उन्होंने कहा कि देश का हर गरीब मेरे लिए VIP है, देश की हर माता-बहन-बेटी मेरे लिए VIP है, देश का हर किसान मेरे लिए VIP है, देश का हर युवा मेरे लिए VIP है। मोदी ने कहा कि पहले जो भीख मांगने की मन:स्थिति रहती थी अब वो गई। सरकार ने लाभार्थियों की पहचान की और फिर उन तक लाभ पहुंचाने की कदम उठाए। तब ही आज लोग कहते हैं- मोदी की गारंटी यानी, गारंटी पूरी होने की गारंटी। उन्होंने कहा कि देश भर के गांवों में करोड़ों परिवारों को हमारी सरकार की किसी न किसी योजना का जरूर लाभ मिला है। और जब ये लाभ मिलता है तो एक विश्वास बढ़ता है। जिंदगी जीने की एक नई ताकत आ जाती है।उन्होंने कहा कि ‘विकसित भारत संकल्प यात्रा’ ऐसे लोगों तक पहुंचने का बहुत बड़ा माध्यम बनी है, जो अब तक सरकार की योजनाओं से नहीं जुड़ पाए। यह बहुत बड़ी बात है कि इतने कम समय में अब तक सवा करोड़ से अधिक लोग मोदी की गारंटी वाली गाड़ी तक पहुंचे हैं और उसका स्वागत किया है, उससे जुड़ने की कोशिश की है और उसे सफल बनाने का काम किया है।
]]>प्रशासनिक अधिकारियों ने दावा किया है कि मुख्यमंत्री की घोषणा के परिणामस्वरूप प्रभावित किसानों को अब बीमा के लिए अपनी जेब से पैसा खर्च नहीं करना पड़ेगा. प्रशासनिक अधिकारियों के एक वर्ग का दावा है कि त्योहारी के दौरान मुख्यमंत्री की इस तरह की घोषणा से राज्य के कृषि समुदाय को राहत मिलेगी. क्योंकि सरकारी रिकार्ड के मुताबिक राज्य के विभिन्न जिलों में छिटपुट बारिश के कारण किसानों को परेशानी का सामना करना पड़ा. नवान्न को पता था कि करीब ढाई लाख किसान इस समस्या में फंसे हुए हैं. नवान्न सूत्रों के अनुसार, तभी मुख्यमंत्री को मामले की जानकारी दी गई। ममता ने राज्य सरकार के शीर्ष अधिकारियों से बात करने के बाद इस रियायत की घोषणा की.
]]>আন্দোলনকারীদের একাংশের দাবি, পথ অবরোধ শুরু করার পর পুলিশ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তবে কৃষকরা নাকি পুলিশের কথা বিশ্বাস করেননি সেদিন। তাঁদের বক্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর উচিত ছিল কাউকে পাঠিয়ে আমাদের সরে যেতে বলা। আমরা ভেবেছিলাম পুলিশ আমাদের রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে তাহলে তিনি কেন রাস্তায় আসবেন?’ মোগা-ফিরোজপুরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘পুলিশ আমাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করছিল।’
প্রসঙ্গত, বুধবার ভোটের প্রচার ও বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেই অনুযায়ী পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে এক সভায় যাচ্ছিলেন মোদী। কিন্তু সেদিন এই সভায় যাওয়ার সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে অবরোধের অভিযোগ ওঠে। একটি উড়ালপুলে ১৫-২০ মিনিট আটকে থাকে তাঁর কনভয়। শেষমেশ তিনি ফিরে যান ভাতিন্দা এয়ারপোর্টে। সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থার দাবি, সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন ‘বেঁচে আছি, এই অনেক। আমার আজ প্রাণহানি হতে পারত। এয়ারপোর্টে পৌঁছে গেছি, সে জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’ এদিকে খোদ প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকানোর ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল হয়ে রয়েছে দেশীয় রাজনীতি। প্রশ্ন উঠছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার আঁচ সুপ্রিম দ্বারে অবধি গিয়ে পৌঁছেছে।
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের একটি দলের কৃষকরা বলছেন যে তারা প্রাথমিকভাবে ফিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভ করতে যাচ্ছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের কারণে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক বিকেইউ নেতা জানান, ‘এটা সেই ধরনের পরিবেশ নয়। পাঞ্জাব একটা শান্তিপূর্ণ জায়গা। অন্য কোনও রাজ্যের মতো নয়। প্রধানমন্ত্রী এই জায়গা পর্যন্ত ১২০-১৩০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়েছিলেন।’
]]>আন্দোলন প্রত্যাহার করা হলেও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এমএসপি নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী বছরের জানুয়ারিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কৃষকদের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানানো হয়েছে, আন্দোলন প্রত্যাহার করলেও তারা সরকারের আশ্বাসের দিকে নজর রাখবেন। সরকার যে সমস্ত আশ্বাস দিয়েছে সেগুলি যদি পূরণ না করে তবে তাঁরা ফের আন্দোলন শুরু করবেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই দিল্লির সিংঘু সীমান্ত থেকে অনশনরত কৃষকদের একাধিক তাঁবু গুটিয়ে নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের এই আচরণ থেকেই পরিষ্কার, আন্দোলনের পথ থেকে সরে এসে এবার বাড়ি ফেরার পালা। সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতারা জানিয়েছেন, ১১ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় তারা সিংঘু সীমান্তে দুটি বিজয় মিছিল করবেন। ১৩ ডিসেম্বর তাঁরা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে প্রার্থনা করবেন এবং ১৫ ডিসেম্বর পাঞ্জাব ও হরিয়ানা যে সমস্ত আন্দোলন চলছে সেগুলিও প্রত্যাহার করে নেবেন। ২০২২- এর ১৫ জানুয়ারি তাঁরা কেন্দ্রের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসবেন। তাঁদের যে সমস্ত দাবি দাওয়া কেন্দ্রের কাছে এখনও বকেয়া রয়েছে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন কৃষক প্রতিনিধিদের পাঁচ সদস্যের এক দল।
সূত্রের খবর কৃষক সংগঠনগুলি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে সমস্ত দাবি জানিয়েছিল তার বেশিরভাগই সরকার মেনে নিতে চলেছে। এমনকী, কৃষকের বিরুদ্ধে গত এক বছরে যে সমস্ত মামলা দায়ের হয়েছে সেগুলি তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সরকার। এরপরই কৃষক সংগঠনগুলি আন্দোলন প্রত্যাহার করার পথেই হাঁটে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কৃষক নেতা অশোক ধাওয়ালে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের দাবিগুলি মেনে নেওয়ার লিখিত আশ্বাস দেওয়ার কারণেই তাঁরা আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসেছেন। ২০২২-এর ১৫ জানুয়ারি তাঁরা কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। ওই বৈঠকে যে সমস্ত দাবি এখনও বকেয়া রয়েছে সেগুলি নিয়ে আলোচনা হবে। কেন্দ্র যদি তাঁদের সব দাবি মেনে নেয় তবে তাঁরা আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসবেন। কিন্তু যদি কেন্দ্র তাঁদের দাবি না মানে তবে তাঁরা ফের আন্দোলনের পথে পা বাড়াবেন। একইসঙ্গে এই কৃষক নেতা জানিয়েছেন, বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের নেতারা প্রতিমাসে নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হবে।ো
]]>সরকারের এই লিখিত আশ্বাসের মধ্যে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার বিষয়টিও রয়েছে। এরপরই শোনা যাচ্ছে প্রায় ১৫ মাস ধরে যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলন থেকে সরে আসার পরিকল্পনা (Planning) করছেন কৃষক নেতারা।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষক সংগঠনগুলির কাছে কেন্দ্রের মোদি সরকার যে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাতে জানানো হয়েছে, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হবে। ফসলের গোড়া পোড়ানোর জন্য কৃষকদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা করা হয়েছে সেগুলি তুলে নেওয়া হবে। গত এক বছরে কৃষক আন্দোলন চলাকালীন কৃষকদের বিরুদ্ধ যে সমস্ত মামলা দায়ের হয়েছে সেই মামলাগুলি যদি কেন্দ্র প্রত্যাহার বা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় সেক্ষেত্রে কৃষক নেতারা আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসবেন বলে সরকারকে পাল্টা আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০-র সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে তিন কৃষি আইন তৈরি হয়েছিল। সরকারের দাবি ছিল, ওই আইন কৃষকদের জীবনের মানোন্নয়ন করবে। কিন্তু কৃষকদের পাল্টা দাবি ছিল, তাদের বড় মাপের ক্ষতি করবে এই আইন। সে কারণেই তাঁরা এই আইন প্রত্যাহার করার জন্য প্রায় ১৫ মাস ধরে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়েছেন। কৃষকদের সেই প্রবল আন্দোলনের চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সাংবিধানিকভাবেই মোদি সরকার তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
ছোট কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্যে তাঁদের ফসল বিক্রি করতে পারেন সে জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছেন কৃষক নেতারা।
]]>সেই বৃষ্টির জল চাষের জমিতে জমায় বিপাকে পড়েছেন আমতার চাষীরা। সোমবার বেলায় একটু বৃষ্টি থামতেই জমিতে জমা জল বার করতে মাঠে নেমে পড়েন চাষীরা। উল্লেখ্য, বন্যার জল নেমে যেতেই ঋণ নিয়ে কোনোরকম আবার সবজি চাষে মাঠে নেমেছিলেন চাষিরা। সেই সমস্ত সবজি এখন জলের তলায়।
তুফা সামন্ত নামে এক কৃষকের কথায়, বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে আলু সর্ষে চাষ করেছিলাম। সমস্তটাই এখন জলের তলায়। সেগুলোকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। চাষ না হলে কী করে সেই ঋন শোধ করব সেই চিন্তায় ভাবাচ্ছে এখন। সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে চাষীরা।
ইতিমধ্যে আমতা-২ নং ব্লকের কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে আধিকারিকরা বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে বেরিয়েছেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানানো সম্ভব নয় বলে জানান কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক নন্দগোপাল মারান্ডি। সমস্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সংগ্রহ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে বলে তিনি আরও জানান। আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিদ্দ্যা জানান,”বৃষ্টির ফলে চাষীদের চাষ করা সব্জি ও আলু নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চাষী ভাইদের পাশে আছে রাজ্য সরকার।”
]]>ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি সাদা গাড়ির ভেতরে রয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। গাড়িকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বহু মানুষ। বহু মহিলাও রয়েছেন এঁদের মধ্যে। প্রত্যেকের হাতে কৃষক সংগঠনের পতাকা রয়েছে। পুলিশ কর্মীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে কঙ্গনা ঘটনাস্থল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া লাইভ শুরু করেন। তিনি অভিযোগ, করেন, ঘেরাও থেকে অশ্লীল গালি দেওয়া হচ্ছে। আমার উপর হামলার আশঙ্কা করছি। যদি নিরাপত্তারক্ষী না থাকত তাহলে কী হত ভাবতে পারছি না। অভিনেত্রী কঙ্গনা জানান, তার ফ্লাইট ক্যান্সেল হওয়ায় হিমাচল থেকে পাঞ্জাব হয়ে সড়কপথে ফিরছিলেন। পাঞ্জাবের সংবাদ মাধ্যমের খবর, কিরতপুর সহিবে কঙ্গনা রানাউতের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা।
বিজেপি ঘনিষ্ঠ কঙ্গনা বারবার কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে গিয়ে কৃষকদের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেন, আন্দোলনকারীদের মধ্যে জিহাদি, খালিস্তানিরা আছে। প্রবল কৃষক আন্দোলনের চাপে কেন্দ্র সরকার তিনটি কৃষি আইন সংসদে বাতিল করেছে। আইন বাতিলের কথা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করতেই আন্দোলনকারীদের উপর ক্ষোভ উগরে দেন কঙ্গনা। তিনি বলেছিলেন, এবার থেকে রাস্তায় বসে থাকারা ঠিক করবে আইন। তাঁর মন্তব্য নিয়ে আলোড়ন পড়েছিল।
]]>বৃহস্পতিবার, কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা কৃষকদের সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (Sanyukt Kisan Morcha) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেন্দ্রের দেওয়া চাপের কারণেই এখনও তাঁরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রে তাঁদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে বকেয়া দাবিগুলি পূরণের চেষ্টা করছে। সরকার যদি আন্দোলনের সময়ে মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও ফসল বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান নিয়ে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করে তাহলে তাঁরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে রাজি।
বিবৃতিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা আরও জানিয়েছে, কৃষকদের সঙ্গে কোনও কথাবার্তা না বলেই তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে বাধ্য করছে কেন্দ্র। কেন্দ্র তাঁদের দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে দীর্ঘদিনের একটি লড়াই শেষ হয়েছে। আন্দোলন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে প্রথমবার যুদ্ধে জিতেছে কৃষকরা।
উল্লেখ্য, সোমবার সংসদে সরকার লোকসভা ও রাজ্যসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করে। সেখানে ধ্বনি ভোটে এই আইন পাশ হয়ে যায়। অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী সাংসদরা (Opposition MPs) কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করলে দুপুর ১২টা অবধি লোকসভা স্থগিত করে দেওয়া হয়। পরে ফের অধিবেশন শুরু হলে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর (Narendra Singh Tomar) কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করেন। রাজ্যসভায় খুবই সামান্য আলোচনার পর কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাশ হয়।
]]>সোমবার উত্তর প্রদেশের (Utter Pradesh) রাজধানী লখনউয়ে ছিল কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত (Mahapanchyat)। সেখানে একদফা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন টিকায়েত। মহা পঞ্চায়েতের পর ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন এই প্রবীণ কৃষক নেতা।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, মোদী সরকারের তৈরি তিন কৃষি আইন যে গরিব মানুষ, কৃষক, মজুর কারও জন্যই সুখকর নয় সেটা বোঝাতে এক বছর সময় লাগলো। আসলে আমরা আমাদের সহজ-সরল ভাষায় বিষয়টি বোঝাতে চাইছিলাম। কিন্তু দিল্লির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাংলোয় বসে সরকারি কর্মকর্তারা সেটা বুঝতে পারছিলেন না। সরকার শেষ পর্যন্ত আইন প্রত্যাহারের কথা বলেছে ঠিকই, কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের মধ্যেও বিভাজন তৈরি করতে চাইছেন। সে কারণেই সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী বলছেন, কৃষি আইনের সুফল তাঁরা সব কৃষককে বুঝিয়ে উঠতে পারেনি।

টিকায়েত আরও বলেন, তিন কৃষি আইন বাতিল ছাড়াও তাঁদের আরও কয়েকটি দাবি আছে। সেগুলি নিয়েও সরকারকে চিন্তাভাবনা করতে হবে। ২০১১ সালে মোদী যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সেসময় তিনি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার দাবির পক্ষে ছিলেন। এমনকী, এ বিষয়ে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছে সুপারিশও করেছিলেন। তিনি মনমোহনকে স্পষ্ট বলেছিলেন, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা কেন্দ্রের দায়িত্ব। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে নিজের সেই সুপারিশের কথা ভুললে চলবে না। মোদী যাতে তাঁর নিজের করা সুপারিশটি মেনে নেন সেজন্য তাঁরা পথেই থাকবেন।
সাধারণত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির কট্টর সমালোচক বলেই পরিচিত টিকায়েত। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন। আগামী বছরের শুরুতেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। টিকায়েত সেখানেও বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার চালালে গেরুয়া দল যে নিশ্চিতভাবেই সমস্যায় পড়বে তা বলাই বাহুল্য। সে কারণেই টিকায়েতের এই নতুন হুমকিতে বিজেপি যথেষ্টই দুশ্চিন্তায় রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটলে টিকায়েতের আর তেমন কোনও গুরুত্ব থাকবে না। সে কারণেই তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাইছেন।
]]>রাজনৈতিক মহল মনে করছে, কেন্দ্রের ওপর চাপ বজায় রাখতেই কৃষক নেতারা এই চিঠি দিয়েছেন। প্রশ্ন হল, কৃষক নেতারা আলোচনার জন্য কোন কোন বিষয়ে উত্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে?
ওই চিঠিতে কৃষকরা জানিয়েছেন, চাষিদের জন্য ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (msp) নিশ্চিত করার আইন তৈরি করতে হবে। কৃষকদের বিরুদ্ধে গত এক বছরে বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে সেগুলি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। গত একবছরে আন্দোলন করতে গিয়ে যে সমস্ত কৃষকের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের স্মরণে সিংঘু (singhu) সীমান্তে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করতে হবে। বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহার করতে হবে।
এছাড়াও কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট ইন ন্যাশনাল ক্যাপিটাল অ্যান্ড অ্যাডজয়েনিং এরিয়াস অ্যাক্ট ২০২১ আইনে কৃষকদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত শাস্তিমুলক পদক্ষেপ করা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত এমনকী, তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।

একই সঙ্গে কৃষকরা এদিন প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, কেন্দ্র যেন গত এক বছরে আন্দোলন করতে গিয়ে মৃত কৃষকদের পরিবারকে সাহায্য করতে উদ্যোগী হয়। কৃষক নেতাদের দাবি, গত একবছরে আন্দোলন করতে গিয়ে ৬৭০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, লখিমপুরে আশিস মিশ্রের গাড়ির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৪ কৃষকের। এই সমস্ত দাবিগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য যত শীঘ্র সম্ভব প্রধানমন্ত্রীকে বৈঠক ডাকার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষক নেতারা। ওই চিঠিতে তাঁরা স্পষ্ট বলেছেন, এই দাবিগুলি নিয়ে যতদিন না একটা সমাধান বের হচ্ছে ততদিন আন্দোলন আগের মতোই বহাল থাকবে।
ওই চিঠিতে কৃষক নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, আপনি আমাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন। এজন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার উপর খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে আমাদেরও ভালো লাগছে না। আমরাও পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চাই। আবার নতুন করে কৃষি কাজ শুরু করতে চাই। তাই আপনাকে আমাদের অনুরোধ যত শীঘ্রই সম্ভব এই সমস্যা মিটিয়ে নিন।
]]>দিল্লির তিন সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র (Narendra Modi) মোদির ঘোষণা অনুযায়ী তিন কৃষি আইন আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের বিক্ষোভ চলবে। একই সঙ্গে কৃষকরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আইন এবং গত এক বছরে কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব পুলিশি মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে। পাশাপাশি এদিন এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, আজ নয়, ২৭ নভেম্বরই কৃষক আন্দোলনের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

১৯ নভেম্বর শুক্রবার গুরু নানকের জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর কৃষক আন্দোলন জারি রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে রবিবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল কৃষক সংগঠনগুলির। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হল। আপাতত যাবতীয় আন্দোলন কর্মসূচি জারি থাকবে বলেই জানিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা ।

মোদি (Narendra Modi) তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণার পর প্রশ্ন ওঠে যে, দিল্লি সীমান্তে প্রায় এক বছর ধরে যে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা তাকি চলবে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে শনিবারই বৈঠকে বসে সংযুক্ত কিষান মোর্চার অধীনে থাকা ৩২টি কৃষক সংগঠন। তবে শনিবার বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই রবিবার দিল্লির সিংঘু সীমান্তে সকাল ১১টায় দ্বিতীয় দফার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এই বৈঠকেই আন্দোলনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে এই বৈঠক স্থগিত রাখা হয়। ২৭ নভেম্বর এই বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৭ তারিখের বৈঠক না হওয়া অবধি কৃষক আন্দোলনের যাবতীয় কর্মসূচি বহাল থাকবে। সেই সূচি মেনে ২২ নভেম্বর লখনউয়ে যে মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল তাও নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ীই হবে।
কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, “সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে যে সমস্ত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল তা যথারীতি পালন করা হবে। সেই কর্মসূচি মেনেই ২২ নভেম্বর লখনউয়ে মহাপঞ্চায়েত, ২৬ নভেম্বর কৃষক আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সীমান্তে কৃষকদের বিশাল জমায়েত এবং ২৯ নভেম্বর থেকে সংসদ ভবন অবধি ট্রাক্টর মিছিলের যে পরিকল্পনা রয়েছে তা পালন করা হবে। ২৭ নভেম্বরের বৈঠকে ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

রবিবার সকালে কৃষক আন্দোলনের সংগঠক সংযুক্ত কিষান মোর্চা সিংঘু সীমান্তে (singhu border)মোদির ঘোষণা এবং তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এদিন বিস্তারিত কোনও আলোচনা হয়নি। এদিন নিজেদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা বলার পর কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল (balbar sing) বলেছেন, “আমরা কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে আমরা শুধু মুখের কথায় বিশ্বাস করছি না। আমরা দেখছি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কবে এই আইন বাতিল করা হয়। পাশাপাশি আমাদের আরও কিছু দাবিদাওয়া রয়েছে। সেই দাবিগুলি আমরা খোলা চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানাবো। এছাড়াও আজ আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সংযুক্ত কিষান মোর্চার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিগুলি যেমন আছে তেমনই চলবে।”
শুক্রবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) সহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘোষণা সত্ত্বেও, কৃষক সংগঠনগুলি অবশ্য এখনই আন্দোলন প্রত্যাহার করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। মোদির ঘোষণার পর রাকেশ টিকায়েতকে প্রশ্ন করা হয়, টিকরি, সিংঘু ও গাজীপুর সীমান্ত থেকে আন্দোলনকারীরা এখনও সরে যায়নি কেন? জবাবে টিকায়েত বলেন, সীমান্ত খালি করার বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই তিন আইন বাতিলও হয়নি। আমরা শুধু মুখের ভরসা করতে পারছি না। এক বছর ধরে কৃষকরা এখানে আন্দোলন করছেন। শহিদ হয়েছেন প্রায় ৭০০ জন কৃষক। এর দায় কে নেবে? এ সময় এক সাংবাদিক টিকায়েতকে প্রশ্ন করেন, আগে আপনি বলতেন বিল প্রত্যাহার না হলে বাড়ি ফিরবেন না ।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তো গণমাধ্যমে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বিল ফেরত নেওয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে টিকায়েত বলেন, লক্ষাধিক কৃষক এখানে এক বছর ধরে ধর্নায় বসে থেকেছেন। কয়েক শো কৃষক শহিদ হয়েছেন। আন্দোলনে করার জন্য কৃষকদের ওপর আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একের পর এক মামলা। গত একবছরে কতকিছু ঘটেছে। সবকিছুর হিসাব বরাবর হলেই আমরা ফিরে যাবো। আমাদের আর কয়েকদিন দেরি হলে অসুবিধা কোথায়?
]]>কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে কার্যত সরাসরি মোদিকে কটাক্ষ করলেন বরুণ। শনিবার বরুণ অনলাইনে মোদিকে একটি চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে বরুণ বলেছেন, যদি কিছুদিন আগে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হত তবে ৭০০ কৃষককে (farmer) অকালে প্রাণ হারাতে হত না।
একইসঙ্গে ওই চিঠিতে বরুণ ফের একবার লখিমপুর (Lakhimpur Khari) খেরির ঘটনার কথা উল্লেখ করে মোদি তথা বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। বরুণ এদিন বলেছেন, লখিমপুরের ঘটনা গণতন্ত্রের পক্ষে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। তাই লখিমপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে এই বিজেপি (bjp) সাংসদ মূলত চারটি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন।

প্রথম থেকেই বরুণ আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে ছিলেন। মাত্র একদিন আগেই নাটকীয় ভঙ্গিমায় কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদি। আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গেই শনিবার বরুণ মোদিকে একটি চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে বিজেপির এই বেসুরো সাংসদ বলেছেন, গত একবছরে আন্দোলন করতে গিয়ে ৭০০ কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। মৃত কৃষকদের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।
একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, গত এক বছরে কৃষকদের নামে বহু মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেগুলি অবিলম্বে তুলে নিতে হবে। আপনার অনেক বড় হৃদয় সেজন্যই আপনি কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছেন। এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু যদি এই সিদ্ধান্তই কিছুদিন আগে নিতেন তাহলে আমরা ৭০০ কৃষক ভাই-বোনকে হারাতাম না। বরুণ তাঁর চিঠিতে আরও বলেছেন, কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার বিষয়েও সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তবে মৌখিক নয় এ ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া উচিত। পাশাপাশি লখিমপুরে চার কৃষককে পিষে মারার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে যত শীর্ঘ সম্ভব কড়া শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন বরুণ।
লখিমপুরের ঘটনার কথা তুলে ধরে বরুণ তাঁর চিঠিতে আরও লিখেছেন, দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা তথা অন্নদাতাদের নিয়ে অনেক আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। দলের উচিত ওই নেতাদের এ ধরনের মন্তব্যের জন্য কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। ইতিমধ্যে বরুণের এই খোলা চিঠি দেশের রাজনীতিতে আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ সম্প্রতি বরুণের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়েছে।
যে কারণে বরুন এবং তাঁর মা সাংসদ মানেকা গান্ধীকে বিজেপি জাতীয় কর্মসমিতি থেকে ছেঁটে ফেলেছে। পাশাপাশি গত দু’দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, বরুণ গান্ধী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। এসবের কারণেই বরুণের পথচলা নিয়ে অনেকেই কৌতুহলী হয়ে উঠেছেন। আগামী দিনে বরুণের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হয় তা নিয়ে দিল্লির রাজনৈতিক বাতাসেও নানা জল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে।
]]>শুক্রবার বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী নিজে ক্ষমা চেয়ে আইন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছেন। হলেও যদিও বিরোধীদের দাবি, আগামী বছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি।

তবে কৃষি আইন প্রত্যাহার হলেও লখিমপুর খেরিতে কৃষকের ওপর নৃশংস হামলা চালানোর ঘটনা পিছু ছাড়ছে না মোদি সরকারের। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের গাড়ির চাকায় পিষে দেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস। লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে বিতর্ক চরমে পৌঁছেছিল গত মাসে। পুলিশ অবশ্য গ্রেফতার করেছে আশিসকে। কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর মোদি সরকারের সমালোচনায় এবার সেই লখিমপুরের ঘটনাকেই সামনে আনলেন প্রিয়াঙ্কা।
লখিমপুরের কথা তুলে ধরে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লিখেছেন প্রিয়াঙ্কা। নেত্রী লিখেছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যদি দেশের কৃষকদের প্রতি আপনার মনোভাব প্রকৃতই সৎ থাকে, যদি কৃষকদের প্রতি সমব্যাথী হন তাহলে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র যে মঞ্চে থাকবেন সেই মঞ্চে আপনি উঠবেন না। আপনি অবিলম্বে অজয়কে (ajay mishra) মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করুন।
কিন্তু আপনি যদি সেটা না করেন তবে কৃষকদের ভাবাবেগে আঘাত লাগবে। একই সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা চিঠিতে লিখেছেন, কৃষক আন্দোলন করতে গিয়ে যে সমস্ত কৃষক মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে উপযুক্ত আর্থিক সাহায্য করুন। প্রিয়াঙ্কার চিঠির ভাষা কার্যত প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাসযোগ্যতাকেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানালেও কৃষকরা এখনও মোদি তথা বিজেপিকে বিশ্বাস করতে পারছে না। যে কারণে শনিবার কৃষক নেতারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, যতক্ষণ না সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে সংসদে (parliament) তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসবেন না।
]]>মৃত তিন কৃষক মহিলা পাঞ্জাব থেকে এসেছিলেন আন্দোলনে অংশ নিতে। বৃহস্পতিবার তাঁরা ঘরে ফেরার জন্য রাস্তার পাশে বসেছিলেন। টিকরি সীমানায় একটি ট্রাক তাঁদের পিষে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত তিন মহিলা কৃষক আন্দোলনকারী পাঞ্জাবের মানসা জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ট্রাকের চালক পলাতক। পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে। মৃত তিন মহিলা কৃষকের নাম অমরজিৎ কৌর, গুরমিত কৌর এবং হরসিন্দর কৌর।
টিকরি সীমানার কাছাকাছি পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশের কৃষকরা বিক্ষোভ চালাচ্ছেন গত এক বছর ধরে। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রের তৈরি কৃষি আইন বাতিল করতে হবে।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষক বিক্ষোভকারীদের পিষে মারার ঘটনা দেশ উত্তাল। সেখানে ৪ কৃষক সহ মোট ৯ জন মৃত। অভিযোগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রর পুত্র আশিস ইচ্ছা করে কৃষকদের গাড়ি চাপা দেয়। সে এখন জেলে।
]]>তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রায় এক বছর ধরে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। কৃষকদের এই অবস্থান বিক্ষোভের কারণে সিঙ্ঘু, টিকরি-সহ একাধিক বর্ডার আটকে রয়েছে। এভাবে প্রায় একবছর রাস্তা আটকে আন্দোলন চলায় এলাকার বাসিন্দারা চরম সমস্যায় পড়েছেন বলে অভিযোগ। যে কারণে সম্প্রতি নয়ডার এক বাসিন্দা কৃষকদের এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করে একটি মামলা করেন। সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করল সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ।
এর আগে অগাস্ট মাসের একটি মামলার শুনানিতে একই কথা বলেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সে সময়ে আদালত জানিয়েছিল, রাস্তা আটকে কখনওই কোন আন্দোলন করা যাবে না। কারণ রাস্তা আটকে আন্দোলন করলে মানুষকে বিপাকে পড়তে হয়।
এদিন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ কৃষকদের পরিষ্কার জানিয়েছে, আমজনতাকে বিপাকে ফেলে ককনওই দিনের পর দিন রাস্তা আটকে রাখা যায় না। নিজেদের আন্দোলন সম্পর্কে কৃষকদের অবস্থান জানানোর জন্য তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেছে, এখন থেকেই সমস্যা সমাধানের কোনও উপায় বের করতে হবে।শুধু কৃষক নয়, যে কোনও মানুষেরই আন্দোলন করার অধিকার আছে। কিন্তু আন্দোলন করার মানে এই নয়, অন্য মানুষের অসুবিধে তৈরি করা। রাস্তা বন্ধ করে এভাবে দিনের পর দিন আন্দোলন করা যাবে না।
বেঞ্চের এক বিচারপতি বলেন, সমস্যা সমাধান আইনি পথে হতে পারে। আন্দোলন বা সংসদীয় বিতর্কের মাধ্যমেও সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু দিনের পর দিন জাতীয় সড়ক বন্ধ করে রেখে এটা কী ধরনের আন্দোলন হচ্ছে? বেঞ্চের এদিনের মন্তব্যে গোটা দেশেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
]]>কৃষকদের দাবি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, উত্তরপ্রদেশের বহু গ্রামে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, বিজেপি নেতারা সেখানে ঢুকতে পারছেন না। সত্যপাল উত্তরপ্রদেশের মিরাটের বাসিন্দা। তিনি বলেন, মিরাটের বহু গ্রামে বিজেপি নেতারা এখন আর ঢুকতে পারেন না। তবে শুধু মিরাট নয়, বাগপত, গোরক্ষপুর, মুজাফফরনগর-সহ বহু গ্রামে একই ছবি।
মোদি সরকার যদি আইন বাতিলের দাবি না মানে তাহলে তিনি কি কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পদত্যাগ করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সত্যপাল বলেন, তিনি সর্বদাই কৃষকদের পাশে রয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয় যে, তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে প্রয়োজন হলে তিনি অবশ্যই পদত্যাগ করবেন।
তিন কৃষি আইন নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান সূত্রও বাতলেছেন সত্যপাল। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি আইনগতভাবে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দেয় তাহলেই তো সব সমস্যা মিটে যাবে। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা পেলে কৃষকরা অবশ্যই তাঁদের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু সরকার এই সামান্য কাজটুকু করছে না। সত্যপালের দাবি তিনি বিষয়টি অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানিয়েছেন। সরকারিভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এবিষয়ে অবশ্য কোনও কথা বলেননি। ভবিষ্যতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই দুইজনকে কৃষি আইন নিয়ে তার মতামত আবারও জানাবেন বলে রাজ্যপাল জানান।
রাজনীতির মঞ্চে সত্যপাল মালিক বিজেপির অত্যন্ত কাছের লোক বলে পরিচিত। সত্যপাল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ বলয়ের নেতা। তাই সত্যপালের এই বক্তব্যকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
]]>উল্লেখ্য, গত রবিবার লখিমপুরে আন্দোলনরত কৃষকদের উপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছিল বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস। ওই ঘটনায় চার কৃষক -সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় স্বতঃপ্রণেদিত হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে লখিমপুর এক বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ইতিমধ্যেই কৃষকদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সবার আগে লখিমপুরে পৌঁছেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের এক সংসদীয় প্রতিনিধিদল।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এদিন রেল অবরোধের ডাক দেওয়ার পর গোটা দেশের একাধিক কৃষক সংগঠন ওই অবরোধ কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার একাধিক কৃষক সংগঠন জানিয়েছে, ১৮ অক্টোবর শুধু রেল নয়, তারা সড়কপথও অবরোধ করবে।
]]>
কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি এবং তাদের আয় বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ২০০০ টাকার তিনটি কিস্তি (PM Kisan Yojana Benefits) অর্থাৎ ৬০০০ টাকা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠায়। এখন পর্যন্ত কৃষকদের অ্যাকাউন্টে PM কিষাণ সম্মান যোজনার ৮ কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন পরবর্তী অর্থাৎ নবম কিস্তির টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে আসতে চলেছে। এর আগে অষ্টম কিস্তির টাকা ১৪ মে দেওয়া হয়েছিল।
To further ensure social security of farmers, PM Shri @narendramodi will release the next instalment of PM KISAN on 9th August at 12:30 PM.
Register for the event here: https://t.co/vff9e4jDUq #AatmaNirbharKrishi pic.twitter.com/lT7CXUKiBT
— MyGovIndia (@mygovindia) August 4, 2021
কী করে জানতে পারবেন আপনার কিস্তির অবস্থান
1. আপনার কিস্তির অবস্থা দেখতে আপনি প্রথমে ওয়েবসাইটে যান।
2. এর পর ডান পাশে Farmers Corner এ ক্লিক করুন।
3. এখন বেনিফিশিয়ারি স্ট্যাটাস অপশনে ক্লিক করুন।
4. এখন আপনার সামনে একটি নতুন পেজ খুলবে।
5. এখানে আপনি আপনার আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর লিখুন।
6. এর পরে আপনি আপনার অবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পাবেন।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য দেশের কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করা এবং তাদের সরাসরি আর্থিক সাহায্য করা। পরবর্তী কিস্তির অপেক্ষায় থাকা কৃষকরা অগস্টে আবার সুখবর পেতে চলেছেন। আপনি যদি এর জন্যও আবেদন করেছেন, তাহলে আপনি এইভাবে তালিকায় আপনার নাম চেক করতে পারেন।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারী বা আয়কর প্রদানকারী কৃষকদের যোগ্য বলে গণ্য করা হয় না। এর বাইরে ১০ হাজার টাকার বেশি পেনশন পাওয়া ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সিএ এবং কর্মচারীরাও এই স্কিমে যোগ দিতে পারবেন না।
]]>