Durga Puja 2021 – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Thu, 14 Oct 2021 06:51:04 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Durga Puja 2021 – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Durga Puja 2021: নবমীতে আত্রেয়ীর বোয়াল, রাইখয়রা মাছেই তুষ্ট হন দেবী https://ekolkata24.com/offbeat-news/the-puja-of-navami-paul-family-of-balurghat Thu, 14 Oct 2021 06:51:04 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7576 বিশেষ প্রতিবেদন: পুজোর প্রায় শেষ লগ্ন। শেষবেলায় উমার খাতির যত্নে ফাঁক রাখলে চলবে না। আবার তো সেই এক বছর পর! পাঁজি বলছে আজ মহানবমী। বাতাসে শিউলি ফুলের গন্ধটাও কেমন মিলিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। মার সামনে নিবেদন করা হল অন্নভোগ,সাথে রাইখোল বা রাইখয়রা আর বোয়াল মাছ।

হচ্ছে বালুরঘাটের ঐতিহ্যবাহী পাল বাড়ির পুজোর।এই পুজোর সঠিক বয়স স্মৃতিতে নেই কারোর। তবুও আনুমানিক ৩৫০ বছর তো হবেই। এই ৩৫০ বছরে আত্রেয়ী তার পথ বদলেছে কতবার! শহরে পরিণত হয়েছে বালুরঘাট। কিন্তু আত্রেয়ীকে ঘিরে গড়ে ওঠা এই শহরে বদলায়নি পাল বাড়ির ঐতিহ্য। বদলায়নি এই বাড়ির পুজোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা শহরবাসীদের উত্তেজনা।

পুজোর সূচনা এক তান্ত্রিকের হাত ধরে। তিনিই আত্রেয়ীর ধারে স্থাপন করেছিলেন পঞ্চমুন্ডির আসন। সেখানে শুরু হয় শক্তির আরাধনা। এলাকায় সেই সময় খুব একটা জনপ্রিয় ছিলনা দুর্গাপুজো। সেইসময় গৌরী পাল ছিলেন বালুরঘাটের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনিই এখানে শুরু করেন দুর্গাপুজো। সেই সময় আটচালা টিনের ছাউনি, আর মাটির বেদীতেই সম্পন্ন হতো পুজো।

তবে সময়ও এগিয়েছে নিজের মতো। একসময় মহাধুমধামভাবে হওয়া পুজোয় আজও আড়ম্বরে কোনোরকম ভাঁটা পড়েনি। প্রায় ৮০ বছর আগে পাল বাড়ির পুজোর দায়িত্বে এগিয়ে আসেন প্রতিবেশীরাও। তাঁরা চাননি,এই ঐতিহ্যবাহী পুজো বন্ধ হোক কোনোভাবেই। সেই থেকেই পুজোর সব দায়িত্ব সামলে আসছেন তাঁরা। প্রায় ৪০ বছর হল তৈরী হয়েছে পাকা পুজো মন্ডপ। গঠন হয়েছে পুজো কমিটিও। পাড়ার সবাই মিলে পুজোর আয়োজন করলেও আজও এই পুজো পালবাড়ির পুজো নামেই বিদ্যমান। থিম পুজোর ছোঁয়াও লেগেছে খানিক, তবে সাবেকিয়ানা এখনো অটুট। শুধু শহরবাসীই নন, পুজোয় হাজির থাকেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন। একটি বছর ঘুরে উমা সপরিবারে এল, তাঁকে না দেখলে হয়!

ভক্তদের মনে মায়ের জন্য আলাদা স্থান সবসময়। তাঁদের বিশ্বাস মায়ের কাছে ভক্তি ভরে কিছু চাইলেই মা তার পূর্ণ করেন। এমন কত শত অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে এলাকাবাসী! তবে নবমীর ভোগে থাকে বিশেষত্ব। নয় রকমের ভোগের মধ্যে থাকে রাইখর ও বোয়াল মাছ। তাও পুকুরের রাইখোল নয়, ভোগে প্রয়োজন আত্রেয়ীর রাইখোল মাছই। এটিই পালবাড়ির দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নিয়ম।

দশমীতে এখানে করা হয় না অপরাজিতা পুজো। শুরু থেকেই এই নিয়ম। দশমীতে পান্তাভাতের সাথে পুঁটি মাছ নয়, থাকে রাইখোল মাছ ভাজা। যেখানে যেমন নিয়ম! ইন্টারনেট মাধ্যমেই পুজো দর্শনের ব্যবস্থা ছিল গত বছর। এবারও অন্যথা হয়নি। মাকে ঘরে বসেই প্রণাম সেরেছিলেন ভক্তগণ। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় এখনো অক্ষুণ্ণ পালবাড়ির পুজোর ঐতিহ্য।

]]>
Durga Puja 2021: করোনাবিধি মেনে জয়রামবাটিতে কুমারী পুজো https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2021-jayarambati-kumari-pujo-according-to-the-rules-of-coronation Wed, 13 Oct 2021 16:18:00 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7544 অনলাইন ডেস্ক: করোনা আবহের মধ্যেও যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন, সামাজিক দূরত্ব বজায়, সরকারী নিষেধাজ্ঞা, সর্বোপরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হলো জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে৷ শ্রী শ্রী সারদা মায়ের জন্মস্থান বাঁকুড়ার জয়রামবাটিতে ভোর ৫.৩০ মিনিটে অষ্টমীর পুজো শুরু হয়। ঠিক সকাল ৯ টায় শুরু হয় কুমারী পুজো। 

এবার জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে দেবী রূপে পূজিতা হলেন ৫ বছর ১০ মাসের আরুশা মুখার্জী। প্রসঙ্গত, আরুশা মুখার্জী সারদা মায়ের বংশজ শান্তিনাথ মুখার্জীর নাতনি।

প্রথানুযায়ী জয়রামবাটির সারদা মায়ের আদি বাড়ি থেকে সিংহাসনে শোভাযাত্রা সহকারে মঠের সন্ন্যাসীরা কুমারীকে নিয়ে মাতৃ মন্দিরের মণ্ডপে আসেন। সেখানেই মন্ত্রোচারণের মধ্যে দিয়ে চলে কুমারী পুজো।

জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে প্রতি বছর দুর্গাপুজোর চার দিন অসংখ্য দর্শনার্থী আসেন। কুমারী পুজো উপলক্ষ্যে অষ্টমীর সকালে সেই সংখ্যা আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এবার সেই সুযোগ নেই। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সমারোহ ও মণ্ডপ ছাড়াই নাট মন্দিরে পুজো হচ্ছে। দর্শনার্থীদের প্রবেশের উপরেও আছে নিষেধাজ্ঞা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো এলাকা জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

]]>
Durga Puja 2021: আর্থিক অসঙ্গতিকে হার মানিয়ে ওপার বাংলায় আজও বর্তমান রণদা প্রসাদের পুজো https://ekolkata24.com/offbeat-news/durga-puja-2021-the-historical-puja-of-bangladesh Wed, 13 Oct 2021 07:08:57 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7494 বিশেষ প্রতিবেদন : আর্থিক অসঙ্গতির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই বাড়ির প্রায় ৩০০ বছরের ঐতিহ্যের দুর্গাপূজা। কিন্তু পরিবারের এক সদস্যের ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে তিনি ফিরে আসেন সেখানেই। এমনই ইতিহাস নিয়ে আজও মহা সমারোহে দুর্গা পুজিতা হন বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়িতে।

জানা যায়, রণদা প্রসাদের পূর্বপুরুষেরাও বাড়িতে দুর্গাপূজা করতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় দুর্গাপূজা। শৈশবে মাতৃহারা রণদা প্রসাদ সাহার মাতৃভক্তি ছিল সাধারণের চেয়ে একটু বেশি। মা না থাকায় অনাদরে বড় হওয়ায় রণদা মাত্র ১৬ বছর বয়সে পালিয়ে আসেন কলকাতায়। অপরিচিত কলকাতায় তার কোনো আশ্রয় ছিল না। জীবনধারণের জন্য কুলিগিরি, রিকশা চালানো, ফেরি করা, খবরের কাগজ বিক্রির মতো কাজ করেছেন তিনি।

কলকাতায় তখন কাজের সন্ধানে ছুটে আসা ভুখানাঙ্গা মানুষের ভিড়। গ্রামের পর গ্রাম উজাড় করে দেয় ম্যালেরিয়া। এর মাঝেই তিনি জড়িয়ে পড়েন স্বদেশি আন্দোলনে। মানুষের দুর্দশা লাঘবের জন্য বিপ্লবের দীক্ষা পথ বেছে নেন। এজন্য তাকে কারাভোগও করতে হয়।১৯১৪ সাল। সারা বিশ্বে মহাযুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের নেতা সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বিপ্লবীদের আহ্বান জানালেন ইংরেজদের হয়ে বিশ্বযুদ্ধে লড়াই করার জন্য। স্বেচ্ছাসেবী বেঙ্গল অ্যাম্বুলেন্স কোরের হয়ে যুদ্ধে নামেন রণদা প্রসাদ সাহা। ব্রিটিশ সেনাদের তখন দারুণ খাদ্যাভাব। নানা রোগে আক্রান্ত তারা। রণদা আহত সৈনিকদের সেবায় ডুবে যান।

বৃটিশ সরকার প্রথম মহাযুদ্ধ থেকে ফিরে আসা ভারতীয়দের সবাইকে যোগ্যতা অনুসারে চাকরি দিয়েছিল। লেখাপড়া সামান্য হলেও যুদ্ধে তার অবদানের কথা বিবেচনা করে রেলওয়ের কালেক্টরের চাকরি দেওয়া হয়েছিল রণদাপ্রসাদকে। কর্মস্থল ছিল সিরাজগঞ্জ থেকে শিলাইদহ।

এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পড়ার জেরে ১৯৩২ সালে ওই চাকরিতে ইস্তফা দেন। ক্ষতিপূরণ হিসেবে যে টাকাটা পান তা দিয়ে শুরু করেন কয়লার ব্যবসা। ফুলেফেঁপে ওঠে ব্যবসা। নিজের বাড়ির মন্দিরে জমজমাট আয়োজনে পূর্বপুরুষের করা দুর্গাপূজা পুনরায় শুরু করেন। শুধু পূজা নয়, পূজাকে কেন্দ্র করে যাত্রাপালা, নাটক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করতে শুরু করেন, যা আজও বহাল তবিয়তে বর্তমান। সেই সময়ে দরিদ্র মানুষদের বস্ত্র বিতরণ করা হতো। পূজার সময় ১২ জোড়া ঢাকি ঢাক বাজাতেন, আন্ধরা গ্রামের রশিক ভবনের পেছনে প্রায় ৬০ ফুট উঁচুতে তৈরি করা নহবতখানা থেকে সানাই বাজানো হতো।

স্বাধীনতার পর নহবতখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। বছর ছয়েক আগে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে নহবতখানা। ১৯৭১ সালের ৭ মে রণদা প্রসাদ সাহা ও তাঁর ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। তারপর তাঁরা আর ফিরে আসেননি। অনেকেই সে সময় ভেবেছিলেন বাবা-ছেলের অন্তর্ধানের মধ্যদিয়ে জাঁকজমক পূজার আয়োজনও হারিয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি।’ ৭২ সালে তাঁর বড় মেয়ে জয়া পতি কুমুদিনী কল্যাণ ট্রাস্টের দায়িত্ব নেন। তিনি তাঁর বাবার মতোই আয়োজন অব্যাহত রাখেন। আর রণদা প্রসাদ সাহার নাতি রাজিব প্রসাদ সাহা এখন কুমুদিনী কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান।

তিনি বর্তমানে পূজার আয়োজনে এনেছেন আরও বর্ণাঢ্যতা। আজ তিনি নেই, কিন্তু সেই আয়োজন আছে। এ বাড়ির পূজার আয়োজনটা এখনো অন্য আর দশটি পূজামণ্ডপের মতো নয়। পঞ্চমীর দিনে সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হয়। প্রতিদিন নাচ, গান, আরতিসহ নানা আয়োজন থাকে।তাই আজও এখানে পূজা দেখতে আসেন রাজনীতিক, সরকারি পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কূটনীতিক, দেশবরেণ্য ব্যক্তি, শিল্পী, সাহিত্যিকসহ সব শ্রেণীর মানুষ। বিজয়া দশমীতে নৌকার করে লৌহজং নদী ঘুরে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেওয়া হয়।

]]>
Durga Puja 2021: পুজোর মাত্র চার পাঁচদিনের আগে বেলুড়ে দুর্গোৎসবের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্বামীজী https://ekolkata24.com/offbeat-news/durga-puja-2021-thats-how-puja-started-in-belur-math-by-swamiji Wed, 13 Oct 2021 06:38:27 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7489 বিশেষ প্রতিবেদন: ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে প্রথম দুর্গাপুজো করলেন। আর সেই থেকেই বেলুড় মঠে দুর্গাপুজোর প্রচলন হল। কিন্তু কীভাবে শুরু হয়েছিল সেই পুজো?

বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই স্বামী বিবেকানন্দের মনে ইচ্ছে ছিল যে তিনি বেলুড়মঠে দুর্গাপুজো করবেন। কিন্তু নানা কারণে তা আর হয়ে উঠছিল না। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে বেলুড়মঠ প্রতিষ্ঠার পর স্বামীজী প্রায়ই তাঁর প্রিয় বেলগাছতলায় বসে সম্মুখে প্রবাহিতা গঙ্গার দিকে তাকিয়ে আপন মনে গাইতেন, “বিল্ববৃক্ষমুলে পাতিয়া বোধন/গণেশের কল্যাণে গৌরীর আগমন।/ঘরে আনব চণ্ডী, কর্ণে শুনব চণ্ডী,/আসবে কত দণ্ডী, জটাজুটধারী।…”

১৯০১ সালের মে-জুন মাস। স্বামীজির অন্যতম গৃহী শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তী বেলুড়মঠে এলে বিবেকানন্দ তাঁকে ডেকে রঘুনন্দনের ‘অষ্টবিংশতি তত্ত্ব’ বইটি কিনে আনার জন্য বললেন। শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তী কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি রঘুনন্দনের বইটি নিয়ে কি করবেন?’ স্বামীজি বলেছিলেন, ‘এবার মঠে দুর্গোৎসব করবার ইচ্ছে হচ্ছে। যদি খরচ সঙ্কুলান হয় ত মহামায়ার পুজো করব। তাই দুর্গোৎসব বিধি পড়বার ইচ্ছা হয়েছে। তুই আগামী রবিবার যখন আসবি তখন ঐ পুস্তকখানি সংগ্রহ করে নিয়ে আসবি।’ যথাসময়েই শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তী বইখানি বিবেকানন্দকে এনে দিয়েছিলেন। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বইটি পড়া শেষ করে বিবেকানন্দ তাঁর স্নেহভাজন শিষ্যের সঙ্গে আবার দেখা হতেই জানিয়েছিলেন, ‘রঘুনন্দনের স্মৃতি বইখানি সব পড়ে ফেলেছি, যদি পারি তো এবার মার পূজা করব।’

এরপর দীর্ঘদিন কেটে যায়। পুজোর সময়ও এসে যায়। কিন্তু পুজোর এক সপ্তাহ আগেও এ নিয়ে কোনও কথাবার্তা বা উদ্যোগ দেখা গেল না। হয়ত এ বারও বিবেকানন্দের ইচ্ছাটির পূরণ হল না। কিন্তু হঠাৎই একদিন, তখন পুজোর আর মাত্র চার-পাঁচ দিন বাকি, স্বামীজি কলকাতা থেকে নৌকা করে বেলুড়মঠে ফিরেই ‘রাজা কোথায়? রাজা কোথায়?’ বলে স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের খোঁজ করতে লাগলেন। (স্বামী ব্রহ্মানন্দকে স্বামী বিবেকানন্দ রাজা বলে সম্বোধন করতেন)। স্বামী ব্রহ্মানন্দকে দেখতে পেয়েই বিবেকানন্দ বলে উঠলেন, ‘এবার মঠে প্রতিমা এনে দুর্গাপূজা করতে হবে, তুমি সব আয়োজন করে ফেলো।’ সবে আর মাত্র চার-পাঁচটা দিন বাকি রয়েছে। এত কম সময়ের মধ্যে সব আয়োজন কীভাবে করবেন, প্রতিমাই বা পাওয়া যাবে কি না, এই সব ভেবে ব্রহ্মানন্দজী স্বামীজির কাছে দুটো দিন সময় চাইলেন। স্বামীজি বললেন, ‘আমি ভাব-চক্ষে দেখেছি এবার মঠে দুর্গোৎসব হচ্ছে এবং প্রতিমায় মার পূজা হচ্ছে।’

তখন স্বামী ব্রহ্মানন্দজীও তাঁর এক অদ্ভুত দর্শনের কথা স্বামী বিবেকানন্দকে জানালেন। দিন চারেক আগের ঘটনা। ব্রহ্মানন্দজী বেলুড়মঠের গঙ্গাতীরে বসেছিলেন। হঠাৎই দেখলেন দক্ষিণেশ্বরের দিক থেকে মা দুর্গা গঙ্গা পার হয়ে মঠের বেলগাছতলায় এসে উঠলেন।

স্বামীজি আর ব্রহ্মানন্দ মহারাজের মধ্যেকার এই সব কথাবার্তা বেলুড়মঠের অন্যান্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পরতেই বেশ হই হই পড়ে গেল। ব্রহ্মানন্দ মহারাজ ব্রহ্মাচারী কৃষ্ণলালকে কলকাতার কুমারটুলিতে পাঠালেন কোনও প্রতিমা পাওয়া যাবে কি না দেখে আসতে। আর কী আশ্চর্য! ব্রহ্মচারী কৃষ্ণলাল কুমারটুলিতে গিয়ে দেখলেন যে মাত্র একটিই সুন্দর প্রতিমা সেখানে অবশিষ্ট রয়েছে। যিনি বা যাঁরা সেই প্রতিমাটি তৈরি করতে দিয়েছিলেন, সে দিনও পর্যন্ত তাঁরা সেটি নিতে আসেননি। ব্রহ্মচারী কৃষ্ণলাল শিল্পীকে ওই প্রতিমাটি পাওয়া যাবে কি না জিজ্ঞাসা করতে শিল্পী একটি দিন দেখে নেওয়ার সময় চাইলেন। বেলুড়মঠে ফিরে এসে এই খবর স্বামী বিবেকানন্দকে জানাতেই তিনি ব্রহ্মচারী কৃষ্ণলালকে বললেন, ‘যেমন করেই হোক তুমি প্রতিমাখানি নিয়ে আসবে।’

পরের দিন স্বামী বিবেকানন্দ স্বয়ং ব্রহ্মচারী কৃষ্ণলাল ও স্বামী প্রেমানন্দকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় শ্রীশ্রীমাতাঠাকুরাণীর দেবীর কাছে গেলেন বেলুড়মঠে দুর্গাপুজো করার অনুমতি চাইতে। শ্রীশ্রীমা সানন্দে অনুমতি দিলেন, শুধু পশুবলি দিতে নিষেধ করলেন। ইতিমধ্যে স্বামী প্রেমানন্দ কুমারটুলিতে সেই প্রতিমা শিল্পীর কাছে গিয়ে দেখলেন প্রতিমাটি সে দিনও কেউ নিতে আসেনি। তিনি প্রতিমা শিল্পীর সঙ্গে সমস্ত কথাবার্তা ঠিক করে প্রতিমাটি বায়না করে এলেন। অন্যদিকে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজ পুজোর সমস্ত আয়োজন করে ফেললেন।

সেবার দুর্গাপুজোর তিথি পড়েছিল কার্তিক মাসে। ১লা কার্তিক, শুক্রবার (১৮ই অক্টোবর) ছিল ষষ্ঠী। তার আগের দিন অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন ব্রহ্মচারী কৃষ্ণলাল, স্বামী নির্ভয়ানন্দ এবং আরও কয়েক জন সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারী মিলে কুমারটুলি থেকে নৌকা করে দুর্গা প্রতিমাখানি মঠে নিয়ে এলেন। মঠের উত্তর দিকের জমিতে দুর্গাপুজোর এক বিরাট মণ্ডপ বানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতিমাখানি সেখানে না নিয়ে গিয়ে ঠাকুর ঘরের নীচতলার দালানে রাখা হল। এর কিছুক্ষণ বাদেই আকাশ ভেঙে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি শুরু হল। তবে তাতে প্রতিমা বা মণ্ডপের কোনও ক্ষতি হয়নি।

ষষ্ঠীর দিন সকালে বাগবাজার থেকে শ্রীশ্রীমাতাঠাকুরাণী তাঁর অন্যান্য ভক্তদের নিয়ে বেলুড়মঠে চলে এলেন। তাঁর থাকবার ব্যবস্থা হয়েছিল নীলাম্বর মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। বলা হয় যে সন্ন্যাসীদের কোনও পুজো বা বৈদিক ক্রিয়াকাণ্ডে অধিকার নেই। কেননা তাঁরা সর্বত্যাগী। তাই শ্রীশ্রীমাতাঠাকুরাণীর নামেই পুজোর সংকল্প করা হয়েছিল। আজও বেলুড়মঠের পুজোয় শ্রীশ্রীমায়ের নামেই সংকল্পের প্রথা অব্যাহত রয়েছে। স্বামীজির প্রিয় বেলগাছতলাতে বোধন অনুষ্ঠান হল। এরপর ঠাকুর দালান থেকে প্রতিমাকে মণ্ডপে এনে স্থাপন করা হল। যেন মহোৎসব শুরু হল। অধিবাস, ষষ্ঠীর পুজো ইত্যাদি। শ্রীশ্রীমাতাঠাকুরাণীর অনুমতি নিয়ে পুজো করতে বসলেন ব্রহ্মচারী কৃষ্ণলাল। সঙ্গে তন্ত্রধারকরূপে ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র ভট্টাচার্য।

২রা কার্তিক (১৯ অক্টোবর) শনিবার ছিল সপ্তমীপুজো। স্বামী বিবেকানন্দ ওই দিন যেন ছিলেন পূর্ণ আনন্দে উজ্জীবিত। কখনও এ দিক ও দিক পায়চারি করে সবকিছু তদারকি করছেন, কখনও বা মণ্ডপে বসে সকলের সঙ্গে হাসি গল্পে মেতেছেন। কিন্তু ৩ কার্তিক (২০ অক্টোবর) রবিবার মহাষ্টমীর দিন তিনি অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়লেন। সেদিন আর মণ্ডপেই আসতে পারলেন না। দোতলায় নিজের ঘরে ভীষণ জ্বরে শস্যাশায়ী থাকলেন। তবে ৪ঠা কার্তিক (২১শে অক্টোবর) সোমবার ভোরবেলা সন্ধিপুজোর সময় স্বামীজী মণ্ডপে এসে বসলেন। শ্রীশ্রীদুর্গামায়ের পাদপদ্মে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করলেন।

এরপর কয়েকজন কুমারীর পুজো হল, স্বামীজীর অনুরোধে গৌরী মা (শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মন্ত্র শিষ্যা ও একমাএ সন্ন্যাসিনী শিষ্যা, প্রথম নারী মঠ শ্রী শ্রী সারদেশ্বরী আশ্রমের প্রতিষ্ঠাএী ) কুমারী পূজার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। পাদ্য- অর্ঘ- শঙ্খবলয় – বস্ত্রাদি দিয়ে স্বামীজী নয়জন কুমারীকে পূজা করেন । স্বামীজী সেই সকল কুমারীদিগকে ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করেন। ভাবাবস্থায় একজন কুমারীকে ( শ্রীশ্রীমাতাঠাকুরাণীর মন্ত্র শিষ্যা ও একমাএ সন্ন্যাসিনী শিষ্যা, সারদেশ্বরী আশ্রমের দ্বিতীয় অধ্যক্ষা দূর্গা পুরী দেবী ) কপালে রক্তচন্দন পড়াবার সময় স্বামীজী শিহরিয়ে উঠে বলেছিলেন- “আহা দেবীর তৃতীয় নয়নে আঘাত লাগে নি তো।” উক্ত কুমারীদের মধ্যে রামলাল দাদার কনিষ্ঠা কন্যা রাধারানীও অন্যতমা ছিলনে । শ্রীশ্রীমাতাঠাকুরাণীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং এই দিন রামলাল দাদার জ্যেষ্ঠা কন্যা কৃষ্ণময়ীদিদিকেএবং আরও কয়েকজন সধবাকেও ‘এয়োরানী পূজা’ করেন। সে এক অপূর্ব দৃশ্য। ওই দিনই মহানবমীর সন্ধ্যায় আরতির পর স্বামীজী একের পর এক ভজন গাইলেন।

৫ই কার্তিক (২২শে অক্টোবর) মঙ্গলবার ছিল বিজয়া দশমী। পুজোর অন্যান্য দিনগুলির মতো বিকেল বেলা প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতেও অসংখ্য মানুষের ভিড় হয়েছিল। শ্রীশ্রীমাতাঠাকুরাণী দুর্গাপ্রতিমা বরণ করলেন, বরণের সময় শ্রীশ্রীমায়ের দুচোখ বেয়ে জলের ধারা প্রবাহিত হচ্ছিল। তিনি বরণ শেষে ঘরের মেয়ে উমা কে চিবুক ধরে চুমো খেয়ে বিদায় জানলেন এবং পরের বছর পুনরায় আসার কথাও তাঁর কানে কানে বলে দিলেন। এরপর ঢাক-ঢোলের বাজনার সঙ্গে সঙ্গে ভক্ত, ব্রহ্মচারী, সন্ন্যাসীগণ সবাই মিলে “মহামাঈ কী জয়”, “দুর্গা মাঈ কী জয়” ধ্বনি দিতে দিতে প্রতিমাকে নৌকায় ওঠালেন। কেউ কেউ তখন বাজানার তালে তালে নাচছিলেন। এমন সময় স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজও এসে নৌকায় উঠলেন। তারপর প্রতিমার সামনে ভাবে বিভোর হয়ে নৃত্য করতে লাগলেন। অসুস্থতার জন্য স্বামীজী দশমীর দিনও দোতলার ঘর থেকে নিচে নামেননি। কিন্তু স্বামী ব্রহ্মানন্দ নৌকায় নাচছেন শুনে আর থাকতে পারেননি।

গঙ্গার ঢেউয়ে ঢেউয়ে ঢাক,ঢোল, কাঁশির তালে তালে নৌকা এগিয়ে চলেছে প্রতিমা নিরঞ্জনের। মাঝে মাঝে সমবেত ধ্বনি উঠছে “দুর্গা মাঈ কী জয়” আর এসবের মাঝেই তুমুল ভাবে বিভোর হয়ে স্বামী ব্রহ্মানন্দজী নেচে চলেছেন। দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাসি হাসি মুখে স্বামীজী এই দৃশ্য দেখতে লাগলেন। এইভাবেই বেলুড়মঠের প্রথম দুর্গোৎসবের সমাপন ঘটল। আজ স্বামীজির করা সেই দুর্গোৎসব এক মহীরুহে রূপান্তরিত হয়েছে। সারা পৃথিবী থেকে ভক্তেরা আসেন এই মহোৎসবে সামিল হতে। স্বামীজি বিশ্বকে জ্যান্ত দুর্গার পূজা দেখাতে চেয়েছিলেন তা তিনি করে দেখিয়েও ছিলেন। পরবর্তী কালে ব্রহ্মানন্দজী বলেছিলেন এই পূজা আমাদের শ্রীশ্রীমাতাঠাকুরাণীরই পূজা মৃণ্ময়ী প্রতিমায়। তিনি এবার সব অস্ত্র রেখে দুইহাত কোলে রেখে এসেছেন “অভয়া” রূপে। তিনিই আমাদের দুর্গোৎসবের প্রাণপ্রতিমা। 

তথ্যসূত্র : সারদা রামকৃষ্ণ , মঠে স্বামীজী দূর্গা পূজা।

]]>
Durga Puja 2021: নবপত্রিকার স্নানে শুরু মহা সপ্তমীর পুজো https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2021-the-worship-of-maha-saptami-begins-with-the-bath-of-navapatika Tue, 12 Oct 2021 07:49:36 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7407 অনলাইন ডেস্ক: করোনা আবহের মাঝেই হাজির বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজা। সোমবার মহা সপ্তমীর সকাল থেকে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন গন্ধেশ্বরী নদীতে চলছে নবপত্রিকার স্নান পর্ব। এদিন বাঁকুড়া শহরের সমস্ত মণ্ডপ, বারোয়ারি ও পারিবারিক পুজো উদ্যোক্তারা এদিন মণ্ডপ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহ ঘট ও নবপত্রিকা স্নানের জন্য পুজো কমিটি গুলি হাজির হয়েছেন শহরের একেবারে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী নদীতে।

]]>
Durga Puja 2021: ভিন রাজ্যে গিয়েও সহজে দেওয়া যাবে মহাষ্টমীর অঞ্জলি https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2021-anjali-of-mahasthami-can-be-easily-given-even-if-you-go-to-another-state Mon, 11 Oct 2021 14:49:05 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7318 নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। তবে দুর্গাপুজোয় বহু বাঙালি পরিবার ভিন রাজ্যে ভ্রমণে গিয়ে থাকেন। আজকাল বেশিরভাগ মানুষেরই সময় কম। কারণ অফিস বা ব্যবসায় সেভাবে ছুটি মেলে না। তাই পুজোর ছুটিতে তাঁরা বাইরে ঘুরে আসতে চান। কিন্তু ভিন রাজ্যে গেলেও সেখানেও মিলবে অঞ্জলি দেওয়ার সুযোগ। এখন প্রশ্ন হল কোন কোন রাজ্যে গেলে মহাষ্টমীর অঞ্জলিতে দিতে কোন অসুবিধে হবে না বাঙালি পর্যটকদের।

বাংলা ছাড়াও দিল্লি, মহারাষ্ট্র, অসম, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, বিহারেও রীতিমতো দুর্গাপুজো হয়। এই সব রাজ্যে বেড়াতে গেলে অঞ্জলি দেওয়ার সমস্যা হবে না। অর্থাৎ বাইরে ঘোরাও হবে, আবার দেওয়া হবে মহাষ্টমীর অঞ্জলি। এমনকী চাইলে দেবীর ভোগ খেতেও পারবেন।

বাংলার পরেই ধুমধাম করে দুর্গা পুজো হয় দিল্লিতে। বিশেষ করে দিল্লির বাঙালি পাড়া হিসেবে পরিচিত চিত্তরঞ্জন পার্কে গেলে কারও মনেই হবে না কলকাতার বাইরে আছেন। এখানে রীতিমতো অঞ্জলি দিতে পারবেন। এমনকী উদ্যোক্তাদের বলে রাখলে ভোগের অভাব হবে না। যদি বাঙালি খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হয় তবে চিত্তরঞ্জন পার্ক সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর বাঙালি রেস্তোরাঁ আছে। যারা দুর্গাপূজার জন্য বিশেষ মেনু তৈরি করে।

দিল্লির পর অসমেও রীতিমতো দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। এই রাজ্যে গেলেও ঘোরার পাশাপাশি অঞ্জলি দিতে কোন সমস্যা হবে না। আসামের গুয়াহাটি, তেজপুর, দিসপুরের মত জায়গায় প্রচুর দুর্গাপুজো হয়। সুন্দর সুন্দর প্রতিমা। রয়েছে পুজোর বিশেষ আয়োজন। যথেষ্ট নিষ্ঠুর সঙ্গেই পুজো হয় অসমের বিভিন্ন এলাকায়। তাই অসম বেড়াতে গিয়ে অঞ্জলি কোনওভাবেই মিস হবে না। বাঙালি খাবার, না সেটা মিস করবেন না।

আমরা এখনও অনেকেই বলি বাঙালিদের দ্বিতীয় বাড়ি হচ্ছে বেনারস বা কাশী। যেখানে বাঙালি থাকবে সেখানে দুর্গাপূজা হবে না, এটা কি ভাবা যায়। তাই কাশীতে যথেষ্ট ধুমধামের সঙ্গে দুর্গোৎসব পালিত হয়। কাশিতে পৌঁছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি যেকোনও পুজো প্যান্ডেলে গিয়ে মহাষ্টমী, মহানবমীর অঞ্জলি দিতে এতোটুকু সমস্যায় পড়বেন না পর্যটকরা। কাশীতে গেলে উপরিপাওনা হল দশেরা। এখানে দুর্গাপুজোর পাশাপাশি ধুমধামের সঙ্গে দশেরা পালিত হয়।

বাংলার পাশের বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে প্রচুর দুর্গাপূজা হয়। কারণ এই তিন রাজ্যে বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই পুরী ঘুরতে গিয়ে দুর্গাপুজো কখনওই মিস হবে না। পাশাপাশি বিহার ও ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যকর জায়গাগুলিতে গেলেও দুর্গাপুজো উপভোগ করতে কোনও অসুবিধা নেই।

সবশেষে আসা যাক দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বইয়ের কথায়। মুম্বইয়ে বাঙালির অভাব নেই। একসময় বহু বাঙালি এখান থেকে পুজোর সময় নিজেদের রাজ্যে ফিরতে পারতেন না। সে কারণেই তাঁরা মুম্বইয়ে পুজো চালু করেছিলেন। তাই মুম্বইয়ে ঘুরতে গিয়ে দুর্গাপুজোর অঞ্জলি দিতে কোনও সমস্যা নেই। পাশাপাশি মুম্বাইয়ের পুজো প্যান্ডেলগুলিতে খাওয়া-দাওয়ার এলাহী আয়োজনও থাকে। পুজোর চারদিন বাঙালি খাবারের অভাব নেই। বিরিয়ানি থেকে পায়েস সব কিছুই মিলবে মুম্বইয়ে। উপরি পাওনা হিসেবে হয়তো কোন প্যান্ডেলে দেখা হয়ে যেতে পারে আমির খান, সলমান খান বা করিণা কাপুরের সঙ্গেও।

]]>
Durga Puja 2021: নারী নির্যাতনের শাস্তি, ধর্ষকের রক্তপান করছেন মহাকালী রূপী মহামায়া https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2021-anti-rape-became-subject-in-balurghat-durga-puja Mon, 11 Oct 2021 08:45:15 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7279 বিশেষ প্রতিবেদন: “ধর্ষণ” বর্তমান সমাজের সবথেকে নিকৃষ্টতম অন্যায়। প্রত্যেকদিন দেশে-বিদেশে কত কত নারীদের ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছে, তা ধারণার বাইরে। কিছু কিছু ঘটনা আমাদের নজরের সামনে আসে, কিছু কিছু ধামাচাপা পড়ে যায়। নারী নির্যাতনের এই গূঢ় বিষয়কেই দুর্গোৎসবের অঙ্গ করেছে বালুরঘাটের স্বর্গধাম ক্লাব।

৭৫ তম বর্ষে এই নিবেদন সমস্ত নারী জাতির উপর উৎসর্গ করা হয়েছে। মা দুর্গা কীভাবে এক নির্যাতককে শাস্তি দিচ্ছেন তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রতিমা সজ্জার মাধ্যমে। প্রতিমা শিল্পী, শিল্পশ্রী যামিনী পালের পৌত্র শিল্পী অসীম পাল। প্রতিমা পরিকল্পনায় সৌমাভ পাল। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “নারীর এক রূপ যদি “সৃষ্টি” হয় তবে তারই অন্যরূপ “বিনাশের ইতি”। আমাদের মনে হয়েছে বর্তমান সমাজে দাঁড়িয়ে ধর্ষকের থেকে বড় অসুর আর কেউ নেই। আমাদের মতে অসুর কেবল “মহিষাসুর” নয়,, সে এক “অশুভ” শক্তি। সেই হিসেবে “অশুভ পৈশাচিকশক্তি” হিসেবে আমরা “ধর্ষক” কে তুলে ধরেছি। এদের নির্মমতায় আজ কত মেয়ে তাদের পরিবার হারিয়েছে, মা-বাবারাও হারিয়েছে তাদের মেয়েকে।। এই বর্বরতার থেকে কি নারী সমাজের মুক্তি নেই??

মহাভারতের সময় দ্রৌপদীকে আমরা দেখেছি এই অন্যায়ের শিকার হতে কিন্তু সেখানে শ্রীকৃষ্ণ লজ্জা নিবারণ করেছিলেন,, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যুগে নারীরা সেরম সৌভাগ্যবতী নন।”

balurghat durga puja

স্বর্গধাম পুজো প্যান্ডেলে আমরা এরকমই একটি দৃশ্য কল্পনা করা হয়েছে, যেখানে গোটা দেশ দুর্গাপুজো নিয়ে মেতে আছেন, সেই উৎসবের মরসুমে বিপদের কালো ছায়ায় ঘেরা এক অসহায় মা তার নির্যাতিতা সন্তানের জন্য মহামায়ার কাছে ভিক্ষা চাইছেন, ন্যায় বিচার চাইছেন। সপরিবারে মর্তে আশা মা দুর্গার কন্যা দেবী সরস্বতীও চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। একটা ছোট মেয়ে, যার পড়াশোনা করার বয়স, হয়তো সে ভবিষ্যতের একজন ভালো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার তাকে এক নর পিশাচরূপী ধর্ষকের জন্য অকালে প্রাণ ত্যাগ করতে হল। এই নির্যাতককে মহামায়া মাতৃরুপে নয়, অন্যতম ভয়ংকরী রক্তবীজঅসুর বিনাশিনী মহাকালী রূপে তার উপযুক্ত শাস্তি দিচ্ছেন। 

balurghat durga puja

শিল্পী অসীম পাল জানিয়েছেন, “এখানেও আমাদের মনে হয়েছে ধর্ষকের শাস্তি হওয়া উচিত একমাত্র মৃত্যুদণ্ড। এটা যেমন ঠিক, তেমনি একজন ধর্ষককে ঠিক ততটাই কষ্ট দিয়ে মারা উচিত যতটা ধর্ষণের সময় একটা মেয়েকে সহ্য করতে হয়। আমাদের মতে ধর্ষকরূপী অসুর যত কষ্ট পেতে পেতে মারা যাবে হয়তো ঠিক ততই মৃত মেয়েগুলির আত্মার শান্তি ঘটবে। যে চোখ দিয়ে খারাপ নজরে একটি মেয়েকে দেখা হয়, সেই চোখ উপড়ে ফেলা উচিত। যে হাত দিয়ে ধর্ষক একটি মেয়েকে স্পর্শ করে- সেই হাত কেটে ফেলা উচিত। মৃত্যুর সময় যাতে একটি ধর্ষকের প্রাণ বিষের জ্বালায় নিজে থেকে প্রত্যেক মুহূর্তে মৃত্যু ভিক্ষা চাই তার ব্যবস্থা করা উচিত। অবশেষে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া উচিত।। তবে যদি এই ধর্ষক রূপী অসুরের সংখ্যা কমে।”

]]>
Durga Puja 2021: দুর্গতির গ্রামে আসেন না দুর্গা, পুজোর গন্ধ নিয়ে পৌঁছে গেল ওরা https://ekolkata24.com/offbeat-news/durga-puja-2021-nayachar-island-children-got-new-puja-dress-from-purono-kolkatar-golpo Mon, 11 Oct 2021 04:46:09 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7258 বিশেষ প্রতিবেদন: ওদের জামা হয় না, মাথায় নতুন ক্লিপ দেওয়া হয় না। জীবন জুড়ে সংগ্রাম। এই পুজোর সময়ে ওদের দ্বীপে একটা দুর্গাপুজোও হয় না। কানে আসে না ঢাকের শব্দ। তবু মন মাতে শরতিয়া মেঘ দেখে। ইচ্ছা করে নতুন জামার গন্ধ নিতে। সেই সুযোগ করে দিল পুরনো কলকাতার গল্প। ফেসবুক গ্ৰুপের তৈরি স্কুলের গরীব ছাত্রছাত্রীরা পেল নতুন জামা।

এই প্রসঙ্গে পিকেজি’র অন্যতম প্রধান সদস্য জয়ন্ত সেন বলেন, “বাচ্চাগুলোর মনের উত্তেজনা আন্দাজ করতে পারছি। ছোটবেলায় আমাদেরও হতো। বাবা-মা গেছেন পুজোর বাজার করতে কোনও এক ছুটির দিন বিকেলে। সামনেই গড়িয়াহাট। বা কলেজস্ট্রীটের জুতোর মার্কেটে। উত্তেজনায় এ’ঘর ও’ঘর। কী আনবে, কেমন রঙের জামা-প্যান্ট হবে…। জুতোটা আমার নটিবয়’র মতো হবে না তো…।

nayachar

নয়াচরে আমাদের বর্ণপরিচয় স্কুলের বাচ্চাগুলোর একই অবস্থা। দিদিমণির ফোন এলে ওরাও ঝাঁপিয়ে পরে জানতে চাইছিল কবে আমরা আসবো ওদের জন্য নতুন জামাকাপড় নিয়ে এই দুর্গা পুজোয়। তা নিয়েই, আমরা কাকভোরে, পৌঁছে যাই নয়াচরে। নিয়ে যাই ছেলেদের জন্য জামা, প্যান্ট, মেয়েদের জন্য ফ্রক, স্কার্ট, দিদিমণি ও রান্নার মাসীদের জন্য শাড়ি। এছাড়া ওরা কাল দুপুরে মাংস-ভাত-পায়েস খাবে, মিড-ডে-মিল।ছেলেমেয়েদের জামা তৈরি করে আনা হয়েছিল সাগরদ্বীপ থেকে। কিছু নতুন পোশাক দিয়েছে বন্ধু পিনাকী চক্রবর্তী।”

একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আসন্ন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ওঁদের উত্তেজনার পারদ ক্রমশঃ ওপরের দিকে চড়ছিল। তবে এদের চাহিদা বড্ড কম। অনেকেরই এখনও পুজোর জামাকাপড় বাবা-মায়েরা কিনে দিতে পারেন নি। নয়াচর দ্বীপে কোথাও হয় না দুর্গাপুজো। তাই বাচ্চাগুলোর মন পড়ে থাকে হুগলি নদীর ওপারে হলদিয়ায়, একটু ঠাকুর দেখার আশায়।

কেউ যায় এক বেলার জন্য, কেউ বা ২-৫ দিনের জন্য। নতুন স্কুল, অনেক বন্ধু হয়েছে এদের। বাচ্চা মেয়েরা একটু সাজগোজ করে ঠাকুর দেখতে চায়। মাথায় বাহারি ব্যান্ড, ঠোঁটে লিপস্টিক দেওয়ার খুব ইচ্ছে এদের। আবার দ্বীপের কোথাও ফুচকা পাওয়া যায় না বলে ওপারে হলদিয়ায় গিয়ে একটু ফুচকা খাওয়ার শখও রয়েছে। ছেলেগুলো একে অপরের কাঁধে হাত রেখে বন্ধু হয়ে একটু ঘুরে বেড়াতে চায়। ব্যাস, এইটুকুই ইচ্ছে ওদের। ছোট ছোট এই ইচ্ছে নিয়েই ওরা বড় হয়ে উঠুক। সেই ইচ্ছাপূরণ করার চেষ্টা করছি আমরা”।

]]>
Durga Puja 2021: হিন্দু ভুলে পুজো মণ্ডপে বাংলা গান বাজানোর আবেদন বাংলাপক্ষের https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2021-appeal-to-play-bangla-songs-in-pujo-mandap-is-on-behalf-of-bangla-pakkha Mon, 11 Oct 2021 04:35:10 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7255 নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: বাঙালির প্রধান উৎসব দুর্গা পুজো। এই পুজোর প্যান্ডেলে হিন্দি গান বাজানোর ঘোরতর বিরোধী বাংলাপক্ষ। যা নিয়ে আগেও সরব হতে দেখা গিয়েছে তাদের। এবার সরাসরি পুজো উদ্যোক্তাদের প্যান্ডেলে বাংলা গান বাজানোর আবেদন জানানো হল ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে।

অতিমারির মাঝে ২০২০ সালে দুর্গাপুজোয় আনন্দ করতে পারেনি বাঙালি। চলতি বছরেও একই দশা। তবে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। মণ্ডপে গানও বাজানো হয়েছিল। গত বছরে হিট গান ছিল টুম্পা সোনা। এবার সেই একই গীতিকার এবং গায়ক তৈরি করেছেন লালু। সেই সকল বাজানোর পক্ষে সওয়াল করেছে বাংলাপক্ষ।

সংগঠনের পক্ষ থেকে কৌশিক মাইতি জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে ২০০০ পুজো কমিটির কাছে এই আবেদন জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, “বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্‍সব দুর্গাপূজা। এই সময় বাংলার কৃষ্টি ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে হবে। শুধু পুজো কমিটিই নয়, বিশ্বজুড়ে সব বাঙালিদের কাছেই এই আবেদন জানাচ্ছে সংগঠন। হিন্দি আগ্রাসনের জেরে কোণঠাসা করা হচ্ছে বাংলা গানকে। এতে সমস্যায় পড়েছেন বাঙালি শিল্পীরা।

এই মর্মে পুজো উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখেছে বাংলাপক্ষ। যেখানে খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বাংলা গানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির সংস্কৃতি। যার সঙ্গে দুর্গাপুজোর অনেক পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। তাই পুজোর সময়ে বাংলা গান প্যান্ডেলে না বাজানো হলে তা বাঙালি সংস্কৃতির পরিপন্থী হবে। সেই সঙ্গে ক্ষতি হবে বাঙালি শিল্পীদের।

এর আগে রেডিওর ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিল বাংলা পক্ষ। বাংলার মাটিতে বসে কেন হিন্দি গান ভিডিওতে বাজবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সংগঠন। শুধু তাই নয় রীতিমতো রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিল তারা। দুই জনপ্রিয় রেডিও র অফিস ঘেরাও করেছিল তারা।

]]>
Durga Puja 2021: শ্রীভূমির আলোয় দিশেহারা কলকাতা https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2021-news-about-the-lighting-of-pujo-pandel-in-sribhumi Mon, 11 Oct 2021 03:56:22 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7247 অনলাইন ডেস্ক: সারা কলকাতা মেতেছে বুর্জ খলিফাকে নিয়ে৷ কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোর আলো-প্যান্ডেল নজর কেড়েছে শহরবাসী৷ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিশ্ববিখ্যাত বুর্জ খলিফার আদলে মন্ডপ৷ কিন্তু কেউ কি জানতে পারে, এর পিছনে কে বা কারা? এই দুর্গাপূজা প্যান্ডেলের আলো কেরামতির নায়ক রিয়াজ৷ রিয়াজের আলোয় মেতেছে কলকাতা৷ পার্কস্ট্রিটের বাসিন্দা রিয়াজ আহমেদ৷ আলো নিয়ে কাজ করেন রিয়াজ৷ তিনিই চমকে দিচ্ছেন দর্শনার্থীদের৷ আমিরশাহির বুর্জ খলিফা আদলে মন্ডপ দেখতে তুমুল আগ্রহ।

]]>
Durga Puja 2021: বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রামে দুর্গা বরণ https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2021-durga-pujo-begins-in-chittagong-the-port-city-of-bangladesh Sun, 10 Oct 2021 18:29:05 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7242 অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রামে দুর্গা বরণ৷ চট্টগ্রাম শহর সহ সর্বত্র চলছে দুর্গা বন্দনা৷ থিম ও সাবেকিয়ানা মিশেলে দুর্গাপূজা হচ্ছে৷ পূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ নজরদারি আছে৷

]]>
Durga Puja 2021: ২০০ বছর ধরে লটারির টাকায় হয় দুর্গাপুজো https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2021-durgapujo-has-been-in-lottery-money-for-200-years Sun, 10 Oct 2021 17:36:55 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7230 বিশেষ প্রতিবেদন: যত দিন গেছে, পুজোর চালচিত্র বদলেছে। একচালা থেকে পাঁচচালায় এসেছেন প্রতিমা, সাবেক ঘেরাটোপ থেকে সমাজের বাকি অংশেও ছড়িয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে বদলেছে আর্থিক চিত্রটাও। একটা সময় বনেদি বাড়ির নিজস্ব ঘরানাগুলোই ছিল আকর্ষণের মূল কেন্দ্র।

সেই সাবেক রীতি একদিন চলে এল পাড়ায়। বারোয়ারি পুজোর হাত ধরে শুরু হল চাঁদা তোলা। সে এক আলাদা আনন্দ। তার অন্যরকম পরম্পরা। সেই থেকে পুজো আর চাঁদা জড়িয়ে গেছে অঙ্গাঙ্গীভাবে। আর আজকের আধুনিক সময়ে #দুর্গাকথা। লটারির টাকায় দুর্গাপুজো! ২০০ বছর আগের হাওড়ার শিবপুরে ঘটেছিল এমনটাই।

যত দিন গেছে, পুজোর চালচিত্র বদলেছে। একচালা থেকে পাঁচচালায় এসেছেন প্রতিমা, সাবেক ঘেরাটোপ থেকে সমাজের বাকি অংশেও ছড়িয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে বদলেছে আর্থিক চিত্রটাও। একটা সময় বনেদি বাড়ির নিজস্ব ঘরানাগুলোই ছিল আকর্ষণের মূল কেন্দ্র। সেই সাবেক রীতি একদিন চলে এল পাড়ায়। বারোয়ারি পুজোর হাত ধরে শুরু হল চাঁদা তোলা। সে এক আলাদা আনন্দ। তার অন্যরকম পরম্পরা। সেই থেকে পুজো আর চাঁদা জড়িয়ে গেছে অঙ্গাঙ্গীভাবে। আর আজকের আধুনিক সময়ে যুক্ত হয়েছে স্পনসর, কর্পোরেট সংস্থা। জাঁকজমকও বেড়েছে। কিন্তু লটারির টাকায় দুর্গাপুজো— এমন নজির কি কেউ দেখেছে? চেষ্টা করেও হয়ত কারোরই মনে পড়বে না।

তাহলে লটারির প্রসঙ্গ কেন এল? জবাব খুঁজতে সময়ের চাকা ঘুরিয়ে যাওয়া যাক প্রায় দুশো বছর আগে। ১৮২২ সালের অক্টোবর মাস। আশ্বিনের শারদপ্রাতে দেবীর আগমনবার্তা শোনা যাচ্ছে কলকাতায়। ইংরেজরা তখন ভারতে ঢুকে পড়েছে। পলাশির যুদ্ধ পেরিয়ে নিজেদের রাজার আসনেও বসিয়ে ফেলেছেন। এমন সময় সেই সময়ের অন্যতম বিখ্যাত পত্রিকা ‘সমাচার দর্পণ’-এর একটি খবরের দিকে সবার নজর পড়ল। তাতে লেখা, হাওড়ার শিবপুরে নাকি লটারি করে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হচ্ছে! কস্মিনকালেও এমন কথা শোনেনি বাঙালি। লটারি কেটে পুজো! এ আবার কেমনতর?

সেই সময় হাওড়া এবং শিবপুরের ছবিটা একটু আলাদা ছিল। আজকের মতো পুরোদস্তুর শহর ছিল না এই অঞ্চল। এমনও দেখা গেছে, কলকাতার কোনো অপরাধীকে নৌকা করে ওপারে হাওড়ায় ছেড়ে আসা হয়েছে। সেখান থেকে ফেরার আর কোনো সুযোগ নেই। কাজেই, কলকাতার মতো ঐশ্বর্য, জাঁকজমক সেখানের মানুষ প্রত্যক্ষই করেনি তখন। কিন্তু দুর্গাপুজো করতে তো তাঁদেরও ইচ্ছা করে! কিন্তু কী করে করবেন! এত টাকা কোথা থেকে পাবেন তাঁরা? শেষ পর্যন্ত আসরে নামলেন গ্রামেরই কয়েকজন যুবক। তাঁদের প্রস্তাব, লটারি করে দুর্গাপুজো করা হোক। লটারি করে টাউন হল তৈরি হতে পারে, আর একটা পুজো হবে না!

ব্যস, আর কি! পরিকল্পনা তো সামনেই, এবার মাঠে নেমে পড়লেই হয়। আর লটারি চিরকালই মানুষের কাছে লোভনীয় এক বিষয়। টিকিট ছাপার পর বেশিক্ষণ লাগেনি ফুরিয়ে যেতে। হিসেব বলে, প্রায় দু’শো পঞ্চাশ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল, যা ওই বাজারে অনেক বেশি। ঠিক হল, লটারিতে যিনি প্রথম হবেন, তাঁর নামেই পুজোর সংকল্প হবে। ওই টাকা দিয়েই শেষ পর্যন্ত শিবপুরে হয়েছিল দুর্গাপুজো। এরকম অদ্ভুত উপায়ে দুর্গাপুজোর রীতি এর আগে বাঙালি দেখেনি। এর পরেও কি দেখেছিল? জানা নেই…

]]>
Durga Puja 2021: ১০০ নারকেলের নাড়ুতে পাক দিয়ে দুর্গোৎসব শুরু চেন্নাইয়ে https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2021-durgotsab-starts-in-chennai-with-100-coconut-stalks Sun, 10 Oct 2021 16:50:11 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7220 অনলাইন ডেস্ক, চেন্নাই: প্রবাসে থেকেও পুজোয় মাতোয়ারা চেন্নাইয়ের বাঙালিরা। প্রথা মেনে তৃতীয়াতেই নাড়ু উৎসবের সূচনার মধ্যে দিয়ে দুর্গোৎসবের (Durgotsab) ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। চেন্নাই-এর সাউথ মাদ্রাজ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শুরু উৎসবের।

বাঙালির উৎসব খাওয়া-দাওয়া ছাড়া কি জমে! মিষ্টিমুখ তো করতেই হবে। নাড়ু এমন একটি উপকরণ যা না হলে পুজো অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই নাড়ু উৎসবের মধ্য দিয়েই সাউথ মাদ্রাজ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন তাদের দুর্গাপুজোর সূচনা করল।

Durgotsab starts in Chennai with 100 coconut stalks

সংগঠনের সহ-সভাপতি তথা পুজো কমিটির আহ্বায়ক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে নাড়ু তৈরিতে হাত লাগান সংগঠনের শতাধিক সদস্য। আগে ৩০০ -র বেশি নারকেলের নাড়ু হত। কিন্তু করোনা বিধিনিষেধ কারণে সেই সংখ্যাটা গত দু’ বছর অনেকটাই কমেছে। এবছর ১০০ নারকেলের নাড়ু বানানো হয়েছে।

Durgotsab starts in Chennai with 100 coconut stalks

শনিবার সকাল থেকেই সংগঠনের সদস্যরা একে একে হাজির হন। সহ-সম্পাদক প্রদ্যুৎকুমার ঘোষ, অতনু পোদ্দার, অমর ঘোষ, দোলা মুখোপাধ্যায়, জয়িতা রায়, সুদেষ্ণা নাম্বুরি, নূপূর ঘোষ-সহ কমপক্ষে ৬০ জন সদস্য। পুরোহিত মহাদেব ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী চন্দ্রাণী ভট্টাচার্য উপবাস করে নাড়ুর পাঁক দেন। সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকে সেই পরম্পরা আজও একই ভাবে চলে আসছে। কমিটির সদস্যদের দাবি, নাড়ু পাকানো শুরু না হলে মনেই হয় না দুর্গাপূজা এসে গিয়েছে। আমরা এই দূর দেশে অপেক্ষা করি কবে আসবে শারদ তৃতীয়া। শুরু হবে মায়ের নাড়ু পাকানো।

]]>
Durga Puja 2021: দিল্লি কালিবাড়ির সেই মিলনোৎসবের অভাব টের পাচ্ছেন বাঙালি https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2021-bengalis-are-feeling-the-lack-of-that-festival-in-delhi-kalibari Sun, 10 Oct 2021 16:13:33 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7208 নিউজ ডেস্ক: শুরুটা হয়েছিল ব্রিটিশ সরকারের আমলে রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার সময়। কলকাতা থেকে যে সব বাঙালিরা পেশার তাগিদে দিল্লিতে এসে বসবাস করতে শুরু করেছিলেন, তাঁদের হাত ধরেই।

১৯৩১ সালে শুরু হওয়া সেই পুজো, যা একদিন নিউদিল্লি দুর্গাপূজা সমিতির নামে শুরু হয়েছিল, সেটাই আজ নিউদিল্লি কালীবাড়ির পূজা নামে পরিচিত। একদিকে আরাবল্লি পর্বতের শুরু, অন্যদিকে রাইসিনা হিলস।মাঝের এই জায়গাটুকু ঘিরে গড়ে উঠেছে কালীমন্দির, সেখানেই হয় শারদীয়ার আবাহন।

দিল্লি চলে আসা বাঙালিরা নিজেদের বসবাসের জন্য এই জায়গাটিকেই বেছে নিয়েছিল। কারণ পার্লামেন্ট থেকে শুরু করে অন্যান্য সরকারি ভবন, সবই কাছাকাছির মধ্যে। বাঙালি আর দুর্গাপুজো তো সমার্থক।

festival in Delhi Kalibari

তবে অনেক আগে কিন্তু পুজো এরকম ছিল না। তখন আজকের নিউদিল্লি কালীবাড়ির পুজো নির্দিষ্ট এক জায়গায় হত না। পুজোর যিনি সম্পাদক হতেন, মায়ের পুজো হত তাঁর বসবাসের এলাকায়। এই অসুবিধা দূর করতে তখনকার ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন করা হয় মায়ের পুজোর জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা দেওয়ার। সেই সময় ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ‘উপহার’ হিসাবে পাওয়া ১ একর জমিতেই গড়ে উঠেছিল আজকের কালীবাড়ি । যেখানে এখন প্রতি বছর মহা সমারোহে পালিত হয় দুর্গাপুজো।

৯০ বছরের এই পুজো আজ হাতবদল হয়ে তৃতীয়, চতুর্থ প্রজন্মের হাতে। কিন্তু ফাঁকি নেই পুজোর নিয়মনিষ্ঠার। প্রত্যেক বছর ভক্তিভরে, নির্ঘণ্ট মেনে দেবীর আরাধনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রকমারি বাঙালি খাবারের স্টল বসে এখানে। সেজে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গণ। যদিও অতিমারির আবহে কাটছাঁট সব জায়গাতেই।

কমিটির তরফে স্বপন গাঙ্গুলি জানালেন, করোনাকালে পুজোর অনুমতি মিলেছিল গত বছরও। কিন্তু গত বছর কার্যত নিয়মরক্ষায় পুজো সারতে হয়েছিল। এ বছরেও মাত্র দশদিন আগে অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যেই দ্রুত প্রস্তুতি নিয়ে সম্পূর্ণ কোভিড বিধি মেনেই মায়ের পুজো হবে। প্রতিমা দর্শন, অঞ্জলি, ভোগ বিতরণ সবই থাকবে। তবে সব কিছুই হবে সরকারি নির্দেশিকা মেনে। করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই এবারে কোনও পংক্তি ভোজন হবে না।

প্রত্যেকবারের মতো এবারও কৃষ্ণনগর থেকে এসেছে মূর্তি তৈরির কারিগর। বোলপুর থেকে এসে গিয়েছে ঢাকিরা। সবমিলিয়ে ১০ দিনের প্রস্তুতিতেই সেজে উঠেছে দিল্লি কালীবাড়ির দুর্গাপুজো। এক উদ্যোক্তা আক্ষেপের সুরে জানালেন, গোটা দিল্লিতে প্রায় তিনশোর কাছাকাছি দুর্গাপুজো হয়। আগে নিয়ম ছিল, রাজধানীর সমস্ত দুর্গাপ্রতিমা এখানে এসে জড়ো হবে।

তারপর এখান থেকে শোভাযাত্রা বের হবে। উদ্দেশ্য ছিল, দিল্লিবাসীকে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। কিন্তু বছর তিনেক আগে যমুনা দূষণের কারণে দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে এই নিরঞ্জন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই দিল্লিবাসী বাঙালিদের আক্ষেপ, কালীবাড়ি প্রাঙ্গণ দশমীর দিনে যে মিলনক্ষেত্রে পরিণত হতো সেটার অভাব এখন তাঁরা অনুভব করেন।

]]>
Durga Puja 2021: স্বাধীনতা আন্দোলনের ছোঁয়ায় শুরু হয়েছিল এই দুর্গা পুজো https://ekolkata24.com/offbeat-news/durga-puja-2021-history-of-simla-byam-samiti Sun, 10 Oct 2021 06:24:02 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7102 নিউজ ডেস্ক: তখনও দেশ স্বাধীন হয়নি। ব্রিটিশের চোখে ধুলো দিয়ে কোথায় জমায়েত করা যায়? বিপ্লবীরা যখন বেশ চিন্তায়, তখন মুশকিল আসান করলেন খোদ নেতাজি। তাঁর নির্দেশে অনুগামী বিপ্লবী অতীন বসু দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন। বাড়ি বাড়ি ঘুরে আদায় হল চাঁদা। এভাবেই ১৯২৬ সালে কলকাতার সিমলা ব্যায়াম সমিতির (simla byam samiti) পুজো শুরু হয়। পুজোর ঐতিহ্য দিনদিন বেড়েছে। শুধু আড়ালে থেকে গিয়েছেন বিপ্লবী অতীন্দ্রনাথ বসুই।

তখন ১৯২৬ সাল। ব্রিটিশ শাসনে পরাধীন ভারত। দেশ স্বাধীনের লক্ষ্যে সক্রিয় বিপ্লবীরা… বিভিন্ন গোপন আস্তানায় চলছে ব্রিটিশ বিরোধী কাজকর্ম.. ঠিক তখনই কলকাতাতেও বিপ্লবীদের জোটবদ্ধ করতে একটা কনভেনশনের দরকার ছিল। কিন্তু ব্রিটিশদের ফাঁকি দিয়ে জমায়েত কার্যত অসম্ভব। ফন্দি আঁটলেন স্বয়ং নেতাজি ।

সিমলা অঞ্চলের মহেন্দ্র গোস্বামী লেনে বিপ্লবী অতীন্দ্রনাথ বসুর বাড়ি। তাঁর বাড়িতে মাঝেমধ্যেই থাকতেন সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর নির্দেশেই এই বাড়িতে শুরু হয় কলকাতার প্রথম সর্বজনীন দুর্গোৎসব। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জমায়েতও সহজ হয়… সঙ্গে দেশমাতৃকার জন্য মাতৃ আরাধনার শুরু …

History of simla byam samiti

সিমলা স্ট্রিটের বাড়িতে যুবকদের স্বাস্থ্যচর্চায় জোর দিয়েছিলেন বিপ্লবী অতীন্দ্রনাথ বসু। নেতাজির নির্দেশে পুজো আয়োজনের দায়িত্বে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। পুজোর খরচ উঠল বাড়ি বাড়ি ঘুরে চাঁদা কেটে। তখন এই ভাবনা ছিল একদমই নতুন। হোগলাপাতার বেড়া দিয়ে তৈরি হল সিমলা ব্যায়াম সমিতির প্যান্ডেল। এভাবেই অতীন বসুর হাত ধরে যাত্রা শুরু তিলোত্তমার প্রথম সর্বজনীনের।পুজোয় এসে সবার সঙ্গে পাত পেড়ে খেয়েছেন সুভাষচন্দ্র বসু। একবার বিপ্লবীদের জমায়েত টের পেয়ে পুজো বন্ধ করে দেয় ব্রিটিশ সরকার। বেশিদিন নয়, দু’বছর পরই আবার চালু হয় পুজো।

একচালা দুর্গামূর্তি থেকে পাঁচটি চালচিত্রে ভাঙা দেবীমূর্তির প্রচলনও এখান থেকেই। দেবীমূর্তির চালচিত্র বদলে দেওয়ায় রক্ষণশীলদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে পুজো কমিটি। সমালোচনা থামাতে ১৯৩৯ সালে ফের নেতাজি পুজোর উদ্বোধন করেন। সব কর্মকাণ্ডের নেপথ্য কারিগর একজনই। অতীন বসু। জমিদারবাড়ি বারোয়ারি পেরিয়ে সর্বজনীন পুজোই এখন মেনস্ট্রিম। তবু আড়ালে থেকে গিয়েছেন, কলকাতার সর্বজনীন পুজো সংস্কৃতির প্রবর্তক বিপ্লবী অতীন্দ্রনাথ বসু।

কলকাতার সর্বপ্রথম বারোয়ারী দুর্গাপূজা ভবানীপুরের বলরাম বসু ঘাট রোডের ভবানীপুর সনাতন ধর্মোৎসাহিনী সভার পুজো, শুরু ১৯১০ সাল। তারপর ১৯১১ সালে শ্যামপুকুর আদি সার্বজনীন, ১৯১৩ সালে শিকদার বাগান, ১৯১৯ সালে নেবুবাগান, যা বর্তমানে বাগবাজার সার্বজনীন এবং ১৯২৬ সালে সিমলা ব্যায়াম সমিতি।

]]>
Durga Puja 2012: সোনার বাংলার প্রাণের পুজোয় থিম দেশের সোনার ছেলে https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2012-niraj-chopra-became-theme-in-durga-mandap Sun, 10 Oct 2021 03:01:41 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7066 বিশেষ প্রতিবেদন: তিনি ভারতের নাম বিশ্ব মঞ্চে উজ্জ্বল করেছেন। তিনি এই বছরের অলিম্পিকে ভারতের সোনার ছেলে। এবার তিনিই হয়ে উঠলেন বাংলার দুর্গাপুজো মণ্ডপের বিষয়।

সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন নীরজ। যোগ দিয়েছিলেন তাহাদের কথা নামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে।।নীরজের মুখ থেকে তাঁরই জীবনের অজানা কাহিনী শুনেছিক শহর। কি করে জ্যাভলিন থ্রো তে আসলেন তিনি? সাফল্যের পিছনে রহস্য কি ? পরিবারের অবদান কতটা? হরিয়ানার কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসার গল্প? আগামী দিনের লক্ষ্য?

gidhni sporting club puja

এরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন নীরজ। সঙ্গে কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছিলেন। শুরুতে লুচি, আলুর দম, ডাল। তারপর ভাত, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, ইলিশ, মটন কষা। শেষপাতে জলভরা সন্দেশ, নলেন গুড়ের আইসক্রিম, মিষ্টি দই। কিন্তু তা বলে তিনি যে বাংলার পুজোর থিম হয়ে উঠবেন তা ভাবা যায়নি। এমনটাই করেছে গিধনি স্পোর্টিং ক্লাব। তাঁদের থিম, টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী নীরজ চোপড়া।

gidhni sporting club puja

মণ্ডপের সামনেই জ্যাভলিন ছোঁড়ার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। পিছনে মূল মণ্ডপ। সেটি পুরোটাই এবারে ভারতের অলিম্পিক কীর্তি নিয়ে। ছেলে ও মেয়েদের হকি থেকে শুরু করে বক্সিং, ভরোত্তলনের মডেল তৈরি করা হয়েছে। উপরে অলিম্পিকের লোগো। মণ্ডপের ভিতরে ভারতের খেলার দুনিয়ায় পুরনো কীর্তি, তালিকায় কপিল দেবের বিশ্বজয় থেকে শুরু করে অলিম্পিকে ভারতের সোনা জয়ের ছবি।

বিভিন্ন আর্ট ফর্ম নিয়ে কাজ হয় দুর্গাপুজোয় কিন্তু স্পোর্টস নিয়ে কাজ প্রায় হয় না বললেই চলে। সেদিক থেকে এই মণ্ডপ অন্য বার্তা দিয়েছে তা বলা যেতেই পারে।

]]>
Durga Puja 2021: ছৌ-শিল্লীদের উন্নতি ভাবনায় তৈরি ‘মানবিক’ মণ্ডপ https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2021-this-puja-commitee-will-help-chou-artist-family-through-puja-pandal Sun, 10 Oct 2021 02:12:20 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7048 বিশেষ প্রতিবেদন: তাদের এবারের পুজোর থিম “মানবিক’। তাঁরা দুর্গাপুজোকে এক আলাদা মাত্রা এনে দেবার চিন্তাভাবনা করেছে। তাঁরা ছৌ-শিল্পীদের উন্নতিকল্পে সাহায্য করবে। এমনই ভাবনা ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর সদস্যদের।

দক্ষিণ কলকাতার এই পুজোর সদস্যরা প্রতি বছর সমাজের প্রতি একটি বার্তা পৌছে দিতে চায়, এর জন্যই পুজোটি ধীরে ধীরে উল্লেখযোগ্যভাবে সামনের সারিতে উঠে এসেছে। তারই রেশ ধরে এবারের থিম ‘মানবিক’-এর মাধ্যমে তারা নিজেদের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে বদ্ধপরিকর। রামায়ণ, মহাভারত তথা ভারতের অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনী বর্ণনা করে নিজের শৈলীতে নাচের মাধ্যমে জনসমক্ষে তুলে ধরেন ছৌ শিল্পীরা, যা দেশ তথা বিদেশের মাটিতেও যথেষ্ট জনপ্রিয়।

bhawanipur 75 pally durga puja

পুরুলিয়া জেলার চড়িদা গ্রামটি ছৌ নৃত্যের মুখোশ তথা পোশাক তৈরির জন্য বিখ্যাত।লকডাউনের ফলে বাংলার এই অতি জনপ্রিয় লোকশিন্ন ‘ছৌ নৃত্য’ প্রদর্শন একেবারে বন্ধ। তার ফলে শিল্পীরা আর্থিকভাবে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। সেদিকে দৃষ্টিপাত করেই পুজো কমিটির এই সিদ্ধান্ত।

ক্লাবের সেক্রেটারি সুবীর দাস বলেন, “এ বছর আমরা ছৌ শিল্পীদের শিশু এবং পরিবারকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছি। রাজ্য সরকারের তরফেও যাতে তারা সাহায্য পায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে। ছৌ নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন সরঞ্জামের প্রদর্শনের মাধ্যমে যাতে ছৌ শিল্পীরা কিছুটা আর্থিকভাবে সাহায্য পায়, তারই চেষ্টা করছি আমরা। বিশ্ব কন্যা দিবসে তাই ২৫০ শিশুকন্যাকে বস্ত্র বিতরণ করা হবে এছাড়াও পুজো উপলক্ষে ৫০টি আর্থিকভাবে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত ছৌ শিল্পীর পরিবারকে নতুন বস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা হবে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তাধারা এবং অনুপ্রেরণায় আমরা এই কাজ করতে চলেছি নিজেদের সাধ্যমতো” ।

উল্লেখ্য, ভবানীপুর ৭৫ পল্লী এবারে ৫৭ তম দুর্গোৎসব পালন করছে, যার থিম রাখা হয়েছে “মানবিক’। মন্ডপ সজ্জা, প্রতিমা, পুজোর মন্ডপের পরিবেশ, সুরক্ষা, সংহতি প্রভৃতির উৎকৃষ্ট মেলবন্ধনে এই পুজো মানুষের মন জয় করে নিয়েছে ইতিমধ্যেই। “মায়ের আঁচল”, ‘ও আমার দেশের মাটি’, ‘আরশিনগর, ‘আমার স্বপ্ন ভবানীপুরে… লন্ডন’, ‘খুঁজে পাওয়া স্মৃতির খাতা- উল্টে পাতা শোনায় কথা” “মা’ ‘নীল সাদায় এক টুকরো ভবানীপুর’ এবং গত বছরের ‘নাগর দোলায় সবার পুজো’এর মতো থিম বিগত বছরগুলিতে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে এবং শহরের বিভিন্ন পুজোর মধ্যে এই পুজোর স্বাতন্ত্রতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। ক্লাবের তরফ থেকে আশা করা হচ্ছে এবারেও নিজেদের থিমের মাধ্যমে তারা শহরের পুজোগুলির মধ্যে আলাদা জায়গা করে নিতে সক্ষম হবে।

]]>