Food – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 01 Jan 2022 17:35:27 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Food – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার খাবারের দাম বাড়ছে https://ekolkata24.com/business/food-prices-at-online-food-delivery-companies-are-rising Sat, 01 Jan 2022 16:59:05 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17526 নিউজ ডেস্ক: ২০২২-এর শুরুতে যেন আশার কোনও খবর নেই। বরং আসছে একের পর এক দুঃসংবাদ। আজকের দিনে তরুণ সম্প্রদায়ের অনেকেই বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি (food delivery ) সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের পছন্দ মত খাবার অর্ডার করেন।

কিন্তু চলতি বছরের প্রথম দিন থেকেই সেই খাবারের দাম ৫ শতাংশ বাড়ছে। কারণ মোদী সরকার (modi goverment) জানিয়ে দিয়েছে, ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির উপর থেকে তারা ৫ শতাংশ জিএসটি (gst) নেবে। স্বাভাবিকভাবেই এই ৫ শতাংশ জিএসটি সংস্থাগুলি ক্রেতাদের (customer) কাছ থেকেই আদায় করবে।

এতদিন খাবার সরবরাহকারী সংস্থাগুলির কাছ থেকে জিএসটি নেওয়া হত না। কিন্তু মোদী সরকার জানিয়ে দিয়েছে, অনলাইন ডেলিভারি সংস্থাগুলির মাধ্যমে পরিষেবা নিতে গেলে ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। আসলে সরকারের লক্ষ্য হল যেভাবেই হোক রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ানো। বর্তমানে শুধুমাত্র জিএসটি নথিভূক্ত রেস্তোরাঁগুলি ক্রেতাদের কাছ থেকে জিএসটি আদায় করে সরকারকে জমা করে। কিন্তু এবার সুইগি, জোমাটোর মত যে সমস্ত সংস্থা অনলাইন ফুড ডেলিভারির কাজ করে থাকে তাদেরও ৫ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই তারা এই জিএসটি আদায় করবে ক্রেতাদের কাছ থেকে।

তবে শুধু ফুড ডেলিভারি সংস্থাই নয়, উবের, ওলার মত সংস্থার কাছ থেকেও এবার ৫ শতাংশ হারে জিএসটি আদায় করবে মোদী সরকার। ১ জানুয়ারি থেকেই এই নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে। নতুন নিয়মে টু বা থ্রি হুইলার বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও ৫ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হবে গ্রাহকদের। ফলে ওলা, উবের বা টু হুইলার চাপতে গেলেও মানুষকে বেশি পয়সা গুনতে হবে।

একইসঙ্গে জিএসটি ফাঁকি দেওয়া বন্ধ করতেও আইন সংশোধন করা হয়েছে। চলতি বছরেই এই নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে। নতুন নিয়মে জিএসটি রিফান্ড দাবি করার ক্ষেত্রে আধার নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনওরকম আগাম নোটিস না দিয়েই জিএসটির আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারবে বলে জানা গিয়েছে।

]]>
Benefits Of Pineapple: অবাক করা আনারসের গুন https://ekolkata24.com/lifestyle/benefits-of-pineapple Tue, 14 Dec 2021 20:33:22 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14874 বলা হয় আনারস (pineapple)দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এসেছে এবং পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা ভাল হজমে সহায়তা করে এবং আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। এই ফল আপনার চুল, ত্বক এবং হাড়ের জন্যও খুব ভালো।এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এবং জিংক যা অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিস্ময়কর কাজ করতে পারে।

ঠান্ডা এবং কাশির চিকিৎসা করে :
যদি আপনি ঠান্ডায় ভুগছেন, তাহলে নিয়মিত আনারস খান। এই ফলের মধ্যে রয়েছে ব্রোমেলেন যা সংক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়ার ধ্বংস করতে পারে। এটি নিয়মিত খেলে আপনি সর্দি -কাশি থেকে রক্ষা পাবেন।

হাড় মজবুত করে :

আনারস ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ যা আপনার হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। তই দৈনন্দিন খাদ্যে এই ফল যোগ করুন। এটি আপনাকে একটি শক্তিশালী শরীর বজায় রাখতে এবং আপনার হাড়কে শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।ম্যাঙ্গানিজ ভাল হাড়ের শক্তি বজায় রাখে।

দাঁতের জন্য ভালো :
প্রাচীনকাল থেকে মাড়ি মজবুর রাখতে
আনারস খাওয়ার কথা বলা হয়। আপনার দাঁত এবং হাড় ক্যালসিয়াম দিয়ে তৈরি এবং আনারসে ভালো উপাদান রয়েছে ।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে :

আনারস ক্যান্সারকে দূরে রাখতে পারে । এই ফলের সবচেয়ে ভালো বিষয় হল এটি কোষের ক্ষতি কমায় । এই ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনাকে কর্কট রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।

চোখের জন্য ভাল :

নিয়মিত আনারস সেবনের ফলে ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমে যায় যা আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমায়। এই স্বাস্থ্যকর ফলের ভিটামিন সি এবং বেশ কয়েকটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উচ্চ উৎস রয়েছে যা ভাল দৃষ্টিতে সহায়তা করতে পারে।

বাতের ব্যথা কমায়:

আনারসে রয়েছে ব্রোমেলেন যা জয়েন্টের ব্যথা কমাবে এবং আপনাকে বাত থেকে রক্ষা করে ।

উচ্চ রক্তচাপ রোধ করে :

আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাহলে নিয়মিত আনারস খাওয়া শুরু করুন, কারণ এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম এবং কম পরিমাণ সোডিয়াম রয়েছে যা রক্তচাপ বজায় রাখতে পারে।

রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমায় :

ব্রোমেলাইন আনারসে প্রধান পদার্থ হওয়ায় আপনার রক্তজমাট বাঁধার ঝুঁকি কমায়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট :

আনারস পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা আপনার শরীরের যেসব রোগের প্রবণতা আছে তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে।আনারসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আপনাকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে।

 

]]>
Benefits Of Ragi: ক্যান্সার, ডায়াবেটিস থেকে ওয়েট লস এক ‘রাগি’তে সব বাজিমাত https://ekolkata24.com/lifestyle/benefits-of-ragi Tue, 14 Dec 2021 18:33:03 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14865 রাগী  (Benefits of Ragi) ওজন কমানোর জন্য আশ্চর্য শস্য হিসেবে পরিচিত। এটি ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ এবং এতে হাই ফাইবার রয়েছে। শুধু তাই নয়, এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারি। এছাড়া সহজপাচ্য এবং আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় শিশুর হাড়কে মজবুত করতে সহায়তা করে।

হাই প্রোটিন :
এলিউসিনিয়ান হল প্রধান প্রোটিন উপাদান যা রাগিতে পাওয়া যায় এবং এর প্রচুর জৈবিক মূল্য রয়েছে। এই প্রোটিন অপুষ্টি রোধে সাহায্য করে এবং নিরামিষাশীদের জন্য প্রোটিনের স্বাস্থ্যকর উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। রাগিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে । তাছাড়া রাগিকে অন্যান্য শস্যের মতো পালিশ করা যায় না কারণ এটি খুব ক্ষুদ্র এবং এটি আমাদের পক্ষে এটিকে বিশুদ্ধ আকারে খাওয়া সম্ভব করে তোলে।

প্রাকৃতিক ভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে :
রাগিতে রয়েছে ট্রিপটোফান নামক এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড যা আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ট্রিপটোফান আপনার খিদে কমায় । রাগিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা আপনার পেট ভরা রাখে । এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি আপনার শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং এটিকে ইনসুলিনে পরিণত করে। রাগি খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় সকাল।

রাগিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে :
রাগিতে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় তার কাছাকাছি কোন শস্য নেই। মানুষের হাড়ের বিকাশের জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয় এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে, যার অর্থ হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই ক্যালসিয়াম বড়ি খাওয়ার পরিবর্তে রাগি খাওয়ার সুপারিশ করা হয় ।১০০ গ্রাম রাগিতে ৩৪৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে যা আপনার হাড়ের জন্য খুব ভাল ।

ভাল হজম :

রাগিতে উপস্থিত খাদ্যতালিকাগত ফাইবারগুলি আপনার অন্ত্রকে খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে। রাগি আপনার শরীরে খাবারের গতিবিধি উন্নত করে, যেমন, এটি আপনার অন্ত্রের মধ্য দিয়ে খাদ্যের প্রবাহকে মসৃণ করে এবং বর্জ্য নিষ্কাশনের উদ্দেশ্যে আপনার শরীরে জল ধরে রাখে। রাগী একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্যশস্য এবং আপনাকে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে :
রাগী ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পরিচিত কারণ এতে ফাইবার এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি রোধ করে। লিগানান, রাগিতে পাওয়া এক ধরনের পুষ্টি আপনার অন্ত্রের দ্বারা স্তন্যপায়ী লিগনানে রূপান্তরিত হয় এবং এটি মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন রাগি খাওয়া আমাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।

 

 

 

 

]]>
Lifestyle: কলাপাতায় খাওয়ার হাজারও উপকারিতা জেনে নিন https://ekolkata24.com/lifestyle/lifestyle-the-benefits-of-eating-food-on-banana-leaves Sun, 12 Dec 2021 16:55:40 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10411 অনলাইন ডেস্ক: দক্ষিণ ভারতে কলা পাতায় পরিবেশিত খাবার খাওয়ার চল রয়েছে৷ কলা পাতায় পরিবেশন করা খাবার শুধু সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যকরও বটে। আজকাল অনেক রেস্তোরাঁও কলা পাতায় খাবার পরিবেশন করা শুরু করেছে। দক্ষিণ ভারতে কলা পাতায় খাবার পরিবেশন করা সাধারণ বিষয়৷ বিশেষ করে বিশেষ অনুষ্ঠান এবং শুভ অনুষ্ঠানে। কারণ কলা পাতায় খাবার খেলে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে,

১। আপনার খাবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ : কলার পাতায় পলিফেনল নামক উদ্ভিদ-ভিত্তিক যৌগ থাকে, যেমন EGCG (যা গ্রিন টি-তেও থাকে)। পলিফেনল হল প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট৷ যা ফ্রি র্যা ডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে৷ তাতে ক্যান্সারসহ অনেক রোগের কারণ হতে পারে। পাতায় পরিবেশিত খাবার পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শোষণ করে এবং আপনার উপকার করে। কলার পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। তাতে মোমের আবরণ পাতাকে দূষণ থেকে রক্ষা করে এবং এমনকি প্যাথোজেনকে মেরে ফেলতেও বিশ্বাস করা হয়।

২। কলার পাতা স্বাস্থ্যকর: কলা পাতা বিশেষ করে শুভ অনুষ্ঠানে খাবার পরিবেশনের জন্য ব্যবহার করা হয়৷ কারণ এগুলি অন্যান্য পাত্রের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকর। ভাড়া দেওয়া প্লাস্টিকের প্লেটগুলি ভালভাবে ধোয়া যাবে না এবং প্যাথোজেনগুলিকে আশ্রয় দিতে পারে। এগুলি ডিশ তরল দিয়েও ধুয়ে ফেলা হয়, যা প্লেটে থেকে যেতে পারে এবং খাবারকে দূষিত করতে পারে। অন্যদিকে, কলা পাতাগুলি তাজা এবং পরিষ্কার৷ কারণ এগুলি গাছ থেকে সোজা আনা হয় এবং শুধুমাত্র একবার ব্যবহার করা হয়। পরিষ্কার জল দিয়ে পাতা ধুয়ে ফেলুন এবং সেগুলি ব্যবহার করা ভাল।

৩। পরিবেশ সংরক্ষণ করতে সাহায্য করবে: বেশ কয়েকটি শুভ অনুষ্ঠানে লোকেরা স্টাইরোফোম প্লেটে (ডিসপোজেবল প্লেট) খাবার পরিবেশন করে৷ যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। কলা পাতা দিয়ে প্রতিস্থাপন করা একটি আদর্শ বিকল্প৷ কারণ কলা পাতা পরিবেশ বান্ধব। কাগজের প্লেটের তুলনায় কলা পাতা দ্রুত পচে যেতে পারে এবং সেগুলি ব্যবহার করলে আপনার সময়ও বাঁচবে। থালা-বাসন মাজাক ঝঞ্জাট করতে হবে না।

৪। কলা পাতা সহজেই পরিষ্কার করা যায়: কলা পাতায় জীবাণু ও ধুলোবালি দূর করার প্রাকৃতিক ক্ষমতা রয়েছে। অতএব, তাদের খুব বেশি পরিষ্কারের প্রয়োজন হয় না। আপনাকে যা করতে হবে তা হল, এগুলিকে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ আপনি ব্যবহার করার পরে এগুলি ফেলে দিতে পারেন।

কলা পাতা ব্যবহারের উপকারিতা –
১। কলা পাতা নিষ্পত্তি করা হলে দ্রুত পচে যায়, যা তাদের পরিবেশের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ করে তোলে।
কলা পাতা সহজলভ্য এবং প্রচুর পরিমাণে। পাওয়া যায়৷ আপনি যদি শহুরে এলাকায় বাস করেন, আপনি তাদের মুদি দোকানে খুঁজে পেতে পারেন এবং আপনাকে তাদের জন্য অনেক খরচ করতে হবে না। কলা পাতা লাভজনক।

২। কলার পাতায় একটি মোমের আবরণ থাকে৷ যা তাদের জলরোধী করে তোলে। মোমের আবরণ পাতাকে পরিষ্কার রাখে এবং খাবারে একটি স্বতন্ত্র স্বাদ দেয়।

৩। কলা পাতায় পরিবেশিত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর এবং পরিবেশের জন্য ভালো। পরের বার আপনি বেছে নেওয়ার সুযোগ পেলে কলা পাতা বেছে নিন।
৪। কলা পাতায় পরিবেশন করা সহজ, পাতাটি শুধুমাত্র অর্ধেক কেটে জলে একবার ধুয়ে ফেলতে হবে। পরে পাতা কম্পোস্ট তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

]]>
৮৪২ উপাদনে ভরপুর অবিশ্বাস্য সাত উপকার রক সল্টের https://ekolkata24.com/lifestyle/7-incredible-health-benefits-of-rock-salt Sat, 11 Dec 2021 18:00:47 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4218 অনলাইন ডেস্ক: লবণ (Salt) রান্নার একটি অপরিহার্য অংশ৷ আমরা লবন ছাড়া এক গ্রাস খাবারও কল্পনা করতে পারি না৷ যদিও সূক্ষা গুঁড়ো লবণ (টেবিল লবণ) ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়৷ লবণের বিশুদ্ধ রূপটি “শিলা লবণ” নামে পরিচিত।

রক সল্টে র বিভিন্ন স্থানীয় নাম রয়েছে৷ হিন্দিতে কালা নমক, গুজরাটি ভাষায় সিন্ধালুন ইত্যাদি নামে পরিচিত। এটি স্ফটিক এবং বেশিরভাগ সাদা রঙের৷ যদিও রঙ হালকা নীল, বেগুনি, লাল, কমলা বা ধূসর থেকে পরিবর্তিত হতে পারে। এতে ৮৪২টি অপরিহার্য উপাদান খুঁজে পাওয়া যায়৷ যা শরীরের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন সোডিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংকের ভারসাম্য রক্ষা করে৷

রক সল্টের স্বাস্থ্য উপকারিতা –
১। হজমে উন্নতি করে: এই লবণ হজমের সমস্যা দূর করে৷ তারমধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল, ফুসকুড়ি, পেটব্যাথা৷ এসব দূর করা একটি চমৎকার ঘরোয়া প্রতিকার এই লবন৷ এটি ক্ষুধা হ্রাসের উন্নতিতেও সহায়তা করে। শিলা লবণ শরীরে ইনসুলিনকে উদ্দীপিত করে। রক সল্ট ওজন কমাতেও সাহায্য করে ।

২। বিপাক বৃদ্ধি করে : রক লবণ আপনার শরীরের বিপাককে উদ্দীপিত করে শরীরের কার্যকারিতা উন্নত করতে। শিলা লবণ খনিজ এবং জল শোষণ সহজ করে। শিলা লবণ আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির উপর শীতল প্রভাব প্রদান করে।

৩। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : রক লবণ ভিটামিন ‘কে’ সমৃদ্ধ৷ যা আপনার হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি শরীরের হাড়ের বিপাককেও উন্নত করে৷ ফলে বেশ কয়েকটি রোগ এবং অসুস্থতা রোধ করে।

৪। পেশি খিঁচুনি থেকে মুক্তি দেয়: রক সল্টে রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইডের বিশুদ্ধ রূপ এবং পটাশিয়ামের মতো পুষ্টির ফর্ম। ইলেক্ট্রোলাইট পটাসিয়াম এবং লবণের ভারসাম্যহীনতা পেশি খিঁচুনির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কারণ হতে পারে। শিলা লবণ পটাসিয়ামের অভাবের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে এবং পেশির খিঁচুনি প্রতিরোধ করতে পারে।

৫। রক্তচাপ স্থিতিশীল করে: রক লবনে পটাশিয়াম বেশি থাকে৷ ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শিলা লবণ রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখে।

৬। স্বাস্থ্যকর চুল: শিলা লবণ চুল থেকে সমস্ত ময়লা দূর করতে সাহায্য করে এবং খুশকি এবং চুল পড়া রোধ করে।

৭। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়: স্যুপে অল্প পরিমাণ শিলা লবণ খাওয়া বা উষ্ণ জলে রক লবণ দিয়ে স্নান করলে মানসিক চাপ দূর করতে পারে৷ পাশাপাশি আপনার মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে। এটি আপনাকে একটি শান্ত প্রভাব দেয় এবং আপনার শরীর এবং মনকে শিথিল করে।

]]>
সাবধান ! খাবারের ককটেল করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন না তো https://ekolkata24.com/lifestyle/do-not-eat-these-food-together Mon, 06 Dec 2021 20:41:02 +0000 https://ekolkata24x7.com/?p=275 একসঙ্গে অনেক ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। তবে পাকস্থলীর বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। কিছু কিছু খাবার আছে যা একসঙ্গে খেতে ভালো লাগলেও, তা মোটেও শরীরের পক্ষে সুখকর নয়। এতে ঘটতে পারে চরম বিপত্তি। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
জেনে নিন কোন খাবারগুলো কখনওই একসঙ্গে খাবেন না

কলা আর দুধ-
একসাথে দুধ আর কলা খুবই সুস্বাদু। তবে এই খাবার দুটি একসাথে খেলে শরীরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। কলা অ্যাসিড তৈরি করে। দুধ কলার সংস্পর্শে এলে ছানা হয়ে যায়। এটি পেটে মারাত্মক গ্যাস সৃষ্টি করে। সহজে হজম হয় না। যা শরীরের ক্ষতি করে। তাই কলা আর দুধ কখনোই একসঙ্গে নয়।

চিজ আর মাংস-
সাধারণত পাস্তা কিংবা পিজাতে আমরা এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেয়ে থাকি। তরুণদের কাছে এই খাবার দুটি খুবই জনপ্রিয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে চিজ এবং মাংস কখনোই একসাথে খওয়া ঠিক নয়। এই দুটি খাবারই প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই একসাথে এই দুটি খাবার খেলে শরীরে ব্যাপক ভাবে প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যায়। তার সঙ্গে লিভারের প্রোটিনের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

ডিম আর লেবু-
অনেকেই আছেন যারা এগ স্যালাড খেতে পছন্দ করেন। তার মধ্যে স্যালাডের ওপর যদি একটু লেবু দিয়ে দাওয়া যায় তালে তো কথাই নেই। খেতে ভালো লাগলেও এটি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। ডিম আর লেবু ভুল করেও একসঙ্গে খাবেন না। এতে রক্তজালিকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যা হার্ট অ্যাটার্কের সম্ভাবনা বাড়ায়।

পিজা আর কোল্ড ড্রিংক-
পিজার সাথে কোল্ড ড্রিংক হলে ব্যাপারটা জমে যায়। অনেকেই এই দুটি খাবার একসাথে খেতে পছন্দ করেন। তবে আদতে এই দুটি খাবার একসঙ্গে খওয়া একেবারেই ঠিক নয়। পিজায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তার সাথে সোডা জাতীয় পানীয় খেলে মুশকিলে পড়তে পারেন। কেন না সোডায় প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকে। যার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়।

দুধ আর ডিম-
শরীর ফিট রাখতে অনেকেই দুধ আর ডিম সেদ্ধ খাবার পরামর্শ দেন। তবে এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে এর ফল হবে উল্টো। প্রোটিন সমৃদ্ধ পানীয়ের মধ্যে দুধের জুরি মেলা ভার। অন্যদিকে ডিমেও প্রচুর প্রোটিন থাকে। যার ফলে শরীরে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই দুধ এবং ডিম একসঙ্গে খেতে বারণ করা হয়।

খাবার খেতে খেতে জল খাওয়া-
আমরা প্রায় সকলেই খাবার খেতে খেতে জল কিনবা জুস খেয়ে থাকি। যা একেবারেই ঠিক নয়। খাবারের সাথে জল খেলে পেট ফুলে যায় এবং গ্যাস সৃষ্টি হয়। তাই চিকিৎসকদের মতে সব সময় খাবার খাওয়ার ১০ মিনিট আগে কিংবা খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট পরে জল খওয়া উচিৎ।

]]>
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেই ফ্রি মুখরোচক খাবার https://ekolkata24.com/lifestyle/free-yummy-food-if-you-share-it-on-social-media Mon, 15 Nov 2021 16:43:15 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11420 বিশেষ প্রতিবেদন: পোস্ট দেখালে কেউ কোনও দিন ফ্রি (Free) দেয়, জীবনে শুনেছেন ? শোনেননি তো ? এবারে শুনে নিন। সবার আগের কথা, দ্য ফুডিজ রিট্রিট-এর এই পোস্ট শেয়ার করে দেখাতে যদি পারেন, তাহলেই পেয়ে যাবেন ফ্রি-এর খাবার। পাবেন ফ্রি কফি, ফ্রি চা (Tea), কিম্বা ফ্রি মকটেল আপনার পছন্দ মাফিক।

kolkata food

না মশাই আমি পাগল নই, ভালো করে আগে শুনুন কথাটা। তার সঙ্গে অবশ্যই কিছু তো অর্ডার করবেন, নাহলে ফ্রি-টা আশা করাটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। কিন্তু কোথায় ??? মধ্যমগ্রাম চৌমাথা মোড় থেকে ঠিক ২ মিনিটের হাঁটা.. সোদপুর এর রাস্তার দিকে ঢোকার মুখটাতেই একটি অপেন এয়ার ক্যাফে। নাম : হ্যাংআউট ক্যাফে,যোগাযোগের নম্বর – ৯৬৭৪৭০৯১৯২

kolkata food

ভাববেন না ফ্রী দিচ্ছে বলে, খাবার খারাপ তাই। খাবার এক কথায় অসাধারণ , পরিমাণ আর কোয়ালিটি দুটোই যথেষ্ট বেশি, বসার জায়গা রয়েছে টেবিল পাতা, ছাতা দেওয়া ঢাকা। কিন্তু ভিড়ের কারণে বসতে নাও পেতে পারতে পারেন, অভিযোগ করবেন না। দাম , দু’জনের জন্য ২৫০/- টাকা যথেষ্ট পেট ভরে খাওয়ার জন্য।

<

p style=”text-align: justify;”>পকেট বাঁচা,ভালো খাবার, আর ছোট আড্ডার জায়গা তিনটে একসঙ্গে চিন্তা করলে এই দিকে এটাই সেরা ঠিকানা। খাবারের তালিকাটা দেখে নিন।
১ – চা
২ – লেমন টি
৩ – গ্রিন টি
৪ – কফি ( ব্ল্যাক কফি )
৫ – ভেজ বার্গার / ভেজ চিস বার্গার
৬ – চিকেন স্নাকার বার্গার /( চিস বার্স্ট) / ( জাম্বো বার্গার )
৭ – ক্রিসপি চিকেন লোক, ক্রিসপি চিকেন চেস্ট
৮ – কোরিয়ান হট স্ট্রিপ
৯ – ক্রিস্পি চিকেন স্ট্রিপ
১০ – চিস বার্স্ট চিকেন স্যান্ডউইচ
১১ – ক্রিস্পি হট চিকেন উইংস
১২ – গ্রিলড চিকেন স্যান্ডউইচ
১৩ – ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ( মিডিয়াম/ লার্জ)
১৪ – চিকেন পপকর্ন ( মিডিয়াম/ লার্জ)
১৬ – ম্যাঙ্গো স্মুদি
১৭ – স্ট্রবেরি ক্রাশার

]]>
পছন্দের খাবারেই দূর করুন মানসিক অবসাদ https://ekolkata24.com/lifestyle/best-foods-to-cure-depression-and-anxiety Sat, 13 Nov 2021 02:30:39 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=2811 অবসাদ ধীরে ধীরে আমাদের মন থেকে শরীরে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। মনের অসুখের দ্রুত চিকিৎসা না করালে ছুটতে হয় শরীর নিয়েও। ফলে মানসিক অস্থিরতায় ভুগলে পরামর্শ নিতে হবে মনরোগ বিশেষজ্ঞের। অবশ্য মন খারাপ কাটানোর জন্য আছে বিশেষ কিছু খাবারপ। জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে বলা হয়েছে, ‘কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো আসলেই মন ভালো করে দেয়। এই খাবারগুলো মস্তিষ্কে এক ধরনের রাসায়নিক নিঃসরণে সাহায্য করে যাতে আনন্দ হওয়ার বোধ তৈরি হয়।’

আরও পড়ুন মানসিক অবসাদ কাটাতে অবাধ সহবাসের দাওয়াই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

বড় মাছ: রুই-কাতলা, স্যামন বা টুনার মতো বড় মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড ডিপ্রেশন এবং মুড সুইঙ্গের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। মস্তিষ্কে বিকাশের ক্ষেত্রেও এই ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ডার্ক চকোলেট: মন খারাপ হলেই এক টুকরো ডার্ক চকোলট খেয়ে নিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডার্ক চকোলেটের উপাদানগুলি মন ভাল করতে খুবই কার্যকরী। এই উপাদানগুলির মধ্যে ফিল-গুড রাসায়নিক এনডরফিন ও সেরোটোনিন রয়েছে। এগুলি আমাদের মস্তিষ্কে ফিল-গুড ফ্যাক্টর বজায় রাখে। এর ফলে মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

টম্যাটো: টম্যাটোর মধ্যে রয়েছে লাইকোপেন।এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে। মন খারাপ থাকলে টমেটোর সালাদ খেতে পারেন। মন কিছুটা হলেও চাঙ্গা লাগবে।

পাকা কলা: পাকা কলায় ভিটামিন বি রয়েছে যা ডোপামাইন ও সেরোটোনিন মতো রাসায়নিকগুলো আমাদের শরীরে নিঃসৃত করে। তাই পাকা কলা খেলেই নিমেষেই মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে। শরীরে শক্তির সঞ্চার হয় এবং নিজেকে তরতাজা মনে হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা ও মুড ঠিক রাখতে পাকা কলা খুবই উপকারী। কলার মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ অ্যামাইনো এসিড ও ট্রিপটোফেন। এসব উপাদান মনকে শিথিল করতে সাহায্য করে এবং এতে ঘুম ভালো হয়।

Foods to Help Fight Depression | Public Health First | Top Health OPD Care  of India

আরও পড়ুন মাত্রাতিরিক্ত ঘুম হয়ে উঠছে সাইলেন্ট কিলার, বলছে গবেষণা

সূর্যমুখির বীজ: এই বীজ মনকে ভালো করতে কাজে দেবে। এটি এমাইনো এসিডের একটি ভালো উৎস। এটি মস্তিষ্কে সুখী রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করতে কাজ করে এবং বিষণ্ণতার দূর করে।

বাদাম: মনের শান্তি তো বটেই, সুস্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ উপকারী বাদাম। কাঠবাদাম ও আমন্ড তো বটেই, এ ছাডা় হেজেলনাট বা চিনেবাদামও মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ডিপ্রেশনের সম্ভাবনা কমাতে খুবই কাজ দেয় বিভিন্ন বাদাম।

<

p style=”text-align: justify;”>ওটস: সকালের খাবারে ওটস থাকলে মন থেকে শরীর ভাল থাকে সবকিছুই। মুড বুস্টার্স হিসেবে ওটস বেশ কার্যকরী। সারাদিনের মতো শরীর চাঙ্গা রাখে। এ ছাড়া রাতের খাবারে ওটস খেলে ভাল ঘুমও হয়। অনেক সময় কম ঘুম বা ঘুমের ব্যঘাত ঘটলেও তার প্রভাব পড়ে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর।

]]>
শুনলে অবাক হয়ে যাবেন এই খাবারগুলির বাঙালির পাতে আসার কাহিনী https://ekolkata24.com/offbeat-news/bengalis-food-history Wed, 03 Nov 2021 08:37:57 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10133 Special Correspondent, Kolkata: বাঙ্গালিদের থালায় খাবার গুলো এলো কোথা থেকে? মেনে নিতে কষ্ট হলেও এটা সত্ত্যি যে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যে খাবার আমরা খাই তার এক বৃহৎ অংশ এসেছে বিদেশ থেকে। বিশেষ করে সব্জী ও ফল ।

এরা আমাদের এত পরিচিত ও বাঙ্গালিয়ানায় ভরপুর যে এদের নাম শুনলে অধিকাংশ বাঙ্গালি বা ভারতীয় বিশ্বাস করবে না বা গাজাখুরি তথ্য বলে ভাববে । এই মুহূর্তে আমাদের খাবারের থালায় থাকা খাদ্যের প্রায় ৬০-৭৫ শতাংশ খাদ্যবস্তু এসেছে ভারতের বাইরে থেকে, আর এনেছেন এদেশে বানিজ্য করতে আসা বনিকেরা।

প্রথমেই নাম করি যে বস্তুটির সেটা হলো আলু। প্রায় ৮০০০ -১০০০০ বছর আগে দক্ষিন আমেরিকার পেরুর রেড ইন্ডিয়ানরা আলুর চাষ শুরু করেছিল আন্দিজ পর্বতমালার ঢালে ও পাদদেশে । পনেরশ শতকে স্পানিশরা দক্ষিন ও মধ্য আমেরিকা থেকে আলু নিয়ে আসে ইয়োরোপে । ভারতে আলু প্রবেশ করে ১৭ শতকে পর্তুগীজ বনিক বা জলদস্যুদের মাধমে যারা এর সাথে পরিচিত হয়েছিল পাশের দেশ স্পেন থেকে । এই মুহূর্তে আলু পৃথিবীর চতুর্থ প্রধান খাদ্য – ভাত, গম, ভুট্টার পরে। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৫০০০ বিভিন্ন প্রজাতির আলু চাষ হয় এবং মানব প্রজাতির (বাঙ্গালিদের ত বটেই ) দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এর গুরুত্ব কি তা বলা নিষ্প্রয়োজন । আলু শুধু সুস্বাদুই নয় ,অন্যতম পুষ্টিকর ও ক্যালরি সমৃদ্ধ এক খাদ্যবস্তু। ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসকরা অনেকেই আলু আর ভাত নিষেধ করেন এবং রুটি খেতে বলেন। কিন্তু ১০০ গ্রাম আলু ও গমে ক্যালরির পরিমান যথাক্রমে ১৫৭৪ ও ১৫৩৩ কিলো কালরি এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমান ৮১ ও ৮২ গ্রাম । অর্থাৎ যিনি রুটি খান তিনি রুটির বদলে সম পরিমান আলু খেলে তার খাদ্যে সমান পরিমান কালরি ও কার্বোহাইড্রেট থাকার সম্ভবনা ( এই প্রসঙ্গে একটি কথা জরুরী – আলুর গ্লাইসেমিক্স ইন্ডেক্স গমের চেয়ে বেশি , এটা রক্তে সুগার বাড়াতে পারে)।

বিজ্ঞানীদের মত অনুযায়ী আন্টি অক্সিডেন্ট ( লাইকোপেন ) ও ভিটামিন সমৃদ্ধ সব্জীর মধ্যে অন্যতম হলো টমেটো । এই অতি পরিচিত সব্জীটি প্রথম চাষ শুরু করেছিলো দক্ষিন আমেরিকার আন্দিজ পর্বত মালার পেরু ও ইকুয়েডরের আদি রেড ইন্ডিয়ানরা ও মধ্য আমেরিকার মেক্সিকো অঞ্চলের আজটেক সভ্যতার রেড ইন্ডিয়ান্ জাতির মানুষেরা। আজটেকদের এক প্রচলিত ভাষা ‘নাহুটি’ তে tomati , স্পানিশে পরিবর্তিত হয়ে হয় tomate , সেখান থেকে ইংরেজি ভাষায় এলো tomato । বলা বাহুল্য পর্তুগীজ বনিকদের হাত ধরেই এই পরিচিত ফল বা সব্জীটি আমাদের দেশে আসে। ১৬ শ শতাব্দীতে বম্বে বন্দরের আশেপাশে প্রথম টমাটোর চাষ শুরু হয়। আর টমাটো সস আমেরিকান দের আবিস্কার ।

পেঁপে , হ্যা ঘোর বাঙালি ও ভারতীয় ফল পেঁপে আমাদের দেশের ফলই নয়। উদ্ভিদবিদ ও কৃষিবিজ্ঞানীদের মতে এরও আদি উৎপত্তি বা চাষ শুরু করেছিলো মধ্য আমেরিকার মেক্সিকোতে রেড ইন্ডিয়ান জাতির মানুষেরা । সেখান থেকে স্পানিশ দের হাত ঘুরে ব্রিটিশ ও ডাচ ঔপনিবেশিকদের দ্বারা এই ফল পৌঁছায় কারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ ও মালয়েশিয়ায়। এরাই ১৫৫০ নাগাদ এই সুস্বাদু ফলকে নিয়ে আসে ভারতবর্ষে । ভারত থেকেই পেঁপে চীনে গিয়েছিল এবং ভারতেই বর্তমানে পেঁপের সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। প্রাচীন মেক্সিকোর রেড ইন্ডিয়ানরা জেনে ছিলো কাচা বা পাকা পেঁপে দিয়ে মাংস মারিনেট করে রাখলে বা সেদ্ধ করলে মাংস খুব তাড়াতাড়ি সুসিদ্ধ হয়। কয়েক হাজার বছর পর আমাদের রান্নার কড়াইয়ে আজও আমরা একই পদ্ধতি ব্যবহার করি। পেঁপে ভিটামিন সি, এ ও আন্টিওক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এক পরিচিত সুস্বাদু ফল , গ্রাম বাংলার প্রায় সব বাড়িতে দেখা যায় এই গাছ।

পিয়ারা মতো অতি পরিচিত ফলের উৎস সন্ধান করলেও বিস্ময়ের সীমা থাকে না। এই ফলটি ও এসেছে আমেরিকা ভুখন্ড থেকে। এর আদিম বাসভুমি মেক্সিকো, মধ্য ও দক্ষিন আমেরিকার উত্তর অঞ্চল । পেরুতে ৪৫০০ বছর আগে পিয়ারার ফলন শুরু হয়েছিলো । ১৮শ শতকে পিয়ারার চাষ শুরু হয় উত্তর আমেরিকায়। ভারতে এই ফলটি নিয়ে আসে পর্তুগীজরা ১৭ শ শতকে ।

আমাদের খুব জনপ্রিয় ফল কলা। না, এটাও ভারতের নয়। কলার আদিমতম উৎস স্থল অস্ট্রেলেশিয়া মহাদেশের পাপুয়ানিউগিনি। নিউগিনির কুক সোয়াম্প অঞ্চলে যে ফাইটোলিথ পাওয়া গেছে তার থেকে জানা যায় প্রায় ৮০০০- ১০০০০ বছর আগে পাপুয়ানিউগিনিতে কলা ফলতো। এখান থেকে ফলটি আসে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায়, মালয় উপদ্বীপে এবং মালয় উপসাগরের ও ভারত মহাসাগরের বানিজ্য পথ ধরে অস্ট্রোনেসিয়ান বনিকদের মাধ্যমে কলার প্রসার ঘটে দক্ষিন এশিয়া, ভারত উপমহাদেশ, আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া ও এশিয়ার অনান্য অংশে। পাকিস্তানের কোট দিজিতে খনন করে যে ফাইটোলিথ পাওয়া গেছে তা সিন্ধু সভ্যতায় প্রায় ৫৩০০ বছর আগে কলার উপস্থিতি প্রমান করে। ২০১৭ সালের পরিসংখ্যান বলছে বিশ্বে কলার সরবাধিক উৎপাদনকারী দুটি দেশ হলো ভারত ও চীন (৪০%)।

ঝিঙে ( Sponge gourd ) সব্জীটির আদি উৎপত্তি দক্ষিন ও মধ্য আমেরিকায় । স্পানিশরা এটাকে নিয়ে যায় আফ্রিকায় । মিশর থেকে ঝিঙ্গে ইয়োরোপে প্রবেশ করে ১৬ শতাব্দীতে এবং খুব সম্ভবত পর্তুগীজ বা ইংরেজ বনিকেরা এটাকে নিয়ে আসে ভারতে।

বাঁধাকপি ( cabbage) আমাদের দেশের সব্জী নয়। প্রায় তিন হাজার বছর আগে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে ও উত্তর পশ্চিম ইয়োরোপে এক ধরনের বন্য বাধাকপির চাষ শুরু হয়। ইয়োরোপ থেকে এই সব্জী আসে আমেরিকা ও এশিয়া মহাদেশে মুলত বনিক ও ঔপনিবেশিকদের হাত ধরে। ১৫ শ থেকে ১৭ শ শতাব্দীর মধ্যে এই উপনিবেশিকরাই ভারতবর্ষে বাঁধাকপির আবির্ভাব ঘটায় । ১৮শ শতকে বাঁধাকপি ভারত থেকে যায় জাপানে এদের হাত ধরেই।

বাঁধাকপির মতো ব্রাসিকা গ্রুপের আর একটি অতি সুস্বাদু ও বহুল পরিচিত সব্জী ফুলকপি ( cauliflower )। ফুলকপির চাষ ও ভক্ষন প্রথম শুরু করে ভূমধ্যসাগরের এক ছোট্ট দ্বীপ সাইপ্রাসের লোকেরা। ঐতিহাসিক প্লিনির লেখায় এর উল্লেখ আছে – গ্রীকরা এই সব্জী খাদ্য হিসাবে খুব পছন্দ করতো । ১২শ -১৩ শ শতকের আরব উদ্ভিদবিদ ইবন আল আজম ও ইবন আল বাতরের লেখায় পাওয়া তথ্য অনুসারে মধ্যযুগে সাইপ্রাস থেকেই এই আনাজ আরবে প্রচলিত হয়। কিন্তু অবাক করা তথ্য হলো তারপর আরব বনিকরা ও আরব আক্রমনকারীরা কিন্তু একে নিয়ে আসে নি ভারতের রান্নাঘরে। ভারতের মাটিতে ফুলকপির চাষ শুরু হয়েছে নাকি মাত্র ১৫০ বছর আগে। ডাঃ জেমসন ১৮২২ সালে ইংল্যান্ড থেকে ফুলকপি নিয়ে আসেন ভারতের উত্তর প্রদেশে, এবং সাহারানপুরে নাকি প্রথম ভারতীয় ফুলকপির ফলন শুরু হয়।

বর্তমান ইরান ও আফগানিস্তানে প্রথম গাজরের ( carrot) চাষ শুরু হয়েছিল আজ থেকে অন্তত ছয় হাজার বছর আগে। প্রত্নতাত্বিক খননের ফলে সুইজারল্যান্ড ও জার্মানির বেশ কিছু জায়গায় ৪০০০-৫০০০ বছরের পুরানো গাজরের বীজ পাওয়া গেছে। ১ম শতকে রোমানদের লিপিবদ্ধ করা বিবরনে গাজরের উল্লেখ আছে। ৮ ম শতাব্দীতে আরব মুরদের দ্বারা গাজরের প্রবেশ ঘটে আইবেরিয়ান পেনিন্সুলায় – স্পেনে। প্রাচীন গাজরের রঙ ছিল বেগুনী । এখন যে গাজর আমরা খাই এই কমলা বর্ণের গাজরের চাষ শুরু হয়েছিল আফগানিস্তানেই দশম –একাদশ শতাব্দী নাগাদ।, ভারত ও এশিয়ার অনেক স্থানে দশম শতক নাগাদ যে গাজর ফলত তার রঙ ছিলো বেগুনী । ১১ শ -১২ শতকে ইস্রায়েল ও গাজা পালেস্টাইন অঞ্চলে লাল ও কমলা দুই প্রকারের গাজরের কথা পাওয়া যায় । আরব-আন্দালুস অঞ্চলের ইবন আল আজম ও ইবন আল বাতরের লেখায় একই কথা পাওয়া যায়। ১২ শ শতাব্দী নাগাদ চীনের নদী অববাহিকায় ও ১৬শ -১৭শ শতাব্দীর সময়ে জাপানের কৃষিক্ষেত্রে গাজর ফলতে শুরু করেছিল।

আনারস ( pine apple ) আমাদের দেশের ফল নয়। যতদূর জানা যায় ব্রাজিল ও পারাগুয়ের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া পারানা-পারাগুয়ে নদী অববাহিকায় প্রথম আনারসের চাষ শুরু করেছিলো সেখানকার রেড ইন্ডিয়ান জনজাতির মানুষরা । এখান থেকে এই ফল ছড়িয়ে পড়ে সারা দক্ষিন ও মধ্য আমেরিকায়। খ্রিস্টপূর্ব ১২০০-৮০০ অব্দের মধ্যে পেরুতে এবং খ্রিস্টপূর্ব ২০০সাল নাগাদ মেক্সিকোতে এর ফলন শুরু করেছিলো ইনকা ও আজটেক রেড ইন্ডিয়ান সভ্যতার মানুষরা। সভ্য জগতের বা ইয়োরোপের মানুষদের মধ্যে কলম্বাসই প্রথম আনারসের সাথে পরিচিত হন ১৪৯৩এর ৪র্থ নভেম্বর যখন তিনি গুয়াদেলোপ দ্বীপে পৌছন । ১৫৫০ সাল নাগাদ পর্তুগীজ বনিকেরা আমাদের দেশে নিয়ে আসে আনারস। এবং ভারতের পশ্চিম উপকুল অঞ্চলে এর আবাদ শুরু হয়। স্পানিশরা একে বলত pina , পর্তুগীজ ভাষায় abacaxi , ডাচ ও ফরাসিরা ডাকত anas নামে। এই শব্দ গুলোই বিবর্তিত হয়ে আনারস বা pine-apple হয়েছে।

আলুর কথা আগেই বলেছি । এবার রাংগালুর কথা শুনুন। অধিকাংশ বিজ্ঞানীর মতে প্রায় ৫০০০ বছর আগে মধ্য ও দক্ষিন আমেরিকার নিরক্ষীয় অঞ্চলে রাঙ্গালুর চাষ শুরু হয়েছিলো । প্রায় একই সময়ে ইউকাটান উপদ্বীপ ও মেক্সিকোর অনান্য স্থানে রাঙ্গালুর উপস্থিতির প্রমান পাওয়া যায় । এখান থেকেই এই মিষ্টি আলু পৌঁছয় উত্তর ও দক্ষিন আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে , কারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ও ইউরোপে । কলম্বাস ইউওরোপীয়দের সাথে নব আবিষ্কৃত ভুভাগ থেকে আনা যে সমস্ত নুতুন বস্তুর পরিচয় করিয়েছিলেন তার মধ্যে ছিলো এই খাদ্যটিও । যদিও আধুনিক গবেষনা বলছে রাঙ্গালুর আদিমতম উৎস ভারতীয় উপমহাদেশ । আড়াই কোটি বছর আগেই গন্ডোয়ানা ভুভাগে মর্নিং গ্লোরি নামক উদ্ভিদ প্রজাতির উদ্ভব হয়। এই মনিং গ্লোরি পরিবারের মধ্যে পড়ে রাঙ্গালু । উত্তরপূর্ব ভারতের মেঘালয়ে ২৫ মিলিয়ন বছরের পুরানো মনিং গ্লোরির ফসিল আবিষ্কৃত হয়েছে।

আপেলের আদি জন্মভুমি মধ্য এশিয়া । তিয়ান সান পর্বতমালায় ৪০০০- ১০০০০ বছর আগে এর চাষ আরম্ভ হয় । তারপর রেশম পথ বেয়ে এই উত্তম উপাদেয় ফল পৌঁছয় পশ্চিম এশিয়ায়, ইয়োরোপে ও আমেরিকায়। স্যামুয়েল ইভান স্টোকস নামে এক আমেরিকান ১৯১৬ সালে হিমাচল প্রদেশের থানেদার নামক এক পাহাড়ি গ্রামে প্রথম ভারতের আপেল গাছটি রোপন করেন। আমেরিকার লুসিয়ানা থেকে রেড ডিলিসিয়াস ও গোল্ডেন ডিলিসিয়াস জাতের আপেল চারা নিয়ে এসে তিনিই প্রথম ভারতীয়দের আপেলের সাথে পরিচয় করান। ১৯২৬ সালে এই বাগানেই ফলে প্রথম ভারতীয় আপেল । ভারতপ্রেমী এই সাহেবের সম্বন্ধে আর একটি তথ্য হলো ইনি ভারতে এসেছিলেন কুষ্ঠ রোগীদের সেবায় জীবন অতিবাহিত করবেন বলে। স্টোকস হিন্দু ধর্ম গ্রহন করে সত্যানন্দ স্টোকস নাম নেন ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়ে জেল খাটেন।

বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান খাদ্য শষ্য গম । খৃস্টপূর্ব ৯৬০০ এর কাছাকাছি সিরিয়ায় ও দক্ষিণপূর্ব তুরস্কে প্রথম গমের চাষ আরম্ভ হয়। ৬৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই খাদ্য শষ্যের চাষ শুরু হয় গ্রীস , সাইপ্রাস ও ভারতীয় উপমহাদেশে ।
বিশ্বের তৃতীয় প্রধান খাদ্য শষ্য ভুট্টার প্রথম চাষ করেছিল মেক্সিকোর রেড ইন্ডিয়ানরা ৮০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বালসাস নদী উপত্যকায় । এই শষ্য ৬০০০- ৫০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের আশে পাশে পৌঁছায় কলম্বিয়ায় । ৬৭০০ আগে পেরু ও ৪৫০০ বছর আগে আমেরিকার প্রায় সমস্ত অঞ্চলে ভুট্টার ফলন শুরু হয়েছিল। এখন ভুট্টা আমেরিকার দ্বিতীয় প্রধান খাদ্য শষ্য, গমের পরেই। ভারতে ভুট্টা নিয়ে আসে পর্তুগীজরা ১৭ শতক নাগাদ।

আজকে দুনিয়ার প্রায় সমস্ত রান্না ঘরে প্রস্তুত হওয়া খাবারে লঙ্কা এক অন্যতম উপাদান। সমগ্র এশিয়া, দক্ষিন ও মধ্য আমেরিকা , আফ্রিকা, দক্ষিন ইওরোপের মানুষ খাবারে ঝাল পছন্দ করে। খাদ্যে ঝাল আমাদের স্বাদ কোরককে উজ্জিবীত করে ও লালাগন্থি থেকে লালা নিঃসরন ঘটিয়ে খাদ্যকে স্বাদযুক্ত ও রুচিকর করে তোলে। ভারতে লঙ্কা আসার আগে রান্না করা খাদ্যে ঝাল স্বাদ আনার জন্য ব্যবহৃত হতো গোলমরিচ । গোলমরিচ প্রচুর উৎপাদিত হতো কেরালায় । প্রায় ৭৫০০ বছর ধরে লঙ্কার ব্যবহার হয়ে আসছে বলে জানা গেছে। মধ্য ও দক্ষিন আমেরিকার মানুষরা এর ব্যবহার শুরু করেছিল ৭৫০০ বছর আগেই। দক্ষিন আমেরিকার পেরু, বলিভিয়ায় বিভিন্ন প্রজাতির লঙ্কার উৎপাদন হতো সেই প্রাচীন কাল থেকেই। কলম্বাসই প্রথম এই বস্তুটিকে নিয়ে আসেন ইউরোপে । স্পেন , পর্তুগাল , দক্ষিন ইউরোপ ঘুরে এই লঙ্কা ভারতে ও এশিয়ার অনান্য স্থানে প্রবেশ করেছিলো ইউরোপীয় বনিকদের মাধমে। পনেরো শতকে ভারতে লঙ্কা নিয়ে আসেন পর্তুগীজ বনিকরা।

আর এক উপকারী মশলা মেথির সাথে ভারতের পরিচয় হয়েছিল বানিজ্যের সুত্রে। সুপ্রাচীন কাল থেকে মধ্য প্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়া ও সুমেরীয়ায় মেথির ব্যবহার হতো। ইরাকের তেল হালাল নামক স্থানে খনন করে ৬০০০ বছরের পুরানো পোড়া মেথি পাওয়া গেছে।

ধনে /ধনেপাতা আর এক অত্যন্ত উপকারি রান্নার উপাদান। ধনে পাতায় আছে প্রভুত পরিমানে ভিটামিন কে , আন্টিওক্সিডেন্ট ও খনিজ পদার্থ । এর আসল উৎপত্তি নিয়ে বিতর্ক আছে। ধনের সব চেয়ে প্রাচীন প্রত্নতাত্বিক নমুনা পাওয়া গেছে ইস্রায়েলের নাহাল হেমার গুহায়, যা ৬০০০-৮০০০ বছরের পুরানো বলে প্রত্নতাত্বিকদের ধারনা। মিশরে তুতেনখামেনের সমাধিতে ধনের অস্তিত্ব প্রমান করে অতি প্রাচীন কালে উত্তর আফ্রিকায় ধনের চাষ ও ব্যবহার হতো । ইবেরাস পাপিরাসে পাওয়া ধনে পাতার উল্লেখও প্রমান করে আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে মিশরে এর ব্যবহার হতো । প্রধানত পশ্চিম এশিয়া আফ্রিকা ও দক্ষিন ইয়োরোপে এর চাষ শুরু হয়েছিলো এবং অই অঞ্চলের সাথে ভারতের সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বানিজ্যের সম্পর্ক থাকায় প্রাচীন যুগেই এই মশালা আমাদের দেশে আসে।

এই প্রসঙ্গে বলি , আমাদের অতি পরিচিত আরও কয়েকটি সব্জী যেমন বেগুন, কচু, লাউ, কুমড়ো , শুক্তোর উপাদান নিম, করলা, উচ্ছে , নানা জাতের সীম ,বিন এবং ফলের মধ্যে আম – এদের আদি উৎপত্তি স্থল বা বাসভুমি এশিয়া , আফ্রিকা , ভারতীয় উপমহাদেশ । সে অর্থে এরা প্রকৃত ভারতীয় বা বাঙ্গালী খাবার।

এই তালিকা দীর্ঘ ও অজস্র ঐতিহাসিক সুত্রের উপস্থিতি এই নিবন্ধকে দীর্ঘতর করবে। ওপরের তথ্যগুলো থেকে এইটুকু ধারনা করা গেলো যে অধিকাংশ বাঙ্গালী ও ভারতীয় খাদ্যের উপকরন বিদেশ থেকে এসেছে ।

অনেক ফল ও সব্জী , আনাজ সারা মানব জাতিকে চিনিয়েছে মধ্য, দক্ষিন ও উত্তর আমেরিকার অর্ধসভ্য রেড ইন্ডিয়ান গোষ্ঠীর মানুষেরা। যাদের ইউওরোপের শ্বেতাঙ্গরা বলতো অর্ধ সভ্য , অসভ্য , বন্য । এবং যাদের সম্পদ , বাসস্থান , চারন ভুমি , অরন্য, দেশ, প্রান সভ্য ইয়োরোপিয়ানরা কেড়ে নিয়ে এদের অস্তিত্বকে করে তুলেছিলো বিপন্ন , তারাই সমগ্র বিশ্বের মানুষের জন্য রেখে গেছে খাদ্যের সম্ভার। আজকের সভ্য দুনিয়ায় আমাদের খাবারের টেবিলে, ফ্রীজে, বাজার ,রেস্ট্রুরেন্টে বা মলে যে বিপুল বৈচিত্র্যময় খাদ্য সাজানো থাকে তাদের মুল উপাদান এই বুনো লোক গুলোই প্রথম আবিস্কার করেছিল কয়েক সহস্র বছর আগে বিপদসংকুল অরন্য, পাহাড়, তৃণভূমিতে খুঁজে খুঁজে ।

আর একটি কথা না বললেই নয়। সারা পৃথিবীকে এত অজস্র খাদ্যের সাথে পরিচয় করিয়েছে প্রাচীন ও মধ্যযুগের বনিক, জলদস্যু , অভিযাত্রী , আক্রমণকারীরা। আমাদের দেশে অধিকাংশ ফল ও সব্জী এনেছেন পর্তুগীজ বনিকরা। ঔপনিবেশিকতা যেমন মানব সভ্যতার কালো অধ্যায় , তেমনি উপনিবেশিকরাই দুনিয়ার কোনে কোনে মানবজাতির কাছে নিয়ে গেছে নতুন নতুন খাদ্য, নব সংস্কৃতি, ভাষা , সারা পৃথিবীতে হয়ে চলা জ্ঞান, চিন্তা, বিজ্ঞানের নব নব আবিস্কার। মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে এদের অবদানও অনস্বীকার্য ।

]]>
Afghanistan: ক্ষুধার্থ আফগানিস্থানে গম-ওষুধ ও অন্য খাদ্য সামগ্রী পাঠাতে চায় ভারত https://ekolkata24.com/uncategorized/india-wants-to-send-wheat-medicine-and-other-food-items-to-starving-afghanistan Tue, 19 Oct 2021 11:23:29 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8316 নিউজ ডেস্ক: তালিবান আফগানিস্তানের (Afghanistan)ক্ষমতা দখলের মাস দুয়েকের মধ্যেই সে দেশে প্রবল খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রত্যেক তিনজন আফগান মানুষের মধ্যে দুজন মানুষ জানেন না, তাঁরা দু’বেলা পেটপুরে খেতে পাবেন কিনা। খিদের জ্বালায় রাস্তায় শিশুদের ছটফট করতে দেখা গিয়েছে।

এই অবস্থায় অনাহারক্লিষ্ট মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। কেন্দ্র আপাতত আফগানিস্তানে ৫০ হাজার মেট্রিকটন গম, জরুরি ওষুধপত্র, শিশুদের জন্য গুঁড়ো দুধ-সহ আরও বেশ কিছু খাদ্য সামগ্রী পাঠাতে চায় আফগানিস্তানে।

কিন্তু আফগানিস্তানে এই সমস্ত খাদ্য সামগ্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে পাকিস্তানের। ইরানের চাবাহার বন্দর দিয়ে আফগানিস্তানে পণ্য পাঠাতে হলে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়। যা সময় এবং খরচ সাপেক্ষ। তাই ভারত আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে এই খাদ্য সামগ্রী কাবুলে পাঠাতে চায়। এখন প্রশ্ন হল, পাকিস্তান কি ভারতকে এই অনুমতি দেবে!

বর্তমানে পাকিস্তান সে দেশের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে পণ্য পাঠানোর জন্য ভারতকে অনুমতি দেয় না। পাকিস্তান যদি সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করে সে ক্ষেত্রে ভারতের কাছে খাদ্যশস্য থাকলেও আফগানিস্তানে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা তৈরি হতে পারে। সমস্যা সমাধানে ভারত ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণাপন্ন হয়েছে। আফগানিস্তানে গমের মূল উৎস ভারত। গতবছরও ভারত থেকে আফগানিস্তানের ৭এ হাজার মেট্রিক টন গম গিয়েছিল।

গত সপ্তাহে জি-২০র মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, আফগানিস্তানের মানুষের জন্য বিনা বাধায় জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সাহায্য পাঠাতে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে উদ্যোগী হতে হবে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে, তালিবান সরকারের সঙ্গে যে সম্পর্ক থাকুক না কেন, আফগান মানুষের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

সেই সম্পর্কের টানেই ভারত আফগানিস্তানে খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যত শীঘ্র সম্ভব পাঠাতে চায়। রাষ্ট্রসঙ্ঘে দেওয়া ভাষণে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, আফগানিস্তানের প্রতিটি মানুষের কাছেই যাতে মানবিক সাহায্য পৌঁছন যায় সেটা সকলকে দেখতে হবে। ত্রাণ বন্টনের ক্ষেত্রে কোনও রকম বাছবিচার করা চলবে না।

আফগানিস্তানে মানবিক ত্রাণ পাঠানোর ব্যাপারে রাষ্ট্রসঙ্ঘ-সহ আন্তর্জাতিক মহলকে উদ্যোগী হতে হবে। নভেম্বর মাসে দিল্লিতে আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনার জন্য এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। সেই বৈঠকে মূলত আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়েই আলোচনা হবে। ওই বৈঠকে রাশিয়া, পাকিস্তান, চিনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

]]>
Kitchen Hacks: আউটডোর গ্রিলসের বিভিন্ন রকমের প্রকার এবং ব্যবহার https://ekolkata24.com/lifestyle/kitchen-hacks-the-different-types-of-outdoor-grills Sun, 10 Oct 2021 06:41:00 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7106 অনলাইন ডেস্ক: এটা অসম্ভব যে এমন কেউ নেই যে ভাজা খাবার পছন্দ করে না! সে ভাজা মাংসই হোক , বা শাকসবজি, এমনকি ফল ও । শহরতলিতে বা গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী বেশিরভাগ লোক সপ্তাহান্তে, বাইরের পার্টি বা ক্যাম্পিংয়ে গ্রিলড খাবার খেতে পছন্দ করে। যদি এটি আপনার প্রথমবারের মতো গ্রিল কেনা হয়, অথবা আপনাকে বুঝতে হবে যে কোন ধরনের এবং কোনটি সেরা, অথবা যদি আপনি গ্রিলস এবং বাইরের রান্নার প্রতি ভালোবাসা গড়ে তুলে থাকেন, তাহলে বাইরের গ্রিলগুলি সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার ।

আউটডোর গ্রিল কি ?
সব ধরনের গ্রিল খাবার রান্না করার জন্য উচ্চ তাপমাত্রার প্রয়োগ করা হয়। বহিরঙ্গন গ্রিলগুলির একটি জেনেরিক বিল্ড রয়েছে – একটি ফায়ারবক্স যাতে তাপের উৎস থাকে যেমন কাঠকয়লা, কাঠ, গ্যাসের শিখা বা বৈদ্যুতিক গরম করার উপাদান। জ্বলন্ত জ্বালানীর উপর একটি গ্রিল গ্রেট স্থগিত করা হয় যার উপর গ্রিল করা খাদ্য সামগ্রী রাখা হয়। যা বাইরের গ্রিলগুলিকে অভ্যন্তরীণ গ্রিলের থেকে আলাদা করে তোলে তা হ’ল তাদের রান্না করার জায়গা অনেক বেশি এবং তারা গ্রিলিংয়ের উচ্চ তাপমাত্রা সামলাতে পারে যাতে আপনি পছন্দসই পরিমাণে খাবার গ্রিল করতে পারেন।

Different Types Of Outdoor Grills

গ্রিলের ধরণ এবং সেগুলি কীভাবে ব্যবহার করবেন ?
আপনার জন্য ভাল কাজ করে এমন গ্রিল বাছাই করার আগে অনেকগুলি বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। বহনযোগ্যতা, চালু এবং বন্ধ করা সহজ, সহজ রক্ষণাবেক্ষণ এবং এমনকি দ্রুত রান্নার সময়গুলির মতো সুবিধাদি বিবেচনা করুন। গ্যাস এবং বৈদ্যুতিক গ্রিলগুলি তাদের ব্যবহারের সুবিধার কারণে বেশি জনপ্রিয় এবং বৈদ্যুতিক গ্রিলগুলি তাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে পছন্দ করা হয়।

১। প্রোপেন/গ্যাস গ্রিল –
প্রোপেন গ্রিলগুলি প্রোপেনকে জ্বালানি উৎস হিসাবে ব্যবহার করে এবং বাজারে ব্যবহারের সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রিলগুলির মধ্যে একটি। বেশিরভাগ প্রোপেন গ্রিলগুলিকে আপনি মডিফিকেশন কিট সহ প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করতে রূপান্তর করতে পারেন। প্রোপেন গ্রিল ব্যবহার করার সময় নিরাপত্তা সতর্কতা অপরিহার্য কারণ তারা অন্যান্য ধরনের গ্রিলের তুলনায় বেশি আগুন দেয়। গ্যাস লাইন এবং ভালভগুলি লিক ছাড়া ভাল অবস্থায় রয়েছে এবং উপাদানগুলিতে কোনও মরিচা নেই তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

২। বৈদ্যুতিক গ্রিল-
এই গ্রিলগুলি এমন লোকদের জন্য উপযুক্ত যারা বড় গ্যাস এবং কাঠকয়লা বহিরঙ্গন গ্রিলের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত জায়গা নেই। বৈদ্যুতিক গ্রিলের অপেক্ষাকৃত ছোট রান্নার জায়গা আছে এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। গ্রিল দুটি আকারে পাওয়া যায়: একটি ক্লাসিক স্ট্যান্ড-আপ প্রোপেন-টাইপ গ্রিল যা বৈদ্যুতিক গরম করার উপাদান এবং দ্বিতীয়টি একটি টেবিল সারফেস কন্টাক্ট গ্রিল।

৩। চারকোল গ্রিল –
চারকোল গ্রিলগুলি কয়েক দশক ধরে চলে আসছে এবং বাড়িতে বা শিবিরে গ্রিল করা হোক না কেন মানুষের কাছে এটি অত্যন্ত প্রিয়। দীর্ঘ সময় ধরে থাকার কারণে, অনেকগুলি গ্রিল ডিজাইন রয়েছে এবং গ্যাসের সংমিশ্রণের মতো অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য সহ প্রিমিয়াম গ্রিল সহ সহজতম থেকে সবকিছু নিয়ে গঠিত।
বেশিরভাগ কাঠকয়লা গ্রিলগুলি একটি গোলাকার গ্রিল বডি দিয়ে তৈরি করা হয় যাতে চাকার একটি সেট এটি সহজেই ঘুরতে পারে। গ্রিলটি যথেষ্ট কাঠকয়লা ধারণ করতে পারে যা প্রায় এক ঘন্টার মূল্য রান্নার সময় দিতে পারে।

৪। কাঠের গ্রিল –
কাঠ কাঠকয়লা চালু হওয়ার আগে ১৯০০ এর দশক পর্যন্ত হাজার হাজার বছর ধরে খাদ্য গ্রিল করার জন্য কাঠ জ্বালানির উৎস ছিল। কাঠ এখনও অনেকের প্রিয়, বিশেষ করে যখন তারা ক্যাম্পিংয়ের বাইরে থাকে।

]]>
আরিয়ানের জন্য বাড়ি থেকে আনা খাবার ফিরিয়ে দিল আর্থার রোড জেল কর্তৃপক্ষ https://ekolkata24.com/entertainment/aryan-khan-not-allowed-to-have-home-cooked-food-in-custody Sat, 09 Oct 2021 16:36:43 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7021 নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে মাদক কাণ্ডে জড়িত শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান রয়েছেন মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে। শনিবার সকালে আরিয়ানের জন্য শাহরুখের বাড়ি মন্নত থেকে পাঠানো হয়েছিল খাবার ও রেজকার ব্যবহারের কিছু জিনিস। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ শাহরুখের বাড়ি থেকে আনা খাবার বা অন্যান্য জিনিস জেলের ভেতরে ঢুকতেই দেয়নি। অর্থাৎ আপাতত ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ানকে জেলের ভিতর সেখানকার খাবারই খেতে হবে। থাকতে হবে আর পাঁচজন সাধারণ অপরাধীর মতই।

নিয়ম অনুযায়ী জেল বন্দিদের জন্য বাইরের খাবার একেবারে নিষিদ্ধ। সে কারণেই এদিন আরিয়ানের জন্য আনা খাবারও জেল কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে শুধু জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নয় আরিয়ানের কারণ কারণে এদিন এক বিজ্ঞাপনী সংস্থার কাছ থেকেও বড় মাপের ধাক্কা খেয়েছেন শাহরুখ।

একটি অনলাইন শিক্ষাদানকারী সংস্থার সঙ্গে শাহরুখের বিজ্ঞাপনী চুক্তি ছিল। কিন্তু আরিয়ান কাণ্ডের জেরে শাহরুখ খানকে ওই বিজ্ঞাপনী চুক্তি থেকে ছেঁটে ফেলল সংশ্লিষ্ট সংস্থা। ওই সংস্থা জানিয়েছে, আপাতত সব বিজ্ঞাপন থেকেই শাহরুখকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন মুখের সন্ধানও শুরু করে দিয়েছে ওই সংস্থা। তবে বিজ্ঞাপন থেকে শাহরুখকে তুলে নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং শাহরুখ উভয়েরই বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।

]]>
২০২১ দুর্গাপূজার তারিখ-তাৎপর্য-খাদ্য সম্পর্কে জানুন https://ekolkata24.com/lifestyle/learn-about-the-date-significance-food-of-2021-durga-puja Wed, 06 Oct 2021 07:04:35 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6746 অনলাইন ডেস্ক: উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে গেল৷ দেশজুড়ে এখন আনন্দ এবং উদ্দীপনার অনুভূতিতে আচ্ছাদিত। দেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে এই সময়ে বিভিন্ন উৎসব হয়৷ দিল্লি, ইউপি, গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং অন্যান্য রাজ্যগুলি নবরাত্রির নয় দিনের উৎসব উদযাপন করবে, তেমনই এর সবচেয়ে বড় উৎসব হল দুর্গাপূজা। পাঁচ দিনের উৎসবে ভক্তরা দেবী দুর্গার পূজা করেন৷ এই পাঁচ দিন হল ষষ্ঠী, মহা সপ্তমী, মহা অষ্টমী, মহা নবমী এবং বিজয়া দশমী। উৎসবের শেষ দিনে দুর্গা বিসর্জন হয় এবং ভক্তরা উৎসবের সমাপ্তি করে জলে দেবীর মূর্তি ভাসিয়ে দেয়। দেশের পূর্বাঞ্চলে দুর্গাপূজা আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালিত হয়।

দুর্গাপূজা ২০২১ তারিখগুলি নিম্নরূপ :
ষষ্ঠী – ১১ অক্টোবর ২০২১ , মহা সপ্তমী – ১২ অক্টোবর ২০২১, মহা অষ্টমী – ১৩ অক্টোবর ২০২১ , মহা নবমী – ১৪ অক্টোবর ২০২১ এবং বিজয়দশমী – ১৫ অক্টোবর ২০২১

দুর্গাপূজার গুরুত্ব :
দেবী দুর্গা একটি অগ্নিময় দেবী বলে বিশ্বাস করা হয়৷ যিনি ‘মহিষাসুর’ দানবের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন এবং মন্দ থেকে ভালোর চিন্তার উদাহরণ দিয়েছেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, গল্পটি বলে যে মহিষাসুর ভগবান ব্রহ্মার কাছ থেকে একটি বর পেয়েছিলেন যে, কোনও মানুষ তাকে কখনও হত্যা করতে পারে না। বর পেয়ে তিনি নিজেকে এক অদম্য প্রভু ভাবতে শুরু করেন এবং স্বর্গে বসবাসকারী দেব-দেবতাসহ সবাইকে যন্ত্রণা দিতে থাকেন। অসহায় বোধ করে দেবতারা ভগবান বিষ্ণুর কাছে গেলেন। ভগবান বিষ্ণু, ভগবান শিব এবং ভগবান ব্রহ্মা একসঙ্গে মহিষাসুরকে বধ করতে দুর্গাকে উস্কে দিয়েছিলেন। বিজয়দশমীর শুভ দিনে দেবী দৈত্য ও একঘেয়ে যুদ্ধে অসুরকে পরাজিত করেন। আর তাই দেবীকে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ বলা হয়।

দুর্গাপূজার জন্য উৎসবমূলক খাবার: উৎসবটি মন্দের উপর ভালোর বিজয় এবং দেশের অন্যান্য উৎসবের মতো মা দুর্গার অবিস্মরণীয় যুদ্ধ কিছু সুস্বাদু ভোগ উপাদেয় ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না। আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গের মতো ভোগের সুগন্ধি প্রস্তুতিতে নিজেকে লিপ্ত করতে চান, তাহলে এখানে কয়েকটি সহজ রেসিপি রয়েছে যা দিয়ে আপনি এই দুর্গাপূজা তৈরি করতে পারেন৷

১। খিচুরি: একটি বাংলা স্টাইলের খাদ্য৷ যা খিচুরি নামে স্থানীয় উপভাষায় পরিচিত৷ এটি পুজোর মরসুমে একটি অবশ্যই চেষ্টা করা খাবার। আপনি প্রায় সব পুজো প্যান্ডেলে পরিবেশন করা ক্লাসিক ভোগ খিচুরি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ তবে আপনি সহজেই এটি আপনার নিজের রান্নাঘরেও তৈরি করতে পারেন। আপনার যা দরকার তা হল কিছু ভাত, মুগ ডাল, কিছু সবজি ।

২। বেগুনি: আপনার খিচুরির পাশে যোগ করার আরেকটি দ্রুত ব্যবস্থা হল এই ঝামেলাহীন বেগুন ভাজা৷ যা তৈরি করা খুব সহজ। বেগুনের পাতলা টুকরোগুলো মসলাযুক্ত ময়দার বাটাতে ডুবিয়ে নিন এবং সম্পূর্ণ সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন৷ সময়ের সঙ্গে নরম হওয়ার আগেই সেগুলি গরম গরম খান।

৩। লাবড়া: এই সত্যিকারের মিশ্র সবজির প্রস্তুতি হল সত্যিকারের দুর্গাপূজার খাবার সম্পূর্ণ করার জন্য আপনার যা প্রয়োজন। মসলাযুক্ত এবং সুস্বাদু এই মসলাযুক্ত মিশ্র সবজিটি কুমড়া, আলু, মুলা, ফুলকপি এবং পাঁচফোরন নামক সহজ ভারতীয় মশলার মিশ্রণ থেকে তৈরি। একটি সত্যিকারের বাঙালি খাবার।

৪। মিষ্টি দই: বাঙালি খাদ্য সামগ্রীর তালিকায় মিষ্টি দইয়ের কোনও ভূমিকা প্রয়োজন নেই৷ সুস্বাদু দুধের দই প্রায় সব ধরনের বাঙালি থালির একটি নিয়মিত বৈশিষ্ট্য। সহজ রেসিপি দিয়ে আপনি আপনার নিজের রান্নাঘরেই সুস্বাদু মিষ্টি দই তৈরি করে নিতে পারেন।

৫। পায়েস: পায়েস একটি জনপ্রিয় বাংলা খাবার৷ যা বেশিরভাগ মা দুর্গার ভোগে খিচুরির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। দুধ এবং চালের এই সুস্বাদু মিষ্টি রেসিপি আপনি সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন৷

]]>
বর্ষাকালে আপনার খাবার সতেজ এবং স্বাস্থ্যকর রাখার সেরা টিপস https://ekolkata24.com/lifestyle/the-best-tips-to-keep-food-fresh-and-healthy-in-the-rainy-season Thu, 30 Sep 2021 09:01:56 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6101 অনলাইন ডেস্ক: ভারতে বর্ষা ঋতু গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে মুক্তি দেয়। বর্ষা আমাদের চারপাশে সতেজতা আনতে পারে। তবে এই ঋতু আপনার পরিবারের জন্য কিছু রোগ এবং সংক্রমণের জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে আসে। বর্ষাকালে মুখোমুখি হওয়া প্রাথমিক সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হল খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা। বর্ষা ব্যাকটেরিয়ার বিকাশের জন্য উপযুক্ত আবহাওয়া এবং ছাঁচ, ছত্রাক, কৃমি এই জাতীয় রোগ গুলি দ্রুত গতিতে বিন্যাস ঘটাতে পারে। বর্ষাকালে নিম্নলিখিত সতর্কতাগুলি আপনাকে এই সময়কালে খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

বর্ষাকালে আপনার খাবার সতেজ রাখার জন্য স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সেরা টিপস:
১। বাইরে থেকে আনা সবজি ধুয়ে ফেলুন-
শাকসবজি ধোয়া এই ঋতুর রুটিন বানিয়ে ফেলুন। তবে বর্ষাকালে সবজি ধোয়ার সময় অতিরিক্ত যত্ন নিন। এগুলি ভাল করে ধুয়ে নিন, বর্ষাকালে সবজির ক্ষেতে কীটপতঙ্গের লার্ভা থাকতে পারে। যদি সম্ভব হয়, অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বর্ষাকালে সবজি ধোয়ার লিকুইড ব্যবহার করুন।

২। সঠিক ভাবে ফল এবং শাকসব্জী সংরক্ষণ-
ফল এবং সবজির স্টোরেজ ফ্রিজে রাখা উচিত যাতে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। ধোয়ার পর সেগুলো সঠিকভাবে শুকানো উচিত এবং ফ্রিজে পৃথক বিভাগে কাগজের ব্যাগে সংরক্ষণ করা উচিত। এগুলি পরীক্ষা করে দেখুন এবং যদি কোনও ফল বা সবজি নষ্ট হয়ে যায় তবে সেগুলি সরিয়ে ফেলুন।

food-fresh-and-healthy

৩। এয়ারটাইট পাত্রে রাখার ব্যাবস্থা করুন –
বর্ষাকালে বাতাসের আর্দ্রতা ব্যাকটেরিয়ার বিকাশের প্রধান কারণ। বায়ুরোধী পাত্রে আপনার খাবারের মজুদ উল্লেখযোগ্যভাবে নষ্ট করতে পারে। কাচের পাত্রে লবণ বা চিনির মতো জিনিস সংরক্ষণ করাও আর্দ্রতা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি দূর করে। আপনার খাদ্য সামগ্রীগুলি কাঁচ বা স্টেইনলেস স্টিলের এয়ারটাইট জারে সংরক্ষণ করে বর্ষাকালে খাস্তা এবং শুকনো রাখুন।

৪। আপনার ফ্রিজ পরিষ্কার রাখুন-
রেফ্রিজারেটর ছত্রাক দূরে রাখতে পারে এবং খাবার নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে। যাইহোক, একটি অপরিষ্কার রেফ্রিজারেটর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে কারণ এটি ছত্রাক বা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন স্থলে পরিণত হয়। খাবারের কণাগুলি ফ্রিজের কোণে আটকে যেতে পারে, তাই নিয়মিত আপনার ফ্রিজ পরিষ্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গরম জলের সাথে ভিনেগার এবং বেকিং সোডার একটি মিশ্রন আপনার রেফ্রিজারেটরের তাক পরিষ্কার করার জন্য দুর্দান্ত। আপনার রেফ্রিজারেটরের তাকগুলি পরিষ্কার করার পরে তাদের সঠিকভাবে শুকিয়ে নিন। আপনি এক কোণে বেকিং সোডা সহ একটি ছোট পাত্রে রেখে ফ্রিজে অতিরিক্ত গন্ধ শুষে নিতে পারেন এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা শুষে নিতে পারেন।

৫। আপনার খাবার বাইরে রাখা এড়িয়ে চলুন –
বর্ষা খুব বেশি সময় ধরে আপনার খাবার বাইরে রাখার উপযুক্ত সময় নয়। অতিরিক্ত আর্দ্রতা সহজেই রুটি এবং এমনকি সবজির মতো খাদ্য সামগ্রী নষ্ট করতে পারে। ভারতের গ্রীষ্মমন্ডলীয় আবহাওয়া ছত্রাক বৃদ্ধির জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বর্ষাকালে বাতাসের আর্দ্রতা আমাদের খাদ্যে ছত্রাক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আপনার খাবার সবসময় এয়ারটাইট পাত্রে বা রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করুন।

৬। শুকনো চামচ-
মশলা ব্যবহার করার জন্য শুকনো চামচ ব্যবহার করা একটি খুব কম সতর্কতামূলক পদ্ধতি। বর্ষাকালে, আর্দ্রতা ইতিমধ্যে আমাদের রান্নাঘরে মশলা স্যাঁতসেঁতে করে তুলতে পারে। মশলা, ময়দা, লবণ ইত্যাদি ব্যবহার করতে একটি শুকনো চামচ ব্যবহার করুন, এমনকি সামান্য আর্দ্রতাও এই মশলাগুলি নষ্ট করতে পারে।

৭। জমে যাওয়া –
আপনার ফ্রিজার বর্ষাকালে খুব সহায়ক হতে পারে। আপনার ডাল, শস্য এবং চাল কেনার পর সেগুলি হিমায়িত করা পণ্যগুলিকে ডিহাইড্রেট করতে সাহায্য করতে পারে এবং বর্ষাকালে সেগুলি নিরাপদে সংরক্ষণ করতে সহায়তা করে। এই পণ্যগুলি কেনার পর ১-২ দিনের জন্য হিমায়িত করুন এবং তারপরে এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষণ করুন।

৮। ঘরের প্রতিকার-
বর্ষা মৌসুমে শাকসবজি এবং ফল সহজেই হিমায়িত এবং সংরক্ষণ করা যায় । কিন্তু অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর কী হবে? বর্ষাকালে পোকামাকড়কে খাদ্য থেকে দূরে রাখার জন্য ওঁইষধি ব্যবহার করার মতো বয়স্ক ঘরোয়া প্রতিকারগুলি খুব উপকারী। নিম, লবঙ্গ, হলুদ এবং শুকনো মরিচের মতো ভেষজ এবং মশলা ডাল এবং চালের সাথে সংরক্ষণ করা যেতে পারে যাতে বর্ষায় পোকামাকড় তাদের থেকে দূরে থাকে। এগুলি প্রাকৃতিক কীটপতঙ্গ প্রতিরোধক। চিনি এবং লবণের সাথে কয়েকটা ধান রাখলে তারা আর্দ্রতা থেকে মুক্ত হতে পারে কারণ চালের দানা পাত্রে যে কোন অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে।

বর্ষা মৌসুমে যেসব খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে: ফল এবং শাকসব্জির ব্যবহার বাড়ান: আপনি যদি বর্ষাকালে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চান তবে ফল এবং সবজি তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এগুলো আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে রাখতে সাহায্য করে এবং স্বাভাবিকভাবেই আপনার ক্ষতি করতে পারে এমন কোন রোগ প্রতিরোধ করে। বর্ষাকালে মৌসুমী ফল ও শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত কারণ এগুলি ঋতুতে পাওয়া সবচেয়ে নতুন পণ্য।

আপনার ডায়েটে ভেষজ উদ্ভিদ অন্তর্ভুক্ত করুন: তুলসী’, আদা, কালো মরিচ, হলুদ এবং লবঙ্গের মতো ভেষজ ও মশলা বর্ষাকালে খাওয়া ভালো। এগুলি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ভারী বৃষ্টির সময় আমাদের আরামদায়ক রাখতে সাহায্য করে। একটি উষ্ণ কাপ চায়ের সাথে এগুলি যোগ করা সত্যিই বর্ষার একটি বিষণ্ণ দিনকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে।

আপনি যেদিন বেকারি পণ্য কিনবেন সেদিনই সেবন করুন: বেকারি আইটেমগুলি বর্ষাকালে ছাঁচ আকৃষ্ট করার জন্য খুব প্রবণ। যেদিন আপনি সেগুলি কিনবেন সেদিন সেগুলি ব্যবহার করুন এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য সেগুলি সংরক্ষণ করবেন না। আপনার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই কিনুন এবং পরে সেবন করার জন্য সেগুলো কিনবেন না।

এই বর্ষায় এই খাবার গুলি থেকে দূরে থাকার অভ্যাস করুন : অতিরিক্ত ভাজা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন৷ বৃষ্টির আবহাওয়া ভাজা স্ন্যাক্স উপভোগ করার জন্য উপযুক্ত, তবে, অতিরিক্ত ভাজা আইটেমগুলি ব্যবহার না করার বিষয়ে সচেতন থাকুন। বর্ষাকালে রাস্তার খাবার কঠোরভাবে এড়িয়ে চলুন, তবে ভারী বৃষ্টির সময় সময়ে সময়ে ঘরে তৈরি ভাজা জিনিস আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কোনও বিপদ ডেকে আনবে না।

এই সময় মাছগুলি বিশেষ করে নোনা জলে মাছ ডিম পাড়ে। তাদের প্রজনন মৌসুমে, মেনুতে মাছ অন্তর্ভুক্ত করা এড়ানো ভাল কারণ অনেকেরই মাছের ডিম হজম করতে কষ্ট হয়। অবশিষ্ট তেল দিয়ে রান্না করা বর্ষাকালে পাকস্থলীর সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে ফলে আমাদের পাচনতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে।

]]>