জানা গিয়েছে, তদন্ত রিপোর্ট তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দু-একদিনের মধ্যেই তা বায়ুসেনার কাছে জমা পড়বে।
তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে এখনও পর্যন্ত বায়ুসেনার পক্ষ থেকে সকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কপ্টারটি ভেঙে পড়েনি। ‘কন্ট্রোল ফ্লাইট ইনটু টেরিন ‘-এর কারণেই কপ্টারটি ভেঙে পড়েছে। যার আক্ষরিক অর্থ হল হেলিকপ্টারের পাইলট কোনও কিছুর অবস্থান বুঝতে না পেরে কোথাও জোরে ধাক্কা মেরে ছিলেন। তার ফলেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কপ্টারটি ভেঙে পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সিএফআইটির অর্থ হল দুর্ঘটনার সময় হেলিকপ্টারটি আকাশেই ছিল। কিন্তু কোনও কারণে পাইলটের সামনের দৃশ্য ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। সেটা সম্ভবত কুয়াশার কারণে হয়। সে কারণেই কপ্টারটি কোন পাহাড় বা বড় ধরনের গাছে ধাক্কা মেরে ছিল। তবে এজন্য পাইলটের ঘাড়ে কখনওই দায় চাপানো যায় না। মূলত কুন্নুরের খারাপ আবহাওয়ায়ই এর কারণ। সরকারিভাবে রিপোর্ট পেশ করা হলে অবশ্য দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
একই সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া কপ্টারের ব্ল্যাকবক্সও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অর্থাৎ দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে পাইলট ও এটিসির যাবতীয় কথোপকথন জানার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, কপ্টার দুর্ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিং। দুর্ঘটনা সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়মিত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে জানানো হচ্ছে।
]]>গত বুধবার তামিলনাড়ু কুন্নুরে (kannur) এমআই-১৭ কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত (bipin rawat) এবং তার স্ত্রী মধুলিকা। একইসঙ্গে সেদিনের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন আরও ১৩ জন। একমাত্র জীবিত সদস্য হিসেবে হাসপাতালে লড়াই চালাচ্ছিলেন বরুণ সিং। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই তরুণ গ্রুপ ক্যাপ্টেনও মৃত্যুর কাছে হার মানলেন।
কপ্টার দুর্ঘটনায় বরুণের শরীরের অধিকাংশই পুড়ে গিয়েছিল। ঘটনার দিন তাঁকে ওয়েলিংটনের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে আরও ভাল চিকিৎসার জন্য তাঁকে বেঙ্গালুরু নিয়ে আসা হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও তিনি স্থিতিশীল আছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের সেই আশ্বাস আর বাস্তবে মিলল না। বরং বরুণকেও কেড়ে নিল নিয়তি।
প্রয়াত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংয়ের বাবা ছিলেন সেনাবাহিনীর কর্নেল কে পি সিং। কয়েকদিন আগে কে পি সিং জানিয়েছিলেন, তিনি নিশ্চিত যে তাঁর যোদ্ধা ছেলে মৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হয়ে ঘরে ফিরবেন। কিন্তু বাবার সেই আশা পূরণ হল না।
বরুণ সিংয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, বরুণ সিংয়ের প্রয়াণে আমি মর্মাহত। বরুণ সিংয়ের অবদান চিরকাল মনে রাখবে দেশবাসী। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। বরুণ সিংয়ের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও।
]]>প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে ধাক্কা মারে। পরে আরও কয়েকটি গাছে ধাক্কা মেরে সেটিতে আগুন লেগে যায়। প্রথম ৫ জনের মৃত্যুর খবর এলেও পরে ধীরে ধীরে বিপিন রাওয়াত সহ অন্যান্যদের মৃত্যুর খবর আসে।
এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় বুধবার প্রাণ হারিয়েছেন হাবিলদার সৎপাল রাই (Hav. Satpal Rai)। তিনি দার্জিলিঙের তাকদহের বাসিন্দা। তাঁর মৃত্যুতে পাহাড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা। পাশাপাশি রাওয়াতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, বিপিন রাওয়াত-সহ ১৩ জনের মৃত্যুতে তিনি গভীর শোকাহত। রাওয়াতের মৃ্ত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হল।
https://twitter.com/RajuBistaBJP/status/1468616185990172674?s=20
Deeply anguished by the sudden demise of Chief of Defence Staff Gen Bipin Rawat, his wife and 11 other Armed Forces personnel in an extremely unfortunate helicopter accident today in Tamil Nadu.
His untimely death is an irreparable loss to our Armed Forces and the country.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) December 8, 2021
General Rawat had served the country with exceptional courage and diligence. As the first Chief of Defence Staff he had prepared plans for jointness of our Armed Forces.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) December 8, 2021
My heart goes out to the families of those who lost their loved ones in this accident. Praying for the speedy recovery of Gp Capt Varun Singh, who is currently under treatment at the Military Hospital, Wellington.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) December 8, 2021
দার্জিলিঙের বাসিন্দা ৪১ বছরের হাবিলদার সতপাল রাই ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। পরিবারের তরফে জানা গেছে, বুধবার সকালেই পরিবারের সকলের সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয়। তাঁর এক ছেলে সেনাবাহিনীতে কর্মরত। গোর্খা রাইফেলসের হাবিলদার পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। বুধবার রাতের দিকে সতপালের মৃত্যুর খবর পৌঁছায় দার্জিলিঙের বাড়িতে।
<
p style=”text-align: justify;”>উল্লেখ্য, এদিনের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত, ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, নায়েক গুরসেবক সিং, নায়েক জিতেন্দ্র কুমার, ল্যান্সনায়েক বিবেক কুমার, ল্যান্সনায়েক বি সাই তেজা, হাবিলদার সৎপাল রাই। হেলিকপ্টারটি চালাচ্ছিলেন উইং কমান্ডার পৃথ্বী সিংহ চৌহান। গুরুতর জখম গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহ। তিনি সেনা হাসপাতালে ভর্তি। ভারতীয় বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুর্ঘটনা কেন ঘটল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
]]>এদিকে দেশজুড়ে উদ্বেগ কেমন আছেন সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত? কিছু সূত্র উদ্ধৃত করে তামিল সংবাদ মাধমের খবর, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এক ঝলসে যাওয়া ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে। তবে সেনাবাহিনীর বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সেনা প্রধানের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন উচ্চস্তরীয় চিকিৎসকদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন বলেই খবর। তামিলনাডু সরকার জানিয়েছে বুধবার দুপুরে কুন্নুর জেলায় উটির কাছে ঘন জঙ্গলের মধ্যে সেনাবাহিনীর এম-১৭ হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। এতেই ছিলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তাঁর স্ত্রী মধুলিকা।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
]]>