চলতি বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড তাদের সফর বাতিল করার পর, পাকিস্তান ডিসেম্বর মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজ আয়োজন করে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, উভয় দলের মধ্যে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দর্শকদের আসন খালি ছিল।
গোটা ঘটনার জেরে স্তম্ভিত পাকিস্তানের প্রাক্তন বাহাতি পেসার আক্রম টুইটে নিজের প্রতিক্রিয়ায় পোস্ট, “#PAKvWIt20-এর জন্য করাচিতে একটি খালি স্টেডিয়াম দেখে অবিশ্বাস্যভাবে দুঃখিত, বিশেষ করে গত মাসে পাকিস্তানের পারফরম্যান্সের পরে। আমি নিশ্চিত কেন আমি জানি কিন্তু আমি আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই! আমাকে বলুন, ভিড় কোথায় এবং কেন”?
https://twitter.com/wasimakramlive/status/1470669890394730496?s=20
পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি,প্রতিযোগিতার টিকিট বিক্রি সন্তোষজনক ছিল না। তবে সিরিজ এগিয়ে চলার সাথে সাথে দর্শকদের ব্যাপক সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে ওয়াসিম আক্রমের টুইট পোস্ট, “এটি খুবই উদ্বেগজনক। এটি একটি বাড়ির পিছনের দিকের খেলা নয় এটি একটি আন্তর্জাতিক সিরিজ,” আক্রমের এই টুইটের রিপ্লাইং পোস্টে হিসবান মেমন একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও পোস্টের ক্যাপসনে লিখেছেন, “করাচীবাসীদের (স্থানীয় জনতা) অভিশাপ না দেওয়া যাক, নবাবশাহ থেকে লোকেরা দেখতে এসেছে কিন্তু তারা ইতিমধ্যে ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করেছে। এই বিষয়েও পিসিবির ব্যবস্থা নেওয়া উচিত!”
শুধু তাইই নয়, খেলা দেখতে এসে টিকিট না পাওয়ার কারণে অনেক দূর থেকে আসা আরও অনেক ক্রিকেট ভক্তরা হেনস্থার শিকার হয়েছে,তবে এমন উত্তপ্ত আবহেও পাক ক্রিকেট ভক্তকুল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট টিমকে “খুশামদী” অর্থাৎ স্বাগত জানিয়ে, আকারে ইঙ্গিতে পাক ক্রিকেট ভক্তরা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ম্যাচ আয়োজনের অব্যবস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে।
সোমবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬৩ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটের জয়ের সাথে, পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাদের লিড ২-০ তে বাড়িয়েছে।দুটি ম্যাচ করাচিতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুই দলের মধ্যে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে।
]]>আবার মঙ্গলবার, একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আসন্ন দক্ষিন আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করতে পারেন বিরাট কোহলি৷
১৬ ডিসেম্বর টিম ইন্ডিয়া উড়ে যাবে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলতে। সফরে উড়ে যাওয়ার ২ দিন আগে রোহিতের “ইনজুরি” আর বিরাট কোহলির দক্ষিন আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহারের জোড়া খবরে উত্তাল দেশের ক্রিকেট ভক্তকুল। জোড়া খবরের জেরে দেশের ক্রিকেট ভক্তবৃন্দরা এতটাই উত্তাল যে তারা টুইটারে গোটা ঘটনাকে নিয়ে “ট্রোলিং” শুরু করে দিয়েছে।
এই জোড়া ইস্যুতে Sagar’র টুইটে ট্রোলিং,”টেস্ট সিরিজে ঠিকই চোট পেয়েছেন রোহিত। ওয়ানডে সিরিজের জন্য ঠিক বিরতি নিচ্ছেন বিরাট। এটা একটা কাকতালীয় মাত্র। ভারতীয় ক্রিকেট দলে সবকিছুই স্বাভাবিক”।
Sagar’র টুইটে ট্রোলিং’র রিটুইট ট্রোলিং’এ Innervate পোস্ট, “দুজনেই ৩৩ – ৩৪, তাদের কিক আউট – আমরা তাদের পরিবর্তন করার জন্য তরুণদের পেয়েছি”।
আবার বিসিসিআই’র অভ্যন্তরীণ লবিবাজীকে কটাক্ষ করে Innervate রিটুইট পোস্টের প্রতিক্রিয়াতে Premium Lejhand’র রিটুইট পোস্ট,
“দেখুন রাজনীতির কারণে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সরিয়ে দেওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কী হয়”।
রাহুল গুপ্তার রিপ্লাই পোস্ট, “আপনি যে ধূমপান করছেন, আমারও দরকার
”। adarsh’র রিপ্লাইং পোস্ট, “হ্যাঁ বিসিসিআই খেলার চেয়ে বড় নয়, গাঙ্গুলি এবং জয় শাহকে আউট করে দিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।”
Narcos Editz’র রিপ্লাইং পোস্ট, “সত্যি..ভারতীয় ক্রিকেট দলের মূল রাজনীতি আ চুকি হ্যায়… খারাপ হতে চলেছে”।
Sagar’র টুইটে ট্রোলিং’র রিপ্লাইং পোস্টে Sameer
khan’র পোস্ট,”আবেগপ্রবণ হবেন না 
”।Sagar’র টুইটে ট্রোলিং’র রিপ্লাইং পোস্টে Innervate
রিপ্লাইং পোস্ট, “মালাউই সোনা আমার পছন্দের জুজু এবং কেউ খেলার চেয়ে বড় নয়, এটি বের করুন”।
যশ মিত্তল
রোহিতের ইনজুরি আর বিরাট বিশ্রামের সম্ভাবনার খবরে টুইটে পোস্ট, “২০০৮ সালে গাঙ্গুলি এবং ২০২১ সালে রাহানে- মুম্বই ইকোসিস্টেমের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেটের মহাকাব্যিক ভণ্ডামি।
PS: এই টুকরা কোথাও প্রকাশ করা হবে না. কিন্তু তারপরে, ভারতীয় ক্রিকেটের স্পষ্টত ভণ্ডামি না বললে আমি আমার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হব”।
2008 সালে গাঙ্গুলি এবং 2021 সালে রাহানে- মুম্বাই ইকোসিস্টেমের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেটের মহাকাব্যিক ভণ্ডামি।
PS: এই টুকরা কোথাও প্রকাশ করা হবে না. কিন্তু তারপরে, ভারতীয় ক্রিকেটের স্পষ্টত ভণ্ডামি না বললে আমি আমার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হব”। যশ মিত্তলে’র
রিপ্লাইং পোস্ট Mainak’র,”মুম্বই’র সবচেয়ে খারাপ লবি আছে। একটা সময় ছিল যখন তারা দুর্দান্ত খেলোয়াড় তৈরি করেছিল কিন্তু এখন তারা তাতেও ব্যর্থ হয়েছে। তারা শুধু অন্য ভালো খেলোয়াড়দের ফিনিশ করে এবং DADA ছিল সবচেয়ে বড় উদাহরণ!” যশ মিত্তলে’র
রিপ্লাইং’এ সুনীল সিং’র পোস্ট,”SA-তে তার প্রত্যাবর্তনের খেলায়, তিনি একজন এলিয়েনের মতন একা একা খেলতেন এমন খেলোয়াড়দের দেখে যাকে তিনি প্রতিদিন সমর্থন করতেন তাদের সাথে অপরিচিতদের মতো আচরণ করতে দেখে
সর্বোপরি তিনি জানতেন যে তিনি কেবল একটি সিরিজ ব্যর্থতার জন্য স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত হতে পারেন তাই বিজ্ঞতার সাথে অবসর নিয়েছিলেন”।
যশ মিত্তলে’র
রিপ্লাইং রিটুইট পোস্টে প্রদীপ্ত মৈত্র
@threadreaderapp “আনরোল” / আনরোল করুন”।
যশ মিত্তলে’র
রিপ্লাইং টুইটে ভিকি তিওয়ারি’র পোস্ট, “২০০৮ গাঙ্গুলিকে প্রথমবার মুম্বাই লবির শত্রুতার মুখোমুখি হতে হয়নি, এটি ৯২ থেকে শুরু হয়েছিল …”এই রিপ্লাইং’র সঙ্গে সহমত পোষণ করে যশ মিত্তলে’র
রিপ্লাইং টুইট পোস্ট, “Obviously (স্পষ্টতই)”। তবে যশ মিত্তলে
এবং ভিকি তিওয়ারি’র রিপ্লাইং পোস্টের ওপর তীব্র আকারে খাঁড়া নামিয়ে রিপ্লাইং পোস্ট এসেছে English August’র, ওই রিপ্লাইং পোস্ট এরকম,”২০০৩-০৪ সালে নাগপুরে অস্ট্রেলীয়দের বিরুদ্ধে ধাক্কাধাক্কি করার পরে তার প্যান্ট ঝাঁঝরা করার পরে ডরপোক(ভীতু) গাঙ্গুলীকে ভারতের হয়ে খেলার জন্য বাছাই করা উচিত হয়নি। এই যখন তিনি পিচ দেখেন, একটি সবুজ মাম্বা, এবং হঠাৎ একটি নিগল তৈরি করে”।
সব মিলিয়ে রোহিতের “ইনজুরি”! “বিরাট বিশ্রাম” ইস্যুতে ভক্তদের ট্রোলিং’র নিশানায় বিসিসিআই’র সর্বোচ্চ দুই পদাধিকারী।
]]>সবুজ মেরুন সমর্থকদের সাফ কথা হেডকোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের ডিফেন্স লাইন AFC পর্বের ম্যাচেও নাফাসের বিরুদ্ধে জঘন্য ডিফেন্স প্রদর্শন করেছিল।এবার চলতি আইএসএলের পঞ্চম ম্যাচে চেন্নাইন এফসির সঙ্গে ড্র করতেই প্রিয় দলের পুরনো রোগ ডিফেন্স নিয়ে রাগ ঝড়ে পড়ছে সমর্থকদের মধ্যে।
সবুজ মেরুন সমর্থকদের পরিষ্কার বক্তব্য ATKMB’র ডিফেন্স লাইন নিয়ে,”তিরি এই ম্যাচে ছিল তাই রক্ষে, না হলে গোলের ব্যবধানে আমাদের বিপক্ষে বেড়ে যেতেই পারতো।”
সবুজ মেরুন সমর্থকদের রাগের বহিঃপ্রকাশের প্রতিক্রিয়ায়,” হুগো বৌমাস,মনভীর সিং,জনি কাউকো এদের মধ্যে খেলার এনার্জি ছিল না,এদের পা থেকে বল নিয়ে চলে যাচ্ছে, এরাই কিছুই করতে পারছে না,ভুল পাসিং শুধু করে যাচ্ছে।” চলতি আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানের ছয় নম্বর ম্যাচ ১৬ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে।
এদিন দলের ডিফেন্সের সঙ্গে মাঝমাঠ নিয়েও হাবাসের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে বাধ্য।কেননা সেকেন্ড হাফে চেন্নাইন দলের অধিনায়ক অনিরুদ্ধ থাপাকে নিয়ে হিমশিম খেতে দেখা গিয়েছে ATKMB’কে, ম্যাচে অনেক বেশি আগ্রাসী ফুটবল থাপার গেমপ্ল্যানে ধরা পড়েছে।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে CFC অধিনায়ক অনিরুদ্ধ থাপার দুরন্ত বাঁ পায়ের স্ট্রাইক শট অল্প কয়েক ইঞ্চির ব্যবধানে বেরিয়ে গেলেও বাগান ডিফেন্স লাইন যেভাবে থাপাকে বক্সের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে অর্থাৎ Allow করেছে, তা ATKMB’র ডিফেন্ডারদের “বোকামি” ছাড়া কিছুই নয়।
]]>মুম্বই টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন বিরাট কোহলি তার হোটেল রুম ছেড়ে টিম বাসের দিকে যাচ্ছিলেন, ওই সময় এক ব্যক্তি তার হাতে একটি পোস্টার ধরছিলেন। হোটেলের সিঁড়ি দিয়ে কোহলি নামতে শুরু করলেই ওই ব্যক্তি কোহলির দিকে তাকিয়ে বলেন, কোহলি ভাই আমার জন্মদিন। এই কথার প্রতিক্রিয়াতে বিরাট কোহলির বড় হৃদয়ের পরিচয় প্রকাশ্যে আসে টুইটারে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে। বিরাট নিজের প্রতিক্রিয়াতে, ওই ব্যক্তিকে ‘জন্মদিনের শুভেচ্ছা’ জানান।
প্রসঙ্গত, কোহলি ২০১৯ সাল থেকে টেস্টে সেঞ্চুরি করতে পারেননি, যার কারণে ভক্তদের মন খারাপ। তবে বিরাট ভক্তরা আশা করছে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরির খরার অবসান ঘটাবেন কোহলি। সেঞ্চুরিয়নে ২৬ ডিসেম্বর প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে।
]]>আবার পছন্দের তারকা কারুর সঙ্গে মাখোমাখো প্রেম করছেন বা বিয়ে সেরে ফেলেছেন জানলে অনুরাগীদের মন যাওয়ার গল্প নতুন নয়। এদিকে বলিউডে এমনও অনেক নজির রয়েছে যারা নিজেদের অনুরাগীদের প্রেমে পড়েছেন আর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

১. মাধুরী দীক্ষিত ও শ্রীরাম নেনে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার ভাইয়ের অনুরোধে মাধুরী দীক্ষিত ডাঃ শ্রীরাম নেনের সাথে দেখা করেছিলেন। ডঃ নেনে আগে থেকেই মাধুরীর নাচ ও অভিনয়ের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। তিন মাস প্রেম করার পর অবশেষে ১৯৯৯ সালের ১৭ অক্টোবর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

২. বিবেক ওবেরয় ও প্রিয়াঙ্কা আলভা
বিবেক তার প্রেম জীবনে অনেক চড়াই -উতরাই পেরিয়ে তার জীবনসঙ্গী খুঁজে পেয়েছিল। কর্ণাটকের একজন মন্ত্রীর মেয়ে, প্রিয়াঙ্কা আলভা সবসময় বিবেকের কাজের প্রশংসা করেছেন এবং স্বীকার করেছেন যে তিনি তার ভক্ত। এই দম্পতি ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর তারিখে গাঁটছড়া বাঁধেন।

৩. ইশা দেওল ও ভারত তাখতানি
শৈশবের স্কুল রোমান্স অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তার পথ খুঁজে পায় ইশা ও ভারতের প্রেম কাহিনীর মধ্যে দিয়ে। ইশা স্বীকার করেছিলেন যে ভারত ১৩ বছর বয়েস থেকে তার প্রেমে মত্ত ছিলেন অথচ তাকে কখনো মুখ ফুটে বলে উঠতে পারেননি। ২০১২ সালের জুন মাসে ইশা ও ভারত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

৪. শিল্পা শেঠী ও রাজ কুন্দ্রা
সম্প্রতি বলিউডের চর্চার কেন্দ্রে থাকা দম্পতি শিল্পা শেঠী ও রাজ কুন্দ্রাও এই লিস্টের ব্যতিক্রম নন। শিল্পার ফিটনেস ও জীবনদর্শনের প্রতি মুগ্ধ হন অনেকেই। ব্রিটিশ-ভারতীয় ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রা তার আরেক ভক্ত ছিলেন এবং সৌভাগ্য বসত তাকে বিয়ে করার সুযোগ পান। ২০০৯ সালের ২২ শে নভেম্বর তাদের বিয়ে হয়।

৫. ইমরান খান ও অবন্তিকা মালিক
‘জানে তু ইয়া জানে না’ খ্যাত অভিনেতা ইমরান খানের কিশোর রোমান্স সত্য হয়েছিল যখন তিনি অবন্তিকা মালিককে ১০ বছর ডেটিং করার পর বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতি ২০১১ সালের ১০ জানুয়ারী গাঁটছড়া বাঁধেন।
ভারতের ক্রিকেট ভক্তরা শুধু অসন্তুষ্টির মধ্যে নিজেদের বেধে না রেখে ভারতীয় আম্পায়ারদের আন্তজার্তিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করার যোগ্যতা এবং দক্ষতার প্রশ্নে একগাছা প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে(বিসিসিআই)। যা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এখন জর্জরিত।
টসে জিতে ভারত ব্যাটিং’র সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম ইনিংসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাহাতি অর্থোডক্স স্পিনার আজাজ প্যাটেল শুভমান গিল, চেতেশ্বর পূজারার উইকেট নেয়। ৩০ তম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে এলবিডব্লু’তে আউটের কল করে, স্ট্যান্ডিং আম্পায়ার অনিল চৌধুরীর উদ্দেশ্যে। অনিল চৌধুরী আজাজের আপিল গ্রহণ করে আউটের সিদ্ধান্ত আঙুল তুলে দেখিয়ে দিতেই কিউই ক্রিকেটারেরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে,সঙ্গে স্পিনার আজাজ প্যাটেলকে শাবাশি দিতে থাকে।
আম্পায়ার অনিল চৌধুরীর আউট দেওয়ার সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে পড়েন ভারত অধিনায়ক তথা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। কোহলি রিভিউ’র সিদ্ধান্ত নেয়। তৃতীয় আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মা রিপ্লেতে বেশ কয়েক ভিডিও শুট দেখতে থাকেন বিরাট কোহলির রিভিউ ইস্যুতে।
বেশ কয়েকটি রিপ্লে দেখে ম্যাচের তৃতীয় আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মা সিদ্ধান্তে আসেন মাঠের স্ট্যান্ডিং আম্পায়ার অনিল চৌধুরীর আউটের সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য তার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। তিনি বলেন,”বল,ব্যাট এবং প্যাড একসাথে আছে বলে মনে হচ্ছে। এটাকে উল্টে দেওয়ার মতো কোনও চূড়ান্ত প্রমাণ আমার কাছে নেই।”
“বেনিফিট অফ ডাউট” গ্রাউন্ডে স্ট্যান্ডিং আম্পায়ার অনিল চৌধুরীর আউটের সিদ্ধান্তই কার্যকরী হয় তৃতীয় আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মার রিপ্লে দেখে বিরাট কোহলির রিভিউ ইস্যুতে।
শেষমেশ রানের খাতা না খুলেই ক্রিজ ছাড়ার সময়ে বিরাট কোহলি এবং স্ট্যান্ডিং আম্পায়ার অনিল চৌধুরীর মধ্যে ক্ষণিকের বাকযুদ্ধ প্রকাশ্যে আসে।
আউটের সিদ্ধান্তে প্যাভিলিয়নে ফেরার পিথে বিরাট কোহলি হতাশা থেকে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে মাথা নাড়াতে নাড়াতে প্যাভিলিয়নের পথে এগিয়ে যেতে থাকেন। এমনকি বাউন্ডারি লাইনে ব্যাট দিয়ে চরম হতাশায় হিট করতে দেখা যায় ক্যাপ্টেন কোহলিকে। প্যাভিলিয়নে হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড়ের পিছনে দাঁড়িয়েও “বিরাট” হতাশা চেপে রাখতে না পেরে ক্যাপ্টেন কোহলি আউটের সিদ্ধান্তকে কোনও মতেই মেনে নিতে না পারার প্রতিক্রিয়াতে মাথার চুলে হাত বোলাতে বোলাতে মাথা নাড়তে থাকেন। রাহুল দ্রাবিড় ওই মুহুর্তে পুরো ফোকাসড অন ফ্লিডে, চোয়াল শক্ত, গম্ভীর, টেনশনের ছাপ পরিষ্কার ধরা পড়ে টিভি ক্যামেরায়।
ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির আউটের গোটা প্রক্রিয়া এবং কোহলির বিরাট প্রতিক্রিয়া টিভির পর্দায় ভেসে উঠতেই ক্ষোভ আর অসন্তুষ্টির অগ্নুৎপাত ঘটে দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে।
টুইটারে দেশের ক্রিকেট ভক্তরা বিসিসিআই’কে নিশানা করে ভারতীয় আম্পায়ারদের আন্তজার্তিক ক্রিকেটে বিশেষত ঘরের মাঠে আম্পায়ারিং করার যোগ্যতা এবং দক্ষতার প্রশ্নে একগাছা প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সাহিন মণ্ডলের টুইট, “আম্পায়ার যদি প্রথমে ব্যাট করার ব্যাপারে নিশ্চিত না হন (অনির্ণয়) তাহলে কেন ধরে নিতে হবে যে এটি প্রথমে প্যাড? এটা কতটা অযৌক্তিক বোকা মতামত.. বোলটি প্রথমে প্যাডে আঘাত না করা পর্যন্ত কাউকে এলবিডব্লিউ আউট করার অধিকার কারো নেই..
সিরিজে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ বিরক্ত।”
সাহিন মণ্ডলের টুইটের প্রতিক্রিয়াতে ভিন্নু শাহ’র রিটুইট,
“হ্যাঁ…! আম্পায়ারদের সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত..! আইনানুযায়ী সিদ্ধান্ত বলা নিয়ে সন্দেহ ছিল এবং বল ব্যাটে বা প্যাডে লেগেছে বলে কোনো প্রমাণ নেই..!!! সুবিধা শুধু ব্যাটসম্যানদেরই যায়..!!!! আম্পায়াররা শুনে সত্যিই বোকা ছিলেন 
।”
দিগন্তনীল গিরির এই নিয়ে টুইট পোস্ট, “এটা পরিষ্কার নয় আউট.
অনিল চৌধুরী এবং বীরেন্দ্র শর্মার মতো এই গুড ফর নাথিং আম্পায়ারদের থেকে মুক্তি পান এবং কিছু উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আম্পায়ার পান।
আমরা ঈশ্বরের জন্য একটি WTC খেলছি। এবং এটি আম্পায়ারিংয়ের মান? দিনের পর দিন এটি একই পদ্ধতিতে চলছে।
চরম অপমান
।”
দিগন্তনীল গিরি এও টুইট পোস্টে লিখেছেন, “এই আম্পায়াররা ঘরোয়া ক্রিকেটে থাকুক। নিতিন মেনন ছাড়া আর কেউ মানসম্পন্ন নয়।
হোম টেস্ট ম্যাচের জন্য মানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার পান। খেলোয়াড়রা বায়ো বাবোলে থাকতে পারলে আম্পায়ার কেন পারবে না?
আম্পায়ারিং এর এই শিট শো আর মেনে নেওয়া যায় না।
।”
সৌম্য দাশগুপ্ত টুইট পোস্ট এই ইস্যুতে, “প্রথম টেস্টে গ্রাউন্ড আম্পায়ারিংয়ে অনেক ভুল, এখন দ্বিতীয় টেস্টে আরেকবার আরেক ভুল করলেন তৃতীয় আম্পায়ার।”
SPEARS’র টুইট পোস্ট, “ব্যাটের সংস্পর্শে আসার পর বলের সীম স্পষ্টভাবে নড়বড়ে হয়ে যায়, সীমে একটি সুনির্দিষ্ট পরিবর্তন ছিল এবং এটি কেবল তখনই ঘটতে পারে যদি এটি প্রথমে প্রান্তটি নেয়। এই বৃদ্ধ আম্পায়ারদের বরখাস্ত করার সময় এসেছে।”
আম্পায়ারিং’র মান তুলে নেহা শর্মার খোঁচা দেওয়া টুইট, “এমনকি গলি ক্রিকেট আম্পায়াররাও বীরেন্দ্র শর্মার চেয়ে ভালো।
”
এ
ই ইস্যুতে মহসিন খান এমকেডি’র ঝাঁঝালো টুইট পোস্ট
“নট আউট হ্যায় আন্ধে(অন্ধ,চোখে দেখতে পায়না)”।
রিহা বিসিসিআইকে নিশানা করে বিরাট কোহলির আউট ইস্যুতে টুইটে তির্যক পোস্ট, “ধনী বোর্ড এই কারণে।”
সব মিলিয়ে বিসিসিআই নিজেদের টুইটার হ্যাণ্ডেলে সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে বিরাট কোহলির আউট নিয়ে গোটা প্রক্রিয়াকে পোস্ট করতেই ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা ভারতের আম্পায়ারদের মান এবং বিসিসিআই’কে নিশানা করে তুলোধোনা করার পাশাপাশি, ছি: ছি: ছি: করছে।
যদিও দল দেশে ফিরে আসার পরে ভারতের লজ্জাজনক পারফরম্যান্সের তদন্ত অবশ্যই বিসিসিআই করবে! নিউজিল্যান্ডের কাছে লজ্জার হারের পরে সোশাল মিডিয়ায় প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং ভক্তরা ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তাদের বক্তব্য রেখে চলেছেন।
বীরেন্দ্র সেহবাগ, ওয়াসিম জাফর, ভিভিএস লক্ষ্মণের মতো দ্বিগজ্জ প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা নিজেদের হতাশা প্রকাশ করেছেন। আবার কিছু ক্রিকেট ভক্ত মিম শেয়ার করে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের পারফরম্যান্সের নিন্দা করেছেন।
বীরেন্দ্র সেহবাগ টুইটে লিখেছেন,”ভারতের থেকে খুবই হতাশাজনক। নিউজিল্যান্ড আশ্চর্যজনক ছিল. ভারতের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দুর্দান্ত ছিল না, খারাপ শট সিলেকশন এবং অতীতের কয়েক বারের মতো, নিউজিল্যান্ড কার্যত নিশ্চিত করেছে যে আমরা পরবর্তী ধাপে উঠতে পারব না। এটি ভারতকে আঘাত করবে এবং কিছু গুরুতর আত্মদর্শনের জন্য সময় দেবে #IndvsNZ”
https://twitter.com/virendersehwag/status/1454859973003862022?s=20
ভিভিএস লক্ষণ টুইট পোস্টে লিখেছেন, “এই পরাজয় টিম ইন্ডিয়াকে কষ্ট দিতে হবে। ব্যাট হাতে অস্থায়ী, তাদের শট নির্বাচন প্রশ্নচিহ্নে। নিউজিল্যান্ড দুর্দান্ত বোলিং করেছে, কিন্তু ভারত তাদের কাজ সহজ করে দিয়েছে। তাদের নেট রান রেটও মার খেয়েছে, সেমিফাইনালের জায়গাটা দূরের স্বপ্ন দেখায় #INDvNZ #T20WorldCup”
This defeat should hurt Team India. Tentative with the bat, their shot selection was questionable. New Zealand bowled superbly, but India made their task easier. With their net run rate also taking a beating, a semifinal spot looks a distant dream #INDvNZ #T20WorldCup
— VVS Laxman (@VVSLaxman281) October 31, 2021
ভারতের প্রাক্তন টেস্ট দলের ওপেনার ওয়াসিম জাফর টুইটে মহাকাব্যে ধৃতরাষ্ট্র চরিত্রের সংলাপ পোস্ট করে লিখেছেন”ইয়ে কেয়া হো রহা হেঁ।”
#INDvsNZ #T20WorldCup pic.twitter.com/Jgtx0V5HMd
— Wasim Jaffer (@WasimJaffer14) October 31, 2021
বিশিষ্ট ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার এবং ক্রিকেট পন্ডিত হর্য ভোগলের টুইট পোস্ট এরকম,”ভারত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। এবং যখন এটি সর্বদা গ্রুপে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে, আমি মনে করি না যে কেউ এটি আসতে দেখেছে।”
India haven't competed. And while it was always going to be a three way battle in the group, I don't think anyone saw this coming.
— Harsha Bhogle (@bhogleharsha) October 31, 2021
ভারতের প্রাক্তন কূটনীতিবিদ তথা কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর টুইট তাঁর কূটনীতিক পারদর্শিতা থেকে করা, “আমরা তাদের প্রশংসা করেছি, তাদের প্রশংসা করেছি, তাদের প্রশংসা করেছি এবং তাদের পুরস্কৃত করেছি। আমরা তাদের হারতে আপত্তি করি না কিন্তু তাদের লড়াই পর্যন্ত না করায় আমরা আপত্তি করি। ক্যাপ্টেনের আমাদের বলার দরকার নেই কী ভুল হয়েছে (আমরা নিজেরাই তা দেখতে পাচ্ছি); তাকে আমাদের বলতে হবে কেন!:”
অঙ্কুর ত্রিপাঠীর মিম এরকম, “আমি সর্বদা আমার দেশকে সমর্থন..
কিন্তু সত্য হল;_
#INDvNZ”
We have adored them, applauded them, admired them & awarded them. We don't mind their losing but we do mind their not even putting up a fight. The captain needn't tell us what went wrong (we could see that for ourselves); he needs to tell us WHY!:https://t.co/G4xNxt9N4T
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) November 1, 2021
রিসু সিং’র ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের রেজাল্টের পর বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মাকে নিশানা করে টুইটে মিম পোস্ট এরকম….
#INDvsNZ #ViratKohli #RohitSharma
Indian Players Indian Players
in IPL. for Indian Team pic.twitter.com/gLIOYWQ9wS— Rishu Singh (@rishusingh28) October 31, 2021
যদিও অনেকে কয়েন টসের মাধ্যমে বিরাট কোহলির পচা ভাগ্যের দিকে ইঙ্গিত করতে পারে, তবে পারফরম্যান্স ভারতের মতো বিশ্বমানের টিম থেকে প্রত্যাশার থেকে অনেক দূরে।
<
p style=”text-align: justify;”>টস যদিও খেলায় একটা ভূমিকা রেখেছে। ডিউ (শিশির) ফ্যাক্টরের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং সহজ হয়ে যাওয়ায় উভয় ক্ষেত্রেই ভারতীয় ব্যাটসম্যান নিয়ে সমালোচকনার কলম ধরতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও ব্যাটিং পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১১০ রান করাই যথেষ্ট নয়।
]]>