Durga Pujo – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sun, 10 Oct 2021 18:30:32 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Durga Pujo – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Durga Puja 2021: বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রামে দুর্গা বরণ https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2021-durga-pujo-begins-in-chittagong-the-port-city-of-bangladesh Sun, 10 Oct 2021 18:29:05 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7242 অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রামে দুর্গা বরণ৷ চট্টগ্রাম শহর সহ সর্বত্র চলছে দুর্গা বন্দনা৷ থিম ও সাবেকিয়ানা মিশেলে দুর্গাপূজা হচ্ছে৷ পূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ নজরদারি আছে৷

]]>
Durga Puja 2021: ২০০ বছর ধরে লটারির টাকায় হয় দুর্গাপুজো https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2021-durgapujo-has-been-in-lottery-money-for-200-years Sun, 10 Oct 2021 17:36:55 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7230 বিশেষ প্রতিবেদন: যত দিন গেছে, পুজোর চালচিত্র বদলেছে। একচালা থেকে পাঁচচালায় এসেছেন প্রতিমা, সাবেক ঘেরাটোপ থেকে সমাজের বাকি অংশেও ছড়িয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে বদলেছে আর্থিক চিত্রটাও। একটা সময় বনেদি বাড়ির নিজস্ব ঘরানাগুলোই ছিল আকর্ষণের মূল কেন্দ্র।

সেই সাবেক রীতি একদিন চলে এল পাড়ায়। বারোয়ারি পুজোর হাত ধরে শুরু হল চাঁদা তোলা। সে এক আলাদা আনন্দ। তার অন্যরকম পরম্পরা। সেই থেকে পুজো আর চাঁদা জড়িয়ে গেছে অঙ্গাঙ্গীভাবে। আর আজকের আধুনিক সময়ে #দুর্গাকথা। লটারির টাকায় দুর্গাপুজো! ২০০ বছর আগের হাওড়ার শিবপুরে ঘটেছিল এমনটাই।

যত দিন গেছে, পুজোর চালচিত্র বদলেছে। একচালা থেকে পাঁচচালায় এসেছেন প্রতিমা, সাবেক ঘেরাটোপ থেকে সমাজের বাকি অংশেও ছড়িয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে বদলেছে আর্থিক চিত্রটাও। একটা সময় বনেদি বাড়ির নিজস্ব ঘরানাগুলোই ছিল আকর্ষণের মূল কেন্দ্র। সেই সাবেক রীতি একদিন চলে এল পাড়ায়। বারোয়ারি পুজোর হাত ধরে শুরু হল চাঁদা তোলা। সে এক আলাদা আনন্দ। তার অন্যরকম পরম্পরা। সেই থেকে পুজো আর চাঁদা জড়িয়ে গেছে অঙ্গাঙ্গীভাবে। আর আজকের আধুনিক সময়ে যুক্ত হয়েছে স্পনসর, কর্পোরেট সংস্থা। জাঁকজমকও বেড়েছে। কিন্তু লটারির টাকায় দুর্গাপুজো— এমন নজির কি কেউ দেখেছে? চেষ্টা করেও হয়ত কারোরই মনে পড়বে না।

তাহলে লটারির প্রসঙ্গ কেন এল? জবাব খুঁজতে সময়ের চাকা ঘুরিয়ে যাওয়া যাক প্রায় দুশো বছর আগে। ১৮২২ সালের অক্টোবর মাস। আশ্বিনের শারদপ্রাতে দেবীর আগমনবার্তা শোনা যাচ্ছে কলকাতায়। ইংরেজরা তখন ভারতে ঢুকে পড়েছে। পলাশির যুদ্ধ পেরিয়ে নিজেদের রাজার আসনেও বসিয়ে ফেলেছেন। এমন সময় সেই সময়ের অন্যতম বিখ্যাত পত্রিকা ‘সমাচার দর্পণ’-এর একটি খবরের দিকে সবার নজর পড়ল। তাতে লেখা, হাওড়ার শিবপুরে নাকি লটারি করে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হচ্ছে! কস্মিনকালেও এমন কথা শোনেনি বাঙালি। লটারি কেটে পুজো! এ আবার কেমনতর?

সেই সময় হাওড়া এবং শিবপুরের ছবিটা একটু আলাদা ছিল। আজকের মতো পুরোদস্তুর শহর ছিল না এই অঞ্চল। এমনও দেখা গেছে, কলকাতার কোনো অপরাধীকে নৌকা করে ওপারে হাওড়ায় ছেড়ে আসা হয়েছে। সেখান থেকে ফেরার আর কোনো সুযোগ নেই। কাজেই, কলকাতার মতো ঐশ্বর্য, জাঁকজমক সেখানের মানুষ প্রত্যক্ষই করেনি তখন। কিন্তু দুর্গাপুজো করতে তো তাঁদেরও ইচ্ছা করে! কিন্তু কী করে করবেন! এত টাকা কোথা থেকে পাবেন তাঁরা? শেষ পর্যন্ত আসরে নামলেন গ্রামেরই কয়েকজন যুবক। তাঁদের প্রস্তাব, লটারি করে দুর্গাপুজো করা হোক। লটারি করে টাউন হল তৈরি হতে পারে, আর একটা পুজো হবে না!

ব্যস, আর কি! পরিকল্পনা তো সামনেই, এবার মাঠে নেমে পড়লেই হয়। আর লটারি চিরকালই মানুষের কাছে লোভনীয় এক বিষয়। টিকিট ছাপার পর বেশিক্ষণ লাগেনি ফুরিয়ে যেতে। হিসেব বলে, প্রায় দু’শো পঞ্চাশ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল, যা ওই বাজারে অনেক বেশি। ঠিক হল, লটারিতে যিনি প্রথম হবেন, তাঁর নামেই পুজোর সংকল্প হবে। ওই টাকা দিয়েই শেষ পর্যন্ত শিবপুরে হয়েছিল দুর্গাপুজো। এরকম অদ্ভুত উপায়ে দুর্গাপুজোর রীতি এর আগে বাঙালি দেখেনি। এর পরেও কি দেখেছিল? জানা নেই…

]]>
Durga Puja 2012: সোনার বাংলার প্রাণের পুজোয় থিম দেশের সোনার ছেলে https://ekolkata24.com/uncategorized/durga-puja-2012-niraj-chopra-became-theme-in-durga-mandap Sun, 10 Oct 2021 03:01:41 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7066 বিশেষ প্রতিবেদন: তিনি ভারতের নাম বিশ্ব মঞ্চে উজ্জ্বল করেছেন। তিনি এই বছরের অলিম্পিকে ভারতের সোনার ছেলে। এবার তিনিই হয়ে উঠলেন বাংলার দুর্গাপুজো মণ্ডপের বিষয়।

সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন নীরজ। যোগ দিয়েছিলেন তাহাদের কথা নামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে।।নীরজের মুখ থেকে তাঁরই জীবনের অজানা কাহিনী শুনেছিক শহর। কি করে জ্যাভলিন থ্রো তে আসলেন তিনি? সাফল্যের পিছনে রহস্য কি ? পরিবারের অবদান কতটা? হরিয়ানার কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসার গল্প? আগামী দিনের লক্ষ্য?

gidhni sporting club puja

এরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন নীরজ। সঙ্গে কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছিলেন। শুরুতে লুচি, আলুর দম, ডাল। তারপর ভাত, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, ইলিশ, মটন কষা। শেষপাতে জলভরা সন্দেশ, নলেন গুড়ের আইসক্রিম, মিষ্টি দই। কিন্তু তা বলে তিনি যে বাংলার পুজোর থিম হয়ে উঠবেন তা ভাবা যায়নি। এমনটাই করেছে গিধনি স্পোর্টিং ক্লাব। তাঁদের থিম, টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী নীরজ চোপড়া।

gidhni sporting club puja

মণ্ডপের সামনেই জ্যাভলিন ছোঁড়ার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। পিছনে মূল মণ্ডপ। সেটি পুরোটাই এবারে ভারতের অলিম্পিক কীর্তি নিয়ে। ছেলে ও মেয়েদের হকি থেকে শুরু করে বক্সিং, ভরোত্তলনের মডেল তৈরি করা হয়েছে। উপরে অলিম্পিকের লোগো। মণ্ডপের ভিতরে ভারতের খেলার দুনিয়ায় পুরনো কীর্তি, তালিকায় কপিল দেবের বিশ্বজয় থেকে শুরু করে অলিম্পিকে ভারতের সোনা জয়ের ছবি।

বিভিন্ন আর্ট ফর্ম নিয়ে কাজ হয় দুর্গাপুজোয় কিন্তু স্পোর্টস নিয়ে কাজ প্রায় হয় না বললেই চলে। সেদিক থেকে এই মণ্ডপ অন্য বার্তা দিয়েছে তা বলা যেতেই পারে।

]]>
সেই পুজোটা আজ হারিয়ে গিয়েছে: মনোজ মিত্র https://ekolkata24.com/uncategorized/manoj-mitras-memoirs-on-bengali-durga-pujo Tue, 03 Aug 2021 19:43:25 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=1833 বিশেষ প্রতিবেদন: আমার ছেলেবেলা কেটেছে খুলনায়। আমরা পূর্ববঙ্গের মানুষ। দেশভাগের পর এপারে চলে আসি। তখন আমার ৯ বছর বয়স। ওই ৯ বছর বয়স অব্দি পুজোটাকে বেশ ভাল ভাবে উপভোগ করেছি। আজকের পুজোর তুলনায় সেগুলো অনেক ছোট ছিল। তবে সেই পুজো ঘিরে আনন্দ ছিল দারুণ। আমাদের বাড়ির সামনে পুজোর বাজার বসত। দূরদূরান্তের গ্রাম থেকে সেখানে কেনাকাটা করতে আসত লোকজন। পাঁপরভাজা হত, জামাকাপড়-খেলনাপাতির দোকানপাট বসত।

অন্যরকম পুজো ছিল সেটা! পারিবারের সবাই যোগ দিতাম। বেশ একটা উৎসবের মেজাজ ছিল। এখানে এসে ঘটনাচক্রে সেই পুজোটা আর পাইনি। সেই পুজোটা হারিয়ে যাওয়ায় আমাদের বাড়িতে আর পুজোর কথাও ওঠে না আজকাল। এই কারণেই কলকাতার পুজো আমি কোনও দিন দেখতে যাইনি। কোনও দিন কোনও ঠাকুর দেখিনি এখানে এসে। এ কথা আমি আগেও নানা জায়গায় বলেছি।

তখনকার পুজো ঘিরে একটা পারিবারিক চিত্র গড়ে উঠত ছোটবেলায়। সেই পারিবারিক চিত্রের সঙ্গে আজকের পুজোকে মেলাতে পারি না। ফলে, আমাদের কেউই এখন আর সেইভাবে পুজো দেখতে উৎসাহী নয়। আমার ঠাকুমা যতদিন বেঁচে ছিলেন, তিনি দুর্গার মুখই দেখতেন না। তাঁর এত অভিমান ছিল মা দুর্গার ওপর। দেশহারা হতে হয়েছিল তো! দেশভাগের পর আমরা খুলনা থেকে এখানে এসেছিলাম।

দুর্গা পুজোর সঙ্গে আমার জড়িয়ে থাকা বলতে শারদীয়া সংখ্যার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা। পুজোর সময় কিছু পত্রপত্রিকার বিশেষ সংখ্যায় আমার লেখা প্রকাশিত হয়। আগে বেশি লিখতে পারতাম। এখন অবশ্য লেখাও কমিয়ে দিয়েছি। পুজোর ঘিরে আমার নানা লেখা প্রকাশিত হয়। খুব ব্যক্তিগত কথা কখনও লেখার সুযোগ হয়নি।
কয়েকবার পুজোর সময় বিদেশে থেকেছি। ২০১৮ সালে পুজোর সময় লন্ডনে ছিলাম। আমার সঙ্গে আমার মেয়েও গিয়েছিল। লন্ডনের পুজো অনেকটা আমাদের দেশীয় পুজোর মতো। পুজো ঘিরে সেখানকার মানুষের উন্মাদনা-ভালবাসা দেখে আমার খুব ভাল লেগেছিল। সেখানে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পুজো দেখতে যাওয়ার হিড়িক নেই! পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে থাকাই সেখানকার মানুষের মূল উদ্দেশ্য।

আমার মনে হয়েছে মেজাজের দিক থেকে লন্ডনের পুজো অনেকটা খুলনার পুজোর মতো। সাদা চোখে দেখতে গেলে হয়তো মিল পাওয়া যাবে না। কিন্তু, মেজাজের দিক থেকে অবশ্যই ওই দুই পুজোর মধ্যে মিল রয়েছে। তাই গতবার পুজোর সময় লন্ডনে গিয়ে আমি আমার শৈশবের পুজোয় মিশে গিয়েছিলাম।

এখানে থাকলে আমি পুজোর সময় মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে না গিয়ে বন্ধুবান্ধবের বাড়িতে আড্ডা দিতে যাই। সে রকম একটা ঘটনার কথা মনে পড়ছে। এবার অষ্টমীর বিকেলে সুরকার দেবাশিস দাশগুপ্তর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা হয় বিভাসদার বাড়িতে। বিভাসদা মানে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী। বিভাসদাও খুব আড্ডাপ্রিয় মানুষ। আমাদের তিনজনের আড্ডা বিকেল গড়িয়ে রাতের দিকে পৌঁছে যায়। অনেক খাওয়াদাওয়া হয়। এইসব আড্ডাই আসলে স্মৃতি।

আগে যখন বেলগাছিয়ায় থাকতাম, সেখানে আরেক ধরনের বন্ধুরা ছিল। তাঁরাও থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত। পুজোর সময় বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতাম। আমার ভাই অমর মিত্র একজন পরিচিত লেখক। লেখার জন্য সে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছে। আমাদের দুই ভাইয়ের লেখাই নানা পত্রিকার শারদ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। পুজোর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রেডিও সেন্টারেও গিয়েছি। পুজোর সময় নিজেদের লেখালিখি ছাড়াও অনেকের নতুন লেখা পড়ার জন্য আমি ছোটবেলা থেকেই অপেক্ষা করে থাকি। আমাদের ছোটবেলায় যুগান্তর পত্রিকার দারুণ শারদীয়া সংখ্যা প্রকাশিত হত।

একটা মজার ঘটনা বলি। পুজোর সময়ও তো আমরা নাটক নিয়েই থাকতাম। দুপুরবেলায় পাবলিক স্টেজে থিয়েটার শুরু হত। ‘দম্পতি’ বলে একটা নাটক করতাম। আমি তাতে অভিনয় করতাম। ঠাকুর তো দেখতাম না। অভিনেত্রীরা দুটো-আড়াইটের সময় সেজেগুজে আসত। এসে থিয়েটারের জন্য মেকআপ নিত। তারপর নাটক শেষ হলে ফেরার সময় আবার নতুন শাড়ি পরে ঠাকুর দেখতে বেরতেন। সেটা এক ধরণের হাসির খোরাক ছিল আমাদের।

শরৎকালে দলের থিয়েটার করতে বাংলার নানা জেলায় যেতে হত। তবে বাইরে গিয়ে থিয়েটার করার পর ক্লান্ত হয়ে আর ঠাকুর দেখতে বেরতে ইচ্ছে করত না। নিজেদের থিয়েটার করাই আমাদের কাছে মুখ্য হয়ে উঠত। কয়েকবার পুজো উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। কিন্তু, ফর্মাল উদ্বোধন করতে আমার ভাল লাগে না। তবে একেবারে অল্পবয়সী বন্ধুদের অনুরোধে দু-একবার কলকাতার পুজো উদ্বোধন করতে হয়েছে। ওই উদ্বোধনটুকু করেই আমি বাড়িতে চলে আসি। না, পুজো ঘিরে আমি কোনও দিন আলাদা করে প্রেমে পরিনি।

]]>