বাহিনী এই বছর সীমান্তে একটি উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে এবং তারা যেকোন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। বিএসএফ তার ৫৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের একটি সময়।’ পাশাপাশি এদিন তিনি বাহিনীর দ্বারা গৃহীত উল্লেখযোগ্য মিশনগুলি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বিএসএফ প্রস্তুতি নিয়ে সীমান্তে উপস্থিত রয়েছে। সীমান্তে এ বছর বেশ কিছু কৃতিত্ব অর্জন করেছে বিএসএফ। যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে আমরা প্রস্তুত।’
বিএসএফ জম্মু বর্তমানে পাকিস্তানের সাথে আন্তর্জাতিক সীমান্তের প্রায় ১৯২ কিলোমিটার নিয়ন্ত্রণ করছে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে নিয়ন্ত্রণ রেখাতেও মোতায়েন রয়েছে। ২০২১ সালে বাহিনীটি কিছু গুরুতর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে, যেমন ড্রোন কার্যকলাপ, টানেলিং এবং চোরাচালানের প্রচেষ্টা সহ প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে রক্ষা। বিএসএফ জম্মু প্রতিপক্ষের সমস্ত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয় এবং তাদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়।
01 Dec 2021
On #BSFDay2021 as we turn 57, our 'journey' in the service of the motherland continues for eternity.
It is an honour to serve & protect.A promise we shall forever keep: जीवन पर्यन्त कर्त्तव्य
सीमा सुरक्षा बल – सर्वदा सतर्क#JaiHind #FirstLineofDefence#NationFirst pic.twitter.com/HLoxqORukc
— BSF (@BSF_India) November 30, 2021
আন্তর্জাতিক সীমান্তে সীমান্ত বাহিনীর শক্তিশালী আধিপত্য এবং নজরদারি জম্মু আন্তর্জাতিক সীমান্তে শান্তি অব্যাহত রেখেছে। গত বছরে, বিএসএফ জম্মু আন্তর্জাতিক সীমান্তে একাধিক টানেল বিরোধী অভিযান চালায় এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে দুটি টানেল সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। বাহিনী পাকিস্তান থেকে ANE-এর অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিল। বাহিনীটি পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসী বা পাচারকারীদের দেশে তাদের পথ তৈরি করার জন্য এই ধরনের টানেল ব্যবহার করা থেকেও বাধা দেয়।
বিএসএফের সেনারা মাদকের চালান পাচারের চেষ্টাকারী বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি চোরাকারবারীকেও নিষ্ক্রিয় করেছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে এই সফল অভিযানে প্রায় ২৭ কিলোগ্রাম মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ। এছাড়াও, বিএসএফ গত ৩০ আগস্ট নওশেরা থেকে ২,৭৫,০০০ টাকার প্রায় ৯.৯৯৫ কিলোগ্রাম মাদকদ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয়েছিল। বিএসএফ-এর অব্যাহত প্রচেষ্টার কারণে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সীমান্তে অনুপ্রবেশ করার সময় বাহিনী পাঁচজন অনুপ্রবেশকারীকে নিষ্ক্রিয় করেছে এবং তিনজন পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে।
]]>
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। মাওবাদী দমন, মাদক পাচার, জঙ্গি মোকাবিলা, বিভিন্ন সংশোধনাগারের সংস্কার, সাইবার অপরাধের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা চলছে। রবিবারও এই আলোচনা চলবে। এবার লখনউতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সদর দফতরে ৫৬ তম এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। দু’দিনের এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর প্রধানরা সশরীরে উপস্থিত থাকছেন।
পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকে এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন ডিজি মনোজ মালব্য (Monoj Malabya)। বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবারই তিনি লখনউয়ে পৌঁছন।

গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক হচ্ছে হাইব্রিড ফরম্যাটে। এই ফরম্যাটে বেশ কয়েকটি রাজ্যের ডিজি এবং আইজিরা যেমন সশরীরে উপস্থিত হয়েছেন তেমনই অনেকেই অনলাইনে (online) এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এদিনের বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলদের কাছ থেকে তাঁদের কাজের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর থেকেই প্রতিবছরই প্রতিটি রাজ্যের পুলিশ প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি এই বৈঠককে যথেষ্ট গুরুত্বও দিয়ে থাকেন। ডিজি ও আইজিরা যাতে নির্ভয়ে এবং খোলা মনে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন সে ব্যাপারেও উৎসাহ দিয়ে থাকেন মোদি। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এই বৈঠক দিল্লিতে হত। কিন্তু মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এই বৈঠক দিল্লির বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে হয়ে থাকে। করোনাজনিত কারণে ২০২০ সালে এই বৈঠক হয়েছিল অনলাইনে।
এবারের বৈঠকে সাইবার অপরাধ দমনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে আমজনতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য যাতে হ্যাকাররা কোনভাবেই হ্যাক করতে না পারে সে বিষয়টি নিয়ে সকলের সঙ্গে মত বিনিময় করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিনের বৈঠকে প্রায় প্রতিটি রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন মেদি। তবে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এদিন তিনি নিজে কোনও বক্তব্য রাখেননি। মনে করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার তাঁদের বক্তব্য রাখবেন।
]]>