
ছোটনাগপুরের দলমা রেঞ্জের দাঁতাল হাতি আগেও এসেছে। দামোদর পার হয়ে বহুবার পানাগড়, গলসি, আউসগ্রামের জঙ্গলে ঢুকেছে। কিন্তু একসঙ্গে এতো হাতি গ্রামবাসীরা দেখেননি বলে জানান। অন্তত ৪৬টি দাঁতাল হাতি ও ছানা আছে এই দলে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার শালতোড়া বনাঞ্চল থেকে পাল পাল হাতি পশ্চিম বর্ধমান হয়ে দামোদর পার করে পূর্ব বর্ধমানের দিকে ঢুকে পড়ে। সকাল থেকেই জেলার গলসি, পারাজ, আউসগ্রাম, ভাতার এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।গলসির একের পর এক ধানজমি মাড়িয়ে, ধান খেয়ে পালপাল হাতি দাপাতে থাকে। এলাকায় ছড়ায় আতঙ্ক।

প্রায় ৪৬টি হাতির বিরাট এই দলের দাপাদাপিতে গলসির শিড়রাই গ্রামের জমিতে প্রচুর ধান নষ্ট হয়েছে। সিংপুর, গলিগ্রাম, উচ্চগ্রাম, কুদরুকি হয়ে হাতির দল খড়ি নদী পার হয়ে আউসগ্রামের জঙ্গল অভিমুখে চলে যায়। রাত্র পর্যন্ত হাতির দল রয়েছে আউসগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের নয়দা গ্রামে।

পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জানায়, বিরক্ত না করলে গ্রামের দিকে ঢুকবে না হাতিরা। মাইকিং করে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়। জেলা বন দফতর সূত্রে খবর, দামোদর পার করে গলসি ১ নম্বর ব্লকের শিল্ল্যা ঘাট এলাকায় ঢুকেছে হাতির দল।
<
p style=”text-align: justify;”>এত বড় হাতির দলকে নিরাপদে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন। হুলা পার্টি ও কুনকি হাতির সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে বর্ধমান বনদফতর সূত্রে খবর।
]]>ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাতিটি হ্যান্ড পাম্প থেকে শুঁড় দিয়ে জল পান করেছিল। সে তার শুঁড় দিয়ে একটি হ্যান্ড পাম্প চালিয়ে ট্যাপ থেকে জল বের করে এবং তারপর তার তৃষ্ণা মেটায়৷ ভিডিওতে দেখা যায়, হাতি যতটা তৃষ্ণার্ত ছিল, ততটুকু ট্যাপ থেকে ততটুকুই জল বের করে৷
एक हाथी भी #जल की एक-एक #बूंद का महत्व समझता है। फिर हम इंसान क्यों इस अनमोल रत्न को व्यर्थ करते हैं?
आइए, आज इस जानवर से सीख लें और #जल_संरक्षण करें। pic.twitter.com/EhmSLyhtOI— Ministry of Jal Shakti, DoWR, RD&GR, GoI (@DoWRRDGR_MoJS) September 3, 2021
এই ভিডিওটি দেখে বোঝা যায়, কাছাকাছি কোথাও প্রাকৃতিক জলের উৎস না পাওয়ার কারণে হাতিটিকে কেবল ট্যাপের জল পান করতে হয়েছিল। এই সংগ্রাম করতে গিয়ে হাতিটিও জলের প্রতিটি ফোঁটা গুরুত্ব অনুভব করিয়েছিল।
এই ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ দেখেছেন। এছাড়াওও মানুষ এই ভিডিওটিকে খুবই পছন্দ করছে৷ তাই তারা ভিডিও ব্যাপকহারে শেয়ার করছেন৷ নেট নাগরিকরা বলছেন, এই হাতিটি মানুষেও থেকে অনেক বুদ্ধিমান৷ যে জলের গুরুত্ব জানে।
]]>অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র সিগিরিয়াতে হাতির পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ানোটাই আকর্ষণ। অনেকদিন থেকেই একটি হাতিকে সেই কাজে ব্যবহার করা হত। দিনের বেশিরভাগ সময়ই পিঠে পর্যটক নিয়ে চলতে হত তাকে। সামান্য বিশ্রামটুকুও মিলত না। রোজকার মতোই সেরকমই বিশ্রাম না নিয়ে নাগাড়ে সে পিঠে মানুষ নিয়ে ঘুরছিল হাতিটি। পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবেই পরে হাতিটির মৃত্যু হয়।

বারবার এই ঘটনার পর এবার হাতি সংরক্ষণে কঠোর হল শ্রীলঙ্কান সরকার। হাতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নতুন নিয়ম অনুযায়ী শ্রীলঙ্কায় দুই বছরের কম বয়সী বাচ্চা হাতিদের কাজ করানো নিষেধ, এছাড়াও তাদের মায়েদের সঙ্গে রাখতে হবে। এছাড়াও হাতি হ্যান্ডলার বা মাহুত, কাজ করার সময় মাদক গ্রহণ করতে পারবে না। হাতির সঙ্গে মাদকাসক্ত থাকা অবস্থায় ধরা পড়লে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
সম্প্রতি পড়শি দেশের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী উইমালাবিরা দিসনায়েক এই নোটিশটি প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি গৃহপালিত হাতির একটি পূর্ণদৈহিক ছবি এবং ডিএনএ বিশদ সহ একটি বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্র থাকতে হবে।’ বিশ্ব বন্যপ্রাণী আইন অনুসারে, হাতি শ্রীলঙ্কায় অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় এবং সেদেশে হাতি হত্যা মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ। যদিও ধর্মীয় মিছিল, পর্যটক আকর্ষণ এবং লগিংয়ের জন্য হাতিকে কাজে লাগানো হয়।
নতুন নিয়মে, লগিং হাতি দিনে মাত্র চার ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারবে, রাতে কাজ করানো নিষিদ্ধ। প্রতিদিন কমপক্ষে আড়াই ঘন্টা স্নানের সময় দিতে হবে, কারণ কাদায় স্নান করে হাতিগুলো ঠান্ডা হয়ে যায়। এছাড়াও একবারে মাত্র চারজন মানুষ হাতিতে চড়তে পারবে, অবশ্যই ভাল প্যাডেড স্যাডে বসতে হবে। বন্দী হাতিদেরও প্রতি ছয় মাসে বাধ্যতামূলকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। সরকারি প্রযোজনা ছাড়া হাতিগুলিকে চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণের অনুমতি নেই। সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নিয়ম ভঙ্গকারীদের তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে এবং তাদের হাতিগুলিকে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে নেওয়া হতে পারে।
]]>