Ghoramara island – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Wed, 29 Sep 2021 07:24:03 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Ghoramara island – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Environment: জলেই জীবন ছারখার, এক দশকেই নিশ্চিহ্ন হবে ঘোড়ামারা https://ekolkata24.com/offbeat-news/ghoramara-island-will-be-vanished-within-next-few-years-from-map Tue, 28 Sep 2021 06:13:27 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5817 বিশেষ প্রতিবেদন: মেরেকেটে আর বছর দশেক। সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে যাবে ঘোড়ামারা (Ghoramara island)দ্বীপ। মানচিত্রে এর কোনও অস্তিত্ব আর থাকবে না বলেই জানাচ্ছেন ভূ-বিজ্ঞানীরা। 

দেবীশংকর মিদ্যা জানিয়েছেন, “১৮৫৫ সাল, তখনও ঘোড়ামারা দ্বীপ অবিচ্ছিন্ন ছিল সাগর দ্বীপের অংশ । ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে এই দ্বীপ-খন্ড সাগরদ্বীপ থেকে বেশ খানিকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইংরেজরা এর নাম দিয়েছিল মাড পয়েন্ট। ১৮৯০ সাল থেকে ঘোড়মারার দ্রূত ভূমিক্ষয় শুরু হয়। অতি দ্রূত অবলুপ্ত হতে থাকে তার দক্ষিণাংশের লাগোয়া দ্বীপ লোহাচড়া , খাসিমারা ও সুপারিভাঙা । ১৯০৩ সালে তা সাগরদ্বীপ থেকে অনেকটা দূরে চলে যায়। “

আরও পড়ুন: দুর্গা সপ্তশতী: শতাব্দী প্রাচীন মহাকাব্যটি নবরাত্রির আধ্যাত্মিক মেরুদণ্ডকে কীভাবে রূপ দিয়েছে

১৯৭১ সাল, ওই সময়ে ঘোড়ামারার ভূমির পরিমাণ ছিল ৮.১৪ বর্গকিলোমিটার, ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের একটি জরিপে এর ভূমির পরিমাণ দাঁড়ায় ২.৯৪ বর্গ কিমি । বৈজ্ঞানিক ও বাস্তুবিদগণ বলছেন , আগামী দশ বছরের মধ্যে এই দ্বীপের সম্পূর্ণ অবলুপ্ত ঘটবে।

Ghoramara island

ডঃ সুনন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাগরদ্বীপের অবক্ষয়ের মানচিত্র থেকে এর অবলুপ্তির চিত্র বোঝা যায়। ভূ-বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা সাইক্লোন ও জলোছ্বাসের বেড়ে যাওয়ায় ঘোড়ামারার সম্পূর্ণ অবলুপ্তি হলে জল সরাসরি আঘাত করবে মূল ভুখন্ড ৮ নং প্লটে । যদিএরপর এর অবক্ষয়ও দ্রূত শুরু হবে ।

আরও পড়ুন:কোভিডের কারণে মানুষের গড় আয়ু কমেছে, চাঞ্চল্য অক্সফোর্ডের সমীক্ষায়

দেবীশংকর মিদ্যা আরও জানিয়েছেন, “একটি দ্বীপের অবলুপ্তি কেবল ভূমিক্ষয়ের অবলুপ্তি নয় , এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে, ধাপে ধাপে সৃষ্টি হওয়া মানুষের ঐতিহ্য, আবেগ, সংস্কৃতি, ইতিহাস , জীববৈচিত্র ও কৃষ্টির অবক্ষয়ও যা হয়তো আমরা আর কোনও দিন ফিরে পাবোনা । ঘোড়ামারার বৈশিষ্ট্য ছিল মগ পর্তুগিজ উদ্বংশীয়দের বসবাসকারী কয়েকটি গ্রাম। তাদের ঐতিহ্য আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

Ghoramara island

তাঁর কথায়, “প্রত্নতাত্বিক ঐতিহ্যে এই দ্বীপ খুবই সমৃদ্ধ । এর অবক্ষয়িত ভূমি থেকে সংগৃহীত হয়েছে , রকমারি মৃৎপাত্র, পোড়ামাটির তৈজস পত্র, সুপ্রাচীন পুতুল , রঙবেরঙের প্রস্তর পুঁতি, মহিষমর্দিনী, বিষ্ণু , সূর্য , লিঙ্গশিবের খন্ডাংশ, তামার কাস্ট কয়েন, লিঙ্গ আবরিত দেব-দেবীর মোটিফ , পশু , জলচর প্রাণীর অর্ধ ফসিলিকৃত হাড় , মুন্ডমূর্তি সহ বিভিন্ন প্রত্নসম্ভার । মিলেছে সপ্তাশ্ব বাহিত রথে সূর্য দেবতাও। সবকিছুই এবার হারিয়ে যাবার মুখে।”

আরও পড়ুন:Bangladesh: মরার পরে গিনেস স্বীকৃতি! সবচেয়ে ছোট গোরু রানি

ধান আর পান। দুইয়ের জন্যই বিখ্যাত ঘোড়ামারা দ্বীপ। এখন এর দিকে হা হা করে ছুটে আসছে জল। সাফ হয়ে গিয়েছে দ্বীপের নব্বই ভাগ। ভূমি দফতরের রেকর্ড বলছে, দ্বীপের আয়তন ছিল ২৯ হাজার বিঘে। এখন দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ হাজার বিঘেতে। বছরভর পাড় ভাঙছে। বর্ষার তিন মাস তো বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ে দ্বীপের একেবারে মাঝখানে। আগে ঢুকে পড়া জল স্লুইস গেট দিয়ে বার করে দেওয়া হতো। স্লুইস গেট ছিল মাইতিপাড়ায়, চুনপুড়িতে। বছর তিনেক আগে জলের তোড়ে স্লুইস গেট-ই ভেঙে গিয়েছে। এখন জল বার করা যায় না। গিরিপাড়া, রায়পাড়া, বৈষ্ণবপাড়া, পাত্রপাড়া, খাসিমারার বেশির ভাগটা জলের তলায়। চুনপুড়ির পূর্বপাড়া, হাটখোলা জলের তলায় গেল বলে!

Ghoramara island

২০০১ সালে তৎকালীন বাম সরকার ঘোড়ামারাকে ‘নো-ম্যানস ল্যান্ড’ বলে ঘোষণা করেছিল, জানালেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। কান্তিবাবু দীর্ঘদিন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী ছিলেন। আজও তিনি সুন্দরবনের ভাল-মন্দের অংশীদার। ঘোড়ামারা সম্পর্কে কান্তিবাবু বলেন, ‘‘ওই দ্বীপকে বাঁচানো যাবে না। তাই সাগরদ্বীপে ওই দ্বীপবাসীদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবু এখনও বহু মানুষ রয়েছেন।’’ বর্তমানে সাগরের বিধায়ক এবং সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বঙ্কিম হাজরাও কান্তিবাবুর সুরে সুর মিলিয়ে বললেন, ‘‘কয়েক হাজার মানুষ বাস করছে ওই দ্বীপে। নদী ভাঙন ঠেকাতে কিছুটা অংশে খাঁচা বসানোর কাজ শুরু করা
হয়েছে।” কিন্তু এ ভাবে কত দিন আর ঠেকিয়ে রাখা যাবে!।

আরও পড়ুন: Offbeat News: বাংলা তাঁর নিজের মেয়েকে ভুলে যায়

দ্বীপবাসীদের অসহায়তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পরিবেশকর্মী সৌমিত্র ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘যুদ্ধ, দেশভাগ, দাঙ্গা, মহামারীর জন্য মানুষ উদ্বাস্তু হয়। কিন্তু ঘোড়ামারার মানুষ জলবায়ু-উদ্বাস্তু!’’ এখানে জলই জীবনকে ছারখার করে দিচ্ছে।

]]>