Hospital – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 01 Jun 2024 11:47:04 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Hospital – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 गर्मी का कहर जारी, सुल्तानपुर में 17 मौतें, मेडिकल कॉलेज में बेड फुल, फर्श पर हो रहा इलाज https://ekolkata24.com/uncategorized/heat-wave-continues-17-deaths-in-sultanpur Sat, 01 Jun 2024 11:47:04 +0000 https://ekolkata24.com/?p=47845 सुल्तानपुर: देशभर में भीषण गर्मी से हाहाकार मचा हुआ है। यूपी में गर्मी से सैकड़ों लोगों की मौतें हो चुकी हैं। सुल्तानपुर में पारा 45 डिग्री के पार चला गया है। ऐसे में भीषण गर्मी की वजह से लोगों का बुरा हाल है। राजकीय मेडिकल कॉलेज की इमरजेंसी मरीजों से फुल है। बेड कम पड़ जाने से फर्श पर इलाज हो रहा है। बीते गुरुवार को यहां 17 मौतें हुई हैं। हालांकि, स्वास्थ अधिकारी हीट वेव से मौत की बात से इनकार कर रहे हैं।

इमरजेंसी में हालात यह हैं कि डायरिया, वोमेटिंग, लूज मोशन, सांस और फीवर के मरीज काफी संख्या में पहुंच रहे हैं। इमरजेंसी वार्ड के बेड खाली नहीं हैं। जमीन, बेंच और स्ट्रेचर पर मेडिकल स्टॉफ को ट्रीटमेंट देना पड़ रहा है। तीमारदार कपिल देव ओझा बताते हैं कि वे अपने भाई को लेकर आए और भर्ती कराया। हीट वेव की चपेट में आने से उन्हें डायरिया हुआ है। हरिद्वार सिंह अपनी बेटी प्रियंका को लेकर भर्ती कराए हुए हैं। उन्होंने बताया कि बिटिया कल से डिहाइड्रेशन का शिकार है। हीट वेव का शिकार है। सुबह इमरजेंसी में लेकर आए। डॉक्टर इसको देख नहीं रहे थे। बहुत विनती के बाद यही फर्श पर इलाज हो रहा है। भीड़ की वजह से यहां दो तीन डॉक्टरों की आवश्यकता है।

सुमित्रा सिंह अपने बाबा विजय को लेकर दिखाने आई। वो आठ दिनों से बीमार हैं, लेकिन डॉक्टर एडमिट नहीं कर रहे, वो ओपीडी में दिखाने की सलाह दे रहे हैं। इंद्रदेव मिश्रा ने बताया तीन दिन से बिटिया डायरिया का शिकार है। काफी देर से भर्ती किया गया है। इमरजेंसी में मौजूद वर्ड बॉय संतोष ने बताया कि तापमान ज्यादा होने की वजह से ज्यादा तर डायरिया के पेशेंट आ रहे हैं।

राजकीय मेडिकल कॉलेज के सीएमएस एसके गोयल ने बताया कि गर्मी बहुत पड़ रही है और हीट वेव का असर लोगों में दिख रहा है। उससे बीमार होकर भी लोग आ रहे हैं। उन्होंने कहा कि हीट वेव से एक भी मौत की सूचना हमें अभी तक नहीं है। गुरुवार को हमारे चिकित्सालय में टोटल 17 मौतें हुई हैं, जिसमें तीन मौतें लकवे के मरीज की, शॉक्ड के 5 मरीज, सांस फूलने के कारण 6 मरीज, सड़क दुर्घटना में एक और बुखार से दो मरीजों की मौत हुई है। हालांकि, वो हीट वेव से मौत नहीं होने की बात अंत तक कहते रहे।

]]>
Helicopter Crash: ৮ দিনের লড়াই শেষে নিয়তির কাছে হার মানলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং https://ekolkata24.com/sports-news/helicopter-crash-sole-survivor-varun-singh-dies-in-hospital Wed, 15 Dec 2021 09:18:51 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14952 নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: একটানা ৮ দিন লড়াই চালালেও শেষ রক্ষা হল না। শেষ পর্যন্ত বুধবার সকালে হাসপাতালেই প্রাণ হারালেন কপ্টার দুর্ঘটনায় (Helicopter crash) একমাত্র জীবিত সদস্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং (Varun Singh)। ভারতীয় বায়ুসেনার (indian air force) পক্ষ থেকে বরুণ সিংয়ের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।

গত বুধবার তামিলনাড়ু কুন্নুরে (kannur) এমআই-১৭ কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত (bipin rawat) এবং তার স্ত্রী মধুলিকা। একইসঙ্গে সেদিনের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন আরও ১৩ জন। একমাত্র জীবিত সদস্য হিসেবে হাসপাতালে লড়াই চালাচ্ছিলেন বরুণ সিং। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই তরুণ গ্রুপ ক্যাপ্টেনও মৃত্যুর কাছে হার মানলেন।

কপ্টার দুর্ঘটনায় বরুণের শরীরের অধিকাংশই পুড়ে গিয়েছিল। ঘটনার দিন তাঁকে ওয়েলিংটনের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে আরও ভাল চিকিৎসার জন্য তাঁকে বেঙ্গালুরু নিয়ে আসা হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও তিনি স্থিতিশীল আছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের সেই আশ্বাস আর বাস্তবে মিলল না। বরং বরুণকেও কেড়ে নিল নিয়তি।

প্রয়াত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংয়ের বাবা ছিলেন সেনাবাহিনীর কর্নেল কে পি সিং। কয়েকদিন আগে কে পি সিং জানিয়েছিলেন, তিনি নিশ্চিত যে তাঁর যোদ্ধা ছেলে মৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হয়ে ঘরে ফিরবেন। কিন্তু বাবার সেই আশা পূরণ হল না।

বরুণ সিংয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, বরুণ সিংয়ের প্রয়াণে আমি মর্মাহত। বরুণ সিংয়ের অবদান চিরকাল মনে রাখবে দেশবাসী। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। বরুণ সিংয়ের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও।

]]>
ভোপালের হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে মৃত ৪ শিশু https://ekolkata24.com/uncategorized/4-children-burnt-to-death-in-bhopal-hospital Tue, 09 Nov 2021 10:58:48 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10816 News Desk: ভয়াবহ আগুন ভোপালের কমলা নেহরু (kamala nehru child hospital) শিশু হাসপাতালে। অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল চত্বরে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। অনেক রোগীই ভয় পেয়ে ছুটোছুটি শুরু করেন। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের মন্ত্রী বিশ্বাস সরং (biswas sarang)। কী কারণে এই আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি। তবে দমকলের অনুমান, খুব সম্ভবত শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।

মন্ত্রী বিশ্বাস সরং জানিয়েছেন, সোমবার রাতে ভোপালের (bhopal) কমলা নেহরু হাসপাতালের স্পেশাল নিউবর্ন ওয়ার্ডে আগুন লাগে। ওই আগুনে ৪ সদ্যজাত শিশুর পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (shibraj sing chouan)।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে ওই হাসপাতালের শিশু বিভাগের কমপক্ষে ৬০ জন শিশু ভর্তি ছিল। সোমবার রাতের ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে মৃত্যু হয়েছে চারটি শিশুর। বেশ কয়েক জন জখম হয়েছে। তবে ওই ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অন্য শিশুদের অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গেই সরিয়ে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এদিন বলেছেন, ভোপালের কমলা নেহরু হাসপাতালে আগুন লেগে চারটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। কী কারণে এই আগুন লাগল তা জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে। একইসঙ্গে

মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে ফতেহগড় ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ জুবের খান জানান, সোমবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ প্রথম আগুন লাগে। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কী কারণে এই আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অনুমান করা হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই আমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে আগুন লেগে ১১ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছিলেন। জখম হয়েছিলেন আরও আটজন।

]]>
Odisha: সদ্যোজাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় আদিবাসী পরিবারকে সামাজিক বয়কট https://ekolkata24.com/uncategorized/tribal-couple-takes-newborn-to-hospital-allege-facing-social-boycott Wed, 03 Nov 2021 10:56:48 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10164 News Desk: ২৯ অক্টোবর গুনারাম মুর্মুর স্ত্রী সুগি মুর্মু এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পরই ওই শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান মা ও বাবা। সদ্যোজাত শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কারণে ওই শিশুর মা-বাবাকে সামাজিক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কারণ ওই সদ্যোজাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ওই গ্রামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিরোধী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কেওনঝাড় জেলার যুগলকিশোরপুর নামে এক আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে।

গুনারাম জানিয়েছেন ২৯ অক্টোবর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছানোর আগেই তাঁর স্ত্রী সুগি বাড়িতেই এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। প্রসবের পর শিশু ও মায়ের শারীরিক সুস্থতা পরীক্ষার জন্য তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান গুনারাম। এ ঘটনা যুগলকিশোরপুর গ্রামের আদিবাসীদের ক্ষুব্ধ করে তোলে।

গ্রামের প্রধান এবং অন্য কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাঁদের নিয়ম হল, কোনও মহিলা সন্তান প্রসবের পরে তাঁক হাসপাতালে পাঠানোর অর্থ গোটা গ্রামকে অপবিত্র করা। সে কারণেই গ্রামপ্রধান গুনারামকে তিনটি মোরগ, কিছু স্থানীয় মদ এবং পূজার উপকরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু গুনারাম জানিয়েছেন তিনি এ ধরনের কুসংস্কারে বিশ্বাসী নন। তাই তিনি গ্রামের মোড়লের দেওয়া প্রস্তাব মেনে নেননি।

গুনারাম এভাবে মোড়লের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরেই তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে সামাজিক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গুনারাম চলতি মাসের ১ তারিখে ঘাসিপুরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে যুগলকিশোরপুর গ্রামে গিয়ে ছিলেন পুলিশ আধিকারিক মানসসরঞ্জন পান্ডা। মানসবাবু জানিয়েছেন, সদ্যজাত সন্তান ও স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কারণেই গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ। সেকারণেই সংশ্লিষ্ট পরিবারকে সামাজিক বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছেন।

]]>
হাসপাতালে রোগী-রাতজাগা আত্মীয়দের পেট ভরাচ্ছেন ‘হসপিটাল ম্যান’ পার্থ https://ekolkata24.com/offbeat-news/partha-kolkatas-hospital-man-feeding-poors-for-last-four-years Tue, 24 Aug 2021 17:45:11 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=3072 অনুভব খাসনবীশ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নগরলক্ষ্মী কবিতায় ‘বুদ্ধ’ জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘ক্ষুধিতের অন্নদান-সেবার ভার কে নেবে?’ যা শুনে রত্নাকর শেঠ, ধর্মপালেরা পিছিয়ে গেলেও এগিয়ে এসেছিল এক ভিক্ষুণী, দায়িত্ব নিয়েছিল ‘খাদ্যহারা’দের খাদ্য বিলোবার। ভিক্ষুণীর বলা সেই,

‘কাঁদে যারা খাদ্যহারা       আমার সন্তান তারা;
নগরীরে অন্ন বিলাবার
আমি আজি লইলাম ভার।’

– কথাগুলিরই যেন বাস্তবায়ন করে চলেছেন পার্থ কর চৌধুরী, কলকাতার ‘হসপিটাল ম্যান’।

চার বছরেরও বেশি সময় ধরে খাদ্যহীনদের মুখে বিনামূল্যে খাবার তুলে দিচ্ছেন পেশায় পুলকার চালক পার্থ কর চৌধুরী। কলকাতা শহরের শেঠ শুখলাল কারনানী মেমোরিয়াল হাসপাতাল অর্থাৎ পিজি হাসপাতাল, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল এবং চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল, তিন সরকারী হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষারত রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়দের খাবার দেন তিনি। তাঁদের জন্যই দু’বেলা খাবার নিয়ে হাসপাতালের গেটে পৌঁছে যান পার্থ। ভালোবেসে তিলোত্তমা তাঁকে ডাকে ‘হসপিটাল ম্যান’ বলে।

আরও পড়ুন ভারতীয় বায়ুসেনার জনকের নামেই রয়েছে জনপ্রিয় ফুটবল কাপ

৫১ বছরের পার্থর বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ মা, বাবা, স্ত্রী ও এক মেয়ে। নিজে অসুস্থ হয়ে ভরতি হয়েছিলেন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। চিকিৎসারত অবস্থাতেই দেখেছিলেন কলকাতার সরকারী হাসপাতালে রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়দের দুরবস্থা। বেড না পেয়ে হাসপাতালের বাইরেই পড়ে থাকে অনেক রোগী, বিনিদ্র রাত্রিযাপন করেন তাঁদের আত্মীয়রা। দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের পরিজনেরা শুধু টাকার অভাবেই নয়, অব্যবস্থাতেও খাবার জোটেনা অনেকের। তা দেখার পরেই তাঁদের খাওয়ানোর সঙ্কল্প নেন তিনি। টানা চার বছর ধরে তাঁর একক প্রয়াসেই চলছে সেই সঙ্কল্পের বাস্তবায়ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “জলপাইগুড়ির অ্যাম্বুলেন্স দাদা করিমূল হক, বীরভূমের ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জি (এক’টাকার ডাক্তার), আউশগ্রামের সুজিত চট্টোপাধ্যায় (দু’টাকার মাস্টারমশাই) আমাদের পথপ্রদর্শক।”

May be an image of one or more people and people standing

প্রথমদিকে শহরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট থেকে অতিরিক্ত খাবার সংগ্রহ করে পৌঁছে যেতেন হাসপাতালের গেটে। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর রেস্টুরেন্টগুলি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধা এসেছিল তাঁর কাজে। যদিও তাতে না থেমে নেমেছেন নতুন উদ্যমে। করোনার সময় শুধু হাসপাতালে রোগী-পরিজনদেরই খাবার দেননি, দায়িত্ব নিয়েছেন বহু পরিবারের কাছে মাসের রেশন পৌঁছে দেওয়ারও। স্থানীয় বহু পরিবারের কাছেই অতিমারীর সময়ে কার্যত ‘মসিহা’র মতোই পাশে দাঁড়িয়েছেন কালীঘাটের এই ‘যুবক’।

May be an image of one or more people and people standing

প্রথমে খাবার নিয়ে যেতেন নিজের পুলকার করেই, কয়েক মাস আগে এক শুভাকাঙ্ক্ষী একটি টোটো গিফট করেছেন। বর্তমানে সেটি করেই পৌঁছে যান তাঁর অপেক্ষায় বসে থাকা লোকেদের কাছে। খাবার দেওয়া ছাড়াও নিয়মিত করেন একটি স্বাস্থ পরীক্ষা শিবিরও। বিনামূল্যে স্বাস্থ পরীক্ষা, ওষুধ দেওয়া হয় সেখানে। করোনার সময় লোকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নিজের খরচায় কিনে ফেলেছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার, কনসেনট্রেটারও। নিজেই সিলিন্ডার নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন রোগীর বাড়িতে। আর্তের সেবায় প্রায় অর্ধেক দশক কাটিয়ে ফেললেও এখনও তাঁর ভাগ্যে জোটেনি কোনও সরকারি সাহায্য বা পুরস্কার। পার্থর কথায়, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম আমাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমার কথা লোকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এটাই অনেক। এছাড়া কয়েকজন কিছু সাহায্যও করছে। তাছাড়া কিছুর আশা আমি আর করি না।’

]]>