সদ্য প্রকাশ হয়েছে সলমনের লেখা বই ‘সানরাইজ ওভার অযোধ্যা, নেশনহুড ইন আওয়ার টাইম’। ওই বইয়ের একটি অধ্যায়ে সলমন বলেছেন, সনাতন হিন্দু ধর্মও উগ্র হিন্দুত্ববাদ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। এই উগ্র হিন্দুত্ববাদ বোকো হারাম (boko haram), আইএস (isis) জঙ্গি গোষ্ঠীর মতোই ভয়ঙ্কর। যথারীতি সলমনের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (amit malyba) বলেছেন, খুরশিদ আসলে হিন্দুদের অপমান করেছেন। কংগ্রেস যদি হিন্দুদের সম্মান করে থাকে তাহলে খুরশিদকে অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত।
অন্যদিকে এই মন্তব্যের জন্য ইতিমধ্যেই খুরশিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে দিল্লি পুলিশের কাছে। দিল্লির দুই আইনজীবী বিবেক গর্গ (vivek garg) এবং বিনীত জিন্দাল (vinit jindal) এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে হিন্দুত্বের অবমাননা করার অভিযোগ দায়ের করেছেন। খুরশিদ তাঁর বইয়ের ১১৩ নম্বর পাতায় লিখেছেন, সনাতন হিন্দু ধর্মও উগ্র হিন্দুত্ববাদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে।
এই উগ্র হিন্দুত্ববাদ বকো হারাম বা আইসিস জঙ্গিগোষ্ঠীর মতই ভয়ঙ্কর। তাই এই উগ্র হিন্দুত্ববাদকে কখনওই মানুষের মেনে নেওয়া উচিত নয়। খুরশিদের এই লেখা প্রকাশ্যে আসতেই রে রে করে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য অভিযোগ করেছেন, যে দল ইসলামি সন্ত্রাসের সঙ্গে হিন্দু সন্ত্রাসকে একই আসনে বসায় সেই দলের নেতার কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশিত। আসলে এসবই মুসলিম ভোট পাওয়ার আশায় করেছেন ওই কংগ্রেস নেতা।
আরও এক ধাপ এগিয়ে বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া (gourab vatia) বলেছেন, সোনিয়া ও রাহুল (sonia and rahul gandhi) গান্ধীর কথাতেই এসব লেখা হয়েছে। সোনিয়া যদি হিন্দুদের সম্মান দিয়ে থাকেন তাহলে তাঁর উচিত সামনে এসে এই বিষয়ের ব্যাখ্যা দেওয়া। কিন্তু তা না করে যদি তিনি নীরব থাকেন তাহলে এটা স্পষ্ট বুঝতে হবে যে, সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর গোটা দলই হিন্দু বিরোধী।
বিজেপি উস্কানি দিলেও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য সরাসরি কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে কংগ্রেসের কিছু নেতা ঠারেঠোরে এটা বেঝাতে চেয়েছেন যে, খুরশিদের ওই মন্তব্য একজন লেখক হিসেবে। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে এই মন্তব্যের জন্য ইতিমধ্যেই খুরশিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
]]>আরও পড়ুন তালিবান উৎখাতে আফগান নাগরিকদের ভরসা ‘রিয়েল হিরো’ আমরুল্লাহ সালেহ
@Hindutvaoutloud নামের একটি ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে এই ছবিটি শেয়ার করা হয়। তারপর থেকেই হিন্দুধর্মকে অবজ্ঞা করে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মকে বয়কট করা শুরু করে অনেকে। একটি বিজ্ঞাপনভিত্তিক মিম সোশ্যাল মিডিয়াকে এত খারাপভাবে প্রভাবিত করেছে, যে কয়েকঘন্টার মধ্যেই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটিকে বন্ধ করার দাবি তুলেছে কয়েক হাজার নেটিজেন।
https://twitter.com/pappuchikna001/status/1429353125798768640?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1429353125798768640%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.shethepeople.tv%2Fnews%2Fwhy-boycott-myntra-trending-on-twitter%2F
Hello @myntra @MyntraSupport – Uninstalled your app. Just like Netflix.
Will never buy from you and let everyone know about this. It's very simple. pic.twitter.com/vYSo9rLmrR— ChopdaSaab (@Chopdasaab) August 21, 2021
অনেকেই বিজ্ঞাপিত গ্রাফিকটিকে তাদের ধর্মের প্রতি অসম্মানজনক বলে অভিহিত করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আপনার কি অন্য ধর্মের শ্রদ্ধেয় দেবতাদের ছবি ব্যবহার করে একই ধরনের প্রচার করার সাহস আছে? যদি তা না হয় তবে ক্ষমা চান। আপনার সমস্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে এই বিজ্ঞাপনটিকে সরিয়ে দিন।” আরেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এই অপমানজনক বিজ্ঞাপনের জন্য মিন্ট্রা আনইনস্টল করলাম l ফ্লিপকার্ট সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাছে এই অবমাননাকর বিজ্ঞাপনের ব্যপারে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য সময় দিলাম। নয়তো সেগুলোও আনইনস্টল হবে।”
আরও পড়ুন এবারে শীতে বড় পর্দায় আসতে চলেছে দেব-রুক্মিণীর ‘কিশমিশ’, প্রকাশ্যে ছবির অ্যানিমেটেড টিজার
২০১৬ সালেও বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল ঠিক একই ধরনের আরেকটি বিজ্ঞাপন। সেসময় লোকেরা ধরে নিয়েছিল যে এটি মিন্ট্রার বিজ্ঞাপন। পরে জানা যায়, স্ক্রোলড্রোল নামে এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ওই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন, মূল উদ্দেশ্য ছিল একবিংশ শতকের প্রযুক্তি ব্যবহার করলে কী হবে দেখানো। এই বছরের শুরুর দিকে আরেকটি বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েছিল জনপ্রিয় এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। মুম্বাই সাইবার ক্রাইমে কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় ‘মিন্ট্রা’র নামে। মিন্ট্রার লোগোটি মহিলাদের প্রতি অপমানজনক এবং আপত্তিকর বলে অভিযোগ করেছিলেন এক মহিলা। পরে সমস্ত জায়গা থেকে সরকারীভাবে লোগো পরিবর্তন করেছিল ফ্লিপকার্টের মালিকানাধীন এই সংস্থা।
]]>