Jagadish Chandra Bose – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Tue, 30 Nov 2021 08:23:19 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Jagadish Chandra Bose – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Bose Institute: জন্মদিনেই বসু বিজ্ঞান মন্দির স্থাপন করেন জগদীশচন্দ্র https://ekolkata24.com/offbeat-news/jagadish-chandra-bose-established-the-bose-institute-on-his-birthday Tue, 30 Nov 2021 08:23:19 +0000 https://ekolkata24.com/?p=12856 বিশেষ প্রতিবেদন, কলকাতা: আজ বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর  (Jagadish Chandra Bose) ১৬৩ তম জন্মদিবস। এই দিনটিতেই উনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ওঁর সাধের প্রতিষ্ঠান বোস ইনস্টিটিউট (Bose Institute)। যাকে সবাই ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ বলেই চেনেন। ১৯১৭ সালের ৩০ নভেম্বর জগদীশ চন্দ্র বসুর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠিত হয়। সেদিন ছিল জগদীশ চন্দ্র বসুর ৫৯ তম জন্মদিন ৷

যাকে ‘আমার প্রিয় মা’ বলে সম্বোধন করতেন সেই ওলি সারা বুল ও ভগিনী নিবেদিতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাহায্য ছাড়া তার এই স্বপ্ন সফল হতো না। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর অবশ্যই আচার্য বসুর পত্নী লেডি অবলা বসু। বসু বিজ্ঞান মন্দির ভবনের নকশা তৈরি করেছিলেন অবনীনাথ মিত্র ৷ বসু বিজ্ঞান মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে কলকাতার জনসমাজে অভূতপূর্ব সাড়া পড়েছিল ৷ শহরের প্রায় ১৫০০ গন্যমান্য ব্যক্তিরা নিমন্ত্রিত হয়ে উদ্বোধন সভায় সমবেত হয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ বসু বিজ্ঞান মন্দির-এর মধ্য দিয়ে সমস্ত দেশের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন দেখতে পেয়েছিলেন ৷ বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় কবিগুরু ছিলেন আমেরিকায় ৷ শত ব্যস্ততার মাঝে উদ্বোধনী সঙ্গীত লিখে পাঠিয়েছিলেন ৷ সেই বিখ্যাত সঙ্গীতটিই হল ‘মাতৃমন্দির পুন্য অঙ্গন কর মহোজ্জ্বল আজ হে ৷ শুভ শঙ্খ বাজ হে বাজ হে’৷ এই গানটি সমবেত কণ্ঠে গেয়েছিলেন শান্তিনিকেতনের একদল ছাত্র-ছাত্রী দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে । ১৯১৫ সালে জগদীশচন্দ্র প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অবসর নেবার পর বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার কাজে উদ্যোগী হন। তৎকালীন ৯৩/১ আপার সার্কুলার রোডে বর্তমানে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোডে অবস্থিত এই ভবনটি বাংলা তথা ভারতের বিজ্ঞান সাধনার ক্ষেত্রে পথিকৃত হয়ে আছে।

এখানে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংগ্রহশালা আছে। রেডিও গবেষণায় জগদীশচন্দ্র বসু-র অবদান উল্লেখযোগ্য। ১৮৯৫ সালে তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ বা মিলিমিটার ওয়েভ আবিষ্কার করেন। কোন তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা প্রেরণ করে দেখান। তিনিই সর্বপ্রথম রেডিও তরঙ্গ শনাক্ত করতে সেমিকন্ডাক্টর জাংশন ব্যবহার করেন। এখনকার সময়ে ব্যবহৃত অনেক মাইক্রোওয়েভ যন্ত্রাংশও তিনি আবিষ্কার করেন। বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ তথ্যের আদান প্রদান ঘটে মূলত এই ওয়েভের মাধ্যমেই।

এছাড়াও ১৯০১ সালে তার যুগান্তকারী গবেষণায় তিনি প্রমাণ করেন যে উদ্ভিদও প্রাণীর মতো বাহ্যিক প্রভাবকের প্রভাবে সাড়া দিতে সক্ষম। উদ্ভিদও যে শব্দ, তাপ, শীত, আলো ও অন্যান্য বাহ্যিক উদ্দীপনায় সাড়া দিতে পারে তা তিনি প্রমাণ করেছিলেন ক্রিস্কোগ্রাফ নামক বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে। এই যন্ত্রটির বিশেষত্ব হল, এটি বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদে উৎপন্ন উদ্দীপনাকে রেকর্ড করতে পারে। বোস ইন্সটিউট বা বসু বিজ্ঞান মন্দিরের সংগ্রহশালায় এই সমস্ত যন্ত্র যত্ন সহকারে রাখা আছে।

এইসব যন্ত্রপাতি ও তাঁর ব্যবহৃত অনেক জিনিস বসু বিজ্ঞান মন্দিরের সংগ্রহশালায় রক্ষিত আছে। ভারতের গৌরব ও কল্যান কামনায় তার নিজের হাতে লেখার উজ্বল স্মৃতি – চিহ্নটি এখনও বিদ্যমান।

]]>