জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী কেরলের এই চিত্র পরিচালক (flim director) বলেছেন, “আমার নিজের ধর্মের (relegion) প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছে। সদ্য প্রয়াত একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে এ ধরনের অশালীন মন্তব্য করা যায় তা আমি ভাবতেই পারছি না। সে কারণে আমি এবং আমার স্ত্রী মুসলিম ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” কিন্তু রাওয়াতের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্যের কারণে তিনি কেন নিজের ধর্ম ত্যাগ করছেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে আলি আকবর জানিয়েছেন, সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর পর শোক প্রকাশ করে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেই পোষ্টের নিচে অনেকেই মজার স্মাইলি দেন। কেউ কেউ অসম্মানজনক মন্তব্যও করেন। আকবরের দাবি, একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের এই অশালীন কাজটি করেছে। সে কারণেই তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
প্রতিবাদস্বরূপ আকবর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেন। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, নিজের ধর্মের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস চলে গিয়েছে। সে কারণেই তিনি এবং তাঁর স্ত্রী লাকিআম্মা মুসলিম ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন থেকে তিনি আর কোনও মুসলিম নন, তিনি একজন ভারতীয় নাগরিক। যারা দেশের ক্ষতিতে মজা পায়, আনন্দ করে তাদের জন্য আমার এটাই জবাব। একইসঙ্গে আকবর জানিয়েছেন, যারা এধরনের মন্তব্য করে মজা পাওয়ার চেষ্টা করেছেন তারা আসলে দেশদ্রোহী।
এই তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালক আরও জানিয়েছেন, তাঁর নতুন নাম হবে রামাসিমা। রামাসিমা এমন একজন মানুষ যিনি নিজের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচাতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। সে কারণেই তিনি এই নামটি বেছে নিয়েছেন। একই সঙ্গে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছেন এই চলচ্চিত্র পরিচালক। এই চলচ্চিত্র পরিচালক জানিয়েছেন, কোন ধর্মগুরু তাঁকে ধর্ম পরিবর্তন করার পরামর্শ দেননি। এটা নিতান্তই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী হিন্দু হলেও তার দুই মেয়েকে ধর্ম পরিবর্তনের কোনও পরামর্শ দেবেন না বলেও জানিয়েছেন আকবর ওরফে রামাসিমা। মেয়েরা নিজেদের ইচ্ছামত ধর্ম বেছে নিতে পারে বলে পরিচালক জানান।
]]>এনডিটিভি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ভোপালের ইসলাম নগর এলাকায় ওই মহিলা আর একজনের বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন। স্থানীয় কয়েকজন তাদের আটকে জানতে চান, ওই মহিলা কি আদৌ মুসলমান? বারবার মহিলা দাবি করেন তিনি মুসলমান।
ভিডিওতে স্পষ্ট উঠে এসেছে, যুবকরা বলছেন, মহিলা আদৌ তাঁদের ধর্মাবলম্বী নয়। বাদানুবাদের মাঝে মহিলাকে জবরদস্তি বোরখা খুলতে বাধ্য করা হয়। প্রকাশ্যেই মহিলা বোরখা খুলে দিতে বাধ্য হন। এরপর তাঁর মুখ থেকে হিজাবের অংশটি খুলতে বলা হয়। মহিলা রাজি হননি। তখন শুরু হয় ধমক। একসময় মহিলা কেঁদে ফেলেন।
A girl was forced to remove her burkha as the people suspected that the man on whose scooter she was riding pillion was a Hindu, in Islam Nagar, Bhopal on Saturday afternoon @ndtv @ndtvindia pic.twitter.com/66QPE5OJax
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) October 16, 2021
এনডিটিভি আরও জানাচ্ছে,স্থানীয় কয়েকজন মহিলা এসে বাইক আরোহী মহিলারা সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। এই ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করেছে। অভিযোগ, ভোপালের ইসলাম নগর এলাকার কয়েকজন যুবক দাবি করেন, ওই মহিলা বোরখা পরে তাদের ধর্মকে অপমান করছেন। ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে সেকথা। মহিলার সঙ্গী বাইক চালক বারবার বলছেন যে তারা মুসলমান। তবে তাঁর কথা শুনছেন না ঘেরাওকারীরা। অভিযোগ, নীতি পুলিশের দাপট চলছে এমনই। তবে এই ঘটনায় কোনও পুলিশি অভিযোগ হয়নি।
]]>অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুকে “ধর্ষকের কাছে নারীর কোন ধর্ম নাই” শিরোনামে লেখা একটি পোস্টে তসলিমা নাসরিন ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন। তার সেই লেখা উইমেন চ্যাপ্টার নামে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালায় বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। তাদের দেওয়া চার্জশিটে তসলিমা নাসরিনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। বিতর্কিত বই লেখার অভিযোগে দীর্ঘ কয়েক দশক বাংলাদেশে আর থাকেননা তসলিমা। ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। এখন তিনি ভারতে আছেন।
বিবিসি জানাচ্ছে, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তসলিমার বিরুদ্ধে যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তাতে আরও দুজনের নাম আছে। এরা হলেন, হলেন উইমেনচ্যাপ্টার ওয়েবসাইট সম্পাদক সুপ্রীতি ধর এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুচিস্মিতা সিমন্তী।
বিভিন্ন মিথ্যা কাহিনী তৈরি ও ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিপ্রায়ে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তিনজনের বিরুদ্ধে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজমুল নিশাত জানিয়েছেন, তদন্ত করে আমরা তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছি।
]]>