golden twenties – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sun, 12 Dec 2021 12:31:47 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png golden twenties – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 বর্ণবিদ্বেষের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে প্রথম ডার্বি ম্যাচ জয়ের “সোনালি কুড়ির দশক” মোহনবাগানের https://ekolkata24.com/offbeat-news/mohun-bagans-golden-twenties-of-winning-the-first-derby-match-against-east-bengal Sun, 12 Dec 2021 12:31:47 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14582 Sports desk: ব্রিটিশ শাসিত ভারতে মোহনবাগান ক্লাব ১৯১১ সালে ব্রিটিশ সেনাদল ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড জিতেছিল,এই রেকর্ড সকলেরই জানা। কিন্তু পালতোলা নৌকোর বিজয় রথ কিন্তু এরপরেও থেমে থাকে নি, পালেতে হাওয়া লেগে তরতর করে বয়ে গিয়েছে,যা এখনও অব্যাহত।

সেরকমই ১৯২০ দশক মোহনবাগান ক্লাবের গৌরবময় ইতিহাসের আর এক মাইলস্টোন। কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় কলকাতা এফসি ১৯২০ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এই ফুটবল দল আইএফএ শিল্ড টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালেও উঠেছিল, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কুমারটুলি ক্লাবের কাছে ১-২গোলে হেরে গিয়েছিল।

সালটা ১৯২১ ব্রিটিশ ভারতে মুক্তির দাবিতে ধোঁয়া উঠেছে। উত্তাল এই সময়ে মোহনবাগান ক্লাব ডালহৌসি ক্লাব থেকে মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে কলকাতা লিগে রানার্স আপ হয়। এরপরেই চলে আসে মাহেন্দ্রক্ষণ, যখন কলকাতার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে প্রথম ডার্বি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল, ১৯২১’র ৮ আগস্ট কোচবিহার কাপের সেমিফাইনালে। ওই ম্যাচ গোলশূন্যতে ড্র হয়। ১০ আগস্ট রিপ্লে ম্যাচে মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ভারতীয় ফুটবলে এক নতুন অধ্যায় অভিযানের সূচনা করে।

১৯২২ সালে মোহনবাগান দক্ষিণ আফ্রিকার ভারতীয় ফুটবলারদের একটি দলকে কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে আমন্ত্রণ জানায়। আমন্ত্রণী ওই প্রীতি ম্যাচের একটি জিতেছিল এবং অন্যটি হেরেছিল সবুজ মেরুন শিবির। ওই বছর ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোচবিহার কাপ চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান ক্লাব।

১৯২৩ সালে, মোহনবাগান আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে পৌঁছেছিল, কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া কাদা মাঠে কলকাতা ফুটবল ক্লাবের কাছে ০-৩ গোলের হারের জন্য মোহনবাগান ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হাতাছাড়া করে বসে। ওই বছরেই অর্থাৎ ১৯২৩ সালে মোহনবাগান রোভার্স কাপে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিল। রোভার্সে মোহনবাগান দুরন্ত ফুটবল খেলে ফাইনালে ওঠে। অথচ দুর্ভাগ্যবশত রোভার্স কাপের ফাইনালে ডারহামের লাইট ইনফ্যান্ট্রির কাছে ৪-১ গোলে হেরে গিয়েছিল, কিন্তু এই টুর্নামেন্টে মোহনবাগান ক্লাবের পারফরম্যান্স ব্যাপক সমর্থন আর প্রশংসার ঝুলিতে ভরে উঠেছিল।

১৯২৪ সাল মোহনবাগান ক্লাবের ইতিহাসে প্রশাসনিক স্তরে এক বড় দুঃসময় নেমে আসে। ক্লাব তার একজন বড় শুভাকাঙ্ক্ষী প্রথম ক্লাব সভাপতি ভূপেন্দ্র নাথ বসুকে হারায়। প্রথম ক্লাব সভাপতির প্রয়াণের পর স্যার রাজেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় মোহনবাগান ক্লাবের নতুন সভাপতি হন। দ্বিজেন্দ্র নাথ বসু এবং ডিএন গুইনকে ক্লাবের অনারারি জয়েন্ট সেক্রেটারি নির্বাচিত করা হয়।

১৯২৫ ডুরান্ড কাপে খেলার জন্য প্রথম ভারতীয় ফুটবল ক্লাব দল হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়ে মোহনবাগান ক্লাব আরও একটি ইতিহাস তৈরি করেছিল। ব্রিটিশ শাসিত ভারতে, শুধুমাত্র ব্রিটিশ সামরিক দলগুলোরই ডুরান্ড কাপে অংশগ্রহণের একমাত্র অধিকার ছিল। মোহনবাগান ক্লাব প্রথম রাউন্ডে রয়্যাল বার্কশায়ার রেজিমেন্টকে, দ্বিতীয় রাউন্ডে ইয়র্ক ল্যাঙ্কাস্টার রেজিমেন্টকে এবং তৃতীয় রাউন্ডে এসেক্স রেজিমেন্টকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। ডুরান্ডের সেমি-ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে

সেরউড ফরেস্টের কাছে হেরে যায়, মোহনবাগান। ওই বছরেই ক্লাব কলকাতা লিগে কলকাতা এফসি থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। দ্বিজেন্দ্র নাথ বোস ক্লাবের সাম্মানিক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ১৯২৫’এ।

১৯২৬ সালে আইএফএ শিল্ডের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছেছিল মোহনবাগান ক্লাব। কিন্তু শিল্ডে ফের শক্ত গাট সেরউড ফরেস্টের কাছে হেরে যায় এবং ডারহামের লাইট ইনফ্যান্ট্রির কাছে ডুরান্ড কাপও হেরে যায়।

শুধুমাত্র ক্রীড়াক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় বিপর্যয় সময়েও মোহনবাগান ক্লাব প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতাকে এড়িয়ে যায় নি, উল্টে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দুর্গত মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে প্রতিকূল রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থার সঙ্গে ঝুঁঝে।

১৯২৭ সালে গুজরাত এক ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল এবং গুজরাটের জনগণকে সহায়তা করার জন্য একটি বন্যা ত্রাণ তহবিল তৈরি করেছিল ওই সময়ে মোহনবাগান ক্লাব পরাধীন ভারতে। এই বিপর্যয়ে তহবিল সংগ্রহের জন্য মোহনবাগান ক্লাব তৎকালীন বোম্বেতে বর্তমানে মুম্বই’তে কয়েকটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে। ওই বছরে ক্লাব হাজারীবাগের গভর্নর কাপ জিতেছিল। কিন্তু সিমলায় আয়োজিত হওয়া ডুরান্ড কাপে

সামাদ, বলাইদাস চ্যাটার্জির মতো কিছু দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের উপস্থিতিতেও আশানুরূপ পারফরম্যান্সের ছাপ ফেলতে পারেনি গঙ্গা পাড়ের ক্লাব। ওই বছর, মোহনবাগান আইএফএ শিল্ড টুর্নামেন্টে উইল্টশায়ার রেজিমেন্টের কাছে ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল।

১৯২৮ সালে, মোহনবাগান প্রথমবারের মতো পাওয়ার লীগ, চতুর্থবার কোচবিহার কাপ এবং তৃতীয়বারের মতো লক্ষ্মীবিলাস কাপ জিতেছিল। সবুজ মেরুন শিবির কলকাতা ফুটবল লিগে তৃতীয় স্থান অধিকার করে। লিগের প্রথম দিকে সবকটি ম্যাচ জিতে শুধুমাত্র ডালহৌসি এসি’র কাছে হেরে যায়, ১৯২৮ লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ডালহৌসি এসি। ওই একই বছরে আইএফএ শিল্ডেও ডালহৌসি এসি’র বাধা টপকাতে পারেনি মোহনবাগান।শিল্ডেও একই ক্লাবের কাছে হেরে গিয়েছিল মোহনবাগান ক্লাব।

ব্রিটিশ ভারতে, ১৯২৯ সালে ডালহৌসি ক্লাব এবং মোহনবাগান ক্লাবের মধ্যে কলকাতা লীগের ম্যাচে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, বর্ণ বিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রায় সমস্ত ভারতীয় ক্লাব দল আইএফএ এবং কলকাতা লীগ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়৷

কিন্তু ওই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে তৈরি হওয়া বিবাদের জল বেশি দূর গড়ায়নি। একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমঝোতার মধ্যে দিয়ে সমস্ত ক্লাব দল সম্মতিতে হ্যাপি এন্ডেডিং ঘটেছিল ঘুমোট আবহাওয়ার। ভারতীয় ক্লাব দলগুলো আইএফএ কাউন্সিলে ইউরোপীয় ক্লাবগুলির সাথে সমান প্রতিনিধিত্ব অর্জন করেছিল। কেননা ব্রিটিশ ভারতে আইএফএ’র গর্ভনিং বডির সদস্যদের সংখ্যাগোরিষ্ঠতা ছিল গোরাদের (ব্রিটিশদের)।

ভারতীয় ক্লাবগুলি তাদের নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়ে পরবর্তী আইএফএ শিল্ড এবং কলকাতা লীগে অংশগ্রহণ করে।

লীগ প্রতিযোগিতায় মোহনবাগান দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে, ডালহৌসি এসি চ্যাম্পিয়ন হয়। মোহনবাগান ক্লাব আইএফএ শিল্ডের চতুর্থ রাউন্ডে ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী দল রয়্যাল আইরিশ ফুসিলিয়ার্সের কাছে হেরে গিয়েছিল। মোহনবাগান ডুরান্ড কাপে অংশ নিলেও স্যান্ডেমানিয়ানদের কাছে হেরে যায়।

]]>