english – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 13 Nov 2021 15:27:12 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png english – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 ইংরেজি ভাষা শেখা নিয়ে কী বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি https://ekolkata24.com/uncategorized/what-did-the-chief-justice-of-the-country-say-about-learning-english Sat, 13 Nov 2021 15:27:12 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11204 News Desk: শনিবার দিল্লির দূষণ নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে (supreme court)। এদিন শুনানি চলাকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি (chief justice) এনভি রামান্না (nv ramanna) এবং সলিসিটর (solicitor general) জেনারেল তুষার মেহতার মধ্যে হালকা মেজাজে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়।

সে সময়ে ইংরেজি (english) ভাষা শেখা নিয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। বর্তমান প্রধান বিচারপতি রামান্না অন্ধপ্রদেশের (andhrapradesh) বাসিন্দা। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। স্কুলের প্রথম পাঠ। সুপ্রিম কোর্টে অর্থাৎ পেশার তাগিদে রামান্নাকে সবসময় ইংরেজিতে কথা বলতে হয়। অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলতেই তিনি অভ্যস্ত।

কিন্তু দেশের প্রধান বিচারপতির ইংরেজির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অষ্টম শ্রেণীতে ওঠার পর। অর্থাৎ সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত তিনি ইংরেজি অক্ষর টুকুও চিনতেন না। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শিখেছেন সম্পূর্ণ তেলুগু (telegu) মাধ্যমে।

রামান্নার বক্তব্য শেষ হতে পাল্টা বক্তব্য রাখেন সলিসিটর জেনারেল। মেহতাও প্রায় একই কথা বলেন। সলিসিটর জেনারেল বলেন, সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত তিনি কখনও ইংরেজি পড়েননি। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা পুরোটাই করেছিলেন গুজরাতি (gujrati) ভাষায়। অষ্টম শ্রেণীতে ওঠার পরই তিনি প্রথম ইংরেজি চর্চা শুরু করেন।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, তিনি আদৌ সুবক্তা নন। কারণ তিনি ভাল করে ইংরেজি বলতে পারেন না। এটা তাঁর একটা খারাপ দিক। যদিও রামান্নার ইংরেজি ভাষণ যথেষ্টই সাবলীল এবং আকর্ষণীয়। প্রধান বিচারপতি এবং দেশের সলিসিটর জেনারেল দুজনেই জানিয়েছেন, তাঁরা আইন নিয়ে পড়াশোনাটা অবশ্য সম্পূর্ণ ইংরেজীতেই করেছেন।

রামান্নার বক্তব্য শেষ হতেই হেসে ওঠেন সলিসিটর জেনারেল। তিনি বলেন, এতদিন আমি জানতাম না যে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে লেখাপড়া শেখার ব্যাপারে আমার এত মিল আছে। দিল্লি দূষণ নিয়ে অত্যন্ত গুরুগম্ভীর আলোচনার মাঝে প্রধান বিচারপতি ও সলিসিটর জেনারেলের এই হালকা চালে কথাবার্তা পরিবেশকে কিছুটা হলেও হালকা করে।

]]>
সাহসী পদক্ষেপ: বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী চণ্ডীপাঠ ইংরেজিতে https://ekolkata24.com/offbeat-news/mahalaya-mahisasuramardini-in-english Tue, 05 Oct 2021 13:02:11 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6673 বিশেষ প্রতিবেদন: রাত কাটলেই মহালয়া (Mahalaya)। ভোরের মহিষাসুরমর্দিনী (mahisasuramardini) অনুষ্ঠান নিয়ে বাঙালির প্রচুর আবেগ। সেই আবেগ ঠেলে ফেলে দিয়েছিল উত্তম কুমারকেও, যিনি বাঙালির মহানায়ক। তাকেও গ্রহণ করেনি বাঙালি। এবার সেই মহালয়ায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ( Birendra Krishna Bhadra) বিখ্যাত চণ্ডীপাঠকেই ইংরেজিতে অনুবাদ করে পাঠ করবেন এক বাঙালি। তিনি সুপ্রিয় সেনগুপ্ত।

তিনি স্পষ্ট বলছেন , তিনি ভয় পান না। চেষ্টাটা করতে চান। জানেন একটা আবেগ কাজ করে এই মহালয়াকে কেন্দ্র করে। তবুও তিনি এই মহালয় বানিয়েছেন ইংরাজিতে। এটা তাঁর সুপ্রিয়বাবুর স্বপ্ন ছিল, যা এখন বাস্তব। প্রতিবছর তিনি এই চণ্ডীপাঠকে নানা রূপে সাজান এবং আরও সুন্দর করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই কাজটা প্রথম পরিবেশন করতে তাঁকে প্রচুর গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে। চেষ্টাটা ছাড়েননি।

Mahalaya mahisasuramardini in English

তাঁর এক বন্ধু অরিন্দম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন , “আমরা এই মহালয়াটার প্রতি একটু বেশি দুর্বল কেন তার একটা গৌড়চন্দ্রিকা করা প্রয়োজন। আমরা যখন ছোট ছিলাম এই সবে স্নাতকের ছাত্র সেই সময় আমাদের পাড়ার পুজো মণ্ডপে সুপ্রিয় দা প্রথমবার চণ্ডী পাঠ করল। মাইকে সবাই শুনলো। এমনকি বাড়ির অন্দর পর্যন্ত সেই কণ্ঠস্বর পৌছলো মাইকের দৌলতে। ফলে সারা পাড়ায় ওই পাঠ একটা সারা ফেলেছিল।

জেঠিমা, মানে সুপ্রিয়দার মা ছেলের এমন সাফল্যে আরও অনেক বড় স্বপ্ন চোখে বুনে তুলতেন। জেঠিমা বলতেন, দেখো মহালয়া সকলের জন্য। যে সব ছেলে-মেয়েরা বিদেশে চলে গিয়েছে সেখানে সংসার পেতেছে তাঁরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের মহালয়া শোনাতে চান বা সম্পর্কে তাঁদের জানাতে চান অথচ তাঁদের ছেলেমেয়েরা বাংলা বোঝেন না জানেন না, তাই মহালয়া হোক ইংরাজিতে কারণ ইংরাজি প্রথম আন্তর্জাতিক ভাষা। জেঠিমা মনে করতেন যে ইংরাজিতে মহালয়া হলে বিশ্বের প্রচুর মানুষের কাছে পৌছবে মহালয়া। জেঠিমা বেঁচে থাকাকালীন সুপ্রিয় দা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা শুরু করল সেই কাজ।”

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ” কিন্তু দেশটা ভারত তাই ভালো কিছুর উৎসাহ তো পাওয়া দূরস্থান বরঞ্চ কি ভাবে বিষয়টা জনসমক্ষে না এসে পড়ে তার চেষ্টা হল প্রায় তিনগুন উৎসাহে। মানে সে কপিরাইট থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন বিষয়ে। কে বাঁধা দেননি। ওই যে বললাম আজ এই বয়েসে আর ভয় পাইনা। তা যাইহোক এই মঙ্গলময়ের মঙ্গল যাত্রায় আর অমঙ্গলের ফেনা নাই তুললাম, কাজ যখন সম্পূর্ণ রূপে শেষ হল সুপ্রিয় দা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মানে যখন এই ইংরাজি মহালয়া জনসমক্ষে পরিবেশন করার অনুমতি পেল তখন জেঠিমা অর্থাৎ সুপ্রিয়-দার মা আর এই পৃথিবীতে নেই।

তা আমরা বিশ্বাস করি যে জেঠিমা যেখানেই থাকুন তিনি এই ইংরাজি মহালয়া দেখছেন, শুনছেন ও উপভোগ করছেন।” ইংরেজি এই মহালয়া প্রকাশ পাবে ইউটিউবে ‘Karigori Kobiyal’ চ্যানেলটিতে

]]>
রবীন্দ্রনাথসহ সমগ্র বাঙালির ইংরেজি শিক্ষার হাতেখড়ি এই বাঙালির হাত ধরেই https://ekolkata24.com/offbeat-news/bengali-learns-english-in-the-hand-of-paricharan-sarkar Sun, 03 Oct 2021 05:26:36 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6398 বিশেষ প্রতিবেদন: ইংরেজি শিক্ষা, ইংরেজিতে কথা বলা, ইংলিশ মিডিয়ামে সন্তানকে পরানো নিয়ে আজ বাঙালির মাথাব্যথা। ইংরেজি না শিখলে সন্তানের ভবিষ্যত নষ্ট, এটা প্রায় ধরেই নেন এখনকার মা বাবারা। কিন্তু বাঙালি কী জানে বাঙালির এই ইংরেজ কেতাদুরস্ত হয়ে ওঠা শুরু হয়েছিল এক বাঙালির হাত ধরেই। বাংলায় যদি বিদ্যাসাগর বর্নপরিচয় ঘটান, তাহলে ইংরেজিতে
প্যারিচরণ সরকার।

তাঁর ‘ফার্স্ট বুক’, বই পড়েই রবি ঠাকুরেরও ইংরেজিতে হাতেখড়ি হয়েছিল। নারী শিক্ষার অগ্রদূত, সমাজ সংস্কারক এবং উনিশ শতকের বাঙলার পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা ছিলেন তিনি । যিনি প্রথম বৃটিশ শাসিত বাংলার মানুষদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেয়েছিলেন। প্যারিচরণ সরকারের পাঠ্যবই বাঙালির সমগ্র প্রজন্মকে ইংরেজি ভাষার সঙ্গে পরিচিত করে। তাঁর পাঠ্যবইসমূহ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছে এবং অধিকাংশ ভারতীয় ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

বাংলায় নারী শিক্ষার অগ্রদূত ছিলেন তিনি এবং এজন্য তাঁকে ‘প্রাচ্যের আর্নল্ড’ বলা হতো। তিনি তাঁর সময়কালে সুরাপান নিবারকরূপে সকলের দৃষ্টি ও শ্রদ্ধা আকর্ষণ করেছিলেন।

বাঙালির ইংরেজি শিখবার তৎকালীন প্রবণতায় তাঁর রচিত ‘ফার্স্ট বুক’ বইটি বাঙলার সামাজিক ইতিহাসে অক্ষর-মূর্তি হয়ে আছে। সেই প্যারিচরণ সরকারের জন্ম ১৮২৩ সালেল ২৩ জানুয়ারি উত্তর কলকাতার চোরবাগানে। বাবার নাম বৈরব চন্দ্র সরকার।

প্যারীচরণ সরকার ডেভিড হেয়ারের পটলডাঙ্গার পাঠশালায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। ১৮৩৮ সালে হেয়ার সাহেবের স্কুল থেকে জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় মাসিক আট টাকা বৃত্তি লাভ করেন।অতপর হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। সেখানে সিনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় মাসিক চল্লিশ টাকা বৃত্তি লাভ করেন।

১৮৪৩-এ হিন্দু কলেজের শিক্ষা শেষ করেন। হিন্দু কলেজের শিক্ষা শেষ করে কিছুকাল হুগলী ব্যাংকে চাকরি করার পর হুগলী স্কুলে শিক্ষকতার কাজে যোগ দেন।

পরে তিনি বারাসতের গভর্নমেন্ট স্কুলের প্রধাণ শিক্ষকের দায়িত্ব পান। ১৮৪৬-১৮৫৪ পর্যন্ত তিনি এই স্কুলে কর্মরত ছিলেন। সেখানে কৃষি বিদ্যালয় স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এরপর কলুটোলা ব্রাঞ্চ স্কুলের প্রধান শিক্ষকরূপে আট বছর দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর চেষ্টায় স্কুলটির নাম পরিবর্তিত হয়ে হেয়ার স্কুল হয়।

পরবর্তীতে ১৮৬৩ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজের অস্থায়ী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন প্যারীচরণ সরকার।
প্যারীচরণ সরকার তার শিক্ষকতা জীবনে ছাত্রদের পড়াতে গিয়ে দেখেন, এদেশীয় ছাত্রদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ইংরেজি শেখার বই নেই।

তখন তিনি নিজেই লিখে ফেললেন ‘ফার্স্ট বুক অফ রিডিং ফর নেটিব চিলড্রেন’। পরে তিনি এর দ্বিতীয় ভাগও লিখেছিলেন। প্যারীচরণ সরকারের ফার্স্ট বুক হয়ত আজকাল আর কোন স্কুলে পড়ানো হয়না । কিন্তু বাঙালির তাঁর ইংরেজি মাসের দিন সংখ্যা জানতে শেখাও তাঁর হাত ধরেই। কোনটা জানেন? ‘Thirty days have September, April, June and November,/February has Twenty -Eight alone,
And the rest have thirty-one.’

প্যারীচরণ সরকার শুধু লেখেন নি, নিজে সেই বই ছাপাতেনও। উত্তর কলকাতায় এখনো রয়েছে তাঁর সেই বাড়ি এবং ছাপাখানা, যদিও জরাজীর্ণ অবস্থায়। 

]]>