छत्तीसगढ़ की दुर्ग का यह पूरा मामला है। पुलिस ने बताया कि विनय कुमार साहू (28) ने सरकारी नौकरी पाने की कोशिश की थी और छत्तीसगढ़ लोक सेवा आयोग (CG PSC) परीक्षा में भी शामिल हुआ था, लेकिन हर बार असफल रहा। इससे नाखुश साहू ने अपना करियर बदलने का फैसला किया और अपने इलाके की सब्जी मंडी में आने वाले ग्राहकों के मोबाइल फोन चुराने लगा। साथ ही वह छोटी-मोटी चोरी करने लगा। खास बात यह है कि आरोपी अपने परिचित इलाके से आगे नहीं गया। वह बार-बार एक ही इलाके में चोरी करता था। मीडिया रिपोर्ट के मुताबिक, दुर्ग के अहिवारा इलाके में आरोपी विनय साहू ने जिस कपल के अंतरंग पलों का वीडियो रिकॉर्ड किया, उनके घर में पहले भी दो बार चोरी की थी और उसे विश्वास था कि तीसरी बार भी वह खाली हाथ नहीं लौटेगा।
इसी के चलते बीती एक रात को घर में घुसा और चोरी करने के लिए कुछ ढूंढ रहा था, तभी उसकी नजर उस जोड़े पर पड़ी जो एक-दूसरे के साथ अंतरंग पल बिता रहे थे। तभी चोर खिड़की के पास छिपकर खड़ा हो गया और उसने पहले से चोरी किए गए फोन का इस्तेमाल करके वीडियो रिकॉर्ड कर लिया।
अगली सुबह जब एक अनजान नंबर से वॉट्सएप पर एक वीडियो आया तो कपल हैरान रह गया। इसके बाद 10 लाख रुपए देने के लिए कॉल आया और मांग पूरी न करने पर वीडियो वायरल करने की धमकी दी गई। कपल को इस बात का बिल्कुल भी अंदाजा नहीं था कि उनके निजी पलों को कैसे रिकॉर्ड किया गया। उन्होंने पुलिस थाने में शिकायत दर्ज कराई, जिसमें उस नंबर का जिक्र किया गया, जहां से वीडियो आया और फिरौती के लिए कॉल किया गया। आरोपी तक पहुंचने और उसे पकड़ने के लिए पुलिस ने एक विशेष टीम गठित की। साइबर सेल को मोबाइल नंबर ट्रैक करने के लिए कहा गया. इसके बाद पुलिस टीम ने मुस्तैदी दिखाते हुए आरोपी को गिरफ्तार कर लिया। पुलिस गिरफ्त में आने तक आरोपी अभी भी उसी मोबाइल और उसी नंबर का इस्तेमाल कर रहा था। पुलिस ने उसके पास से चोरी के 3 मोबाइल सिम कार्ड और हैंडसेट जब्त किए। वहीं, कपल के अंतरंग पलों का वीडियो डिलीट कर दिया।
]]>সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন নীরজ। যোগ দিয়েছিলেন তাহাদের কথা নামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে।।নীরজের মুখ থেকে তাঁরই জীবনের অজানা কাহিনী শুনেছিক শহর। কি করে জ্যাভলিন থ্রো তে আসলেন তিনি? সাফল্যের পিছনে রহস্য কি ? পরিবারের অবদান কতটা? হরিয়ানার কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসার গল্প? আগামী দিনের লক্ষ্য?

এরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন নীরজ। সঙ্গে কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছিলেন। শুরুতে লুচি, আলুর দম, ডাল। তারপর ভাত, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, ইলিশ, মটন কষা। শেষপাতে জলভরা সন্দেশ, নলেন গুড়ের আইসক্রিম, মিষ্টি দই। কিন্তু তা বলে তিনি যে বাংলার পুজোর থিম হয়ে উঠবেন তা ভাবা যায়নি। এমনটাই করেছে গিধনি স্পোর্টিং ক্লাব। তাঁদের থিম, টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী নীরজ চোপড়া।

মণ্ডপের সামনেই জ্যাভলিন ছোঁড়ার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। পিছনে মূল মণ্ডপ। সেটি পুরোটাই এবারে ভারতের অলিম্পিক কীর্তি নিয়ে। ছেলে ও মেয়েদের হকি থেকে শুরু করে বক্সিং, ভরোত্তলনের মডেল তৈরি করা হয়েছে। উপরে অলিম্পিকের লোগো। মণ্ডপের ভিতরে ভারতের খেলার দুনিয়ায় পুরনো কীর্তি, তালিকায় কপিল দেবের বিশ্বজয় থেকে শুরু করে অলিম্পিকে ভারতের সোনা জয়ের ছবি।
বিভিন্ন আর্ট ফর্ম নিয়ে কাজ হয় দুর্গাপুজোয় কিন্তু স্পোর্টস নিয়ে কাজ প্রায় হয় না বললেই চলে। সেদিক থেকে এই মণ্ডপ অন্য বার্তা দিয়েছে তা বলা যেতেই পারে।
]]>শ্রমিকের আদলে প্রতিমা গড়ে সারা তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন শিল্পী। বলা হয় মৃন্ময়ী বা চিন্ময়ী হয়ে উঠছেন। ঠিক সেটাই হয়ে উঠেছিল ওই প্রতীকী দুর্গা মূর্তিতে। পরিয়ায়ী শ্রমিকের মা দুর্গার কোলে সন্তান। কোমরে বাঁধা পুটলি নিয়ে মা চলেছেন উদ্দেশ্যহীন পথে। করোনা আবহে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা সারা দেশে প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা সমালোচিত হয়েছিল রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকে। জীবনের সেই বাস্তব গল্প জীবন্ত হয়ে উঠেছিল ওই মূর্তির মাধ্যমে। এবার আবারও পূজো মণ্ডপে শোরগোল ফেলতে তৈরি রিন্টু দাসের তৈরি ভাগের মা।
এবার বড়িশার ওই ক্লাবের জন্য নতুন ভাবনাতে আবারও থাকছে সমাজ-চেতনা। শিল্পীর ভাবনায় ‘ভাগের মা’ বাংলায় একটা প্রবাদকে ঘিরে গড়ে উঠেছে যেখানে বলা হয় ‘ভাগের মা গঙ্গা পায় না’ ।

শিল্পী রিন্টু দাসের , বল্লাল সেন স্বপ্নাদেশে মা দুর্গাকে পান। সেই দেবীকে তিনি পেয়েছিলেন ঢাকা অবস্থায়। তাই তাঁর নাম হয়, ঢাকেশ্বরী দুর্গা। ১৯৪৭ এ যখন দেশভাগকে কেন্দ্র করে বাংলা উত্তাল, তখন লক্ষ লক্ষ মানুষকে ভিটেমাটি ছাড়া হতে হয়। ছাড় পাননি স্বয়ং মা দুর্গাও। বাস্তুহারা হতে হয় দেবীকেও। ঢাকেশ্বরী মায়ের মূর্তিকেও ঢাকা শহর থেকে কলকাতায় আনা হয়।
সেই মাতৃপ্রতিমা এখনও এই কলকাতা শহরে কুমোরটুলিতে নিয়মিত পূজিতা। কিন্তু শিল্পীর শঙ্কা, আবারও কোনও অস্থির সময় আসবে না তো? যখন ভিটেমাটি ছেড়ে মাকে আবারও কোথাও চলে যেতে হবে ? সন্তানদের নিয়ে মা যাবেন কোথায় ? শিল্পী-মনের আকাশে সেই দুশ্চিন্তার মেঘই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর ভাবনায়। বাংলা প্রবাদের অর্থ, যে মায়ের সন্তানেরা চুলচেরা হিসেব করে মায়ের দায়িত্ব নেয়, সেই মায়ের দুর্দশার শেষ নেই। এই ভাবনার ফুটে রিন্টু দাসের মূর্তিতে। তাঁর প্রতিমা দাঁড়িয়ে সীমান্তে। তিনি কোনদিকে যাবেন জানেন না। এপার ওপর তোলপাড়।
শিল্পী রিন্টু দাস বরাবর মাতৃপ্রতিমার মধ্যে খুঁজে পেতে চান ঘরের-মাকেই। এবারের দেবীমূর্তির কম্পোজিশনে রয়েছে কাঁটাতার, ট্রাক। মা ভিটে ছাড়ার আগে ভাবছেন এই বাড়িতেই এসেছিলেন নববধূ হয়ে। আজ তিনি ঠিকানাহীন। মণ্ডপে শোনা যাবে ভাষ্যও – এই ভিটামাটি ছাইড়া, পোলাপান লইয়া আবার যামু কই? যেন দেশ ভাগের যন্ত্রণাই আবার ফিরে আসবে। সেই কম্পোজিশন দেখা অপেক্ষাতেই দর্শকমহল।
]]>ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অন্যতম। তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে একজন। তিনি ভগৎ সিং কে ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন স্যান্ডার্সকে হত্যার পর ছদ্মবেশে পালাতে সাহায্য করেন, এবং এ কাজের জন্যই তিনি সর্বাধিক পরিচিত। তিনি হিন্দুস্থান সোশালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন (এইচএসআরএ) এর সদস্য ও ভগবতীচরণ ভোরার স্ত্রী হওয়ায় অন্যান্য সদস্যগণ তাকে ভাবী বলে সম্বোধন করতেন এবং ভারতীয় বিপ্লবী মহলে তিনি দুর্গা ভাবী নামে পরিচিত ছিলেন।
দুর্গাবতী দেবীর জন্ম হয়েছিল ৭ ই অক্টোবর ১৯০৭ সালে দুর্গাবতী দেবীর বিবাহ হয় ভগবতী চরণ ভোরার সঙ্গে মাত্র এগারো বছর বয়সে । তিনি নওজওয়ান ভারত সভার একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে প্রথম নজরে আসেন, যখন সভার পক্ষ থেকে ১৬ই নভেম্বর ১৯২৬ তারিখে লাহোরে শহীদ কর্তার সিং সারভা এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীর আয়োজন করা হয়। জে. পি সন্ডারসকে হত্যার পর তিনি ভগৎ সিং ও শিবরাম রাজগুরু কে পালাতে সাহায্য করার ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।তিনি, যতীন্দ্র নাথ দাস এর জেলবন্দি অবস্থায় ৬৩ দিনের অনশনের কারণে মৃত্যুর পর, লাহোর থেকে কলকাতা পর্যন্ত তার শবমিছিল এ নেতৃত্ব দেন। এ সময় সমস্ত পথ জুড়েই অগণিত মানুষ এই শবযাত্রায় যোগ দেন।
ভগৎ সিং ১৯২৯ সালে নয়া দিল্লীর কেন্দ্রীয় সংসদ ভবনে বোমানিক্ষেপের ঘটনায় আত্মসমর্পণ করার পর, দুর্গাবতী দেবী লর্ড হেইলিকে হত্যার চেষ্টা করেন। হেইলি পালিয়ে যান কিন্তু তার বহু সহযোগী মারা যান। দুর্গাবতী পুলিশের হাতে ধরা পড়েন এবং তার তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। তিনি ভগৎ সিং ও তার সঙ্গীদের বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করতে, তার ৩,০০০ টাকা মূল্যমানের গহনা বিক্রি করে দেন। দুর্গাবতী ও তার স্বামী কুতুব রোড, দিল্লিতে বিমলপ্রসাদ জৈন নামে এক এইচএসআরএ সদস্যকে “হিমালয়ান টয়লেট” নামে একটি বোমা কারখানা (বোমা তৈরির প্রসঙ্গ গোপন করতে একটি ছদ্মনাম) চালাতে সাহায্য করতেন। এই কারখানায় তারা মূলত পিকরিক অ্যাসিড, নাইট্রোগ্লিসারিন ও মার্কারি ফালমিনেট নিয়ে কাজ করতেন।
১৯ ডিসেম্বর ১৯২৮ তারিখে, সন্ডারস হত্যার দুদিন পর শুকদেব দুর্গাবতীর কাছে সাহায্য চান ও তিনি তা করতে রাজি হন। তারা লাহোর থেকে ভাতিন্দাগামী ট্রেনে ওঠার সিদ্ধান্ত নেন যেটি পরদিন সকালে হাওড়া (কলকাতা)য় থামবে। তিনি ভগৎ সিং এর স্ত্রীর ছদ্মবেশ নেন ও নিজপুত্র শচীনকে ভগৎ সিং এর কোলে দিয়ে চলতে থাকেন। তখন রাজগুরু তাদের চাকর সেজে মালপত্র বহন করতে থাকেন। ধরা না পড়তে ভগৎ সিং আগের দিনই তার দাড়ি কামান, চুল ছোট করে ফেলেন আর পাশ্চাত্য পোশাক পরিধান করেন।
আসলে, ১৯শে ডিসেম্বর রাতে, যখন ভগৎ সিং আর শুকদেব দুর্গাবতীর বাড়ি যান, তখন শুকদেব ভগত সিংকে একজন নতুন বন্ধু হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। দুর্গাবতী ভগৎ সিংকে চিনতেই পারেননি। তখন শুকদেব দুর্গাবতীকে ভগৎ সিং এর আসল পরিচয় দেন, আর বলেন যে, যদি দুর্গাবতী ভগৎ সিংকে আগে থেকে ভালমতো চেনার পরেও তার ছদ্মবেশ ধরতে না পারেন, তাহলে পুলিশও তাকে চিনতে পারবে না। কারণ তারা একজন দাড়িওয়ালা শিখকে খুঁজতে থাকবে।
পরদিন ভোরে তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। লাহোর স্টেশনে ছদ্মবেশী ভগৎ সিং কানপুরের উদ্দেশে তার এবং দুর্গাবতীর জন্য দুটি প্রথম শ্রেণীর আর রাজগুরুর জন্য একটি তৃতীয় শ্রেণীর টিকেট কেনেন। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা সামাল দিতে ভগৎ সিং আর রাজগুরু উভয়েই কাছে গুলি ভরা বন্দুক ছিল। সেই সময় প্ল্যাটফর্মে ভগৎ সিংএর খোঁজে প্রায় ৫০০ পুলিশ নিয়োজিত ছিল। পুলিশের সন্দেহ এড়িয়ে তারা ট্রেনে ওঠেন। কানপুরে নেমে তারা লখনউ গামী ট্রেনে ওঠেন কারণ হাওড়া স্টেশনে সিআইডি সরাসরি লাহোর থেকে আসা যাত্রীদের সাধারণত তল্লাশি করত। লখনউ এ রাজগুরু বেনারস এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন আর ভগৎ সিং, দুর্গাবতী আর তার সন্তান হাওড়ায় চলে আসেন। প্রফেসর ভগবতীচরণ ভোরা এবং তার বোন সুশিলা দেবী আগে থেকেই হাওড়ায় তাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দুর্গাবতী তার সন্তানকে নিয়ে কয়েকদিন পর লাহোরে ফিরে যান।
ভারতের স্বাধীনতার পর দুর্গাবতী গাজিয়াবাদে একজন সাধারণ নাগরিকের মত নিভৃতে বসবাস করতে থাকেন, যা অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের থেকে ব্যাতিক্রমী। পরবর্তীতে তিনি লখনউএ দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। দুর্গাবতী দেবী ১৫ই অক্টোবর ১৯৯৯ তারিখে, ৯২ বছর বয়সে গাজিয়াবাদে মারা যান।
]]>দুর্গা পূজায় ‘যৌনপল্লীর মাটি’ লাগে বলে উল্লেখ রয়েছে শাস্ত্রে। অতীতে আলাদা আলাদাভাবে এর বিরোধিতা করলেও এবার সেই রীতি মানার জন্য বারোয়ারি কমিটিগুলির পাশে আর দাঁড়াতে চায় না তারা। আগেও এমন কথা উঠেছিল কিন্তু এবার একসঙ্গে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সব যৌনপল্লীই। সমস্ত যৌনকর্মী মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির সম্পাদক কাজল বসু জানিয়েছেন, “আগেও আমরা এই কথা বলেছি যে, আমাদের দরজার মাটি না পেলে পূজা হবে না, কিন্তু কেউ আমাদের ঘরের চৌকাঠ পার হলেই অপরাধী। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন আইনই সেটা বলেছে। তাই আমরা ঠিক করেছি, গোটা রাজ্যেই এ বার সব যৌনপল্লী এক সুরে বলবে, দরজার মাটি দেব না।
কিন্তু কেন এই ক্ষোভ? তাঁরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার যে মানবপাচার-বিরোধী আইন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে তাতে এই পেশায় যুক্ত যৌনকর্মীরা বিপদের মধ্যে পড়বেন। এমনকি, এই পেশা উঠে যেতে পারে আমাদের মনে হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত’

প্রসঙ্গত,‘ট্র্যাফিকিং পার্সনস বিল ইতিমধ্যেই লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে। এখন রাজ্যসভার অনুমোদন পেলেই তা আইন রূপায়নের দিকে এগিয়ে যাবে। সেই বিলই সিলেক্ট কমিটি-তে পাঠানোর দাবি তুলে গত অগস্ট মাসে সংসদ চলাকালীনই সরব হয়েছিল দুর্বার। সংগঠনের আইনজীবী অভিজিৎ দত্ত বলেন, “আমাদের দেশে আগের পাচারবিরোধী আইন রয়েছে। সেটির পরে এই বিলে কোথাও ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক যৌনকর্মীদের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়নি। অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবেও যরা এই পেশায় আসবেন তাদের পুনর্বাসন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু যারা স্বেচ্ছায় এই পেশায় এসেছেন তাদের তো বাধ্য করা যায় না। মানবপাচার রোধের নামে আসলে যৌনকর্মীদের পেশাটাকেই তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র। সেই রেশ টেনেই সর্বজনীন দুর্গাপুজোকে বয়কট করতে চাইছেন যৌনপল্লীর বাসিন্দারা।”
সোনগাছি অর্থ্যাৎ যৌনপল্লীর সংগঠন দুর্বার অবশ্য নিজেদের পূজো করছে এবারও। তবে অতীতে সেই পূজোয় পুলিশের অনুমতি নিয়ে চাপে পড়তে হয়েছিল দুর্বারকে। সেই সময় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অনুমতি আদায় করেছিল দুর্বার।
এবার নিজেদের পুজোয় যৌনপল্লীর মাটি ব্যবহার করা হবে তো? জবাবে দুর্বারের সদস্য ও সোনাগাছির পুরনো বাসিন্দা বিমলা রায় বলেন, এত কাল তো আমাদের মাটি নিয়ে সবার পূজো হয়েছে। এ বার থেকে আমাদের মাটি, আমাদের পূজা। এটাই আমাদের পুজোর থিম বলতে পারেন।
পুরোহিতরা বলছেন, দুর্গাপুজোয় রাজদ্বার, সর্বতীর্থ, বৃষশৃঙ্গ, গজদন্তের মাটিও লাগে। কিন্তু সে সব তো আর পাওয়া যায় না। গঙ্গামাটিকে প্রতীকী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একান্তই মাটি না পাওয়া গেলে সে ক্ষেত্রে প্রতীকী ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে শাস্ত্রে।
]]>তালিকায় রয়েছে কালী, সরস্বতী, লক্ষীও। তৈরী করেন দেবীর গয়না থেকে শুরু করে মুকুট। সব কিছু নিজের হাতে অনবদ্য দক্ষতায় গড়ে তোলেন যুবক। তেমনভাবেই তিনি বানিয়েছেন কাগজের দুর্গা। দেবী রয়েছেন একদম সপরিবারে। আগে মাটি,ফাইবার, সিমেন্ট বা কোনো ইস্পাত গলিয়ে নয় মূর্তি বানিয়েছেন হাওড়া জেলার বাসিন্দা দেবতনু। তাঁর তৈরি কাগজ দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি দেখতে তাঁর বাড়িতে মাঝেই মাঝেই ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক মানুষ। আসলে কাগজের মাতৃ প্রতিমা রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছে হাওড়ার ছেলে দেবতনু ঘোষ।

অভিজ্ঞ শিক্ষকের দ্বারা প্রশিক্ষণ নেন নি যুবক। পেপার কাটিং তাঁর পছন্দের আর্ট। পাঁচ ছয় বছর বয়স থেকেই এই কাজ করে আসছেন তিনি। যেকোনো মূর্তি দেখে সে প্রথমে সেই ছবি এঁকে ফেলে কাগজের। এরপর পেপার কাটিং করে মূল স্ট্রাকচার তৈরি হয়। তারপর তৈরি হয় কাঠামো। তারপর নিজের ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে করতেই তৈরি হয় দেবী মূর্তি। এভাবেই তৈরি।জও দুর্গার মূর্তি।
পরিবারের মধ্যে কারো সমর্থন বেশি কারো সমর্থন কম পেলেও দেবতনু তার মাকে পাশে পেয়েছে সব সময়ই।
তিনি জানিয়েছেন “ছোটবেলা থেকেই আমার কাগজের মূর্তি তৈরীর প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে ভবিষ্যতে আমি আরো নিখুঁত ভাবে কাগজের মূর্তি তৈরী করার চেষ্টা করব।”
তিলোত্তমার ‘থিম’ কেন্দ্রীক আড়ম্বরপূর্ণ পুজোর জৌলুস, আলোর রোশনাই যেখানে শেষ হয়ে যায়, ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয় বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের শারোদৎসব। পল্লিবাংলার অন্দরমহল থেকে আজও উঁকি দেয় শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কতশত পুজো। তাদেরই অন্যতম এলোকেশীর পুজো। এই পুজো এবছর ১২২ বছরে পা দেবে। বালিয়াল পরিবারের উঠোন লাগোয়া অধিষ্ঠিত রয়েছেন দেবী চণ্ডী।
প্রায় ৩০০ বছরের পুরানো এই চণ্ডীতলা। পুজো ক’দিন মহামায়ার আরাধনার পাশাপাশি ‘জয়চণ্ডী’ দেবীকে কেন্দ্র করেও বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর পাঁচটা বনেদি বাড়ির মতোই জৌলুস হারিয়েছে এই প্রাচীন পুজো। তবুও এলোকেশী দেবীর প্রপৌত্রদের হাত ধরে শতবছরের ইতিহাস,ঐতিহ্য ও বনেদিয়ানার ব্যাটনকে বহন করে চলেছে কাঁকরোল গ্রামের এই পুজো। দেবী দুর্গার আগমনকে কেন্দ্র করে জাগ্রত দেবী জয়চণ্ডীকে সঙ্গে নিয়ে পুজোর ক’দিন মেতে ওঠেন জয়পুরের এই গ্রামের বাসিন্দারা।
বাংলা তথা বাঙালির প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো। ভারতবর্ষ ও পৃথিবীর প্রাচীন রাষ্ট্রগুলিতে দেবীপুজোর চল থাকলেও উৎসব হিসাবে দুর্গাপুজোর প্রবর্তন, প্রসার এবং ব্যাপ্তি ঘটেছে এই বাংলার মাটি থেকেই। বাংলায় ঠিক কে এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন তা নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে। যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্বাদ বদলাচ্ছে মানুষের ভাবনার ও সংস্কৃতির।
ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে পিছনে ফেলে মানুষ মেতে উঠছে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বর্ণময় থিম পুজোয়। আড়ম্বরপূর্ণ থিম পুজোর এই হিড়িকেও আজও বাংলার বনেদি পরিবার, জমিদারবাড়ি কিংবা রাজপরিবার পরিচালিত দুর্গাপুজোগুলি শতাব্দী প্রাচীন সংস্কৃতির ধারক ও বাহকরূপে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
]]>তবে দুর্গার (Durga) আগমন হওয়ার আগেই বাঙালীর ড্রয়িং রুমের টিভি সেটে আসছে দেবীরুপী কোয়েল মল্লিক। মহালয়াতে দেবী দুর্গা রূপে আমরা বহু বড় পর্দার অভিনেত্রীকেই পেয়েছি। একটি দীর্ঘ সময় ধরে দূরদর্শনে দুর্গার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছি ইন্দ্রানী হালদারকে (Indrani Haldar)। তারপর শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী, মিমি চক্রবর্তীকেও পেয়েছি। ইন্দ্রানী হালদারের পরেই দুর্গা চরিত্রের সবথেকে লং রানের অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick)।
সুরিন্দর ফিল্মসের প্রযোজনায় কালারস বাংলাতে মহালয়ায় আসছে নবরূপে মহাদুর্গা। এই চরিত্রের জন্য কোয়েলের অসাধারণ নৃত্য দক্ষতাও আরো একবার দেখতে পাবেন দর্শক। তার জন্য সাজো সাজো রব উঠেছে টলিপাড়ায়। কয়েক মাস আগেই পরিচালক অভিমুন্য মুখোপাধ্যায় এর পরিচালনায় বাঙালি দর্শককে ‘ফ্লাইওভার’ এ চড়িয়ে ছিলেন তিনি। ট্রাফিক ভায়োলেশন যে কি মারাত্মক আমরা পথে পথে খুঁজে ফিরি সেই ছবি দিয়ে। তারপর কয়েক মাসের বিরতি।
কিন্তু এবার ফুল ফর্মে কাজে ব্যাক। ব্যাক টু শুটিং ফ্লোর। আর চরিত্রের জন্য নিজেকে ভেঙ্গে গড়ে নিতে অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক কে কতটা পারদর্শী তা ভালোভাবেই জানেন বাংলা চলচ্চিত্র প্রেমীরা। যেহেতু দুর্গার চরিত্রে তাও আবার মহালয় তাই নাচ একটা বড় জায়গা জুড়ে থাকবে সম্পূর্ণ চিত্রনাট্যের। জোর কদমে চলছে নাচের প্র্যাকটিস।
View this post on Instagram
অবশ্য দেবীরূপে প্রথমবারই কোয়েল মল্লিককে যে আমরা আবিষ্কার করতে চলেছে এমন নয়। ২০১৫-য় জি বাংলার ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ পাঁচ বছর আগে স্টার জলসার ‘দুর্গা দুর্গতিনাশিনী’তে আবার ২০১৮ এবং ২০১৯ তেও আমরা কোয়েলকে পেয়েছি দুর্গা রূপে।এই নিয়ে মোট ছয়বার ‘দুর্গা’ হচ্ছেন তিনি। গেরুয়া সালোয়ার-কামিজে নাচে মগ্ন তিনি। দিনরাত এক করে চলছে রিহার্সাল এবং শুটিং।
]]>