diesel – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Mon, 17 Mar 2025 11:07:55 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png diesel – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Petrol Diesel Price Hike: মোদী সরকারের জ্বালানি নীতির বিরুদ্ধে খড়গের তীব্র প্রতিবাদ https://ekolkata24.com/business/petrol-diesel-price-hike-%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%a6%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf Mon, 17 Mar 2025 11:00:12 +0000 https://ekolkata24.com/?p=50670 Petrol Diesel Price Hike: কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে সোমবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও সেই সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে না। খড়গে বলেন, বিজেপি সরকার জনগণের কাছ থেকে “মুক্তিপণ” আদায় করছে এবং মোদী সরকার “নির্ভয়ে জনগণকে লুটছে”। তিনি এই মন্তব্য একটি সংবাদ প্রতিবেদনের উল্লেখ করে করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে অপরিশোধিত তেলের দাম গত ৪২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে।

খড়গে সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ হিন্দিতে একটি পোস্টে বলেন, “অপরিশোধিত তেলের দাম ক্রমাগত কমছে, কিন্তু পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমানো হচ্ছে না… মোদী সরকার নির্ভয়ে জনগণকে লুটছে!” তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “বিজেপি আর কতদিন জনগণের কাছ থেকে এভাবে মুক্তিপণ আদায় করবে?” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের জ্বালানি নীতির সমালোচনা করেছেন এবং জনগণের উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানোর অভিযোগ তুলেছেন।

অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও জ্বালানির দাম অপরিবর্তিত
সাম্প্রতিক একটি সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম গত ৪২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমেছে। ২০২১ সালের পর থেকে তেলের দামে এই উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা গেছে, যা ভারতের মতো তেল আমদানিকারক দেশের জন্য সুবিধার কথা। কিন্তু খড়গের অভিযোগ, এই সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর পরিবর্তে সরকার তা নিজের কোষাগারে জমা করছে। ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম এখনও ২০২২ সালের মে মাসে নির্ধারিত মূল্যে অপরিবর্তিত রয়েছে, যখন দিল্লিতে পেট্রোলের দাম লিটারে ৯৬.৭২ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৮৯.৬২ টাকা ছিল।

খড়গে দাবি করেছেন, তেলের দাম কমার সুবিধা জনগণকে দেওয়ার পরিবর্তে সরকার জ্বালানির উপর উচ্চ কর বজায় রেখে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করছে। তিনি বলেন, “এটি জনগণের প্রতি প্রতারণা। যখন তেলের দাম কমে, তখন পেট্রোল-ডিজেলের দামও কমানো উচিত। কিন্তু মোদী সরকার তা না করে জনগণের পকেট থেকে টাকা লুটছে।”

জ্বালানি দাম নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক
খড়গের এই মন্তব্য জ্বালানি দাম নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে মোদী সরকার জ্বালানির উপর উচ্চ এক্সাইজ ডিউটি এবং ভ্যাট আরোপ করে জনগণের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়েছে। ২০২১ সালে যখন অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল, তখন সরকার দুই দফায় এক্সাইজ ডিউটি কমিয়েছিল। কিন্তু এখন তেলের দাম কমলেও সেই সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে না।

বিরোধী দলগুলি দাবি করছে, সরকার গত কয়েক বছরে জ্বালানি থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জ্বালানি কর থেকে সরকার প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে। খড়গে বলেন, “এই টাকা জনগণের পকেট থেকে এসেছে। বিজেপি এই লুটপাট বন্ধ না করলে জনগণ তাদের জবাব দেবে।”

জনগণের ক্ষোভ
জ্বালানির উচ্চ দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ বাড়ছে। দিল্লির একজন ট্যাক্সি চালক বলেন, “তেলের দাম কমছে শুনি, কিন্তু পাম্পে গেলে দাম একই থাকে। আমাদের আয় কমে যাচ্ছে, খরচ বাড়ছে।” কলকাতার এক গৃহিণী বলেন, “পেট্রোল-ডিজেলের দাম না কমলে জিনিসপত্রের দামও কমবে না। সরকার আমাদের কথা ভাবছে না।”

সামাজিক মাধ্যমে খড়গের পোস্টের পর অনেকে তার সমর্থনে সরব হয়েছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “মোদী সরকার জনগণের জন্য কিছু করে না, শুধু লুট করে। খড়গে ঠিক বলেছেন।” তবে, বিজেপি সমর্থকরা পাল্টা দাবি করেছেন যে সরকার জ্বালানির দাম স্থিতিশীল রেখে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে।

সরকারের নীরবতা
খড়গের এই সমালোচনার পরও কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে, অতীতে সরকার দাবি করেছে যে জ্বালানির উপর থেকে আয় করা টাকা জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে ব্যয় করা হচ্ছে। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী গত বছর বলেছিলেন, “আমরা জ্বালানির দাম বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করি এবং জনগণের সুবিধার জন্য কাজ করছি।”

রাজনৈতিক প্রভাব
খড়গের এই মন্তব্য আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে জ্বালানি দামকে একটি বড় রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করতে পারে। কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি মূল্যবৃদ্ধি এবং জনগণের উপর অর্থনৈতিক চাপকে বিজেপির বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। খড়গের এই আক্রমণ কংগ্রেসের জনগণের কাছে পৌঁছানোর একটি কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।

মল্লিকার্জুন খড়গের এই সমালোচনা মোদী সরকারের জ্বালানি নীতির দুর্বলতাকে তুলে ধরেছে। অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও পেট্রোল-ডিজেলের দাম না কমানো জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়াচ্ছে। খড়গে এই ইস্যুকে “লুট” হিসেবে চিহ্নিত করে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। এই বিতর্ক কীভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মঞ্চে প্রভাব ফেলে, তা আগামী দিনে স্পষ্ট হবে। তবে, এটি স্পষ্ট যে জ্বালানির দাম এখন জনগণের জন্য একটি জ্বলন্ত প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।

]]>
ATM transactions: ১ জানুয়ারি থেকে এটিএমে লেনদেনের খরচ বাড়ছে https://ekolkata24.com/business/you-will-have-to-pay-more-for-atm-transactions-from-january-1-2022 Fri, 03 Dec 2021 08:22:35 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13330 You will have to pay more for ATM transactions from January 1, 2022
News Desk, Mumbai: করোনাজনিত পরিস্থিতিতে দেশের সাধারণ মানুষের আয় (Income) অনেকটাই কমেছে। বহু মানুষ তাঁদের কাজ হারিয়েছেন। এরই মধ্যে প্রত্যেকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের (Petrol, Diesel, LPG) দাম বাড়িয়ে মোদি সরকার আমজনতার পকেট কাটার পথে হেঁটে চলেছে।

পেট্রোল-ডিজেলের পর এবার বাড়ছে এটিএম (ATM) থেকে টাকা তোলার খরচ। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এটিএম থেকে টাকা তুলতে গেলে মানুষকে বাড়তি খরচ করতে হবে। চলতি বছরের জুন মাসেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) ব্যাংকগুলিকে এই বাড়তি খরচ আদায়ের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এবার সেই নতুন নিয়ম চালু হতে চলেছে।

এখন প্রশ্ন হল কিভাবে এবং কত টাকা খরচ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নিজের ব্যাংকের এটিএম থেকে লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে প্রথম পাঁচবার লেনদেন করতে কোনও খরচ লাগবে না। অন্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে সেই সীমা মেট্রো শহরগুলির ক্ষেত্রে তিনবার কিন্তু অন্যত্র হলে পাঁচবার। এখানে এটিএমের মাধ্যমে লেনদেন বলতে শুধু টাকা তোলাই নয়, টাকা জমা, ব্যালান্স চেকিংও লেনদেন হিসেবে গণ্য হবে।

এতদিন লেনদেনের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হলে প্রতি লেনদেন পিছু দিতে হত ২০ টাকা। এখন সেই খরচ বেড়ে হচ্ছে ২১ টাকা। তার সঙ্গে যোগ হবে জিএসটি। এটিএম থেকে লেনদেনের ক্ষেত্রে শেষবার খরচ বাড়ান হয়েছিল ২০১৪ সালের অগাস্টে। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে সাত বছর পর এটিএম থেকে লেনদেনের খরচ বাড়তে চলেছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরেই ব্যাংক এবং এটিএম থেকে টাকা তোলার নিয়মে বেশকিছু রদবদল করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এসবিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা মাসে সর্বোচ্চ চারবার এটিএম এবং ব্যাংক থেকে বিনা খরচে টাকা তুলতে পারেন। এরপর থেকে অবশ্য প্রতি লেনদেনের ক্ষেত্রে ১৫ টাকা করে চার্জ কাটা হয়। সেই সঙ্গে যুক্ত হয় জিএসটি। তবে নগদ নয় এমন লেনদেনের ক্ষেত্রে অবশ্য এই অতিরিক্ত চার্জ কাটা হয় না।

]]>
পেট্রল-ডিজেলের বিকল্প শক্তির নতুন অস্ত্র এই পদার্থ https://ekolkata24.com/offbeat-news/fule-cell-is-the-alternative-energy-of-petrol-diesel Wed, 10 Nov 2021 08:11:01 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10906 News Desk: বিশ্বজুড়ে বর্তমানে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে যেসব প্রযুক্তির কথা সম্প্রতি বেশি শোনা যাচ্ছে তার মাঝে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ফুয়েল সেল। ফুয়েল সেল হচ্ছে এমন একটি তড়িৎ রাসায়নিক কোষ যেখানে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় সরাসরি ডিসি কারেন্ট এবং বাই প্রোডাক্ট হিসেবে পানি এবং তাপ উৎপন্ন হয়।

হাইড্রোজেনকে জ্বালানিতে রূপান্তর করে পরিবহন খাতে ব্যবহার এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গত ২০১৫ সাল থেকে হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি চলছে যুক্তরাষ্ট্র ও আরো কয়েকটি উন্নত দেশের সড়কে। ওইসব দেশে পেট্রোলিয়াম রিফুয়েলিং স্টেশনের জায়গা দখল করে নিচ্ছে হাইড্রোজেন রিফুয়েলিং স্টেশন। তবে তা খুবই ধীর গতিতে সীমিত আকারে চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি রাজ্য ২০২৫ সালের মধ্যে ২০০টি হাইড্রোজেন স্টেশন ও দুই লাখ ৫০ হাজার চার্জিং স্টেশন নির্মাণে ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি শহরে এখন সরকারিভাবে হাইড্রোজেন ফুয়েলিং স্টেশন আছে ৩৯টি। আরো ২৫টির নির্মাণকাজ চলছে। নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট কোস্টের রাজ্যগুলোও এগিয়ে আসছে। এর বাইরেও বিভিন্ন কোম্পানির বড় বড় ওয়্যারহাউজে এবং বিতরণ কেন্দ্রে হাজার হাজার হাইড্রোজেন চালিত মালামাল পরিবহনের ট্রাক (ফর্কলিফট) চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। অনেকগুলো শহরে এমন ব্লু গ্যাসচালিত বাস চালু আছে।

Hydrogen fule cell

কানাডার কুইবেক রাজ্যের রাজধানী মন্ট্রিলে হাইড্রোজেন ফুয়েলিং স্টেশন করার জন্য রাজ্যে সরকারের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে গাড়ি তৈরির কোম্পানি টয়োটা ও হোন্ডা। এমনকি তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবেও শিগগিরই এ ধরনের স্টেশন হতে যাচ্ছে। টয়োটাসহ বিশ্বের সব বড় বড় গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি ব্লু গ্যাসের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণায় বিস্তর টাকা ঢালছে। আর এসবই হচ্ছে বিশ্বের জলবায়ু তথা পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে। গত কয়েক বছর ধরে প্রচলিত গাড়িগুলোকে হাইব্রিড করা হচ্ছে জ্বালানি সাশ্রয়ী করতে যাতে জ্বালানি কম পোড়ে।

<

p style=”text-align: justify;”>ফলে দূষণও কম হয়। এরপর ‘ইলেকট্রিক কার’ আসছে। দূষণ কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন দেশ একটা করে টাইমফ্রেম ঘোষণা করছে। ওই সময়সীমার পর আর প্রচলিত তেলে চলা গাড়ি চলতে দেয়া হবে না। এই সুযোগ নিতে চায় এলন মাস্কের তেসলা ও অন্য গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো। এক্ষেত্রে নতুন আবিষ্কার ব্লু গ্যাস সম্ভবত বিপ্লব ঘটিয়ে দিতে পারে। বিশ্বে গাড়ি নির্মাতাদের মধ্যে এখন জোর বিতর্ক চলছে এই নিয়ে যে, ব্যাটারি-চালিত ইলেকট্র্রিক কার নাকি, হাইড্রোজেন থেকে উৎপাদিত ব্লু গ্যাস বা ফুয়েল সেল চালিত গাড়ি বিশ্বের ভবিষ্যৎ বাজার দখল করবে।

]]>
Petrol-Diesel: কেন্দ্রের পর ২২ টি রাজ্যেও কমল পেট্রোল-ডিজেলের দাম https://ekolkata24.com/uncategorized/petrol-and-diesel-prices-also-declined-in-22-states Sat, 06 Nov 2021 08:22:41 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10459 News Desk: দেওয়ালির রাতে পেট্রোল (Petrol) ও ডিজেলের (Diesel) উপর এক্সসাইজ শুল্ক কমিয়েছিল কেন্দ্র। মোদি সরকার ঘোষণা করেছিল, সরকারের তরফে এটা মানুষকে দেওয়ালির উপহার। পেট্রোলে লিটার প্রতি ৫ টাকা এবং ডিজেলের ১০ টাকা শুল্ক হ্রাস করার ফলে কিছুটা হলেও দাম কমেছিল এই দুই পেট্রোপণ্যের। এবার কেন্দ্রের দেখানো পথেই ২২টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পেট্রোল ও ডিজেলের ওপর ভ্যাট অনেকটাই কমানোর সিদ্ধান্ত নিল।

পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল অবশ্য দাম কমানোর রাস্তায় হাঁটেনি। বৃহস্পতিবার রাতে পেট্রোল ও ডিজেলের উপর এক্সাইজ শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন রাজ্য সরকারের কাছে এক আবেদনে ভ্যাট কমানোর আর্জি জানিয়ে ছিল। কেন্দ্রের ওই আবেদনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিজেপি শাসিত ৯ রাজ্য পেট্রোল ডিজেলের ভ্যাট কিছুটা কমায়। ওই ৯ রাজ্যের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরও ১৩ টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ভ্যাট কমানোর কারণে ওই সমস্ত রাজ্যগুলিতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অনেকটাই কমেছে।

কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের প্রকাশিত তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমেছে ২২টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। পেট্রোল ও ডিজেলের সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে কেন্দ্রশাসিত লাদাখে। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে কর্নাটক ও পুদুচেরি। লাদাখে প্রতি লিটার পেট্রোলে ১৩:৪৩ টাকা এবং ডিজেলে ১৯.৬১ টাকা করে দাম কমেছে। ওড়িশা লিটারপ্রতি পেট্রল ও ডিজেলে তিন টাকা এবং মধ্যপ্রদেশ সরকার চার টাকা করে ভ্যাট কমানোর কথা ঘোষণা করেছে।

অন্যদিকে মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, দিল্লি তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, কেরল, অন্ধপ্রদেশ, মেঘালয়, ঝাড়খন্ড ছত্রিশগড়, রাজস্থান এবং কেন্দ্রশাসিত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভ্যাট কমানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

ইতিমধ্যেই এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে বিজেপি পথে নেমে পড়েছে। বিজেপির দাবি, অবিলম্বে অন্যান্য রাজ্যগুলির মত সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতেও পেট্রোল ও ডিজেলের উপর ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যদিকে বিজেপির একসময়ের শরিক শিবসেনা পেট্রোল ও ডিজেলের উপর শুল্ক কমানোর কড়া সমালোচনা করেছে।

শিবসেনার মুখপাত্র সামনায় লেখা হয়েছে, মোদি সরকার আসলে দেওয়াল লিখন পড়তে পেরেছে। পেট্রোল-ডিজেলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি যে মানুষ আদৌ ভালোভাবে দেখছে না সেটা বিজেপি বুঝে গিয়েছে। সে কারণেই তারা উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে। ভোটবাক্সে গণরোষ টের পাওয়ার কারণেই বিজেপি সরকার বাধ্য হয়েই পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমিয়েছে।

]]>
উপনির্বাচনের ফলাফলের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবেই পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমল: চিদম্বরম https://ekolkata24.com/uncategorized/petrol-and-diesel-prices-as-byproducts-of-by-election-results-chidambaram Thu, 04 Nov 2021 11:46:39 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10263 News Desk: ২৯টি বিধানসভা এবং তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফলের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবেই পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য হ্রাস হল। পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য হ্রাসের সিদ্ধান্তে এটাই প্রমাণ হল যে, মোদি সরকার মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর কারণেই পেট্রোপণ্যের দাম লাগামছাড়াভাবে বেড়ে চলেছে।

কংগ্রেস দিনের পর দিন এই অভিযোগ করেছে। সেই অভিযোগ যে কতটা সত্যি সেটা আজ সকলেই বুঝতে পারছেন। মোদি সরকারের লোভের কারণেই দেশে পেট্রোপণ্যের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য হ্রাস করা সম্পর্কে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম (P Chidambaram)।

দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, গত কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম বেড়েছে এটা ঠিক। কিন্তু সেটা কখনওই এতটা বাড়েনি যে, দেশের বাজারে পেট্রল, ডিজেলের লিটার প্রতি দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। আসলে মোদি সরকার দিনে-দুপুরে মানুষের পকেট কাটছে। মোদি সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হল তাদের কয়েকজন শিল্পপতি বন্ধুর পকেট ভরানো। দেশের বাকি মানুষের কি হল তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। সে কারণেই তারা লাগামছাড়াভাবে পেট্রোপণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছিল। উপনির্বাচনের ফলাফল এবং কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই মোদি সরকার শেষ মুহূর্তে সামান্য দাম কমিয়ে চমক দেখাতে চাইছে।

পেট্রোল-ডিজেলের হঠাৎ করে দাম কমানো প্রসঙ্গে কংগ্রেস এদিন মোদি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা (priyanka gandhi) গান্ধী বলেছেন, মোদি সরকার মন থেকে নয়, ভয় পেয়ে পেট্রোপণ্যের দাম কমিয়েছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাও Randeep Sing Surjawala)মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, চলতি বছরে মোদি সরকার প্রতি লিটার পেট্রোলে ২৮ টাকা এবং ডিজেলের দাম ২৬ টাকা বাড়িয়েছে। এখন তারা প্রতি লিটার পেট্রোলে ৫ টাকা এবং ডিজেলে ১০ টাকা দাম কমিয়ে দেওয়ালির উপহার বলে চিৎকার করছে। আসলে এটা মোদি সরকারের এক বড় জুমলা।

আরজেডি নেতা তথা দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ Lalu Prasad) যাদবও একই কথা বলেছেন। লালুর দাবি, পেট্রোল ডিজেলে লিটার প্রতি ৫০ টাকা করে দাম কমানো উচিত ছিল। কিন্তু মোদি সরকার সেটা করেনি। চমক দিতে লিটারপ্রতি মাত্র ৫ ও ১০ টাকা দাম কমিয়েছে। তবে আগামী কয়েক মাস পরে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেলে মোদি সরকারের ফের পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়িয়ে দেবে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা যশবন্ত সিনহা (Yasbant Sinha)বলেছেন, পেট্রোপণ্যের দাম যতটা কমানো উচিত ছিল ততটা কমেনি। মোদি সরকার সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে আদৌ চিন্তিত নয়। মোদি সরকার যদি সাধারণ মানুষের কথা ভাবতো তবে কখনওই এভাবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ত না। মোদি সরকারের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে মাটির কোনও যোগ নেই। যদি থাকতো তাহলে তাঁরা দেখতে পেতেন, পেট্রোল- ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে।

]]>
প্রবল ভয় পেয়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমিয়েছে মোদি সরকার: সোনিয়া https://ekolkata24.com/uncategorized/modi-government-has-reduced-the-price-of-petrol-and-diesel-out-of-fear Thu, 04 Nov 2021 11:37:25 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10260 News Desk: একদিকে প্রবল ভয় অন্যদিকে ভোট রাজনীতি, এই দুই কারণে হঠাৎ করে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। বলা যেতে পারে মন থেকে নয়, প্রবল ভয় ও আতঙ্কের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

গত রবিবার ১৩ টি রাজ্যের ২৯টি বিধানসভা কেন্দ্র ও তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, বিজেপি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। দলের এই হতাশজনক ফলাফল ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন এবং আগামী বছরের শুরুতেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে যে বিরূপ প্রভাব ফেলবে সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে যায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। সে কারণেই তড়িঘড়ি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুধু কেন্দ্র নয়, বিজেপি যে ১০টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে সেই রাজ্যগুলিও পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেশ কিছুটা কমিয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতিদিনই দেশে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছিল। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। এই মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কংগ্রেস-সহ দেশের প্রায় সবকটি বিরোধীদল। উৎসবের মরসুম শেষ হলেই চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই দেশজুড়ে আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করেছিল কংগ্রেস। উপনির্বাচনের ফলাফল এবং আর এক মাস দুই-তিনের মধ্যেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই মোদি সরকার তড়িঘড়ি পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমিয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর পর বিরোধীরা আর আন্দোলন করবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

দাম কমার পর এদিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট করে বলেন, মোদি সরকার মন থেকে নয় আতঙ্কের কারণে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই লুটেরা সরকারকে আগামী নির্বাচনে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। এজন্য মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রিয়াঙ্কা। পাশাপাশি কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, চলতি বছরে মোদি সরকার প্রতি লিটার পেট্রোলে ২৮ টাকা এবং ডিজেলে ২৬ টাকা দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু বুধবার পেট্রোল ৫ টাকা এবং ডিজেলে ১০ টাকা দাম কমিয়ে মোদি সরকার বলছে, এটা তাদের তরফ থেকে মানুষকে দেওয়া দীপাবলীর উপহার। আসলে এটা আরও একটা বড় জুমলা।

অন্যদিকে আরজেডি নেতা তথা দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব দাম কমানোর এই সিদ্ধান্তকে মোদির নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন। লালুর দাবি, কেন্দ্রের উচিত ছিল প্রতি লিটার পেট্রোল ও ডিজেলে ৫০ টাকা করে দাম কমানো। মোদি সরকার দাম এতটাই বাড়িয়েছে যেটা মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে। দেখা যাবে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেলে ফের দাম বাড়াবেন মোদি। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা যশবন্ত সিনহা বলেছেন, পেট্রোল-ডিজেলের মাধ্যমে মোদি কোটি কোটি টাকা লুট করেছেন। মোদিজি খুব দয়াবান তাই মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পেট্রোল-ডিজেলে যৎসামান্য দাম কমিয়েছেন। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দেশের বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের দামের কী অবস্থা হয় এখন সেটাই দেখার।

]]>
হাতের নাগালে সস্তার পেট্রোল-ডিজেল ভুটানে, হাত কামড়াচ্ছেন বাংলার চালকরা https://ekolkata24.com/offbeat-news/petrol-diesel-prices-in-bhutan-are-lower-than-in-india Sat, 17 Jul 2021 08:50:27 +0000 https://www.ekolkata24x7.com/?p=932 থিম্পু ও জয়গাঁ(আলিপুরদুয়ার): বন্ধ ড্রাগন ফটক-ভুটান গেট। লাল চোখ করে রয়াল ভুটানি পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। কোনওভাবেই প্রতিবেশি দেশে ঢুকে আর পেট্রোল ডিজেল কেনার উপায় নেই সীমান্তবর্তী আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁবাসীর। অগত্যা সেঞ্চুরি হাঁকানো পেট্রোল কিনে পকেটের গচ্চা দিতে হচ্ছে।

এক লিটার পেট্রোলের দাম ভুটানের মূল্যে ৬৮ টাকার মতো। আর ডিজেল মূল্য ৬৬. ৪১ টাকা। হিমালয় বেষ্টিত ভূখণ্ড ও আর্থিকভাবে দূর্বল হওয়ায় জ্বালানি তেলের মূল্যে আন্তর্জাতিক ভর্তুকি পায় ভুটান সরকার।

ভুটানের টাকা (নিউলট্রম) ও ভারতীয় টাকার মূল্যমান সমান। ভুটানে সর্বত্র ভারতের টাকা চলে। আর সীমান্ত এলাকায় ভুটানের টাকা দেদার চলে ভারতে। দুই দেশের টাকার মূল্যমান সমান হওয়ার কারণে যে কোনও সীমান্তবাসী ভারতীয় ভুটান ঢুকে সস্তার জ্বালানি ভরতেন। ফলে রমরমিয়ে চলত ভুটানের পেট্রোল পাম্পগুলি। করোনার কারণে সীমান্ত বন্ধ থাকায় আর এই সস্তার পেট্রোল, ডিজেল কেনা যাচ্ছে না।

হাত কামড়াচ্ছেন ভুটান সীমান্তের লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ ও অসমের বিভিন্ন জনপদের বাসিন্দারা। আগে যেভাবে হুট করে ভুটানে ঢুকে জ্বালানি তেল গাড়ির ট্যাংকে ভরে চলে আসা যেত, সেটি হচ্ছে না ড্রাগন রাজার ফরমানে।

করোনাভাইরাস রুখতে ভুটান সরকার ভারত সংলগ্ন সব সীমান্ত বন্ধ রেখেছে। দেশটির দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে সংক্রমণ বাড়ছে। বিভিন্ন জেলা শহর ও মফস্বলগুলিতে প্রায়ই লকডাউন চালানো হচ্ছে। ভুটান স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও অবস্থায় করোনা বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করা যাবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ভুটান করোনা মোকাবিলায় অভূতপূর্ব সফলতা দেখিয়েছে। গত এক বছরে মৃত মাত্র একজন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও গণস্বাস্থ্য কর্মসূচির বিরাট প্রয়োগ ঘটিয়ে ভুটান নজির গড়েছে। সাফল্যের এই খতিয়ানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চালিকাশক্তি ওয়ার্ল্ড হেল্থ অ্যাসেম্বলির সভাপতি এখন ভুটান।

পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জেলা কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির সংলগ্ন ভুটানের সীমান্তে কড়া নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ডা লোটে শেরিং। সীমান্ত এলাকার মাইলের পর মাইল ঘুরে নিয়মিত করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক।

]]>