extreme – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sun, 12 Dec 2021 12:25:36 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png extreme – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 State-Governor Conflict: বঙ্গের মত এবার কেরলেও রাজ্য-রাজ্যপাল সঙ্ঘাত চরমে https://ekolkata24.com/uncategorized/like-bengal-this-time-the-state-governor-conflict-is-extreme-in-kerala Sun, 12 Dec 2021 12:25:36 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14578 নিউজ ডেস্ক, তিরুঅনন্তপুরম: কেন্দ্রের প্রতিনিধি হলেও রাজ্যপাল (governor) একটি সাংবিধানিক পদ (constitutional post)। কিন্তু নিজেদের সেই পরিচয় শিকেয় তুলে রেখে বিভিন্ন রাজ্যে রাজ্যপালরা কার্যত কেন্দ্রের মোদি সরকারের এজেন্ট (agent) হিসাবে কাজ করে চলেছেন। তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য হল, বিজেপির ইশারায় বিভিন্ন রাজ্যকে কাজের ক্ষেত্রে সমস্যায় ফেলা।

দায়িত্ব নিয়ে বাংলায় এসে প্রথম দিন থেকেই সেই কাজটি করে চলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এবার সেই একই ছবি দেখা গেল বামশাসিত রাজ্য কেরলে। বাংলার মতই এবার কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের (Arif Mohammad Khan) সঙ্গে দ্বন্দ্ব চরমে উঠল মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের (Pinarayi Vijayan)। অনেকটা ঠিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বনাম জগদীপ ধনকড়ের বিরোধের মতই।

রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ ও মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের মধ্যে বিবৃতি পাল্টা বিবৃতির পাশাপাশি চলছে পত্রাঘাত। বামশাসিত কেরলেও রাজ্যপাল বনাম সরকার সংঘাতের সূত্রপাত উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে।

সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সরকারের নির্বাচিত কোনও প্রার্থীকেই রাজ্যপাল উপাচার্য হিসেবে আনুষ্ঠানিক নিয়োগের সম্মতি দিতে বাধ্য। কিছুদিন আগে বিধানসভা নির্বাচনের পর কেরলের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। নতুন উপাচার্যদের নাম নিয়েই আপত্তি করেছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তাঁর অভিযোগ, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার রাজ্যপালের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার উচ্চশিক্ষায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসন খর্ব করছে।

রাজ্য-রাজ্যপাল বিতর্কের জল এতটাই ঘোলা হয়েছে যে, আচার্যের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুঁমকি দিয়েছেন আরিফ মহম্মদ। যদিও রাজ্যপালের এই হুঁমকিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজয়ন সরকার। ফলে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ক্রমশই বেড়ে চলেছে।

উল্লেখ্য, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে একই রকম সংঘাত শুরু হয়েছিল বাংলাতেও। এ ধরনের সংঘাত এড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করে। ওই সংশোধনী মাধ্যমে আচার্য তথা রাজ্যপালের হাত থেকে সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি সার্চ কমিটিতেও রাজ্যপালের ক্ষমতা কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়।

তবে কেরলে এখনও পর্যন্ত আইন সংশোধনের পথে হাঁটেনি বিজয়ন সরকার। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দেখানো পথে বিজয়ন সরকার যে হাঁটবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। বরং পায়ে পা দিয়ে রাজ্যপালের ঝামেলা বাঁধানের এই চেষ্টা পাকাপাকি বন্ধ করতে বিজয়ন সরকারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই অনুসরণ করতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

]]>