Farm laws – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 31 Dec 2021 19:02:52 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Farm laws – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Farm Laws: ‘কৃষি আইন ফের হবে কখনই বলিনি,’ কৃষিমন্ত্রীর ডিগবাজি! https://ekolkata24.com/uncategorized/farm-laws-central-agriculture-minister-controversial-comment Sun, 26 Dec 2021 09:51:47 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16302 News Desk: যত দোষ নন্দঘোষ! মানে সংবাদ মাধ্যমের। নিজের পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে চাপের মুখে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর এবার দাবি, আমি কখনই বলিনি ফের কৃষি আইন লাগু হবে। সবই সংবাদমাধ্যমে বিকৃত করে প্রকাশিত হয়েছে।

২৪ ঘন্টাও কাটল না, তার আগেই ডিগবাজি খেলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। এবার স্পষ্টভাবেই জানালেন, নতুন করে কৃষি আইন কার্যকর করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কৃষি চালু করার কোনও কথাই নাকি তিনি বলেননি।

শুক্রবার মহারাষ্ট্রের এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, আপাতত তাঁরা কৃষি আইন নিয়ে পিছিয়ে গিয়েছেন অর্থাৎ আইন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু আগামী দিনে ফের এই আইন সামনে আনা হতে পারে। তোমরের এই মন্তব্য নিয়ে যথারীতি গোটা দেশে তৈরি হয় তীব্র চাঞ্চল্য। অনেকেই বলতে থাকেন, মোদী সরকার সময় ও সুযোগ পেলে এই কৃষি আইন কার্যকর করবে। কৃষি মন্ত্রীর বক্তব্যেই সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

তোমরের ওই মন্তব্য নিয়ে আসরে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেরি করেনি কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আগামী বছরের শুরুতে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেলেই সংশোধনী-সহ নতুন করে তিন কৃষি আইন কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে মোদী সরকারের।

কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক চাপ তো ছিলই পাশাপাশি বিভিন্ন কৃষক সংগঠনও নতুন করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই খবর কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর কানে পৌঁছতেই ডিগবাজি খেলেন মন্ত্রী।

বক্তব্য থেকে সরে এসে মন্ত্রী বললেন, কৃষি আইন নিয়ে আমি এ ধরনের কোনও কথাই বলিনি। কৃষি আইন ফের সামনে আনা হবে, এটা তো একটা কল্পনা। আমি বলেছিলাম, সরকার স্বাধীনতার পর একটা বড়সড় পদক্ষেপ করেছিল। কৃষি ব্যবস্থায় একটা সংস্কার আনতে চেয়েছিল সরকার। কিন্তু ওই আইন যে যথেষ্ট ভাল ছিল সেটা আমরা সকলকে বোঝাতে পারিনি। বিশেষ করে যাদের কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য এই আইন তাদেরকেই আমরা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। ব্যর্থতার কারণেই আমরা ওই আইন ফিরিয়ে নিয়েছি। কিন্তু সংবাদমাধ্যম আমার এই মন্তব্যকে বিকৃত করেছে।

তোমরের কৃষি আইন ফের সামনে আনার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, মোদি সরকার কৃষকদের অসম্মান করছে।

তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছিল কৃষক সংগঠনগুলি। আন্দোলনের চাপে পড়ে গুরু নানকের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী এই তিন আইন বাতিল করার কথা ঘোষণা করেন। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাশ করে সাংবিধানিকভাবেই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

আইন প্রত্যাহারের পরেও কৃষিমন্ত্রী তোমরের ওই মন্তব্য জল্পনা উস্কে দেয় যে, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেলেই মোদী সরকার তিন কৃষি আইন সামনে আনতে পারে। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত তোমর তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করলেন।

]]>
Farm Laws: ‘কৃষি আইন ফের হবে কখনই বলিনি,’ কৃষিমন্ত্রীর ডিগবাজি! https://ekolkata24.com/uncategorized/nitin-tomar-blames-media Sat, 25 Dec 2021 19:00:30 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17418 News Desk: যত দোষ নন্দঘোষ! মানে সংবাদ মাধ্যমের। নিজের পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে চাপের মুখে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর এবার দাবি, আমি কখনই বলিনি ফের কৃষি আইন লাগু হবে। সবই সংবাদমাধ্যমে বিকৃত করে প্রকাশিত হয়েছে।

২৪ ঘন্টাও কাটল না, তার আগেই ডিগবাজি খেলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। এবার স্পষ্টভাবেই জানালেন, নতুন করে কৃষি আইন কার্যকর করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কৃষি চালু করার কোনও কথাই নাকি তিনি বলেননি।

শুক্রবার মহারাষ্ট্রের এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, আপাতত তাঁরা কৃষি আইন নিয়ে পিছিয়ে গিয়েছেন অর্থাৎ আইন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু আগামী দিনে ফের এই আইন সামনে আনা হতে পারে। তোমরের এই মন্তব্য নিয়ে যথারীতি গোটা দেশে তৈরি হয় তীব্র চাঞ্চল্য। অনেকেই বলতে থাকেন, মোদী সরকার সময় ও সুযোগ পেলে এই কৃষি আইন কার্যকর করবে। কৃষি মন্ত্রীর বক্তব্যেই সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

তোমরের ওই মন্তব্য নিয়ে আসরে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেরি করেনি কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আগামী বছরের শুরুতে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেলেই সংশোধনী-সহ নতুন করে তিন কৃষি আইন কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে মোদী সরকারের।

কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক চাপ তো ছিলই পাশাপাশি বিভিন্ন কৃষক সংগঠনও নতুন করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই খবর কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর কানে পৌঁছতেই ডিগবাজি খেলেন মন্ত্রী।

বক্তব্য থেকে সরে এসে মন্ত্রী বললেন, কৃষি আইন নিয়ে আমি এ ধরনের কোনও কথাই বলিনি। কৃষি আইন ফের সামনে আনা হবে, এটা তো একটা কল্পনা। আমি বলেছিলাম, সরকার স্বাধীনতার পর একটা বড়সড় পদক্ষেপ করেছিল। কৃষি ব্যবস্থায় একটা সংস্কার আনতে চেয়েছিল সরকার। কিন্তু ওই আইন যে যথেষ্ট ভাল ছিল সেটা আমরা সকলকে বোঝাতে পারিনি। বিশেষ করে যাদের কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য এই আইন তাদেরকেই আমরা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। ব্যর্থতার কারণেই আমরা ওই আইন ফিরিয়ে নিয়েছি। কিন্তু সংবাদমাধ্যম আমার এই মন্তব্যকে বিকৃত করেছে।

তোমরের কৃষি আইন ফের সামনে আনার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, মোদি সরকার কৃষকদের অসম্মান করছে।

তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছিল কৃষক সংগঠনগুলি। আন্দোলনের চাপে পড়ে গুরু নানকের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী এই তিন আইন বাতিল করার কথা ঘোষণা করেন। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাশ করে সাংবিধানিকভাবেই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

আইন প্রত্যাহারের পরেও কৃষিমন্ত্রী তোমরের ওই মন্তব্য জল্পনা উস্কে দেয় যে, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেলেই মোদী সরকার তিন কৃষি আইন সামনে আনতে পারে। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত তোমর তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করলেন।

]]>
নরেন্দ্র মোদী মুখে যা বলেন কাজে তা করেন না, প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ চিদম্বরমের https://ekolkata24.com/uncategorized/chidambaram-slams-pm-modi-over-debate-less-repeal-of-farm-laws Tue, 30 Nov 2021 11:59:43 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12880 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। মঙ্গলবার দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদী মুখে যেটা বলেন কাজে সেটা করেন না। তিনি দু’দিন আগেই বলেছিলেন সরকার যে কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে রাজি আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মুখের কথায় যে বিশ্বাস করা যায় না সেটা সংসদের অধিবেশনেই প্রমাণ হয়ে গেল। সে কারণেই কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই পাস হয়ে গেল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল।

চিদম্বরম বলেন, সরকার ও বিরোধীরা আলোচনা করে একমত হল না, কিন্তু পাস হয়ে গেল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। প্রধানমন্ত্রী নিজে সব বিষয়ে আলোচনা করার কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবে সেটা কখনও করেন না। বিতর্কহীন সংসদীয় গণতন্ত্রের দীর্ঘ জীবন কামনা করি। চিদম্বরম আরও বলেন, তবে শুধু কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেই হবে না, কৃষকদের আরও বেশ কয়েকটি যুক্তিযুক্ত দাবি আছে। সরকারকে সেগুলিও মানতে হবে।

সম্প্রতি কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুখির একের পর এক অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ার কথাও টেনে আনেন চিদম্বরম। তিনি বলেন, সহনশীল হিন্দুত্ব ব্রিগেডের চোখ রাঙানির কারণেই ফারুখির অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। দিল্লিতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে গির্জায়। অথচ আমরা গর্ব করে বলি যে, ভারত একটি সহনশীল দেশ। এখানে সকল ধর্মের মানুষ এক সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবেই বসবাস করে। কিন্তু বিজেপি সরকারের আচরণে সে কথা আর জোর দিয়ে বলা যুক্তিযুক্ত হবে কিনা সেটা আমাদের ভেবে দেখতে হবে।

কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হওয়ায় চিদম্বরমের সুরে সুর মিলিয়ে মোদীকে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা বলেন, আন্দোলন করতে গিয়ে ৭০০ জন কৃষক শহিদ হয়েছেন। অথচ সেই শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে সরকার সংসদে শোক প্রস্তাব পেশ করার সৌজন্যও দেখায়নি। আসলে মোদী শুধু ভোটের কথা ভাবেন। মানুষের কথা, কৃষকের কথা ভাবেন না। লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে সংসদে কোনও আলোচনা হল না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আগামী দিনে মোদীর ঔদ্ধত্যের উচিত জবাব দেবে মানুষ।

]]>
Farm Laws Repeal Bill: রাজ্যসভাতেও ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে গেল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল https://ekolkata24.com/uncategorized/the-rajya-sabha-also-passed-farm-laws-repeal-bill-by-a-voice-vote Mon, 29 Nov 2021 10:22:22 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12766 News Desk, New Delhi: শেষ পর্যন্ত লোকসভার মতই রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) সোমবারই পাস হয়ে গেল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল (Farm Laws Repeal Bill)। সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের (winter season) প্রথম দিনেই সংসদের উভয় কক্ষে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হল।

বিরোধীরা এই বিল নিয়ে আলোচনার দাবি জানালেও সরকার সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে সংসদের উভয় কক্ষেই ধ্বনী ভোটে (voice vote) এই বিল পাশ করিয়ে নেয়। ঘটনার জেরে বিরোধীরা রাজ্যসভাতেও তুমুল হই হট্টগোল করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তাই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্য সভার অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি মাসের ১৯ তারিখে ঘোষণা করেছিলেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। কৃষকদের দাবি মেনেই সরকার এই আইন প্রত্যাহার করবে। এই আইনের জন্য তিনি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন।

অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি ছিল, কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস করার আগে তা নিয়ে সংসদে আলোচনা করা হোক। এদিন রাজ্যসভাতেও কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। বিল পাস হওয়ার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনার দাবি জানাতে থাকেন বিরোধীরা। বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিরোধীরা যখন চিৎকার চেঁচামেচি করছেন সে সময়ে সরকার ধ্বনী ভোটে বিলটি পাস করিয়ে নেয়। সংসদের উভয় কক্ষেই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হয়ে যাওয়ায় আইন প্রত্যাহারের কাজটি একপ্রকার সম্পন্ন হল বলা যায়।

কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “আমরা সরকারের কাছে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চয়তা আইন নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলাম। যে সমস্ত কৃষক আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের কোনও কথা বলার সুযোগ দিল না। বিরোধীদের হই হট্টগোলের কারণে লোকসভার অধিবেশন মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল রাজ্যসভায় পাস হওয়ার পর কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, আমরা অনেক আগেই সরকারকে এই বিতর্কিত আইন প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। আজ সেই আইন প্রত্যাহার করা হল।

তবে এটা খুবই দুঃখের যে, সরকার আইন বাতিল নিয়ে কোনও আলোচনা করল না। আসলে মোদি সরকার আলোচনা করতে ভয় পায়। এই সরকার কৃষকদের সামনে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছে। তবে সরকার যে কৃষকদের কথা ভেবে আইন প্রত্যাহার করেছে তা নয়। বরং সরকারের মাথায় রয়েছে আগামী বছরের শুরুতেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ভোটে জেতার লক্ষ্যেই মোদি সরকার তড়িঘড়ি আইন প্রত্যাহারের রাস্তায় হেঁটেছে।

]]>
Farm Laws Repeal Bill: বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যেই লোকসভায় পাস কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল https://ekolkata24.com/uncategorized/lok-sabha-passes-farm-laws-repeal-bill-amid-protests-by-opposition-seeking-discussion Mon, 29 Nov 2021 09:15:38 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12756 News Desk: শেষপর্যন্ত বিরোধীদের তুমুল হই হট্টগোলের মাঝেই লোকসভায় (Loksabha) পাস হয়ে গেল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল (Farm Laws Repeal Bill)। সোমবার (Monday) সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের (Winter Season) প্রথম দিনেই পাস হল বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল।

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বিরোধী সাংসদদের বারবার শান্ত হওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু স্পিকারের অনুরোধে বিরোধীরা কর্ণপাত করেনি। যে কারণে প্রথম দফায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত লোকসভা স্থগিত করে দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় দফায় অধিবেশন শুরু হলে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করেন এবং মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যেই ধ্বনী ভোটে এই বিল পাস হয়ে যায়। এরপর রাজ্যসভাতেও এই বিল পেশ করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯ নভেম্বর গুরু নানকের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি কৃষি বিল প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, কৃষি আইন নিয়ে গোটা দেশের কাছে তিনি ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই এই বিল প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতই সোমবার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই লোকসভায় তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।

এদিন কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হওয়ায় বিরোধীরা তার তীব্র সমালোচনা করেন। বিরোধীদের প্রবল চিৎকার চেঁচামেচির ফলে দ্বিতীয় দফায় দুপুর ২টা পর্যন্ত সংসদের উভয় কক্ষই স্থগিত করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় দুপুর দু’টোর পর রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হলে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিলটি পেশ করা হয়। তবে সোমবার রাজ্যসভায় এই বিল পাস হবে এমন কোনও সম্ভাবনা নেই।

কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল লোকসভায় পাস হওয়ার খবরে কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন একটি ধাপ পূরণ হল। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন এই আইন প্রত্যাহার তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। একইসঙ্গে টিকায়েত জানান, তাঁদের এই আন্দোলন জারি থাকবে। কারণ ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তার বিষয়টি এখনও সরকার মেনে নেয়নি।

এই বিষয়টি ছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা চলছে। আলোচনায় সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে তবেই তাঁরা আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসবেন। টিকায়েত এদিন আরও জানিয়েছেন, ৪ ডিসেম্বর তাঁরা ফের আলোচনায় বসবেন। সেদিনই তাঁদের আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।

]]>
Farm Law: সংসদ অভিযান আপাতত স্থগিত রাখল কিষান মোর্চা, তবে সন্দেহ কাটেনি https://ekolkata24.com/uncategorized/kisan-organizations-temporarily-stopped-their-agenda-but-waiting-for-total-withdrawal-of-farm-lawas Sat, 27 Nov 2021 15:39:19 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12594 New Delhi: শেষ পর্যন্ত ‘সংসদ চলো’ অভিযান আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল সংযুক্ত কিষান মোর্চা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন কৃষি আইন (Farm Law) বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। যদিও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার উপর ভরসা রাখতে পারেননি কৃষক সংগঠনগুলি।

বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিন কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছেন, ২৯ নভেম্বর শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার জন্য একটি বিল আনা হবে। এরপরই অধিবেশন শুরুর প্রথম দিন সংসদ ভবন অভিযান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন কৃষক নেতারা।

কৃষি আইন বাতিলের এই সিদ্ধান্তকে কৃষক সংগঠনগুলি নিজেদের আংশিক সাফল্য বলে মনে করছে। কারণ তাদের আরও কিছু দাবিদাওয়া রয়েছে। সেগুলি সরকার যতক্ষণ না মেটাচ্ছে ততক্ষণ তারা আন্দোলন থেকে সরবে না বলেও জানিয়েছে।

সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতা দর্শন পাল সিং শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ২৯ নভেম্বর কৃষকরা যে ‘সংসদ চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছিল তা আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। কারণ সরকার আশ্বাস দিয়েছে ২৯ তারিখেই সংসদে কৃষি আইন বাতিল করা হবে।

শনিবার দুপুরে সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতৃত্ব তাঁদের আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা ঠিক করতে বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকেই সংসদ অভিযান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দর্শন পাল আরও জানিয়েছেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তাঁরা গত এক বছরে কৃষকের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা দায়ের হয়েছে সেগুলি প্রত্যাহার করার কথা বলেছেন। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার জন্য আইন আনতে অনুরোধ করেছেন। বিক্ষোভ চলাকালে সমস্ত কৃষক মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। বিদ্যুৎ বিল বাতিল এবং ফসলের গোড়া পোড়ানোর জন্য কৃষকদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা হয়েছে সেগুলিও বাতিল করার আর্জি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন দাবিদাওয়া সম্বলিত ওই চিঠির জবাবের জন্য তাঁরা ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। সরকার যদি তাঁদের আবেদনগুলির বিষয়ে নীরব থাকে তবে তাঁরা ফের নতুন করে আন্দোলন শুরু করবেন।

সোমবার শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশনের প্রথম দিনেই কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্য একটি বিল পেশ করবেন। এই বিল নিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে আলোচনার পর তা পাস করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ এই বিল নিয়ে আলোচনায় যাতে দলের প্রত্যেক সাংসদ উপস্থিত থাকেন সেজন্য শাসক দল বিজেপি এবং বিরোধী দল কংগ্রেস হুইপ জারি করেছে।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, প্রবল কৃষক আন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত সরকারকে পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়েছে।

]]>
Farm Laws: কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, হুইপ জারি করল কংগ্রেস ও বিজেপি https://ekolkata24.com/uncategorized/farm-laws-the-congress-and-the-bjp-issued-a-bill-to-repeal-the-agriculture-act Sat, 27 Nov 2021 12:19:12 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12580 New Delhi:  সোমবার শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (winter season)। অধিবেশনের প্রথম দিনেই পেশ করা হবে কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার বিল। যে কারণে শাসক দল বিজেপি (bjp) দলের সাংসদদের উপস্থিত থাকার জন্য হুইপ জারি করেছে। হুইপ জারি করেছে বিরোধী দল কংগ্রেসও। রাজ্যসভা এবং লোকসভা উভয় কক্ষের সদস্যদের ক্ষেত্রেই দুই দল এই হুইপ জারি হয়েছে।

শনিবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী (prahalad joshi) জানিয়েছেন, সোমবার অধিবেশনের শুরুতেই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্য বিল পেশ করবেন। সংসদের উভয় কক্ষে এই বিল নিয়ে আলোচনা করা হবে। লোকসভায় যাতে দলের প্রত্যেক সাংসদ উপস্থিত থাকেন সেজন্য শনিবার জোশী দলীয় সাংসদের জন্য হুইপ জারি করেন। শুক্রবার রাতেই রাজ্যসভার সাংসদদের জন্য হুইপ জারি করেছিল বিজেপি।

বিরোধী দল কংগ্রেস অবশ্য শুক্রবার রাতেই সংসদের উভয় কক্ষের সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য হুইপ জারি করেছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এই হুইপ জারি করে বলেন, সোমবার রাজ্যসভায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাই রাজ্যসভার সমস্ত কংগ্রেস সাংসদকে বলা হচ্ছে, তাঁরা যেন সকাল ১১টা থেকে অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংসদে উপস্থিত থাকেন।

সোমবার অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর সংসদের উভয় কক্ষের প্রত্যেক সদস্যের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। উল্লেখ্য, আসন্ন শীত অধিবেশনে মোদি সরকার ২৬ টি বিল পেশ করতে চলেছে। যার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। এছাড়াও রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ন্ত্রণ বিল। পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের মালিকানা ৫১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৬ শতাংশ করার জন্য একটি বিল পেশ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে কৃষি আইন প্রত্যাহারে সায় দেওয়া হয়। অন্যদিকে, আসন্ন শীত অধিবেশনে কিভাবে সরকার পক্ষের মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়েছে। জানা গিয়েছে, আসন্ন অধিবেশনে কংগ্রেস কৃষি আইন ছাড়াও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন, মূল্যবৃদ্ধি, পেট্রো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, লখিমপুর খেরি কাণ্ডে জড়িত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর পদত্যাগ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরব হবে।

]]>
Farm Laws: তিন কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় https://ekolkata24.com/uncategorized/the-decision-to-repeal-the-three-farm-laws-was-approved-by-the-union-cabinet Wed, 24 Nov 2021 10:21:24 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12215 News Desk, New Delhi: প্রত্যাশামতোই বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে (cabinet meeting ) কৃষি আইন (Farm Laws) বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদিত হল।

গত শুক্রবার গুরুর নানকের (guru nanak) জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (narendra modi) সকলকে চমকে দিয়ে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। যদিও মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের ঘোষণায় অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম (p chidambaram) প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়া কিভাবে কৃষি আইন বাতিলের কথা ঘোষণা করা হল।

বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের প্রথম ধাপ হিসেবে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই তিন আইন বাতিলের বিষয়টি অনুমোদিত হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতেই এদিন আইন প্রত্যাহারের বিলটি পেশ করা হলে তা পাস হয়ে যায়। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী কোনও বিল সংসদে পেশ করার আগে তা মন্ত্রিসভায় পেশ করতে হয়। মন্ত্রিসভায় সেই বিল সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হলে তবেই সেটা সংসদে পেশ করা হয়ে থাকে।

২৯ নভেম্বর এবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সূত্রের খবর, অধিবেশনের প্রথম দিনেই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল ২০২১ পেশ করা হবে। এই বিলের মাধ্যমে তিন কৃষি আইন বাতিল নিয়ে আলোচনা হবে সংসদে, এমনটাই জানিয়েছে সংসদীয় কমিটি। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছেন, ২৯ নভেম্বর অধিবেশনের শুরুতেই কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রকও পৃথকভাবে এই আইন নিয়ে আলোচনা করবে। তবে কৃষিমন্ত্রক কবে আলোচনা করবে সে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে এই তিন কৃষি আইন পাস হয়েছিল। কিন্তু ওই আইন পাস হওয়ার পরেই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পথে নামেন কৃষকরা। দীর্ঘ এক বছর ধরে কৃষকরা দিল্লির রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত কৃষকদের প্রবল আন্দোলনের চাপে পড়ে ব্যাকফুটে যেতে হয় মোদি সরকারকে। সে কারণেই নরেন্দ্র মোদি তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছেন।

যদিও রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, তিন কৃষি আইনকে কেন্দ্র করে গত এক বছরে বিজেপি সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। গত মাসে হয়ে যাওয়া ১৩ টি রাজ্যের ৩০টি বিধানসভা ও তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। আগামী বছরের শুরুতেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল উত্তরপ্রদেশ। এই নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। সে কারণেই মোদি তড়িঘড়ি আর কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেন।

]]>
Farm Laws: ৭০০ কৃষকের মৃত্যুর দায় কার, প্রশ্ন কৃষক নেতাদের https://ekolkata24.com/uncategorized/kisan-morcha-said-that-about-670-farmers-had-died-in-protest-against-the-farm-laws Sun, 21 Nov 2021 11:39:08 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11970 News Desk: কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় প্রায় ৬৭০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। মৃতদের মধ্যে ৫০০ জনেরও বেশি পাঞ্জাবের বাসিন্দা। কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikayat) রবিবার প্রশ্ন তুলেছেন, শহিদ হওয়া কৃষক পরিবারগুলির দায়িত্ব কে নেবে?

দিল্লির তিন সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র (Narendra Modi) মোদির ঘোষণা অনুযায়ী তিন কৃষি আইন আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের বিক্ষোভ চলবে। একই সঙ্গে কৃষকরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আইন এবং গত এক বছরে কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব পুলিশি মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে। পাশাপাশি এদিন এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, আজ নয়, ২৭ নভেম্বরই কৃষক আন্দোলনের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

lakhimpur violence farmers protest

১৯ নভেম্বর শুক্রবার গুরু নানকের জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর কৃষক আন্দোলন জারি রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে রবিবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল কৃষক সংগঠনগুলির। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হল। আপাতত যাবতীয় আন্দোলন কর্মসূচি জারি থাকবে বলেই জানিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা ।

modi farm laws withdrawal announcement

মোদি (Narendra Modi) তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণার পর প্রশ্ন ওঠে যে, দিল্লি সীমান্তে প্রায় এক বছর ধরে যে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা তাকি চলবে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে শনিবারই বৈঠকে বসে সংযুক্ত কিষান মোর্চার অধীনে থাকা ৩২টি কৃষক সংগঠন। তবে শনিবার বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই রবিবার দিল্লির সিংঘু সীমান্তে সকাল ১১টায় দ্বিতীয় দফার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এই বৈঠকেই আন্দোলনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে এই বৈঠক স্থগিত রাখা হয়। ২৭ নভেম্বর এই বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৭ তারিখের বৈঠক না হওয়া অবধি কৃষক আন্দোলনের যাবতীয় কর্মসূচি বহাল থাকবে। সেই সূচি মেনে ২২ নভেম্বর লখনউয়ে যে মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল তাও নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ীই হবে।

কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, “সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে যে সমস্ত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল তা যথারীতি পালন করা হবে। সেই কর্মসূচি মেনেই ২২ নভেম্বর লখনউয়ে মহাপঞ্চায়েত, ২৬ নভেম্বর কৃষক আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সীমান্তে কৃষকদের বিশাল জমায়েত এবং ২৯ নভেম্বর থেকে সংসদ ভবন অবধি ট্রাক্টর মিছিলের যে পরিকল্পনা রয়েছে তা পালন করা হবে। ২৭ নভেম্বরের বৈঠকে ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

Rakesh Tikayet

রবিবার সকালে কৃষক আন্দোলনের সংগঠক সংযুক্ত কিষান মোর্চা সিংঘু সীমান্তে (singhu border)মোদির ঘোষণা এবং তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এদিন বিস্তারিত কোনও আলোচনা হয়নি। এদিন নিজেদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা বলার পর কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল (balbar sing) বলেছেন, “আমরা কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে আমরা শুধু মুখের কথায় বিশ্বাস করছি না। আমরা দেখছি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কবে এই আইন বাতিল করা হয়। পাশাপাশি আমাদের আরও কিছু দাবিদাওয়া রয়েছে। সেই দাবিগুলি আমরা খোলা চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানাবো। এছাড়াও আজ আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সংযুক্ত কিষান মোর্চার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিগুলি যেমন আছে তেমনই চলবে।”

শুক্রবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) সহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘোষণা সত্ত্বেও, কৃষক সংগঠনগুলি অবশ্য এখনই আন্দোলন প্রত্যাহার করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। মোদির ঘোষণার পর রাকেশ টিকায়েতকে প্রশ্ন করা হয়, টিকরি, সিংঘু ও গাজীপুর সীমান্ত থেকে আন্দোলনকারীরা এখনও সরে যায়নি কেন? জবাবে টিকায়েত বলেন, সীমান্ত খালি করার বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই তিন আইন বাতিলও হয়নি। আমরা শুধু মুখের ভরসা করতে পারছি না। এক বছর ধরে কৃষকরা এখানে আন্দোলন করছেন। শহিদ হয়েছেন প্রায় ৭০০ জন কৃষক। এর দায় কে নেবে? এ সময় এক সাংবাদিক টিকায়েতকে প্রশ্ন করেন, আগে আপনি বলতেন বিল প্রত্যাহার না হলে বাড়ি ফিরবেন না ।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তো গণমাধ্যমে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বিল ফেরত নেওয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে টিকায়েত বলেন, লক্ষাধিক কৃষক এখানে এক বছর ধরে ধর্নায় বসে থেকেছেন। কয়েক শো কৃষক শহিদ হয়েছেন। আন্দোলনে করার জন্য কৃষকদের ওপর আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একের পর এক মামলা। গত একবছরে কতকিছু ঘটেছে। সবকিছুর হিসাব বরাবর হলেই আমরা ফিরে যাবো। আমাদের আর কয়েকদিন দেরি হলে অসুবিধা কোথায়?

]]>
Farm Laws Withdrawn: বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে পড়তে পারে সিলমোহর https://ekolkata24.com/uncategorized/farm-laws-withdrawn-the-seal-may-be-read-in-the-cabinet-meeting-on-wednesday Sun, 21 Nov 2021 08:23:21 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11934 News Desk: গত শুক্রবার গুরু নানকের (guru nanak) জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন কৃষি আইন বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেটা ছিল নিতান্তই মৌখিক বিষয়। তাই কৃষকরা বিশ্বাস ও ভরসা রাখতে পারেননি মোদি সরকারের উপর। কৃষক নেতারা সাফ জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না সাংবিধানিকভাবে আইন বাতিলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে দাঁড়াবেন না।

কৃষকদের সেই দাবিকে মেনে নিয়েই কৃষি আইন বাতিলের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল নরেন্দ্র মোদি সরকার (narendra modi)। চলতি সপ্তাহেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। শীতকালীন অধিবেশনের (winter season) আগেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইন বাতিলের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।  আগামী বুধবার (wednesday) মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে। সেই বৈঠকেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়টিতে দেওয়া হবে চূড়ান্ত সিলমোহর।

farmers

উল্লেখ্য, শনিবার ঠিক এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই কৃষি আইন বাতিলের বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন ছাড়াই কীভাবে কৃষি আইন বাতিল হতে পারে? এই তিন কৃষি আইনকে কেন্দ্র করে বিগত এক বছর ধরে বিজেপিকে যথেষ্ট ব্যাকফুটে চলে যেতে হয়েছে। সে কারণে আগামী বছরের শুরুতেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের (election) আগে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি মোদি সরকার।

তারই ফলশ্রুতিতে তড়িঘড়ি বাতিল করা হয়েছে তিন কৃষি আইন। শুধু বাতিল করাই নয়, আইন বাতিল করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। যদিও তিনি বলেছেন, কৃষকদের উন্নতির কথা ভেবেই কৃষি আইন তৈরি করেছিলেন কিন্তু তাঁরা সেটা কৃষকদের বোঝাতে পারেননি। এটা তাঁদের ব্যর্থতা।

তবে শুধু তিন কৃষি আইন নয়। মোদি সরকারের কাছে কৃষকদেরও আরও কয়েকটি দাবি রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে কৃষি উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষকরা বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন। কৃষি আইন প্রত্যাহারের মূল দাবিটি মোদি সরকার মেনে নিলেও বাকিগুলোর বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।

]]>
রাজনীতিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় Farm Laws প্রত্যাহার করলেন মোদী https://ekolkata24.com/uncategorized/modi-withdrew-the-farm-laws-as-he-gave-more-importance-to-politics Sat, 20 Nov 2021 16:01:15 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11889 News Desk: কৃষকদের স্বার্থের থেকেও রাজনীতি বিশেষত ভোট রাজনীতিকেই বেশি গুরুত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi)। সে কারণেই মোদী কৃষি আইন বাতিল করলেন।

শনিবার এই মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করা চার সদস্যের কমিটির অন্যতম সদস্য তথা শ্বেতকারী আন্দোলনের নেতা অনিল জে ঘানাওয়াত (Anil J Ghanawat)। একই সঙ্গে ঘানাওয়াতের দাবি, কৃষি আইন বাতিল করার ফলে আগামী দিনে কৃষিক্ষেত্রে বড়সড় সংস্কারের বিষয়টি ধাক্কা খেল।

উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর থেকে মোদী সরকারের কৃষি আইন নিয়ে গোটা দেশজুড়ে প্রবল আন্দোলন শুরু হয়েছিল। বিষয়টি গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের দাবি, সরকারের পাল্টা দাবি, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শীর্ষ আদালত (supreme Court) চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির অন্যতম সদস্য ঘানাওয়াত। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত এই কমিটি নতুন কৃষি আইন নিয়ে তাদের মতামত কেন্দ্র ও সুপ্রিম কোর্টের কাছে জমা দিয়েছে।

modi farm laws withdrawal announcement

তিন কৃষি আইন বাতিল (cancel) সম্পর্কে ঘানাওয়াত শনিবার বলেন, কৃষকদের স্বার্থকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করলেন প্রধানমন্ত্রী। পরিবর্তে তিনি ভোটের রাজনীতিকেই প্রাধান্য দিলেন। শ্বেতকারী আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেছেন, এখন মনে হচ্ছে সরকার তাঁদের দেওয়া রিপোর্টটি হাত দিয়ে ছুঁয়েও দেখেনি। কৃষকদের কীভাবে ভাল হবে সে বিষয়টিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে উত্তরপ্রদেশ(utter Pradesh), পাঞ্জাব-সহ (Panjab) বিভিন্ন রাজ্যের কিভাবে ভোটে জেতা যাবে সেই বিষয়টিকে মোদী সর্বাধিক গুরুত্ব দিলেন। এটা মোদী সরকারের সবচেয়ে বড় এক নৈতিক পরাজয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী দিনে কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের সব দরজা বন্ধ হয়ে গেল।

ঘানাওয়াত আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো তাঁরা তিন মাস ধরে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তবেই কৃষি আইন নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন। সেই রিপোর্টে মোদী সরকারকে তাঁরা কৃষি আইন নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন। দিয়েছিলেন একাধিক সংশোধনের প্রস্তাবও। ওই পরামর্শ ছিল কৃষকদের উন্নতি সাধনের জন্য। কিন্তু সরকার সেই রিপোর্ট পড়ে না দেখে, একেবারে কৃষি আইন বাতিল করে হাত ধুয়ে ফেললেন।

এ ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফলে হয়তো কিছু সস্তা হাততালি কুড়ানো যায়, কিন্তু তাতে আখেরে দেশ তথা কৃষকদের ক্ষতি হল। কৃষকদের উন্নতি সাধনের জন্য যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল তা পুরোপুরি বানচাল হয়ে গেল। ঘানাওয়াত এদিন তাঁদের দেওয়া রিপোর্টটি প্রকাশ করার হুমকিও দিয়েছেন।

]]>
আগে সিদ্ধান্ত নিলে ৭০০ কৃষকের অকালে প্রাণ যেত না: বরুণ গান্ধী https://ekolkata24.com/uncategorized/if-a-decision-had-been-taken-earlier-700-farmers-would-not-have-died-prematurely-varun-gandhi Sat, 20 Nov 2021 11:59:29 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11858 News Desk: বেশ কিছুদিন ধরেই দলের লাইনের বাইরে গিয়ে কথা বলছেন বিজেপির তরুণ সাংসদ বরুণ গান্ধী (Varun Gandhi)। এবার বরুণের নিশানা থেকে ছাড় পেলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)।

কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে কার্যত সরাসরি মোদিকে কটাক্ষ করলেন বরুণ। শনিবার বরুণ অনলাইনে মোদিকে একটি চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে বরুণ বলেছেন, যদি কিছুদিন আগে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হত তবে ৭০০ কৃষককে (farmer) অকালে প্রাণ হারাতে হত না।

একইসঙ্গে ওই চিঠিতে বরুণ ফের একবার লখিমপুর (Lakhimpur Khari) খেরির ঘটনার কথা উল্লেখ করে মোদি তথা বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। বরুণ এদিন বলেছেন, লখিমপুরের ঘটনা গণতন্ত্রের পক্ষে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। তাই লখিমপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে এই বিজেপি (bjp) সাংসদ মূলত চারটি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন।

BJP MP Varun Gandhi criticized the Centre's agricultural policy

প্রথম থেকেই বরুণ আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে ছিলেন। মাত্র একদিন আগেই নাটকীয় ভঙ্গিমায় কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদি। আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গেই শনিবার বরুণ মোদিকে একটি চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে বিজেপির এই বেসুরো সাংসদ বলেছেন, গত একবছরে আন্দোলন করতে গিয়ে ৭০০ কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। মৃত কৃষকদের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।

একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, গত এক বছরে কৃষকদের নামে বহু মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেগুলি অবিলম্বে তুলে নিতে হবে। আপনার অনেক বড় হৃদয় সেজন্যই আপনি কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছেন। এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু যদি এই সিদ্ধান্তই কিছুদিন আগে নিতেন তাহলে আমরা ৭০০ কৃষক ভাই-বোনকে হারাতাম না। বরুণ তাঁর চিঠিতে আরও বলেছেন, কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার বিষয়েও সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তবে মৌখিক নয় এ ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া উচিত। পাশাপাশি লখিমপুরে চার কৃষককে পিষে মারার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে যত শীর্ঘ সম্ভব কড়া শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন বরুণ।

লখিমপুরের ঘটনার কথা তুলে ধরে বরুণ তাঁর চিঠিতে আরও লিখেছেন, দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা তথা অন্নদাতাদের নিয়ে অনেক আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। দলের উচিত ওই নেতাদের এ ধরনের মন্তব্যের জন্য কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। ইতিমধ্যে বরুণের এই খোলা চিঠি দেশের রাজনীতিতে আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ সম্প্রতি বরুণের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়েছে।

যে কারণে বরুন এবং তাঁর মা সাংসদ মানেকা গান্ধীকে বিজেপি জাতীয় কর্মসমিতি থেকে ছেঁটে ফেলেছে। পাশাপাশি গত দু’দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, বরুণ গান্ধী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। এসবের কারণেই বরুণের পথচলা নিয়ে অনেকেই কৌতুহলী হয়ে উঠেছেন। আগামী দিনে বরুণের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হয় তা নিয়ে দিল্লির রাজনৈতিক বাতাসেও নানা জল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে।

]]>
কৃষি আইনের বাতিলের পর আসামে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের হুংকার https://ekolkata24.com/uncategorized/anti-caa-movement-in-assam-roared-after-the-repeal-of-the-agriculture-act Fri, 19 Nov 2021 18:36:42 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11783 নিউজ ডেস্ক, গুয়াহাটি: বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের পর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ ) বিরোধী দল সংগঠন যেন ফের অক্সিজেন পেয়েছে। এই আইন বাতিলের দাবিতে হুংকার দিচ্ছে বিভিন্ন দল সংগঠন।শুধু তাই নয় ,কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন থেকে অসমে এই সংগঠনগুলি অনেকটা শিক্ষা নিতে চাইছে। কিন্তু এই আইন বিরোধী শক্তির মধ্যে অনেক নেতা ইতিমধ্যে শাসক দল বিজেপিতে অমিল হয়েছেন।

কংগ্রেস ,অখিল গগৈ নেতৃত্বাধীন রাইজর দল ,সারা অসম ছাত্র সংস্থা (আসু ), অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জাতীয়তাবাদী সংগঠন ইতিমধ্যে এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ফলে সিএএ বিরোধী শক্তি আবার জাগ্রত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে।

anti-CAA movement in Assam roared

গোটা দেশের সঙ্গে বিতর্কিত সিএএ আইন বাতিলের দাবি আসামেও উঠছে। উল্লেখ্য, সংসদে এই আইনটি পাশ হলেও সিএএর রুলফ্রেম প্রস্তুত করেনি সরকার। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আসুর নেতারা। সংগঠনটির সভাপতি দীপাংকর নাথ বলেন ,কৃষি আইন থেকে আমরা শিক্ষা নেওয়া উচিত এতে প্রমান হলো যে একটি বিষয়কে নিয়ে যদি আমরা আন্দোলন করি তাহলে ফল বৃথা হয় না। সেইসঙ্গে কৃষি আইনের মতো সিএএ বাতিল করা উচিত। তবে আগামীতে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন ফের করা হবে।

তিনি বলেন ,করোনা মহামারীর জন্য এই আন্দোলন স্থিমিত ছিল। কেননা বিতর্কিত এই আইনকে আসামের মানুষ কোনওদিন মানবে না। তাই সর্বাত্মক এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠার প্রয়োজনীয়তা এসে গেছে বলেও ওই আসুর নেতা দাবি করেন। বলেন ,আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কাছে সরকার শীরনত করতেই হবে।গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করলে সিএএ বাতিল হবেই।

বিধায়ক অখিল গগৈ এদিন বলেন ,আগামীদিনে সিএএ আইন বাতিলের বিজয় উৎসব অসমের মানুষ পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।এনিয়ে অপসবিহীন আন্দোলন করলে সরকার বাতিল করতে বাধ্য হতো। তাই অসমবাসীকে বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন অখিল। তিনি বলেন ,সমগ্র প্রক্রিয়াকে বিপথে পরিচালিত করা হয়েছে।এমনকি আমাকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।

অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা বলেন ,এ নিয়ে মানুষের মনে এখনও ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। অসমের জাতীয় জীবনকে বাঁচাতে এই আইনের বিরোধিতা করতেই হবে। তবে বাস্তবে এই আইনের বিরুদ্ধে এক কাট্ঠা করাটা সম্ভব হবে ,সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

]]>
Farm Laws: কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্তকে নির্বাচনী চমক বললেন প্রিয়াঙ্কা https://ekolkata24.com/uncategorized/priyanka-gandhi-called-the-decision-to-repeal-the-agriculture-law-an-election-surprise Fri, 19 Nov 2021 15:04:51 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11764 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: এ যেন শাঁখের করাত। কৃষি আইন বাতিল করেও সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (narendra modi)। শুক্রবার গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে কৃষি আইন বাতিল করার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (priyanka gandhi) বলেন, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি। কৃষকদের পাশে থাকতে বা কৃষকদের প্রতি সমব্যথী হয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা নয়। আসলে পাঁচ রাজ্যে ক্ষমতা দখল করাকেই পাখির চোখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রিয়াঙ্কা এদিন স্পষ্ট বলেছেন, নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই মোদি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদি সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলিতে বিজেপির ভরাডুবি না হত তাহলে মোদি কখনওই কৃষি আইন বাতিলের কথা ভাবতেন না। উপনির্বাচনের ফলাফলেই মোদি বুঝে গিয়েছিলেন যে, গোটা পরিস্থিতি তাঁদের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন রাজ্যের জনমত সমীক্ষাতেও বিজেপির (bjp) আসন টলমল সেটাও প্রকাশ্যে এসেছে। তাই পরবর্তী নির্বাচনে দিল্লির কুর্সি দখল করার লক্ষ্যেই কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত।

Priyanka Gandhi

প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, এই বিজেপি খুনিদের আশ্রয়দাতা দল হিসেবে পরিচিত হয়েছে। যে দলের নেতার ছেলে প্রকাশ্যেই কৃষকদের গাড়ির চাকায় পিষে মারে তাদেরকেই বিজেপি আড়াল করে। তাই ভোটের আগে ওরা দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে হাত ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করছে। তবে যা-ই করুক না কেন এতদিনে মানুষ বিজেপির প্রকৃত পরিচয়টা জেনে গিয়েছে।

অন্যদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (aravind kejriwal) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সেই আইন বাতিল করলেন কিন্তু এটা আরও আগে করলেই ভাল হত। প্রধানমন্ত্রী যদি আইন বাতিলের সিদ্ধান্তটা কয়েক মাস আগে নিতেন তাহলে ৭০০ কৃষককে প্রাণ হারাতে হত না। পরিবারের রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে ওই সমস্ত কৃষক পরিবারকে পথে বসতে হত না। তাই শুধু ক্ষমা চেয়ে হাত ধুয়ে ফেললেই হবে না, প্রধানমন্ত্রী যদি প্রকৃতই মানবিক হন তাহলে মৃত কৃষক পরিবারের দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসুন।

After 'tea' with Sonia Gandhi, Mamata Banerjee meets Arvind Kejriwal in Delhi

তবে প্রিয়াঙ্কা বা কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ কৃষি আইন বাতিলের প্রেক্ষিতে মোদির সমালোচনা করলেও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। মোদির এই ঘোষণা যে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে তা না বললেও চলে। কংগ্রেস নেতৃত্বও নিজেদের মধ্যে আলোচনায় মোদির এই কৌশলের কথা মেনে নিয়েছেন।

বিজেপি নেতৃত্বও ঠারেঠোরে এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের (uttetpradesh) ক্ষমতা বিজেপির হাতছাড়া হলে ২০২৪ সালে মোদির দিল্লির কুর্সিতে ফেরা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু কৃষি আইন বাতিল করে বিপক্ষে চলে যাওয়া পরিস্থিতিকে অনেকটাই নিজের অনুকূলে আনতে সমর্থ হয়েছেন মোদি। এখন দেখা যাক আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কোন দল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। তাহলেই পুরো পরিস্থিতি বোঝা যাবে।

]]>
কৃষি আইন বাতিল: মোদীকে যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক বলে উল্লেখ শাহের https://ekolkata24.com/uncategorized/pms-statesmanship-to-pick-guru-purab-for-farm-laws-rollback-amit Fri, 19 Nov 2021 10:19:03 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11754 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: কৃষকদের প্রবল আন্দোলনের চাপে নতজানু হয়ে শেষ পর্যন্ত তিন কৃষি আইন বাতিলের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (narendra modi)। মোদির এই সিদ্ধান্তকে যথারীতি স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(amit Shah )। শাহকে রাজনীতিতে সকলেই মোদির ডান হাত বলে চেনে। তাই আইন বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শাহ মোদির মধ্যে একজন যোগ্য রাষ্ট্রনায়ককে খুঁজে পেয়েছেন।

রাজনৈতিক মহলে অমিত শাহ কার্যত মোদির মোসাহেব বলেই পরিচিত। সে কারণেই কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্তকে এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ বলেছেন তিনি। শাহ এদিন টুইট করেন, কৃষকদের (farmer) স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে কোনও ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। সে কারণেই তিনি কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অসাধারণ এক রাষ্ট্রনায়কদের পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

modi farm laws withdrawal announcement

শাহর এই টুইট বার্তায় এটা স্পষ্ট যে কৃষি আইন প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্তকে তিনিও সর্বতোভাবে সমর্থন করছেন। কৃষি আইন বাতিলের (cancell) জন্য মোদিকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে অমিত শাহ অনেক কথাই বলেছেন। বেশিরভাগ কথাই মোদিকে তোল্লা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয় বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। শাহ বলেন, গুরু পরবের মতো একটি শুভ দিনেই প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন বাতিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। এখানে তাঁর চিন্তা-ভাবনার অভিনবত্ব। এখানেই নরেন্দ্র মোদি অন্যদের থেকে আলাদা। মোদির এই সিদ্ধান্তে এটা স্পষ্ট যে, প্রধানমন্ত্রী কৃষকের উন্নতি ছাড়া আর কিছুই ভাবেন না। প্রকৃতই যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আজ এক অনন্য নজির গড়লেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিন কৃষি আইন তৈরি করেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। ওই আইন পাস হওয়ার পরই তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছিলেন কৃষকরা। দীর্ঘ এক বছর পথে নেমে তাঁরা আন্দোলন করে যাচ্ছিলেন। কৃষকদের এই প্রতিবাদ আন্দোলন যে ভুল ছিল না তা ইতিমধ্যেই প্রমাণ হয়েছে। গত এক বছরের মধ্যে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেশ কয়েক গুণ বেড়েছে। যা চরম সমস্যায় ফেলেছে গোটা দেশের মানুষকে। ইতিমধ্যেই ১৩ টি রাজ্যের বিধানসভা ও লোকসভা উপনির্বাচনের তার ফলও পেয়েছে বিজেপি।

যদিও প্রথম থেকেই মোদি সরকারের দাবি ছিল কৃষক ও দেশের মানুষের উন্নয়ন করতেই তারা এই আইন করেছে। কিন্তু বাস্তব যে ভিন্ন কথা বলছে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন দেশবাসী তথা কৃষকরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ প্রতিটি রাজ্যের কৃষকরা কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে পথে নেমেছেন। শেষ পর্যন্ত কৃষকদের কাছে হাঁটু মুড়ে বসতে হল মোদিকে।

অমিত শাহর এদিনের মন্তব্য সম্পর্কে রাজনৈতিক মহল মুখ খুলেছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, অমিত শাহ মোদিকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করেন। আলাদাভাবে কিছু করে ওঠার মত ক্ষমতা তাঁর নেই। চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে অমিত শাহ কী করতে পারেন। তাই মোদিকে সমর্থন করে তাঁর সুনজরে থাকার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর নামে এত প্রশংসা করেছেন তিনি।

]]>
Farm Laws: ৭০০ কৃষকের মৃত্যুর পর কেন কৃষি আইন প্রত্যাহার: সুখেন্দু শেখর রায় https://ekolkata24.com/uncategorized/trinamool-mp-sukhendu-shekhar-sharply-criticizes-the-repeal-of-the-centres-agriculture-law Fri, 19 Nov 2021 07:58:25 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11735 নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন প্রত্যাহার ঘোষণা করার পর রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দেলনরত কৃষকদের অভিনন্দন জানান। এর পরেই টিএমসি সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানান, সুখেন্দু শেখর রায় সাতশো জন কৃষক মারা গিয়েছেন। কেন এতদিন পরে ? এতদিন তো কেন্দ্র বলছিল আমরা এই আইন ফেরাবো না।

এটা ওরা বাধ্য হয়ে করেছে। আগামি ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসে উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচটা রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তাই এই কালা কানুন ওরা ফিরিয়ে নিলো। এতদিন তো এই আন্দোলনরত কৃষকদের কে শদ্রোহী বলে বলছিলেন। এটা কৃষকদের জয়, অন্নদাতাদের জয়।

modi farm laws withdrawal announcement

তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কে এর জন্য জনসমক্ষে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এবং আমরা দাবি করছি যারা মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই জয় প্রতিটা কৃষকের জয় যারা নিরবিচ্ছিন্নভাবে এই আইনের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন।

এটা একটা ভোটের গিমিক। আপনারা জানেন কিছুদিন আগেই একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি তে গাড়ি চাপা দিয়ে আন্দোলন রত কৃষকদের মেরে দিয়েছে। অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

Farmers to hold rail roko on Oct 18

এদিন তৃণমূল সংসদ সদস্য বলেন, দেশের অধিকাংশ কৃষক যারা আন্দোলন করছিলেন তারা ইতিমধ্যেই ঘোষনা করেছিলেন যে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সংসদে যে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতে চলেছে সেই সময় প্রতিদিন দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাবে। এই সিদ্ধান্ত তার‌ই আরো এক প্রতিফলন। ৩৫ টা কৃষক সংগঠন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী এমন ভাব করছেন যে উনি কৃষকদের প্রতি দয়া করছেন।

video proved that the farmers were crushed to death by the wheel of the car

ওরা অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বিল আনার আগে এই বিষয়ে ওরা কোনো কৃষক সংগঠনের সঙ্গে আলাপ আলোচনাও করেনি। ওদের মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ সংসদে মিথ্যা বলেছিলেন। ওরা ২০২৪ এ নিজেদের পরাজয় কে ঠেকাতে একটা মিথ্যা প্রয়াস করছে।

তিনি জানান, সংসদে আমরা এই বিষয়টা অবশ্যই তুলবো। অন্য রাজনৈতিক দলের সাথেও কথা বলবো। এতদিন একবারের জন্যেও এই কালা কানুন ফেরানোর কথা ভাবেনি। আজ নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে ফিরিয়ে নিলো। সকলেই বুঝতে পারছে কারণ টা কি। এটা লোকতন্ত্রের জয়। তৃণমূল কংগ্রেস এই বিক্রেতা সরকারের সব ধরনের জনবিরোধী কাজের বিরোধিতা করছে এবং করবে। কেন্দ্র সরকার অবশ্যই ব্যাকফুটে।

]]>
মোদীর ভাষণ নয়, সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহারের অপেক্ষায়: সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা https://ekolkata24.com/uncategorized/samyukt-kisan-morcha-said-will-wait-for-the-announcement-to-take-effect-through-due-parliamentary-procedur Fri, 19 Nov 2021 06:40:20 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11732 News Desk: কৃষি আইন প্রত্যাহার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এর পরই প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠন। কৃষক আন্দোলনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানাল, প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানকে স্বাগত। তবে মুখের ঘোষণা নয়, আইন বাস্তবে প্রত্যাহার করে দেখাক সরকার।

কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত ও সারা ভারত কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা সরকারের অবস্থানকে স্বাগত জানান।

উলুবেড়িয়ার প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ হান্নান মোল্লা আগেই দাবি করেছেন, আসন্ন সংসদ অধিবেশনের সময় দিল্লি ঘিরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হবে। সরকারকে বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হবে। তাঁর ঘোষণার পরেই আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে নতুন করে জোশ ছড়ায়।

Farmers to hold rail roko on Oct 18

শুক্রবার গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে শিখ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি এই ভাষণেই বলেন, দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে।

মোদীর ভাষণে তুমুল আলোড়ন ছড়ায় হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশে। মূলত দেশের এই উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকদের নিয়েই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চলেছে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার অভিযোগ, নতুন তিনটি কৃষি আইনের মাধ্যমে সরকার দেশের কৃষি ব্যবস্থাকেই বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে।

প্রবল আন্দোলন, দিল্লি অভিযান, লালকেল্লায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঘিরে বিতর্কিত পরিস্থিতি হয়েছে বারবার। কৃষকদের আন্দোলনকে খালিস্তানি জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপির বহু নেতা, সংঘ পরিবার সংশ্লিষ্ট হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির অনেকেই। কৃষক নেতারা বলেছেন, সরকারকেই আইন প্রত্যাহার করতে হবে।

অবশেষে আইন প্রত্যাহারের কথা জানালেন মোদী। তবে সংসদে আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেই জানাচ্ছে কিষাণ মোর্চা।

]]>
Farm Laws Withdrawn: ঝুঁকলেন মোদী, ভোট বুঝে ক্ষমা চেয়ে ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার’ https://ekolkata24.com/uncategorized/modi-fram-laws-withdrawal-announcement Fri, 19 Nov 2021 04:58:11 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11726
  • News Desk: প্রবল কৃষক আন্দোলনের চাপে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদে বিপুল শক্তি নিয়ে আইন বাতিল হবে না বলে যে দাবি করেছিল বিজেপি তার থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা শুধু দেশ না বিদেশে আলোড়ন ফেলেছে।
  • farmers

    <

    p style=”text-align: justify;”>তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি বলতে চাই যে হয়ত আমাদের তপস্যাতেই খামতি ছিল। তাই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এই মাসে শুরু হতে চলা সংসদ অধিবেশনে এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করব। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আন্দোলন ছেড়ে একটি নয়া সূচনা করি। শীঘ্রই আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া পূর্ণ করে দেব। এবার আপনারা সকলে খেতে ফিরে যান, পরিবারের মধ্যে ফিরে যান।’

    আসন্ন পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের আগে মোদী এই ঘোষণা করলেন। পাঞ্জাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী জোট গড়ার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ বড় হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    উত্তর প্রদেশেও ভোটে কৃষক বিক্ষোভ বিরাট প্রভাব ফেলছে বলেই জনমত সমীক্ষা বলছে। তবে এই রাজ্যে ভোট কাটাকুটির লড়াইতে বিজেপির ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত এসেছে জনমত সমীক্ষায়।

    প্রধানমন্ত্রী দেশের কৃষকদের জন্য তাঁর সরকারের ভূমিকা বলেন। তিনি বলেন, ‘দেশের ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন ছোট কৃষক। তাদের জমির পরিমাণ ২ হেক্টরের কম। তাদের জীবনের আধার এই ছোট জমি। প্রায় ১০ কোটি এমন ছোট কৃষক আছে। এই ছোট জমিতেই তারা নিজেদের পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। তাই বীজ, বীমা, বাজার আর সেভিংসের ক্ষেত্রে কাজ করেছি। আমরা ফসল বীমা যোজনাকে আরও কার্যকরী করেছি। আরও বেশি সংখ্য কৃষককে এর অধীনে নিয়ে এসেছি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কিষাণ সয়েল হেলথ কার্ড দিয়েছি। এতে ফলন বেড়েছে। ছোট কৃষকদের ১ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। কৃষকদের কষ্ট যাতে সঠিক দাম পায়, সেই কাজ করেছে সরকার। গ্রামীণ বাজারকে শক্তিশালী করেছি। আমরা এমএসপি বাড়িয়েছি। পাশাপাশি সরকার রেকর্ড পরিবার ফসল কিনেছে।’

    ]]>