কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাতে অনন্তনাগের (Annatanag) শ্রীগুফওয়ারা এলাকায় গুলির লড়াই শুরু হয়। সেই এনকাউন্টারে নিহত হয় এক জঙ্গি । উদ্ধার হয় বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র। যা দেখে গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, পর্যটনের মরসুমে ভূস্বর্গে বড়সড় নাশকতার ছক ছিল। নিহত জঙ্গির পরিচয় সামনে আসতে ঘুম উড়েছে যৌথবাহিনীর।
#AnantnagEncounterUpdate: Neutralised #terrorist identified as Faheem Bhat of Kadipora #Anantnag. He has recently joined #terror outfit ISJK and was involved in killing of Martyr ASI Mohd Ashraf, who was posted at PS Bijbehara: IGP Kashmir@JmuKmrPolice https://t.co/0zSnVKBufu
— Kashmir Zone Police (@KashmirPolice) December 25, 2021
জানা গিয়েছে, কাদিপোরা এলাকার বাসিন্দা ফাহিম কিছুদিন আগেই জঙ্গিি ইসলামিক স্টেটের শাখা সংগঠন ISJK-তে যোগ দিয়েছিল। সে আইএস-এর সদস্য। সম্প্রতি এক জঙ্গি হামলায় বিজবেহরা থানার জঙ্গি এএসআই মহম্মদ আশরাফ শহিদ হন। তাঁর মৃত্যুর পিছনে ফাহিমের হাত ছিল বলেই কাশ্মীরের পুলিশ দাবি করেছেন।
<
p style=”text-align: justify;”>এছাড়াও বড়দিনে কাশ্মীরে ৩টি আলাদা আলাদা এনকাউন্টারে মোট ৫ জঙ্গি খতম হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন আনসার গজওয়াত উল হিন্দের সদস্য। অন্য ২ জন লস্কর-ই-তইবার সদস্য।
]]>জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই গৌতম গম্ভীরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে একটি ই-মেল পাঠিয়েছে আইএস কাশ্মীর গোষ্ঠী ( IS kashmit)। আইএস কাশ্মীর গোষ্ঠী কাশ্মীর, কেরল, উত্তরপ্রদেশের (Utter Pradesh) মত কয়েকটি রাজ্যে যথেষ্ট সক্রিয়। জঙ্গিদের কাছ থেকে ইমেল মারফত প্রাণনাশের হুমকি পরই দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন গম্ভীর।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার শ্বেতা চৌহান জানিয়েছেন, আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর হুমকির প্রেক্ষিতে পূর্ব দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ গম্ভীরের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। তাঁর বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী। সাদা পোষাকের কিছু গোয়েন্দা কর্মীও গম্ভীরের বাড়ি ও তাঁর গতিবিধির ওপর নজর রাখছেন। এই হুমকির বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য কুখ্যাত আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের একটি শাখা সংগঠন আইএস কাশ্মীর। ইতিমধ্যেই এই সংগঠনটি কেরল এবং উত্তরপ্রদেশে ভালমতো প্রভাব বিস্তার করেছে। তবে আইএস কাশ্মীর গোষ্ঠীর একাধিক শীর্ষ কমান্ডারকে ইতিমধ্যেই খতম করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু তারপরও পুলিশ কোন ঝুঁকি নিতে চায় না। সেজন্য গম্ভীরের অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। কোথা থেকে ওই ই-,মেইল পাঠানো হয়েছিল, কে পাঠিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য ভারত ও পাকিস্তানের অধিকারে থাকা কাশ্মীরকে খিলাফতের অধীনে আনতে চায় আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী। খিলাফতের অধীনে কঠোর ইসলামিক আইন অনুসারে চলবে শাসন। খিলাফত শাসনে জাতীয়তাবাদের বা আবেগের কোনও জায়গা নেই। খিলাফত মানে শুধুই কঠোর ইসলামিক আইন। আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর লক্ষ্য হল যে কোনওভাবে ইসলামিক সাম্রাজ্যের পরিধি বাড়িয়ে তোলা।
]]>