এমন এক ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের মুহুর্তে দাঁড়িয়ে ক্রিকেটের ভগবান সচিন তেন্ডুলকরের টুইট পোস্ট, “এমন আক্রমণে দুর্দান্ত বোলিং যা বিশ্বের যে কোনও জায়গায় টেস্ট ম্যাচে ২০ উইকেট নিতে পারে।
একটি নিশ্চিত জয়ের জন্য #TeamIndia কে অভিনন্দন!
#SAvIND”।
ভারতের প্রাক্তন হেডকোচ রবি শাস্ত্রী প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ জয়ের আনন্দে টুইট পোস্ট, “উহু ব্রিসবেন, ওভাল, লর্ডস এবং এখন সেঞ্চুরিয়ন… অভিনন্দন @imVkohli, রাহুল দ্রাবিড় এবং সমগ্র দলকে সেঞ্চুরিয়নে জয়ী প্রথম এশিয়ান দেশ হওয়ার জন্য #BoxingDayTest #TeamIndia “।
ঐতিহাসিক ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট জয়ের মুহুর্তে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ভারতের আর এক কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষণ। এই জয় নিয়ে লক্ষণের টুইট পোস্ট, “সিডনিতে দুর্দান্ত স্থিতিস্থাপকতার সাথে বছরটি শুরু হয়েছিল, তারপরে গাব্বাতে একটি অবিশ্বাস্য জয় ছিল, লর্ডসের জয়টি বিশেষ ছিল এবং সেঞ্চুরিয়নে একটি দুর্দান্ত জয় দিয়ে বছরের শেষ হয়েছে। টিম ইন্ডিয়ার জন্য একটি দুর্দান্ত টেস্ট ম্যাচের বছর। একটি দুর্দান্ত জয়ের জন্য অভিনন্দন #INDvsSA “।
বস্তুত, পঞ্চম দিনে খেলার শেষ মুহুর্তে ৬৬.৫ ওভারে সামির বলে মার্কো জ্যানসনের ক্যাচ পহ্নের গ্লাভসে ধরা পড়ে, পরের ওভারে পঞ্চম ডেলিভারিতে রাবাদা অশ্বিনের বলে ক্যাচ তুলে সামির হাতে বন্দি আর ৬৭.৬ ওভারে অর্থাৎ পরের বলেই এনগিদি অশ্বিনের বলে পূজারার হাতে ক্যাচ দিতেই, সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্ট ভারত পকেটে পুড়ে ফেলে।
]]>সাম্প্রতিক সময়ে বিসিসিআই প্রেস বিবৃতিতে জানিয়ে দেয়, বিরাট কোহলি টেস্ট ফর্ম্যাটের অধিনায়ক এবং রোহিত শর্মা ভারতের ওডিআই এবং টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে নেতৃত্ব দেবে। বিতর্কের অঙ্কুর গড়ে ওঠে এই প্রেস বিবৃতি থেকে।
দেশের ক্রিকেট মহলে নানা মুনির নানা মত এই ইস্যুতে বিতর্কের ধোয়া তোলে। এমন আবহে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বিরাট কোহলি সাংবাদিক বৈঠকে বয়ান রাখেন , “ভারতীয় ওডিআই দলে গার্ড (নেতৃত্ব) পরিবর্তনের বিষয়ে বিসিসিআই এবং এর সদস্যরা তার সাথে কোনও আলোচনা করেনি”।
বিরাটের এমন বয়ান প্রকাশ্যে আসতে হইচই পড়ে দেশের ক্রিকেট মহলে। বিরাট- সৌরভ বিতর্ক শুরু হয়, বিরাট কোহলিকে ওডিআই অধিনায়কের পদ থেকে অপসারণের একদিন পরে। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন যে,” তিনি সত্যিই বিরাটের সাথে নেতৃত্বের পরিবর্তনের বিষয়ে কথা বলেছিলেন এবং কথোপকথনে তিনি (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়) বিরাটকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন”।
এই দুই পারস্পরিক বিরুদ্ধ বয়ানের ঢেউ উঠতেই বিতর্ক চরম আকার নেয়। শেষমেশ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ঢোক গিলে গোটা বিতর্কিত ইস্যুতে কলকাতায় বলেন,”নো কমেন্টস (কোন মন্তব্য নেই), বিসিসিআই এটা নিয়ে কাজ করছে। আমি কোনও মন্তব্য করবো না এবং এই সময়ে কিছু বলব না।” এরপর গোটা বিতর্ককে পিছনে ফেলে “ফিল গুড ফ্যাক্টর” বার্তা পোস্ট করে বিসিসিআই টুইট পোস্টে টিম ইন্ডিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য বিশেষ বিমানে চেপে বসার মুহুর্তে। টিম জোহানসবার্গ পৌছে যায়, চুটিয়ে অনুশীলন শুরু করে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজে ফোকাস রেখে।
মঙ্গলবার আচমকা ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন বিস্ফোরক বয়ান করেন নিজের আন্তজার্তিক ক্রিকেট কেরিয়ারে ইনজুরি ইস্যুতে প্রাক্তন হেডকোচ রবি শাস্ত্রীকে নিশানা করে।
অশ্বিনের বিস্ফোরক বয়ানের টাইমিং নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়াতেই কি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঘাড়ে রাইফেল রেখে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় গুলি চালালেন রবি শাস্ত্রীকে টার্গেট করে, এমন মহারাজকীয় কৌশলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন শুধুমাত্র একজন “মোহরা” হয়েই পড়ে রইলেন।
কেননা, বিরাট কোহলি সাংবাদিকদ বৈঠকে যেভাবে ভারতীয় ওডিআই দলে গার্ড (নেতৃত্ব) পরিবর্তনের ইস্যুতে বয়ান রেখেছিলেন, ওই বয়ানের পিছনে শীতল মস্তিস্কের কারিগর হিসেবে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন হেডকোচ রবি শাস্ত্রীর ওপর নজরদারি পড়েছিল।
এবার পাল্টা প্রত্যাঘাতের পথে “মহারাজকীয় চালের মোহরা” কি তবে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ২৬ ডিসেম্বর প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচ, যা ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট ম্যাচ নামে ক্রিকেট বিশ্বে জনপ্রিয়, এই ম্যাচের আগে আবার ভারতীয় ক্রিকেট এবং বিসিসিআই’র ঘরোয়া কাজিয়া “কলতলার ঝগড়া”র চেহারা নিতে চলেছে।
]]>দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ভারতীয় খেলোয়াড়দের জয়ের মন্ত্র দিয়েছেন হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড়। খেলোয়াড়দের জেতার জন্য কোচ দ্রাবিড়ের মন্ত্র হল “মানের অনুশীলন এবং ভাল তীব্রতা”।
প্রথম টেস্ট ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে সুপারস্পোর্ট পার্কের পিচ কেমন হতে পারে তা নিয়ে একটা পূর্বাভাস দিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার এবং ঈশান্ত শর্মা বিসিসিআই’র করা টুইটে।
শ্রেয়স আইয়ার জানিয়েছেন, “এই পিচে ঘাস রয়েছে,ফলে অতিরিক্ত বাউন্স আসবে এমনটা মনে করা হচ্ছে”। শ্রেয়সের পিচ নিয়ে এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে,বোলারা পিচ থেকে বাড়তি সুবিধা তুলতে পারে।
অন্যদিকে, ভারতীয় পেস বোলার ঈশান্ত শর্মা’র এই পিচ নিয়ে প্রতিক্রিয়া, “শুরুতে উইকেট ভেজা ছিল। এ সময় বল একটু ঘুরছিল”।
ঈশান্তের এমন প্রতিক্রিয়া সামনে আসতেই ক্রিকেট মহল মনে করছে টেস্ট ম্যাচের শুরুর দিকে সুপারস্পোর্ট পার্কের পিচ থেকে স্পিনারেরা, বিশেষত রবিচন্দ্রন অশ্বিন একটা সুবিধা পেতে পারে প্রোটিয়ার্সদের উইকেট তোলার লক্ষ্যে, এরপর সময় যত গড়াবে পিচের ভিতরের ভেজা অংশ রোদের তেজ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শক্ত হতে থাকবে।পিচ যত শক্ত হবে, ততই জোরে বোলারেরা ঘাস থাকার কারণে অতিরিক্ত বাউন্সারে ব্যাটসম্যানকে ব্যাকফ্রুটে খেলতে বাধ্য করবে।
বড় রান করার তাগিদে প্রোটিয়ার্সরা ব্যাকফ্রুটে’র বেড়াজাল টপকে “মুভিট্যাপ” ফাঁদে পড়ে ফ্রন্টফ্রটে খেলার চেষ্টাতে বিগ শট হাঁকাতে গিয়ে উইকেট খুঁইয়ে আরও বেশি করে কোণঠাসা হওয়ার অবস্থায় চলে যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ভারতীয় বোলিং লাইন আপকে প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে হবে।
<
p style=”text-align: justify;”>দক্ষিণ আফ্রিকা’র ব্যাটসম্যানরা ব্যাকফ্রুটে গিয়ে পেস আক্রমণের ক্ষুরধারে পড়ে গিয়ে ধৈহ্যের বাধে চিড় ধরতেই ভারতীয় পেস আক্রমণের ওপড়ে ডমিনেট অর্থাৎ শাসন করতে চাইবে! ব্যাট আর ডেলিভারি’র ডমিনেশনে একটি দুর্দান্ত উপভোগ্য টেস্ট ম্যাচ দর্শকদের সামনে উঠে আসতে পারে, যা টেস্ট ক্রিকেটের “রিদমকে” অর্থাৎ ছন্দকে বর্তমানে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের দাপাদাপি’র সময়েও এক বিশেষ বৈচিত্র্য এনে দিতে পারে টেস্ট ম্যাচ ফর্ম্যাটকে বিশ্ব ক্রিকেটের আঙিনায়। টেস্ট ম্যাচের টানটান উত্তেজনা এখনও শেষ হয়ে যায় নি, যা একটা অবশ্যই ভাল বিঞ্জাপন হতে পারে টেস্ট ম্যাচের আঙ্গিকে।
]]>ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (BCCI) প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসার পর থেকে, প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ভারতীয় ক্রিকেটকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন ভূমিকার জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে।
অনিল কুম্বলে এবং রবি শাস্ত্রীর মতো দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময়, এমএস ধোনি ২০২১’র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দলের পরামর্শদাতা হিসেবে ছিলেন।
এক টক শো’তে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় “শচীন স্পষ্টতই কিছুটা আলাদা। তিনি এই সমস্ত কিছুর সাথে জড়িত হতে চান না। আমি নিশ্চিত যে ভারতীয় ক্রিকেটে শচীনের কোনোভাবে জড়িত থাকার বিষয়ে, এটি এর চেয়ে ভাল খবর হতে পারে না। কোন উপায়ে এই নিয়ে স্পষ্টতই কাজ করা দরকার”।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “কারণ চারিদিকে দ্বন্দ্ব অনেক বেশি। ঠিক বা ভুল, আপনি যা কিছু করেন এবং আপনার কাছে ‘দ্বন্দ্ব’ শব্দটি থাকে তা জানালা দিয়ে লাফিয়ে উঠতে থাকে, যার মধ্যে কিছু আমি সত্যিই অবাস্তব বলে মনে করি। তাই আপনাকে সেরাটি দেখতে হবে সেরা প্রতিভাকে খেলার সাথে জড়িত রাখার উপায় হিসেবে। এবং এক পর্যায়ে শচীনও ভারতীয় ক্রিকেটে জড়িত হওয়ার একটি উপায় খুঁজে পাবেন”।
বর্তমানে তেন্ডুলকর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (IPL) মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পরামর্শদাতা হিসেবে রয়েছেন। এই অবস্থানে শচীন তেন্ডুলকর ভারতীয় দলের সঙ্গে জড়িত হলে “স্বার্থের সংঘাত”র ইস্যুতে বিতর্কে নাম জড়াতে পারে মাস্টার ব্লাস্টারের; এক্ষেত্রে একটা সম্ভাবনা উকি দিচ্ছে শচীনের কাছে বিকল্প রোডম্যাপ হিসেবে, তা হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর পদে ইস্তফা দিয়ে তবেই ভবিষ্যতে ভারতীয় দলের সাথে কাজ করার রাস্তা মসৃণের।
]]>অশ্বিন বলেছেন যে, ভারতীয় পিচে বাউন্স সবসময় একরকম হয় না এবং গতিতেও ভিন্নতা দেখা যায়। কয়েকজন স্পিনারের নাম নিয়ে তিনি বলেন, কিছু স্পিনার ওই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উইকেটের পেছনে দারুণ কাজ করেছে। অশ্বিন দীনেশ কার্তিক, ঋদ্ধিমান সাহা এবং এমএস ধোনি তিনজনের নাম করেছেন যারা উইকেটরক্ষক হিসেবে ভালো কাজ করেছেন।
অশ্বিন বলেন যে, দীনেশ কার্তিক এবং ঋদ্ধিমান সাহাও দুর্দান্ত উইকেটরক্ষক, তবে উইকেটের পিছনে মহেন্দ্র সিং ধোনি যে ধরণের বল ধরেন তা বিস্ময়কর। আমি তার সামনে বোলিং করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছি। যখন তিন উইকেটরক্ষকের র্যাঙ্কিং’র কথা আসে, তখন অশ্বিন ধোনিকে শীর্ষে রাখেন, তারপরে ঋদ্ধিমান সাহা এবং দিনেশ কার্তিককে তিন নম্বরে রাখেন।
অশ্বিন দীনেশ কার্তিকের অনেক প্রশংসা করেছেন কিন্তু তিনি ধোনিকে শীর্ষে রেখেছেন। তিনি বলেন যে, আমি তামিলনাড়ুতে দীনেশের সাথে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি, তবে যখন এক নম্বরে কারও নাম নেওয়ার কথা আসে, তিনি হলেন ধোনি। অশ্বিনের কথায়, ধোনি যখন উইকেটের পিছনে থাকেন, তখন সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোও সহজ মনে হয়। চেন্নাইয়ের মাটিতে এড কোবানের উইকেটের কথা মনে করিয়ে অশ্বিন বলেন যে উদাহরণ হিসাবে আপনি তার স্টাম্প দেখতে পারেন যখন তিনি(এম এস ধোনি) খুব সহজে এমন কঠিন স্টাম্প আউট করেছিলেন।
]]>বিসিসিআই অফিসিয়াল টুইটে পোস্ট করে জানিয়েছে,”
টাচডাউন দক্ষিণ আফ্রিকা 
#TeamIndia #SAvIND “, সঙ্গে ওই মুহুর্তের কিছু ছবিও শেয়ার করেছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের।
প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে ভারত তিন ম্যাচের টেস্ট এবং সম-সংখ্যক ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলবে,তবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের দিনক্ষণ এবং ম্যাচ ভেন্যু এখনও ঠিক হয়নি। ২৬ ডিসেম্বরে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে ভারত সেঞ্চুরিয়নে, দক্ষিন আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
— BCCI (@BCCI) December 16, 2021
জোহানসবার্গে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ হবে ৩ জানুয়ারি এবং তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট ম্যাচ ১১ জানুয়ারি পারলেতে আয়োজিত হবে। টেস্ট ম্যাচ সিরিজ শেষ হলেই টিম ইন্ডিয়া প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলবে।
ওডিআই সিরিজের প্রথম এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ২৯ এবং ২১ জানুয়ারী পারল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হবে এবং তৃতীয় তথা শেষ ওডিআই ম্যাচ হবে ২৩ জানুয়ারী কেপটাউনে
এমন মাহেন্দ্রক্ষণে অবশ্য এসসি ইস্টবেঙ্গল বাইচুং’কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে মোটেও ভুলে যায়নি। শুভেচ্ছা বার্তায়, নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার পেজে পোস্ট,”এখানে ভারতীয় ফুটবল এবং ক্লাব আইকন @bhaichung15 𝙖 𝙫𝙚𝙧𝙮 𝙝𝙖𝙥𝙥𝙮 𝙗𝙞𝙧𝙩𝙝𝙖𝙮!
সমগ্র এসসি ইস্ট বেঙ্গল পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক অনেক ভালবাসা পাঠানো হচ্ছে। এটি শীর্ষে আছে, কিংবদন্তি!
#শুভ জন্মদিন ভাইচুং”।
তবে সকলের অজান্তে ভাইচুং ভুটিয়া নিজের পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন নিজের গ্রাম টিঙ্কিতমে। একজন দায়িত্বশীল পিতা হিসেবে ভাইচুং ভুটিয়া কতটা সিরিয়াস সেটা ভাইচুং’র ইনস্ট্রাগ্রাম পোস্ট দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, যেখানে নিজের বাড়ির ছবি পোস্ট করে ক্যাপসনে লিখেছেন,”শীতের এক সন্ধ্যায় আমার বাড়ির ছবি শেয়ার করছি। আমার বাচ্চাদের ছুটিতে বাড়িতে আসার জন্য অপেক্ষা করছি। @eagles_nest03 #gangtok #sikkim”।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL) সামাজিক মাধ্যমে ভাইচুং’র জন্মদিন উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বার্তায় পোস্ট করেছে,”একজন ভারতীয় ফুটবল কিংবদন্তি 

এখানে ভাইচুং ভুটিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি! 
সিকিমিজ স্নাইপারের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার থেকে আপনার প্রিয় স্মৃতি কী”?
শুধু তাইই নয়, ইনস্ট্রাগ্রাম ভাইচুং ভুটিয়া নিজের গ্রাম টিঙ্কিতমের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি পোস্টের ক্যাপসনে লিখেছেন,”আমার গ্রামের টিঙ্কিতমের কিছু ছবি শেয়ার করছি। ফুটপাথ হল যেখানে আমরা আমাদের শৈশবের দিনগুলিতে ঘন্টার পর ঘন্টা হেঁটে নিকটবর্তী শহরে পৌঁছতাম। #স্মৃতি #টিঙ্কিতম #সিকিম”।
অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যমে বেশ কয়েকটি লাল হলুদ ফ্যান্স গ্রুপ “পাহাড়ি বিছে” ভাইচুং ভুটিয়া’র জন্মদিন উপলক্ষ্যে ভাইচুংকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
শুধু AIFF নয়, ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেল পর্যন্ত নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ভাইচুং ভুটিয়ার জন্মদিন উপলক্ষ্যে কোন শুভেচ্ছা বার্তা সহ টুইট পোস্ট করেন নি।
ভাইচুং ভুটিয়া ১৯৯৩ সালে কলকাতার ইস্টবেঙ্গলের ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপিয়ে পেশাদার ফুটবল জগৎ’এ আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং ওই বছর কলকাতা লীগে ৯ ম্যাচে ৪ গোল করেছিলেন। ক্লাব ফুটবলে ভাইচুং’কে মোহনবাগানের জার্সি গায়েও খেলতে দেখা যায়, এরপর দলবদল করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে ফিরে আসেন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে, ১৯৯৫ সালের ১০ মার্চ নেহরু কাপে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ভুটিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়। ওই টুর্নামেন্টে ভুটিয়া উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি গোল করে সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় গোলদাতা হিসেবে রেকর্ড বুক করেন।
২০০৫ সালের SAFF চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ভুটিয়াকে ভারতের ফুটবল দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল। ভারত ফাইনালে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
ভুটিয়া একটি গোল করেছিলেন এবং টুর্নামেন্টে যে দুটি গোল করেছিলেন তার একটি অংশ ছিল। টুর্নামেন্টের ২০০৮ সংস্করণে, ভুটিয়া মাত্র একটি গোল করেছিল এবং ভারতকে ফাইনালে পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল যেখানে তারা মালদ্বীপের কাছে ১-৯ গোলে হেরেছিল।
ভাইচুং ২০০৮ AFC চ্যালেঞ্জ কাপ জিতেছিল এবং তিনটি গোল করে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল। ভুটিয়ার ১০০ তম ক্যাপ এসেছিল ২০০৯ সালে, নেহরু কাপে, তিনিই প্রথম ভারতীয় খেলোয়াড় যিনি এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। ফাইনালে বাদ পড়া সত্ত্বেও তিনি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হন। ভাইচুং ভুটিয়া টিম ইন্ডিয়ার হয়ে মোট ১০৪ ম্যাচে ৪০ টি গোল করেছেন।
ভাইচুং ভুটিয়া প্রথম ভারতীয় ফুটবলার যিনি, ১৯৯৯ সালে ইউরোপে একটি পেশাদার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ম্যানচেস্টার-ভিত্তিক দল বারি ক্লাব দলে খেলার জন্য। টানা তিন মরুসুমে আশানুরূপ ফল না পাওয়াতে,৩৭ ম্যাচে তিন গোল এমন পারফরম্যান্সের পরে ভারতে ফিরে এসে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব জয়েন করেন।
ভাইচুং ভুটিয়া ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে ভাইচুং ভুটিয়া’র অবসরের মুহুর্তকে চির স্মরণীয় করার লক্ষ্যে একটি ফেয়ার ওয়েল
ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভুটিয়া তারপর ২০১৫ সালে ইউনাইটেড সিকিমে তার শেষ ক্লাব ম্যাচ খেলে গৌরবময় ফুটবল কেরিয়ারের সমাপ্তি ঘটায়।
<
p style=”text-align: justify;”>ভাইচুং বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলারদের ফুটবল প্রতিভার সঠিক উন্নয়নের টার্গেট নিয়ে ভাইচুং ভুটিয়া ফুটবল আবাসিক আকাদেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন, দিল্লী’র বেদাসে।
দেশের ফুটবলের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে তরুণ প্রতিভা অম্বেষণের খোঁজে নেমে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের(AIFF) কাছে ভাইচুং ভুটিয়া ব্রাত্য যে জন!
গোয়ার ফতোদরা স্টেডিয়ামে চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ভারতীয় ফুটবল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে এটিকে মোহনবাগান হেডকোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস বলেছেন, “আমাদের সবসময় ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে (আক্রমণ এবং রক্ষণের মধ্যে)। আমরা প্রথম দুটি ম্যাচ জিতেছিলাম এবং আমরা সেরা দল ছিলাম এবং এখন দুটি হারের পরে, আমরা খারাপ হতে পারি না। তাই ফুটবলে ভারসাম্য রাখতে হবে এরই পাশাপাশি আমাদের আচরণেও। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে একজন বিশ্বের সেরা থেকে খারাপ ক্লাব হতে পারে না। এটা সম্ভব নয়। ভারতে ফুটবলের ভারসাম্য দরকার।”

স্প্যানিস এই কোচ হাবাসের কথায়, “আমি আমার খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসী থাকতে বলেছি। আমার কাছে তারাই সেরা। এটা একটা কঠিন প্রতিযোগিতা কারণ আমরা টানা দ্বিতীয় মরসুমে বায়ো বাবোলে ছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগিতায় লড়তে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে যে আমরাই সেরা। আমার দল অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। আমাদের প্রতিরক্ষা(ডিফেন্স) থেকে আক্রমণে রূপান্তরের উন্নতি করতে হবে এবং পুরো ৯০ মিনিট প্রতিযোগিতা করতে হবে।”
দুইবারের আইএসএল জয়ী কোচ বিশ্বাস করেন যে, বাগানকে অবশ্যই সঠিক ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে এবং যদি তা করে তবেই আবার নিজেদের সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
হাবাস আরও বলেন, “আমাদের পুরো ৯০ মিনিট একই তীব্রতার সাথে খেলতে হবে। আমরা ৪৫ মিনিটের জন্য ভাল ফুটবল খেলতে পারি না এবং তারপরের ৪৫ মিনিটে গ্রিপ হারাতে পারি। আমাদের সমস্ত পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতামূলক থাকতে হবে।”
হাবাস তিরি’কে নিয়ে অস্পষ্টতা দূর করার তাগিদে বলেন, তিরির কোনও চোট নেই এবং তিনি শনিবারের ম্যাচে নির্বাচনে জন্য উপলব্ধ থাকবেন।
আইএসএলে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নামার আগে এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস চেন্নাইন এফসি টিমের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ সতর্ক সেটা হাবাসের কথায় পরিষ্কার।
বোজিদার বান্দোভিচের দল চলতি আইএসএলে তিন ম্যাচের পরেও অপরাজিত রয়েছে এবং বর্তমানে তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট রয়েছে। যদিও তাদের আক্রমণ একটি উদ্বেগের বিষয়, রক্ষণাত্মকভাবে তারা বেশ শক্ত ছিল কারণ তারা মাত্র একটি গোল করতে দিয়েছে। হাবাস এই স্ট্যাটাস সম্পর্কে সচেতন এবং মনে করে যে এটি মেরিনা মাচান্সের বিরুদ্ধে একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হবে।
শনিবারের ম্যাচ নিয়ে হাবাসের প্রতিক্রিয়া, “চেন্নাইন একটি খুব প্রতিযোগিতামূলক দল। তারা ভাল শারীরিক ফুটবল খেলে। এটি একটি কঠিন ম্যাচ হবে, কারণ তারা অনেক গোল হারাতে পারে না।”
<
p style=”text-align: justify;”>চেন্নাইনের কোচ বান্দোভিচ ম্যাচের আগে মেরিনার্সদের সম্মান দিতে গিয়ে বলেছেন, “এটিকে মোহনবাগান লিগের অন্যতম সেরা দল। আপনার তাদের সম্মান করা দরকার। তারা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক।”
]]>উল্লেখ্য বেশ কিছুদিন আগেই পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি ট্রেনে রেলসেবিকা রাখার বিষয়টি চালু হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তে ভালরকম সাড়া মেলায় এবার দেশের সব প্রিমিয়াম ট্রেনেই (Premium Train) রেলসেবিকা নিয়োগ করতে চলেছে আইআরসিটিসি (IRCTC)।
এতদিন বন্দেভারত, তেজস-এর মত ট্রেনে বিমান সেবিকাদের মত রেলসেবিকা নিয়োগ করেছিল আইআরসিটিসি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, শতাব্দী, গতিমান এক্সপ্রেসের মত স্বল্প দূরত্বের ট্রেনে দিনের বেলা রেলসেবিকারা কাজ করবেন। তবে রাতের ট্রেনে আপাতত রেলসেবিকারা থাকবেন না। পরিবর্তে রেলসেবক বা পুরুষ রেলকর্মীরা কাজ করবেন। সে কারণেই রাতের ট্রেনে বিশেষ করে রাজধানী, দূরন্তের মত প্রিমিয়াম ট্রেনে আপাতত রেলসেবিকা রাখা হচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে যে হবে না এমন সম্ভাবনার কথা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কবে থেকে স্বল্প দূরত্বের প্রিমিয়াম ট্রেনে রেলসেবিকারা কাজ শুরু করবেন সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি রেল কর্তৃপক্ষ।
প্রশ্ন হল এই রেলসেবিকাদের কাজ কি? আইআরসিটিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রেনে ওঠার আগেই যাত্রীদের স্বাগত জানাবেন রেলসেবিকারা। একই সঙ্গে ট্রেনে জল, খাবার ও যাত্রীদের অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পরিবেশন করবেন তাঁরা। যাত্রীদের কোনও অভাব অভিযোগ থাকলে সেটা তাঁরা শুনবেন। যাত্রীরা কোনও অনুরোধ করলে সেটা তাঁরা পালন করবেন। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ যাত্রীদের প্রতি তাঁরা বিশেষ নজরদারি চালাবেন। বর্তমানে দেশে ২৫টি প্রিমিয়াম ট্রেন চলে।
প্রতিটি ট্রেনেই রেলসেবিকা ও সেবক নিয়োগ করা হবে। মূলত যাদের এ ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা বা প্রশিক্ষণ রয়েছে তাঁদেরই নিয়োগ করা হবে। সম্প্রতি গোটা দেশে বেসরকারি উদ্যোগে ৭৫টি বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সবকটি বন্দেভারত এক্সপ্রেসেই রেলসেবিকাদের দেখা যাবে। দেশের প্রতিটি ট্রেনেই রেলসেবিকাদের পোশাকও একই হবে বলে রেল বোর্ড জানিয়েছে।
]]>১৯ জানুয়ারি থেকে সিরিজ শুরু হওয়ার কারণে ওয়ানডে স্কোয়াড পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। ওয়ানডে ফর্ম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। টানা ১২ বার ব্যর্থতার পর সহ-অধিনায়ক থাকা রাহানের পক্ষে কঠিন। এই কারণেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মুম্বই টেস্টে ফিটনেসের কারণ দেখিয়ে তাকে বাইরে রাখা হয়েছিল। সম্ভাবনা রয়েছে রোহিত শর্মার কাঁধে চাপানো হতে পারে সহ অধিনায়কের দায়িত্ব।
প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে সফরে ইশান্ত শর্মা আন্তজার্তিক ক্রিকেটে শতাধিক টেস্ট ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে কিন্তু ইশান্ত দীর্ঘদিন ধরেই ফর্মে নেই। জসপ্রিত বুমরাহ, মহম্মদ সামি এবং উমেশ যাদবের সাথে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ও আভেস খান সুযোগ পেতে পারেন। মিডল অর্ডারে থাকতে পারেন শ্রেয়স আইয়ার, শুভমান গিল এবং হনুমা বিহারী।
প্রসঙ্গত, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ৩ টেস্ট ম্যাচের সিরিজ হবে। এর পর ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও খেলা হবে। ইতিমধ্যেই ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
২৬ ডিসেম্বর থেকে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে নামবে। তবে টি টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে এখনও কোনও স্থির সিদ্ধান্তের খবর আসেনি, কেননা প্রোটিয়ার্সদের বিরুদ্ধে পূর্ব নির্ধারিত সিরিজে কাটছাঁট করা হয়েছে ‘ওমিক্রন’ ভাইরাসের উদ্বেগজনক বৃদ্ধি লক্ষ্য করে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, কোভিড-১৯ ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত দেখে সিরিজে স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রবেশের ওপরেও নিষেদ্ধাঞ্জা আরোপ হতে পারে, জমায়েত এড়ানোর জন্য কোভিড প্রটোকল মেনে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের জন্য ভারতের সম্ভাব্য দল:
বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে, শ্রেয়স আইয়ার, ঋষভ পহ্ন (উইকেটরক্ষক), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, জসপ্রিত বুমরাহ, মহম্মদ সামি, মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রিত বুমরাহ, উমেশ যাদব,প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা , আভেস খান/দীপক চাহার, ঋদ্ধিমান সাহা, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, শুভমান গিল, হনুমা বিহারী, অভিমন্যু ইশ্বরন/প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল, জয়ন্ত যাদব।
এই দুই ক্রিকেটারের আয় কোটি টাকা। কিন্তু খুব কম লোকই জানেন যে, কোটি টাকা আয় করা এই ক্রিকেটারেরা সরকারি চাকরিও (government jobs) করেন। শুধু তাইই নয়, আরও কিছু খেলোয়াড় আছে, যারা তাদের খেলার পাশাপাশি এই সরকারি কর্মী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের ওই সমস্ত খেলোয়াড়দের নিয়ে অজানা কিছু তথ্য তুলে ধরছি৷

Yuzvendra Chahal
খুব অল্প সময়েই যুজবেন্দ্র চাহাল (Yuzvendra Chahal) বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের একটা বড় নাম করে নিয়েছেন। নিজের স্পিনের জাদুতে চাহাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন। তবে খুব কম লোকই জানেন যে, এই পরিচয় ছাড়াও চাহাল আয়কর বিভাগে ইন্সপেক্টর পদে রয়েছেন।

Umesh Yadav
উমেশ যাদব (Umesh Yadav) আন্তজার্তিক ক্রিকেটে অনেকবার টিম ইন্ডিয়াকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যদিও ছোটবেলা থেকেই উমেশের ইচ্ছে ছিল পুলিশ অথবা আর্মিতে চাকরি করার৷ কিন্তু তা হতে পারেনি। যদিও তাকে ২০১৭ সালে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে সহকারী ম্যানেজার পদ চাকরি দেওয়া হয়েছিল।

Kapil Dev
ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব (Kapil dev)। এই অলরাউন্ডারের এতবড় অবদানের কারণে তাঁকে ২০০৮ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেলের পদ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও কপিল দেবকে ২০১৮ সালে হরিয়ানা স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর হিসাবেও নিযুক্ত করা হয়েছিল।

Joginder Sharma
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল৷ ওই চ্যাম্পিয়নশিপে যোগিন্দর শর্মা (Joginder Sharma) শেষ ওভার করেছিলেন এবং দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন। তবে তিনি বেশি দিন ভারতীয় দলের অংশ হয়ে থাকতে পারেননি এবং বাদ পড়েছিলেন স্কোয়াড থেকে। কিন্তু এখন যোগিন্দর হরিয়ানা পুলিশের ডিএসপি পদে কর্মরত।

Harbhajan Singh
টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সফল স্পিন বোলারদের তালিকায় হরভজন সিং (Harbhajan Singh) এর নাম আসবে। ভাজ্জি টেস্টে ৭০০ টিরও বেশি উইকেট নিয়েছেন এবং এই অবদানের জন্য তাঁকে পাঞ্জাব পুলিশে ডিএসপি করা হয়েছে।

Harbhajan Singh
বিশ্বের সফলতম ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথমেই উঠে আসে সচিন তেন্ডুলকারের (Sachin Tendulkar) নাম। সচিনকে তার সাফল্যের জন্য ভারতীয় বায়ুসেনা সম্মানিত করে এবং ২০১০ সালে সচিনকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন করা হয়েছিল।

Lt. Col. MS Dhoni
টিম ইন্ডিয়ার সবচেয়ে সফল অধিনায়ক এমএস ধোনি (Lt. Col. MS Dhoni) ছোটবেলা থেকেই সেনাবাহিনীতে যেতে চেয়েছিলেন৷ ভারতীয় ক্রিকেট দলকে আন্তজার্তিক ক্রিকেটের শিখরে নিয়ে যাওয়ার পরে ধোনির স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। ২০১৫ সালে ধোনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসাবে নিযুক্ত হন। অবসর সময়ে প্রায়শই ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে সময় কাটাতে এবং কমব্যাট মুভমেন্টে দেখা যায় মাহিকে।
]]>Sports authority of India(SAI) ভারতীয় প্যারা সাঁতারু নিরঞ্জন মুকুন্দনের এই সাফল্যের প্রেক্ষিতে টুইট পোস্ট করে অভিনন্দন বার্তায় লিখেছে,”#Tokyo2020 প্যারালিম্পিয়ান @SwimmerNiranjan
কে ক্রোয়েশিয়ান আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপ 2021-এ 6⃣
1⃣
জয়ের জন্য অনেক অভিনন্দন 
গতি বজায় রাখুন!
#Praise4Para #সাঁতার
: নিরঞ্জন।”
SAI’র করা টুইটের রিপ্লাইতে এম শিব শঙ্করের রিটুইট পোস্ট,”আমরা গর্বিত নিরঞ্জন!!!”
একইভাবে শিবম শর্মার রিটুইট পোস্ট,”অভিনন্দন! 
”
ভারতীয় প্যারালিম্পিয়ান সাঁতারু নিরঞ্জন মুকুন্দন নিজের টুইটার হ্যাণ্ডেলে টুইট পোস্টে লিখেছে,”ক্রোয়েশিয়ান আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপে 6 স্বর্ণ এবং 1 ব্রোঞ্জ সহ 2021 সালের আমার শেষ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা শেষ করছি।
ব্যস্ত বছর এগিয়ে কিন্তু এখন বিশ্রাম এবং রিচার্জ করার সময়।
#টিমইন্ডিয়া।”
এই টুর্নামেন্টের আগে নিরঞ্জন মুকুন্দন শীতকালীন পোলিস ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপের ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে নিজের রেকর্ড ভেঙে ৩ ব্রোঞ্জ পদক ভারতের ঝুলিতে তুলে দিয়েছিলেন। এই টুর্নামেন্টের সাফল্যের পর প্যারালিম্পিয়ান ভারতীয় সাঁতারু নিরঞ্জন টুইট পোস্টে জানিয়েছিলেন,”শীতকালীন পোলিস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২১ ৩টি ব্রোঞ্জ মেডেল (১টি জাতীয় রেকর্ড, ২টি মরসুমের সেরা সময়) শেষ করেছি৷ দুর্দান্ত রেস এবং আশ্চর্যজনক সময়!
।” একই সঙ্গে এই টুর্নামেন্টের ৫০ মিটার ব্লাটার ফ্লাই ইভেন্টে নিরঞ্জন মুকুন্দন ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছিলেন।
স্পাইনা বিফিডা রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করা, একটি অনুন্নত মেরুদণ্ড নিরঞ্জন মুকুন্দনের নড়াচড়ায় বাধা সৃষ্টি করে। কারণ ৫ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁর নীচের শরীর অবশ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু একবার জলে গেলে নিরঞ্জন অজেয়। ধীর-অবিচলিত প্রশিক্ষণ এবং অটল সংকল্পের মাধ্যমে নিরঞ্জন খেলায় উন্নতি করেন এবং একজন প্যারা-অ্যাথলিট হতে শুরু করেন। শারিরীক প্রতিবদ্ধকতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মাত্র ৯ বছর বয়সে নিরঞ্জন মুম্বইতে জাতীয় পর্যায়ের মিটে রুপোর পদক জিতেছিলেন। একবার জয়ের স্বাদ পেতেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন প্যারা সাঁতারু নিরঞ্জন মুকুন্দন।
]]>ভারতের ক্রিকেট ভক্তরা শুধু অসন্তুষ্টির মধ্যে নিজেদের বেধে না রেখে ভারতীয় আম্পায়ারদের আন্তজার্তিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করার যোগ্যতা এবং দক্ষতার প্রশ্নে একগাছা প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে(বিসিসিআই)। যা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এখন জর্জরিত।
টসে জিতে ভারত ব্যাটিং’র সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম ইনিংসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাহাতি অর্থোডক্স স্পিনার আজাজ প্যাটেল শুভমান গিল, চেতেশ্বর পূজারার উইকেট নেয়। ৩০ তম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে এলবিডব্লু’তে আউটের কল করে, স্ট্যান্ডিং আম্পায়ার অনিল চৌধুরীর উদ্দেশ্যে। অনিল চৌধুরী আজাজের আপিল গ্রহণ করে আউটের সিদ্ধান্ত আঙুল তুলে দেখিয়ে দিতেই কিউই ক্রিকেটারেরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে,সঙ্গে স্পিনার আজাজ প্যাটেলকে শাবাশি দিতে থাকে।
আম্পায়ার অনিল চৌধুরীর আউট দেওয়ার সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে পড়েন ভারত অধিনায়ক তথা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। কোহলি রিভিউ’র সিদ্ধান্ত নেয়। তৃতীয় আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মা রিপ্লেতে বেশ কয়েক ভিডিও শুট দেখতে থাকেন বিরাট কোহলির রিভিউ ইস্যুতে।
বেশ কয়েকটি রিপ্লে দেখে ম্যাচের তৃতীয় আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মা সিদ্ধান্তে আসেন মাঠের স্ট্যান্ডিং আম্পায়ার অনিল চৌধুরীর আউটের সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য তার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। তিনি বলেন,”বল,ব্যাট এবং প্যাড একসাথে আছে বলে মনে হচ্ছে। এটাকে উল্টে দেওয়ার মতো কোনও চূড়ান্ত প্রমাণ আমার কাছে নেই।”
“বেনিফিট অফ ডাউট” গ্রাউন্ডে স্ট্যান্ডিং আম্পায়ার অনিল চৌধুরীর আউটের সিদ্ধান্তই কার্যকরী হয় তৃতীয় আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মার রিপ্লে দেখে বিরাট কোহলির রিভিউ ইস্যুতে।
শেষমেশ রানের খাতা না খুলেই ক্রিজ ছাড়ার সময়ে বিরাট কোহলি এবং স্ট্যান্ডিং আম্পায়ার অনিল চৌধুরীর মধ্যে ক্ষণিকের বাকযুদ্ধ প্রকাশ্যে আসে।
আউটের সিদ্ধান্তে প্যাভিলিয়নে ফেরার পিথে বিরাট কোহলি হতাশা থেকে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে মাথা নাড়াতে নাড়াতে প্যাভিলিয়নের পথে এগিয়ে যেতে থাকেন। এমনকি বাউন্ডারি লাইনে ব্যাট দিয়ে চরম হতাশায় হিট করতে দেখা যায় ক্যাপ্টেন কোহলিকে। প্যাভিলিয়নে হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড়ের পিছনে দাঁড়িয়েও “বিরাট” হতাশা চেপে রাখতে না পেরে ক্যাপ্টেন কোহলি আউটের সিদ্ধান্তকে কোনও মতেই মেনে নিতে না পারার প্রতিক্রিয়াতে মাথার চুলে হাত বোলাতে বোলাতে মাথা নাড়তে থাকেন। রাহুল দ্রাবিড় ওই মুহুর্তে পুরো ফোকাসড অন ফ্লিডে, চোয়াল শক্ত, গম্ভীর, টেনশনের ছাপ পরিষ্কার ধরা পড়ে টিভি ক্যামেরায়।
ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির আউটের গোটা প্রক্রিয়া এবং কোহলির বিরাট প্রতিক্রিয়া টিভির পর্দায় ভেসে উঠতেই ক্ষোভ আর অসন্তুষ্টির অগ্নুৎপাত ঘটে দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে।
টুইটারে দেশের ক্রিকেট ভক্তরা বিসিসিআই’কে নিশানা করে ভারতীয় আম্পায়ারদের আন্তজার্তিক ক্রিকেটে বিশেষত ঘরের মাঠে আম্পায়ারিং করার যোগ্যতা এবং দক্ষতার প্রশ্নে একগাছা প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সাহিন মণ্ডলের টুইট, “আম্পায়ার যদি প্রথমে ব্যাট করার ব্যাপারে নিশ্চিত না হন (অনির্ণয়) তাহলে কেন ধরে নিতে হবে যে এটি প্রথমে প্যাড? এটা কতটা অযৌক্তিক বোকা মতামত.. বোলটি প্রথমে প্যাডে আঘাত না করা পর্যন্ত কাউকে এলবিডব্লিউ আউট করার অধিকার কারো নেই..
সিরিজে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ বিরক্ত।”
সাহিন মণ্ডলের টুইটের প্রতিক্রিয়াতে ভিন্নু শাহ’র রিটুইট,
“হ্যাঁ…! আম্পায়ারদের সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত..! আইনানুযায়ী সিদ্ধান্ত বলা নিয়ে সন্দেহ ছিল এবং বল ব্যাটে বা প্যাডে লেগেছে বলে কোনো প্রমাণ নেই..!!! সুবিধা শুধু ব্যাটসম্যানদেরই যায়..!!!! আম্পায়াররা শুনে সত্যিই বোকা ছিলেন 
।”
দিগন্তনীল গিরির এই নিয়ে টুইট পোস্ট, “এটা পরিষ্কার নয় আউট.
অনিল চৌধুরী এবং বীরেন্দ্র শর্মার মতো এই গুড ফর নাথিং আম্পায়ারদের থেকে মুক্তি পান এবং কিছু উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আম্পায়ার পান।
আমরা ঈশ্বরের জন্য একটি WTC খেলছি। এবং এটি আম্পায়ারিংয়ের মান? দিনের পর দিন এটি একই পদ্ধতিতে চলছে।
চরম অপমান
।”
দিগন্তনীল গিরি এও টুইট পোস্টে লিখেছেন, “এই আম্পায়াররা ঘরোয়া ক্রিকেটে থাকুক। নিতিন মেনন ছাড়া আর কেউ মানসম্পন্ন নয়।
হোম টেস্ট ম্যাচের জন্য মানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার পান। খেলোয়াড়রা বায়ো বাবোলে থাকতে পারলে আম্পায়ার কেন পারবে না?
আম্পায়ারিং এর এই শিট শো আর মেনে নেওয়া যায় না।
।”
সৌম্য দাশগুপ্ত টুইট পোস্ট এই ইস্যুতে, “প্রথম টেস্টে গ্রাউন্ড আম্পায়ারিংয়ে অনেক ভুল, এখন দ্বিতীয় টেস্টে আরেকবার আরেক ভুল করলেন তৃতীয় আম্পায়ার।”
SPEARS’র টুইট পোস্ট, “ব্যাটের সংস্পর্শে আসার পর বলের সীম স্পষ্টভাবে নড়বড়ে হয়ে যায়, সীমে একটি সুনির্দিষ্ট পরিবর্তন ছিল এবং এটি কেবল তখনই ঘটতে পারে যদি এটি প্রথমে প্রান্তটি নেয়। এই বৃদ্ধ আম্পায়ারদের বরখাস্ত করার সময় এসেছে।”
আম্পায়ারিং’র মান তুলে নেহা শর্মার খোঁচা দেওয়া টুইট, “এমনকি গলি ক্রিকেট আম্পায়াররাও বীরেন্দ্র শর্মার চেয়ে ভালো।
”
এ
ই ইস্যুতে মহসিন খান এমকেডি’র ঝাঁঝালো টুইট পোস্ট
“নট আউট হ্যায় আন্ধে(অন্ধ,চোখে দেখতে পায়না)”।
রিহা বিসিসিআইকে নিশানা করে বিরাট কোহলির আউট ইস্যুতে টুইটে তির্যক পোস্ট, “ধনী বোর্ড এই কারণে।”
সব মিলিয়ে বিসিসিআই নিজেদের টুইটার হ্যাণ্ডেলে সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে বিরাট কোহলির আউট নিয়ে গোটা প্রক্রিয়াকে পোস্ট করতেই ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা ভারতের আম্পায়ারদের মান এবং বিসিসিআই’কে নিশানা করে তুলোধোনা করার পাশাপাশি, ছি: ছি: ছি: করছে।
শ্রীকান্ত প্রথম গেমটি জিতেছিল, কিন্তু প্রণয় একটি দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করে দ্বিতীয় গেমে। টানটান উত্তেজনায় তৃতীয় গেম শুরু হয় দুই ভারতীয় শাটলার মুখোমুখি হয়ে, শেষে ম্যাচটি তৃতীয় এবং সিদ্ধান্তমূলক খেলায় চূড়ান্ত ফলাফলে আসে। শ্রীকান্ত অবশ্য তৃতীয় গেমে হাল ছাড়েননি এবং বাউন্সব্যাক করে ফিরে আসে। এবং তৃতীয় ও শেষ গেমে এইচএস প্রণয়ের বিরুদ্ধে জিতে টুর্নামেন্টের শেষ ১৬’র যোগ্যতা অর্জন করে।
দুইবারের অলিম্পিক পদক বিজয়ী এবং ভারতীয় তারকা শাটলার পিভি সিন্ধুও বুধবার ইন্দোনেশিয়া ওপেনের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে প্রবেশ করেছেন। ভারতীয় শাটলার 17-21, 21-17, 21-17 কোর্টে 70 মিনিটের খেলায় জাপানের আয়া ওহোরিকে পরাজিত করেন।
INTO THE PRE QUARTERS
In an all
encounter @srikidambi got the better of compatriot @PRANNOYHSPRI 21-15, 19-21, 21-12 in the R32 and entered the last 16 at #IndonesiaOpen2021
: Badminton Photo#IndiaontheRise#Badminton pic.twitter.com/4aYHYeJrmq
— BAI Media (@BAI_Media) November 24, 2021
সিন্ধু প্রথম গেমে হেরে গিয়েছিলেন 17-21। কিন্তু পরের দুটি গেমে সিন্ধু বাউন্সব্যাক করেন, ফলাফল 21-17, 21-17। দুরন্ত কামব্যাকের জোরে ভারতীয় শাটলার পিভি সিন্ধু ম্যাচে জয়ী হয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
ইতিমধ্যেই ধ্রুব কপিলা এবং এন সিকি রেড্ডির মিক্সড ডাবলস জুটি 21-12, 21-7’এ জাপানি জুটি কিয়োহেই ইয়ামাশিতা এবং নারু শিনোয়ার কাছে পরাজিত হয়েছে।
]]>ওই সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য বিপুল টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। মিডিয়াপার্টের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে সম্বিত বলেন, ওই সময় দেশের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। তাই কংগ্রেসের মুখে রাফাল নিয়ে দুর্নীতির কথা শোভা পায় না। এখন দেখা যাচ্ছে রাফাল নিয়ে যা দুর্নীতি হয়েছে সেটা কংগ্রেস আমলেই হয়েছে। ফরাসি পোর্টাল মিডিয়াপার্টের (mediapart) রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই রে রে করে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি।
মঙ্গলবার দিল্লিতে (delhi) দলের সদর দফতরে সম্বিত (sambit patra) বলেন, গোটা দেশ দেখেছে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস রাফাল দুর্নীতি নিয়ে কত মিথ্যা কথা বলেছে। ভোটের রাজনীতি করতে কংগ্রেস-বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক কুৎসা রটিয়েছে। ওরা ভেবেছিল এই প্রচারে ওরা রাজনৈতিক সুফল পাবে। কিন্তু দেশবাসী ওদেরকে শাস্তি দিয়েছে। এবার ফ্রান্সের একটি নিউজ পোর্টাল রাফাল নিয়ে প্রকৃত সত্যটা সামনে এনেছে।
ওই সংবাদমাধ্যম রীতিমতো রশিদ প্রকাশ করে বলেছে, রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে সুষেন গুপ্তা (susen gupta)নামে একজনকে বিপুল টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। সুষেনকে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। যার জন্য তৈরি করা হয়েছিল নকল রশিদ। সিবিআই ও ইডির তদন্তকারীদের হাতে সেই তথ্য থাকলেও তারা বিষয়টি নিয়ে আর এগোয়নি।
বিজেপি নেতা আরও বলেন, রাহুল গান্ধী সবই জানতেন। কারণ মনমোহন সিং (monmohan) প্রধানমন্ত্রী হলেও তাঁকে চালনা করতেন রাহুল ও সোনিয়া (rahul and sonia)। রাফাল দুর্নীতি নিয়ে সবকিছু জেনেও রাহুল বিজেপির বিরুদ্ধে কুৎসা করে গিয়েছিলেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। পরিকল্পনা করেই এই প্রচার চালিয়েছিলেন রাহুল। এটা ছিল কংগ্রেসের এক পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
]]>আন্তর্জাতিক ভর্তুকির সুবিধায় ভুটানে পেট্রোল ডিজেলের মূল্য ৮০ নু (Nu) ঘরে। এই নু অর্থাৎ নিউলট্রম। ভুটানি মুদ্রার নাম। ১ নু= ১ রুপি। এই মূল্যমান। সেই মান অনুসারে ভুটানে আশির চৌকাঠে রয়েছে পেট্রোল ও ডিজেল!
নেহরু আমল থেকে দুই দেশের মৈত্রী চুক্তি অনুসারে ভারত ও ভুটানের মধ্যে মুদ্রামান থাকে সমান। এই অবস্থায় ভারতীয়রা ভুটান থেকে পেট্রোল ডিজেল কিনলে অন্তত কুড়ি টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন। কিন্তু মাঝে আছে করোনা বিধি। হুটহাট করে আর সীমান্তের বিরাট ড্রাগন আঁকা ভুটান গেট পেরিয়ে প্রতিবেশি দেশে ঢুকে পেট্রোল ডিজেল কেনার উপায় নেই।

সোমবার সন্ধ্যায় ভুটানের জাতীয় সংবাদ সংস্থা সর্বশেষ জ্বালানি মূল্য তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিটার পিছু পেট্রোল ও ডিজেল মূল্য নজিরবিহীনভাবে সর্বাধিক। এই তালিকা অনুসারে ভুটানের চুখা জেলার সীমান্ত শহর ফুন্টশোলিংয়ে ১ লিটার পেট্রোলের দাম ৮৩.৯৮ নু এবং ডিজেল মূল্য লিটার পিছু ৮০.৯৩ নু।
ভুটান সরকারের তালিকায় এই দেশের হা শহরে সর্বাধিক পেট্রোল মূল্য লিটার পিছু ৮৭.২০ নু। আর ডিজেল মূল্য প্রতি লিটার ৮৩.৭২ নু। চিন সীমান্তের হা উপত্যকা থেকে বহু নিচে ভারতের জয়গাঁ শহরে লিটার পিছু পেট্রোল ও ডিজেল ১০০ রুপি পার করেছে অনেক আগেই।
ভারত ও ভুটানের মুদ্রা বিনিময় মূল্য সমান (১=১) হওয়ায় ভারতীয়রা ভুটানের সীমান্ত শহর ফুন্টশোলিং থেকে যে করেই হোক পেট্রোল,ডিজেল কিনতে মরিয়া। অভিযোগ, এই সুযোগে সীমান্তের দু পারেই গোপনে চলছে বেআইনি লেনদেন।
ভুটানের ফুন্টশোলিংয়ের উল্টোদিকে আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁ। দুটি শহর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বাণিজ্যিক আদান প্রদানের কেন্দ্র। গত দু বছর ধরে করোনা সংক্রমণের কারণে ভুটান অত্যন্ত কড়াকড়ি নিয়ম চালু করে। সেই কারনে আর হুট করে কেউ ভুটানের ফুন্টশোলিং শহরে ঢুকতে পারেন না।
<
p style=”text-align: justify;”>করোনা প্রদুর্ভাবের আগে জয়গাঁ ও নিকটবর্তী এলাকার বাসিন্দারা সস্তায় পেট্রোল ডিজেল কিনতে ভুটানেই ঢুকতেন। আপাতত তেমনটা হচ্ছে না।
]]>ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) আগেই বলেছিল যে তারা দলের জন্য একজন ভারতীয় কোচ নিয়োগ করতে ইচ্ছুক। ভারতের প্রাক্তন ওপেনার আকাশ চোপড়ার মতে, দ্রাবিড় দীর্ঘ সময়ের জন্য হেড কোচ হিসেবে থাকবেন। তিনি আরও মনে করেন যে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক একটি প্রক্রিয়া নিয়ে আসবেন এবং সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন টিম ইন্ডিয়ার সাফল্যের নীলনকশা।
আকাশ চোপড়া তার ইউটিউব শো ‘সুপার ওভার’এ বলেছেন,”তাহলে, ভারতীয় দলে কী আসবেন রাহুল দ্রাবিড়? আমি মনে করি তিনি একটি প্রক্রিয়া আনবেন। ভারতীয় দল ইতিমধ্যেই বেশ সফল। এটা এমন নয় যে তারা ভালো পারফর্ম করছে না। এই দলটি অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ভালো হয়েছে, এবং ইংল্যান্ডে ইংল্যান্ডকে হারানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।”
প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া অত্যন্ত জোরের সঙ্গে দাবি করে বলেছেন, “কিন্তু, রাহুল দ্রাবিড়ের সাথে, আমি আগামী পাঁচ বছরের জন্য একটি নীলনকশা দেখতে পাচ্ছি। তিনি কখনই স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে আসছেন না, তবে তিনি আগামী পাঁচ থেকে ১০ বছরের জন্য টিম ইন্ডিয়ার জন্য একটি নীলনকশা নিয়ে আসবেন।”
রাহুল দ্রাবিড় অনূর্ধ্ব-১৯’র পাশাপাশি জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি (এনসিএ) এর সাথে জড়িয়ে থেকে তাঁর কাজের জন্য প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছেন। চোপড়া মনে করেন, রোহিত শর্মা (সাদা বলের ক্রিকেটে) এবং বিরাট কোহলির (টেস্ট ক্রিকেটে) সঙ্গে দ্রাবিড় জুটিকে দেখাটা আকর্ষণীয় হবে।
আকাশ চোপড়া আত্মবিশ্বাসী ঢঙে বলেছেন ” আমরা ‘R’ এবং ‘R’-এর একটি জুটি দেখতে পাচ্ছি, রাহুল দ্রাবিড় এবং রোহিত শর্মা সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের জন্য এবং টেস্ট ক্রিকেটে কোহলির সাথে দ্রাবিড়। এটা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ হতে চলেছে। যদি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান কোচের পদের জন্য আবেদন করেন, অন্যান্য আবেদনগুলিও বিবেচনা করা হবে না। এটি এমন একটি প্রতিযোগিতা যেখানে অন্য কোন কোচ জিততে পারবেন না।”
]]>এই দল যদি গোটা দেশে ৩০ শতাংশ ভোট পায় তবে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির প্রাসঙ্গিকতা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। সম্প্রতি কেন্দ্রের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বিজেপির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ অনেক বেড়েছে। মোদির প্রতি মানুষ ক্ষুব্ধ। কিন্তু তাই বলে কেউ যদি ভাবেন, মানুষ মোদিকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে তা হবে না। বরং মোদি যদি পরাজিত হন তাতেও বিজেপির প্রাসঙ্গিকতা এতটুকু কমবে না। বৃহস্পতিবার গোয়ায় বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর।
প্রশান্ত স্পষ্ট বলেছেন ঠিক যেভাবে বিগত ৪০ বছর কংগ্রেস দেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু ছিল বিজেপি ও তেমনই আগামী কয়েক দশক দেশের রাজনীতির মূল আকর্ষণ হিসাবে থেকে যাবে। অর্থাৎ বিরোধী দলগুলিকে লড়তে হবে বিজেপির সঙ্গেই।
একই সঙ্গে প্রশান্ত এদিন কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধীর সমালোচনাও করেছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, রাহুল গান্ধী বিজেপিকে নিয়ে যে মূল্যায়ন করেছিলেন সেটা ছিল ভুলে ভরা। রাহুল মনে করেছিলেন, তাঁকে কিছুই করতে হবে না। সাধারণ মানুষ বিজেপিকে ছুড়ে ফেলে দেবে। এটা যে ভুল ছিল সেটা তো ২০১৯- এর লোকসভা নির্বাচনেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। রাহুল বোঝার চেষ্টাই করলেন না, মোদি কেন এত জনপ্রিয়। মোদির শক্তি এবং দুর্বলতা কোথায়। যতদিন না মোদি সম্পর্কে রাহুল সঠিক বিশ্লেষণ করবেন ততদিন তিনি মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করার জায়গায় পৌঁছতে পারবেন না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজনীতির আঙিনায় প্রশান্ত কিশোর বিজেপির তীব্র বিরোধী। কিন্তু এই মন্তব্যের ক্ষেত্রে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে তাঁর চরম পেশাদারিত্ব। স্বাভাবিকভাবেই দেশের সেরা ভোট কুশলীর এই মন্তব্যে রাজনীতিতে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে গোয়ায় রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছেন। এদিনই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ায় পৌঁছেছেন। ঠিক সেদিনই প্রশান্তর এই মন্তব্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পিকের এদিনের মন্তব্য নিয়ে যথারীতি বিজেপি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। গেরুয়া নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি সম্পর্কে পিকে যে মন্তব্য করেছেন সেটা একজন পেশাদার মানুষ হিসেবেই তিনি বলেছেন। পিকে যদি এই কথা না বলতেন তাহলও এটাই প্রকৃত বাস্তব। ভারতীয় রাজনীতির গতি-প্রকৃতি আগামী পাঁচ দশক যে বিজেপি দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হবে এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তাই বিজেপিকে অপ্রাসঙ্গিক করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এদিন এই বাস্তব চিত্রটাই মেনে নিয়েছেন পিকে।
একই সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, গণতন্ত্রে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় কংগ্রেস প্রতিদিনই দুর্বল হয়ে পড়ছে। বিজেপি চায়, শক্তিশালী গণতন্ত্রিক পরিকাঠামো গঠনের জন্য একটা মজবুত বিরোধীদল থাকুক। কিন্তু দেশে এই মুহূর্তে কোনও শক্তিশালী বিরোধী দল নেই। এটা দেশের পক্ষে আদৌ মঙ্গলের নয়।
বিজেপির এই সাফল্যের অন্যতম কারণ বিরোধী দলের দুর্বলতা বলে জানিয়েছেন প্রশান্ত। তিনি বলেছেন, বিরোধী শিবিরের ভোট ভাগাভাগি কারণেই বিজেপি নির্বাচনী ময়দানে ফায়দা লুটছে। স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, এই মুহূর্তে লড়াইটা চলছে দুই-তৃতীয়াংশের সঙ্গে এক-তৃতীয়াংশের। দেশের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট একাধিক দলের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। কংগ্রেসের প্রভাব কমার কারণেই আঞ্চলিক দলগুলি মাথাচাড়া দিয়েছে। এই আঞ্চলিক দলগুলি জাতীয় রাজনীতিতে তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। তাই বিজিপিকে টক্কর দিতে হলে কংগ্রেসকেই শক্তি অর্জন করতে হবে।
]]>“যেখানে প্রাপ্য সেখানে ক্রেডিট দিন। পাকিস্তান আজ ভালো খেলেছে। এটি একটি সম্পূর্ণ দলগত প্রচেষ্টা ছিল। ভারতের জন্য কিছুই হারায়নি এখনও এই ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় আছে।
#IndvPAK #T20WorldCup” এমন ভাবেই রবিবার টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ভারতের হারের মূল্যায়ন করে টুর্নামেন্টে প্রত্যাবর্তনের আশা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দীন।
পাকিস্তান ১০ উইকেটে জিতেছে,ভারতীয় বোলিং লাইন আপকে পিটিয়ে ক্লাব স্তরে নামিয়ে এনে। মহম্মদ রিজওয়ান ৫৫ বলে ৭৯ সঙ্গে বাবর আজম ৫২ বলে ৬৮ রান, দুই পাক ওপেনার অপরাজিত থেকে ম্যাচ ভারতের থেকে ছিনিয়ে জয় হাসিল করেছে তাইই নয়, নয়া ইতিহাস গড়ে তুলেছে।
বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের প্রথম জয় ভারতের বিরুদ্ধে অধিনায়ক বাবর আজমের নেতৃত্বতে,১২-১।তার আগে টসে জিতে পাকিস্তান বোলিং’র সিদ্ধান্ত নেয়। টিম ইন্ডিয়ার গর্বের ব্যাটিং লাইন আপ শাহিন আফ্রিদির ঝড়ের কবলে পড়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। তাই ‘দাদার’ কথা অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেল, বলতেই হচ্ছে,”পাকিস্তানও একটি ভালো দল। এক বা দুইজন খেলোয়াড় ক্লিক করলে যা কিছু ঘটতে পারে। “
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লজ্জার হার ভারতের,হতশ্রী পারফরম্যান্স, তীব্র সমালোচনার ঢেউ, এতকিছু সত্ত্বেও প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক আজহারউদ্দীন ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিরাটের ভারতকে। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট তথা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় টি-২০ বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বলেছিলেন, টিম ইন্ডিয়াকে বিশ্বকাপ জিততে হলে অনেক বেশি ‘ম্যাচিওর’ হতে হবে। বোর্ড প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য উঠে আসার পরেই টিম ইন্ডিয়ার মেন্টর হিসেবে এম এস ধোনির রিক্রুটমেন্ট হয়।
তাই মহম্মদ আজহারউদ্দীন ৩১ অক্টোবর, রবিবার নিউজিল্যান্ড ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার প্রত্যাবর্তনে বিশ্বাস রাখছেন তা অমূলক নয়। কেননা ‘দাদার’ মগজশাস্ত্রে ভরসা দেশের তামাম ক্রিকেট ভক্তদের।
]]>ভারতের বোলিং লাইন আপে ভুবনেশ্বর কুমার তিন ওভারে ২৫,শামি ৩.৫ ওভারে ৪৩, বুমরাহ তিন ওভারে ২২,বরুণ চক্রবর্তী চার ওভারে ৩৩, রবীন্দ্র জাডেজা ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়েছেন। ভারতীয় বোলিংকে ক্লাব স্তরে নামিয়ে আনে পাকিস্তানের ওপেনার জুটি রিজওয়ান-বাবর মিলে। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম আগেই বলেছিলেন,”ইতিহাসের মোড় ঘোড়াতে দল তৈরি।” ইতিহাসের স্রোত বাঁক নিল, বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারত ১৩ বার জয় পেয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, আর মরুদেশে বাবর আজমের পাকিস্তান টি-২০ নক আউটে স্টেজে বিরাট কোহলির ভারতের থেকে জয় ছিনিয়ে নিল।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম জুড়ে পাক সমর্থকরা ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের উল্লাসে আত্মহারা। গোটা পাকিস্তান দেশ জুড়ে উৎসবের আবহ। চলছে মিষ্টি মুখের পালা।
ওয়াসিম আক্রম প্রাক্তন পাক অধিনায়ক তথা কিংবদন্তী বোলার ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের পর সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন,”অবশেষে বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে হারের গ্লানি মুছে জয় আসলো। সবুজ ছেলেদের কী দারুণ জয়… “
]]>