INC – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Thu, 06 Jan 2022 12:38:32 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png INC – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Punjab: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতি, মামলা সুপ্রিমকোর্টে, কংগ্রেসের কটাক্ষ https://ekolkata24.com/uncategorized/punjab-modi-security-supreme-court Thu, 06 Jan 2022 12:38:32 +0000 https://ekolkata24.com/?p=18206 পাঞ্জাবের ভাতিন্ডায় বুধবারের ঘটনার পর অনেকেই অভিযোগ করেছেন, “ফ্লপ” জনসভা এড়াতেই ব্রিজে দাঁড়িয়ে থাকার নাটক। তারপর তাঁকে “খুনের চক্রান্তের” অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতিজনিত মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

শুক্রবার প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নার বেঞ্চে হবে এই মামলার শুনানি হবে। আইনজীবী মনিন্দর সিং আদালতে মামলটি দায়ের  করেছেন। আবেদনে মনিন্দর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কেন এত বড় মাপের গাফিলতি হল সে বিষয়ে পাঞ্জাব সরকারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হোক।যাদের উপর প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল সেই সমস্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে বিষয়টিও যেন নিশ্চিত করা হয়।

বুধবারের ঘটনায় পাঞ্জাব সরকারের পক্ষ থেকেও তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার। বিচারপতি মেহতাব গিল এবং স্বরাষ্ট্র বিভাগের প্রধান সচিব অনুরাগ ভার্মা রয়েছেন এই কমিটিতে।

প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য পাঞ্জাব সরকারের সমালোচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, “ব্লু -বুক অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় পাঞ্জাবের মত স্পর্শকাতর জায়গায় বিকল্প রাস্তা তৈরি রাখা উচিত ছিল।”

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে, সব ধরনের প্রোটোকল মানা হয়েছে কিনা জানতে চেয়ে কংগ্রেসও পাল্টা কটাক্ষ করেছে। পাঞ্জাবে কংগ্রেস ক্ষমতায়।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি সাংবাদিক সম্মেলন বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কোনওরকম গাফিলতি ছিল না। একজন পাঞ্জাবি হিসেবে, আমি আগে আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) রক্ষা করে তারপর মরব। কিন্তু আপনার জীবনের কোনও বিপদ হতে দেব না। মোদীর খুনের চক্রান্ত নিতান্তই বাহানা। মোদীর সড়ক পথে আসার কোনও পূর্ব পরিকল্পনাই ছিল না। ওনার যদি ফিরোজপুর যাওয়ার প্রকৃতই ইচ্ছে থাকত তাহলে উনি অন্য পথেও যেতে পারতেন। উনি যেখানে যাচ্ছিলেন সেখানে মাত্র ৭০০ জন লোক এসেছিল।”

বিরোধী শিবিরের মতে, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ৭০ হাজার চেয়ার ছিল। কিন্তু লোক হয়েছিল মাত্র ৭০০ জন। তাই অস্বস্তি এড়াতেই তাঁর এই “উল্টোযাত্রা”।

বিজেপি বিরোধী শিবিরের কটাক্ষ, যেখানে রাস্তায় থেকে এক বছরে ৭০০জন কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে মাত্র ১৫ মিনিট রাস্তায় আটকে থাকায় নিজের “প্রাণনাশের” আশঙ্কা করছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই আশঙ্কা যদি সত্যি হয় তবে, তো বলতে হয় মোদি সরকারের আমলে দেশে আইনশৃঙ্খলা বলে কোনও বস্তুই নেই।

]]>
INC: ‘নাটক… কৃষকরা মোদীকে ওনার আওকাত বুঝিয়ে দিয়েছেন’ https://ekolkata24.com/uncategorized/inc-on-narendra-modis-incident-at-punjab Thu, 06 Jan 2022 05:27:40 +0000 https://ekolkata24.com/?p=18145 প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গাড়ি ঘুরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল পাঞ্জাব সরকার। যদিও কংগ্রেসের (INC) পক্ষ থেকে দাবি, নিরাপত্তায় কোনও ত্রুটি ছিল না। বরং ঘটনাটি স্রেফ একটা ‘নাটক’।

মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাটোলে বলেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদী নিরাপত্তায় কোন খামতি ছিল না। গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে উনি যে কাণ্ডটি করেছেন, সেটা নাটক ছাড়া আর কিছুই না।’

আরও পড়ুন: Modi: ‘বেঁচে ফিরে’ প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন? উঠছে প্রশ্ন

পাঞ্জাবে নির্বাচন আসন্ন। তার আগে সেখানে নিজেদের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলো। ভারতীয় জনতা পার্টিও তার ব্যতিক্রম নয়। গতকাল এক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু সভাস্থলের পৌঁছয়নি তাঁর গাড়ি। নিরাপত্তা রবি সিমের কথা উঠলেও রাজনৈতিক মহলের একাংশ খুঁজে পাচ্ছেন অন্য অঙ্ক।

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছিল চণ্ডীগড় পুরভোটের ফলাফল। গতবার এই আসনে দারুণ ফলাফল করেছিল বিজেপি। এবার তার ছায়ামাত্র নেই। ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে উঠে এসেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। কেউ কেউ মনে করছেন পাঞ্জাবে আসন্ন নির্বাচনে ফ্যাক্টর হতে পারে কৃষক আন্দোলন।

<

p style=”text-align: justify;”>কৃষকদের লাগাতার চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত নতজানু হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল বিতর্কিত কৃষিবিল। বিদ্রোহী কৃষকদের সমর্থন দিয়ে গিয়েছিলেন অরবিন্দ। তারই সুফলকে তিনি পেয়েছেন চণ্ডীগড়ে? উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না সম্ভাবনা। কৃষক আন্দোলনের বিপরীতে কেন্দ্রের ভাবমূর্তি কতটা অক্ষুন্ন রয়েছে সে ব্যাপারেও রয়েছে সংশয়। ফের কি একবার নিজের প্রখর রাজনৈতিক বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন মোদী? নানা পাটোলের মতে, ‘মোদীকে ওনার আওকাত বুঝিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা।’

]]>
INC: বঙ্গে কংগ্রেসকে শূন্য করেছেন মমতা, পুরভোটে ছন্নছাড়া https://ekolkata24.com/uncategorized/inc-political-probability-in-west-bengal Wed, 05 Jan 2022 11:47:36 +0000 https://ekolkata24.com/?p=18073 পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মানচিত্রে এখন কোনওরকমে টিকে রয়েছে কংগ্রেস৷ ১৯৭২ সালের পর থেকে কমতে শুরু করেছিল জনপ্রিয়তা। তারপর যথাক্রমে বাম এবং তৃণমূল জমানা। আজও রাজ্যের রাশ ধরতে পারেনি কংগ্রেস (INC)। আসন্ন পুরভোটেও হাত শিবিরের মুষ্টি শক্ত হবে এমন সম্ভাবনাও ক্ষীণ।

জাতীয় রাজনীতিতেও রাজত্ব খুইয়েছে কংগ্রেস। এ রাজ্যে হাত দুর্বল হয়েছিল আগেই। ভোটব্যাংকের লড়াইয়ে কোনওরকমে টিকিয়ে রেখেছে নিজেদের অস্তিত্ব। বামেদের সঙ্গে হয়েছিল সমঝোতা। ডাম-বাম মিলেছিল এই বঙ্গে। আশা জাগিয়েছিল শিলিগুড়ি মডেল। আত্মবিশ্বাস জোগাড় করে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিল জোট। ২ মে’র পরিসংখ্যান ভুলতে চাইবেন দুই দলেরই সমর্থক। কলকাতা পুরনির্বাচনে তৃণমূলের রমরমা। নির্বাচনে জয়ী কংগ্রেসের ২ প্রার্থী। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হলেন ওয়াসিম আনসারি। কলকাতা পুর-এলাকার অন্তর্গত ১৭ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে চারটি আসনে তৃণমূলের পর দ্বিতীয় স্থানে কংগ্রেস- বেলেঘাটা, চৌরঙ্গি, বালিগঞ্জ এবং মেটিয়াবুরুজে। বিধানসভা নির্বাচনে এই চার আসনেই দ্বিতীয় হয়েছিল বিজেপি। অর্থাৎ বিকল্প শক্তির সন্ধানে রয়েছেন আম-জনতার একাংশ। কিন্তু মোটের তুলনায় সেই শতকরা খুবই কম।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের জমানা। মাঝে কিছুকাল অটল বিহারী বাজপেয়ীর বিজেপি। তারপর ফের কংগ্রেস৷ পতন ২০১৪ সালে। এ রাজ্যে পতন ১৯৭২-এ। নামের পাশে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। নেতৃত্বের অভাব হয়েছে প্রকট। কংগ্রেস কি কেবল গান্ধী পরিবারের? এ প্রশ্নও উঠেছে একাধিকবার। যদিও ইন্দিরা গান্ধীর সময়কার মতো আর প্রকাশ্য দ্বিখণ্ডিত হয়নি পার্টি। কিন্তু দলের নেতৃত্বে কে থাকবেন এই প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে।

সোনিয়া গান্ধী এখনও সভাপতি। রাহুল গান্ধী চেষ্টা করছেন নিজের মতো। কিন্তু মানুষ তাঁর ইমেজের ওপর নির্ভর করতে পারছেন কতটা? কোন দল ক্ষমতায় থাকবে তার অনেকটা নির্ভর করে সেই দলের কান্ডারীর ওপর। যেমন বিজেপির নরেন্দ্র মোদী, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের সেই মুখ কোথায়?

কেন্দ্র থেকে গদিচ্যুত হওয়ার পর থেকে রাজ্যে আরও দুর্বল হয়েছে হাত শিবির। অধীর রঞ্জন চৌধুরী রয়েছেন বটে। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে তাঁর সিদ্ধান্ত বা বক্তব্যের বিরুদ্ধেই আওয়াজ উঠেছে একাধিকবার। যে হাইকম্যান্ড হাতড়ে বেড়াচ্ছে একজন নেতাকে, সেই তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয় কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার জন্য। যে দলের ভিতরেই স্থিরতা নেই মানুষ তাদের নির্বাচিত কেনই-বা করবেন?

আসন্ন পুরভোটগুলোতে হয়তো জোটের পথে যাবে না কংগ্রেস। জোট নেই শিলিগুড়ি পুরসভাতেও। আসানসোল, চন্দননগরে বামেদের সঙ্গ না দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আসানসোলে গত পুরভোটেও জোট ছাড়াই ১০৬ টি ওয়ার্ডে লড়াই করে বাম ও কংগ্রেস। ৩ টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস।

পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, মানুষের মন থেকে এখনও মুছে যায়নি কংগ্রেস। অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু জনসমর্থনকে একজোট করবেন কে? সংগঠকরাই যে ছন্নছাড়া!

]]>
Covid 19: গান্ধী পরিবারে ঢুকল করোনা, আক্রান্ত প্রিয়াঙ্কা https://ekolkata24.com/uncategorized/covid-19-priyanka-gandhi-covid-positive-report Tue, 04 Jan 2022 01:52:33 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17879 গতবছর নেগেটিভ ছিলেন। এবছর পজিটিভ হলেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা করোনা পজিটিভ হয়ে আইসেলেশনে। নিজেই সেকথা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে গান্ধী পরিবার তথা জাতীয় কংগ্রেসের সর্বোচ্চ ঘরে পৌঁছে গেল করোনাভাইরাস।

একইভাবে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে নিয়েও উদ্বেগ। তবে তাঁরা এখনও করোনা আক্রান্ত নন। কিন্তু কংগ্রেস ঘরে ঢুকেছে করোনা।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর করোনা হওয়ায় তাঁর সংস্পর্শে আশা বাকি কংগ্রেস নেতা নেত্রীরা চিন্তিত। তাঁরাও কোভিড টেস্ট করাচ্ছেন।

উত্তর প্রদেশ ভোটে কংগ্রেসের তরফে মূল প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কা দায়িত্ব পেতেই কংগ্রেসে এসেছে অক্সিজেন। একের পর এক জনসভায় ভিড় প্রবল। শাসক বিজেপির তরফে বারবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিশানা করা হয়েছে। এর মাঝে করোনা পজিটিভ হওয়ায় প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে উদ্বেগ শুরু কংগ্রেস মহলে।

গতবছর করোনা আক্রান্ত হন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরা। তখন প্রিয়াঙ্কার করোনা পরীক্ষা হলেও রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।। ফলে অসম, তামিলনাড়ু, কেরলের ভোট প্রচার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি।

]]>
TMC: চব্বিশে পা, আঞ্চলিক দল থেকে ‘অনিশ্চিত’ সর্বভারতীয় পথে তৃণমূল কংগ্রেস https://ekolkata24.com/uncategorized/tmc-birth-day-national-political-issue Sat, 01 Jan 2022 06:50:35 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17452 News Desk: দলের নামের সঙ্গে সর্বভারতীয় শব্দ জুড়ে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের তিনবারের শাসক দলের সঙ্গে এই শব্দ যায় কি? তবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক কয়েকটি রাজ্যে রাজনৈতিক অভিযান প্রমাণ করছে তিনি শব্দটি বাস্তবায়নে মরিয়া। সেই লক্ষ্যে চব্বিশ বছরে পা রেখে আঞ্চলিক দল থেকে অনিশ্চিত সর্বভারতীয় পথে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ে যেতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরু থেকে এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান নেত্রী  মমতা।

জন্মের পর এই সময়ে টিএমসি তার সর্বোচ্চ উচ্চতায় বিরাজ করছে। পশ্চিমবঙ্গে তিনবার সরকার গঠন। মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দল। ত্রিপুরার পুর নির্বাচনে আচমকা ফের চর্চায়। গোয়াতে লড়াই করার কৌশল। উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস ও অন্যান্য দল ভাঙিয়ে বিরোধী আসনের তকমা পাওয়ার নীতি নিয়েছে দলটি। আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে টিএমসিকে সে রাজ্যে মূল প্রতিপক্ষ করতে মরিয়া প্রচার চেষ্টা চালাচ্ছে সংস্থার ভোট কুশলী সংস্থা আইপ্যাক।

দলটির এই বিস্তৃতির চেষ্টা প্রমাণ করছে, আঞ্চলিকতা ত্যাগ করতে চাইছেন দলনেত্রী মমতা। পশ্চিমবঙ্গে গত বাম জমামায় শাসক সিপিআইএমের দখলে ছিল তিনটি রাজ্য। এছাড়া দেশজোড়া সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে সাংসদ ও বিধায়ক। কালক্রমে বামেরা এখন পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা থেকে অপসারিত। একমাত্র কেরলে ক্ষমতায়।একইভাবে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস।

এই ফলের হিসেবে বাম ও তৃণমূল কংগ্রেস একই আসনে আছে। তবে টিএমসির দাবি, দল সর্বভারতীয় তকমা তুলবেই, কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র মোদী বিরোধী মুখ।

বিরোধীদের কটাক্ষ, আরও অনেক রাজ্যে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির পরাজয় হয়েছে। কংগ্রেস, সিপিআইএম, ডিএমকে, আম আদমি পার্টি, টিআরএস, বিজেডির মতো দলগুলিও মোদীর বিজয় রথ থামাতে পেরেছে। উত্তর পূর্বে, বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের উপরেই বিজেপি নির্ভর করে। কী করে মমতা দাবি করেন তিনিই একমাত্র মোদী বিরোধী মুখ।

রাজনৈতিক এই পরিস্থিতির মাঝে তৃণমূল কংগ্রেস মরিয়া তার সর্বভারতীয় তকমা প্রতিষ্ঠিত করতে। প্রশ্ন পশ্চিমবঙ্গের বাইরে আর কোনও রাজ্যে কি টিএমসি সরকার গড়বে? বিশ্লেষকদের মতে যদি তা করতে পারেন মমতা, তাহলে তিনি সর্বভারতীয় নেত্রীর তকমা পেতে পারেন।

]]>
SMC Election: অশোকের শিলিগুড়ি ফর্মুলা ‘ফেল’, প্রতিপক্ষ ‘শিষ্য’ শংকর-ই ভরসা বিজেপির https://ekolkata24.com/uncategorized/smc-election-siluguri-ashok-bhattacharya-forumula-versus-bjp Thu, 30 Dec 2021 13:58:20 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17192 News Desk: বিধানসভার ভোটে রাজনৈতিক গুরুকে পরাজিত করেছেন। তবে সৌজন্য কমেনি। আশীর্বাদ নিয়েই বিধানসভায় গিয়েছেন শংকর ঘোষ। বাম থেকে রাম হওয়া শিলিগুড়ির (SMC Election) বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের দাবি, এই শহরের পুরভোট বলে দেবে অশোকবাবুর ফর্মুলা ফেল করেছে।

বিজেপির দাবি, পুরনিগমের লড়াইয়ে পরিষেবা প্রাধান্য পায়, রাজনৈতিক তত্ত্ব নয়। বামপন্থী ও কংগ্রেস জোটের গত কর্পোরেশন বোর্ড পরিষেবা দিতে খামতি রেখেছিল। তার ফল মিলবে পুরভোটে। বিধায়ক শংকর ঘোষের দাবি, সিপিআইএম কোনও ফ্যাক্টরই নয় ভোটে।

শিলিগুড়ি কার? বিধানসভার ভোটে বিজেপির। আর পুরনিগম ভোটে? চতুর্মুখী লড়াইয়ে ভোটকাটাকাটির ফায়দা যে তুলতে পারবে তার দিকেই। এমনই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কলকাতা পুরনিগমের মতো শিলিগুড়িতেও বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেস জোট হচ্ছে না। কংগ্রেসও প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে কিছু ওয়ার্ডে সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলে দুই শিবিরের নেতারা জানাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক ও প্রদেশ কংগ্রেস শীর্ষ নেতা শংকর মালাকার। কংগ্রেসের অভিযোগ, বামফ্রন্ট যেভাবে জোটের কথা বলেও একতরফা প্রার্থী দিয়েছে তাতে সমঝোতার রাস্তা বন্ধ।

২০১১ সালে বাম জমামার পতনের সময় শিলিগুড়ি গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস দখলে। এর পরেই কংগ্রেস ও সিপিআইএমের জোট সূত্রে বাজিমাত করেছিলেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। পুরনিগমের দখল নেন, বিধানসভায় জয়ী হন। ‘শিলিগুড়ি মডেল’ রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচিত হয়। তবে শিলিগুড়ি বাদ দিলে এই ‘মডেল’ অন্যত্র কার্যকরী হয়নি। সর্বশেষ বিধানসভা ভোটে সংযুক্ত মোর্চা তত্ত্ব নিয়ে বামফ্রন্ট , কংগ্রেস ও আইএসএফ জোটের ভরাডুবি হয়। শিলিগুড়িতে পরাজিত হন অশোক ভট্টাচার্য।

শিলিগুড়িতে বামফ্রন্ট ও তৃণমূল কংগ্রেসের মাঝখান থেকে বাম ত্যাগী বিজেপি হওয়া শংকর ঘোষ নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর কাধেই শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোট যুদ্ধের ভার দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। শংকর ঘোষ নিজেও প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলছেন, পুরনো ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে চাইছেন এখানকার বাসিন্দারা। পুরনিগমের ফলাফল সেটাই বলে দেবে।

]]>
AMC Election: শিলিগুড়িতে ‘ঠ্যালা বুঝে’ আসানসোলে একলা চলো নীতি বামেদের https://ekolkata24.com/uncategorized/asansol-municipal-corporation-election-left-front Thu, 30 Dec 2021 11:18:23 +0000 https://ekolkata24.com/?p=17178 News Desk: জোট নয় একলাই লড়বে বামেরা। আসন্ন পুরনিগম ভোটের আসানসোল পুরনিগমে সেই ছবি দেখা গেল। ১০৬টি ওয়ার্ডের সবকটিতে বামফ্রন্ট লড়াই করছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা বামফ্রন্টের তরফে সিপিআইএমের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হলো। বাকি বাম শরিকদের জন্য নাম পরে জানানো হবে।

উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়ি পুরনিগমের জোট জট চলছে। সেখানে বামেদের তরফে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা বলা হলেও কার্যত একতরফা প্রার্থী দিয়েছে বাম শিবির। এর পরেই কংগ্রেস বেঁকে বসেছে। এর প্রেক্ষিতে বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে সমর্থকদের প্রশ্নের ঠ্যালায় নেতারা  নিরাপদ পথ খুঁজছেন।

শিলিগুড়ির ঠ্যালার চোটে আসানসোলে জোট বা আসন সমঝোতার পথে গেলই না বাম শিবির। আসানসোল পুরনিগমের ভোটে বামফ্রন্ট, তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ও কংগ্রেসের চতুর্মুুুখী লড়াই হচ্ছে।

কলকাতা পুরনিগমের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়। তাৎপর্যপূর্ণ, বিরোধী দল বিজেপিকে টপকে বামফ্রন্ট বিরোধী হিসেবে ভোট নিরিখে উঠে এসেছে। কলকাতায় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের কোনও জোট হয়নি। 

]]>
Punjab: পুরভোটে ধাক্কা বিজেপির, সরকার গড়ার স্বপ্ন কেজরির https://ekolkata24.com/uncategorized/punjab-chandigarh-municipal-election-aam-admi-party Mon, 27 Dec 2021 12:38:34 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16800 News Desk: পাঞ্জাব বিধানসভার ভোট দরজায় কড়া নাড়ছে। বিধানসভা ভোটের আগে চণ্ডীগড় পুরসভার নির্বাচন হয়ে গেল। এই নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। কংগ্রেসের অবস্থাও তথৈবচ। কংগ্রেস ও বিজেপির দ্বৈরথের মাঝে উল্কার গতিতে এগিয়ে এল আম আদমি পার্টি ।

পাঞ্জাবের পুরভোটে প্রথমবার লড়াই করেই একক বৃহত্তম দলের স্বীকৃতি আদায় করে নিল কেজরিওয়ালের আপ। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

দু’দিন আগে চণ্ডীগড় পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ হয়। সোমবার সকালে শুরু হয় ভোট গণনা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আপ দখল করেছে ১৪ টি ওয়ার্ড। কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে মাত্র ৮টি। তুলনায় বিজেপি জয়ী হয়েছে ১২টি ওয়ার্ডে। শিরোমনি অকালি দল পেয়েছে একটি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে।

এই পুর নির্বাচনী ফলাফল সামনে আসতেই কংগ্রেসের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কারণ কৃষি আইনকে কেন্দ্র করে বিজেপি পাঞ্জাবে যথেষ্ট ব্যাকফুটে। এই অবস্থায় রাজ্যে ক্ষমতায় পুনর্দখলের স্বপ্ন দেখছিল কংগ্রেস। কিন্তু রাহুল গান্ধীর দল অন্তর্কলহে জরাজীর্ণ।

কয়েক মাস আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপরে এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা নিজে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে বিজেপির সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়ার কথা বলেছেন।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আদৌ ভালো ফল করতে পারবে না। তাই আম আদমি পার্টি যে ভোট কাটবে সেটা পুরোটাই কংগ্রেসের। আপ যদি ভাল রকম ভোট কেটে নেয় সে ক্ষেত্রে কংগ্রেসের জয়ের আশা ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

তবে রাজনৈতিক মহলের কেউই আপ ও কংগ্রেসের এই লড়াইয়ে বিজেপিকে এগিয়ে রাখতে চাইছেন না।তাঁরা বলছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের ক্ষমতা দখলের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি আম আদমি পার্টির। অন্যথায় ত্রিশঙ্কু ফলাফল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপ, কংগ্রেস বা বিজেপি কোনও দলই সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারবে না। অমরিন্দর এবং বিজেপির জোট করলেও বিধানসভা ভোটে এই জোট খুব একটা কার্যকরী হবে না। অন্যদিকে শিরোমনি অকালি দলের ভবিষ্যৎ আদৌ ভাল নয়।

পুর নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতেই আপ নেতা রাঘব চাড্ডা বলেছেন, এই জয় প্রমাণ করল পাঞ্জাবের মানুষ আম আদমি পার্টিকে সমর্থন করছে। আমাদের নেতা কেজরিওয়াল মানুষের জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ করেছেন সেগুলির প্রতি পাঞ্জাবের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। সে কারণে প্রথমবার লড়তে নামে একটি দলকে তাঁরা একক বৃহত্তম দলের মর্যাদা দিয়েছেন। এজন্য আপের পক্ষ থেকে পাঞ্জাববাসীদের আমি অভিনন্দন জানাই। উল্লেখ্য, আপের তরফে পাঞ্জাবের এই পুরভোটের দায়িত্বে ছিলেন আপ নেতা চাড্ডা।

]]>
Punjab: কংগ্রেসের ঘরে ‘উড়তা’ ভাজ্জি, সিধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা https://ekolkata24.com/sports-news/punjab-election-politics-harbhajan-singh-congress Sat, 25 Dec 2021 11:51:17 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16193 News Desk: একজন ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার। অন্যজন ছিলেন ভারতীয় বোলিং বিভাগের অন্যতম স্তম্ভ। এই দুই বিখ্যাত ব্যক্তি এবার জোট বেঁধে নামতে পারেন রাজনীতির ময়দানে। এই দুইজন হলেন পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু এবং অন্যজন হলেন সদ্য ক্রিকেটকে বিদায় জানানো স্পিনার ভজন সিং।

অবসর নিয়ে তিনি কি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে হরভজন বলেছেন, আমি পাঞ্জাবের মানুষের সেবা করতে চাই। রাজনীতির মাধ্যমে হোক বা অন্য কোনওভাবে, আমি শুধু মানুষের সেবা করতে চাই। আমি এ রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের চিনি। তাই আমি যদি কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিই তাহলে সেটা জানিয়ে দেব। এখনই রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আমি কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।
সম্প্রতি হরভজনকে সিধুর সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠভাবে দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে। হরভজনের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সিধু সরাসরি কোনও উত্তর দেননি। তিনি হেসে বলেন, এই ছবিটাই তো সবকিছু বলে দিচ্ছে।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সিধু চাইছেন পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগে হরভজন যেন কংগ্রেসে যোগ দেন। কারণ হরভজন কংগ্রেসে যোগ দিলে দোয়াবা অঞ্চলে কংগ্রেসের শক্তি নিশ্চিতভাবেই বাড়বে। তাঁর বিজেপিতে যোগদানের খবরকে ভিত্তিহীন ও গুজব বলে উল্লেখ করেছেন হরভজন।

এর আগে মহম্মদ আজহারউদ্দিন, কীর্তি আজাদের মত প্রাক্তন ক্রিকেটাররা যোগ দিয়েছেন রাজনীতিতে। সিধু প্রথমে বিজেপিতে পরে কংগ্রেসে যোগ দেন। আগামী বছরের শুরুতেই পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেস অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত।

কৃষি আইনকে কেন্দ্র করে পাঞ্জাবে বিজেপি ব্যাকফুটে চলে গেলেও দলীয় কোন্দলের কারণে কংগ্রেস পাঞ্জাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে সিধু কংগ্রেসকে রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরতে চাইছেন। সে কারণেই তিনি তড়িঘড়ি হরভজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কারণ পাঞ্জাবে হরভজনের বিশেষ জনপ্রিয়তা আছে।

কিছুদিন আগে শোনা যাচ্ছিল হরভজন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। তিনি বলেছেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিছকই কল্পনা এবং গুজব।

সদ্য অবসর নেওয়া হরভজন সিং দীর্ঘ ১৮ বছর ভারতীয় দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। ২০০১ সালে ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর হ্যাটট্রিক ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ২০০৭ সালে প্রথম টি-২০ টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন হরভজন। শুক্রবার তিনি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন।

]]>
Meghalaya: মমতা পেলেন বড়দিনের উপহার! প্রধান বিরোধী দল TMC https://ekolkata24.com/uncategorized/meghalaya-mamata-banerjee-tmc-main-opposition-party Fri, 24 Dec 2021 11:56:31 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16109 News Desk: ধোপে টিকল না মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেসের আপত্তি। দলত্যাগী ১২ জন বিধায়ককে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মেনে স্বীকৃতি দিল্ন বিধানসভার অধ্যক্ষ মেটবাহ লিংডো। এর পরেই এই রাজ্যে আনুষ্ঠানিক প্রধান বিরোধী দল হলো তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের কাছে এটাই বড়দিন উপহার !

স্পিকারের স্বীকৃতির ফলে ৬০ সদস্যের মেঘালয় বিধানসভায় বিরোধী দলের মর্যাদা হাতছাড়া হল কংগ্রেসের।

পশ্চিমবাংলায় (westbengal) নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখলের পর ত্রিপুরা, মেঘালয়, গোয়ার মত ছোট রাজ্যগুলির দিকে অগ্রসর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন রাজ্যে রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের দল ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন।

সম্প্রতি মেঘালয়ে কংগ্রেসকে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। মুকুল সাংমা বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের এই পরিষদীয় দলকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান।

অন্যদিকে কংগ্রেস বিধায়ক আম্পারিন লিংডো দাবি করেন, তাঁরাই প্রধান বিরোধী দল। তৃণমূল কংগ্রেসকে যেন কোনওভাবেই এই স্বীকৃতি দেওয়া না হয়। কংগ্রেসের ওই আবেদনের পর স্পিকার মুকুল সাংমা সহ কংগ্রেস বিধায়কদের কাছে জানতে চান, কেন তাঁদের বিধানসভা থেকে সরানো হবে না।

স্পিকারের ওই প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেস ত্যাগী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল-সহ অন্য বিধায়করা স্পষ্টভাবে জানান, দলের ১২ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে। অধিকাংশ সদস্যই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় এই দলটিকেই প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়া হোক। কংগ্রেস সেই আবেদনে তীব্র আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত তা ধোপে টিকল না।

বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ কংগ্রেসের করা আবেদন খারিজ করে দেন। তৃণমূল কংগ্রেসকে মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের ভিত্তি ও সংগঠন আরও মজবুত করার পরই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁরা এবার গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরার মত ছোট রাজ্যগুলিতে বাড়তি নজর দেবেন।

আগামী বছরের শুরুতেই গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল এই রাজ্যে নিজেদের পায়ের তলার মাটি অনেকটাই শক্ত করেছে বলে দাবি। চলতি মাসেই তৃণমূল নেত্রী গোয়া সফরে গিয়েছিলেন। তৃণমূল নেত্রী গৃহলক্ষী প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেছেন।

একই সঙ্গে দক্ষিণ ভারতেও পা রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা। তামিলনাড়ুতে তামিল মানিলা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। ওই দলকে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।

]]>
শেষ শীতে পৌর যুদ্ধে মমতা, বছরের প্রথম ভোট পরীক্ষায় TMC https://ekolkata24.com/uncategorized/west-bengal-municipal-election-2022 Fri, 24 Dec 2021 07:54:54 +0000 https://ekolkata24.com/?p=16087 News Desk: একুশের ভোটযুদ্ধে তরতরিয়ে জিতেছেন। বিধানসভায় তিনবার সরকার কায়েম হয়েছে। কলকাতা পুরনিগমের ক্ষমতায় এসেছেন। তবে পুরনিগমের ভোটে লেগেছে ছাপ্পার ছাপ। এসব নিয়েই বাইশের ভোট যুদ্ধে নামতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উত্তরে হিমালয় পাদদেশে থেকে দক্ষিণে দামোদর তীরবর্তী এলাকা ভোটে গরম হতে চলেছে।

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ৫টি পুর নিগমের ভোট: শিলিগুড়ি (দার্জিলিং), আসানসোল (পশ্চিম বর্ধমান), চন্দননগর (হুগলি), হাওড়া (হাওড়া) ও বিধাননগর (কলকাতা জেলা)।

কলকাতার পুরনিগম ভোটের পর এটাই সর্ববৃহৎ নগর কেন্দ্রিক ভোট যুদ্ধ। কলকাতায় শাসক তৃণমূল কংগ্রেস বনাম বিরোধী দল বিজেপির রাজনৈতিক যুদ্ধে বামফ্রন্টের পুরনায় শক্তি অর্জনে লেগেছে চমক। যদিও বিরোধীদের দাবি, কলকাতায় ব্যাপক রিগিং করে জয়ী হয়েছে শাসকদল। এবার বাকি পুরনিগমগুলির লড়াই ঘিরে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা তুঙ্গে উঠতে শুরু করল।

পুরনিগম ছাড়াও ১০৯টি পুরসভার ভোট হতে চলেছে ফেব্রুয়ারি মাসেই। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে এই ভোট পর্ব।

আলিপুরদুয়ার থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে ছড়ানো সবকটি পুরসভা। ফলে শাসক দলকে রাজ্য জুড়েই ভোট পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষায় বসবে বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস।

কলকাতা পুরনিগমের ভোটে বিরোধী দল বিজেপি মহানগরে তৃতীয় দলের তকমা পেয়েছে। ভোট প্রাপ্তির হারে মূল বিরোধী হয়েছে বামফ্রন্ট। বিধানসভায় শূন্য হয়ে যাওয়া বামপক্ষ ও কংগ্রেসের কাছে নিজেদের শক্তি দেখানোর ময়দান পুর যুদ্ধ। তেমনই বিধানসভায় বিরোধী দলের তকমা পাওয়া বিজেপির লড়াই অস্তিত্ব প্রমাণেও।

]]>
TMC: একুশের শেষ ভোটে মমতার কলকাতা দখল, নজরে আগরতলা https://ekolkata24.com/uncategorized/tmc-supremo-mamata-banerjee-trying-to-reaching-her-political-image-in-north-eastern-states Tue, 21 Dec 2021 04:56:18 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15614 News Desk: শীতের তাপমাত্রার নামছে যত, ততই তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) আসন জয়ের সংখ্যা আসছে। ভোট পরবর্তী পরিসংখ্যান মিলিয়ে কলকাতা পুরনিগম দখলের সরকারি ঘোষণাটুকুই বাকি। একুশের শেষ ভোটে মমতার কলকাতা দখল সম্পূর্ণ।

কী হবে পরের পরিস্থিতি ?
খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনা রাজ্যের কোষাগার খালি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের টাকার যোগান দিতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা সরকারের। একই প্রকল্প নিয়ে আসন্ন গোয়া ও ত্রিপুরা বিধানসভার ভোটে ঝাঁপ দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষে তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফের গোয়া ও ত্রিপুরা যাচ্ছেন। তিনি ফেরার পরেই মমতা শুরু করবেন আগরতলা অভিযান।

ত্রিপুরা কইত্যাসে মমতা দি আইত্যাসে…
মঙ্গলরবার টিএমসির কলকাতা পুরনিগম দখলের সংবাদে ফের ত্রিপুরার রাজনীতিতে শুরু সেই গান, ত্রিপুরা কইত্যাসে মমতা দি আইত্যাসে…। ত্রিপুরায় সম্প্রতি পুর নির্বাচনে একটি ওয়ার্ড পেয়েছে মমতার দল। তবে ভোট শতাংশ শূন্য থেকে ১৬ শতাংশে নিয়ে গেছেন মমতা।

টিএমসি প্রদেশ নেতাদের হুঁশিয়ারি শাসক বিজেপি ও বিরোধীদল সিপিআইএমকে, আইত্যাসে মমতা দি…! এই রাজ্যের দুই যুযুধান রাজনৈতিক মুখ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তাঁদের মাঝে ফের মমতার আগমন হওয়া সময়ের অপেক্ষা।

মেঘালয়ের মুকুল?
টিএমসির দুই মুকুল। বাংলাভাষী মুকুল রায় কী রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিলেন? এই প্রশ্ন যেমন, তেমনই মেঘালয়কে ভিত্তি করে সে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা সাজাচ্ছেন ঘুঁটি। মেঘালয়ের মুকুলে ভর করে উত্তর পূ্র্বে বড়সড় রাজনৈতিক দল হবার মরিয়া চেষ্টা মমতার। দীর্ঘ সময় কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী থাকায় মেঘালয়, মনিপুর, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, নাগাল্যান্ড রাজ্যে মুকুল সাংমা বিশেষ পরিচিত।

কলকাতার রক্তাক্ত ছাপ্পা ভোটে তরতরিয়ে জয়ের পর মমতার দৌড় বাইশে হবে উত্তর পূর্ব দিকেই।

]]>
KMC Election: ‘ছাপ্পা’-বোমায় রক্তাক্ত পুরভোটের গণনায় মমতা নিশ্চিন্ত https://ekolkata24.com/uncategorized/kmc-election-kolkata-pre-poll-count-on-sunday Mon, 20 Dec 2021 14:54:44 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15556 নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: শান্তি-অশান্তি। এই দুইয়ের চাপানউতরে রবিবার শেষ হয়েছে কলকাতা পুরসভা নির্বাচন (KMC Election)। ইভিএম বন্দি হয়েছে ৯৫০ জন প্রার্থীর ভাগ্য। শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিরোধীদের পুনর্নির্বাচনের দাবি নস্যাৎ করে কমিশন জানিয়েছে নির্ধারিত সময়ই হবে গণনা। এখন ছোট লালবাড়ি দখলের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কার মুখের হাসি চওড়া হয়, তা জানতে ভোটগণনার দিকে তাকিয়ে রাজ্য-রাজনীতি। ভোটের ফল ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আমজনতা।

সমীক্ষা বলছে, একুশেও কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে কিস্তিমাত করবে তৃণমূল। এবার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বিজেপিও প্রতিটি আসনের প্রার্থী দিলেও পরে দুটি ওয়ার্ডের প্রার্থী নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। কলকাতার পুরভোটে বিজেপি লড়ছে ১৪২ টি ওয়ার্ডে। বাম-কংগ্রেস বিধানসভার মতো সরাসরি জোটে না গিয়ে উভয়পক্ষই কিছু আসন ছেড়ে ভোটে লড়েছে। পুরভোটে নির্দল প্রার্থী ৩৭৮ জন। কলকাতা পুর নির্বাচনে ভোট-যুদ্ধ চতুর্মুখী হলেও হাড্ডাহাড্ডির লড়াই যে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যেই, তা বললে অত্যুক্তি করা হবে না।

সমীক্ষানুযায়ী, একুশের পুরসভা ভোটে ১৩৭ থেকে ১৪১টি আসন পেতে পারে তৃণমূল। ভোট শতাংশে ঘাসফুল শিবির অর্জিত ভোট হতে পারে ৬৯ শতাংশ ভোট। অপরদিকে, শতাংশের বিচারে পদ্মশিবির পেতে পারে ১৫শতাংশ ভোট। অর্থাত্ সারা কলকাতায় বিজেপি সর্বোচ্চ ৩টি আসন পেতে পারে বলে বলছে সমীক্ষা। বামেদের ঝুলিতেও পড়তে পারে ১৫ শতাংশ ভোট। কলকাতা পুরসভা দখলের লড়াইয়ে সর্বোচ্চ ৩টি আসন পেতে পারে বামশিবির। কংগ্রেস পেতে পারে ১টি আসন। ভোট শতাংশ ৫। শহরের বিভিন্ন গণনাকেন্দ্রে সোমবার দিনভর চলেছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, হেস্টিংস হাউস, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, বরিশা বিবেকানন্দ কলেজ সহ ১১টি কেন্দ্রে মঙ্গলবার ভোটগণনা।

হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সব গণনাকেন্দ্রের ভিতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত সিসিটিভির নজরদারি ব্যবস্থা রেখেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কমিশন সূত্রের খবর, ১৩ থেকে ১৬ রাউন্ড পর্যন্ত ভোট গণনা হবে। ফলে মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই ১৪৪ টি ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষণা হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছ। কমিশন সূত্রের খবর, বিভিন্ন গণনাকেন্দ্রে প্রতিটি হলে জাল লাগানো আলাদা কাউন্টার করা হয়েছে। কাউন্টিং রুমে দুজন করে আধিকারিক থাকবেন। জালের অপরদিকে প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্টের বসার জায়গা করা হয়েছে। কাউন্টিং হলের সামনে একজন করে সুপারভাইজার থাকবেন। গণনা কেন্দ্রগুলিতে গণনাকর্মী ও রাজনৈতিক কর্মীদের কোভিডবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে বলে কমিশনের নির্দেশ।

গণনাকেন্দ্রে থাকবে মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং থার্মাল গান দিয়ে শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখেই মঙ্গলবারও দলীয় কর্মী সমর্থকদের বিজয় মিছিল করতে নিষেধ করেছে তৃণমূল। রবিবারের পর ফলাফল ঘোষণার দিনও অশান্তি রুখতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। বিজয় উল্লাসের নামে কোনও বাড়াবাড়ি সহ্য করা হবে না বলেও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছে জোড়াফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের একাধিক বিধিনিষেধ-আশ্বাস আর কড়া পুলিশি নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কলকাতা পুরভোটে অশান্তি ঠেকানো যায়নি। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর। দু জায়গায় বোমাবাজি। ঝরেছে রক্ত।

শাসকদলের বিরোধিতায় বড়তলা থানার সামনে একসঙ্গে অবস্থানে বসেছে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি। পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সোমবার প্রতিবাদে মিছিল করে পদ্ম শিবির। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মুরলীধর সেন লেনে। দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। এখন ভোটের ফল ঘোষণার দিন কলকাতার ছোট লালবাড়ি কার দখলে যায়, সেদিকে নজর রাখার পাশাপাশি শহরে কোনও অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয় কি না, সেদিকেও নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

]]>
KMC Election: পুরভোট লুঠ রুখতে শূন্য বামেদের বিক্ষোভেই ভরসা বিরোধী দল বিজেপির https://ekolkata24.com/uncategorized/kmc-election-main-opposition-bjp-facing-masive-organizational Sun, 19 Dec 2021 08:48:48 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15432 News Desk: পুরভোটেই কি হাল ছাড়ল বিরোধী দল? রাজনৈতিক মহলে বড় হয়েছে এই প্রশ্ন। নির্বাচনের (KMC Election) সকাল থেকে স্পষ্ট ১৪১টি ওয়ার্ডের বহু বুথে এজেন্টই দিতে পারেনি বিজেপি। তারাই রাজ্য প্রধান বিরোধী দল। সত্তরের বেশি বিধায়ক। দলের মধ্যেই গুঞ্জন সংগঠন ভেঙ্গে পড়ছে তা স্পষ্ট।

বিজেপির অন্দরমহলের হিসেব দরকার ছিল কমপক্ষে ৯ হাজার কর্মী। মেলেনি কিছুই। পুরনিগমের ১৪৪টি ওয়ার্ডে মোট বুথের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৫৯টি। ১ জন এজেন্ট ও রিলিভার মিলিয়ে মোট ৯ হাজার ৯১৮ জন বুথ কর্মী প্রয়োজন বিজেপির। তার অর্ধেক বুথ এজেন্ট জোগাড় করতে পারেনি বিরোধী দল।

অপর দিকে বিধানসভায় শূন্য হওয়া সিপিআইএমের এজেন্ট দেয় বেশিরভাগ বুথে। কংগ্রেসেরও এজেন্ট বিজেপির তুলনায় ভালো।

তাৎপর্যপূর্ণ, পুরনিগম ভোটে আক্রান্ত হওয়ার পর বিজেপি বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েও নিজের শক্তি পাচ্ছে না বলে দলেরই মধ্যে প্রশ্ন। এমনকি দেখা যাচ্ছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের বিক্ষোভে জমি খুঁজে নিতে।

বিজেপির তরফে বারবার ভোট লুঠ, প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু নেতৃত্বের দেখা নেই বলে কর্মীদের অভিযোগ। সূত্রের খবর, পুরভোটের পর আরও ধসের কবলে পড়ছে বিজেপি।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গরম ভাষণ ছিল ফাঁকা বুলি, এমনই অ়ভিযোগ করছেন দলীয় কর্মীরা। তবে বিজেপির দাবি, নেতৃত্ব বিক্ষোভে আছেন।

]]>
KMC Election: দুর্নীতির হিমালয় প্রমাণ অভিযোগ নিয়েও TMC ‘নিশ্চিন্ত’, বিরোধীরা ওয়ার্ড খুঁজছে https://ekolkata24.com/uncategorized/tmc-confident-to-win-kmc-election Sat, 18 Dec 2021 06:43:39 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15304 News Desk: বিরোধী দল বিজেপি কি জমি ছেড়ে দিচ্ছে ? দলীয় নেতাদের ভোটে গা ছাড়া মনোভাব নিয়ে তেমননই প্রশ্ন সমর্থকদের মধ্যে। ‘ধসাতঙ্কে’ ভূগছে বিজেপি। তবে বিরোধী দলনেতা হুঙ্কার ছেড়েছেন। কলকাতা পুরনিগম (KMC Election) ভোটে দল জয়ী হলে বিপুল কর ছাড় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পক্ষ বামফ্রন্ট মিছিলে আছে। তবে ভোটে নেই তা বিগত নির্বাচনগুলিতেই স্পষ্ট।

শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ‘নিশ্চিন্ত’। বিধানসভা নির্বাচন থেকে পরপর জয়। উপনির্বাচনে জয়ের ধারা অটুট। সর্বপোরি, বিরোধী দল বিজেপি থেকে ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের ধারা বইছে। টিএমসির বিরুদ্ধে আছে হিমালয় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ। চাপে নেই মমতা শিবির। ছোট লালবাড়ির ‘ভোট করাতে’ ওয়ার্ডস্তরে দলনেত্রীর বিশেষ নির্দেশ পৌঁছে গেছে।

কলকাতা পুরনিগমের (KMC) আদুরে নাম. ‘ছোট লালবাড়ি’। পূর্বতন রাজ্য প্রশাসনিক কেন্দ্র মহাকরণের ডাক নাম ‘বড় লালবাড়ি’। এই নামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কে যে পুরনিগম (পুরসভা) ‘ছোট লালবাড়ি’ রেখেছিল তার খোঁজ পাওয়া জল জমা সমস্যা সমাধানের থেকেও কঠিন।

রবিবার ভোট। ‘একুশের ভোট’ নামে ২০২১ সালের বহু আলোচিত পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পর বছরটির সর্বশেষ ভোট যুদ্ধে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরনিগমের বিদায়ী মেয়র তথা প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ফের মেয়র?

বিধানসভায় শূন্য হয়ে গেলেও বামফ্রন্টোর কটাক্ষ, নারদা মামলার সেই বিতর্কিত ফুটেজে অভিযুক্ত টিএমসির ফিরহাদ হাকিম ছাড়া মমতার গতি নেই। ঠিক যেমন নারদা ঘুষ কাণ্ডের অভিযুক্ত তৎকালীন মমতা ছায়াসঙ্গী শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি হয়ে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রদেশ কংগ্রেসের অভিযোগ। টিএমসি বিজেপি সেটিং স্পষ্ট। তবে ভোট লড়াই হবে। কংগ্রেস ভাঙানোর খেলায় মমতা নিজের বিপদ ডেকে আনছেন বলেও সতর্কতা দিতে শুরু করেছেন দলটির সর্বভারতীয় নেতারা।

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিজেপি বিরোধী মুখ হওয়ার তীব্র প্রচারের জন্য গোয়া, মহারাষ্ট্রে দৌড়েছেন। ব্যর্থতা এসেছে। উত্তর প্রদেশেও যেতে মরিয়া চেষ্টা করছেন। ডাক পাচ্ছেন না। আবার মেঘালয়ে কংগ্রেস ভাঙিয়ে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদায় টিএমসিকে তুলেছেন। ত্রিপুরার পুর ভোটে শূন্য থেকে ১৬ শতাংশে পৌঁছে গেছেন।

সফলতা ব্যর্থতার মিশেলে টানা তিনবার রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ছোট লালবাড়ি দখল না হলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না। মমতা খুব ভালো করে জানেন সেটা।

]]>
Meghalaya: দেখা যাবে ভোটে কত খেলতে পারেন, মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ https://ekolkata24.com/uncategorized/elections-will-test-real-strength-of-tmc-said-power-minister-of-meghalaya Sun, 12 Dec 2021 14:57:27 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14590 News Desk: কংগ্রেস ভাঙিয়ে রাজ্যে ঢুকেছে, ভোটের সময় দেখা যাবে খেলার কত ক্ষমতা। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে এমনই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন মেঘালয়ের (Meghalaya) মন্ত্রী জেমস সাংমা।

তাৎপর্যপূর্ণ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা টিএমসি নেত্রী রবিবার গোয়ায় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে যাওয়ার আগেই মেঘালয় থেকে এসেছে চ্যালেঞ্জ।

পশ্চিমবঙ্গের বাইরে একমাত্র মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত অবস্থান। উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্যের বিরোধী দল টিএমসি। সম্প্রতি কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়করা দলত্যাগ করেন। তাঁরা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। মেঘের রাজ্যে ‘কংগ্রেসের শেষের কবিতা’ লিখে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬০ সদস্যের মেঘালয় বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ক আছেন।

মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দল হলেও তাদের তেমন পাত্তা দিতে নারাজ সরকারে থাকা দল এনপিপি। মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য তথা বিদ্যুৎমন্ত্রী জেমস সাংমা জানিয়েছেন, আচমকা কংগ্রেস ভাঙিয়ে প্রচারে আসা এক বিষয়, কিন্তু ভোটে জেতা সম্পূর্ণ অন্য খেলা।

তৃণমূল কংগ্রেস কি সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জ? শিলংয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্ন করা হয়। মন্ত্রী জেমস সাংমা সরাসরি এর উত্তর দেননি। তিনি বলেন, এনপিপি নিজের শক্তি বৃদ্ধিতে নজর রাখছে।

]]>
Bipin Rawat Last Rites: শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে বিরোধীদের ১ মিনিট সময় দিচ্ছে না মোদী সরকার ! বিতর্ক https://ekolkata24.com/uncategorized/bipin-rawat-last-rites-opposition-mps-were-not-allowed-to-pay-tribute-to-gen-bipin-rawat-in-rajya-sabha Fri, 10 Dec 2021 08:59:15 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14332 News Desk: বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার যা-ই করুক সবই ভোটের লক্ষ্যে করে। আরও উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাব বিধানসভায় ভোটের দিকে তাকিয়েই দুর্ঘটনায় প্রয়াত সেনা সর্বাধিনায়ক (chief of defence staff) বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat Last Rites) প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে রাজনীতি করছে কেন্দ্র সরকার।

একাধিক বিরোধীদল অভিযোগ করেছে, মোদী সরকার প্রয়াত জেনারেল রাওয়াত ও বাকি জওয়ান অফিসারদে প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগটুকুও দিচ্ছে না।

কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডুকে অনুরোধ করেন, সেনা সর্বাধিনায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে এক মিনিট করে সময় দেওয়া হোক। নাইডু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন।

এর পরেই বিতর্ক প্রবল আকার নেয়। বিরোধীদের শোক প্রকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদ জানাতে বিভিন্ন দল রাজ্যসভা ত্যাগ করে।

রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ অবশ্য বলেছেন, অধিবেশনের শুরুতেই তিনি রাওয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। ওই বিবৃতি তিনি সভার সকল সদস্যের হয়েই দিয়েছেন। তাই প্রত্যেক সদস্যের আলাদা করে আর শোকজ্ঞাপনের কোনও প্রয়োজন নেই।

হরিবংশেরই কথায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিরোধীরা। রাজ্যসভার বাইরে বিরোধী সাংসদরা সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন। তারা বলেন, শাসকদল একজন মৃত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নিয়েও রাজনীতি করছে।

কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন বলেন, সভাকক্ষে আমাদের রাওয়াতের প্রতি শোক প্রকাশ করার সুযোগই দেওয়া হল না। সরকারের এই আচরণ থেকেই বোঝা যাচ্ছ যে, দেশে কী ধরনের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চলছে।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, মোদী সরকার রাওয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের বিষয়টিতেও নিজেদের একচেটিয়া আধিপত্য রাখতে চাইছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত লজ্জাজনক। একজন মৃত মানুষকে নিয়ে এধরনের ঘৃণ্য রাজনীতি করা এক নিচু রাজনীতির পরিচয়।

শুক্রবার সকালে অবশ্য রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রাওয়াতের প্রতি শোক জানিয়ে আসেন। শুক্রবার সেনা সর্বাধিনায়কের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

]]>
TMC: পরপর দুঃসংবাদ আসছে মমতার কাছে, তৃণমূল নেত্রী থেকে ভারত নেত্রী হওয়া ‘স্বপ্ন’! https://ekolkata24.com/uncategorized/tmc-facing-big-trouble-in-national-level-politics Thu, 09 Dec 2021 07:36:49 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14186 News Desk: তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেত্রী থেকে ভারত নেত্রী হওয়ার যে চেষ্টা চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), তাতে লাগছে ধাক্কার পর ধাক্কা। রাজধানীর রাজনীতিতে আলোচনা, কংগ্রেসের কূটনীতিতে কুপোকাত হতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। বিজেপিকে রুখতে গোয়া, উত্তর প্রদেশে তাঁর কংগ্রেস বিরোধী জোট নীতির পক্ষে কেউই তেমন সায় দিচ্ছে না।

রাজনৈতিক মহলের ধারণা,মুম্বই গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন তাঁর অবিজেপি জোটে কংগ্রেসকে দুয়োরানি করতে। কিন্তু মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের রাজনীতির চাপে মমতার সেই আশা পূরণ হয়নি। উল্টে এনসিপি নেতা তথা কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ঘনিষ্ঠ শারদ পাওয়ারের চালে মমতার চাল ফিকে পড়েছে। শিবসেনা কোনওভাবেই মমতার সঙ্গে পৃথক জোটে রাজি নয়।

গোয়ার বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করছে। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে জোটে রাজি হলেও মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি ফের বেঁকে বসেছে। গোয়ায় কংগ্রেস, শিবসেনার জোট সম্ভাবনা নিয়ে প্রবল আলোড়ন। এই জোটে মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি আসতে পারে এমনই আহ্বান চলে গিয়েছে কংগ্রেসের তরফে।

ত্রিপুরায় পৌর ভোটে ০.৩ শতাংশ ভোট থেকে ১৬ শতাংশ পেলেও এই রাজ্যে তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। তবে ত্রিপুরা প্রদেশ টিএমসি নেতাদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে একমাত্র এই রাজ্যেই দলের ক্ষমতা রাজনৈতিকভাবে বাড়ছে। এর কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি। ত্রিপুরা বাংলাভাষী প্রধান রাজ্য।

মেঘালয়ে টিএমসি বিরোধী দল। কংগ্রেসকে ভাঙালেও ফের এই রাজ্যে কংগ্রেসের খেলা দেখা যাবে এমনই ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

]]>
পাওয়ার প্লে? প্যাঁচে পড়লেন মমতা! কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্বে নারাজ শিব সেনা https://ekolkata24.com/uncategorized/shiv-sena-slams-mamatas-no-upa-remark Sat, 04 Dec 2021 12:11:01 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13508 News Desk: দলীয় মুখপত্রে শিব সেনার হুঁশিয়ারি এমন, যদিও তিনি (মমতা) পশ্চিমবঙ্গ থেকে কংগ্রেস, বাম ও বিজেপিকে শেষ করেছেন, কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব রাখলে ফ্যাসিস্ট শক্তিকে আরও বেশি শক্তিশালী করা হবে’। এই হুঁশিয়ারি আসলে ‘সামনা’ সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়। সেটি প্রকাশ করা হলো, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর মহারাষ্ট্র সফরের পর।

রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ, মুম্বই থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে মমতাকে। তিনি যে লক্ষ্য নিয়ে মম্বই গিয়েছিলেন তা সফল হলনা। কারণ ‘সামনা’ শিব সেনার মুখপত্র। তার সম্পাদকীয় মানে শিব সেনার অবস্থান।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি বিরোধী ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হয়েছে শিব সেনা মুখপত্রে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীকে বাঘিনীর সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছে। এতে মমতার প্রশংসা করে লেখা হয়েছে, বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাকে শিবসেনা কুর্ণিশ জানায়।

তবে বিশ্লেষণে এও উঠে আসছে, কংগ্রেসের কূটচালে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় যে অবিজেপি জোট সরকার ক্ষমতাসীন। তার মুখ্যমন্ত্রী শিব সেনা প্রতিষ্ঠাতা বালা সাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ভব ঠাকরে। সরকার চলছে এনসিপি ও কংগ্রেস সমর্থনে। তারাই সরকারের অন্যতম দুই বড় শরিক। কোনওভাবেই দুই শরিককে চটিয়ে মমতার পক্ষ নিতে চাইছেন না উদ্ভব।

মনে করা হচ্ছে, মমতাকে বার্তা দেওয়ার পিছনে কাজ করেছে পাওয়ার প্লে। প্রবীণ এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের কূটনৈতিক চালেই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছে অবিজেপি জোট। সেই জোটের কংগ্রেস ও এনসিপি ঘনিষ্ঠ। মমতার নো ইউপিএ অবস্থান মেনে নিতে পারেননি পাওয়ার।

রাজনৈতিক চাপের মুখে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে অসুস্থতার কারণে মমতা সাক্ষাৎ এড়িয়ে গিয়েছেন। এর পিছনেও পাওয়ার প্লে কাজ করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

শিব সেনার মুখপত্রের সম্পাদকীয় হুঁশিয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে ঘুরপথে কংগ্রেসের বার্তা। আর এই বার্তার পিছনে আছে সোনিয়া গান্ধী ঘনিষ্ঠ শারদ পাওয়ার।

]]>
Mamata Banerjee: আরব সাগর তীরে ডুবলেন মমতা ? ক্ষণিকের বন্ধু ‘বিশ্বাসঘাতক’ https://ekolkata24.com/uncategorized/mamata-facing-truble-in-maharashtra-and-goa-politics Wed, 01 Dec 2021 06:29:14 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12972 News Desk: মহারাষ্ট্রে তেমন সাড়া মিলছে না। সিদ্ধিবিনায়ক আশীর্বাদ পেতে পুজো দিলেও ঈশ্বর কি মু়খ ফিরিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দিক থেকে এমনই আলোচনা মুম্বই থেকে জাতীয়স্তরে। গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে ক্ষণিকের বন্ধু গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি টিএমসির ছায়া পরিত্যাগ করেছে। আপাতত তারা কংগ্রেসের দিকে।

পশ্চিমবঙ্গে তিনবার জয়ী হয়ে পশ্চিম ভারতের গোয়া বিধায়নসভা যুদ্ধে নেমেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। তাঁর সঙ্গে এসেছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে যাকে নিয়ে বিরাট আশা ছিল টিএমসির সেই গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির ঘোষণা, কংগ্রেসের সঙ্গেই তারা আছে। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি প্রধান বিজয় সরদেশাই সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুমুল প্রশংসা করেন।

টিএমসির ভোটকুশলীরা গোয়ার সমীকরণে নিজেদের তুলে ধরতে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে বিস্তর যোগাযোগ করেন। তবে সব আশায় জল ঢেলে দিয়েছে দলটি। ফলে টিএমসির তরফে দলটিকে এখন বিশ্বাসঘাতক বলেই চিহ্নিত করা হচ্ছে।

এদিকে মুম্বইতেও ক্ষমতাসীন শিবসেনা জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে অসুস্থ তাই তিনি দেখা করেননি মমতার সঙ্গে। মুম্বই রাজনৈতিক মহলে খবর, গোপনে আড়কাঠি চেলেছেন প্রবীণ এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার। তিনিই বিজেপি বিরোধী পাওয়ার প্নে জনক।

]]>