Gandhi Smriti – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 02 Oct 2021 06:35:29 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Gandhi Smriti – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 মহাত্মার অনুগত জিডি বিড়লা আপত্তি তুলেছিলেন গান্ধী স্মৃতি গড়ায় https://ekolkata24.com/offbeat-news/gd-birla-a-loyalist-of-the-mahatma-gandhi-objected-to-the-construction-of-gandhi-smriti Sat, 02 Oct 2021 06:35:29 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6287 বিশেষ প্রতিবেদন: দিল্লিতে অবস্থিত গান্ধী স্মৃতি (Gandhi Smriti) নামে যে মিউজিয়ামটি গড়ে উঠেছে সেটি এক সময় ছিল বিড়লা হাউস বা বিড়লা ভবন৷ এই বাড়িটিতেই ১৯৪৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) জীবনের শেষ ১৪৪টি দিন কাটিয়েছিলেন৷ ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি বিড়লা পরিবারের ওই ভবন চত্বরেই নাথুরাম গডসে-র গুলিতে মৃত্যু হয় মহাত্মার৷ 

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু চেয়েছিলেন বাপুজীর স্মৃতি বিজড়িত ওই ভবনেই গড়ে উঠুক তাঁর স্মৃতি মন্দির৷ কিন্তু সেইসময় সে বিষয়ে বাদ সেধেছিলেন গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বিড়লা গোষ্ঠীর কর্তা ঘনশ্যাম দাস বিড়লা৷ আর এ নিয়ে কিছুটা মতবিরোধ দেখা গিয়েছিল জিডি-র সঙ্গে নেহরুর৷ সে কথা উল্লেখ রয়েছে ডঃ প্রজ্ঞারামের লেখা The Voice of the Mahatama তে ৷

১৯২৮ সালে দিল্লিতে ১২ শয্যা বিশিষ্ট ওই বাড়িটি গড়েছিলেন শিল্পপতি ঘনশ্যামদাস বিড়লা৷ গান্ধীজির নিয়মিত যাতায়াতে এই বিড়লা হাউস যেন হয়ে উঠেছিল তাঁর বাড়ি ৷ শুধু গান্ধীজিকে ঘিরে আরও অনেক রাজনৈতিক নেতাকেই সেই সময় আসতে দেখা যেত ওই ভবনে৷ স্বাভাবিক ভাবেই গান্ধীজির মৃত্যুর পরে প্রধানমন্ত্রী নেহরু চেয়েছিলেন গান্ধীর স্মৃতি জড়িয়ে থাকা এই বাড়িটিকে জাতীয় সৌধ রূপে গড়ে তুলতে৷ সেই মতো তিনি বিড়লা পরিবারের কাছে প্রস্তাব দেন৷ কিন্তু সেই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি বিড়লাদের৷ কারণ তারই জবাবে জিডি বিড়লা নেহরুকে লিখেছিলেন, এই বাড়ি স্মৃতির ভাণ্ডার যা তাঁর কাছে একটি বইয়ের মতো হয়ে রয়েছে যা স্মরণ করে তিনি গভীরভাবে উপভোগ করেন৷ ফলে সরকারের পক্ষ থেকে তখন পরামর্শ ছিল যেখানে মহাত্মা নিহত হয়েছিল ভবনের সেই অংশটি গান্ধীজীর স্মৃতিতে হস্তান্তর করা হোক৷

কিন্তু তখন সেটাও মানতে পারেননি জিডি বিড়লা৷ তিনি জবাবে জানিয়েছিলেন, এটা যেন কাউকে বলা হচ্ছে সন্তানকে কেটে দু’ ভাগ করে একটি অংশ রেখে দিয়ে অন্য অংশ দিয়ে দিতে বলা৷ তবে ওই জায়গাটা দেওয়ার জন্য বিড়লা পরিবারের উপর অনবরত চাপ দেওয়া হতে থাকে৷ যদিও বল্লভভাই প্যাটেল এইভাবে বাড়িটিকে অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেছিলেন৷ তখন তাঁর বক্তব্য ছিল, এমনটা করা মানে গান্ধীজি এবং জিডি বিড়লার অনুভূতিকে মর্যাদা না দিয়ে বরং খারাপ ভাবে জোরজবরদস্তি করা হচ্ছে৷ পরে প্যাটেলের মৃত্যু হলেও ওই বাড়ি নিয়ে টানাপোড়েন শেষ হয় না৷

সময়ের তালে প্রধানমন্ত্রীরও পরিবর্তন হয় এদেশে৷ জহরলাল নেহরুর জমানা শেষ হয়ে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর পরে ইন্দিরা গান্ধীর জমানা শুরু হয়৷ তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিড়লা পরিবারের উপর ক্রমাগত চাপ দেওয়ার পাশাপাশি চলছিল ভবনটির দাম নিয়ে দরাদরি করা৷ অবশেষে বিড়লাদের কাছ থেকে সরকার ৫৪ লক্ষ টাকায় এই বাড়িটি কিনে নেয়৷ ১৯৭১ সালের ২ অক্টোবর কিছুটা অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিড়লা ভবনটি গান্ধী সদনে পরিণত করতে তুলে দেওয়া হয় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরির হাতে৷

তখন জিডি বিড়লার পরিবার এই বাড়ি ছেড়ে বসন্ত কুঞ্জে একটি ভাড়া বাড়িতে বাস করতে থাকেন, যতদিন না পর্যন্ত অমৃতা শেরগিল মার্গে নতুন বাংলো ‘মঙ্গলম’ গড়ে ওঠে৷ কালের স্রোতে এই বিড়লা হাউসটি জাতীয় সৌধ হিসেবে গড়ে ওঠে এবং নাম হয় গান্ধী স্মৃতি এবং দর্শন সমিতি৷

১৯৭৩ সালের ১৫ অগস্ট থেকে এই ভবনটি সাধারণের পরিদর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হয়৷ সেখানে সংগৃহীত রাখা রয়েছে গান্ধীর জীবন ও মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত নানা সামগ্রী৷ ২০০৫ সালে এখানে গান্ধীকে ভিত্তি করে একটি মাল্টিমিডিয়া মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়েছে৷

(উপরের অংশটি সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘সওদাগরের দোসর’ বইটির অংশ বিশেষ ৷ বইটির প্রকাশক সৃষ্টিসুখ ৷ মূল্য ১৬০টাকা ৷)

]]>