Homeopathy – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 27 Nov 2021 20:35:55 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Homeopathy – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 ইচ্ছেমত হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাচ্ছেন, ফল ভয়ানক হতে পারে https://ekolkata24.com/lifestyle/do-not-have-homeopathy-medicine-without-knowing-rule Sat, 27 Nov 2021 20:30:45 +0000 https://ekolkata24x7.com/?p=284 অনলাইন ডেস্ক: অসুখ-বিসুখ হওয়া মানেই ওষুধ অনিবার্য। আর ছোট-খাটো সমস্যায় আমরা অনেকেই ডাক্তার। বাড়িতে বেশ কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধ এনে রেখে দেওয়া থাকে। আর তা ইচ্ছেমত খেয়ে থাকেন অনেকেই।

এতে কী কী সমস্যা হতে পারে জানেন- 
ওষুধের প্রয়োগ
সঠিক ওষুধ গ্রহণ করলে দু থেকে তিন মাত্রাতেই কাজ হয়। এই চিকিৎসায় ওষুধ সেবনের ৩০ মিনিট আগে খাওয়া উচিত নয়। ব্যথা বা ক্ষতস্থানে কোনও ওষুধ লাগানোর প্রয়োজন হলে আলতোভাবে মালিশ করে লাগাতে হবে এবং ক্ষতস্থানে গরম সেঁক দেওয়া চলবে না। 
খারাপ ওষুধ 
অনেকদিনের পুরােনা ওষুধ খাওয়া যাবে না। কারণ ওষুধের গুণ অনেকটা কমে যায়। খাওয়া উচিত টাটকা ওষুধ।ওষুধটা খারাপ কি না তার আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। কারণ ওষুধ চোখের সামনে রাখলেই বোঝা যাবে তা ঘোলাটে ধরণের। 
নিষিদ্ধ আহার
পেঁয়াজ, ডিম, টক রসুন, হিং খাওয়া চলবে না। চুন, চা, বিড়ি, সিগারেট, সোডা ইত্যাদি নেশা ত্যাগ করতে হবে। 
ওষুধের সংরক্ষণ
যেখানে সেখানে ওষুধ রাখলে ওষুধের শক্তি কমে যায়।তাপ ও রোদের মধ্যে ওষুধ রাখলে ওষুধের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। ওষুধের সামনে যদি কোনও উগ্র দ্রব্য রাখা হয়। তাহলে ওষুধের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য ওষুধ সংরক্ষণের ব্যাপারটা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। 

medicine

অ্যালোপ্যাথি থেকে হোমিওপ্যাথি 
কোনও অ্যালোপ্যাথি থেকে চিকিৎসাধীন রোগী যদি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করাতে চান তাহলে স্থূল মাত্রার তিরিশ শক্তি দিয়ে শুরু করা উচিৎ৷ পরে প্রয়োজন হলে মাত্রার হেরফের ঘটবে। 

ভয়ঙ্কর প্রতিক্রিয়া 
ওষুধ অধিক মাত্রায় প্রয়োগ করা হলে তার পরিণাম ভয়ঙ্কর হতে পারে। যেমন- ন্যাক্স ভম হোমিওপ্যাথিতে সর্বাধিক উপকারি ওষুধ। কিন্তু অধিক মাত্রায় এটি প্রয়োগ হলে ধনুষ্টঙ্কারের মতো সাংঘাতিক পীড়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সবসময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া দরকার। 

বাহ্যিক প্রয়োগ
ঘা, ঘাড়ের ব্যথা, ক্ষতে অনেকসময় ওষুধ বাহ্যিক প্রয়োগের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে ওষুধ লাগাতে হয়। ওষুধটি সঠিকভাবে নির্বাচন করে নারকেল তেল, ভেসলিন প্রভৃতির সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে এতে লাগাতে সুবিধা হয়। 

নানা চিকিৎসা 
বার বার চিকিৎসার পদ্ধতির পরিবর্তন, অর্থাৎ একবার অ্যালোপ্যাথি, একবার হোমিওপ্যাথি, একবার কবিরাজি এইভাবে চিকিৎসা করা উচিত নয়। এর ফলে রোগ কঠিন হয়ে পড়ে, জটিলতার সৃষ্টি হয়।

ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
সকালে খালি পেটে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে খুব উপকার দেয়। তবে অন্য সময়ে যে কাজ করে না, তা নয়।সাধারণভাবে স্থূল মাত্রায় ওষুধ সকালে ও রাতে শোয়ার আগে সেবন করা প্রয়োজন। প্রয়োজনে দুপুরে আরও একবার সেবন করা চলে। আর ওষুধ সেবনের ৩০ মিনিট আগে ও ৩০ মিনিট পরে কোনওপ্রকার আহার গ্রহণ করা উচিৎ নয়।

সাবধনতা
ব্যথা ক্ষ ক্ষতে মলম লাগাতে হবে আলতোভাবে। ঘষে ঘষে মালিশ করা চলবে না, আর হোমিওপ্যাথি ওষুধ লাগানোর পরে গরম সেঁক দেওয়া চলবে না। 

জলপান 
হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবন করার পর একটু বেশি জলপান করা উচিৎ কারণ এতে ওষুধের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।

ওষুধের শক্তিবৃদ্ধি
লিক্যুইড ওষুধ সেবন করার আগে শিশির ছিপি না খুলে শিশিটাকে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিয়ে তা সেবন করলে ওষুধের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

]]>
চিকিৎসাই নয়, হোমিওপ্যাথিক ওষুধের আবিস্কর্তাও ‘ডিগ্রীবিহীন’ ডাক্তার বিদ্যাসাগর https://ekolkata24.com/offbeat-news/the-inventor-of-homeopathic-medicine-degreeless-dr-vidyasagar Sun, 26 Sep 2021 08:08:44 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5629 অফবিট ডেস্ক: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ভারতবর্ষের বুকে জন্ম নেওয়া এক ক্ষনজন্মা পুরুষ। সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য সংস্কৃত কলেজ থেকে ১৮৩৯ সালে তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। বিদ্যাসাগর উপাধির সঙ্গে শুধু পুস্তকগত শিক্ষাই নয়, জড়িয়ে রয়েছে সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁর অগাধ পান্ডিত্যও। বর্তমান সময়ের অন্যতম বিষয়, ‘নারী-শিক্ষা’ এবং ‘নারী-স্বাধীনতা’র মানসিক দ্বারোদঘাটন হয়েছিল যাদের হাত ধরে, তাদের মধ্যেই প্রথমেই আসে তাঁর নাম। তাঁর জীবন জোড়া অপরিসীম মানব দরদ, দক্ষ পরিচালনায় সমাজ সংস্কার। বাঙালির ‘বর্নপরিচয়’-এর স্রষ্টার এই দিকগুলি সম্পর্কে বাঙালি যতটা অবগত, তাঁর জীবনের আরেকটি দিক সম্পর্কে সাধারন মানুষ ততটাই অন্ধকারে।

আরও পড়ুন কালের গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে ইতিহাস

বিদ্যাসাগরের সেই পরিচয়টির আক্ষরিক নাম ‘চিকিৎসক’। শেষজীবনে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ডিগ্রীবিহীন স্বশিক্ষিত চিকিৎসক। সমাজের অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ‘হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার’ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। যদিও তাঁর এই পেশার সম্পর্কে জানার আগেই প্রশ্ন উঠতে পারে সেকালে কি বাংলায় ডাক্তার ছিলনা? বা বিদ্যাসাগরের মত অন্যতর শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিতের নাক গলানোর কি দরকার ছিল? যেখানে আয়ুর্বেদ কিংবা হাকিমি নয়, ১৮৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল খোদ মেডিক্যাল কলেজও। ফলে এর একমাত্র উত্তর হল, আর্তদের সেবার উদ্দেশ্যেই বিদ্যাসাগরের এই উদ্যোগ। তাঁর হোমিওপ্যাথি চর্চার কেন্দ্রে ছিল দেশের দরিদ্র – অসহায় মানুষের বেদনার আর্তনাদ।

কিন্তু যার নাম ‘বিদ্যাসাগর’, তিনি কী শুধুই একটি উদ্যোগ নেবেন? নাকি সেখানেই গেঁথে যাবেন একটি মাইলফলক? অধ্যাপক ক্ষুদিরাম বসু জানিয়েছিলেন, তাঁর একবার পেটের সমস্যা বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক ডঃ প্রতাপ চন্দ্র মজুমদার, ব্রজেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওষুধ কাজ দিচ্ছিলনা। বিদ্যাসাগর তাঁকে দেখতে এসে বই খুঁজে খুঁজে ওষুধ দিলেন, দু-তিনবার সেই ওষুধ খাওয়ার পর সম্পুর্ন সুস্থ হয়েছিলেন তিনি। কারমাটারে থাকার সময়েও তীব্র ম্যালেরিয়া, কলেরায় ভোগা রোগীকে (সাওতাল) সুস্থ করে তুলেছিলেন শুধু ওষুধে নয়, পরম যত্নেও। ১৮৬৯-৭০ সালে বর্ধমানে এক ভয়ানক জ্বরে (ম্যালেরিয়া) প্রচুর মানুষ মারা যায়।সেই সমস্ত মানুষদের বিনা পয়সায় ওষুধ দিয়ে সুস্থ করে তোলেন বিদ্যাসাগর

সারা জীবন অজস্র ব্যধিতে ভুগেছেন বিদ্যাসাগর। বীরসিংহ গ্রামে শৈশবে  প্লীহার অসুখে আক্রান্ত হওয়া থেকে শুরু করে ক্রনিক পেট ব্যথা, রক্ত আমাশা ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী । ফলে সেটিও তাঁর হোমিওপ্যাথি চর্চার অন্যতম বিষয়। যদিও শুধু চিকিতসা করে রোগীকে সুস্থ করে তোলাই নয়, বিদ্যাসাগর আবিস্কার করে ফেলেছিলেন হোমিওপ্যাথির অন্যতম একটি ওষুধও।

হাঁপানির রোগ থাকায় বিদ্যাসাগর শীতকালে খুব কষ্ট পেতেন । তাই শীতে দু’বেলা গরম চা খেতেন। এক দিন চা খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাঁপের টান একদম কমে গেল। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অবাক! গৃহভৃত্যকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘আজ চায়ে কি আদার রস মিশিয়েছিলে?’’

গৃহভৃত্য বলল, না সেরকম কিছু সে করেনি। এবং স্বীকার করল, তাড়াহুড়োয় আজ কেটলি না-ধুয়েই চা করে ফেলেছিলেন। কেটলি আনার পর কেটলি খুলে দেখে বিদ্যাসাগর স্তম্ভিত। কেটলির মধ্যে দুটি আরশোলা পড়ে আছে। বিদ্যাসাগরের অনুসন্ধিৎসু মন বলল, আরশোলা বেশি জলে সেদ্ধ করার পর, তাকে অ্যালকোহলে ফেলে ছেঁকে ডাইলিউট করে হোমিয়োপ্যাথির মতে ওষুধ বানিয়ে নিজে ও অন্যদের দিয়ে পরীক্ষা করে দেখলে কেমন হয়, তাতে হাঁপানি, সর্দি সারে কি না!।

ভুবনকৃষ্ণ মিত্র তাঁর স্মৃতিচারণায় লিখেছেন, বহু রোগীকে না জানিয়ে তিনি এই ওষুধ খাওয়ান। এবং সাফল্য পাওয়ার পর রীতিমতো ব্যবহার হতে শুরু করে তাঁর তৈরি ব্লাট্টা অরিয়েন্টালিস (Blatta orientalis)। নামিদামী ডিগ্রীধারী ডাক্তারদের পাশে ‘মেটিরিয়া মেডিকায়’ এই ওষুধের প্রথম প্রয়োগকর্তা হিসেবে নাম আছে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরেরও।

]]>
হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন, সুফল পাবেন তাড়াতাড়ি https://ekolkata24.com/offbeat-news/follow-some-rules-while-taking-homeopathic-medicine Fri, 27 Aug 2021 15:22:15 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3286 নিউজ ডেস্ক: অনেকেই আছেন যাঁরা অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার থেকে হোমিওপ্যাথির ওপর বেশি ভরসা করেন। কোনও রোগ হলেই ছোটেন হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা করাতে। এর পেছনে অনেকরই একটি ভাবনা কাজ করে, তা হল অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেলে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হয়, হোমিওপ্যাথিতে তা হয় না।

আরও পড়ুন বর্ষাকালে মহিলারাই নয়, পুরুষদেরও ত্বকের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ

কিন্তু হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলেও ডাক্তাররা বেশ কিছু জিনিস মেনে চলার পরামর্শ দেন। যা মেনে না চললে ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হওয়ার যেমন সম্ভাবনা থাকে, তেমনই নিময় মেনে না খেলে ওষুধ কাজ নাও করতে পারে। আর এই ভুলগুলি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চলাকালীন আমরা অনেকেই করে থাকি। দেখে নিন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চলাকালীন কোন বিষয়গুলো মাথাই রাখতে হবে।

আরও পড়ুন ইচ্ছেমত হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাচ্ছেন, ফল ভয়ানক হতে পারে

  • হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার আগে জলে ভাল করে মুখ কুলকুচি করে নিন। বিশেষত কিছু খাওয়ার পর মুখ না ধুয়ে ওষুধ খাবেন না।
  • হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে বা পরে কিছু খাবেন না। অনেকসময় চিকিৎসকরা জল না খাওয়ারও পরামর্শ দেন।
  • হোমিওপ্যাথি ওষধের দানা কখনওই হাতে নিয়ে খাবেন না। এর ফলে ওষুধে ব্যবহার করা স্পিরিট উবে যায়।

আরও পড়ুন ওষুধকে উপেক্ষা করে এই দেশে চিকিৎসা হয় গায়ে আগুন জ্বালিয়ে

  • একইসঙ্গে অ্যালোপাথি ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা না করানো উচিৎ। একইসঙ্গে দু’ধরণের ওষুধ খেলে ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে। যদিও প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই চিকিৎসা করানো উচিৎ।
  • বাজারে হোমিওপ্যাথির বই সহজলভ্য। কিন্তু তা দেখে নিজে নিজে চিকিৎসা করতে যাবেন না। অ্যালোপ্যাথির মতো হোমিওপ্যাথি ডাক্তাররাও ডিগ্রি পেয়েই চিকিৎসা করেন, তাদের ওপর দিয়ে যেতে গেলে বিপদ আপনারই।
  • হোপিওপ্যাথি ওষুধ যতদিন খাবেন ততদিন কোনও রকম নেশা করবেন না। বিশেষ করে অ্যালকোহল বা প্রচুর পরিমানে ক্যাফিন খেলে ওষুধের কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যায়।
]]>