financial – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 03 Dec 2021 08:57:53 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png financial – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Financial Habits: সাফল্যের জন্য সহজ আর্থিক অভ্যাস https://ekolkata24.com/offbeat-news/simple-financial-habits-to-set-you-up-for-success Wed, 01 Dec 2021 16:52:10 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13072 নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: এটা অনেকেই জানেন অযথা ক্রেডিট কার্ডের উপর নির্ভর করা উচিত নয় , সময়মতো তার বিল পরিশোধ করতে হবে, প্রায়ই তার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট চেক করা দরকার এবং যতটা সম্ভব অর্থ সঞ্চয়  (Financial Habits) করা উচিত ।

কিন্তু এটা জানাই কি যথেষ্ট ? এটা তো বিষয় আশয়ের একেবারে প্রাথমিক ব্যাপারে অর্থাৎ ‘অ আ ক খ’ জানা । আর দুর্ভাগ্যবশত , এর দ্বারা কেউ খুব দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। ঠিক যেমন বাক্য তৈরি করতে সক্ষম হওয়ার জন্য পুরো বর্ণমালাটাই রপ্ত করতে হবে, আর্থিক সাফল্যের পাদদেশে পৌঁছতে গেলে কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং সামনের আরোহণের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

মনোযোগ দিয়ে বাজেট শুরু করা
অধিকাংশ মানুষ তাদের খরচের ব্যাপারে একেবারে ভেসে যান , যখন তারা তাদের মাসিক বেতনের চেক পান, সেটা আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিল পরিশোধ করে। যদি তাদের কোন টাকা অবশিষ্ট থাকে,তখন তাহলে তারা বিবেচনামূলক খরচে লিপ্ত হতে পারেন অথবা সঞ্চয় করতে পারেন । যেহেতু তারা বাজেট করেন না , তাই তাদের অর্থ কীভাবে এবং কোথায় যায় এবং সেটা অপব্যয় হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে তারা আদৌ সচেতন নয় ।অন্য ভাবে সফল ব্যক্তিরা মাসিক বাজেট করে নিয়ে কাজ করেন।

এরফলে তারা তাদের খরচ কিভাবে বরাদ্দ করতে যাচ্ছেন এবং প্রতি মাসে কত টাকা সঞ্চয় করবেন সে সম্পর্কে তাদের একটি পরিষ্কার ধারণা থাকে। খরচের বিভাগগুলি নিদিষ্ট করে এবং প্রতিটির জন্য বাজেট বরাদ্দ করলে ব্যয়গুলির উপর নজর রাখতে শুরু করতে পারা যাবে। সময় মতো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার বাজেট নিয়মিত পর্যালোচনা এবং সংশোধন করতে ভুলবেন না কারণ প্রতি মাসে এটা একই রকম থাকবে না।

Financial Habits

বিনিয়োগের বিষয়ে নিজেকে শিক্ষিত করুন
জীবন এবং স্বাস্থ্য বিমার মতো মৌলিক বিষয়গুলি তৈরি হয়ে গেলে , পরবর্তী পদক্ষেপটি হল লগ্নিতে মন দেওয়া। ব্যাঙ্কে প্রচুর টাকা অলস পড়ে থাকার মানে হল রান্নাঘরে বসে খাওয়ার জন্য সমস্ত উপাদান থাকার মতো। যদি সেগুলি ব্যবহার না করেন তবে এমন খাবার পাবেন না যা আপনি উপভোগ করতে পারেন। প্রথমদিকে, বিনিয়োগের বিষয়টা কিছুটা ভীতিজনক মনে হতে পারে। কিন্তু যদি প্রতি সপ্তাহে এই বিষয়ে একটু একটু করে শিখে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন , তাহলে আপনি দ্রুত বুঝতে পারবেন যে বিভিন্ন বিনিয়োগ কী ভাবে কাজ করে , আপনার ঝুঁকির ক্ষুধা কী এবং বিভিন্ন আর্থিক লক্ষ্যের জন্য কীভাবে লগ্নি করা উচিত । তা শুরু করার জন্য একটি ভাল জায়গা হল বিনিয়োগের পরিভাষা বোঝা ।

শুধুমাত্র ভাল ঋণ নিতে হবে
হ্যাঁ , এমনিতে ঋণ এড়িয়ে চলাই শ্রেয় । তবে সব ঋণ খারাপ নয় । জীবনের কিছু ধাপে জীবনে অগ্রগতির জন্য কিছু ঋণ নিতে হতে পারে । ভাল ঋণ এবং খারাপ ঋণের মধ্যে প্রাথমিক পার্থক্য হল ঋণের উদ্দেশ্য । যদি শুধুমাত্র খরচের উদ্দেশ্যে ঋণ গ্রহণ করেন, যেমন ডিজাইনার পোশাক কেনার জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তাহলে সেটা খারাপ ঋণ। যাইহোক, আবার আপনি যদি শিক্ষা ঋণ নেন বা আপনার স্টার্ট-আপ চালু করার জন্য একটি ব্যবসায়িক ঋণ নেন, তবে এটি একটি ভাল ঋণ । এই ধরনের ঋণ আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে অর্থ উপার্জন করতে সহায়তা করবে ।

প্রথমে সঞ্চয় করুন এবং পরে ব্যয় করুন
বর্তমানে বিশ্বটি প্রকৃতিগতভাবে ভোগবাদী এবং যতক্ষণ না কেউ এ সম্পর্কে আর্থিকভাবে সুস্থ থাকবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তার অভিনব এবং আকাঙ্ক্ষায় লিপ্ত হওয়াটা ঠিক আছে। সুতরাং , যদি ঘড়ি পছন্দ করেন এবং তা সংগ্রহ করতে চান , প্রথমে তার জন্য সঞ্চয় করুন । মাসের শেষে যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে তবে প্রথমে কেনাকাটা করা এবং তারপরে অর্থ সঞ্চয় করতে ভুলবেন না । যদিও যা চান তা পেতে আপনার ক্রেডিট কার্ডে সবকিছু চার্জ করা সহজ , এটি চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটের জন্য একটি নিশ্চিত-শট রেসিপি । অতএব , যদি এমন কিছু চান যার জন্য এখন আপনার কাছে টাকা নেই , তাহলে প্রথমে তার জন্য সঞ্চয় করতে হবে আপনাকে।

পরিমাণের চেয়ে গুণমানকে প্রাধান্য দিন
আর্থিকভাবে বিচক্ষণ হওয়ার অর্থ মিতব্যয়ী হওয়া বা কখনও দামি জিনিস না কেনাটা এমন নয়। ক্রমাগত বদলাতে হতে পারে এমন সস্তা বিকল্পের চেয়ে বেশি খরচ হলেও যা আপনার জীবনে মূল্য যোগ করে এমন জিনিসগুলিতে বিনিয়োগ করা অর্থপূর্ণ। কারণ অনেক সময় সস্তার জিনিস বেশি দিন চলে না ফলে অল্প দিনের মধ্যেই তা ফের কেনার দরকার হয় তারচেয়ে বরং দামি টেকশই জিনিস কেনাটা আর্থিক দিক দিয়ে সাশ্রয় হবে ৷

নিজেকেও কখন না বলতে হবে
ধরুন, একজন বন্ধু একটি অভিনব গ্ল্যাম্পিং উইকএন্ডের পরামর্শ দিচ্ছেন অথচ ওই মাসের জন্য আপনার বাজেটে জায়গা নেই। সেক্ষেত্রে তিনি কি হ্যাঁ বলতে বাধ্য হবেন, নাকি তিনি আর্থিকভাবে দায়িত্বশীলের মতো কাজ করবেন এবং সেই অফারটি প্রত্যাখ্যান করবেন?

নিজেকে না বলাটা অন্যদের না বলার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের চাহিদার থেকে নিজের প্রয়োজনকে আলাদা করতে হবে যাতে ওই ব্যক্তির আয়ের মধ্যে বসবাস করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে আর্থিকভাবে জয়ী হতে পারেন।

]]>
ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে আইএমএফ উদ্বেগ প্রকাশ করলেও ঘুমিয়ে দিন কাটাচ্ছেন মোদি https://ekolkata24.com/uncategorized/imf-expresses-concern-over-indias-financial-situation Sat, 16 Oct 2021 09:28:48 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7896 নিউজ ডেস্ক: করোনাজনিত সময়ে বিশ্বের প্রতিটা দেশের অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে। ভারত ও তার ব্যতিক্রম নয়। ভারতের অর্থনীতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা আইএমএফ। এই আন্তর্জাতিক সংগঠন তাদের এক অনুষ্ঠানে স্পষ্ট জানিয়েছে, করোনাজনিত সময়ে ভারতে আর্থিক বৈষম্য বেড়েছে। ঊধ্বমুখী দারিদ্র। এই সমস্যা দূর করতে সরকারকে আরও সক্রিয় হতে হবে।

যথারীতি আইএমএফ-এর এই বক্তব্যকে খুব একটা গুরুত্ব দিতেই রাজি নন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। দু’জনেরই দাবি, দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

কিন্তু নির্মলা এবং মোদির এই বক্তব্য কার্যত খারিজ হয়ে গিয়েছে আইএমএফ-এর দেওয়া পরিসংখ্যানে। আইএমএফ বলছে, ভারতের বাজারে প্রতিদিনই পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ছে। পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের দাম। যা সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রের যে সমস্ত পদক্ষেপ করা উচিত ছিল তার কোনওটাই হয়নি। যার ফলে মানুষের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ফলশ্রুতিতে অর্থনীতির বেহাল থেকে বেহালতর হয়েছে। কমেছে কর্মসংস্থান। বরং দেশে বেকারত্বের হার রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে শুধু যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে তা নয়, শিল্পক্ষেত্রেও বড় মাপের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দেশের শেয়ারবাজার চাঙ্গা হলেও তা দিয়ে কর্মসংস্থানের প্রকৃত ছবিটা সামনে আসছে না। বরং এটা বলা যায় যে, গত এক বছরে ভারতে আর্থিক বৈষম্য অনেক বেড়েছে। যখন গোটা দেশের মানুষের আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ কিছু শিল্পপতিদের আয় আবার চোখে পড়ার মত বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক এই সংস্থা’ যখন ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি ও সরকারের নেতিবাচক ভূমিকার কথা বলছে, তখন প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী দুজনেই আইএমএফ-এর সব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে দেশের অর্থনীতির দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

আরও একধাপ এগিয়ে নির্মলা বলেছেন ভারত তার অর্থনীতির ৯০ শতাংশই পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে। নিজের দাবির সপক্ষে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত এপ্রিল থেকে জুনে জিএসরি বাবদ আয় বিপুল বেড়েছে। তবে মোদি সরকার যাই বলুক না কেন বাস্তবচিত্র কিন্তু ভিন্ন কথাই বলছে। আইএমএফ জানিয়েছে, দেশের আর্থিক কর্মকান্ডের উপর মোদি সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যে কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে চলেছে। পাল্লা দিয়ে কমেছে মানুষের আয়।

এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে যে ধরনের পদক্ষেপ করা উচিত ছিল মোদি সরকার তা করতে পারেনি। সরকারের এই ব্যর্থতার মাশুল গুনছে সাধারণ মানুষ। মূল্যবৃদ্ধির কারণে তাঁদের নাভিশ্বাস উঠছে। মূল্যবৃদ্ধি ডেকে আনে মুদ্রাস্ফীতি। আর মুদ্রাস্ফীতির চড়া হার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পক্ষে সবচেয়ে বড় বাধা। তাই মোদি সরকার যাই বলুক না কেন, মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি কমাতে না পারলে ভারতীয় অর্থনীতির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন।

এই অবস্থায় মোদি বা নির্মলাকে অনেক বেশি সক্রিয় হতে হবে। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে উপযুক্ত পরিকল্পনা করতে হবে। ঘুমিয়ে দিন কাটালে কখনওই চলবে না।

]]>