আর এই কথা আমাদের সবারই জানা, সমাজে নারী চরিত্রের গায়ে দাগ কেটে কোন বদনাম লাগিয়ে দিতে বেশিক্ষণ সময় লাগে না। যতই আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কথা বলি, যার যার ব্যক্তিগত জীবন তার নিজের অধীনে। অনধিকার প্রবেশ কোনোভাবেই উচিত নয়। কিন্তু মনের কোণে জমা অন্ধকারকে দূর করা কি এত সহজ?
ঠিক সেই কারণেই পাড়ার চায়ের দোকান থেকে ক্লাব, জমে উঠেছিল নুসরতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই রং মাখানো মশলাদার গসিপে। অবশ্য তার মধ্যে বেশির ভাগটাই কাল্পনিক এবং নিজেদের জীবনের হতাশা মেশানো। এই সময়টায় সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ডিং টপিকস ছিল নুসরত এবং কমেন্ট বক্সে একবার ঘুরেই বোঝা যায় ঠিক কতখানি নিচে নামতে পারে মানুষ ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে।
অপবাদ, অপমান কোনটাই বাদ রাখেনি। কিন্তু একবারও মুখ খোলেননি নুসরত৷ বরং চুপিসারে কখনও নিজের পোষ্যের সঙ্গে, তো আবার কখনও গাছগাছালির মধ্যে পজিটিভিটির মন্ত্রে নিজেকে উজ্জীবিত রাখার চেষ্টা করেছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার মা হয়েছেন তিনি। ছোট্ট ফুটফুটে ঈশানকে কোলে করে নিয়ে যশ এবং নুসরত বাড়ি ফিরলেন সোমবার। যশের কোলি ছিল সদ্যোজাত। পরম সযত্নে আগলে মা এবং সন্তানকে গাড়িতে তুললেন যশ। ড্রাইভিং সিটে ছিলেন তিনিই।
View this post on Instagram
দীর্ঘদিনের সমস্ত অপমানকে তোয়াক্কা না করা নুসরত এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সাফ জানিয়ে দিলেন, তাদের কথায় তিনি একেবারেই পাত্তা দেওয়া তো থাক, কান দিতেও নারাজ। নুসরতের কটাক্ষে স্পষ্ট, তিনি তাদের কথাতে একেবারেই কান দিতে চান না৷ যারা এতদিন তাকে কোনও পরামর্শ দেয়নি, কিংবা বলা ভালো যার থেকে তিনি এতদিন কোনও পরামর্শ নেননি। অবশ্য ছবির নিচে লেখা, সৌজন্যে দেওয়া নাম নিয়ে একটু ধন্দে পড়ে গিয়েছে নেট নাগরিকরা। কারণ পিকচার কার্টেসিতে আছে যার নাম, তাকে নুসরত ‘ড্যাডি’ বলে উল্লেখ করেছেন। এবারের সেই ‘ড্যাডি’ নুসরতের ড্যাডি মানে বাবা? নাকি ঈশানের ‘ড্যাডি’ সেটাই বড় প্রশ্ন। আর যদি ঈশানের ড্যাডি হন, তবে কে তিনি জানতে চাই নেট নাগরিক।
]]>