Education – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Mon, 30 Oct 2023 14:54:36 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Education – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 समाज को बदलने में शिक्षा सबसे प्रभावशाली तंत्र है : धनखड़ https://ekolkata24.com/uncategorized/education-is-the-most-effective-mechanism-in-changing-the-society-dhankhar Mon, 30 Oct 2023 14:54:36 +0000 https://ekolkata24.com/?p=46382 उपराष्ट्रपति जगदीप धनखड़ सोमवार सुबह को एक कार्यक्रम में हिस्सा लेने के लिए गुवाहाटी पहुंचे। असम के राज्यपास और मुख्यमंत्री ने उनका हवाई अड्डे पर स्वागत किया। उपराष्ट्रपति जगदीप धनखड़ ने गार्ड ऑफ ऑनर का निरीक्षण किया। इस दौरान उपराष्ट्रपति ने विद्यार्थियों को डिग्री और डिप्लोमा दिया। उन्होंने विश्वविद्यालय परिसर में पौधा भी लगाया।रॉयल ग्लोबल यूनिवर्सिटी के तीसरे दीक्षांत समारोह को संबोधित करते हुए

उपराष्ट्रपति जगदीप धनखड़ ने कहा है कि समाज को बदलने के लिए शिक्षा सबसे प्रभावशाली, स्थायी, परिवर्तनकारी तंत्र है। यह असमानताओं को दूर कर सकता है और असमानताओं का मुकाबला कर सकता है। यदि हमारे पास गुणवत्तापूर्ण शिक्षा है, तो अन्य चीजें भी अपने स्थान पर आ जाएंगी। उन्होंने कहा कि मुझे इसमें कोई शंका नहीं है कि शिक्षा ही समाज को बदल सकती है। समाज में बदलाव तब आएगा जब हम नए-नए खोज करेंगे। रिसर्च करेंगे। विकास करेंगे।

]]>
Covid19 India: ওমিক্রন সংক্রমণের মধ্যেও বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো উচিত, বললেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ https://ekolkata24.com/uncategorized/covid19-india-despite-omicron-school-should-open-said-expert Sat, 01 Jan 2022 17:14:21 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17531 News Desk: করোনা (Covid19) রুখতে টিকাকরণই (vaccination) প্রধান ভরসা। সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সি স্কুল পড়ুয়াদের টিকাকরণ। সরকার ঘোষণা করেছে, ২০২২-এর শুরু থেকেই নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির (class nine to twelve) পঠন-পাঠন শুরু হবে। কিন্তু একেবারেই খুদে অর্থাৎ ১৫ বছরের কম বয়সি পড়ুয়াদের টিকাকরণ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি।

অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল (school) বন্ধ আছে। তাই অনেক অভিভাবকই (guardians) দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। অভিভাবকরা চাইছেন দ্রুত স্কুল খুলুক। কিন্তু বাচ্চাদের টিকা না থাকায় স্কুল খোলার বিষয়টি অন্ধকারেই রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে দেশের অন্যতম পরিচিত ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গগনদীপ কাং বলেছেন, সংক্রমণ বৃদ্ধি বা ওমিক্রন পরিস্থিতির মধ্যেও বাচ্চাদের অবশ্যই স্কুলে পাঠানো উচিত। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এই ভাইরাস বিশেষজ্ঞ বলেছেন, করোনা এখনও পর্যন্ত বাচ্চাদের তেমনভাবে কাবু করতে পারেনি। তাই সার্সকোভ বা করোনার নতুন ভেরিয়েন্টের সঙ্গে মিশলে বাচ্চাদের মধ্যে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে উঠবে। এখানেই শেষ নয়, আগামী দিনে আরও নতুন ভেরিয়েন্ট আসবে। বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়াবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন হয়তো সংক্রামক কিন্তু বিপজ্জনক বা মারাত্মক নয়।

ওই ভাইরাস বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন, আমি মনে করি বাচ্চাদের অবশ্যই স্কুল পাঠানো উচিত। কারণ গোটা বিশ্ব জুড়ে একটাই ছবি দেখা যাচ্ছে যে, করোনা বা ওমিক্রন বাচ্চাদের সেভাবে কাবু করতে পারছে না। বরং বাচ্চাদের দীর্ঘদিন বাড়িতে আটকে রাখলে তাদের মানসিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাদের পঠন-পাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ভবিষ্যতের পক্ষেও ভাল নয়। বাচ্চারা স্কুল গেলে কোন বড় মাপের সমস্যা হবে তা নয়।

এদিন বুস্টার ডোজ নিয়েও মুখ খুলেছেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেছেন, কোন ভ্যাকসিনকে বুস্টার ডোজ হিসাবে ব্যবহার করা উচিত সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি।

]]>
ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার: গড়গড়িয়ে চলছে শিক্ষার সাইকেল ভ্যান ‘আনন্দ ভূবন’ https://ekolkata24.com/offbeat-news/this-cycle-van-is-actually-a-mobile-library Sun, 12 Dec 2021 09:10:34 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5987 বিশেষ প্রতিবেদন: তিনি সাইকেল অন্তপ্রাণ। সঙ্গে চান শিক্ষার প্রসার। ওই দুই ভালোলাগাকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছেন তিনি। মেদিনীপুরের গ্রামে গ্রামে তিনি ঘুরে বেড়ান ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার নিয়ে। সম্পূর্ণ একার উদ্যোগে এই গ্রন্থাগার বানিয়েছেন সুব্রত কুমার জানা।

সুব্রতবাবু মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তাঁর ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগারের নাম ‘আনন্দ ভুবন’। পিংলা ও ডেবরা অঞ্চলের গ্রামে গ্রামে শনি ও রবিবার ঘুরে বেড়ায় ‘সুব্রতদার সাইকেল-ভ্যান’। শুধু বই নয় সঙ্গে থাকে দূরবীন, বিভিন্ন রকম ম্যাপ, সামুদ্রিক প্রানী ও গাছ-গাছালির স্পেসিমেন, নয়াগ্রামের পটচিত্র। পশ্চিম মেদিনীপুরের বালিচক থেকে প্রথম যাত্রা শুরু হয়। তারপর থেকে গরগড়িয়ে গড়াচ্ছে শিক্ষার সাইকেল ভ্যান।

mobile library

সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, “কিছুদিন আগে ভ্রাম‍্যমান গ্রন্থাগার ‘আনন্দ ভুবন’ এর পথ চলা শুরু হয়। সব বয়সের জন‍্য ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের বই নিয়ে আনন্দ ভুবন পৌঁছবে পাঠকের দোরগড়ায়। পৌঁছবে প্রতন্ত গ্রামে নতুন নতুন পাঠকের সন্ধানে। আনন্দ ভুবনের একই ছাদের নিচে বই এর পাশাপাশি থাকছে শিক্ষন সামগ্রী এবং বাংলার লোকশিল্প।”

যাত্রাপথের সূচনাতে ছিলেন এলাকার বই প্রেমিক মানুষ। উপস্থিত ছিলেন পিংলার বিখ‍্যাত পটশিল্পী রাধা চিত্রকর ও তাঁর পরিবার। গাড়ি চালু হয় তাঁদের পটের প্রদর্শনী ও গানের মাধ্যমে। সবুজের বার্তার তরফে উপস্থিত সবাইকে দেওয়া হয় চারাগাছ। সুব্রতবাবুর কথায় , “আগামীদিনে একজন পাঠকও যদি তৈরি হয় তাহলেই আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস সার্থক হবে।”লাইব্রেরীর মতোই বই নিয়ে ফেরত দিতে হয়। সাত থেকে পনেরো দিন বই রাখা যায়। বই পৌঁছে দেওয়া থেকে ফেরত নেওয়া পুরো ব‍্যবস্থা সম্পূর্ণ অবানিজ‍্যিক।

mobile library

পাঠকের দোরগড়ায় বই সাথে পৌঁছে যায় গাছও। আসলে সুব্রতবাবু প্রকৃতপ্রেমী, তাই সবসময়েই সাইকেল তাঁর প্রিয় যান। সবুজ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাই তিনি এর মাধ্যমে বেলান গাছও। সুব্রতবাবুর কথায় , “মনের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রতিষেধক হিসাবে বই পড়া এবং গাছ লাগানো ও পরিচর্যার জুড়ি নেই।” করোনা অতিমারির জেরে লকডাউনের সময় ভ্রাম‍্যমান গ্রন্থাগার ” আনন্দ ভূবন” পছন্দমত বই পাঠকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে।

mobile library

<

p style=”text-align: justify;”>অগাস্ট মাসেই যেমন ভ্রাম‍্যমান গ্রন্থাগারের তরফে সবুজের বার্তা নিয়ে গাছের চারা বেলান সুব্রতবাবু। একশ পাঠক পাঠিকাকে গাছ দিয়ে বলে এসেছিলেন, “সারা জীবনে অন্তত একটি গাছ লাগান এবং তাকে বড় করে তুলুন যাতে ভবিষ্যতে অক্সিজেন ও জল কিনতে না হয়”। ফলের গাছের তালিকায় ছিল জামরুল , সবেদা, গোলকুল, সুপারি, নারকেল, কামরাঙা, আম – পেয়ারার মতো বড় বড় গাছের চারা।

]]>
অনলাইন নয়, অন সাইকেলে ক্লাস তিলাবনীর কমলাকান্ত স্যারের https://ekolkata24.com/offbeat-news/unique-education-in-pandemic-situation-at-tilaboni-bankura Wed, 01 Dec 2021 12:30:01 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4509 তিমিরকান্তি পতি বাঁকুড়া: সাইকেল নিয়েই ক্লাস করাচ্ছেন স্যার। এমন ধরা অন সাইকেল ক্লাস চলছে বাঁকুড়ার (Bankura) তিলবনীতে (Tilaboni forest)।কেমন সেই ক্লাস?

চলতি করোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ সমস্ত ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরফে ‘অনলাইন ক্লাসে’র মাধ্যমে পড়াশনার কাজ চালিয়ে যাওয়া হলেও গ্রামীণ খেটে খাওয়া পরিবার গুলির ছেলে মেয়েরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এই অবস্থায় নিজের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন বাঁকুড়ার হীড়বাঁধের তিলাবনী হাই স্কুলের শারিরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক কমলাকান্ত হেমব্রম।

kamala kanta Hembram

গরীব ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভেবে বাড়িতে বসে ‘ছুটি’ কাটাতে মন চায় চায়নি এই শিক্ষকের। খাতড়ার কদমবেড়া গ্রাম থেকে সাইকেল চালিয়ে প্রায় প্রতিদিন তিনি পৌঁছে যাচ্ছেন হীড়বাঁধের বেলকানালী, কাজলভোবা, বাউরীডিহা, তিরশুলিয়া, চিতরুঘুটু সহ বেশ কিছু গ্রামে। মূলতঃ এই গ্রাম গুলির ছাত্র ছাত্রীরাই তিলাবনী হাই স্কুলে পড়াশুনা করে। গ্রামের পৌঁছেই একজায়গায় সব ছাত্র ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে তুলে দিচ্ছেন প্রশ্নপত্র। সঙ্গে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে কাগজ, কলম সহ অন্যান্য শিক্ষাসামগ্রী। পরের সপ্তাহে সেই উত্তর পত্র সংগ্রহ করে ভুল ভ্রান্তি ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নতুন প্রশ্নপত্র তুলে দিচ্ছেন তাদের হাতে। এইভাবে বিশেষ ‘টাস্কে’র মাধ্যমে পড়াশুনার মধ্যে ছাত্র ছাত্রীদের রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই শিক্ষক।

kamala kanta Hembram

হীড়বাঁধের তিলাবনী হাই স্কুলে ৪৫০ জন ছাত্র ছাত্রী। যার একটা বড় অংশ খেটে খাওয়া পরিবার থেকে উঠে আসা প্রথম প্রজন্মের সন্তান যারা হাই স্কুলমুখী হয়েছে। কমলাকান্ত হেমব্রম ইন্দাসের শাসপুর হাই স্কুল থেকে বদলি নিয়ে ২০০৭ সালে এখানে আসেন। তখন থেকেই গ্রামের এই ছাত্র ছাত্রীরাই তাঁর কাছে সব। তাদের পড়াশুনার সার্বিক উন্নয়নে সদা সচেষ্ট থেকেছেন।

কমল স্যারের এই উদ্যোগে খুশি গ্রামের ছাত্র ছাত্রী থেকে অভিভাবক সকলেই। এবিষয়ে শিক্ষক কমলাকান্ত হেমব্রম বলেন, অনলাইন ক্লাস করানোর সুযোগ নেই। স্কুল বন্ধ, তাই ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনাও লাটে উঠতে বসেছিল। তাই আর বাড়িতে বসে থাকতে পারিনি। বারবার ছুটে আছে এদের কাছে।

]]>
ফের স্থগিত হল UGC NET পরীক্ষা https://ekolkata24.com/uncategorized/ugc-net-test-is-postponed-again Sun, 10 Oct 2021 16:03:45 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7204 নিউজ ডেস্ক:  এই নিয়ে তৃতীয়বার স্থগিত হয়ে গেল ইউজিসির নেট পরীক্ষা। এর আগেও দু’বার নেট পরীক্ষার দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল করোনাজনিত কারণে। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রথমে ৬ থেকে ৮ অক্টোবর এবং ১৭ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত পরীক্ষার সূচি ঘোষিত হয়েছিল। কিন্তু সেই দিনও পাল্টে যায়। নতুন করে বলা হয় ১৭ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে নিট পরীক্ষা হবে।

কিন্তু করোনার কারণে এবার নতুন পরীক্ষার সূচিও বাতিল করল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। রবিবার এনটিএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই পরীক্ষার নতুন দিন-তারিখ ঘোষণা করা হবে। পরীক্ষার নতুন সূচি জানার জন্য পরীক্ষার্থীদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নজর রাখতে বলা হয়েছে।

ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি এদিন তাদের ওয়েবসাইটের নামও জানিয়েছে। www.nta .ac.in এবং ugcnet. nta.nic.in. এই দুই ওয়েবসাইটে নজর রাখতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের কোনও জিজ্ঞাস্য থাকলে সরাসরি হেল্প ডেস্কে ফোন বা ইমেইল করতে বলা হয়েছে। হেল্প ডেস্কের ফোন নাম্বার হল ০১১ ৪০৭৫ ৯০০০।

]]>
অশিক্ষার অন্ধকারে আলো দিতে স্বপ্নের স্কুল বাড়িতে শুরু ‘বর্ণ পরিচয়’ https://ekolkata24.com/offbeat-news/some-youths-from-rural-howrah-built-schools-barna-parichay-to-spread-education Wed, 15 Sep 2021 12:44:32 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4658 বিশেষ প্রতিবেদন: ২০২১ সালে দাঁড়িয়েও এই গ্রামে এখনও পৌঁছায়নি শিক্ষার আলো। সেখানেই শিক্ষালোক পৌঁছে দিতে পৌঁছে গিয়েছে গ্রামীন হাওড়ার একদল যুবক। গড়ে উঠেছে স্বপ্নের স্কুল বাড়ি।

তাপস, অরুণ, প্রসেনজিৎ, পৃথ্বীশদের স্বপ্ন ছিল জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বালানোর। ইচ্ছে থাকলেও উপায় সেভাবে হয়ে ওঠেনা। হঠাৎই একদিন মানস তার বন্ধু পঙ্কজের থেকে জানতে পারে তার গ্রামে শিক্ষার আলো এখনো সেভাবে প্রবেশ করেনি। আজও গ্রামের কচিকাঁচাদের অধিকাংশই স্কুলমুখো হয় না। খবর পেয়েই ওরা হাজির হয় ঝাড়গ্রাম শহরের অদূরে জঙ্গল লাগোয়া ছোট্ট একটি গ্রাম চিচুড়গেড়িয়ায়।

ural Howrah built schools barna parichay

ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের অন্তর্ভুক্ত এই গ্রামে ২৭ টি আদিবাসী পরিবারের বাস। সকলেই কোনওরকমে অন্ন সংস্থান করেন। গ্রামে নেই কোনও স্কুল, নেই অঙ্গণওয়াড়ি সেন্টার। একদিকে প্রতিকূল আর্থসামাজিক পরিকাঠামো, অন্যদিকে শালের জঙ্গল ও রাস্তা পেরিয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে স্কুলে যেতে হয়। তাই গ্রামের ছেলেপুলেরা সেভাবে স্কুলমুখো হয় না। গ্রামের প্রথম গ্র‍্যাজুয়েট যুবক পঙ্কজ বাস্কে ও তাঁর স্ত্রী উত্তরা মুর্মু বেশকিছুদিন ধরেই নিজেদের গ্রামকে অন্ধকার থেকে আলোয় আনার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও উপায় হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: অন্ধকারে থাকা শবর জাতিকে জীবনের রঙ চেনাচ্ছেন পুলিশকর্মী অরূপ

গ্রামে গিয়ে এসব জানার পরই চিচুড়গেড়িয়ায় অবৈতনিক পাঠশালা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় হাওড়া জেলার আমতার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’-এর সদস্যরা। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ভীম মুর্মু, রাগদা বাস্কে, সাগেন মান্ডিরা গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বালাতে সাথে সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। কেউ নিজের ঝাড়ের বাঁশ দেন, কেউ স্বেচ্ছাশ্রম। সবুজ প্রকৃতির মাঝে গড়ে তোলা হয় অস্থায়ী চালা। সেখানেই এখন নিয়ম করে বসছে ‘বর্ণ পরিচয়’-এর আসর। আপাতত শনি ও রবিবার পাঠের আসর বসছে।

ural Howrah built schools barna parichay

সকাল হলেই আরশু মান্ডি, সুখলাল হাঁসদা, কানাই মুর্মুরা ব্যাগ নিয়ে পাঠশালায় আসছে। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পাঠের আসর। তারপর কোনোদিন অ-আ আবার কখনও বা A-B-C-D -এর রব ওঠে শিশু পড়ুয়াদের গলায়। কখনও শুধু রং নিয়ে খাতায় আঁকিবুঁকি কাটে পল্লবী বাস্কে, ফুলমণি মান্ডি, বুদ্ধেশ্বর হাঁসদারা।
কোনওদিন ওদের পড়ান গ্রামেরই পঙ্কজ দাদা, উত্তরা দিদি, আবার কোনোদিন হাওড়া থেকে আসেন রাকেশ, প্রসেনজিতরা।

‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’-এর কর্তা পৃথ্বীশরাজ কুন্তীর কথায়,”গ্রামে এসে সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে আমরা পাঠশালা তৈরির সিদ্ধান্ত নিই। আমরা আমাদের প্রস্তাব গ্রামের মানুষকে জানাই। তাঁরা একবাক্যে প্রস্তাব গ্রহণ করেন। আমাদের প্রস্তাব শুনেই গ্রামবাসীরা জায়গা ঠিক করে দেন। এমনকি বাঁশ-প্লাস্টিক দিয়ে নিজেরাই তৈরী করে ফেলেন নিজেদের শিশুদের জন্য শিক্ষার মন্দির। শুরু হয় ‘বর্ণপরিচয়’-এর পথচলা।”

জয়রাম মুর্মু, অমর হাঁসদারা নিজেরা পড়াশোনার সুযোগ না পেলেও নিজেদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে তাঁরা ভীষণভাবে উদ্যোগী। তাঁরা জানান, আগে কেউ কখনো আমাদের গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বালানোর প্রস্তাব নিয়ে আসেনি। তাই আমরা প্রস্তাব পেয়ে আর দু-বার ভাবিনি। ইতিমধ্যেই হাওড়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠশালার তিরিশ জন পড়ুয়ার বই, খাতা-সহ যাবতীয় শিক্ষাসামগ্রী দেওয়া থেকে শুরু করে পাঠশালা পরিচালনার সব দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ক্রীড়াসামগ্রী।

শুধু পড়াশোনাই নয়, পাঠশালা প্রাঙ্গণে সবুজায়নের লক্ষ্যে নিজে হাতে গাছ বসানোর কাজও শুরু করেছে কচিকাঁচারা। পালিত হয়েছে রাখিবন্ধন, শিক্ষক দিবসের মতো বিভিন্ন বিশেষ তিথি। এভাবেই হাওড়ার একদল যুবকের নিরলস প্রচেষ্টায় ও স্থানীয় পঙ্কজ বাস্কে, উত্তরা মুর্মুদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ চিচুড়গেড়িয়ার ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে বর্ণের পরিচয়।

]]>
এপারে গড়িমসি, ওপার বাংলায় দেড় বছর পর খুলল স্কুল https://ekolkata24.com/uncategorized/ahed-of-pandemic-situation-education-institute-of-bangladesh-again-open-sunday Sun, 12 Sep 2021 07:11:55 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4415 নিউজ ডেস্ক: রবিবার বিদ্যালয়ে (school) কলরব, করোনা (Coronavirus) ভয় কাটিয়ে বাংলাদেশি (Bangladesh) পড়ুয়ারা ছুটল। প্রায় ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর ফের সচল বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। আছে ভয় আশঙ্কা। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে যখন স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল বাংলাদেশে।

শনিবার বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা সংক্রমণ কমে আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে, সংক্রমণ বেড়ে গেলে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্বান্ত নেওয়া হতে পারে।

Keeping Bangladesh's Students Learning During the COVID-19 Pandemic

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দিনে তিনটি করে ক্লাস হবে। এই সময়সূচি সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হচ্ছে।

দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে আসবাবপত্র ও দেয়াল রাঙানো হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ধূলোর স্তূপ জমেছিল। আবার শিক্ষার্থীদের কলরব শুরু। গত ছয় মাসের অনুসন্ধান বলছে, গত দেড় বছরে প্রাথমিকের অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী দিনমজুর ও হকার হয়েছে। মাধ্যমিকের অনেক মেয়ে শিক্ষার্থীর এরই মধ্যে বিয়ে হয়ে গেছে। সংসারের পাশাপাশি তারা আবারও শ্রেণিকক্ষে বসবে এমন ভাবনা নেই অধিকাংশের মধ্যে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও হয়তো অনেক পুরনো শিক্ষার্থীর দেখা মিলবে না শ্রেণিকক্ষে।

]]>
রবিবার সকালেই কলরব, করোনা ভয় কাটিয়ে বাংলাদেশে খুলছে বিদ্যালয় https://ekolkata24.com/uncategorized/ahed-of-pandemic-situation-education-institute-again-open-from-sunday Sat, 11 Sep 2021 16:16:57 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4393 নিউজ ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর ফের সচল হতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। আছে ভয় আশঙ্কা। তবে রবিবার সকালে ফের কলরব হবে শিক্ষায়তনে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে যখন স্কুল-কলেজ বন্ধ বাংলাদেশে (Bangladesh)।

গত ছয় মাসের অনুসন্ধান বলছে, গত দেড় বছরে প্রাথমিকের অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী দিনমজুর ও হকার হয়েছে। মাধ্যমিকের অনেক মেয়ে শিক্ষার্থীর এরই মধ্যে বিয়ে হয়ে গেছে। সংসারের পাশাপাশি তারা আবারও শ্রেণিকক্ষে বসবে এমন ভাবনা নেই অধিকাংশের মধ্যে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও হয়তো অনেক পুরনো শিক্ষার্থীর দেখা মিলবে না শ্রেণিকক্ষে।

Bangladesh School Open

শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা সংক্রমণ কমে আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে, সংক্রমণ বেড়ে গেলে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্বান্ত নেওয়া হতে পারে।

দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে চলছে ধোয়ামোছার কাজ। পরিষ্কারের পাশাপাশি আসবাবপত্র ও দেয়াল রাঙানো হচ্ছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দিনে তিনটি করে ক্লাস হবে। এই সময়সূচি সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হচ্ছে। সেজন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। অপেক্ষার প্রহর গুনছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা

]]>