নিউজ ডেস্ক: করোনার প্রভাবে প্রাথমিকভাবে জীবন থমকে গেলেও আবার ইঁদুর দৌড়ে নেমে পড়েছে প্রত্যেকে। বাড়ি-অফিস সামলানো, প্রাত্যহিক জীবনের স্ট্রেস কমিয়ে দিচ্ছে আমাদের ঘুমের সময়। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুম না হলেই মুশকিল ডাক্তারেরা বলছেন, সারাদিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন প্রত্যেকের। তার কম ঘুমালে তার প্রভাব পড়তে পারে শরীরে, এমনকী মনেও (The silent killer)। কিন্তু এই ঘুমটা যদি আবার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়?
ডাক্তারেরা জানাচ্ছেন, কম ঘুমানো যেমন শরীরের পক্ষে খারাপ, বেশি ঘুমানোও ঠিক তাই। মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ছোবলে আপনার ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ এমনকি কম বয়সে মৃত্যুঝুঁকিও কাঁধে চেপে বসতে পারে। কিন্তু শুধু শরীরের ক্লান্তি বা আলস্য নয়, ঘুমের মাত্রা বেড়ে যায় অনেক কারণেই।

যখন বেড়ে যায় ঘুমের মাত্রা?
- আপনি যদি হাইপার সমনিয়াতে ভোগেন তবে সারাদিনই ঘুম ঘুম ভাব লেপ্টে থাকবে আপনার চেহারায়।
- অবস্ট্রাক্টিভ স্ট্রিপ ডিজঅর্ডারে ভুগলে মানুষ ঘুমের মধ্যে স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিতে পারে না। এর ফলেও অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে!
- এ ছাড়া মাদকদ্রব্য বা ঘুমের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অবসাদগ্রস্ততার ফলেও বেড়ে যায় ঘুমানোর সময়।
ঘুমের মাত্রা বাড়লে কি প্রভাব পরে শরীরে-
- ডায়াবেটিস: এই রোগে আক্রান্ত প্রায় ৯ হাজার লোকের ওপর চালানো ইউএসের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমান, তাদের অর্ধেকই ৭ ঘণ্টা ঘুমানো লোকদের চেয়ে বেশি ডায়াবেটিস ঝুঁকিতে থাকেন।
- মাথাব্যথা: বেশি ঘুমানোই হতে পারে আপনার অতিরিক্ত মাথাব্যথার কারণ। দিনে বেশি ঘুমালে ব্রেইনের নিউরো-ট্রান্সমিটারের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
- অবসাদ: যদিও কম ঘুমকে অবসাদের কারণ ধরা হয়। কিন্তু ১৫ ভাগ মানুষ অবসাদে ভোগে অধিক ঘুমের জন্য।
- হার্টের সমস্যা: ইউএসের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৯ থেকে ১১ ঘণ্টার বেশি ঘুমানো নারীর ৩৮ ভাগেরও বেশি হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকে।
- মৃত্যুঝুঁকি: অন্য গবেষণায় দেখা যায়, ৯ থেকে ১১ ঘণ্টার বেশি ঘুমানো মানুষের মৃত্যুহার বেশি।
]]>