মুম্বইতেই কেটেছে দেবের জীবনের বেশিরভাগ সময়টা। অভিনয় জীবনের শুরু থেকেই বাংলা কথা সঠিক ভাবে না বলতে পারার জন্য নানা সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। এমন অনেক সুখ্যাত পরিচালক আছেন যারা বলে দিয়েছিলেন টলিউডে জায়গা করতে পারবেনা দেব। তবে কোনো কিছুতেই থেমে থাকেননি তিনি। নিজের দক্ষতায় একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। আজ তিনি বহু মানুষের ‘ফেভারিট টলিউড অ্যাক্টর’। আজ দেবের ৩৯ তম জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক টলিউডে দেবের কাটানো ১৫ বছর।
২০০৬ সালে মুক্তি পায় দেব অভিনীত প্রথম ছবি ‘অগ্নিশপথ’। কিন্তু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। ২০০৭ সালে রবি কিনাগি পরিচালিত ‘আই লাভ ইউ’ ছবির মাধ্যমে দর্শকদের নজরে আসেন দেব। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় ‘প্রেমের কাহিনী’, দেব-কোয়েল জুটির প্রথম ছবি। প্রথম ছবিতেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই জুটি। ২০০৯ সালে শুভশ্রীর সাথে প্রথমবার জুটি বেঁধে ‘চ্যালেঞ্জ’ নেন দেব। রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত এই ছবি তুমুল প্রশংসা কুড়োয়। ওই সালেই মুক্তি পায় রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত দেব-শুভশ্রী অভিনীত ‘পরাণ যায় জ্বলিয়ারে’। ২০০৯-এ দেব-শ্রাবন্তী জুটির প্রথম ছবি ‘দুজনে’। ২০১০-এ মুক্তি পায় ‘বলো না তুমি আমার’, ‘সেদিন দেখা হয়েছিল’ ‘লে ছক্কা’। ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দুই পৃথিবী’ ছবিতে প্রথম বার একাসাথে দেখা যায় দেব ও জিৎ কে। ২০১১ সালে রোমিও ও পাগ্লু মুক্তি পায়। দেব-কোয়েল অভিনীত ‘পাগ্লু’ টলিউডকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছিল। ২০১২ সালে ‘পাগ্লু ২’, ‘চ্যালেঞ্জ ২’, ২০১৩-তে ‘খোকা ৪২০’, ‘রংবাজ’, ‘চাঁদের পাহাড়’। ২০১৪ সালে ‘বিন্দাস’, ‘বুনো হাঁস’, ‘যোদ্ধা’, ২০১৫-তে ‘হিরোগিরি’, ‘শুধু তোমারি জন্য’, ‘আরশিনগর’, ২০১৬ সালে ‘কেলোর কীর্তি’, ‘লাভ এক্সপ্রেস’ ‘জুলফিকার’। ২০১৭-তে দেবের প্রযোজনা সংস্থার প্রথম ছবি ‘চ্যাম্প’ মুক্তি পায়। ওই বছরেই মুক্তি পায় দেব প্রযোজিত দ্বিতীয় ছবি ‘ককপিট’, এছাড়া মুক্তি পায় ‘অ্যামাজন অভিযান’। ২০১৮ সালে মুক্তি পায় ‘কবির’ ও ‘হইচই আনলিমিটেড’। ২০১৯-এ ‘কিডন্যাপ’, ‘পাসওয়ার্ড’, ‘সাঁঝবাতি’। ২০২১-এ মুক্তি পায় ‘গোলন্দাজ’ এবং সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘টনিক’। দেবের পরবর্তী কয়েকটি ছবি হল ‘কিশমিশ’, ‘খেলাঘর’, ‘কাছের মানুষ’, ‘রঘু ডাকাত’।
অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচয় বানিয়েছেন রাজনীতিতেও। ২০১৪ সালে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়ে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হন তিনি। সাংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বাংলায় কথা বলেন। যা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ২০১৯-এ ফের ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি।
]]>একটি ভিডিওর মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন,’ হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রীর একটি বড় গান প্রতীক চৌধুরী গেয়েছেন। ২০১৯ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল গায়কের। তার দিন কয়েক আগেই তিনি হবুচন্দ্র রাজা, গবুচন্দ্র মন্ত্রী-র জন্য একটি গান রেকর্ড করেছিলেন। ছবির কাজ চলাকালীনই চলে যান প্রতীক চৌধুরী। অথচ ছবির টিজার, ট্রেলারে একবারও গায়কের নাম উল্লিখিত নয় বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন কবীর সুমন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর পরিচালিত এই গান প্রতীক চৌধুরী ছাড়া আর কেউ এভাবে গাইতে পারতেন না। অথচ ছবির টিজারে কোথাও প্রতীক চৌধুরীর নাম পর্যন্ত উল্লেখ করা হল না।’ শিল্পী দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, যে এটি প্রতীক চৌধুরীর করা শেষ কাজ ছিল। তাঁকে ফাইনাল গানটি শোনাতেও পারেননি তিনি। কিন্তু আশা করেছিলেন এই ছবি তাঁকে উৎসর্গ করা হবে। কিন্তু ছবির টিজার বা ট্রেলার কোথাওই শ্রদ্ধা জানানো হল না কেন তা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ছবির সঙ্গীত পরিচালক।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর টেলিভিশনে মুক্তি পেয়েছে দেব প্রযোজিত ‘হবুচন্দ্র রাজা, গবুচন্দ্র মন্ত্রী’। ছবিটি মুক্তির আগের দিন প্রতীক চৌধুরীর সঙ্গে ছবি কবীর লিখেছিলেন, ‘অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রীর মন্তব্যমূলক পাঁচটি ছোট গান আর একটি বড় গান প্রতীক যেভাবে গেয়ে দিয়েছিলেন আর কেউ পারতেন না। আগামীকাল এই ছবিটি টেলিভিশনে প্রকাশ পাবার কথা। প্রতীক নেই। দেব এন্টারটেনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ, যাঁরা এই ছবির প্রযোজক, প্রতীকের নাম একটিবার উল্লেখ করারও প্রয়োজন মনে করেননি।”
একইসঙ্গে একটি পোস্টে প্রযোজক দেবকেই কটাক্ষ করে কবীর সুমন লিখেছিলেন, ‘মাননীয় প্রযোজক একটিবারও প্রতীকের নাম উল্লেখ করেননি এই ছবিটির নানান টিজার প্রকাশ করার সময়। অথচ এটাই প্রতীকের জীবনের শেষ ছবি। আমি প্রতীকের চেয়ে বয়সে যথেষ্ট বড়। আমি বেঁচে থাকলাম, প্রতীক মারা গেলেন। এই ছবির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন সকলকে ধন্যবাদ ও নমস্কার জানাচ্ছি। প্রযোজকের শ্রীবৃদ্ধি হোক আরও টাকা হোক তাঁর আরও নাম হোক।’
]]>করোনা আবহে এবার পুজোয় মানুষ কতটা হলমুখী হবে তা নিয়ে প্রথম থেকেই একটা জল্পনা চলছিল। তাছাড়া পুজোর সিনেমার লিস্টেও ছিল অনেকগুলি নাম। তবে সবাইকে পিছনে ফেলে এগিয়ে খোকাবাবু।
অনেকগুলো দিন পর ফের হলমুখী দর্শক। ‘গোলন্দাজ’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে প্রতি শো-হাউজফুল। যদিও ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে সিনেমা হল খোলা হয়েছে। আর এই ব্যবস্থায় এখনও পর্যন্ত ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবি ২ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করেছে।
এ বার পুজোয় ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসেছেন নগেন্দ্রপ্রসাদ অধিকারী। যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেব। বাঙালির ফুটবল প্রেমের সূচনায় তাঁর অশেষ অবদান রয়েছে।
অন্যদিকে,মুম্বইতে কাজ করলেন রুক্মিণী। ওটিটিতে নায়িকার ‘সনক’ খুব জনপ্রিয় হয়েছে। বিদ্যুৎ জামওয়ালের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন টলিউড অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র।
নিজের ‘গোলন্দাজ’ আর বান্ধবীর ‘সনক’ নিয়ে খুব খুশি দেব। সম্প্রতি তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের দু’জনের কাজের ক্ষেত্রে খুব ভাল সময় যাচ্ছে। রুক্মিণীর কাছে ‘সনক’ আছে, আমার কাছে ‘গোলন্দাজ’। একটা বাঙালি মেয়ে মুম্বইতে এত ভাল কাজ করেছে- খুব গর্ব হচ্ছে আমার। দেব এন্টারটেনমেন্ট ওকে প্রথম অভিনয়ে নিয়ে আসে। ওর সাফল্য দেখে ভাল লাগছে।’
]]>

পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় এবং প্রযোজক দেব।
আরও পড়ুন দেবীপক্ষে TRP যুদ্ধে বাজিমাত করতে চ্যানেলের তুরুপের তাস একঝাঁক জনপ্রিয় মুখ
তার আগেই বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায়া প্রযোজকের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। ফেসবুক সচল হওয়ায় পর তিনি লিখেছেন, “ছবি কেবল পরিচালকের নয়, ছবি তৈরি করে একটা বড় টিম, তাতে ডি ও পি, মানে যিনি ফোটোগ্রাফির দায়িত্বে থাকেন, (হরেন্দ্র কুমার, সুপ্রিয় দত্ত) এডিটর, (মহ কালাম) যিনি সম্পাদনা করেন, আর্ট ডিরেক্টর (মৃদুল – শাশ্বতী) যাঁরা সেট তৈরি করেন, কস্টিউম ডিজাইনার, (অপু) যিনি পোষাক, পরিচ্ছদের দায়িত্বে থাকেন, এছাড়াও অসংখ্য মানুষ যাঁরা দিনরাত খেটে একটা ছবি তৈরি করেন। ও হ্যাঁ ছবির সংগীত পরিচালক (কবীর সুমন) তো আরও গুরুত্বপূর্ণ। অভিনেতাদের তো দেখা যায়, কিন্তু এই বিরাট টিম কে দেখা যায় না। কিন্তু ছবি তৈরির কৃতিত্ব এদের প্রত্যেকের। হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রীর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের প্রেস কনফারেন্স হল, বাকিদের কথা তো ছেড়েই দিন, সেই অনুষ্ঠানে পরিচালক, ডিওপি, এডিটর, কস্টিউম ডিজাইনার, আর্ট ডিরেক্টর কাউকে ডাকা হলনা কেবল নয়, জানানোও হল না, খবরও দেওয়া হল না। সম্ভবত হায়াত ইন্টারন্যাশনালে যাবার জন্য তাঁরা উপযুক্ত নন, এরকমটাই মনে করেছেন। যে প্রযোজক ২২/২৩ দিনের স্যুটিং এ দিন তিনেক হাজির ছিলেন, তিনি বহুবচনে সিনেমা তৈরির কথা বললেন। এই ছবির আসোসিয়েট ডিরেক্টার সঞ্জীব দে, যিনি কিছুদিন আগে মারা গেলেন, একবারের জন্য তাঁর নাম উচ্চারণ করাও হল না। প্রতীক চৌধুরি এই ছবির গান রেকর্ডিং এর কদিন পরেই মারা গিয়েছিলেন, তাঁর নাম মুখেও আনা হল না, যাঁরা গান গেয়েছেন, তাঁদের জানানো হল না। আরও আছে, সে সব বলবো।”

বহুদিন আগেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ”হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী” ছবিটি। তবে গত দুবছর ধরে Covid- পরিস্থিতি, বারবার লকডাউনের কারণেই ছবিটি রিলিজ করা সম্ভব হয়নি। বারবার মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েও পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যেতে হয়েছে প্রযোজক দেবকে। শেষ পর্যন্ত ১০ অক্টোবর রিলিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সময়ে এসভিএফের ব্যানারে মুক্তি পাচ্ছে দেবের ‘গোলন্দাজ’ও।
![]()
ছবিতে হবুচন্দ্র রাজার ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে। রানি কুসুমকুমারীর ভূমিকায় থাকছেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। আর গবুচন্দ্র মন্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যাবে খরাজ মুখোপাধ্যায়কে। দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ‘সরকার মশাইয়ের থলে’ এবং ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’র আদলে তৈরি হয়েছে এই ছবি।
]]>
দীর্ঘ দিনের প্রতিক্ষার অবসান হবে এই পুজোয়। কারণ গত এপ্রিল মাসে প্রযোজক অভিনেতা সাংসদ দেব জানিয়েছিলেন, কেন মে মাসে হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী মুক্তি পাবে না। বোম্বাগড়ের পক্ষ থেকে বিশেষ ঘোষণা করে দেব জানিয়েছিলেন বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি কেটে গেলে তার পরেই তিনি দর্শকদের নিয়ে যাবেন রূপকথার দেশে। কথার খেলাপ করা দেবের ডিকশনারিতে নেই। এমনকি টলিউডের সোনু সুদ বলেও তাকে আখ্যা দিয়েছে তার ভক্তকুল।
মানব-দরদি এই নেতা এবং অভিনেতা এই পুজোতে দর্শকদের নিয়ে যাবেন বোম্বাগড়ে। সেখানে দর্শকদের জন্য অপেক্ষা করে আছে বোম্বাগড়ের রাজা, রানী, মন্ত্রী, সৈন্যদল, রাজসভা রাজকোষ। সব মিলিয়ে এক দারুণ রাজ্য। রাজার ছত্রছায়ায় সবাই খুব খুশি। হবুচন্দ্র রাজার চরিত্রে অভিনয় করছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়,রানী অর্থাৎ কুসুমকুমারীর চরিত্রে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় গবুচন্দ্র মন্ত্রীর চরিত্রে খরাজ মুখোপাধ্যায়। দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের কাহিনী অবলম্বনে, অনিকেত চট্টোপাধ্যায় এর পরিচালনায় এবং কবীর সুমনের সঙ্গীত পরিচালনায় এবারে শরতে বোম্বাগড় ভ্রমণে আপনার হাতে থাক পপকর্ণ আর মনে থাক খুশির রং।
]]>স্টার জলশার অফিসিয়াল ইনস্টাপেজে ভিডিওটি পোস্ট করার পর থেকেই, নেটদুনিয়ায় ঝড় উঠেছে। মুহূর্তে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। দেব এবং সানিকে একসঙ্গে রোমান্স করতে দেখে, অনেকেই দেবের বান্ধবী রুক্মিণীর চিন্তায় পড়ে যান। পোস্টে কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়। এক নেটাগরিক কমেন্ট করেন, ‘দেবদা তুমিই সেরা, কিন্তু তোমার পাশে সুঘু আমার রুক্মিণীকেই ভালো লাগে’। আবার অনেকেই দেব এবং সানির যুগলবন্দী দেখে বড় পর্দায় তাঁদের একসঙ্গে জুটি বাঁধার অনুরধও করেছেন। তবে দেবকে বেবি ডলের সঙ্গে রোমান্স করতে দেখে রুক্মিণী কী প্রতিক্রিয়া দিলেন, তা এখনও অজানা।
‘ডান্স ডান্স জুনিয়র সিজন ২’-এর গ্র্যান্ড ফাইনালের মঞ্চে এক অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছেন সানি লিওন। এছাড়াও অতিথি বিচারক হিসেবে থাকছেন রেমো ডি’সুজা এবং হেলেন। তবে এরই মাঝে স্টার জলশা চ্যানেলের করা ইনস্টাপোস্টে দর্শকদের উদ্দীপনা অনেকাংশে বাড়িয়ে দিলো। দেব এবং সানির পুরো পারফর্মেন্স দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন নেটাগরিকরা। আগামী ২২ অগাস্ট রবিবার ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র সিজন ২’-এর গ্র্যান্ড ফাইনালে দর্শকদের জন্য অপেক্ষা করছে একের পর এক ধামাকা।
]]>একের পর এক চমক দিয়ে চলেছেন তারকা সাংসদ দেব। সম্প্রতি ‘কিশমিশ’ ছবির অ্যানিমেটেড টিজার সামনে আনেন দেব। টিজার দেখে দর্শকদের মনে বেশ উৎসাহ জাগে। সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন দেব এবং রুক্মিণী। এবারে সেই ছবিতেই অতিথি অভিনেতা হিসেবে দেখা মিলবে যীশুর। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কী দূরত্ব ভুলে এবারে দেবের বন্ধুতে মাতলেন যীশু। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যীশু জানান, দেব তাঁকে নিজে ফোন করে ছবিটির বিষয়ে জানান। ছবিতে যীশুর চরিত্র নিয়ে কিছু জানাননি দেব। শুধু বলেছিলেন ছোট চরিত্র, যীশু চাইলে নাও করতে পারেন।
যীশুর কথায়, দেব নিজে ফোন করাতে তিনি রাজি হয়ে যান। যীশুর পাশাপাশি ছবিতে অতিথি অভিনেতা হিসেবে দেখা যাবে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অঙ্কুশ হাজরা এবং শ্রাবন্তিকে। দেবকে এই বিষয়ে প্রশ্ন কড়া হলে তিনি জানান, তাঁর একটা ফোনে যীশু রাজি হয়ে গেচ্ছে। তাতেই তিনি আপ্লুত। অন্যদিকে সৃজিতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে যীশু হঠাৎ চটে যান। এখানেই নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন জাগছে তবে কী সৃজিতের সঙ্গে বন্ধুত্বে দাড়ি টানলেন যীশু?
]]>সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি অ্যানিমেটেড টিজার এবং ছবির একটি পোস্টার শেয়ার করেছেন দেব। ছবিটির পরিচালনায় রয়েছেন রাহুল মুখোপাধ্যায়। এটি তার ডেবিউ ফিল্ম। তবে নতুন পরিচালক হিসেবে টলিপাড়ায় এসেই দেব রুক্মিণীকে ছবির নায়ক নায়িকা হিসেবে পেয়ে খুবই উপ্লুত পরিচালক।
View this post on Instagram
এর পাশাপাশি ছবিটি প্রযোজনা করছে দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চারস। অ্যানিমেটেড টিজার প্রকাশ করে দেবের প্রযোজনা সংস্থা জানিয়েছে, কিশমিশ ছবিটি দুর্গাপুজোয় না এসে বরং শীতে আসবে। তার সঙ্গে দেবের সংস্থা উল্লেখ করে, যদি পৃথিবী সুস্থ থাকে তবেই। এর পাশাপাশি দেব তাঁর দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সকলে যেন সুস্থ থেকে অবশ্যই সিনেমাহলে তাঁদের ছবিটি দেখতে আসেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ছবিতে দেব এবং রুক্মিণী দুজনেই অনেকটাই কথকের ভূমিকা পালন করবেন। সঙ্গে অন্যান্য চরিত্ররা মজায় ভরিয়ে দেবেন ‘কিশমিশে’। ছবিতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে জুন মালিয়া থেকে শুরু করে অঞ্জনা বসু ও খরাজ মুখোপাধ্যায়কে। তবে এরই মাঝে টলি-পাড়ায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, দেবের জন্মদিন উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে পারে ‘কিশমিশ’।
]]>ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ছবি তৈরি হয়ে আছে। করোনা আবহের জন্য তা হলে মুক্তি করানো যায়নি। এই লিস্টে প্রথমেই রয়েছে দেবের টনিক সিনেমাটি। গত বছর এপ্রিলে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল সিনেমাটির। অন্যদিকে প্রযোজনা সংস্থা এসভিফ আগেই জানিয়ে দিয়েছে এবারে পুজোয় মুক্তি পেতে চলেছে তাঁদের পিরিয়ড ড্রামা গোলন্দাজ। এই ছবিটি প্রথানত ভারতীয় ফুটবলের জনক ‘নাগেন্দ্র প্রসাদ সর্বাধিকারীর’ বায়োপিকের আঙিনায় তৈরি।

অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে চলতি বছর পুজোয় মুক্তি পেতে চলেছে জিৎ-এর বাজি। এই ছবিতে প্রথমবার রুপলি পর্দায় জুটি বাঁধতে চলেছেন জিৎ এবং মিমি। ছবিটি পরিচালনা করছেন অংশুমান প্রত্যুষ। ইতিমধ্যেই বাজির একটি গান প্রকাশ্যে এসেছে ‘আয় না কাছে রে’। সবকিছু ঠিক থাকলে এই পুজোয় আবারও একসঙ্গে দুই সুপারস্টার দেব এবং জিৎ-এর সিনেমা দেখতে হলে ভিড় জমাবেন দর্শকরা। তবে সবকিছুই সময়ের অপেক্ষা।
]]>