মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচে ওডিশা এফসির পারফরম্যান্স যে ATK মোহনবাগান হেডস্যারকে চিন্তায় ফেলছে সেটা হুয়ান ফেরান্দোর কথা থেকেই বোঝা যায়। মুম্বই’র বিরুদ্ধে ওডিশা পুরো ৯০ মিনিট ধরে লড়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল,পিছিয়ে থেকেও। এই প্রসঙ্গে হুয়ান ফেরান্দো বলেন,”আমাদের এই ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট ম্যাচে ফোকাস ধরে রাখতে হবে। কেননা ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকার পর ওডিশা এফসি টিম তিন গোল দিয়ে ম্যাচ জিতে যায়। তাই আগের ম্যাচে ওডিশার পারফরম্যান্স দেখিয়ে দিয়েছে তারা পুরো ৯০ মিনিট ধরে লড়াই করতে জানে,তাই আমাদেরও পুরো ৯০ মিনিট ম্যাচে ফোকাস ধরে রাখতে হবে”।
নিজের দলের ডিফেন্স প্রসঙ্গে সবুজ মেরুন হেডস্যারের সাফ কথা,”দলের ডিফেন্স নিয়ে তার কোনও অভিযোগ নেই। ম্যাচ সিচুয়েশনে কিভাবে পরিস্থিতি সামলাতে হবে তা নিয়ে আমরা পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে চলেছি।অবশ্যই আমরা নিজেদের পরিকল্পনাতে উন্নতিও করছি। ফুটবলারদের চোট পরিস্থিতিকে কঠিন করে তুললেও আমার টিমের প্রতি একশো শতাংশ আস্থা রয়েছে এবং আমি তাদের সাহায্য করতে উদ্যোগী।
ওডিশা এফসি নিজেদের গত ম্যাচে মুম্বই এফসি’র বিরুদ্ধে ৭৭ এবং ৮৯ মিনিটে যেভাবে গোল করে ৪-২ গোলের ব্যবধানে জিতেছে এই শেষ মুহুর্তের দুই গোল নিয়ে হুয়ান ফেরান্দো বলেন,”আমি তাদের শেষ ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে অবগত। ওডিশা গেমের নার্ভ ধরে রেখেছিল শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত। শেষ মুহুর্তে দুই গোল করে ওডিশা মুম্বই’র বিরুদ্ধে, যা ম্যাচের ট্রান্সজ্যাকসন পিরিয়ডে ওডিশা দুর্দান্ত ভাবে কাজে লাগায়। তাই আমাদেরও ম্যাচে প্রয়োজন ৯০ মিনিট ফোকাস ধরে রাখা”।
]]>এই প্রসঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড় ঋষভ পন্থের আক্রমণাত্মক খেলার প্রশংসা করেছেন ঠিকই, সঙ্গে এটাও বলেছেন যে আমরা অবশ্যই তার শট নির্বাচন নিয়ে ওর সাথে কথা বলব। রাহুল বলেন, কোন সময়ে কী ধরনের শট খেলতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
ম্যাচের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কাগিসো রাবাদার ওপর আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় পন্থ স্টেপ আউট করে বিগ শট মারতে গিয়ে প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। ওই সময় প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার ধারাভাষ্য করছিলেন। গাভাস্কার ঋষভ পন্থের খোঁচা (এজড)দিয়ে ক্যাচ নিয়ে বলেছিলেন যে ওই শটের জন্য কোনও অজুহাত নেই।
ঋষভ পন্থের শট নির্বাচন নিয়ে রাহুল দ্রাবিড়ের বিস্ফোরক মন্তব্য, “তবে হ্যাঁ, অবশ্যই এখন সময় এসেছে যখন আমরা তার সাথে কিছু স্তরের কথোপকথন করতে হবে, ইস্যু একটাই এই ধরনের শট কখন খেলা উচিত”। পন্থকে এমনটা মোটেও বলা হবে না যে তিনি আক্রমণাত্মক স্টাইলে ব্যাট করবেন না, শুধু ওকে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করা শিখতে হবে।
জোহানেসবার্গে হারের পর টিম ইন্ডিয়ার হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেন, “আমরা জানি যে ঋষভ ইতিবাচকভাবে খেলে এবং সে একটি বিশেষ উপায়ে খেলে এবং এটি তাকে কিছুটা সাফল্য দিয়েছে।” দ্রাবিড় বলেন,আমরা সকলেই জানি ঋষভ পন্থ একজন পজিটিভ ক্রিকেটার এবং পন্থ যেকোন সময়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।পন্থ এখনও শিক্ষানবিশ এবং সময়ের সঙ্গে পন্থ আরও ভাল ক্রিকেটার হয়ে উঠবে।
]]>ওই টুইট পোস্ট হল,”
𝐀𝐍𝐍𝐎𝐔𝐍𝐂𝐄𝐌𝐄𝐍𝐓
আমরা 2021-22 হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগের বাকি মরসুমের জন্য মারিও রিভেরাকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দিতে চাই”।
ইতিপূর্বে, স্প্যানিয়ার্ড রিভেরা ইস্টবেঙ্গলকে আই-লিগের দুই মরসুমে দ্বিতীয় স্থান অর্জনের পথ দেখিয়েছিলেন। রিভেরা, একজন উয়েফা প্রো লাইসেন্সধারী, মাত্র সাত ম্যাচে দলকে দ্বিতীয় অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন বিগত আই লিগে ইস্টবেঙ্গলকে।
এসসি ইস্ট বেঙ্গলের সিইও কর্নেল শিবাজি সমাদ্দার বলেছেন,”তাকে আমাদের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে পেরে আমরা খুশি। মারিও আগে ইস্টবেঙ্গলের অংশ ছিল এবং ভারতীয় ফুটবলে তার অভিজ্ঞতা বাকি মরসুমে দলের জন্য উপকারী হবে”।
রিভেরা ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ আলেহান্দ্রো মেনেন্দেজের সাথে ২০১৮-১৯ ফুটবল মরসুমে ৩২ টি গেমের জন্য ডেপুটি হিসাবে কাজ করেছেন। ওই অভিঞ্জতা থেকেই চলতি আইএসএলে মারিও রিভেরার নিযুক্তি হেডকোচ হিসেবে। রিভেরা আইএসএলে কোভিড-১৯ প্রটোকল অনুসারে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন সময়কালের মধ্য দিয়ে যাবেন এবং তার পরে দায়িত্ব নেবে। এই সময়কালে এসসি ইস্টবেঙ্গলের অন্তবর্তীকালীন হেডকোচ হিসেবে আগেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেনেডি সিং’কে।
𝐀𝐍𝐍𝐎𝐔𝐍𝐂𝐄𝐌𝐄𝐍𝐓
We would like to announce the appointment of Mario Rivera as the head coach for the remainder of the 2021-22 Hero Indian Super League season.
For more, read: https://t.co/qumwRU0Pb6#WelcomeMario #WeAreSCEB #JoyEastBengal pic.twitter.com/8O2k2r81R2
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) January 1, 2022
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ATK মোহনবাগান লিগ টেবিলে ৮ ম্যাচ খেলে তিন নম্বরে লিগ টেবিলে।আর লাল হলুদ শিবির সম সংখ্যক ম্যাচ খেলে লিগ টেবিলে লাস্ট বয়। দু’ম্যাচে হার, দু’ম্যাচে ড্র করেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। টানা তিন ডার্বি ম্যাচ জিততে পারেনি লাল হলুদ বিগ্রেড। গত আইএসএলের দুই ডার্বি ম্যাচ এবং চলতি আইএসএলের প্রথম ডার্বি ম্যাচ গত বছর নভেম্বরের ২৭ তারিখ হয়, যার ফলাফল ৩-০ গোলে জেতে ATK মোহনবাগান, এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। এই ডার্বি ম্যাচ ছিল ১১ তম রাউন্ডে লাল হলুদ শিবিরের কাছে দ্বিতীয় ম্যাচ।
চলতি টুর্নামেন্টের ফিরতি ডার্বি ম্যাচ নতুন এই বছরের ২৯ জানুয়ারি, গোয়ার ফতোদরা স্টেডিয়ামে। হায়দ্রাবাদ এফসির বিরুদ্ধে তাদের শেষ ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র করেছে। এই নতুন বছরে হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচ খেলার আগে ১১ তম রাউন্ডে লাল হলুদ শিবিরের পরের ম্যাচ ৪ জানুয়ারি, বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে, বাম্বোলিম্ব স্টেডিয়ামে।
]]>রেড এবং গোল্ড ব্রিগেড চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তাদের দ্বিতীয় মরসুমে এখনও একটি ম্যাচও জিততে পারেনি এবং লিগ টেবিলে লাস্ট বয়,১১ তম স্থানে,৮ ম্যাচ খেলে।
এসসি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “হোসে মানুয়েল দিয়াজ এবং তার ডেপুটি অ্যাঞ্জেল পুয়েব্লা গার্সিয়া ব্যক্তিগত কারণে আলাদা হতে পারস্পরিকভাবে সম্মত হয়েছেন”।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,”প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক এবং এসসি ইস্ট বেঙ্গল সহকারী কোচ রেনেডি সিং অন্তর্বর্তী প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন”।
এসসি ইস্টবেঙ্গল সিইও কর্নেল শিবাজি সমাদ্দার বলেন, “চলতি মরসুমে দলকে তাদের অবদান এবং সমর্থনের জন্য আমরা হোস এবং অ্যাঞ্জেলকে ধন্যবাদ জানাই। আমি তাদের উভয়ের ভবিষ্যতের প্রচেষ্টার জন্য শুভ কামনা করি”।
𝐂𝐥𝐮𝐛 𝐬𝐭𝐚𝐭𝐞𝐦𝐞𝐧𝐭
SC East Bengal confirms that Jose Manuel Diaz and his deputy Angel Puebla Garcia have mutually agreed to part ways due to personal reasons.
Former India captain and our assistant coach Renedy Singh has taken over charge as interim head coach. pic.twitter.com/umt5MrJSDt
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) December 28, 2021
এসসি ইস্টবেঙ্গল চলতি আইএসএল ২০২১-২২ মরসুমে চারটি ড্র করেছে এবং চারটি ম্যাচ হেরেছে। হায়দ্রাবাদ এফসির বিরুদ্ধে তাদের শেষ ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র শেষ হয়েছে।
লাল হলুদ শিবিরের পরের ম্যাচ ৪ জানুয়ারী, ২০২২ বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন হেডকোচের দায়িত্বতে থাকা রেনেডি সিং’র কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ এসসি ইস্টবেঙ্গলকে চলতি আইএসএলে প্রথম জয়ের মুখ দেখানো।
]]>


চলতি আইএসএলে কেরালা ব্লাস্টার্স এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে সবুজ মেরুন শিবির তৎকালীন হেডকোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের কোচিং’এ। এরপর ১১ তম রাউন্ডে পরের চার ম্যাচে ড্র এবং হার বিপক্ষের মুখোমুখি হয়ে, ATK মোহনবাগানের।
অন্যদিকে, রয় কৃষ্ণ ফিজিয়ান “গোল্ডেন বয়” গোলের খরায়। আর প্রিয় দল প্রথম দুই ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টে খেই হারিয়ে যেতেই,হতাশ হয়ে পড়ে সবুজ মেরুন সমর্থকরা।
লিগ টেবিলে সপ্তম স্থানে ATK মোহনবাগান। ৬ ম্যাচ খেলে দুই ম্যাচে জয়, দুই ম্যাচ ড্র আর দু ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে। এমন আবহে হঠাৎ করে স্বেচ্ছায় আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে ইস্তফা পত্র দিয়ে দেন। ইস্তফা ইস্যুতে অনড় হাবাসের কাছে ATK মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট শেষ পর্যন্ত অনিচ্ছাতেই ইস্তফা পত্র গ্রহণ করে নিতেই সবুজ মেরুন বিগ্রেডে স্প্যানিশ কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস যুগের অবসান ঘটে।
অন্যদিকে, হুয়ান ফেরান্ডোর আচমকা এফসি গোয়ার হেডকোচ ছাড়ার গোটা প্রক্রিয়ায় টিমের সভাপতি অক্ষয় ট্যান্ডন ক্ষোভ উগড়ে দেয় টুইট পোস্টে। নিজের অসন্তুষ্টি চেপে না রেখে ভক্তদের আশ্বস্ত করেন টুইট পোস্টে। আপাতত এফসি গোয়ার অন্তবর্তীকালীন কোচিং’র দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে ক্লিফোর্ড মেনেন্ডাকে।
]]>এফসি গোয়া নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য শর্টলিস্ট করেছে অ্যাঞ্জেল ভায়াদেরোকে। ক্রিফোর্ড মেনেন্ডার অন্তবর্তীকালীন কোচিং সেশনে এফসি গোয়া আইএসএলে তাদের পরের ম্যাচ ২৪ ডিসেম্বর খেলতে নামবে,ওডিশা এফসি’র বিরুদ্ধে। ছয় ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে গোয়া রয়েছে অষ্টম স্থানে আইএসএলে। টুর্নামেন্টের প্রথম তিন ম্যাচ হেরেছে,কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতেছে এবং ড্র করেছে হায়দরাবাদ এফসি’র বিরুদ্ধে।
এফসি গোয়ার নতুন কোচ হওয়ার দৌড়ে ডেরেক পেরেরা নাম রয়েছে।ডেরেক ২০১৮ সালে এই দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। ভারতীয় এই ডিফেন্ডার এর আগের বছর এফসি গোয়ার ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট তথা সহকারী ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেছিলেন।
অসমর্থিত সূত্রে খবর,বিপুল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ বাবদ হুয়ান ফেরান্ডো এবং তার সার্পোট স্টাফরা সবুজ মেরুন শিবির যোগ দিতে চলেছে
]]>ক্লাব ফুটবল কেরিয়ারে একজন গোলকিপার হিসেবে পথ চলা শুরু মোলিনার।ইয়ুথ কেরিয়ার বেনিমারে শুরু হলেও সিনিয়র লেভেলে মোলিনা স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার দ্বিতীয় সারির টিমে কেরিয়ার শুরু করেন,১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত।১৯৯৬ থেকে ২০০০ সালে স্পেনের হয়ে মোট ৯ টি আন্তজার্তিক ম্যাচ খেলেছেন প্রাক্তন ATK হেডকোচ মোলিনা।
২০০৯-১০ ফুটবল মরসুমে মোলিনা টেরসেরা ডিভিশনে, ভিলারিয়াল সি’র কোচ হিসেবে নিজের কোচিং কেরিয়ার শুরু করেন। হংকং’র ক্লাব দল কিচি এসসি’র কোচ হিসেবে হোসে ফ্রান্সিসকো মোলিনা জিমেনেজে ঘরোয়া মরসুমে ট্রেবল জিতে দলকে AFC কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে যান।
৩ মে ২০১৬, মোলিনা ইন্ডিয়ান সুপার লিগে’ (ISL) ATK দলের হেডকোচ হিসেবে কাজ শুরু করে নিজের দেশের ক্লাব দল কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের জায়গাতে। পরের বছরের ১৪ নভেম্বর, তিনি ক্লোসুরা টুর্নামেন্টের আগে অ্যাসেনসো এমএক্স ক্লাব আতলেতিকো সান লুইসে নিযুক্ত হন। ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ তারিখে তিনি সমস্ত প্রতিযোগিতার মোট ১১ ম্যাচে মাত্র দুটি জয়ের পারফরম্যান্সের নিরিখে দায়িত্ব থেকে মোলিনাকে ছেঁটে ফেলে তার দল লিগে শেষ পজিশনে থমকে গিয়ে।
]]>কিন্তু ইস্তফা ইস্যুতে অনড় অবস্থানের জন্য শেষমেশ ATK মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের ইস্তফা পত্র গ্রহণ করে নেয়। ATK মোহনবাগান নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছে, “সবকিছুর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, আন্তোনিও হাবাস। আমরা আপনার অপরিমেয় অবদানের জন্য কৃতজ্ঞ থাকব! 

#ATKMohunBagan #JoyMohunBagan #AmraSobujMaroon”,
সাময়িক ভাবে দলের দায়িত্ব সামলাবেন হাবাসের সহকারী মানুয়েল ক্যাসকারানা।
১১ তম রাউন্ডে ATK মোহনবাগানের এখনও চার ম্যাচ বাকি।এই চার ম্যাচ সবুজ মেরুন শিবিরের কাছে “ডু অর ডাই’ ম্যাচ সিচুয়েশন। ঠিক তার আগে জোর ধাক্কা ATK মোহনবাগানের কাছে। হেডকোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস স্বেচ্ছায় ইস্তফা।
চলতি আইএসএলে ATK মোহনবাগান প্রথম ম্যাচ কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ৪-২ গোলের বড় জয় দিয়ে অভিযান শুরু। এরপর হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচের রঙ ২৩ মিনিটেই সবুজ মেরুন রঙে ভরে ওঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে, ৩-০ গোলে। এরপর, মুম্বই সিটি এফসি’র কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে ৫-১ গোল হজম সবুজ-মেরুন শিবিরের, হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচ জয়ের আফটার এফেক্ট।
জামশেদপুর এফসি ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের টিমকে।এই হার আইএসএলের লিগ টেবিলে সবুজ মেরুন শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা, লিগ টেবিলে ৪ নম্বর পজিশন হারায়। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দু’বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে এটিকে মোহনবাগান।
৬ ম্যাচে প্রথম দুই ম্যাচে জয় চলতি আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানের, দুই ড্র ম্যাচ, হারের মুখ ২ ম্যাচে,লিগ টেবিলে ছ’নম্বরে। হতাশ সবুজ মেরুন সমর্থকরাও। তাই এমন পারফরম্যান্সের প্রেক্ষিতে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের ATK মোহনবাগান হেডকোচ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া এবং না চাইতেও টিম ম্যানেজমেন্টের ইস্তফা পত্র গ্রহণ, তবুও সবুজ মেরুন সমর্থকদের হৃদয় জুড়ে থেকে যাবেন স্প্যানিশ কোচ হাবাস।
]]>গত দুই মরসুম ধরে পাঞ্জাব কিংসের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করছিলেন ফ্লাওয়ার। কেএল রাহুল গত দুই মরসুমে পাঞ্জাবের অধিনায়ক ছিলেন, তিনিও নতুন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টিমে পাড়ি জমাতে চলে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে ফ্লাওয়ার এক বিবৃতিতে বলেন, “নতুন লক্ষৌ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগ দিতে পেরে আমি অবিশ্বাস্যভাবে উত্তেজিত এবং আমি সুযোগের জন্য খুব কৃতজ্ঞ। ১৯৯৩ সালে আমার প্রথম ভারত সফরের পর থেকে, আমি সবসময় ভারতে সফর, খেলা এবং কোচিং পছন্দ করি”।
ফ্লাওয়ার নিজের বিবৃতিতে আরও বলেন,”ভারতে ক্রিকেটের প্রতি অনুরাগ অপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং একটি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির নেতৃত্ব দেওয়া একটি সত্যিকারের বিশেষত্ব এবং আমি মিস্টার গোয়েঙ্কা এবং লক্ষৌ দলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ”।
অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ওই বিবৃতিতে বলেন,”আমি লক্ষৌ ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে অর্থপূর্ণ এবং সফল কিছু তৈরি করার চ্যালেঞ্জটি উপভোগ করব, আমি যখন নতুন বছরে উত্তর প্রদেশে যাব তখন আমি ব্যবস্থাপনা এবং কর্মীদের সাথে দেখা করার অপেক্ষায় আছি।”
এই প্রসঙ্গে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার বিবৃতি, “একজন খেলোয়াড় এবং একজন কোচ হিসেবে অ্যান্ডি ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গিয়েছেন। আমরা তার পেশাদারিত্বকে সম্মান করি এবং আশা করি সে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করবে এবং আমাদের দলে মূল্য যোগ করবে।”
জিম্বাবোয়ের কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, ২০১০ সালে ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টাইটেল জিতে কোচিং করান এবং টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর স্থান অর্জন করেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে পাঞ্জাব কিংসের মালিকানাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজি – সেন্ট লুসিয়া কিংসের নেতৃত্বে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, লক্ষৌ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানার জন্য সঞ্জীব গোয়েঙ্কার নেতৃত্বাধীন RP-SG গ্রুপ ৭০৯০ কোটি টাকা খরচ করেছিল সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল।
]]>ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসন অফ নেপাল (CAN) চলতি বছরের গত ১৮ অক্টোবর নেপালের জাতীয় ক্রিকেট টিমের হেডকোচ (পুরুষদের) পদের জন্য আবেদন আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং মোট ৬০ টি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। কোচ নিয়োগ কমিটি সাক্ষাৎকারের জন্য ৭ জন প্রার্থীকে শর্টলিস্ট করেছিল, যার পরে বোর্ডে দাসানায়েকের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। শনিবার সকালে ভার্চুয়াল বোর্ড সভায় কোচ নিয়োগ কমিটির এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। CAN প্রেসিডেন্ট চতুর বাহাদুর চাঁদ বলেছেন, “CAN পুবুদু দাসানায়েককে হেডকোচ (পুরুষ দল) হিসেবে স্বাগত জানায়।”
CAN প্রেসিডেন্টের কথায়, “আমরা তার সহযোগী ক্রিকেটের অন্তর্দৃষ্টি, নেপাল ক্রিকেটে অবদানের পাশাপাশি খেলোয়াড় ও ভক্তদের আকাঙ্ক্ষাকে স্বীকার করি। আমি আশাবাদী যে তার ২ বছরের মেয়াদ নেপাল ক্রিকেটকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”
চতুর বাহাদুর চাঁদ আরও বলেছেন, “হেডকোচ আন্তর্জাতিক স্তরে সমস্ত ফর্ম্যাটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স তৈরি করার জন্য পুরুষদের ক্রিকেট দলের উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দায়ী থাকবেন। বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করে সুগঠিত ও প্রগতিশীল কোচিং প্রোগ্রাম ডিজাইন ও প্রদানের জন্য তিনি ক্রিকেট ম্যানেজারের সাথে ঘনিষ্ঠ পরামর্শে কাজ করবেন।”
নব নিযুক্ত নেপালের জাতীয় ক্রিকেট দল (পুরুষ) বিভাগের হেডকোচ পুবুদু দাসানায়েকে নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “নেপালের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাথে কাজ করার এই সুযোগ পেয়ে আমি কেবল সন্তুষ্ট এবং ধন্য। আমি আশাবাদী যে আমি এখন নেপাল ক্রিকেটকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব, কারণ আমাদের শুধু সিনিয়র লেভেলেই নয়, জুনিয়র লেভেলেও অসাধারণ প্রতিভা রয়েছে।”
শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার দাসানায়েকে এও বলেছেন, “আমি নেপালের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং পুরো ব্যবস্থাপনা, নেপালের ক্রিকেট ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে এই চমৎকার সুযোগ দেওয়ার জন্য।”
শ্রীলঙ্কার হয়ে ১১ টি আন্তজার্তিক টেস্ট ম্যাচে পুবুদু দাসানায়েকে ১৭ টি ইনিংসে কোনও শতরান এবং অর্ধশতরান করেননি।মোট রান টেস্টে ১৯৬। ১৬ টি ওয়ানডে ম্যাচের টিমে ছিলেন দাসানায়েকে শ্রীলঙ্কার হয়ে। ১০৮ টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পুবুদু দাসানায়েকে ৩৮৪০ রান করেছেন, শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে, সর্বোচ্চ রান ১৪৪, এর মধ্যে চার শতরান এবং ২০ টি অর্ধশতরান রয়েছে। লিস্ট ‘A’ ফর্ম্যাটে ৫৮ ম্যাচে মোট ৬৭৯ রান করেন। এই ফর্ম্যাটে একটি অর্ধশতরান করে দাসানায়েকের সর্বোচ্চ রান ৫৩। ৫১ বছর বয়সী পুবুদু দাসানায়েকে কানাডা জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়েও ২০০৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খেলেছেন।দাসানায়েকে প্রায় ৪
বছর কানাডাকে কোচিং করিয়ে ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়ে কোচিং করান এবং কানাডা তার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ম্যাচ জিতেছিল। বিশ্বকাপের পর, দাসানায়েকের সঙ্গে ক্রিকেট কানাডার চুক্তি নবীকরণ না হওয়ার জন্য ছিটকে যান।
এর আগেও পুবুদু দাসানায়েকের কোচিংয়ে নেপাল ২০১৩ সালের আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ ডিভিশন থ্রি জিতেছে। প্রথম পর্যায়ে ৪ বছর নেপালের জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং’র সঙ্গে জড়িত ছিলেন পুবুদু দাসানায়েকে। এছাড়াও নেপালের জাতীয় ক্রিকেট দলের মেন্টর হিসেবেও কাজ করেছেন দাসানায়েকে। ২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতিথি কোচিং’র দায়িত্ব সামলেছেন, এরই সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে একটি সম্মিলিত আইসিসি আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টে মার্কিন দলকেও কোচিং করেন। ফের একবার নেপালের জাতীয় ক্রিকেট দলের হেডকোচ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পুবুদু দাসানায়েকে।
]]>গোয়ার ফতোদরা স্টেডিয়ামে চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ভারতীয় ফুটবল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে এটিকে মোহনবাগান হেডকোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস বলেছেন, “আমাদের সবসময় ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে (আক্রমণ এবং রক্ষণের মধ্যে)। আমরা প্রথম দুটি ম্যাচ জিতেছিলাম এবং আমরা সেরা দল ছিলাম এবং এখন দুটি হারের পরে, আমরা খারাপ হতে পারি না। তাই ফুটবলে ভারসাম্য রাখতে হবে এরই পাশাপাশি আমাদের আচরণেও। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে একজন বিশ্বের সেরা থেকে খারাপ ক্লাব হতে পারে না। এটা সম্ভব নয়। ভারতে ফুটবলের ভারসাম্য দরকার।”

স্প্যানিস এই কোচ হাবাসের কথায়, “আমি আমার খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসী থাকতে বলেছি। আমার কাছে তারাই সেরা। এটা একটা কঠিন প্রতিযোগিতা কারণ আমরা টানা দ্বিতীয় মরসুমে বায়ো বাবোলে ছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগিতায় লড়তে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে যে আমরাই সেরা। আমার দল অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। আমাদের প্রতিরক্ষা(ডিফেন্স) থেকে আক্রমণে রূপান্তরের উন্নতি করতে হবে এবং পুরো ৯০ মিনিট প্রতিযোগিতা করতে হবে।”
দুইবারের আইএসএল জয়ী কোচ বিশ্বাস করেন যে, বাগানকে অবশ্যই সঠিক ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে এবং যদি তা করে তবেই আবার নিজেদের সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
হাবাস আরও বলেন, “আমাদের পুরো ৯০ মিনিট একই তীব্রতার সাথে খেলতে হবে। আমরা ৪৫ মিনিটের জন্য ভাল ফুটবল খেলতে পারি না এবং তারপরের ৪৫ মিনিটে গ্রিপ হারাতে পারি। আমাদের সমস্ত পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতামূলক থাকতে হবে।”
হাবাস তিরি’কে নিয়ে অস্পষ্টতা দূর করার তাগিদে বলেন, তিরির কোনও চোট নেই এবং তিনি শনিবারের ম্যাচে নির্বাচনে জন্য উপলব্ধ থাকবেন।
আইএসএলে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নামার আগে এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস চেন্নাইন এফসি টিমের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ সতর্ক সেটা হাবাসের কথায় পরিষ্কার।
বোজিদার বান্দোভিচের দল চলতি আইএসএলে তিন ম্যাচের পরেও অপরাজিত রয়েছে এবং বর্তমানে তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট রয়েছে। যদিও তাদের আক্রমণ একটি উদ্বেগের বিষয়, রক্ষণাত্মকভাবে তারা বেশ শক্ত ছিল কারণ তারা মাত্র একটি গোল করতে দিয়েছে। হাবাস এই স্ট্যাটাস সম্পর্কে সচেতন এবং মনে করে যে এটি মেরিনা মাচান্সের বিরুদ্ধে একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হবে।
শনিবারের ম্যাচ নিয়ে হাবাসের প্রতিক্রিয়া, “চেন্নাইন একটি খুব প্রতিযোগিতামূলক দল। তারা ভাল শারীরিক ফুটবল খেলে। এটি একটি কঠিন ম্যাচ হবে, কারণ তারা অনেক গোল হারাতে পারে না।”
<
p style=”text-align: justify;”>চেন্নাইনের কোচ বান্দোভিচ ম্যাচের আগে মেরিনার্সদের সম্মান দিতে গিয়ে বলেছেন, “এটিকে মোহনবাগান লিগের অন্যতম সেরা দল। আপনার তাদের সম্মান করা দরকার। তারা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক।”
]]>বুধবার ভারতের সীমিত ওভারের ফুলটাইম অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন রোহিত শর্মা। আগামী বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বিরাট কোহলির কাছ থেকে দায়িত্ব নেবেন এই ডানহাতি ওপেনিং ব্যাটসম্যান। এই নিয়ে শাস্ত্রী বলেছেন, “রোহিত আতঙ্কিত নন; তিনি সর্বদা দলের জন্য যা সেরা তা করেন। তিনি দলের সমস্ত সংস্থান মার্শাল করেন ভিন্ন, ফুটবলে।” বিসিসিআই রোহিতের নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার আগে প্রাক্তন অলরাউন্ডারের মন্তব্য এসেছিল।
আইপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক রোহিত শর্মার আন্তর্জাতিক অধিনায়ক হিসেবেও একটি দুর্দান্ত রেকর্ড রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩২টি সীমিত ওভারের ম্যাচে ভারতের অধিনায়কত্ব করেছেন যার মধ্যে রোহিত ২৬ টি জিতেছেন৷ রোহিতের নেতৃত্বে ভারত ২০১৮’র নিদাহাস ট্রফি এবং এশিয়া কাপ টুর্নামেন্ট জিতেছে৷
রোহিতকে পূর্ণ-সময়ের জন্য ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসাবে নিয়োগ এবং আজিঙ্কা রাহানের বদলে টেস্ট দলে সহ-অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মাকে তুলে আনা, ইঙ্গিত দেয় যে ভারতীয় ক্রিকেট নেতৃত্ব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
ভারতীয় নির্বাচকরা অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর, ২০২৩’এ ভারতে হতে চলা ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য একটি স্কোয়াড তৈরি করার লক্ষ্যে রোহিতকে সময় দিতে চেয়েছিলেন।
রোহিতকে ভারতের নতুন হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে। দ্রাবিড় ইতিমধ্যেই টিম ইন্ডিয়ার কম্যান্ড কাঁধে নিয়ে কোচিং অভিযান শুরু করেছেন। হোম সিরিজে টি টোয়েন্টি এবং টেস্ট ক্রিকেটের উভয় ফর্ম্যাটে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিং অভিযানকে নিখুঁতভাবে শুরু করেছে।
কোহলির অধিনায়কত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, শাস্ত্রী বলেছেন, তিনি (বিরাট কোহলি) “কৌশলগতভাবে দক্ষ অধিনায়ক।” এই প্রসঙ্গে ভারতের প্রাক্তন হেডকোচ শাস্ত্রী বলেছেন,”দিনের শেষে, তিনি একজন কৌশলগতভাবে শক্তিশালী অধিনায়ক। দক্ষ। লোকেরা সবসময় ফলাফলের ভিত্তিতে আপনাকে বিচার করবে, আপনি কিভাবে রান পেলেন তা নয়, আপনি কত রান করেছেন তা দিয়ে। সে ভালভাবে বিকশিত হয়েছে; সে পরিণত হয়েছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে। ভারতীয় দলের অধিনায়ক হওয়া সহজ নয়। সে যা অর্জন করেছে তার জন্য তার গর্ববোধ করা উচিত।”
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের সাফল্যের ক্ষেত্রে কোহলি কীভাবে সাদা বলের ফর্ম্যাটে তার আধিপত্য পুনরুদ্ধার করবেন তাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে।
]]>রবি শাস্ত্রীর কথায়,”এটা (যাত্রা) চমৎকার হয়েছে. আমি যখন এই কাজটি নিয়েছিলাম, তখন আমি মনে মনে বলেছিলাম আমি একটি পার্থক্য করতে চাই এবং আমি মনে করি আমার আছে। কখনও কখনও জীবনে, এটি আপনি যা অর্জন করেছেন তা নয়, এটি আপনি যা অতিক্রম করেছেন তা। এবং এই ছেলেরা গত পাঁচ বছরে যা অতিক্রম করেছে, তারা যেভাবে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করেছে এবং খেলার সমস্ত ফর্ম্যাটে বিশ্বের প্রতিটি অংশে পারফর্ম করেছে তা এটি তৈরি করবে – এখানে যা ঘটেছে তা নির্বিশেষে – একটি দুর্দান্ত দল হিসাবে খেলার ইতিহাসে। আমার মনে কোন সন্দেহ নেই। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা এই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছি, কিন্তু এই দুর্দান্ত দল কিছুই নিয়ে যায় না।”
]]>নিউজিল্যান্ড ভারত সফরে তিনটে টি-২০ এবং দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। ১৭ নভেম্বর জয়পুর, ১৯ নভেম্বর রাঁচি এবং কলকাতায় ২১ নভেম্বর তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ সিডিউল রয়েছে। দুটি টেস্ট হবে কানপুর২৫-২৯ নভেম্বর এবং মুম্বই’এ ৩-৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় টেস্ট।
বিসিসিআই ২৬ অক্টোবর রবি শাস্ত্রীর উত্তরসূরি নিয়োগের জন্য বিঞ্জপ্তি জারি করেছিল। প্রসঙ্গত, চলতি আইসিসিটি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই বর্তমান টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ রবি শাস্ত্রীর কাজের মেয়াদ শেষ হবে।
ভারতীয় বোর্ড রবি শাস্ত্রী (প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর ও হেড কোচ), বি. অরুণ (বোলিং কোচ), আর. শ্রীধর (ফিল্ডিং কোচ) এবং বিক্রম রাঠোর (ব্যাটিং কোচ) সফল মেয়াদের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। শাস্ত্রীর অধীনে, ভারতীয় ক্রিকেট দল একটি সাহসী এবং নির্ভীকভাবে
হোম এবং অ্যাওয়ে উভয় পরিস্থিতিতেই কৃতিত্বপূর্ণভাবে পারফর্ম করেছে। ভারত টেস্ট ফর্ম্যাটে শীর্ষ অবস্থানে উঠেছিল এবং ইংল্যান্ডে উদ্বোধনী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছিল।
ভারত অস্ট্রেলিয়ায় (২০১৮-১৯) টেস্ট সিরিজ জিতে প্রথম এশিয় দল হয়ে ওঠে এবং ২০২০-২১ সালে আরেকটি সিরিজ জয় করে। ভারত প্রথম দল যারা একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছিল, নিউজিল্যান্ডকে ৫-০ ব্যবধানে উড়িয়ে। শাস্ত্রী এবং তার দলের নির্দেশনায় ভারত ঘরের মাঠে তাদের ৭ টি টেস্ট সিরিজ জিতেছে।
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “বিসিসিআই ভারতের সিনিয়র পুরুষ দলের প্রধান কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়কে স্বাগত জানায়। রাহুলের একটি খ্যাতিমান খেলার কেরিয়ার ছিল এবং তিনি গেমের অন্যতম সেরা। তিনি জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির (এনসিএ) প্রধান হিসেবেও ভারতীয় ক্রিকেটের দায়িত্ব পালন করেছেন। এনসিএ’তে রাহুলের প্রচেষ্টায় বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেট প্রতিভাকে লালন করেছে, যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে। আমি আশাবাদী যে তার নতুন কার্যকাল ভারতীয় ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”
বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেছেন, “রাহুল দ্রাবিড়ের চেয়ে ভাল আর কেউ নেই এবং তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্ত হতে দেখে আমি আনন্দিত। আগামী দুই বছরে দুটি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়সূচির সাথে, একটি নির্বিঘ্ন পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ, এবং প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক এই কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তি। এনসিএ’কে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে এবং ভারত অনুর্ধ্ব-১৯ এবং ভারত ‘A’ স্তরে ছেলেদের অগ্রগতি তত্ত্বাবধান করে, আমরা বিশ্বাস করি এটিও একজন কোচ হিসাবে তার জন্য একটি স্বাভাবিক অগ্রগতি। আমার কোনো সন্দেহ নেই যে তার অধীনে ভারতীয় দল সব ফর্ম্যাটেই আধিপত্য বিস্তার করবে। বোর্ড শীঘ্রই অন্যান্য কোচিং স্টাফদের নিয়োগ করবে, যারা যৌথভাবে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে প্রধান কোচকে সহায়তা করবে।”
]]>ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তজার্তিক ক্রিকেটে দলের সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স এবং ফলাফল উন্নতি করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানের কোচিং প্রদানের জন্য একজন হেড কোচ দরকার।
হেড কোচ উপযুক্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কোচিং এবং সাপোর্ট স্টাফদের নেতৃত্ব দেবেন এবং তাদের নিয়োগে সহায়তা করার জন্য, সঙ্গে স্কোয়াডে তাদের নির্দিষ্ট ভূমিকা নির্ধারণ করতে এবং তাদের পারফরম্যান্স পরিচালনার জন্য দায়ী থাকবেন। প্রতিটি ক্রিকেটার এবং সমগ্র দলের মধ্যে গুণগত মান এবং পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দায়ভার হেড কোচের।
দলের হেড কোচ ক্রিকেট ম্যানেজারের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবেন এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রতিভা অন্বেষণ এবং ক্রিকেটের উন্নয়ন কর্মসূচি তৈরিতেও জড়িত থাকবেন এনসিএ’র সঙ্গে।
লেভেল ৩ এবং পেশাদার ক্রিকেটে নুন্যতম ৫ বছরের কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোচ আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত হেড কোচ ক্রিকেট বোর্ডের সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবে। ক্রিকেট সফরের সময়ে নেপাল এবং দেশের বাইরে টিমের সঙ্গে থাকতে হবে।
]]>