IMF – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 16 Oct 2021 09:29:43 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png IMF – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে আইএমএফ উদ্বেগ প্রকাশ করলেও ঘুমিয়ে দিন কাটাচ্ছেন মোদি https://ekolkata24.com/uncategorized/imf-expresses-concern-over-indias-financial-situation Sat, 16 Oct 2021 09:28:48 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=7896 নিউজ ডেস্ক: করোনাজনিত সময়ে বিশ্বের প্রতিটা দেশের অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে। ভারত ও তার ব্যতিক্রম নয়। ভারতের অর্থনীতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা আইএমএফ। এই আন্তর্জাতিক সংগঠন তাদের এক অনুষ্ঠানে স্পষ্ট জানিয়েছে, করোনাজনিত সময়ে ভারতে আর্থিক বৈষম্য বেড়েছে। ঊধ্বমুখী দারিদ্র। এই সমস্যা দূর করতে সরকারকে আরও সক্রিয় হতে হবে।

যথারীতি আইএমএফ-এর এই বক্তব্যকে খুব একটা গুরুত্ব দিতেই রাজি নন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। দু’জনেরই দাবি, দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

কিন্তু নির্মলা এবং মোদির এই বক্তব্য কার্যত খারিজ হয়ে গিয়েছে আইএমএফ-এর দেওয়া পরিসংখ্যানে। আইএমএফ বলছে, ভারতের বাজারে প্রতিদিনই পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ছে। পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের দাম। যা সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রের যে সমস্ত পদক্ষেপ করা উচিত ছিল তার কোনওটাই হয়নি। যার ফলে মানুষের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ফলশ্রুতিতে অর্থনীতির বেহাল থেকে বেহালতর হয়েছে। কমেছে কর্মসংস্থান। বরং দেশে বেকারত্বের হার রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে শুধু যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে তা নয়, শিল্পক্ষেত্রেও বড় মাপের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দেশের শেয়ারবাজার চাঙ্গা হলেও তা দিয়ে কর্মসংস্থানের প্রকৃত ছবিটা সামনে আসছে না। বরং এটা বলা যায় যে, গত এক বছরে ভারতে আর্থিক বৈষম্য অনেক বেড়েছে। যখন গোটা দেশের মানুষের আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ কিছু শিল্পপতিদের আয় আবার চোখে পড়ার মত বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক এই সংস্থা’ যখন ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি ও সরকারের নেতিবাচক ভূমিকার কথা বলছে, তখন প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী দুজনেই আইএমএফ-এর সব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে দেশের অর্থনীতির দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

আরও একধাপ এগিয়ে নির্মলা বলেছেন ভারত তার অর্থনীতির ৯০ শতাংশই পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে। নিজের দাবির সপক্ষে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত এপ্রিল থেকে জুনে জিএসরি বাবদ আয় বিপুল বেড়েছে। তবে মোদি সরকার যাই বলুক না কেন বাস্তবচিত্র কিন্তু ভিন্ন কথাই বলছে। আইএমএফ জানিয়েছে, দেশের আর্থিক কর্মকান্ডের উপর মোদি সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যে কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে চলেছে। পাল্লা দিয়ে কমেছে মানুষের আয়।

এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে যে ধরনের পদক্ষেপ করা উচিত ছিল মোদি সরকার তা করতে পারেনি। সরকারের এই ব্যর্থতার মাশুল গুনছে সাধারণ মানুষ। মূল্যবৃদ্ধির কারণে তাঁদের নাভিশ্বাস উঠছে। মূল্যবৃদ্ধি ডেকে আনে মুদ্রাস্ফীতি। আর মুদ্রাস্ফীতির চড়া হার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পক্ষে সবচেয়ে বড় বাধা। তাই মোদি সরকার যাই বলুক না কেন, মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি কমাতে না পারলে ভারতীয় অর্থনীতির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন।

এই অবস্থায় মোদি বা নির্মলাকে অনেক বেশি সক্রিয় হতে হবে। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে উপযুক্ত পরিকল্পনা করতে হবে। ঘুমিয়ে দিন কাটালে কখনওই চলবে না।

]]>