্রটি। এই দুই আসনে বিজেপি শুধু হারেনি, একেবারে চতুর্থ স্থানে গিয়ে পৌঁছেছে। রাজস্থানের পার্শ্ববর্তী হরিয়ানায় এলেনাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রেও বিজেপি প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। এই আসনে আইএনএলডি প্রার্থী অভয় চৌতালা বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছেন। কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌতালার ছেলে অভয়। মহারাষ্ট্রেও ডেলগুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পরাজয়ের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছেন।

কর্নাটকে হাঙ্গল বিধানসভা আসনটি বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। তবে এই রাজ্যে কংগ্রেসের হাত থেকে সিন্দোগি আসনটি ছিনিয়ে নিতে পেরেছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে খাণ্ডোয়া লোকসভা কেন্দ্রটি কোন রকমে নিজেদের দখলে রেখেছে বিজেপি। পাশাপাশি এই রাজ্যে তিন বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি কংগ্রেসের কাছে একটি খুইয়েছে। অন্ধপ্রদেশের একটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করে জয়ী হয়েছে শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী ।

অন্যদিকে মিজোরাম, মেঘালয়ের মতো উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোই ক্ষমতা ধরে রেখেছে। এই রাজ্যগুলিতেও বিজেপি দাগ পারেনি। এরই মধ্যে বিহারে দু’টি আসন নিজেদের দখলে রাখতে সমর্থ হয়েছে জেডিইউ। বিজেপির পক্ষে একমাত্র মুখ রক্ষা হয়েছে অসমে।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই উপনির্বাচনী ফলাফল বিজেপির জন্য এক অশনী সঙ্কেত। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা যে প্রবল দম্ভে ভুগছেন। উপনির্বাচনে মানুষ তাঁদের মুখের মত জবাব দিয়েছে। সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলতে মোদি সরকার প্রতিদিনই বাড়িয়ে চলেছে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম। সরষের তেল, চিনি থেকে শুরু করে চাল, ডাল, আটা সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া। এসবেরই প্রতিফলন ঘটেছে উপনির্বাচনের ফলাফলে। এরপরেও বিজেপি যদি নিজেদের না শোধরায় তবে আগামী দিনে তাদের পরিণাম আরও খারাপ হবে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে গেরুয়া দলকে ক্ষমতায় থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে জনতা জনার্দন।

]]>
দেশের শতাধিক বস্তির ছেলেমেয়েদের পড়ার দায়িত্ব নিয়ে নজির স্মাইল ফর অল সোসাইটির https://ekolkata24.com/uncategorized/smile-for-all-society-took-the-responsibility-of-educating-the-boys-and-girls-of-more-than-a-hundred-slums-of-the-country Sat, 30 Oct 2021 14:20:14 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9745 News Desk, New Delhi: রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা ভূনেশ শর্মা। পেশায় ব্যবসায়ী। ২০১৫ সালের ঘটনা। বাড়ি থেকে নিজের গাড়িতে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি। আচমকা সিগনালে গাড়ি দাঁড়াতেই গাড়ির দরজায় হাত পাতে তিনটি বাচ্চা। ভূনেশ গাড়ির কাচ নামালে তাঁকে অবাক করে দিয়ে ওই তিনটি বাচ্চা কিছু কাগজ ও পেন্সিল কিনে দেওয়ার দাবি জানায়। বাচ্চাগুলির কথায় অবাক হয়েছিলেন ভূনেশ। সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি সাইড করে তিনি ওই তিনটি বাচ্চাকে খাতা, পেন, পেন্সিল কিনে দিয়েছিলেন।

এখানেই শেষ নয়, এরপর ভূনেশ ওই তিনটি বাচ্চার বাড়ির খোঁজ-খবর নেন। জানতে পারেন তাদের করুণ আর্থিক অবস্থার কথা। এরপর ভূনেশ ওই তিনটি বাচ্চাকে বিনামূল্যে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এমনকী, ঋণ করে ওই তিনটি খুদেকে তিনি বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থাও করেন। শুধু তিনটি বাচ্চা নয়, ভূনেশ ঠিক করেন, আরও অনেক দুস্থ বাচ্চাকে তিনি পড়ানোর ব্যবস্থা করবেন। তার জন্য ভূনেশ তৈরি করলেন ‘স্মাইল ফর অল’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

বিগত পাঁচ বছরে এই সংগঠনটি আড়েবহরে অনেক বেড়েছে। বর্তমানে এই সংগঠনটি সারাদেশে কমপক্ষে ১০০ টি বস্তি এলাকায় বেশ কয়েক হাজার বাচ্চার পড়াশোনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষে দেশের কয়েক শো স্বেচ্ছাসেবী বিনামূল্যে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে থাকেন।

এসএফএকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভূনেশ ও তাঁর সহযোগীরা হাতিয়ার করেছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে। সংগঠনের কাজে যাতে অর্থের অভাব না হয় সেজন্যই তারা এই কাজ করেছেন। সেই লক্ষ্যে এসএফএ একটি অ্যাপ চালু করেছে। যে অ্যাপটি নেটফ্লিক্স বা হটস্টারের মতই কাজ করে। যে সমস্ত ব্যক্তি বা সংস্থা দুস্থ অনাথ শিশুদের লেখাপড়ায় সাহায্য করতে চান তাঁরা এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সাবস্ক্রাইব করতে পারেন। আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে তাঁরা বাড়িয়ে দিতে পারেন সহযোগিতার হাত।

যারা সাবস্ক্রাইব করেন তাঁদের প্রত্যেককেই একটি শংসাপত্র দেওয়া হয়। ওই শংসাপত্রে সংস্থার উদ্দেশ্যর কথা বিস্তারিত লেখা থাকে। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয় ওই টাকায় প্রতিটি বাচ্চাকে কী ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, বাচ্চাদের পড়াশোনা কেমন চলছে তার আপডেটও দেওয়া হয়। বর্তমানে এই ওটিটি প্লাটফর্মে এসএফএর সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছশো। ভূনেশ জানিয়েছেন, তাঁরা আশাবাদী আগামী দিনে তাঁদের এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাজের পরিধি আরও বাড়বে। তাঁরা আরও অনেক বেশি দুস্থ বাচ্চার দায়িত্ব নিতে পারবেন। অর্থের অভাবে শিশুদের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করাই তাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য।

]]>
করোনার জেরে দেশে আত্মহত্যা ১০ শতাংশ বেড়েছে: NCRB Report https://ekolkata24.com/uncategorized/corona-related-suicides-have-risen-10-percent-in-the-country-ncrb-report Fri, 29 Oct 2021 10:36:06 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9601 News Desk: করোনার জেরে ২০২০ সালে দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। আত্মঘাতীদের মধ্যে পড়ুয়া এবং ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। করোনা মহামারীজনিত অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে না পারার কারণেই এরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (NCRB) এক পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য মিলেছে।

বৃহস্পতিবার এনসিআরবির এই রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে আত্মহত্যায় মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে। গত বছর সারাদেশে আত্মঘাতী হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫২জন। ১৯৬৭ সালের পর এটাই আত্মহত্যার সর্বোচ্চ সংখ্যা। ২০১৯ সালের তুলনায় আত্মহত্যার সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এনসিআরবির রেকর্ড বলছে, ২০২০ সালে প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে ১১.৩ জন আত্মঘাতী হয়েছেন। বিগত ১০ বছরের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ।

প্রশ্ন হল, কেন আত্মহত্যার সংখ্যা এতটা বাড়ল।
এনসিআরবির রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মূলত ক্ষুদ্র উদ্যোগপতি, পড়ুয়া এবং পেশাদার ব্যক্তিরাই আত্মঘাতী হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনাজনিত কারণে স্কুল-কলেজ গত দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে যারা উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা অনেকেই হতাশায় ভুগছেন। সেই হতাশা থেকেই তাঁরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।

পাশাপাশি লকডাউনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় চলছে অনলাইন ক্লাস। কিন্তু ভারতের প্রায় তিন কোটি পড়ুয়ার অনলাইন ক্লাস করার মত তেমন কোনও মোবাইল বা অন্যান্য পরিকাঠামো নেই। তাই পড়াশোনা করতে না পেরে তারা হতাশ হয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে প্রতিবছর ৭ থেকে ৮ শতাংশ পড়ুয়া আত্মহননের পথে হাঁটে। ২০২০ সালে সেটাই ২১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাশাপাশি ২০২০ সালে বেতনভোগী ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬.৫ শতাংশ মানুষ আত্মঘাতী হয়েছেন। দৈনিক মজুরদের মধ্যে ১৫.৭ শতাংশ মানুষ আত্মহত্যা করেছেন। ওই রিপোর্টে থেকে আরও জানা গিয়েছে, করোনার জেরে বেতনভোগীদের থেকেও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। ফলে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদকদের ২৬.১ শতাংশ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ আত্মহত্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার জেরে দীর্ঘদিনের লকডাউনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বহু ক্ষুদ্র উদ্যোগপতির। ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছিলেন তাঁরা। ঋণ মেটাতে না পেরেই তাঁরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। একই কথা প্রযোজ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেও।

]]>
দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, সবচেয়ে অপছন্দের চন্দ্রশেখর রাও https://ekolkata24.com/uncategorized/the-best-chief-minister-of-the-country-is-bhupesh-baghel-the-most-disliked-is-chandrasekhar-rao Tue, 19 Oct 2021 16:47:42 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8361 নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তে দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী ছত্রিশগড়ের ভূপেশ বাঘেল। অন্যদিকে জনপ্রিয়তার নিরিখে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। সি-ভোটার ও আইএএনএসের করা এক সমীক্ষায় এই ছবি উঠে এসেছে।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দের কার্যপদ্ধতি এবং বিভিন্ন সমাজসেবামূলক প্রকল্পের বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীকে বেছে নেওয়া হয়। এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে পিছনে ফেলে প্রথম স্থানটি দখল করে নিয়েছেন ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। আইএএনএস এবং সি- ভোটারের এই যৌথ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ছত্রিশগড়ের মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ মুখ্যমন্ত্রী পদে বদল চেয়েছেন।

বাকিরা সকলেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বাঘেলকেই দেখতে চান। তবে রাজ্যের ৩৬.৬ শতাংশ মানুষ কংগ্রেস সরকারের কাজে সন্তুষ্ট নন। যদিও তাঁরা সরকারের বদল চান না। ছত্রিশগড়ের ৪৪.৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাজে যথেষ্ট সন্তুষ্ট নন। সি-ভোটার আইএএনএসের এই সমীক্ষা নিশ্চিতভাবেই ভূপেশ বাঘেলকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে। কারণ সম্প্রতি ভূপেশ বাঘেলকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর দাবিতে এক ডজনেরও বেশি কংগ্রেস বিধায়ক দিল্লি গিয়ে রাহুলের দরজায় হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন।

অন্যদিকে মাত্র তিন মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী হয়েও সকলকে চমকে দিয়ে তালিকায় দুই নম্বরে স্থানটি দখল করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। উত্তরাখণ্ডের মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ সরকারের বদল চাইছেন। আগামী বছরের গোড়াতেই রয়েছে উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। কাজেই এই সমীক্ষা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি দেবে।

এই সমীক্ষায় যখন উত্তরাখণ্ডে বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হয়েছে, তখন উত্তরপ্রদেশের কিন্তু এই সমীক্ষার ফলাফল বিজেপির উদ্বেগ বাড়ছে। সমীক্ষা বলছে, উত্তরপ্রদেশের ২৮.১ শতাংশ মানুষ যোগী সরকারের কাজে অখুশি। এঁরা সকলেই যোগী সরকারের অবসান চাইছেন। তবে বিজেপির পক্ষে স্বস্তির খবর এই যে, রাজ্যের ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষ এখনও উত্তরপ্রদেশের যোগীকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চান। আগামী বছরের শুরুতে এই রাজ্যেও নির্বাচন হওয়ার কথা। কাজেই এই সমীক্ষা গো-বলয়ের বৃহত্তম রাজ্যেও বিজেপিকে কিছুটা স্বস্তি দেবে।

জনপ্রিয়তার নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন উড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। এই রাজ্যের মাত্র ১৪.১ শতাংশ অধিবাসী নবীন পট্টনায়ক সরকারের বদল চান। রাজ্যের ৩৯ শতাংশেরও বেশি মানুষকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে নবীনকেই দেখতে চাইছেন। কাজেই আগামী দিনে নবীন পট্টনায়ক সরকার বদল হতে পারে তেমন কোনও সম্ভাবনাই নেই।

অন্যদিকে জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। রাজ্যের ২৯.২ শতাংশ মানুষ কেসিআর সরকারের উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা অবিলম্বে টিআরএস সরকারের বদল চেয়েছেন।

]]>
তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে একাধিক দেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে মডার্নার টিকা https://ekolkata24.com/uncategorized/moderna-vaccines-are-being-banned-in-more-than-one-country-due-to-severe-side-effects Sat, 09 Oct 2021 18:00:18 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7035 নিউজ ডেস্ক: মার্কিন সংস্থা মডার্নার (Moderna vaccines) টিকা নেওয়ার পর বহু মানুষই অভিযোগ করেছেন, তাঁদের হার্টে তীব্র জ্বালা করছে। সারা শরীর জ্বলে যাচ্ছে। মডার্নার টিকা নেওয়ার পর গ্রাহকরা এ ধরনের অভিযোগ করায় বিশ্বের একাধিক দেশে এই মার্কিন সংস্থার টিকা প্রদান বন্ধ করা হচ্ছে।

আমেরিকা তো বটেই, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর এসেছে। আইসল্যান্ডের বেশ কয়েকজন মানুষ মডার্নার টিকা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরই আইসল্যান্ড-সহ ইউরোপের একাধিক দেশ মডার্নার টিকা প্রদান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বেশ কিছু দেশ মডার্নার টিকা যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করার কথা জানিয়েছে। আইসল্যান্ড ছাড়া সুইডেন ও ফিনল্যান্ডেও ৩০ বছরের কম বয়সিদের উপর মডার্নার টিকা প্রয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডেনমার্ক ও নরওয়ে।

আইসল্যান্ডের প্রধান মহামারী বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, তাঁরা আপাতত কিছুদিন মডার্নার তৈরি টিকা কাউকেই দেবেন না। কারণ এই টিকা দেওয়ার পর বহু মানুষের সারা শরীরে জ্বালা করছে। হার্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই আইসল্যান্ড সরকার বুস্টার ডোজ হিসেবে মডার্নার টিকা দিচ্ছিল।

তবে আইসল্যান্ড সরকারের দাবি মডার্নার টিকা বাতিল করা হলেও টিকাকরণ কর্মসূচিতে ব্যাহত হবে না। দেশের ৮৮ শতাংশ বাসিন্দাই ইতিমধ্যে করোনার টিকা পেয়েছেন।

]]>
দেশ ছেড়ে ‘পলাতক’ আফগান প্রেসিডেন্ট ঘানির প্রথম লাইভ শো https://ekolkata24.com/uncategorized/afghan-president-ashraf-ghani-speaks-to-the-nation-says-why-he-left-the-country Wed, 18 Aug 2021 19:15:18 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=2594 নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে তালিবান দখলের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বিশ্ববাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন৷ ভারতীয় সময় রাত ১১টা নাগাদ তিনি তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভ শো করেন৷

তাতে বিশ্বকে উদ্দেশ্য করে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি যদি কাবুলে থাকতেন তাহলে সেখানে গণহত্যা হত। নিরাপত্তার কারণে তিনি দেশ থেকে দূরে রয়েছেন। আশরাফ ঘানি দেশ ছাড়ার সময় তাঁর হেলিকপ্টারে নগদ টাকা ভর্তি করার খবরও অস্বীকার করেছেন৷ কিন্তু জায়গার অভাবে রানওয়েতে নোট ভর্তি কিছু ব্যাগ রেখে যেতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি টাকা নিয়ে পালিয়েছি৷ এটি একটি গুজব’।

আশরাফ ঘানি বর্তমানে আবুধাবিতে আছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) তাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার নিশ্চিত করেছে। এমনকি তালিবান কাবুলে পৌঁছার আগেই ঘানি দেশ ত্যাগ করেছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি সংবাদ কমিটি ‘ডব্লিউএএম’ বুধবার এক সংবাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে৷ তবে তারা নির্দিষ্ট করেননি যে, ঘানি দেশের কোথায় ছিলেন। এতে দেশটির বিদেশ মন্ত্রণালয়ের এক লাইনের বিবৃতি উদ্ধৃত করা হয়েছে।

আফগানিস্তান ছাড়ার পর তার প্রথম বক্তব্যে আশরাফ ঘানি রোববার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, তাঁর সামনে দুটি কঠিন পরিস্থিতি ছিল৷ প্রথম, সশস্ত্র তালিবানরা রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করছিল৷ দ্বিতীয়ত, তিনি তাঁর প্রিয় দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন৷ যা তিনি তাঁর জীবনের 20 বছর রক্ষা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেছিলেন, “যদি আবার দেশের অগণিত সংখ্যক নাগরিক শহিদ হন এবং কাবুলে ধ্বংসই একমাত্র ধ্বংস, তাহলে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের শহরের জন্য এর পরিণতি খুবই বিপর্যয়কর হত। তালিবানরা আমাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তারা এখানে এসেছে কাবুল এবং কাবুলের জনগণের উপর হামলা করতে। তাই রক্তপাত এড়াতে, আমি দেশ ছেড়ে দেওয়া উপযুক্ত বলে মনে করেছি। “

]]>
তালিবানের কাবুল দখলের আগেই দেশ ছেড়েছি: ফেসবুকে আশরাফ গনি https://ekolkata24.com/uncategorized/i-left-the-country-before-the-taliban-took-over-kabul-ashraf-ghani-on-facebook Mon, 16 Aug 2021 05:26:56 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=2480 নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দেশ ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি৷ তালিবানরা কাবুল দখলের বেশ কয়েক ঘণ্টা বাদে রীতিমতো ফেসবুকে পোস্ট করে বিশ্ববাসীকে জানালেন গনি৷ তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তালিবান কাবুল নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগেই রবিবার আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি৷

রবিবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, তিনি একটি কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন৷ তিনি কি সশস্ত্র তালিবানের মুখোমুখি হবেন? নাকি যে দেশের জন্য ২০টি বছর দিয়েছেন, সেই দেশ ছেড়ে যাবেন। তিনি লিখেছেন, ‘’আমাকে সরিয়ে দিতে তালিবানরা পুরো কাবুল ও বাসিন্দাদের ওপর হামলা করতে এসেছে। রক্তপাত এড়াতে দেশ ছেড়ে যাওয়া ভালো হবে বলে আমি মনে করেছি,’’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘’তরবারি আর বন্দুকের ওপর নির্ভর করে তারা বিজয়ী হয়েছে। এখন আমাদের দেশবাসীর সম্মান, সম্পদ আর আত্মমর্যাদা রক্ষার দায়িত্বও তাদের,’’ তবে আশরাফ গনি তাজিকিস্তান নাকি উজবেকিস্তান গিয়েছেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করা ৭২ বছর বয়সী আশরাফ গনি দীর্ঘদিন বিদেশে কাটিয়েছেন। ২০০১ সালে তালিবানের পতনের পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। ২০১৪ সালে তিনি প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুনঃনির্বাচিত হন।

এদিকে সোমবার তালিবান নেতারা আফগান বাসিন্দাদের ক্ষতি না করতে মুজাহিদিনদের নির্দেশন দিয়েছে৷ কাবুলের এক বাসিন্দাআয়শা খুররম একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, আজ সকালে তিনি ঘুম থেকে উঠেছেন তাদের বাসার দরজার বাইরে চিৎকার আর গুলির শব্দ শুনে।

তিনি বলছেন, মানুষজন বলাবলি করছিল যে, মুজাহিদিনরা ঘরে ঘরে গিয়ে গাড়ি এবং ধনসম্পদ লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু যখনি তারা শুনতে পেয়েছে যে, তালিবান কর্মকর্তারা আসছে, তারা দৌড়ে পালিয়েছে।

এর মাত্র এক ঘণ্টা আগেই তালিবান পুনরায় নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছে যে, তারা আফগান বেসামরিক নাগরিকদের কোনরকম ক্ষতি না করার জন্য যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, কাবুলে প্রবেশের সময় তুলনামূলক উদার মনোভাব প্রদর্শন করেছে তালিবান।

]]>