Hyundai – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 31 Jul 2021 15:06:48 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Hyundai – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 পরিবহণ ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে হাইড্রোজেন জ্বালানি https://ekolkata24.com/offbeat-news/hydrogen-fuel-could-revolutionize-transportation Sun, 18 Jul 2021 16:44:49 +0000 https://www.ekolkata24x7.com/?p=972 মুম্বই: প্রতিনিয়ত পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ছে৷ গত কয়েকদিনে ভারতের কোন কোন শহরে পেট্রলের দাম সেঞ্চুরি সমান হয়েছে৷ এখন গাড়ি কেনা আর হাতি পোষার সমান হয়ে গিয়েছে৷ ফলে সকলেই চাইছে একটা বিকল্প ব্যবস্থা৷ জ্বালানি তেলের বিকল্প হিসেবে ব্যাটারিচালিত যান বাজারে এসেছে৷ তবে সেই অর্থে এখনও বাজার ধরতে পারেনি ইলেকট্রিক কার৷ কারণ, দীর্ঘ সময় ধরে চার্জিংয়ের কারণে ব্যাটারিচালিত গাড়ি ক্রেতাদের মন জয় করতে পারেনি৷

যদিও, ভবিষ্যতে পরিবহণের ক্ষেত্রে হাইড্রোজেন-ভিত্তিক ফুয়েল সেল আরও বিকল্প হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা ৷ ব্যাটারিচালিত গাড়ি ব্যবহার করা উচিত বলেই তো এতকাল মনে করা হত৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে এমন গাড়ি ভাড়া নেওয়া বেশ সহজ হয়ে উঠেছে৷ কিন্তু এখন হাইড্রোজেন গাড়ি নিয়ে চর্চা বেড়ে চলেছে৷ প্রায় ২০ বছর আগে এমন গাড়ি তুলে ধরা হয়েছিল, তবে সেই জ্বালানি দিয়ে সে সময়কার প্রচলিত ইঞ্জিন চালান হত৷ প্রশ্ন হল, এখনও পর্যন্ত হাইড্রোজেন ইঞ্জিনের প্রচলন কেন বাড়েনি?

Hyundai Junks Plan To Launch Hydrogen Car In India

হাইড্রোজেন জ্বালানি সংগঠন ও সংগঠনের শীর্ষ প্রতিনিধিরা অবশ্য অনেক কাল ধরেই এমন গাড়ি চালাচ্ছেন৷ প্রশ্ন হল, ব্যাটারিচালিত গাড়ির তুলনায় এমন গাড়ির সুবিধা কী? হাইড্রোজেন জ্বালানি সংগঠন বলছে, ব্যাটারিচালিত ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে রেঞ্জ একটা বড় সমস্যা৷ আগের তুলনায় রেঞ্জ বাড়লেও তারপর দুই থেকে চার ঘণ্টা ধরে চার্জ করতে হয়৷ ছুটি কাটাতে বেরিয়ে আড়াইশ’ কিলোমিটার পর পর চার ঘণ্টা ধরে বিরতি নিতে হলে কেমন লাগে? তাদের মতে, এটা মোটেই কোনও সমাধানসূত্র হতে পারে না৷
হাইড্রোজেন-গাড়ি কীভাবে চলে? এমন গাড়িকে ‘ফুয়েল সেল কার’ বলা হয়৷ বাইরের বাতাস অক্সিজেন ট্যাংকের ফুয়েল সেলের মধ্যে রাখা হাইড্রোজেনের সংস্পর্শে আসে৷ এর ফলে বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয়, যা দিয়ে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন চলে৷ গাড়ির পিছনের এক্সট পাইপ থেকে জলের বিন্দু পড়ে৷ প্রচলিত পেট্রল বা ডিজেল ইঞ্জিনের মতো ধোঁয়া বের হয় না৷
অর্থাৎ, হাইড্রোজেনের আরও ব্যাপক প্রয়োগ করতে হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমপক্ষে দুই গুণ বাড়াতে হবে৷ সেই লক্ষ্য পূরণ করতে হলে বায়ু ও সৌরশক্তি থেকে জ্বালানি উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়াতে হবে৷ তবেই পরিবহণের ক্ষেত্রে হাইড্রোজেন এবং মানুষের জন্য যথেষ্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে৷ এই সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ ভ্যার্নার ডিভাল্ড মনে করেন, ‘‘পরিবহণের ক্ষেত্রে হাইড্রোজেন ব্যবহার করতে হলে শুধু পুনর্বব্যহারযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে সেই হাইড্রোজেন উৎপাদন করতে হবে৷ এমন সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সহায়তার পথে যেতে হবে, যেখানে বিশাল পরিমাণ খালি জমি এবং যথেষ্ট সূর্যের আলো ও বাতাস রয়েছে৷

Hyundai Junks Plan To Launch Hydrogen Car In India
পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির সরবরাহ ব্যাপক আকারে বাড়িয়ে হাইড্রোজেন উৎপাদন না হয় সম্ভব হল৷ কিন্তু সেই জ্বালানী উপভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে ফুয়েল স্টেশনের মতো প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাবও তো বড় এক সমস্যা৷ দেখা গিয়েছে, বার্লিন শহরে মাত্র পাঁচটি হাইড্রোজেন স্টেশন রয়েছে৷ গোটা জার্মানিতে সব মিলিয়ে সংখ্যাটি প্রায় নব্বই৷ গাড়িতে জ্বালানি ভরতে তিন মিনিটের মতো সময় লাগে৷ তারপর গাড়ি প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে৷ ডিভাল্ড বলেন, ১০০ কিলোমিটার চালানোর খরচ ডিজেল গাড়ির মতো৷ অর্থাৎ, মালিকের এর বেশি ব্যয় হয় না৷ শিল্পজগতের সঙ্গে রফা অনুযায়ী প্রায় ৪০০ ফুয়েল স্টেশন গড়ে তোলা হবে৷ তবে এমন গাড়ির সংখ্যা সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই৷”

রাজনীতি জগত পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে যথেষ্ট সহায়তা করছে৷ হাইড্রোজেন উৎপাদনও বাড়ছে৷ ডিসেম্বর মাসে জার্মান সরকার চিলিতে এক পরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু করেছে৷ সেখানে সিমেন্স কোম্পানি ভবিষ্যতে হাইড্রোজেনের সাহায্যে কৃত্রিম পেট্রোলিয়াম তৈরি করবে৷ সেই কারণেও বিশেষজ্ঞরা জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেনের সম্ভাবনা সম্পর্কে নিশ্চিত৷ ভ্যার্নার ডিভাল্ড বলেন, ‘‘প্রায় দশ বছর আগে শুধু কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ারের মনে এমন ‘স্মার্ট’ প্রযুক্তির স্বপ্ন ছিল৷ আজ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ‘গ্রিন ডিল’-এর আওতায় বাধ্যতামূলক লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে৷ পেট্রল বা ডিজেল ইঞ্জিন চালু রেখে যে সেটা আর সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়্ছে৷ আমাদের অন্য প্রযুক্তির প্রয়োজন৷”

হাইড্রোজেনের আন্তর্জাতিক বাজার এবং সেটি কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম পণ্য উৎপাদনও বেড়ে চলেছে৷ এর ফলে হাইড্রোজেন প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠছে৷

]]>