girls – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Tue, 21 Dec 2021 17:39:21 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png girls – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 মেয়েদের বিয়ের বয়স সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী https://ekolkata24.com/uncategorized/prime-minister-explained-the-age-of-marriage-of-girls Tue, 21 Dec 2021 17:39:21 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15764 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার (nda government)। কী কারণে তাঁর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের (utterpradesh) প্রয়াগরাজে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী (prime minister)। হাতে গোনা কয়েক দিন পরেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে।

নির্বাচনের আগে মঙ্গলবার এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনের মেয়েরা অল্প বয়সে বিয়ে করতে চায় না। তারা চায় আরও বেশি পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে। তাদের সেই লক্ষ্য যাতে পূরণ হয় সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার সব ধরনের সাহায্য করতে চায়। সে কারণেই মেয়েদের বিয়ের বয়স (marriage age) ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এদিনের সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁদের লক্ষ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহিলারা আর শুধুমাত্র ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে আটকে থাকতে চান না। তাঁরা চান আরও বেশি লেখাপড়া করে স্বাবলম্বী হতে। মেয়েদের সেই স্বপ্নপূরণে তাঁর সরকার সব ধরনের সাহায্য করবে। তবে মহিলাদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে দেশের একাধিক রাজনৈতিক দল।

বিরোধীদের এই আচরণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এদিন হুমকির সুরে বলেন, মহিলারা কিন্তু সব নজর রাখছেন। আগামী দিনে তাঁরাই এর উপযুক্ত জবাব দেবেন।

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী আজ বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এক হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথাও বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দাবি তাঁর এই প্রকল্পে রাজ্যের প্রায় ১৬ লক্ষ মহিলা উপকৃত হবেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই প্রকল্প চালু করতে গিয়ে মোদী কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হেঁটেছেন। গত মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা রাজ্যে চালু করেছিলেন লক্ষী ভান্ডারের মত প্রকল্প। মোদী কার্যত সেই প্রকল্পকেই নকল করেছেন। উল্লেখ্য, রাজ্যের মহিলাদের মন পেতে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি-সহ সব রাজনৈতিক দলই সচেষ্ট হয়েছে। এবার সেই প্রতিযোগিতায় সামিল হলেন নরেন্দ্র মোদীও।

]]>
রহস্যময় গ্রাম: বয়স ১২ হলেই এখানকার মেয়েরা হয়ে যায় ছেলে https://ekolkata24.com/offbeat-news/mysterious-village-where-girls-turn-into-boys Tue, 09 Nov 2021 08:40:41 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10789 Special Correspondent, Kolkata: মেয়ে হয়ে জন্মালেও কৈশোর ছোঁয়ার ঠিক মুখে, ১২ বছর বয়সে তারা পুরুষ হয়ে যায়! এমন লিঙ্গ রূপান্তরের কথা কখনও শুনেছেন কি? শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, লাতিন আমেরিকার ডমিনিক্যান রিপাব্লিকের সালিনাস নামের গ্রামে এমনটাই হয়ে আসছে বহু যুগ ধরে। সে গ্রামের শিশুকন্যারা সকলেই বড় হয়ে ১২-১৩ বছরে পৌঁছলেই পুরুষে রূপান্তরিত হয়ে যায়। কোনও রূপক বা প্রতীকী অর্থে নয়, একেবারে শারীরিক ভাবে অর্থাত্‍ বায়োলজিক্যালি তারা পাল্টে যায় পুরুষে।

কী ভাবে ঘটে এমনটা? অবাস্তব মনে হলেও ঘটনা সত্যিই ঘটে ডমিনিকের দক্ষিণ-পশ্চিমে বারাভোনা প্রভিন্সের প্রত্যন্ত গ্রাম সালিনাসে। দীর্ঘ দিন ধরে চলা গবেষণার পরে জানা গিয়েছে, এটা আসলে এক ধরনের শারীরিক ত্রুটির ফলাফল। বাচ্চারা যখন মায়ের গর্ভে থাকে, তখনই এই ত্রুটির প্রভাব পড়তে শুরু করে তাদের শরীরে। গর্ভাবস্থায় একটি বিশেষ এনজাইমের অভাবেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।

গবেষক ও চিকিৎসকেরা বলছেন, সাধারণত গর্ভাবস্থার অষ্টম সপ্তাহ নাগাদ শিশুর শরীরের যৌনাঙ্গ পরিস্ফুট হতে শুরু করে। ডিহাইড্রো টেস্টোস্টেরন নামের একটি হরমোনের প্রভাবে গর্ভস্থ শিশুদের পুং জননাঙ্গ পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। এই হরমোনকে আবার সক্রিয় করে তোলে একটি বিশেষ ধরনের এনজাইম। কিন্তু সালিনাস গ্রামের মায়েদের গর্ভকালীন পুষ্টির অভাবের কারণেই এই এনজাইম তাঁদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্ষরণ হতে পারে না। ফলে যারা আদতে পুরুষ শিশু, জন্মের সময়ে তাদের পুরুষাঙ্গ ঠিকমতো গঠিতই হয়।

সেই শিশুর জন্মকালে তার যৌনাঙ্গ এতই অস্পষ্ট থাকে, যে বাবা-মায়েরা বুঝতেই পারেন না তাঁদের বাচ্চাটি আসলে ছেলে। মেয়ের মতো করেই বাবা-মা মানুষ করতে থাকেন তাকে। কিন্তু ১২ বছর বয়সে যখন পুরুষ শরীরে দ্বিতীয় বারের জন্য টেস্টোস্টেরনের জোয়ার আসে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই, তখন তাদের শরীরে ফুটে উঠতে থাকে পুরুষালি লক্ষণ। এবং তখন বোঝা যায়, বাচ্চাটি আসলে পুরুষ।

mysterious village where girls turn into boys

জানুন সেই গ্রামের বাসিন্দা জনির কথা
সালিনাস গ্রামের বাসিন্দা, ২৫ বছর বয়সি এক পুরুষ জনি, এই রকমই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন শৈশবে। অবশ্য তখন তিনি সমস্যা হিসেবে বোঝেননি এমনটা। জনি বলেন, “আমি ছোটবেলায় স্কুলে যেতাম স্কার্ট পরে। মাথায় থাকত বিনুনি। কোনও দিনই অবশ্য একটা মেয়ের মতো মনে হয়নি নিজেকে। কিন্তু ১২ বছর বয়স থেকে আমার পুরুষাঙ্গ আকারে বাড়তে থাকে। আমি নিশ্চিত হয়ে যাই যে, আমি এক জন পুরুষ।” এখন সমাজের চোখেও জনি এক জন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ।

জনির মতো মানুষ আরও অনেকেই রয়েছেন সালিনাসে। জনির মত আরও অনেক ছোট ছোট ছেলেদের ঠিক একই অবস্থা। ১২ বছরের আগে তারা সবাই মেয়ে থাকে। আবার ১২-তে পা দিলেই তাদের পুরুষাঙ্গ গঠিত হয়ে তারা ছেলেতে পরিণত হয়। ১৯৭০ সালে এই গ্রামের এই অদ্ভুত পরিস্থিতির বিষয়টি প্রথম আবিষ্কার করেন ডঃ মাইকেল মোসলে নামের এক চিকিৎসক। তার পরেই সারা দুনিয়ার সামনে আসে এই বিচিত্র বিকৃতির কথা।

কিন্তু এই বিকৃতির পিছনে রয়েছে নির্মম সত্য। বিষয়টি আপাতদৃষ্টিতে যতই মজাদার বা অদ্ভুত লাগুক, আসলে কিন্তু বিষয়টির নেপথ্যে রয়েছে খুবই খারাপ এবং নিষ্ঠুর বাস্তব। মূল ভূখণ্ড থেকে অনেকটা দূরের সালিনাস গ্রামের গভীর অসুখ দারিদ্র্য। এই কারণেই পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে ভুগতে হয় সকলকে। গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে এই অভাব আরও প্রকট। আর তারই প্রভাব পড়ে গর্ভস্থ শিশুদের শরীরেও। জেনেটিক ডিসঅর্ডারে ভোগে তারা। স্থানীয় বাসিন্দারা এই অসুখের নাম দিয়েছেন ‘১২ বছরে পুরুষাঙ্গ রোগ’ বা ‘গুয়ভেন্ডোকেস’ (Guevedoces)।

জনিকে যেমন সবাই ১২ বছরের আগে বলত মেয়ে। পুরুষাঙ্গ গঠিত হওয়ার পরে জনিকে এখন সবাই ছেলে বলে মানতে শুরু করেছে। এই গ্রামের এটাই নিয়ম। ১২ বছর না হলে বোঝা মুশকিল, সে মেয়ে না ছেলে। স্থানীয়রা জানালেন, এই গ্রামের ছ’জনকে সবাই মেয়ে বলেই চিনত। তারা ফ্রক বা মহিলাদের অন্য কোনও পোশাক পরেই গ্রামে ঘুরত। চলতি বছর ১২-তে পা দিতেই তাদের পুরুষাঙ্গ গঠিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এখন সকলেই পুরুষ।

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
নিউইয়র্কের জিনগত রোগের গবেষক গ্যারি ফ্রু জানান, বংশগতির একটি দুর্লভ জিনের কারণে মানুষ ‘গুয়ভেন্ডোকেস’ নামের এই জিনগত অসুখে আক্রান্ত হয়। এই অসুখে আক্রান্তরা পুরুষের অন্তর্গত সব বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায়। কিন্তু জননাঙ্গের আকৃতিগত কারণে তা প্রকাশ পায় না। তাই শিশুটি ছেলে নাকি মেয়ে তা জানতে অপেক্ষা করতে হয় বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত।

<

p style=”text-align: justify;”>এই এলাকার মানুষের মধ্যেই এই জিনের মিউটেশন ঘটার কারণে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম এমনটাই হয়ে আসছে সালিনাসে। তবে এখন সালিনাস গ্রামের মানুষেরা সালিনাসের বাইরের মানুষকে বিয়ে করছেন প্রায়ই। ফলে মিশ্র রক্ত নিয়ে তৈরি হওয়া সন্তানেরা স্বাভাবিক যৌনাঙ্গ নিয়ে জন্মাতে শুরু করেছে। গবেষকদের আশা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গোটা গ্রামটিই এক দিন ত্রুটিমুক্ত হবে।

]]>
দেশের শতাধিক বস্তির ছেলেমেয়েদের পড়ার দায়িত্ব নিয়ে নজির স্মাইল ফর অল সোসাইটির https://ekolkata24.com/uncategorized/smile-for-all-society-took-the-responsibility-of-educating-the-boys-and-girls-of-more-than-a-hundred-slums-of-the-country Sat, 30 Oct 2021 14:20:14 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9745 News Desk, New Delhi: রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা ভূনেশ শর্মা। পেশায় ব্যবসায়ী। ২০১৫ সালের ঘটনা। বাড়ি থেকে নিজের গাড়িতে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি। আচমকা সিগনালে গাড়ি দাঁড়াতেই গাড়ির দরজায় হাত পাতে তিনটি বাচ্চা। ভূনেশ গাড়ির কাচ নামালে তাঁকে অবাক করে দিয়ে ওই তিনটি বাচ্চা কিছু কাগজ ও পেন্সিল কিনে দেওয়ার দাবি জানায়। বাচ্চাগুলির কথায় অবাক হয়েছিলেন ভূনেশ। সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি সাইড করে তিনি ওই তিনটি বাচ্চাকে খাতা, পেন, পেন্সিল কিনে দিয়েছিলেন।

এখানেই শেষ নয়, এরপর ভূনেশ ওই তিনটি বাচ্চার বাড়ির খোঁজ-খবর নেন। জানতে পারেন তাদের করুণ আর্থিক অবস্থার কথা। এরপর ভূনেশ ওই তিনটি বাচ্চাকে বিনামূল্যে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এমনকী, ঋণ করে ওই তিনটি খুদেকে তিনি বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থাও করেন। শুধু তিনটি বাচ্চা নয়, ভূনেশ ঠিক করেন, আরও অনেক দুস্থ বাচ্চাকে তিনি পড়ানোর ব্যবস্থা করবেন। তার জন্য ভূনেশ তৈরি করলেন ‘স্মাইল ফর অল’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

বিগত পাঁচ বছরে এই সংগঠনটি আড়েবহরে অনেক বেড়েছে। বর্তমানে এই সংগঠনটি সারাদেশে কমপক্ষে ১০০ টি বস্তি এলাকায় বেশ কয়েক হাজার বাচ্চার পড়াশোনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষে দেশের কয়েক শো স্বেচ্ছাসেবী বিনামূল্যে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে থাকেন।

এসএফএকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভূনেশ ও তাঁর সহযোগীরা হাতিয়ার করেছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে। সংগঠনের কাজে যাতে অর্থের অভাব না হয় সেজন্যই তারা এই কাজ করেছেন। সেই লক্ষ্যে এসএফএ একটি অ্যাপ চালু করেছে। যে অ্যাপটি নেটফ্লিক্স বা হটস্টারের মতই কাজ করে। যে সমস্ত ব্যক্তি বা সংস্থা দুস্থ অনাথ শিশুদের লেখাপড়ায় সাহায্য করতে চান তাঁরা এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সাবস্ক্রাইব করতে পারেন। আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে তাঁরা বাড়িয়ে দিতে পারেন সহযোগিতার হাত।

যারা সাবস্ক্রাইব করেন তাঁদের প্রত্যেককেই একটি শংসাপত্র দেওয়া হয়। ওই শংসাপত্রে সংস্থার উদ্দেশ্যর কথা বিস্তারিত লেখা থাকে। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয় ওই টাকায় প্রতিটি বাচ্চাকে কী ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, বাচ্চাদের পড়াশোনা কেমন চলছে তার আপডেটও দেওয়া হয়। বর্তমানে এই ওটিটি প্লাটফর্মে এসএফএর সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছশো। ভূনেশ জানিয়েছেন, তাঁরা আশাবাদী আগামী দিনে তাঁদের এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাজের পরিধি আরও বাড়বে। তাঁরা আরও অনেক বেশি দুস্থ বাচ্চার দায়িত্ব নিতে পারবেন। অর্থের অভাবে শিশুদের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করাই তাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য।

]]>
আফগানিস্তানের মহিলাদের রোবোটিক্স টিমকে উদ্ধার করল মার্কিন মহিলা https://ekolkata24.com/offbeat-news/us-woman-rescues-afghan-girls-robotic-team Sat, 21 Aug 2021 16:30:29 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=2888 নিউজ ডেস্ক: গোটা আফগানিস্তান জুড়ে ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে তালিবানদের আক্রমণ এবং তার সঙ্গে আতঙ্ক। আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আগ্রাসন দেশজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী। তালিবানদের কাবুল দখল নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা হচ্ছে। আফগানিস্তানে মহিলাদের অবস্থা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন অনেকে। এর মধ্যেই আফগানিস্তানের মহিলা রোবোটিক্স টিমকে উদ্ধার করল এক মার্কিন মহিলা। ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী দশজন ছাত্রীর রোবটিক টিমকে উদ্ধার করেন অ্যালিসন রেন্যু নামের এক মার্কিন মহিলা। ২০১৯ সালেও মহিলা রোবোটিক্স টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন রেন্যু। তাঁর সাহসিকতার জন্য মার্কিন মহলে তাঁকে ‘সুপারউম্যান’ বলে ডাকা হয়।

Afghan Girls Robotic Team

তালিবান এবং আফগানিস্তানের নারীশিক্ষা
তালিবানরা কোনও এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সেখানে শিক্ষার পরিবেশ কেমন হয়, তার একটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল দ্য ডিপ্লোম্যাট। ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৬ সালে কুন্দুজ প্রদেশের কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় তালিবানেরা। এরপর সেসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে খেলাধুলা, সমাজবিজ্ঞান ও ইংরেজি ছেঁটে ফেলে তারা। সেই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৯০–এর দশকে ক্ষমতায় আসার পর ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করে তালিবানেরা। সেই সময় মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তারা। আর এখন যেসব এলাকা তালিবানদের নিয়ন্ত্রণে, সেখানে মেয়েদের এখনও স্কুলে যেতে দেওয়া হয় না। অর্থাৎ নারীশিক্ষার বিষয়ে তালিবানদের মনোভাবের পরিবর্তন হয়নি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যালিসন রেন্যু কাতার চলে যান। সেখানকার মার্কিন দূতাবাসের এক বন্ধু তাকে সাহায্য করেছিল। দুজন মিলে আফগান রোবোটিক্স টিমকে উদ্ধার করেন। ১৯ আগস্ট, অ্যালিসন তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন যে আফগান মেয়েদের মধ্যে ১০ জনকে সরিয়ে আফগানিস্তানের বাইরে একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কে এই অ্যালিসন রেন্যু কে?
তাঁর ইনস্টাগ্রাম বায়ো অনুসারে, রেন্যু একজন হার্ভার্ড স্নাতক। তাছাড়াও তিনি একজন আন্তর্জাতিক বক্তা, পাইলট, জিমন্যাস্টিকস কোচ, রানার, অশ্বারোহী এবং হিউম্যান অ্যাক্টিভিস্ট।

]]>