সোমবার কোচবিহার ট্রফির নকআউট ম্যাচ স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রেস বিবৃতি আকারে প্রকাশ করেছে। বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (BCCI) সোমবার টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে কিছু কোভিড ১৯ পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরে পরে কোচবিহার ট্রফির নকআউট পর্বের ম্যাচগুলি স্থগিত করার ঘোষণা করেছে।
ক্রিকেটার, কোচ, সার্পোট স্টাফ সকলের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, পুনেতে অনুষ্ঠিত নকআউট ম্যাচগুলি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে, তা ওই প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে। বিসিসিআই লিগ পর্বে ২০টি ভেন্যুতে ৯৩টি ম্যাচ পরিচালনা করেছিল। ওই প্রেস বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকবে এবং পরিস্থিতির উন্নতি হলে একটি নতুন উইন্ডো (ক্রীড়াসূচি) নির্ধারণ করবে।
]]>গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮,২১৩ জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা একদিনে হয়েছে ১৬,০৫৬। দৈনিক পজিটিভিটি রেট একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩.৮৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: Gangasagar: করোনা আক্রান্ত পূণ্যার্থীরা, সংক্রান্তির আগেই মেলা বন্ধের দাবি
রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭,৫৫,০৪৬। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৯,৯০১। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬,৫৭,০৩৪। বাংলায় মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮,১১১। সুস্থতার হার ৯৪.৪২ শতাংশ।
রাজ্যের মোট সংক্রমণের প্রায় এক তৃতীয়াংশ কলকাতায়। এই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৭১২ জন। এরপরই রয়েছে একদিনে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,০৫৩। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় পশ্চিম বর্ধমানে ১,০০৭ জন হাওড়ায় ১,৭৪২ জন, হুগলীতে ১,২৭৬ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১,০৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
]]>প্রশ্ন উঠছে, সংক্রমণ বাড়লেও রাজ্য কেন মেলা বন্ধ করতে চাইছেনা? মেলায় সংক্রমণ বাড়লে ফল ভুগতে হবে গোটা রাজ্যকেই। কেন সকলের জীবনকে বিপদের মুখে ফেলা হবে?
কলকাতা হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলা করার অনুমতি দিয়েছে। তবুও সংক্রমণে রাশ টানা যাচ্ছেনা। চিকিৎসক মহলের মতে, করোনা বিধি মেনে মেলা করলেও সংক্রমণ আটকানো সম্ভব নয়। গঙ্গাসাগর মেলা ‘সুপার স্প্রেডার’ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Covid 19: জগন্নাথ মন্দির বন্ধ কিন্তু গঙ্গাসাগর খোলা, মমতার লক্ষ্য হিন্দিভাষী ‘সহানুভূতি’ ভোট?
গত শুক্রবার হাইকোর্টের অনুমতি মেলে। ওইদিনই বাবুঘাট ট্রানজিট ক্যাম্পের ২ জন করোনা আক্রান্ত হন। গঙ্গাসাগর মেলার পরিস্থিতিতে নজর রাখার জন্য তিন কমিটির সদস্য তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মেলায় সংক্রমণ বাড়লে কমিটিকেই তীব্র প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।’
স্বাস্থ্য দফতরের শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৮,৮০২। পজিটিভিটি রেট ২৯.৬০ শতাংশ। দৈনিক মৃতের সংখ্যা ১৯ এবং মৃত্যুহার ১.১৯ শতাংশ।
]]>তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করছে তাদের পোশাকি নামে ‘সর্বভারতীয়’ তকমা দেশজুড়েই ছড়াবে। অন্তত তিনবার পরপর পশ্চিমবঙ্গে সরকার গড়ে আঞ্চলিক দল খোলস থেকে বের হতে মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছেন দলটির নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে টিএমসির উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দলটির নেত্রীর লক্ষ্য কতটা সম্ভব তা নির্বাচনী ফলাফলেই আসবে। তবে রাজনৈতিক মহলে এমনও আলোচনা, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী চান তাঁর সর্বভারতীয় ইমেজ তৈরি করতে। এক্ষেত্রে তাঁর নজর বিরাট হিন্দি বলয়। এই বলয়ের প্রধান পা়ঁচ রাজ্য রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ড তাৎপর্যপূর্ণ, এই বলয় থেকেই প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলায় মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপে।
উৎসস্থল উত্তরাখণ্ডের গোমুখ হিমবাহ থেকে যাত্রা শুরু করে পাঁচটি রাজ্য পেরিয়ে গঙ্গা বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়েছে। গতি পথের ষষ্ঠ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সাগর মোহনা অর্থাত সাগরদ্বীপ গঙ্গার সর্বশেষ ঠিকানা। পুরো গতিপথ জুড়ে গঙ্গা অববাহিকার বিরাট অঞ্চল হিন্দি ভাষী এলাকা। এই হিন্দি বলয় এলাকার রাজনীতিতে যারা শক্তিশালী তারাই দেশজুড়ে প্রভাব ফেলতে পারে।
রাজনৈতিক মহলের চর্চা, হিন্দি বলয়ের জনমানসে নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝুঁকি নিয়েছেন। তিনি বিলক্ষণ জানেন দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি কীরকম। চিকিৎসকদের অনুরোধ যুক্তিতে সরাসরি সাগর মেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। অভিযোগ, কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আদালতের নির্দেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন তিনি। এর আগেও করোনার কারণে বন্ধ হয় সাগর মেলা। এবার কেন হচ্ছে?
পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো চিন্তার। গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় আদালতের নির্দেশে বিপুল চেহারার গঙ্গাসাগর মেলার জনসমাগমে কী করে কোভিড বিধি মানা সম্ভব ? উঠছে এই প্রশ্ন।
যুক্তি হিসেবে উঠে এসেছে, পড়শি রাজ্য ওডিশার জগত বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দির বন্ধ করার প্রসঙ্গ। কোভিড সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্য মু়খ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের কঠিন অবস্থান। পুরী জেলা প্রশাসন বন্ধ করেছে মন্দিরের দরজা।
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন নবীন পারেন পুরীর মন্দিরকে ভক্তশূন্য করতে, মমতা কেন করেন না গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করতে।
]]>ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে এবার গঙ্গাসাগর মেলায় আয়োজনের ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে চলেছে মামলা। আদালতে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর যুক্তি- নোনা জলে করোনা ছড়ায় না। নোনা জলে করোনা প্রসঙ্গে বিজ্ঞানের কী যুক্তি? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’- জানিয়েছে, জলের করোনা ছড়ায় এমন প্রমাণ আপাতত মেলেনি। সাঁতার কাটার মতো কাজও নিরাপদে চলতে পারে।
তবে বিপত্তি হতে পারে অল্প জায়গায় একাধিক ব্যক্তি উপস্থিতি। জলে থাকলেও শারীরিক দুরত্ব মেনে চলার ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলেছে হু। এমনকি কাশি, হাঁচি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কনুই দিয়ে মুখ ঢাকা দেওয়ার উপদেশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পক্ষ থেকে মিষ্টি জল কিংবা নোনা জলের কথা আলাদাভাবে বলা হয়নি৷ বলা হয়েছে জলে করোনা ছড়ায় এমন প্রমাণ মেলেনি। অর্থাৎ আইনজীবীর ‘নোনা জল’ যুক্তি ফেলে দেওয়ার মতো নয়। সমস্যাটা জমায়েত নিয়ে।
গত বছরের কুম্ভেমেলার স্মৃতি এখনও টাটকা। করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই মেলা সুপারস্প্রেডারের কাজ করেছিল বলে মনে করছেন অনেকে। এ রাজ্যেও কি হতে চলেছে তেমন কিছু? জমায়েত বা ভিড় এড়ানোর জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু অগুনতি পূণ্যার্থীদের প্রশাসন কীভাবে সামলাবে, তা ভেবেই ঘুম উড়েছে অনেকের।
ওমিক্রম নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক একাংশ৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সজাগ হোন, সাবধানে থাকুন। করোনা হামলায় সোমবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পুরীর মন্দির৷ রাজ্যেও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান। অনেক প্রশ্ন, আশঙ্কা নিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের গঙ্গাসাগর মেলা।
]]>রাজ্য সরকারের বক্তব্য, নোনা জলে করোনার চলাচল অচল। তাই হোক মেলা। কলকাতা হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে মেলা হওয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছে৷ জমিয়ে ঠান্ডা পড়েছে, ধর্মের ব্যাপার, সামনে গঙ্গার পার। বসবে মেলা। দারুণ আমেজ! ‘বিশ্বাসে মিলায়ে বস্তু, তর্কে বহুদূর’। শহুরে ব্যস্ততা, কোলাহল, কংক্রিটের জঙ্গল, করোনার পরিসংখ্যান পিছনে ফেলে চলুন যাই গঙ্গাসাগর!
সাগরে যেমন উৎসবের আমেজ, দীঘায় তেমনই লকডাউনের আমেজ। ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের। খালি করে দেওয়া হয়েছে হোটল। কারণ সেই করোনা। যে করোনা ভয় পায় নোনা জলকে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন জাগে, দীঘার সমুদ্রের কি নোনা নয়, স্বাদু জল? কারণ গঙ্গাসাগর মেলা করার জন্য রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, নোনা জলে করোনা ছড়ায় না। সরকার যখন বলেছে, তখন সেটাই নিশ্চয় ঠিক?
নোনা জলে করোনা যদি না থাকে তাহলে দীঘা কেন শুনশান? এ প্রশ্নের উত্তর কী কী হতে পারে। ধ্রুবকের মতো এটা ধরে রাখতে হবে রাজ্য সরকারের যুক্তিটাই শিরোধার্য। তাহলে দীঘা খালি করার পিছনে সম্ভাব্য যুক্তি- দীঘার সমুদ্রের জলের চরিত্র কি বদলাতে শুরু করেছে? এখন কি আর সেই জল নোনা নয়? অপর যুক্তি হতে পারে, সাগর এবং দীঘায় আলাদা আলাদা প্রজাতির করোনা রয়েছে। তেমনটা হলে তো এক বিস্ময়কর ব্যাপার! সম্ভবত বিজ্ঞানীরদের হাতেও এই তথ্য এসে পৌঁছয়নি। আবিষ্কর্তা আমাদের রাজ্য সরকার? আপনাদের কি মনে হয়? করোনা আবহে রাজ্য জুড়ে চলছে চরম বিতর্ক।
]]>রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছিল কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রেও সেই বিজ্ঞপ্তি প্রযোজ্য হবে। মেলায় একত্রে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। এই সম্পূর্ণ বিষয়টি দেখার জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
পড়ুন: High Court: মিলল অনুমতি, হবে গঙ্গাসাগর মেলা
প্রশ্ন উঠছে, বিপুল ভিড়ের সামাল দিতে যেখানে প্রশাসন হিমশিম খায়। সেখানে কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য গঙ্গাসাগর কতটা উপযুক্ত ?
মেলা থেকে বিপজ্জনক হারে সংক্রমণের তীব্র আশঙ্কা থাকছেই। গত কয়েকদিন ধরেই চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞদের বারবার আবেদন ছিল এবারও এই মেলা বন্ধ করা হোক। কারণ, সংক্রমণ গতি অতি তীব্র।
বিশেষজ্ঞরা তুলনা করে দেখিয়েছেন, কলকাতার বড়দিন উৎসবে পার্ক স্ট্রিটের ভিড় অথবা অফিস টাইম শিয়ালদহ, হাওড়া, বনগাঁ, কৃষ্ণনগর সিটি, বারাসত, দমদম যে কোনও স্টেশনের ভিড়কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে বিশাল চেহারা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপের গঙ্গাসাগর মেলা।
দেশজোড়া করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ চলছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী শহর কলকাতায় যেন করোনা বোমার বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘরে ঘরে করোনা আপাত দৃষ্টিতে এইটুকু তথ্য আতঙ্কের কারণ। এই অবস্থায় যেমন পার্ক স্ট্রিটে বড়দিনের মেলায় উদ্বেগজনক ভিড় ছিল তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি জনতার ঢেউ আসতে চলেছে সাগরদ্বীপে।
আরও পড়ুন: Covid19: শেষ সাত দিনে ৭১ শতাংশ সংক্রমণ, করোনা যেন মরণহীন রক্তবীজ
চিকিৎসকদের বেশিরভাগ মনে করছেন নির্বোধের মতো সিদ্ধান্ত। আরও ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা জন্ম নিল।
<
p style=”text-align: justify;”>মেলায় আসা নিরানব্বই শতাংশ পূণ্যার্থীরা কোভিড বিধি মানতে পারবেন না। কারণ বিপুল ভিড়। গঙ্গাসাগরের এই ভিড়ে কোনও কোভিড বিধি মানা সম্ভব নয়। ভিড়ের গুঁতোয় নাক থেকে মাস্ক কোনদিকে উড়ে যাবে তাই বোঝা সম্ভব নয়।
]]>বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান শুক্রবার আরো একবার বলেছেন, ওমিক্রন প্রাণঘাতী নয় এটা ঠিক। কিন্তু এই ভাইরাসকে অবহেলা করলে তার জন্য অনেক বড় মাশুল গুনতে হবে। ইতিমধ্যেই তার প্রমাণও সকলেই পেয়েছে। প্রায় গোটা দুনিয়াকে ঘরবন্দি করে ফেলেছে ওমিক্রন।
বিশ্বের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রতিটি প্রান্তে করোনার সংক্রমণ ঝড়ের গতিতে ছড়াচ্ছে। তবে করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রনের সংক্রমণে মৃত্যুহার অনেকটাই কম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনায় নতুন করে মৃত্যুর সংখ্যা আগের তুলনায় ১০ শতাংশ কমেছে। তবে ২৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ছুঁই ছুঁই। মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজারের কোঠায়।
এদিনই জানা গিয়েছে, শেষ ২৪ ঘন্টায় আমেরিকায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭.২৮ লাখ। মৃতের সংখ্যা ১৮৪৩। ব্রাজিল, উরুগুয়ে, বলিভিয়ার মত দেশেও সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।
একই পরিস্থিতি ইউরোপের ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, আয়ারল্যান্ডের মত একাধিক দেশে। সব দেশেই সংক্রমণ রাতারাতি বেড়ে চলেছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় ফ্রান্সে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২.৫৯ লাখ মানুষ। মৃতের সংখ্যা ২০৪। ব্রিটেনে আক্রান্তের সংখ্যা ২.২৯ লাখ। মৃতের সংখ্যা ২০৩। জার্মানিতে ৫৯ হাজার ১১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এদেশের মৃতের সংখ্যা কিছুটা বেশি। জার্মানিতে ২৪ ঘন্টায় ২৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দক্ষিণ গোলার্ধের দেশ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, তাসমানিয়াতেও রীতিমতো করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় ২৪ ঘন্টায় বেশ কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এদেশে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই কম।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েও পূর্ব পশ্চিমের দেশগুলির মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। পশ্চিমের একাধিক দেশ মনে করছে, আগামী দিনে করোনাকে নিয়ে সকলকেই পথ চলতে হবে। তাই এখন থেকেই মানসিকতার বদল প্রয়োজন। দীর্ঘদিন তো আর ঘরবন্দি থাকা যায় না।
অন্যদিকে পূর্বের দেশগুলি বলেছে, যেভাবেই হোক না কেন সবার আগে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনে আরও অনেক কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, চিন, জাপান-সহ একাধিক দেশ কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এই সব দেশে।
]]>কী শর্ত দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে?
রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছিল কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রেও সেই বিজ্ঞপ্তি প্রযোজ্য হবে। বিষয়টি স্বরাষ্ট্র সচিবকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে। গঙ্গাসাগর মেলায় একত্রে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। এই সম্পূর্ণ বিষয়টি দেখার জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
কমিটিতে থাকবেন:—
১) মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
২) বিরোধী দলনেতা
৩) রাজ্যের মুখ্যসচিব বা মুখ্যসচিব মনোনীত কোনও রাজ্যের প্রতিনিধি।
এই কমিটি নজরদারি করবে এবং যদি রাজ্য সরকারের ওই বিজ্ঞপ্তির অবমাননা হয় বা সঠিক ভাবে পালিত না হয় তাহলে এই কমিটি মেলা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারবে।
]]>করোনার কোপ পড়েছে রাজ্যের কোষাগারে। করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রচুর খরচ হচ্ছে। তাই নবান্ন নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, কোনও সরকারি দফতর পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত গাড়ি, টিভি, পর্দা বা কোনও দামি সরঞ্জাম কিনতে পারবে না। জরুরী কারণে কোনও জিনিস কিনতে হলে প্রথমে অর্থ দফতরের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া একটি জিনিসও কেনা যাবেনা।
গত বছর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় জুন মাসে খরচ কমানোর নির্দেশিকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন অমিত মিত্র। কিন্তু তিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেননি। এরপর কয়েকমাস আগে অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মেয়াদ ফুরোলে অর্থ দফতরের দায়িত্ব নিজের হাতে নেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য সরকার এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালাচ্ছে। এর মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা জোগাতে রাজ্যকে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সেকথা আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যেই করোনার বেলাগাম সংক্রমণ খরচে রাশ টানতে বাধ্য করছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হাত জোর করে সকলকে মাস্ক পড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ১৫ দিন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। করোনার বিধিনিষেধ না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
]]>বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও রাজ্যের মুখ্যসচিব হরে কৃষ্ণ দ্বিবেদির একটি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম, দ্বিবেদি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের উচ্চ আধিকারিক, স্বাস্থ্যদফতরের কর্তারা।
বৈঠকে ঠিক করা হয়, সংক্রমণ রুখতে বাজারে ভিড় কমাতে হবে। তাই এখন থেকে বিক্রেতা পিছু একজন ক্রেতা থাকবে। অর্থাৎ বাজারে যতসংখ্যক বিক্রেতা হয়েছেন, ঠিক তত সংখ্যক ক্রেতাই বাজারে ঢুকতে পারবেন। দ্রুতই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে এবং এই নিয়ম সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশকে।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও কড়াভাবে বিধিনিষেধ পালন করার কথা জানান। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সকলকে সচেতন হতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
কিছুদিন আগেই মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেন কোনও এলাকায় ৪-৫ জন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলেই সেখানে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করা হবে। মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনের এলাকাগুলিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। ছোট ছোট আবসনগুলিতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশী, তাই আগামী দিনে এগুলিকেও মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনে রূপান্তরিত করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
]]>গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যাকটিভ কেস বাড়ল ৭০ হাজারেরও বেশি। চলতি মাসের শেষেই দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো হয়ে যেতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত আগের দিনের দেড়গুণেরও বেশি। পটিজিভিটি রেট আগের দিনের থেকে প্রায় ৪০% বেশি। দেশের ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৬৩০ জন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ৭৯৭ জন। দিল্লিতে আক্রান্ত ৪৯৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২৫ জন। বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ১ জন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ৭১ হাজার বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯,২০৬ জন করোনামুক্ত হয়েছেন।
]]>India reports 90,928 fresh COVID cases, 19,206 recoveries, and 325 deaths in the last 24 hours
Daily positivity rate: 6.43%
Active cases: 2,85,401
Total recoveries: 3,43,41,009
Death toll: 4,82,876Total vaccination: 148.67 crore doses pic.twitter.com/DGPBwfzQcG
— ANI (@ANI) January 6, 2022
ভ্লগের জন্য তৈরী করা সেই ভিডিওতে সোনু নিগম জানান, বর্তমানে তিনি দুবাইতে আছেন। বেশ কিছু রিয়েলিটি শোয়ের শ্যুটিংয়ের জন্য এবং বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানের জন্য তার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি আর ভারতে ফিরতে পারেননি। তবে, কিছুদিন আগে তার গলার অবস্থা বেশ খারাপ হলেও বর্তমানে তার গলা অনেকটাই ভালো আছে আগের থেকে । বিখ্যাত এই গায়কের কথায়, “আমার তাঁদের কথা ভেবে খুব খারাপ লাগছে, আমার জন্য যাঁদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।” সোনু নিগম আরও বলেন, “খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস । আমার খারাপ লাগছে এটা ভেবে যে আমরা কিছু কাজ সবে শুরু করেছিলাম। যাঁরা জড়িয়ে রয়েছেন ছবির জগতের সঙ্গে , তাঁদের জন্যও খুব খারাপ লাগছে।”
বিগত দুটো বছর ধরে এই করোনা পরিস্থিতির জেরে বিধ্বস্ত গোটা দেশ। এর আগেও সিনেমাহল, অনুষ্ঠানের আয়োজন বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন ধরে। ফের সংক্রমণ বাড়ায় নানা জায়গায় সিনেমাহল বন্ধ হচ্ছে। তবে, এই অতিমারীর ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি কাটিয়ে তারপরও সবকিছু আবার একদিন ঠিক হয়ে যাবে বলেই আশাবাদী সোনু।
]]>আগামী ৭ জানুয়ারী থেকে চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হওয়ার কথা ছিল। আগামী ১৪ জানুয়ারী শেষ হওয়ার কথা ছিল। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় রাজ চক্রবর্তীর। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উৎসব স্থগিত রাখার ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাজ্যের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ও চলচ্চিত্র উৎসব কমিটির সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন ব্যক্তির কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বিবেচনা করে রাজ্য সরকার ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। উৎসবের পরবর্তী তারিখ যথাসময়ে জানানো হবে।”
]]>৭ জানুয়ারি বিকেল ৪টেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে উৎসবের উদ্বোধন হবে । ওই দিন উপস্থিত থাকার কথা হাতেগোনা কিছু অতিথির। তবে তাঁদের নাম এখনও ঘোষিত হয়নি। এ বছর শতবর্ষে পা রেখেছেন সত্যজিৎ রায়, চিদানন্দ দাশগুপ্ত এবং মিকলোস জ্যাঁসো। উৎসবের প্রধান মুখ তাঁরাই এ বারে। এঁদের পাশাপাশি বিশেষ ভাবে সম্মানিত হবেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, দিলীপ কুমার, জিন পল বেলমন্ড, জিন ক্লড ক্যারিয়ার, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, সুমিত্রা ভাবে। এ বছরের থিম ফিনল্যান্ড। সে দেশের ৬টি ছবি দেখানো হবে ।
সিনেপ্রেমীদের জন্য ১০৩টি বড় ছবি থাকছে । ৫৮টি ছোট ছবি এবং তথ্য চিত্র বেছে নেওয়া হয়েছে ৭১টি দেশ থেকে। ৪১টি দেশ থেকে বেছে নেওয়া বিদেশি ছবির সংখ্যা ৪৬টি। নবান্নের ঘোষণা অনুযায়ী, নানা ধরনের ছবি সাত দিন ধরে প্রদর্শিত হবে নন্দন, রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চ, রবীন্দ্র-ওকাকুরা ভবন, নজরুল তীর্থ সহ শহরের মোট ১০টি প্রেক্ষাগৃহে। ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে মোট ২০০টি শো-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে এই উৎসবে। আর থাকবে নানা ধরনের প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, সিনে আড্ডা,বিভিন্ন সম্মাননা, পুরস্কার। বিশিষ্ট পরিচালক সুজিত সরকার ১১ই জানুয়ারি বিকেল ৩টেয় সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে স্মারক বক্তৃতা দেবেন। সেরা ছোট-বড় দেশি-বিদেশি ছবি বেছে নেওয়া হবে প্রতিযোগিতা থেকে। সম্মানিত হবেন দেশ ও বিদেশের সেরা ছবির পরিচালক।
]]>সাধারণ মানুষকে আতঙ্কে রাখার অভিযোগ তুলে যে যুক্তি উঠে এসেছে তা রীতিমতো চমকপ্রদ। বিভিন্ন দেশের চিকিৎসা গবেষক, জীবাণু গবেষকরা কর্পোরেট- বহুজাতিক সংস্থার প্রচার বিরোধী অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, মানুষকে ঘরবন্দি করে মৃত্যু আশঙ্কা এমন করে তুলে ধরা হচ্ছে যাতে সাধারণ বোধবুদ্ধি লোপ পায়।
তথ্য হিসেবে বিভিন্ন দেশ ভিত্তিক করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ হারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অন লাইন নির্ভরতা ও একলা করে দেওয়ার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ফল এসেছে উদ্বেগজনক। বিশ্লেষণ বলছে কর্পোরেট দুনিয়া টিকা বাণিজ্যকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে যে একের পর এক ভাইরাস ভ্যারিয়েন্টের নাম আসবে। তার সম্পর্কে প্রচার তুঙ্গে তোলা হবে।
ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মূল করোনাভাইরাসের ৪৬ দফা রূপান্তর হয়েছে এখনও পর্যন্ত। মহামারি বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইগল ডিং জানিয়েছেন, ওমিক্রনের পর এখন করোনার নতুন ধরনগুলো একের পর এক আসতে থাকবে। তার মানে এমন নয় যে সবগুলো বিপজ্জনক। সংখ্যা বৃদ্ধি করার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে এটির বিপজ্জনক হয়ে ওঠা।
লক্ষাধিক কৃষক সমাবেশে করোনা কি ভয় পেল?
যুক্তিবাদীরা তথ্য তুলে ধরেছেন। ভারতের সাপেক্ষে তাঁদের যুক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিশাল কৃষক আন্দোলন। ভারত সরকারের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে লক্ষ লক্ষ কৃষকের জমায়েতে কতজন করোনা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন? তোলা হয়েছে এই প্রশ্ন। কৃষক আন্দোলনের বিপুল জমায়েত থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বারবার ছড়ানো হয়েছিল। তবে আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে সংক্রমণ তেমন কই বলেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভারত সরকার আন্দোলনের অনড় চেহারা দেখে কৃষি আইন বাতিল করেছে।
করোনাভাইরাসের পরপর ধরণ ডেল্টা, ডেল্টা প্লাস, ওমিক্রন, ডেলমিক্রন এবং নবতম সংযোজন ইহু যেমন এসেছে, তেমনই এসেছে ভিন্ন জীবাণু ফ্লোরনা। কর্পোরেট প্রচার সমালোচক বিশেষজ্ঞরা বলছেন জীবাণু আগেও ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু জীবাণু সংক্রমণের যুযু ধরানোর খেলা শুরু হয়েছে। টিকা বিক্রি, স্যানিটাইজার বিক্রি, আনুষঙ্গিক ওষুধ ব্যবসার গতি এতে বাড়বে। বেড়েওছে। এতে আখেরে লাভ সংস্থাগুলির। আতঙ্ক ছড়ানোর এই ব্যবসা জীবাণু সংক্রমণের থেকেও ভয়াবহ।
]]>রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,৬৪,৩০১। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৯,৮১০। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬,১৯,০১৬। পশ্চিমবঙ্গে সুস্থতার হার ৯৭.২৮ শতাংশ। এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৫,৪৭৫।
গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪,৭৫৩ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ জন করোনা রোগীর। উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ১,৩৯১ এবং ৩।
]]>মেয়র কিশোরী পেডনেকর এদিন বলেন, করোনা রুখতে এখনই লকডাউন জারি করার কোনও পরিকল্পনা নেই। কিন্তু মুম্বইয়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যদি ২০ হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করে যায় সেক্ষেত্রে তো লকডাউন জারি হতেই পারে। মেয়র স্পষ্ট জানিয়েছেন, মুম্বইয়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এভাবে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই শহরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মানুষের জীবন বাঁচাতে লকডাউন জারি করতেই হবে। একইসঙ্গে করোনা বিধি আরও কঠোর করতে হবে।”
করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলাচনা করতে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি একটি জরুরি বৈঠকও করেছেন। ওই বৈঠকে কঠোর লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ ফের জারি করা যায় কিনা তা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনাও হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে সব ধরনের সতর্কতা মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। হাসপাতালগুলিতে কত বেড আছে, চাহিদা মতো ওষুধ ও অক্সিজেনের সরবরাহ আছে কিনা তা নিয়ে কথা বলেন। মেয়র এদিন জানিয়েছেন, ২-৩ দিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে রাজ্যের সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ফের আলেচনায় বসবেন। সেখানেই করোনা ঠেকানোর বিষয়ে বিশেষ কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
]]>বিশেষজ্ঞদের কাছে এখনও ওমিক্রনের চরিত্র স্পষ্ট নয়। স্বাভাবিকভাবেই ওমিক্রন নিয়ে মানুষের মনে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। তবে এবার ওমিক্রন নিয়ে মানুষকে আশ্বস্ত করলেন ইজরায়েলের চিকিৎসক আফসাইন এমরানি।
ইজরায়েলের এই বিখ্যাত চিকিৎসক ওমিক্রন সম্পর্কে যে কথা বলেছেন তা মানুষকে ভরসা জোগাতে পারে। বলা যেতে পারে ওমিক্রন কোনও আতঙ্ক বা সঙ্কটের কারণ নয় বরং ওমিক্রন মানুষের বন্ধু হতে চলেছে।
চিকিৎসক এমরানির দাবি, ওমিক্রন হল একটি প্রাকৃতিক ভ্যাকসিন। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোনও সংস্থাই এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারেনি। ওমিক্রন আক্রান্তদের ক্ষেত্রে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না। রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হয় না। এমনকী, রোগীদের হাসপাতালে ভর্তিরও প্রয়োজন হয় খুব কম। বরং ওমিক্রন মানুষের মধ্যে গড়ে তুলতে পারে গণপ্রতিরোধ ক্ষমতা।
এমরানির দাবি, আগামী ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে ওমিক্রনের মাধ্যমে গোটা বিশ্বেই টিকাকরণ হয়ে যাবে। তাই ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বরং প্রকৃতির কাছে মানুষের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। ওমিক্রন নামে এই ভাইরাস মানুষের কাছে আতঙ্কের কারণ নয় বরং আশীর্বাদ।
ইজরায়েলের এই বিশিষ্ট চিকিৎসকের বক্তব্যের সঙ্গে ভারতের বহু চিকিৎসকও সহমত পোষণ করেছেন। তাঁরা বলছেন ডেল্টা প্রজাতির ছিল ওমিক্রনের থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্তদের সাধারণ জ্বর, সর্দিকাশির মত সাধারণ উপসর্গ থাকছে।
তবে শুধু ভারতীয় চিকিৎসকরা নন একই কথা বলছেন বিদেশের চিকিৎসকরাও। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের দাবি, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে সাধারণ জ্বর, সর্দিকাশির মত উপসর্গ থাকছে। আক্রান্তদের কারও শারীরিক পরিস্থিতি জটিল পর্যায়ে যায়নি। তবে সকল এটাও স্বীকার করেছেন যে, ওমিক্রন অন্য প্রজাতিরগুলির তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক কিন্তু ভয়ঙ্করতার দিক থেকে দেখতে গেলে ডেল্টার তুলনায় অনেকটাই কম।
কলকাতার বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, আমাদের এখানে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমেছে। তাই আরও সপ্তাহ দুয়েক সময় গেলেই বোঝা যাবে ওমিক্রন আক্রান্তদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে কিনা। যদি অক্সিজেনের পরিমাণ না কমে তাহলে এটা বলা যেতেই পারে যে, আগামী দিনে ওমিক্রনের মাধ্যমে অনেকেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন। কারণ ওমিক্রনের মাধ্যমে মানুষের শরীরে একটা ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ মানুষ টিকা পেয়েছেন। ফলে একটা হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে, যা পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক দিক।
]]>