करीब दो हफ्ते के ब्रेक के बाद आज इंडियन सुपर लीग की शुरुआत हो गई है. शनिवार को दिन का मैच दोनों टीमों जमशेदपुर एफसी और केरला ब्लास्टर्स के लिए अहम था. कुछ दिनों के ब्रेक के बाद फुटबॉल प्रशंसकों की नजर इस बात पर थी कि फुटबॉल खिलाड़ी कैसे खेलेंगे.
जेआरडी टाटा स्पोर्ट्स कॉम्प्लेक्स स्टेडियम में अवे टीम केरला ब्लास्टर्स ने पहला स्कोर किया। मैच में केरला ब्लास्टर्स एफसी ने डायमांटेक्स के गोल से बढ़त बना ली। हाल ही में भारतीय फुटबॉल गलियारों में इस विदेशी फॉरवर्ड की खूब चर्चा हो रही है.
सुनने में आ रहा है कि कई भारतीय क्लब उन्हें टीम में लाने की कोशिश कर रहे हैं. खबर है कि ईस्ट बंगाल भी डायनामंटक्स के साथ अच्छे ऑफर के साथ बातचीत करने की कोशिश कर रहा है। वह भविष्य में किस क्लब के लिए खेलेंगे यह अलग बात है। वर्तमान में डायमांटेक्स केरला ब्लास्टर्स एफसी के फुटबॉलर हैं।
केरला के आगे निकलने के बाद जमशेदपुर एफसी ने बराबरी की कोशिश की. जेवियर सेवेरियो ने 45 मिनट बाद गेंद को नेट में डाला. मैच 1-1 से बराबरी पर ख़त्म हुआ. दोनों टीमों को एक-एक अंक मिला. सीज़न के बीच में ईस्ट बंगाल छोड़कर जमशेदपुर एफसी में शामिल होने के बाद सेवेरियो ने कई गोल किए हैं। जिमराशादपुर एफसी के गोलकीपर रेहनिश टीपी ने कई बचाव किए। अन्यथा केरला और डायनामेन्टक्स एक से अधिक गोल कर चुके होते।
]]>मोहन बागान सुपर जाइंट्स रविवार शाम को इंडियन सुपर लीग मुकाबले में उतरने जा रहे हैं. कुछ घंटे बचे हैं. इससे पहले एंटोनियो लोपेज हाबास की शारीरिक बीमारी की खबर आई थी. मालूम हो कि मोहन बागान के स्पेनिश कोच कोलकाता की इस गर्मी से परेशान हैं.
हाबास के साथ वास्तव में क्या हुआ? जैसा कि लगता है, मोहन बागान सुपर जाइंट के अनुभवी कोच ने गर्मी पर काबू पा लिया है। सर्दी गर्मी से बुखार आ गया. लेकिन इसे कोई गंभीर बात नहीं माना जाता. अगर सब कुछ ठीक रहा तो आप मैच के दिन मैदान पर मौजूद रह सकते हैं. लेकिन चूंकि समय कम है इसलिए बिना जिद किए ही यह बात कह देना बेहतर है.
लोपेज़ हाबास की जगह उनके डिप्टी मैनुअल पेरेज़ प्रेस कॉन्फ्रेंस में मौजूद थे. वह मुख्य कोच की अनुपस्थिति का कारण हैं।’ हाबास अभ्यास में मौजूद नहीं थे। हालाँकि मुख्य कोच अभ्यास में मौजूद नहीं हैं, मैनुअल पेरेज़ को चिंता का कारण नहीं दिखता। उनका मानना है कि लड़के कुछ दिनों के अभ्यास से कल के मैच से पूरे अंक लेने में सफल रहेंगे.
हालांकि, मोहन बागान सुपर जाइंट्स चेन्नईयिन एफसी के खिलाफ मैच में सहल अब्दुल समद को मैदान में नहीं उतार पाएंगे। इसके अलावा टीम में और कोई समस्या नहीं है.’ दो हफ्ते के ब्रेक के बाद मोहन बागान मैदान पर वापस आ गया है. ब्रेक से पहले टीम लय में थी. ग्रीन मैरून ब्रिगेड कल पुरानी लय में खेलना चाहेगी.
]]>সংবাদটি বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন East Bengal FC bounced back: পুরোনো ছন্দে লাল-হলুদ ব্রিগেড
]]>এই প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে’র(AIFF) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত জানিয়েছেন, সোমবার AIFF লীগ কমিটির সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আই লিগ সাময়িক ভাবে স্থগিত করার।
আই-লিগ ২০২১-২২ সাময়িক স্থগিতের আগে অংশগ্রহণকারী ক্লাবের প্রতিনিধিদের সাথে একপ্রস্থ আলোচনা করা হয়েছিল ভিডিও কনফারেন্সিং’র মাধ্যমে। ওই ভিডিও কনফারেন্সিং’র সময়ে উপস্থিত ছিলেন AIFF স্পোর্টস মেডিকেল কমিটির সদস্য চিকিৎসক হর্ষ মহাজন,তিনিও এই ইস্যুতে নিজের মতামত রাখেন।
লিগ কমিটি, চিকিৎসক হর্ষ মহাজনের পরামর্শ অনুসারে সমস্ত আই লিগ অংশগ্রহণকারী ক্লাবের ঐকমত্যের ভিত্তিতে, কলকাতায় চলতি আই-লীগ ২০২১-২২ কমপক্ষে ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ৪ সপ্তাহ পর পর্যালোচনা সভা করবে লীগ কমিটি।
পশ্চিম বাংলায় সোমবার থেকে আংশিক লকডাউন বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে,১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এমন আবহে AIFF স্পোর্টস মেডিকেল কমিটির সদস্য চিকিৎসক হর্ষ মহাজন বলেন,”ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু খুব দ্রুত নিচে নেমে আসে। আমাদের সরকারী নিয়মকানুন এবং নীতিগুলিও বিবেচনা করতে হবে”।
AIFF সূত্রে খবর,বায়ো বাবলের প্রোটোকল ৭ জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে, কারণ ৫ জানুয়ারী সমস্ত দলকে আবার পরীক্ষা করা হবে এবং একবার নেতিবাচক পরীক্ষা করা হলে দলগুলি তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে পারবে। ইতিমধ্যেই বিচ্ছিন্ন থাকা টিম হোটেলগুলিতে ইতিবাচক পরীক্ষা করা খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের চিকিৎসা করা হবে এবং স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি অনুসারে কলকাতায় কোয়ারেন্টাইন করা হবে এবং নেতিবাচক পরীক্ষার পরে তাদের বায়ো বাবোল ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
]]>
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আজ থেকে ৫৩ বছর আগে গোলের সর্বোচ্চ আধিক্য দেখেছিল। মোট ৬৬ টি গোল, প্রথম ডিভিশনে মোট ১০ ম্যাচে, ১৯৬৩ সালে। বার্নলির কাছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৬-১ গোলে হার এবং ফুলহ্যাম ১০ গোল করে,ইপসউইচ টাউনের বিরুদ্ধে, ‘বক্সিং ডে’ সপ্তাহে।
ক্রিসমাস সময়কালে সমর্থকদের বিনোদন দেওয়ার জন্য ফিক্সচারের একটি সম্পূর্ণ সেট সহ বক্সিং ডে ফিক্সচার সবসময়ই ফুটবল ভক্তদের জন্য একটি প্রিয় সময়।
কিন্তু কোনো বছরই ১৯৬৩ সালের মতো এতটা বিনোদনমূলক ফিক্সার ছিল না, যখন উৎসবের আবহতে খেলায় অসাধারণ ৬৬ টি গোল হয়েছিল।
ওই মরসুমে শুধুমাত্র ১০টি দুরন্ত ম্যাচের একটি খেলাও গোলশূন্যতে ড্র হয়নি, তবে পুরো বিভাগে মাত্র দুটি দল গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
ওয়েস্ট হ্যাম ফুটবল দলের গোলরক্ষক জিম স্ট্যান্ডেন ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে আট গোলের লজ্জার হারের কারণে টিম থেকে সরে যান।বার্নলির হয়ে অ্যান্ডি লোচহেড (রাইট উইঙ্গার) চার গোল করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল।
১৯৬৩ সালের ওই ফেস্টিভ মুডে চেলসির জন্য বড় জয় ছিল ব্ল্যাকপুলের বিরুদ্ধে ৫-১ গোলের ব্যবধানে, আবার বার্নলির হয়ে অ্যান্ডি লোচহেডের চার গোলের সুবাদে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৬-১ গোলে হেরে যায়। এবং লিভারপুল স্টোকের কাছে ৬-১ গোলে ঘরের মাঠে, ওই ম্যাচে রজার হান্টের চার গোলের দৌলতে জয় ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু এমন কয়েকটি স্কোরলাইন খেলার রেজাল্টে উঠে আসে যা চাকচিক্যের উজ্জ্বলতাকেও ম্লান করে দিয়েছিল।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ফুলহ্যাম বনাম ইপসউইচের বিরুদ্ধে ম্যাচ, ওই ম্যাচে ক্রেভেন কটেজে ইপসউইচ টাউনকে ১০ গোলের মালা পেরিয়েছিলেন, যার মধ্যে গ্রাহাম লেগাটের চারটি গোল ছিল।
অন্যদিকে, ব্ল্যাকবার্ন বনাম ওয়েস্ট হ্যামের মুখোমুখি খেলায় লন্ডনে ৮-২ ব্যবধানে জিতেছিল,ব্ল্যাকবার্ন।
১৯৬৩’র ‘বক্সিং ডে’ উৎসবের আবহে নটিংহ্যাম ফরেস্ট বনাম শেফিল্ড ইউনাইটেড এবং উলভস বনাম অ্যাস্টন ভিলার মধ্যে দুই ম্যাচ ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল এবং ওয়েস্ট ব্রম এবং স্পার্স আরও একটি করে ম্যাচে চার গোলে ড্র করেছিল।
জিমি গ্রিভস ওয়েস্ট ব্রমের জয়ে জোড়া গোল করে স্পার্স ব্যাগিসের বিরুদ্ধে ৪-৪ গোলে ম্যাচ ড্র হয়েছিল। ফুটবলার রজার হান্ট ১৯৬৩ সালে বক্সিং ডে-তে চারবার গোল করা তিনজন খেলোয়াড়ের মধ্যে একজন ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ‘বক্সিং ডে’ সেশনে ২৬-৩০ ডিসেম্বর ফেস্টিভ মুডের মাত্র দু’দিন পরে, সমস্ত ক্লাবগুলি বিপরীত ফিক্সচারে ম্যাচ খেলেছিল এবং ওই ফিক্সারে সম্পূর্ণ উল্টো ফলাফল হয়েছিল,যা ১৯৬৩ সালের ‘বক্সিং ডে’ ম্যাচের ফলাফলকে উড়িয়ে দিয়েছিল।
‘বক্সিং ডে’ পরবর্তী ফিক্সারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শুধু বার্নলির কাছে তাদের পরাজয়ই উল্টে দেয়নি, সঙ্গে নিজেদের একটি থ্র্যাশিংও দিয়েছিল, নয় গোলের সুইং, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৫-১ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল,বার্নালির বিপক্ষে।
ওয়েস্ট হ্যাম ঘরের মাঠে তাদের ছয় গোলের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছিল ইউড পার্কে ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে। অন্যদিকে ইপসউইচ টাউন মধুর প্রতিশোধ নিয়েছিল বক্সিং ডে পরবর্তী ফিক্সারে খেলতে নেমে ফুলহ্যামের দলের বিরুদ্ধে, ৪-২ গোলে হারিয়ে নিজেদের সর্বকালের রেকর্ড জয়ের মাইলস্টোন গেঁথে দিয়েছিল।
]]>ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের স্ট্রেহ্ন এন্ড কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেশাই বোর্ডের টুইট করা সংক্ষিপ্ত ভিডিও’তে “ফুটবলি” ট্রেনিং সেশনের কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে বলেন,”গোটা দল প্রথমে কঠিন কোয়ারিন্টিনের মধ্যে ছিলাম মুম্বই’তে।১০ ঘন্টার বিমান যাত্রার ধকল পুইয়ে টিম এখন জোহানসবার্গে”।
সোহম দেশাই’র কথায়,”জোহানসবার্গে এসেও গোটা দলকে কঠিন কোয়ারিন্টিন প্রোটকল মেনে চলতে হয়েছে।তাই লম্বা টানা বিমান যাত্রার ধকলের বিষয়টাকে মাথায় রেখে বড় কোনও ঝুঁকি এড়ানোর জন্য হাল্কা দৌড় অভ্যাসের ট্রেনিং সেশন রাখা হয়েছে,খেলোয়াড়দের স্ট্রেহ্ন এন্ড কন্ডিশনকে লক্ষ্য করে”।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের স্ট্রেহ্ন এন্ড কন্ডিশনিং কোচ আরও জানিয়েছেন,১৪ হাজার মিটার সমুদ্রতলের ওপর দিয়ে বিমান যাত্রার ধকল সামলে, জোহানসবার্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন আবহাওয়াগত পরিবেশে এসে খেলোয়াড়দের মস্তিস্কের ওপর চাপ রয়েছে ঘর থেকে বের হওয়ার সময়(মুম্বই), এই কারণে “ফুটবলি” ট্রেনিং সেশনকেই বেছে নেওয়া হয়েছে অনেক অপশনের মধ্যে যাতে খেলোয়াড়দের মধ্যে কোনও একটা ফুরফুরে মেজাজ তৈরি হয় এবং ম্যাচে নিজেদের ফোকাস ধরে রাখতে পারে, তাই এই অভিনব ট্রেনিং সেশন।
বিসিসিআই’র করা সংক্ষিপ্ত ওই ভিডিও’তে টুইট পোস্টে পরিষ্কার যে, টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়েরা গোটা ফুটবলি সেশনকে চুটিয়ে উপভোগ করার পাশাপাশি সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্ট ২৬, ডিসেম্বর খেলতে নামার আগে কোনও ফাঁকফোকর রাখতে নারাজ।
]]>গোয়ার ফতোদরা স্টেডিয়ামে চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ভারতীয় ফুটবল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে এটিকে মোহনবাগান হেডকোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস বলেছেন, “আমাদের সবসময় ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে (আক্রমণ এবং রক্ষণের মধ্যে)। আমরা প্রথম দুটি ম্যাচ জিতেছিলাম এবং আমরা সেরা দল ছিলাম এবং এখন দুটি হারের পরে, আমরা খারাপ হতে পারি না। তাই ফুটবলে ভারসাম্য রাখতে হবে এরই পাশাপাশি আমাদের আচরণেও। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে একজন বিশ্বের সেরা থেকে খারাপ ক্লাব হতে পারে না। এটা সম্ভব নয়। ভারতে ফুটবলের ভারসাম্য দরকার।”

স্প্যানিস এই কোচ হাবাসের কথায়, “আমি আমার খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসী থাকতে বলেছি। আমার কাছে তারাই সেরা। এটা একটা কঠিন প্রতিযোগিতা কারণ আমরা টানা দ্বিতীয় মরসুমে বায়ো বাবোলে ছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগিতায় লড়তে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে যে আমরাই সেরা। আমার দল অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। আমাদের প্রতিরক্ষা(ডিফেন্স) থেকে আক্রমণে রূপান্তরের উন্নতি করতে হবে এবং পুরো ৯০ মিনিট প্রতিযোগিতা করতে হবে।”
দুইবারের আইএসএল জয়ী কোচ বিশ্বাস করেন যে, বাগানকে অবশ্যই সঠিক ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে এবং যদি তা করে তবেই আবার নিজেদের সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
হাবাস আরও বলেন, “আমাদের পুরো ৯০ মিনিট একই তীব্রতার সাথে খেলতে হবে। আমরা ৪৫ মিনিটের জন্য ভাল ফুটবল খেলতে পারি না এবং তারপরের ৪৫ মিনিটে গ্রিপ হারাতে পারি। আমাদের সমস্ত পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতামূলক থাকতে হবে।”
হাবাস তিরি’কে নিয়ে অস্পষ্টতা দূর করার তাগিদে বলেন, তিরির কোনও চোট নেই এবং তিনি শনিবারের ম্যাচে নির্বাচনে জন্য উপলব্ধ থাকবেন।
আইএসএলে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নামার আগে এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস চেন্নাইন এফসি টিমের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ সতর্ক সেটা হাবাসের কথায় পরিষ্কার।
বোজিদার বান্দোভিচের দল চলতি আইএসএলে তিন ম্যাচের পরেও অপরাজিত রয়েছে এবং বর্তমানে তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট রয়েছে। যদিও তাদের আক্রমণ একটি উদ্বেগের বিষয়, রক্ষণাত্মকভাবে তারা বেশ শক্ত ছিল কারণ তারা মাত্র একটি গোল করতে দিয়েছে। হাবাস এই স্ট্যাটাস সম্পর্কে সচেতন এবং মনে করে যে এটি মেরিনা মাচান্সের বিরুদ্ধে একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হবে।
শনিবারের ম্যাচ নিয়ে হাবাসের প্রতিক্রিয়া, “চেন্নাইন একটি খুব প্রতিযোগিতামূলক দল। তারা ভাল শারীরিক ফুটবল খেলে। এটি একটি কঠিন ম্যাচ হবে, কারণ তারা অনেক গোল হারাতে পারে না।”
<
p style=”text-align: justify;”>চেন্নাইনের কোচ বান্দোভিচ ম্যাচের আগে মেরিনার্সদের সম্মান দিতে গিয়ে বলেছেন, “এটিকে মোহনবাগান লিগের অন্যতম সেরা দল। আপনার তাদের সম্মান করা দরকার। তারা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক।”
]]>1991 সালে মোহনবাগান মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে 1-0 ব্যবধানে হারিয়ে রোভার্স কাপ জিতেছিল। ক্লাব সিকিম গভর্নরের গোল্ড কাপ এবং অল এয়ারলাইনস গোল্ড কাপও দখল করেছিল৷ ওই বছর ক্লাব তার 100 বছরের ইতিহাসে প্রথম কোনো বিদেশী খেলোয়াড়কে দলে অন্তর্ভুক্ত করে৷ চিমা ওকেরি “ব্ল্যাক প্যান্থার”দের বিরুদ্ধে কলকাতা ফুটবল লিগে সবুজ মেরুন জার্সিতে খেলেছিলেন। আইএম বিজয়নও ওই বছরেই মোহনবাগান ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন। ততদিনে ক্লাব প্রশাসনে পরিবর্তন এসেছে। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন স্বপন সাধন বসু, কলকাতা সহ ভারতীয় ফুটবলে মহলে তিনি টুটু বসু নামে সুপরিচিত।
1992 ফুটবলের সেশন মোহনবাগানের জন্য একটি ভাল বছর ছিল। কারণ ক্লাব ফেডারেশন কাপ 2-0 ব্যবধানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্ট বেঙ্গলকে পরাজিত করে, রোভার্স কাপে জেসিটি মিলসকে 2-0 ব্যবধানে পরাজিত করার পাশাপাশি প্রথম বিভাগ কলকাতা লীগ এবং সিকিম গভর্নরস গোল্ড কাপের মতো কিছু জাতীয় পর্যায়ের টুর্নামেন্টের ট্রফি ক্লাব তাঁবুতে
তুলতে সক্ষম হয়েছিল।
1993 সালে সত্যানের করা একক গোলে মোহনবাগান মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রাকে পরাজিত করে ফেডারেশন কাপ জিতেছিল এবং তৃতীয় বার অল এয়ারলাইন্স গোল্ড জিতেছিল।
1994 সালে মোহনবাগান ক্লাব (1980-1982) সালগাওকার এসসিকে পরাজিত করে ফেডারেশন কাপ জয়ের হ্যাটট্রিক নথিভুক্ত করে। ভারতীয় ফুটবলের আঙিনায় এটি একটি রেকর্ড যখন কোনও ভারতীয় ফুটবল ক্লাব পরপর তিন বছর দুবার ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এছাড়াও সবুজ মেরুন শিবির কলকাতা ফুটবল লীগ, ডুরান্ড কাপে আর্চ রাইভাল ইস্টবেঙ্গলকে 1-0 ব্যবধানে হারিয়ে এবং সিকিম গভর্নরস গোল্ড কাপও জিতেছিল।
1995 সালে মোহনবাগান ক্লাবে ট্রফির খরার জেরে কোনও জাতীয় পর্যায়ের টুর্নামেন্ট দখল করতে পারেনি। কেবলমাত্র পিএনবি শতবর্ষী ট্রফি জয় এবং কলকাতা লিগের ফাস্ট ডিভিশনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল। ওই বছর মোহনবাগান ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হন অঞ্জন মিত্র এবং ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব নেন টুটু বসু।
1996 সালে মোহনবাগান ম্যাকডওয়েলস কাপ এবং ররদৌলই ট্রফি জিতেছিল এবং কলকাতা লিগের প্রথম ডিভিশনে রানার্স আপ হয়েছিল।
1997 সালে ক্লাব ডিসিএম ট্রফি এবং কলকাতা ফুটবল লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সবুজ মেরুন শিবির ডুরান্ড কাপের ফাইনালেও পৌঁছেছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এফসি কোচিনের কাছে ম্যাচ হেরে যায়। ওই মরসুমে মোহনবাগান 18 ম্যাচে 34 পয়েন্ট নিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ফাইনাল খেলায় সবুজ মেরুন সমর্থকদের বিশাল উপস্থিতিতে সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রাকে 3-0 ব্যবধানে পরাজিত করেছিল।
1998 সালে মোহনবাগান ক্লাব ফেডারেশন কাপ এবং আইএফএ শিল্ড উভয় ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে 2-1 গোলে পরাজিত করে। এএফসি ওই বছরের জানুয়ারিতে মোহনবাগান ক্লাব AFC এশিয়ার দিয়াডোরা দল হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করে, যা মোহনবাগান ক্লবের গৌরবের মুকুটে একটি নতুন পালক যুক্ত হয়েছিল।
1999 সালে মোহনবাগান, টালিগঞ্জ আগ্রাগামীকে 1-0 গোলের ব্যবধানে হারিয়ে এবং কলকাতায় সংহতি ক্লাবকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড জিতেছিল৷ এই বছর ভারতের সর্বকালের সেরা বিদেশী ফুটবলার, ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার, ‘গ্রিন প্যারট’ হোসে রামিরেজ ব্যারেটো মোহনবাগান দল এবং ফুটবলপ্রেমীদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন। ভারত ব্যারেটোর দুর্দান্ত ফুটবল দক্ষতা এবং বল নিয়ন্ত্রণে মুগ্ধ হয়েছিল।
]]>ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সেলেকাওদের এগিয়ে দেন অলিভেরা দেবিনহা। ভারতীয় ডিফেন্সের ওপরে বল পায়ে আক্রমণে উঠে আসে ব্রাজিলের মহিলা ফুটবলারেরা। দেবিনহা বলের দিকে দৌড় দেয়। ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের গোলকিপার অদিতি চৌহান তার লাইন থেকে চলে আসে, কিন্তু দেবিনহা শটটি নেয় যা ভারতীয় ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে দেবিনহার সামনে পড়তেই বল খালি জালে বল ঠেলে দেয়। ভারতের বিরুদ্ধে ব্রাজিল ১-০ লিড নিয়ে ফেলে।
ম্যাচের ৫ মিনিটে ব্রাজিল গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে। বাম দিক থেকে আক্রমণে উঠে আসে ব্রাজিল, অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল ব্রাজিলের ফুটবলারেরা। ব্রাজিল একটা লুপ ক্রস সেন্টার লক্ষ্য করে বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু ব্রাজিলিয়ন ফুটবলারেরা হেডার টার্গেট ধরে রাখতে পারেনি, লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায় ওই হেডার,গোলের সুযোগ হাতছাড়া সেলেকাওদের।
ম্যাচের ৮ মিনিটে দুরন্ত টুইস্ট। বাউন্সব্যাক ভারতের। ব্রাজিল বল পায়ে ভারতের তিনকাঠি লক্ষ্য করে শট মারে। ভারতীয় গোলকিপার অদিতি “ডি জোনে” বেরিয়ে এসে ওই উড়ন্ত শট ক্লিয়ার করতেই জটলা থেকে বল ভারতীয় ডিফেন্ডারের সামনে এসে পড়ে, ওই ডিফেন্ডার বল ফাঁকা জায়গায় বাম ফ্ল্যাঙ্কে থাকা মনীষা কল্যাণকে লক্ষ্য করে বাড়িয়ে দেয়।
প্রতি আক্রমণে মনীষা বল পায়ে বাম ফ্ল্যাঙ্ক ধরে অনেকটা উঠে আসে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মনীষাকে শটের জন্য তার পজিশন ছোট করার জন্য এগিয়েও আসে, কিন্তু ভারতীয় ফরোয়ার্ড মনীষা কোনও সুযোগই দেয়নি কাছে থাকা ব্রাজিলিয়ন ডিফেন্ডারকে। দূরের কোণ থেকে নেওয়া মনীষার জোরালো এবং নিচু শট ব্রাজিলের গোলকিপার সিলভাকে পরাস্ত করে জালের ঠিকানায় জড়িয়ে যেতেই সেলিব্রেশনে মেতে উঠে। ভারত ১-১ গোলের সমতায় ফিরে আসে ম্যাচে। ৩৩ মিনিটে সিলভিয়া মারিয়ার গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। কিন্তু ম্যাচের ৩৭ মিনিটে জিওভানা কস্তার গোলে ব্রাজিল ২-১ গোলের লিড নিয়ে ফেলে।
দ্বিতীয়ার্ধে বোর্হেস আরিয়াদিনা ৫২ এবং ৮১ মিনিটে জোড়া গোল এবং কেরোলিন ফেররাজ ৫৫ মিনিটের করা গোলের সুবাদে ব্রাজিল ৪-১ গোলের বড় লিড নিয়ে নেয়। গেইসে ফেরেরা ৭৬ মিনিটে গোল, ৫-১। ৮১ মিনিটে বোর্হেস আরিয়াদিনার গোল।ফরমিগার শট অদিতি চৌহান শুধুমাত্র বলক্র প্যারি আউট করতে পারে, ফিরতি বলে বোর্হেস স্কোর করে ব্রাজিল ৬-১ গোলে লিড নেয়। রেফারির শেষ বাশিতে ব্রাজিল ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে।
বড় ব্যবধানে হেরেও ভারতীয় সিনিয়র মহিলা দল মুষড়ে পড়েনি। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে খেলার অভিঞ্জতাকে কাজে লাগিয়ে টিম স্পিরিট অটুট রয়েছে, যা ম্যাচ পরবর্তী ভারতীয় সিনিয়র মহিলা ফুটবলারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে পরিষ্কার। ভারতীয় মহিলা দলের পরের ম্যাচ ২৯ নভেম্বর চিলির বিরুদ্ধে।
]]>তিন বছরের ব্যবধান, ফুটবল আর বাইশ গজে ভারতের পারফরম্যান্স ভিন্ন, কিন্তু মিল প্রতিপক্ষে, আর্চ রাইভাল পাকিস্তান। পাকিস্তানের আটোসাটো বোলিং লাইন আপ চলতি ম্যাচে, ভারতের বিরুদ্ধে। শাহিন আফ্রিদ্রি ১৯ রানে দুই,ইমাদ ওয়াসিম ১০ রান দুই ওভারে, হাসান আলি ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট,শাদাব খান ১৮ রানে এক উইকেট, মহম্মদ হাফিজ দুই ওভারে ১২ রান। ৩৯ রানে ঋষভ পহ্ন আউট শাদাব খানের বলে।ভারত ৪ উইকেটে ৯৬ রান, ১৪ ওভারে।
ভারতের মেয়েরা পাকিস্তানকে ১৮-০ গোলের মালা পড়িয়েছিল AFC U19 যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে। বাইশ গজে বিরাট কোহলি ৩৬ রানে, রবীন্দ্র জাডেজা ৬ রানে পাক বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে রুঁখে দাঁড়িয়ে। ইতিহাসের স্রোত কোনদিকে বইছে, সময়ের অপেক্ষা!
]]>মহামেডানের হয়ে মার্কোস ১৯,৭২ মিনিটে আর বুয়াম ৫২ মিনিটে গোল করেন। পেনাল্টি থেকে টালিগঞ্জের হয়ে ক্রিস্টোফার ৮১ মিনিটে বল জালে জড়ান। মহামেডান স্পোর্টিং ম্যাচ জিতলেও অস্বস্তির কাটা রয়েই যাচ্ছে। দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে ম্যাচের ৮০ মিনিটে শাহির শাহিনের রেডকার্ড রাশিয়ান কোচকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
বুধবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে মহামেডান বড় জয় ছিনিয়ে নিতে পারতো। কিন্তু মার্কোস, শেখ ফৈয়াজেদেরর গোলমুখী শট ক্রসপিসে লেগে ফিরে আসে। আর হাফ চান্সকে ফুল চান্সে অর্থাৎ গোলের দরজা খুলতে না পেরে ব্ল্যাক প্যাহ্নার্সরা জিতলেও গোল নষ্টের প্রদর্শনী ম্যাচ উপহার দিয়েছে।
প্রসঙ্গত গত রবিবার ডুরান্ডের মেগা ফাইনালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এফসি গোয়ার হয়ে এডু বেদিয়ার করা একমাত্র গোলে ডুরান্ড কাপ ফাইনালে হেরে যায় মহামেডান স্পোর্টিং। স্বভাবতই এরকম একটা মেগা ফাইনালে হারের ধাক্কার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মাঠে নামলে টিম ছন্নছাড়া থাকে। আর ওই প্রভাব কিছুটা হলেও টালিগঞ্জের বিরুদ্ধে ম্যাচে পড়েছে এদিন। তবে কোয়াটার ফাইনাল মানেই গেম স্পিরিট আলাদা,ভিন্ন মানসিকতার গেম স্টাইল। ডু অর ডাই সিচুয়েশনে ব্ল্যাক প্যাহ্নার্সরা ভবানীপুরের বিরুদ্ধে পুরনো ছন্দে হুঙ্কার ছুঁড়ে দেবে এটাই আশা করছে মহামেডান সমর্থকেরা, ‘জান জান মহামেডান’ স্লোগানে।
]]>দীপেন্দূর বাবা বাঙালী আর মা ছিলেন কেরালার বাসিন্দা। স্বাভাবিকভাবেই তার জিনের মধ্যেই ছিল ফুটবল এবং রাজনীতি। আর দুটোই একসঙ্গে করেছেন তিনি নিজে। ১৯৯৬ সালে জামশেদপুরের টাটা ফুটবল একাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষে মোহনবাগানে যোগদান।

দু’বছর (১৯৯৬, ১৯৯৭) সেখানে খেলে ১৯৯৮য়ে ইস্টবেঙ্গলে চলে যান। ১৯৯৯ সালে আবার মোহনবাগানে ফেরেন। সেখান থেকে দু’ বছরের জন্য (২০০০, ২০০১) ইস্টবেঙ্গলে ফেরা। ২০০২ আর ২০০৩ মহমেডানে কাটিয়ে ২০০৪য়ে তিনি মাহীন্দ্রা ইউনাইটেডে যোগ দেন। ২০০৫ আর ২০০৬য়ে মোহনবাগানে ফিরে আসেন। আর ২০০৭য়ে আবার খেলেন ইস্টবেঙ্গলে। ২০০৮য়ে যান জর্জ টেলিগ্রাফে। ২০০৯য়ে তৃতীয়বারের জন্য যান মহমেডানে এবং ২০১০য়ে সেখানে খেলে ২০১১তে ভবানীপুরে যান।

২০১২তে আবার ফেরেন মোহনবাগানের হয়ে খেলার জন্য। ২০১৩তে আবার তিনি মহমেডানে যান। ২০১৪ অবসরে থেকে, ২০১৫তে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর হয়ে খেলেন, কোচ হবার অফার ফিরিয়ে দিয়ে। প্রায় দুই দশক ভারতীয় ফুটবলে দাপিয়েও তখনো ফুটবলের নেশায় বুঁদ ছিলেন তিনি৷ ২০১৬তে মহমেডানের হয়ে শেষবারের মত খেলেন তিনি। ভারতের হয়ে খেলেছেন প্রাক অলিম্পিক, প্রাক বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ, সাফ গেমস আর আফ্রো-এশিয়ান গেমসে।
২০১৭তে মহমেডানের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান হন তিনি। ২০১৯য়ে তাদের কোচ হন আর ২০২০তে তিনি ছিলেন একই সঙ্গে মহমেডানের সেক্রেটারী ও টেকনিকাল ডিরেক্টর। তারই অধীনে মহমেডান দল ৮ই অক্টোবর ২০২০ থেকে আইলীগের ২য় ডিভিসনে খেলতে নেমেছিল কলকাতায়।

রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ ২০১৪সালে। বসিরহাট থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়ে বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্যর কাছে হেরে যান তিনি। ২০১৬র বিধানসভা ভোটে সেই বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্যকেই ২০০০০ ভোটেরও বেশী ব্যবধানে হারিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ৫ বছরের জন্য বিধানসভা সদস্য হন তিনি। তারপর বহু পথ পেরিয়ে এখন, এই মুহূর্তে তিনি রাজনীতির পেনাল্টি বক্সের বাইরে।

দীপেন্দু জাতীয় লীগ জেতেন মোট ৩ বার, যার মধ্যে ২বার ছিল মোহনবাগানের হয়ে (১৯৯৭ – ১৯৯৮ আর ১৯৯৯ – ২০০০) আর ১বার ইস্টবেঙ্গলের হয়ে (২০০০ – ২০০১)। ২০১৪ সালে তার নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু হয়। পি কে ব্যানার্জীর প্রিয় ছাত্র তাকে নিয়ে প্রবল আন্তঃক্লাব টানাটানি প্রমাণ করে ভারতীয় ফুটবলে তার কার্যকারিতা।
]]>আরও পড়ুন পুজোয় আসছে গোলন্দাজ, তার আগেই নগেন্দ্রপ্রসাদের নামে লিগ চালুর দাবি তুললেন মোহনবাগান কর্তা
সেই বিক্ষোভের ছবিই এবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন বিখ্যাত ফুটবল প্রেজেন্টার জো মরিসন। TEN Sports, TEN Action+, SONY SIX সহ বিভিন্ন চ্যানেলে কাজ করেছেন তিনি। তাঁর জনপ্রিয় শো C2K (কাউন্টডাউন টু কিকঅফ) বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দেয় তাঁকে। তিনিই এবার সবুজ-মেরুন জনতার বিক্ষোভের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘What a photo.’
What a photo: pic.twitter.com/3RfVQxmdmm
— Joe Morrison (@joefooty) September 27, 2021
বিক্ষোভের সূত্রপাত্র গতবছর মোহনবাগান এবং এটিকে মার্জ করায়। যদিও সেই বিক্ষোভ খানিক কমলেও কয়েকদিন আগে থেকেই আবার পথে নেমেছেন মোহনবাগান জনতা। বিতর্ক তৈরি হয়েছিল এটিকের বোর্ড মেম্বার উৎসব পারেখের একটি মন্তব্যে। চলতি বছরে এটিকে-মোহনবাগান এএফসি কাপে খেলছে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের পর্বেও পৌঁছেছিল। যদিও ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে ‘এফসি নাসাফ উজবেকিস্তান’এর কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে গঙ্গাপাড়ের ক্লাবের। কিন্তু এএফসি কাপে খেলা সম্ভব হয়েছে গত বছর কিবু ভিকুনার কোচিংয়ে ‘মোহনবাগান’ আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়।
একটি সাক্ষাৎকারে পারেখ হঠাৎই বলে বসেন, ‘মোহনবাগানের নিজেদের ক্ষমতায় এএফসি কাপে খেলার যোগ্যতা নেই। ওদের কখনও পরিকল্পনাতেও ছিল না যে মোহনবাগান এএফসি কাপে খেলতে পারবে। মোহনাবাগন তো নিজস্ব গায়ের জোরে আজ পর্যন্ত খেলল না। এতদিন সেই কারণেই এএফসি কাপে খেলেনি তারা। এটিকে আসাতেই সেই সুযোগ পেয়েছে তারা। ফলে মোহনবাগান সমর্থকদের এটিকে মোহনবাগানকেই সমর্থন করা উচিত। মোহনবাগান এখন অতীত।’

এটিকের নামও এভাবেই মিলিয়ে যাক, এমনটাই চাইছেন মোহনবাগান জনতা।
পারেখ-কান্ডের পরেই মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের পক্ষ থেকে এটিকে-মোহনবাগানের অন্যতম ডিরেক্টর দেবাশীষ দত্ত এবং সৃঞ্জয় বসু জানিয়ে দেন, সমর্থকদের আবেগকে গুরুত্ব দিতেই হবে। উৎসব পারেখের বক্তব্য অপমান করেছে মোহনবাগানের শতাব্দীপ্রাচীন আবেগকে। তারপরেই এটিকের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয় মোহনবাগান ক্লাবে সভ্য-সমর্থকদের কাছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, উৎসব পারেখের বক্তব্যকে সমর্থন করেন না তাঁরা। যদিও তাতেও কমছে না সবুজ-মেরুন সমর্থকদের রাগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সমর্থক জানিয়েছেন, ‘যতদিন না এটিকের নাম মায়ের নামের সামনে থেকে সরবে, ততদিন আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবো। জো মরিসন আমাদের বিক্ষোভের ছবি টুইট করেছেন, এবার কয়েকদিনের মধ্যেই এটিকের সরে যাওয়ার খবরও তিনি টুইট করবেন।’
প্রসঙ্গত, গত বছরও এটিকে-মোহনবাগানের নতুন জার্সিতে তিনটি স্টার থাকা এবং ক্রমাগত তাদের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বলে উল্লেখ করায় ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা। তাদের ক্রমাগত আন্দোলনের পরে তিন স্টার সরিয়ে নিয়েছে ক্লাব অফিসিয়ালরা। ঝামেলা বেড়েছিল আইএসএলের একটি প্রোমোশনাল ভিডিওকে ঘিরেও। ওই ভিডিওতে দেখা যায় এটিকের অন্যতম কর্ণধার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সবুজ-মেরুন জনতার বিক্ষোভে সেই ভিডিওটিও সরিয়ে নিয়েছিল আইএসএল কর্তৃপক্ষ।
]]>
আরও পড়ুন: এএফসির টিকিটে শুধুই Mohun Bagan, ATK উধাও হওয়ায় উচ্ছ্বসিত সবুজ-মেরুন সমর্থকরা
আরও পড়ুন: নাসাফে নাজেহাল ATK Mohun Bagan, হাফডজন গোল খেয়ে শেষ AFC Cup অভিযান
পিছন থেকে খেলে, সাদা কালো শিবিরের কোচ আন্দ্রে চের্নিশভের উচু বলে পাস বাড়ানোর টার্গেট বারে বারে ধাক্কা খাচ্ছিল। কারণ, গোকুলাম ডিফেন্সে থাকা বউবা আমিনো, ক্যারিবিয়ান ফরোয়ার্ডকে লক্ষ্য করে লম্বা বল এবং ক্রস খুঁজতে একটু অসুবিধা হয়েছিল।

চলতি ডুরান্ডে তিন ম্যাচে হারের যন্ত্রণা নিয়ে ব্ল্যাক প্যান্থার্সেরা টগবগ করে ফুটছিল জয়ের মুখ দেখার জন্যে। ৪০ মিনিটের মাথায় গোকুলামের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। এরপর বল পেয়ে প্রতি আক্রমণে উঠে আসে মহমেডান। এই প্রতি আক্রমণে উঠে আসায় গোকুলামের ডিফেন্স লাইন কেঁপে ওঠে। প্রতি আক্রমণের ঢেউ সামলাতে পারেনি গতবারের ডুরান্ড চ্যাম্পিয়নরা। এই সুযোগে দুরন্ত গোল করেন মার্কাস জোসেফ। মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ১-০ গোলে এগিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মোহনবাগানের শিল্ড জেতা ছাড়াও ১৯১১ সালে আরও দু’টি ঘটনা ঘটেছিল
আরও পড়ুন: ATK-নাম মোছার দাবিতে এবার বিক্ষোভের পথে সবুজ-মেরুন জনতা
এরপর গোকুলাম এফসিও গোলের সমতায় ফিরে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু গোলের লকগেট খুলতে পারেনি। মহামেডানের জমাট ডিফেন্স ভেদ করতে বারে বারে ব্যর্থ হতে হয়। রেফারি শেষ বাঁশি বাজতেই কোয়ার্টার ফাইনালে দারুণ জয় ছিনিয়ে নেয় মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ডুরান্ডের সেমিফাইনালে পৌছে যায় সাদা কালো শিবির।
]]>এক যুগ পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরে প্রথম তিন ম্যাচে চার গোল করেছেন সিআর সেভেন। অন্যদিকে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দিয়ে নিজেকে এখনো মেলে ধরতে পারেননি মেসি। এবার লিও মেসিকে পিছনে ফেলে বিশ্বের সর্বাধিক আয় করা ফুটবলারের শিরোপাও অর্জন করলেন পর্তুগিজ তারকা। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় একনম্বরে আছেন রোনাল্ডো। ২০২০ সালে এই স্থানে ছিলেন মেসি। এবার রোনাল্ডো এগিয়ে গেলেন সেই তালিকায়।
২০২১-২২ মরশুমে সবচেয়ে বেশি আয় করা ফুটবলারদের তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস। ২০২১-২২ মরসুমে তাঁর আয় প্রায় ১২৫ মিলিয়ন ডলার। ক্লাব ফুটবল এবং জাতীয় দল মিলিয়ে রোনাল্ডোর আয় ৭০ মিলিয়ন ডলার। বাকি ৫৫ মিলিয়ন ডলার বিজ্ঞাপনে। মেসির মোট আয় ১১০ মিলিয়ন ডলার। তারমধ্যে ৭৫ মিলিয়ন ডলার রোজগার ফুটবল থেকে। বাকি ৩৫ মিলিয়ন ডলার বিজ্ঞাপন থেকে আসবে। যদিও এ মুহূর্তে ফুটবলবিশ্বে সর্বোচ্চ বেতন পান মেসি। কমার্শিয়াল থেকে করা রোজগারেই মেসিকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন সিআর সেভেন।
আরও পড়ুন রোনাল্ডোকে ছাপিয়ে নতুন রেকর্ড মেসি’র
যদিও বিজ্ঞাপন থেকে করা রোজগারের তালিকায় রোনাল্ডোর আগে রয়েছেন আরও তিনজন ক্রীড়াবিদ। সুইস টেনিস তারকা রজার ফেডেরার (৯০ মিলিয়ন ডলার), মার্কিন বাস্কেটবল তারকা লেব্রন জেমস (৬৫ মিলিয়ন ডলার) ও মার্কিন গলফার টাইগার উডস (৬০ মিলিয়ন ডলার)।
মোট আয়ের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন নেইমার। রোনাল্ডো, মেসি, নেইমার ছাড়াও ফোর্বসের তালিকায় আরও অনেক ফুটবলার রয়েছে। টপ টেনে রয়েছেন এমবাপে (৪৩ মিলিয়ন ডলার), লেওয়নডোস্কি (৩৫ মিলিয়ন ডলার), ইনিয়েস্তা (৩৫ মিলিয়ন ডলার), পল পোগবা (৩৪ মিলিয়ন ডলার), গ্যারেথ বেল (৩২ মিলিয়ন ডলার) ও এডেন হ্যাজার্ড (২৯ মিলিয়ন ডলার)।
]]>আরও পড়ুন ‘মোহন’-এর নামেই ‘বাগান’ এগিয়ে চলেছে;, এটিকেকে ঠুকলেন প্রসুন?‘
জয়ের ব্যপারে আশাবাদী কোচ অ্যান্তোনীয় লোপেজ হাবাসও। হাবাস বলেছেন, “বিশ্বে কোনও কোচই জয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তবে দুবাইয়ে আমাদের প্রস্তুতি বেশ ভাল হয়েছে। নাসাফ যে যথেষ্ট শক্তিশালী, তা আমাদের মাথায় আছে। ওদের হারানোর মতো ক্ষমতা আমাদের আছে।”
Let’s do this Mariners. ALL TOGETHER. Vamos!! #InterZonalSEMIFINALS #AFC pic.twitter.com/qvFi4PqkK9
— Manuel Cascallana (@manucascallana) September 21, 2021
১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এফসি এফসি নাসাফ উজবেকিস্তান সুপার লিগে কারশি শহরের প্রতিনিধিত্ব করে। উজবেকিস্তানের অন্যতম সফল ক্লাব তাদের সমর্থকদের কাছে “ড্রাগন” নামে বেশি জনপ্রিয়। গত মরশুমে উজবেক লিগে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে তারা। এর আগে দু’বার এএফসি কাপে অংশগ্রহন করেছে তারা। ২০১১ সালে এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছে।
The #Mariners have been putting in the hard yards in Kolkata
, Dubai
& Karshi
!
Tonight, they take the field for what could be a historic night in #IndianFootball!
Come on boys!
#JoyMohunBagan
#ATKMohunBagan #MarinersInAsia #IndianFootball pic.twitter.com/0SzM4kfpTP
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) September 22, 2021
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল এটিকের বোর্ড মেম্বার উৎসব পারেকের একটি মন্তব্যে। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি হঠাৎই বলে বসেন, ‘মোহনবাগানের নিজেদের ক্ষমতায় এএফসি কাপে খেলার যোগ্যতা নেই। ওদের কখনও পরিকল্পনাতেও ছিল না যে মোহনবাগান এএফসি কাপে খেলতে পারবে। মোহনবাগান সমর্থকদের এটিকে মোহনবাগানকেই সমর্থন করা উচিত। মোহনবাগান এখন অতীত।’
তাঁর এই মন্তব্যের পরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিল বাগান সমর্থকরা। #RemoveATK এবং #BreakTheMerger হ্যাসট্যাগ দুটি আবার ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখনও ATK-এর সঙ্গে মাতৃসম ক্লাব মোহনবাগানের (Mohun Bagan) মার্জার ভাঙার দাবিতে ক্রমাগত বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আপামর সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে মোহনবাগানের বর্তমান জার্সি এবং পালতোলা নৌকার ছবি দেওয়া মাস্ক পরে এটিকে’কে একহাত নিয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
মোহনবাগানকে আসন্ন ম্যাচের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রসুন। ‘রয় কৃষ্ণা টিমের হিরো’, ‘কোটাল-প্রবীর দুর্দান্ত খেলছে’, ‘হাবাসকে ধন্যবাদ’ শোনা গেলেও গোটা ভিডিওতে একবারও তাঁর মুখে আসেনি এটিকের নাম। বারবার ‘মোহনবাগান’ সম্বোধন করেই তিনি জানান, “মোহনবাগান মোহনবাগানের নামেই এগিয়ে চলেছে। বাকি সব গৌণ। মোহনবাগান মা, ২২ তারিখ সবাই সব ভুলে টিভির সামনে বসে গলা ফাঁটাবে মোহনবাগানের জয়ের জন্য। ইতিহাস তৈরি করবে মোহনবাগান।”
Best wishes to Antonio Lopez Habas ,Roy Krishna and others in ATK Mohun Bagan to keep the Indian Flag flying vs FC Nasaf of Uzbekistan in AFC Cup today. pic.twitter.com/vTOVRDirFS
— Gautam Roy (@gautamfootball) September 22, 2021
যদিও এই সমস্ত কিছুতে মোহনবাগান খেলোয়াড়দের মনোবলে সমস্যা না হয় সেদিকেও নজর রাখছেন কর্তারা। দু’দিন আগেই মোহনবাগান দলকে ভার্চুয়াল শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ভারী বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এবং কলকাতার জমা জল ঠেলেই ময়দানে জমা হয়েছিলেন সবুজ মেরুন সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ম্যাচের আগেই ক্লাবের তরফে যাবতীয় শুভেচ্ছাবার্তা মোহনবাগান শিবিরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সুদূর তাসখন্দে বসেও যাতে সমর্থকদের ভালবাসা এবং সমর্থন পায় রয় কৃষ্ণা-ডেভিড উইলিয়ামস-প্রীতম কোটাল-প্রবীর দাসরা।
]]>Ruziqul Berdiev, Head Coach-FC Nasaf
: "When we studied the Indian club (ATK Mohun Bagan), we learned that they are a strong opponent, and the leading team from India. The team is well-formed & built." [via @itsShriJ]
#AFCCup2021 #ATKMohunBagan #FCNasaf pic.twitter.com/wO6ByrHVWT
— 90ndstoppage (@90ndstoppage) September 21, 2021
আরও পড়ুন ‘মোহন’-এর নামেই ‘বাগান’ এগিয়ে চলেছে, এটিকে’কে ঠুকলেন প্রসুন?‘
অন্যদিকে এএফসি কাপের আন্তঃজোনাল পর্বের সেমিফাইনাল খেলতে ইতিমধ্যেই তাসখন্দে পৌঁছে গিয়েছে মোহনবাগান। সোমবার বিকেলে তাসখন্দের কারশি স্টেডিয়ামের মাঠে অনুশীলন করে এটিকে মোহনবাগান। উজবেকিস্তানের দলের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে কারা খেলবেন তা এখনও ঠিক করেননি সবুজ-মেরুন কোচ আন্তোনিয়ো হাবাস।
Dubai
Uzbekistan
Our #Mariners are en route to the venue for the crucial #AFCCup fixture!
#ATKMohunBagan #JoyMohunBagan #IndianFootball pic.twitter.com/7Wdk0CKVYe
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) September 19, 2021
১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এফসি এফসি নাসাফ উজবেকিস্তান সুপার লিগে কারশি শহরের প্রতিনিধিত্ব করে। উজবেকিস্তানের অন্যতম সফল ক্লাব তাদের সমর্থকদের কাছে “ড্রাগন” নামে বেশি জনপ্রিয়। গত মরশুমে উজবেক লিগে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে তারা। এর আগে দু’বার এএফসি কাপে অংশগ্রহন করেছে তারা। ২০১১ সালে এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল এটিকের বোর্ড মেম্বার উৎসব পারেকের একটি মন্তব্যে। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি হঠাৎই বলে বসেন, ‘মোহনবাগানের নিজেদের ক্ষমতায় এএফসি কাপে খেলার যোগ্যতা নেই। ওদের কখনও পরিকল্পনাতেও ছিল না যে মোহনবাগান এএফসি কাপে খেলতে পারবে। মোহনবাগান সমর্থকদের এটিকে মোহনবাগানকেই সমর্থন করা উচিত। মোহনবাগান এখন অতীত।’
তাঁর এই মন্তব্যের পরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিল বাগান সমর্থকরা। #RemoveATK এবং #BreakTheMerger হ্যাসট্যাগ দুটি আবার ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখনও ATK-এর সঙ্গে মাতৃসম ক্লাব মোহনবাগানের (Mohun Bagan) মার্জার ভাঙার দাবিতে ক্রমাগত বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আপামর সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে মোহনবাগানের বর্তমান জার্সি এবং পালতোলা নৌকার ছবি দেওয়া মাস্ক পরে এটিকে’কে একহাত নিয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
মোহনবাগানকে আসন্ন ম্যাচের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রসুন। ‘রয় কৃষ্ণা টিমের হিরো’, ‘কোটাল-প্রবীর দুর্দান্ত খেলছে’, ‘হাবাসকে ধন্যবাদ’ শোনা গেলেও গোটা ভিডিওতে একবারও তাঁর মুখে আসেনি এটিকের নাম। বারবার ‘মোহনবাগান’ সম্বোধন করেই তিনি জানান, “মোহনবাগান মোহনবাগানের নামেই এগিয়ে চলেছে। বাকি সব গৌণ। মোহনবাগান মা, ২২ তারিখ সবাই সব ভুলে টিভির সামনে বসে গলা ফাঁটাবে মোহনবাগানের জয়ের জন্য। ইতিহাস তৈরি করবে মোহনবাগান।”
যদিও এই সমস্ত কিছুতে মোহনবাগান খেলোয়াড়দের মনোবলে সমস্যা না হয় সেদিকেও নজর রাখছেন কর্তারা। আজই মোহনবাগান দলকে ভার্চুয়াল শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ভারী বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এবং কলকাতার জমা জল ঠেলেই ময়দানে জমা হয়েছিলেন সবুজ মেরুন সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ম্যাচের আগেই ক্লাবের তরফে যাবতীয় শুভেচ্ছাবার্তা মোহনবাগান শিবিরে পৌঁছে দেওয়া হবে। সুদূর তাসখন্দে বসেও যাতে সমর্থকদের ভালবাসা এবং সমর্থন পায় রয় কৃষ্ণা-ডেভিড উইলিয়ামস-প্রীতম কোটাল-প্রবীর দাসরা।
]]>আরও পড়ুন বার্সেলোনার নতুন ভরসা আনসু ১০ ফাতি
প্রসুণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ফুটবলার এবং অর্জুন পুরস্কারে (১৯৭৯) সম্মানিত। সেন্ট্রাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসাবে মোহনবাগান ক্লাবের সর্বকালের সেরা একদশ দলে বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মোহনবাগানের হয়ে টানা পাঁচ বছর (১৯৭৪-১৯৭৮) অধিনায়কত্ব করেছেন। ক্লাব জীবনে পাঁচটি আইএফএ শিল্ড-সহ মোট ২৮টি ট্রফি তুলেছেন গঙ্গাপাড়ের ক্লাব তাবুতে। মোহনবাগানের বর্তমান জার্সি এবং পালতোলা নৌকার ছবি দেওয়া মাস্ক পরে এবার সবুজ-মেরুনকে আসন্ন এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্ট করা সেই ভিডিও দেখেই অনুরাগীরা বলছেন, ‘এটিকে’কে ঠুকেছেন মোহনাবাগানের ঘরের ছেলে প্রসুন’।

কর্পোরেট ‘এটিকে মোহনবাগান’ নয়, শতাব্দীপ্রাচীন ‘মোহনবাগান’ এর ঐতিহ্যের কথাই বারবার বুঝিয়েছেন প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এটিকে-মোহনবাগান এএফসি কাপে খেলছে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের পর্বেও পৌঁছেছে। ২২ সেপ্টেম্বর ইন্টারজোনাল সেমিফাইনাল খেলতে নামবে ‘এফসি নাসাফ উজবেকিস্তান’ এর বিরুদ্ধে। এই সবই সম্ভব হয়েছে গত বছর কিবু ভিকুনার কোচিংয়ে ‘মোহনবাগান’ আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়। কিন্তু তারমাঝেই বিতর্ক তৈরি করে এটিকের বোর্ড মেম্বার উৎসব পারেখ একটি সাক্ষাৎকারে হঠাৎই বলে বসেন, ‘মোহনবাগানের নিজেদের ক্ষমতায় এএফসি কাপে খেলার যোগ্যতা নেই। ওদের কখনও পরিকল্পনাতেও ছিল না যে মোহনবাগান এএফসি কাপে খেলতে পারবে। মোহনবাগান সমর্থকদের এটিকে মোহনবাগানকেই সমর্থন করা উচিত। মোহনবাগান এখন অতীত।’
মোহনবাগানকে আসন্ন ম্যাচের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রসুন। ‘রয় কৃষ্ণা টিমের হিরো’, ‘কোটাল-প্রবীর দুর্দান্ত খেলছে’, ‘হাবাসকে ধন্যবাদ’ শোনা গেলেও গোটা ভিডিওতে একবারও তাঁর মুখে আসেনি এটিকের নাম। বারবার ‘মোহনবাগান’ সম্বোধন করেই তিনি জানান, “মোহনবাগান মোহনবাগানের নামেই এগিয়ে চলেছে। বাকি সব গৌণ। মোহনবাগান মা, ২২ তারিখ সবাই সব ভুলে টিভির সামনে বসে গলা ফাঁটাবে মোহনবাগানের জয়ের জন্য। ইতিহাস তৈরি করবে মোহনবাগান।”
আরও পড়ুন ATK-নাম মোছার দাবিতে এবার বিক্ষোভের পথে সবুজ-মেরুন জনতা
১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এফসি এফসি নাসাফ উজবেকিস্তান সুপার লিগে কারশি শহরের প্রতিনিধিত্ব করে। উজবেকিস্তানের অন্যতম সফল ক্লাব তাদের সমর্থকদের কাছে “ড্রাগন” নামে বেশি জনপ্রিয়। গত মরশুমে উজবেক লিগে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে তারা। এর আগে দু’বার এএফসি কাপে অংশগ্রহন করেছে তারা। ২০১১ সালে এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। তাদের হারাতে পারলে ভারতীয় ক্লাব হিসেবে ইতিহাস গড়বে মোহনবাগান। এটিকে’কে ভুলে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের সেই পালতোলা নৌকোর সেই ইতিহাসের কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন ‘মোহনবাগান রত্ন’ (২০১৯) প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়।
]]>স্পেনের ১৮ বছরের এই বিস্ময় বালককে নিয়ে এর মধ্যেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে গোটা দুনিয়া। পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম দরিদ্র দেশ গুইনিয়া-বিসাউতে জন্ম তার। ছোটো থেকেই ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। তার বাবা বোরি বুঝতে পারেন, যে দেশে ৬৯ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে এবং ২৫ শতাংশ অপুষ্টির শিকার সেখানে ফুটবলের স্বপ্ন সত্যি হওয়া একটি খুব কঠিন বিষয়। মাত্র ৬ বছর বয়সে হারারে, সেভিল্লাতে ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে পরিবারসহ চলে আসেন তিনি।

ছোটবেলায় আর্থিক স্বাচ্ছল্য না থাকায় রাস্তায় খেলে বেড়ানো ছেলেটির ফুটবল অভিষেক হয় মাত্র ১৬ বছর বয়সে। এর মধ্যেই জাতীয় দল স্পেন এবং বার্সেলোনার নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠেছে আনসু ফাতি। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই তার নামের পিছনে থাকা রেকর্ডের সংখ্যা তার বয়সের সংখ্যার থেকে বেশি। ১৯৩৬ সালে স্পেনের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ১৭ বছর ২৮৩ দিন বয়সের অ্যাঞ্জেল জুবিয়েতা। তার ঠিক ৮৪ বছর বাদে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় আনসু ফাতির। বয়স ১৭ বছর ৩০৭ দিন, জুবিয়েতার থেকে মাত্র ২৪ দিনের বড়। স্পেনের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার তিনদিনের মাথায় অবশ্য ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গোল করে স্পেনের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার পালক মুকুটে গোঁজেন তিনি। ম্যাচটিতে স্পেন ৪-০ গোলে যেতে। গোল করে ওয়েন রুনি, কিলিয়ান এমবাপে, মইসে কেনদের ক্লাবে ঢুকে পড়লেন আনসু ফাতি।
গত বছর থেকেই কাতালুনিয়ান ক্লাব বার্সেলোনার সিনিয়র টিমের হয়ে খেলছেন তিনি। এর আগে ২০১০-২০১২ সেভিল্লার যুব দলে খেলে যোগ দেন বার্সেলোনার বিখ্যাত ‘লা মাসিয়া’ অ্যাকাডেমিতে। ২০১৯ সালে যুব দল থেকে সিনিয়র দলে আসেন। ৩১ নম্বর জার্সি পরে উইঙ্গার পজিশনে খেলা আনসু ফাতি ইতিমধ্যে বার্সার হয়ে ২৪ টি ম্যাচে ৭ টি গোল করে ফেলেছেন তিনি। লা লিগায় বার্সেলোনার হয়ে তিনি ওসাসুনা, ভ্যালেন্সিয়ার মতো দলের বিরুদ্ধে গোল পেয়েছেন। ২০১৯ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইতালির বিখ্যাত ক্লাব ‘ইন্টার মিলান’য়ের জালে বল জড়িয়ে লিগের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হন।

বার্সেলোনায় তার সামনেই খেলতেন পৃথিবীর অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। এছাড়াও লুইস সুয়ারেজ, অ্যান্তেনো গ্রিয়েজম্যান, আর্তুরো ভিদালের মতো খেলোয়াড়দের সাথে খেললেও এযাবৎ কোনও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যায়নি তার মধ্যে। বরং প্রতি মুহূর্তেই যেন নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ নিয়েই বল দখলের লড়াইতে ছোটেন তিনি।
আরও পড়ুন সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোয় সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে দেশের ওয়েব পোর্টালের একাংশ
ইতিমধ্যেই বার্সেলোনা ছেড়েছেন লুইস সুয়ারেজ, অ্যান্তেনো গ্রিয়েজম্যান, আর্তুরো ভিদালরা। সাধের ক্লাব ছেড়ে প্যারিস সাঁ-জাঁ জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন লিওনেল মেসিও। প্রবল যন্ত্রণা ও হতাশার মাঝেই বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন আর্জেন্তাইন কিংবদন্তী। ফুটবল বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই অবস্থায় ‘বিস্ময় বালক’ আনসু ফাতিই সামনের মরশুমে ভরসা দিতে চলেছেন বার্সেলোনাকে। বোধহয় সে কথাই বিশ্বাস করেন বার্সার ক্লাব অফিসিয়ালরাও। ফলে ক্লাবের তরফ থেকে মেসির বিখ্যাত জার্সি নম্বর তুলে দেওয়া হল আনসু ফাতির পিঠেই। অন্যদিকে তার কন্ট্র্যাক্ট রিনিউ করাও এখন বড় কাজ কাতালুনিয়ান ক্লাবের কাছে। কয়েকদিন আগেই শোনা গিয়েছে মেসিকে না পেয়ে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি চাইছে ফাতিকে। কিন্তু নিজেদের নতুন তারকাকে হারাতে রাজি নয় বার্সেলোনাও।
শুধু বার্সেলোনাই নয়, এই ফর্ম ধরে রাখতে পারলে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে স্পেনেরও অন্যতম শক্তি হতে চলেছেন তিনি। অন্তত তার খেলা দেখে এমনটাই মত তামাম বিশ্বের ফুটবল বোদ্ধাদের।
]]>অবশেষে চুক্তিজট কাটার পর ইস্টবেঙ্গলের নজর আপাতত নতুন মরশুমের দল গঠনে। চুক্তি অনুযায়ী চলতি সরশুমেও দল গড়ার দায়িত্ব ইনভেস্টরদের। তবে ক্লাব কর্তারা ফুটবলার বাছাইয়ের কাজে প্রয়োজনে সবরকম সাহায্য করবেন বিনিয়োগকারী সংস্থাকে। দেবব্রত সরকার (নীতু) জানিয়েছেন, ‘আমাদের তরফেও ফুটবলারদের একটি তালিকা তৈরি করা রয়েছে। দল গড়ার দায়িত্ব বিনিয়োগকারীদের হলেও ওরা যদি আমাদের থেকে কোনওরকম সাহায্য চায়, আমরা প্রস্তুত আছি।’ প্রায় শেষ মূহুর্তে দল গড়তে হলেও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় রয়েছেন লাল-হলুদ অফিশিয়ালদের তালিকায়। যাদের নিয়েই দ্বিতীয় আইএসএলে বাজিমাত করতে চাইছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।

১. করণজিৎ সিং: চেন্নাইয়ান এফসির গোলকিপারকে সম্প্রতি ম্যানেজমেন্ট ছেড়ে দিয়েছে। অভিজ্ঞ এই গোল্পকিপার সাফ কাপ এবং বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাকে দলে নিতে পারে ইস্টবেঙ্গল। সেক্ষেত্রে গোটা টুর্নামেন্টে টানা না খেলিয়ে বিশ্রাম দেওয়া যাবে দেবজিত মজুমদারকে।

২. শিলটন ডি সিলভা: প্রাক্তন মোহনবাগান আই লিগ-বিজয়ী মিডফিল্ডার ইতিমধ্যেই গত বছর মহমেডান এসসি-র হয়ে দারুণ মরশুম কাটিয়েছেন। তাঁর গতি আইএসএলের অনেক দলের স্কাউটকেই মুগ্ধ করেছিল। ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট তাকে দলে নিলে মাঝমাঠের সমস্যা কমবে লাল-হলুদের।

৩. থোই সিং: ৩০ বছর বয়সী রাইট-উইঙ্গার ইস্টবেঙ্গল অফিশিয়ালদের রাডারে অন্যতম হাই প্রোফাইল নাম। গত ৫ বছরে চেন্নাইয়ান এফসির হয়ে বহু ম্যাচে থই তাঁর দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।

৪. আব্দুল হাক্কু: এই কম বয়সী ইউটিলিটি ডিফেন্ডার ইস্টবেঙ্গলের টার্গেট লিস্টের অন্যতম নাম। হাক্কু সেন্টার ব্যাক এবং ফুলব্যাক দুই পজিশনেই স্বচ্ছন্দ। ইস্টবেঙ্গল গত বছর ডিপ ডিফেন্স নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল। আব্দুল হাক্কু টিমে এলে রবি ফাউলারের ডিফেন্স নিয়ে দুশ্চিন্তা কমতে পারে।
৫. তন্ময় ঘোষ: গত বছর ২৯ বছর বয়সী তন্ময় আইএফএ শিল্ডে জর্জ টেলিগ্রাফের হয়ে খেলার সময়ই ইস্টবেঙ্গল স্কাউটদের নজরে পড়েছিলেন।

৬. মাইকেল রেজিন: গত বছর ইস্টবেঙ্গল গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই একজন ভালো মানের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের অনুপস্থিতি অনুভব করেছে। আই লিগে চেন্নাই সিটি এফসি -র হয়ে খেলার সময় তাঁর ডিফেন্সিভ ক্ষমতা যথেষ্ঠ প্রশংসা পেয়েছিল। তাঁকে এবার টার্গেট করেছে ইস্টবেঙ্গল।
]]>