মঙ্গলবার আফগানি মহিলারা বিক্ষোভ থেকে দাবি তুলেছেন আমরা ক্ষুদার্থ আমারা শরিয়তি ধর্মীয় আইন নিয়ে ক্নান্ত। আমরা খেতে চাই। বিক্ষোভ বড় আকার নেয় বলেই জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলি। এমননকি তালিবান জঙ্গিদের সরকার নিয়ন্ত্রিত আফগান টিভি চ্যানেলগুলিতে বিক্ষোভের খবর সম্প্রচার করা হয়।
ভয়েস অফ আমেরিকা জানাচ্ছে,কাবুলে তালিবান নিরাপত্তা বাহিনী মঙ্গলবার প্রতিবাদরত মহিলাদের ছত্রভঙ্গ করতে হুঁশিয়ারি দিয়ে গুলি চালায়। বিক্ষোভকরীরা মহিলাদের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধের ব্যাপারে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন।
তালিবান সরকারের “প্রমোশন অব ভার্চু এন্ড প্রিভেনশন অব ভাইস ” নীতির বিরোধিতা করে রাজধানীর রাস্তায় মিছিল চলছিল। প্রতিবাদকারীদের ব্যানারে লেখা ছিল “আমরা বৈষম্য নিয়ে ক্লান্ত এবং “আমরা ক্ষুধার্ত জনগণের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর”।
অন্যান্য ব্যানারে লেখা ছিল “আমরা মহিলারা জেগেছি এবং বৈষম্যকে ঘৃণা করি” এবং “কেন তোমরা স্কুল বন্ধ করেছ”? প্রতিবাদকারী মহিলারা চাকরি, শিক্ষা ও খাদ্যের জন্য দাবি জানাচ্ছিলেন। সরকারি ভবনে প্রবেশের আগে তালিবান রক্ষীরা গুলি চালাতে শুরু করে। কয়েকজন মহিলা জখম হন।
তালিবানদের দ্বিতীয় দফার সরকারের আমলে আফগানিস্তানে চলছে চরম খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট।
]]>তালিবান জঙ্গিদের এই সামরিক বহরের পুরোটাই আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়া মার্কিন সেনার অস্ত্র ভাণ্ডার। গত ১৫ অাগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার আফগানিস্তানের নিমন্ত্রণ ছেড়ে দেয়। সেই দিনই দ্বিতীয়বারের জন্য কাবুল দখল করে তালিবান জঙ্গিরা। দেশত্যাগ করেন নির্বাচিত সরকারের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।

বিবিসি জানাচ্ছে, তালিবান সরকার যে সমরাস্ত্র প্রদর্শন করেছে তার পুরোটাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া আফগানিস্তানে থাকাকালীন মার্কিন সেনা যে সব অস্ত্র মজুত করেছিল তার বড় অংশ তালিবান দখলে। তবে কাবূল ত্যাগের আগে কিছু অস্ত্রসম্ভার ধংস করে যায় মার্কিন সেনা।
তালিবান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র আহসানউল্লাহ খাতমি জানাচ্ছেন, আফগান সেনার আধুনিকীকরণ চলছে। সেনাবাহিনীতে নতুন ২৫০ জনকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।তাদের নিয়েই কাবুলে হয়েছে কুচকাওয়াজ।
<
p style=”text-align: justify;”>তালিবান সরকারের তরফে বারবার দাবি করা হয়েছে, কোনও অবস্থায় আফগালিস্তানকে আর বিদেশি কোনও সরকারের অধীনে রাখা হবে না। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন দেশের অরাজক পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। কড়া আইন প্রয়োগ করা হয়েছে।
]]>তালিবান শাসনের আফগানিস্তানে জাতীয় পতাকা বদলে গিয়েছে। তেমনই বদলেছে সরকারি নাম। ইসলামি প্রজাতন্ত্র থেকে ইসলামি আমিরশাহি আফগানিস্তান হলেও কূটনৈতিক প্যাঁচে বিশ্ব ক্রিকেট ক্রীড়াঙ্গনে ঠাঁই পায়নি জঙ্গি সরকারের পতাকা।

টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শারজা স্টেডিয়ামে স্কটল্যান্ড পরাজিত হয়েছে আফগানিস্তানের কাছে। জয়ের আনন্দে শারজা থেকে কাবুল- আফগানবাসী আত্মহারা।
আফগানিস্তানের জয়ে তিনজন আবেগতাড়িত। অপসারিত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘান, যিনি ‘পলাতক’। জঙ্গি তালিবানের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ চালানো পঞ্জশির উপত্যকার আফগান রেজিস্ট্যান্স ফোর্সের কমান্ডার আহমেদ মাসুদ। তিনিও আত্মগোপনে রয়েছেন। আর আছেন সোভিয়েত জমানার আফগান মার্শাল আবদুল রশিদ দোস্তাম। তালিবানের যম বলে সুপরিচিত বৃদ্ধ সেনা কমান্ডারও দেশের জয়ে তাঁদের সরকারের পতাকা উড়তে দেখলেন। তিনিও দেশত্যাগী।

মাঠে নিজেদের পতাকা না থাকলেও জঙ্গি তালিবান সরকার উল্লসিত। পরবর্তী ক্রিকেট কূটনীতির পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তালিবান শাসক।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শারজার মাঠেও দেখা যায়নি ইসলামি গণতন্ত্রী আফগানিস্তানের সেই পতাকা। শুধু মাঠ নয়, গ্যালারি থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সর্বত্র সদ্য বাতিল হওয়া পতাকার ছড়াছড়ি। কোথাও নেই তালিবান সরকারের পতাকা।

আফগানিস্তান বনাম স্কটল্যান্ডের ম্যাচ নিয়ে যত না খেলার উত্তাপ তার চেয়েও বড় হয়ে উঠেছে তালিবান শাসনে চলে যাওয়া দেশটির কথা। গত ১৫ আগস্ট দ্বিতীয়বারের জন্য তালিবান জঙ্গিরা আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করেছে। চলছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
কূটনীতির প্যাঁচে তালিবান শাসক। কারণ, রাষ্ট্রসংঘের অনুমোদন আসেনি। তেমনই ঘনিষ্ঠ পাকিস্তান ও চিন তো বটেই বাকি কোনও দেশ পাশে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়নি। তবে তালিবান শাসকের হয়ে রাষ্ট্রসংঘে কূটনৈতিক ততপরতা চালিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তালিবান প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে রাশিয়া, চিন, ইরান, ভারতের মধ্যে মস্কোতে বৈঠক হয়েছে। দিল্লিতে পরবর্তী বৈঠকও হবে।
গত ১৫ আগস্ট তালিবান জঙ্গিরা দ্বিতীয়বার আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। মার্কিন সেনা কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়। দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। কাবুল প্যালেস ও আইনসভায় তালিবান উড়িয়ে দেয় তাদের পতাকা। নির্দেশ জারি করা হয়, আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা পাল্টে ফেলা হয়েছে। এর পরেই আফগানিস্তান জুড়ে দুটি ছবি এসেছিল। নাগরিকরা পুরনো পতাকা নিয়েই স্বাধীনতা দিবস পালন করেন। আর দোকানে ভিড় বাড়ে নতুন তালিবানি পতাকা কেনার।
দুই বিপরীতমুখী ঘটনার পরেই তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগান জাতীয় যুব ক্রিকেট দলের প্রথম আন্তর্জাতিক সফর হয় বাংলাদেশে। সিলেট স্টেডিয়ামেও কূটনৈতিক কারণে পুরনো আফগান পতাকা ছিল।
]]>আফগানিস্তানকে এখনও কোনও দেশ সরকারিভাবে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়নি। তবে তালিবান জঙ্গিদের সরকারের হয়ে প্রথম থেকেই বিশ্বজোড়া সহানুভূতি আদায়ে মরিয়া পাকিস্তান। খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রসংঘ অধিবেশনের ভাষণে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার সওয়াল করেন।
গত ১৫ আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুরো নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতেই আফগানিস্তানের সরকার দ্বিতীয়বার দখল করেছে তালিবান জঙ্গিরা। চলছে তাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কাবুলের ক্ষমতায় ফের বসার পরেই তালিবান সরকার জানায় আফগানিস্তানের পুরুষ ক্রিকেট চলবে। পূর্ববর্তী তালিবান সরকার (1996-2001) যেভাবে ক্রিকেট নিষিদ্ধ করেছিল এই তালিবান তেমন নয়। নিজেদের নরম তালিবান ঘোষণা করে ক্রিকেটকে হাতিয়ার করেই আন্তর্জাতিক সহানুভূতি টেনে আনতে মরিয়া তালিবান সরকার।
দ্বিতীয় দফায় তালিবান সরকারের আমলে আফগান জাতীয় ক্রিকেট দলের জুনিয়র সদস্যরা প্রথম আন্তর্জাতিক সফর করে বাংলাদেশে। তবে এই সফরসূচি নির্ধারিত হয়েছিল তালিবান সরকার গড়ার আগেই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত আফগান সরকারের আমলে। সরকার উৎখাত করে তালিবান ক্ষমতা দখল করে।
নিজেদের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্য করতে বাংলাদেশ সফরে ক্রিকেট কূটনীতি হাতিয়ার করে তালিবান সরকার। আফগান যুব দল বাংলাদেশের সিলেটে সিরিজ খেলেন। একই সময়ে তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগান ক্রিকেট বোর্ড (ACB) জানিয়ে দেয় টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তারা অংশ নেবে।
তবে তালিবান সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখল করতেই বহু ক্রীড়াবিদ আফগানিস্তান ত্যাগ করেন। আফগান জাতীয় দলের অধিনায়ক রশিদ খান দেশ ছাড়েন। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগান দলের নেতৃত্বে আছেন মহম্মদ নবি।
]]>তাস ও বিবিসি আরও জানাচ্ছে, পরবর্তী কূটনৈতিক বৈঠক হবে নয়াদিল্লিতে। সেই বৈঠকের পর আফগানিস্তানে তালিবান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের কূটনৈতিক বার্তা আসবে। আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের ‘অভিমত’, তালিবান সরকারের ধারণা, ভারত ইতিবাচক হবে। তবে দিল্লির বৈঠকে তালিবান সরকারের প্রতিনিধিরা থাকবেনা। কারণ, ভারত এই সরকারকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়নি।
আফগান সংবাদমাধ্যমের খবর, রাশিয়ার বৈঠকে ভারত নরম বার্তা দিয়েছে। তালিবান সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী আব্দুল সালাম হানাফির সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে একাধিক বিষয়।
আলজাজিরা, এএফপি সহ বিভিন্ন সংবাদ প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট, আফগানিস্তানকে ভারত ত্রাণ ও মানবিক সাহায্য দিতে প্রস্তুত। তবে এই বিষয়ে এখনই ভারত কিছু জানায়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত সরকার কোনও আন্তর্জাতিক সংগঠনের মাধ্যমে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে সাহায্য পাঠাবে। তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানকে সাহায্য করতে প্রস্তুত ভারত।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে দ্বিতীয় দফায় সরকার দখল করে তালিবান জঙ্গিরা। উৎখাত করা হয় নির্বাচিত আশরাফ ঘানির সরকারকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে চলে যায়। এর পরেই তালিবান সরকার জানায়, তারা পূর্ববর্তী তালিবান আমলের থেকে নরম ভূমিকা নেবে।
]]>এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় যার অঙ্গই হলো মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি। এদের মাঝে মহিলাদের অবদানও মোটেই কম নয় যারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে সীমান্তে তাদের বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। জেনে নেওয়া যাক এমনই কয়েকজন অপরাজিতা নারীর গল্প দেশের কাজে যোগদান করতে লিঙ্গ বৈষম্য যাদের দমিয়ে দিতে পারেনি:
১. পদ্মাবতী বন্দ্যোপাধ্যায়
পদ্মাবতীকে সশস্ত্র ভারতীয় সেনার একজন অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম মহিলা এয়ার মার্শাল। তিনি প্রথম মহিলা যিনি এয়ারোস্পেস মেডিক্যাল সোসাইটির ফেলো হয়েছেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি উত্তর মেরুতে চরম ঠাণ্ডার উপযোগিতা নিয়ে একটি অভিযান চালান। ১৯৭১ সালের ভারত-পাক সংঘর্ষের সময় তিনি তার ব্যতিক্রমী সেবার জন্য বিশিষ্ট সেবা পদক প্রাপক।

২. দিব্যা অজিত কুমার
মাত্র ২১ বছর বয়সে দিব্যা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রথম মহিলা হিসেবে সম্মানিত ‘সোর্ড অফ অনার’ পেয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। তিনি ২৪৪ জন সহকর্মী ক্যাডেটদের (পুরুষ ও মহিলা) বেশ কয়েকটি একাডেমিক এবং শারীরিক পরীক্ষায় পরাজিত করেছিলেন। ২৫ বছর বয়সে, তিনি ১৫৪ জন কর্মকর্তার সর্বদলীয় দলের নেতৃত্ব দেন ২০১৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে যেখানে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যারাক ওবামার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

৩. মিতালী মধুমিতা
মিতালি ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম মহিলা অফিসার হিসেবে সম্মানজনক বিশেষ সেনা পদক পেয়েছেন। সেনাবাহিনীতে চাকরি করে মারা যাওয়া এবং সঙ্কটে ব্যতিক্রমী সাহস দেখানো অফিসারদের বীরত্বের এই সম্মান দেওয়া হয়। ২০১০ সালে কাবুল দূতাবাসে হামলায় বেশ কয়েকজন আহত অসামরিক নাগরিক এবং সেনা কর্মীকে বাঁচিয়ে মিতালি তার জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন।

৪. গুঞ্জন সাক্সেনা
ফ্লাইট অফিসার গুঞ্জন সাক্সেনা এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শ্রীবিদ্যা কারগিল যুদ্ধের সময় যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে প্রথম মহিলা পাইলট হয়েছিলেন। তারা তাদের চিতা হেলিকপ্টারগুলি শত্রু লাইনের খুব কাছাকাছি উড়েছিলেন এবং যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আহত সৈন্যদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছিলেন।

৫. সোফিয়া কুরেশি
আন্তর্জাতিক সামরিক মহড়ায় ৪০ জন সদস্যের সেনা দলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম মহিলা কর্মকর্তা হওয়ার সময় তিনি ইতিমধ্যেই অভাবনীয় কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়. তিনি অংশগ্রহণকারী সব দেশ জুড়ে একমাত্র নারী কমান্ডার ছিলেন যার মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া এবং চিন।

৬. দীপিকা মিশ্র
তিনি হেলিকপ্টার এরোব্যাটিক দলের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রথম IAF মহিলা পাইলট হয়েছিলেন, এবং তিনি সারা বিশ্বের একমাত্র চারটি হেলিকপ্টার মিলিটারি ডিসপ্লে টিমের মধ্যে একজন।

৭. নিবেদিতা চৌধুরী
মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার জন্য তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীতে প্রথম মহিলা কর্মকর্তা হন। মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় তিনি মোট এক ঘন্টা কাটিয়েছিলেন।
UNI সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছেন আফগানি নাগরিক গুরনাম সিং। তিনি কাবুলে থাকেন। গুরনাম সিং জানিয়েছেন, ওই গুরুদোয়ারায় জনা পনের বন্দুকধারী ঢুকে ভাঙচুর চালায়। সিসিটিভি ভেঙে দেওয়া হয়। গুরুদোয়ারার তিন রক্ষী বাধা দেন। তাদের পরে বন্দি করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
আফগান নাগরিক গুরনাম সিং বলেছেন, গুরুদোয়ারার রক্ষীরা কেউ শিখ নন। তাঁরা মুসলমান ধর্মাবলম্বী। তাদের জীবন সংশয়ে। কারণ অপহরণের পর থেকে আর খোঁজ নেই ওই তিন রক্ষীর।
গুরদোয়ারায় হামলাকারীরা সরকারে আসা তালিবান জঙ্গি বলেই মনে করা হচ্ছে। এই হামলাকারীরা ৫০ হাজার আফগানি টাকা লুঠ করেছে। এছাড়াও ওই গুরুদোয়ারায় ভাঙচুর করেছে।
পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগের। আফগানি সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায় স্থানীয় তালিবান প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এদিকে গুরুদোয়ারা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদে আন্তর্জাতিক শিখ সংগঠনগুলি প্রবল ক্ষুব্ধ। তাদের তরফে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আফগানি শিখদের নিরাপত্তা নিয়ে তালিবানদের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করা হয়।
সম্প্রতি এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত আফগানি ওষুধ ব্যবসায়ীকে কাবুলের রাস্তায় অপহরণ করে তালিবান জঙ্গিরা। তার এখনও কোনও খোঁজ নেই। এক শিখ ধর্মাবলম্বীকে খুন করা হয়েছে আগেই।
]]>রয়টার্স জানাচ্ছে, রবিবার কাবুলের ঈদগাহ মসজিদের প্রবেশপথের কাছে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় তালিবান (Taliban) সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের মায়ের স্মরণসভায়। মসজিদে বিস্ফোরণের পরেই তালিবান জঙ্গিরা হামলা চালায় ইসলামিক স্টেটের (ISIS) একটি ডেরায়। সেই ডেরা ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি তালিবান সরকারের।

তালিবান জঙ্গি সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছে,রবিবার কাবুলের উত্তরাঞ্চলে আইএসের বিরুদ্ধে সফল অভিযান চালানো হয়। অভিযানে আইএস জঙ্গিদের ঘাঁটি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে থাকা সব জঙ্গিকে মেরে দেওয়া হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ আফগানিস্তানে (Afghanistan) সক্রিয় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের স্থানীয় শাখা আইএসআইএস (খোরসান) গোষ্ঠী জানিয়েছে, হামলার কথা।
তালিবানও ইসলামিক স্টেট এই দুই জঙ্গি সংগঠন পরস্পর বিরোধী। আফগানিস্তানে দ্বিতীয়বার তালিবান সরকার হওয়ার পর থেকেই দুই জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল। সেটাই শুরু হয়েছে এবার। এর জেরে আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
]]>অপহরণের এক সপ্তাহ পরেও কোনও খোঁজ নেই দাওয়াওয়ালা বাঁশরি লালের। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ওষুধের ব্যবসা করেন। কাবুলে তাঁর দোকান আছে। গত ১৫ আগস্ট তালিবান জঙ্গিরা দ্বিতীয়বার আফগানিস্তানের সরকার দখল করেছে। এর পরেই বেশ কয়েকটি অপহরণ, সাংবাদিকদের মারধর, প্রকাশ্যে খুন সবই হয়েছে। তবে ভারতীয় বংশজাত আফগানিকে অপহরণের ঘটনা ব্যাতিক্রম।
বাঁশরি লাল আফগানি। তিনি ভারতীয় বংশজাত। তাঁর আত্নীয়রা দিল্লি ও উত্তর ভারতের বিভিন্ন স্থানে থাকেন। বাঁশরি লালের ওষুধের দোকান কাবুলে বেশ পরিচিত। মনে করা হচ্ছে প্রচুর অর্থ মুক্তিপণ দাবি করেছে তালিবান। তবে এ বিষয়ে বাঁশরির আত্মীয়রা মুখ বন্ধ রেখেছেন। যে কোনও সময়ে বাঁশরি লালের মৃত্যু সংবাদ আসার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল চিন্তিত। যদিও তালিবান সরকার জানায়, কোনও অবস্থায় পূর্বতন তালিবান সরকারের (১৯৯৬-২০০১) মতো হবে না বর্তমান সরকার। নরম মনোভাব নেবে।
তবে তালিবানি নিয়মে অঙ্গ কেটে নেওয়ার নিয়ম ফের চালু হবে এমনই জানিয়েছে,তালিবান নেতা, বর্তমান কারামন্ত্রী মোল্লা নূরুদ্দিন তুরাবি। বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে এই তালিবান নেতা বলে, আফগানিস্তানে মৃত্যুদণ্ড এবং অঙ্গহানির মতো কঠোর শাস্তি আবার শুরু হবে। এসব শাস্তি নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করে এই জঙ্গি নেতা। পূর্বতন তালিবান সরকারের ধর্মীয় পুলিশের প্রধান নুরুদ্দিন নৃশংসতার জন্য কুখ্যাত।
]]>কাবুলে সাংবাদিক সম্মেলনে তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানায়, ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে আফগানিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করা হবে। তালিবান মুখপাত্রের বার্তা, ইরানের সঙ্গে তালিবানের নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের মতবিরোধ নেই। তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায় কাবুল।
রাশিয়ার প্রতি বার্তায় তালিবান জানায়, বর্তমান আফগান সরকার রাশিয়ার সঙ্গে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চায়। রুশ সরকার যেন রাষ্ট্রসংঘে তাদের প্রভাব খাটিয়ে তালিবানের উপর আরোপ করা আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ কাটানোর ভূমিকা নেয় তারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
টানা দু দশক বাদে আফগানিস্তানে দ্বিতীয়বার সরকার গড়েছে তালিবান জঙ্গিরা। এই সরকারের সঙ্গে প্রথম থেকেই রাশিয়া, ইরান, চিন, পাকিস্তান, তুরস্কের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগেই জানান আফগানিস্তানে এখন তালিবান শাসন চলছে। এটাই বাস্তব। সেই বাস্তবকে মানতে হবে।
কাবুলের কিছু কাগজ চললেও বিভিন্ন প্রদেশ থেকে বের হওয়া সংবাদপত্রগুলি ছাপানো একেবারেই বন্ধ। পরিস্থিতি বুঝে পুরোপুরি ই-সংস্করণে চলে গিয়েছে আফগান সংবাদত্রের বড় অংশ।

দ্বিতীয় দফার তালিবান সরকার কায়েম হতেই জঙ্গি সংগঠনটির তরফে বলা হয়, বেশি সমালোচনা সহ্য করা যাবে না। তার পরপর কাবুলে সাংবাদিকদের অপহরণ করে মারধরের ভিডিও ফুটেজ থেকে মুখে বারবার আধুনিক মানসিকতার বার্তা দিলেও এটা স্পষ্ট পুরনো মেজাজেই রয়েছে তালিবান। ফলে তালিবান সরকার বিরোধী অবস্থান আর কোনও খবরের কাগজের পক্ষেই নেওয়া সম্ভব নয়।
আফগান ন্যশনাল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্টস জানিয়েছে, তালিবান সরকার আসার পথের পরিস্থিতি ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয়। এর ধাক্কায় ছাপাখানা বন্ধ। অন্তত ১৫০টি সংবাদপত্রের কোনও সংস্করণই আর বের হচ্ছে না। এক্ষেত্রে ই পেপার ভরসা।
একের পর এক সংবাদপত্র বন্ধ হয়েছে। কাজ হারাচ্ছেন সাংবাদিকরা। তবে কিছু বিদেশি সংবাদমাধ্যম কাজ করছে। তাদের খবর ও ছবি গোপনে সরবরাহ করছেন কর্মচ্যুত সাংবাদিকরা।
বিভিন্ন সংবাদপত্রের ইন্টারনেট সংস্করণ, অনলাইন নিউজ পোর্টালের উপর নজরদারি চলছে তালিবান জঙ্গিদের। আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ওয়াচডগ’ জানাচ্ছে, তালিবানি ফতোয়ায় আফগান সংবাদ সংস্থাগুলি বন্দি। সেই সঙ্গে রয়েছে অর্থনৈতিক বিপর্যয়।
]]>এএফপি জানাচ্ছে, তালিবানের চিরশত্রু আব্দুল রশিদ দোস্তামের বিলাসবহুল অট্টালিকা এখন বেদখল। কাবুলের নিকটে শেরপুরে এই প্রাসাদে মাঝে মধ্যেই আড্ডা মারছে তালিবান নেতারা। আব্দুল রশিদ দোস্তাম প্রবল তালিবান বিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিত। আফগানিস্তানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট তিনি। তাঁকে যুদ্ধবাজ নেতা (ওয়ারলর্ড) হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।

আল জাজিরার খবর, ২০০১ সালে দোস্তামের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার তালিবান জঙ্গিকে খুনের অভিযোগ আনা হয়। তবে সেই অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। ২০১৯ সালে তালিবানের হামলা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি। আবদুল রশিদ দোস্তাম আফগানিস্তানের অন্যতম সেনানায়ক। সর্বশেষ তিনি মাজার ই শরিফের প্রশাসক হিসেবে তালিবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন। তবে গত ১৫ আগস্ট জঙ্গিরা দ্বিতীয়বার কাবুলের দখল নেয়। বৃদ্ধ সেনানায়ক দোস্তাম কৌশলে আফগানিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে অজানা গন্তব্যে চলে যান।

দোস্তাম হলেন তালিবানের গলার দুটি কাঁটার একটি। অপর জন ছিলেন তাঁর বন্ধু পঞ্জশিরের নায়ক আহমেদ শাহ মাসুদ। গত তালিবান জমানায় দোস্তাম ও মাসুদ বারবার হামলা করে তালিবানকে ব্যাতিব্যস্ত করেছিলেন। পরে আমেরিকান সেনা ২০০১ সালে তালিবান সরকারকে উৎখাত করে কাবুল দখল করে। তার আগেই নাশকতায় মারা যান পঞ্জশিরের সিংহ আহমেদ শাহ মাসুদ। এই মাসুদের পুত্র জুনিয়র মাসুদ এখন তালিবান বিরোধী লড়াই চালাচ্ছেন।
গত কুড়ি বছর দোস্তামের নিয়ন্ত্রণে ছিল আফগানিস্তানের অন্যতম এলাকা মাজার ই শরিফ। আর সেনা নায়ক দোস্তাম মাঝে মধ্যে থাকতেন কাবুলের কাছে শেরপুরের অট্টালিকায়। সম্প্রতি তিনি আফগানিস্তান ছেড়ে প্রতিবেশি তাজিকিস্তান বা উজবেকিস্তানে চলে গিয়েছেন বলে গুঞ্জন।
কাবুলে ওষুধ দোকানদার বাঁশরি লাল। অভিযোগ, দোকানে যাওয়ার পথেই তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তালিবানরা। আফগানিস্তানের বাসিন্দা হলেও বাঁশরি লাল আন্দে একজন ভারতীয় বংশজাত। দিল্লিতে পরিবার আছে।
রোজকারমত গাড়িতে চেপে দোকানে যাচ্ছিলেন বাঁশরি লাল। গাড়িতে তাঁর দেকানের কিছু কর্মী ছিলেন। সেই গাড়ি ঘিরে নেয় সরকারে আসা তালিবান জঙ্গিরা। বাঁশরি লালকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর তার কয়েকজন সঙ্গী কোনোরকমে পালিয়ে বেঁচেছেন। কাবুলের ১১ তম পুলিশ জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে।
অপহরণের খবর জানানো হয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রককে। ভারত সরকারের তরফ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। তবে তালিবান সরকার নিরুত্তর।
]]>বিবিসি সংবাদে তালিবান নেতাদের একাংশের বক্তব্য তুলে ধরে বলা হয়, সরকারের অন্দরে ঝগড়া প্রবল। বিবিসি জানাচ্ছে মোল্লা বারাদার এবং নতুন সরকারের সবথেকে আগ্রাসী জঙ্গি গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্কের (Haqqani Network) মধ্যে সম্পর্কা আদায় কাঁচকলায়। হাক্কানি নেটওয়ার্ক পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই মদতে চলে। তাদের ভাগে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে জঙ্গি দলটির তরফে শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের অন্যতম নেতা খলিল উর রহমান হাক্কানির দাবি আরও ভালো পদ চাই। এ নিয়ে ঝগড়া বেড়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে উপ প্রধানমন্ত্রী মোল্লা বারাদারকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। বিশ্বজোড়া আলোড়ন এই তালিবান শীর্ষ নেতা এক গোষ্ঠি সংঘর্ষে মৃত। তবে তালিবান এই খবর অস্বীকার করে। তারা জানায় মোল্লা বারাদার সুস্থ।
গত ১৫ আগস্ট আমেরিকান সেনা নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতেই আফগান রাজধানী কাবুল দ্বিতীয়বার দখলের পর দ্বিতীয় তালিবান অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভার ঘোষণা হয়। সেই সরকার গত ৯/১১ আমেরিকায় টুইন টাওয়ার হামলার কুড়ি বছর পূর্তির দিনে শপথ নেবে এমনই জানিয়েছিল। দিনটিতে শপথ না নিতে তালিবান বন্ধু দেশ কাতার ও পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক চাপ দিয়েছিল আমেরিকা। রাশিয়ার তরফে আপত্তি আসে। দিনটিতে শপথ নেয়নি তালিবান জঙ্গিদের সরকার।
বিবিসি জানাচ্ছে, শপথ না নেওয়ার পিছনে রয়েছে তীব্র ঝগড়া। তালিবান নেতারা পরস্পর কোন্দলে জড়িয়েছে। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্যালেসে তালিবানের সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান সরকারের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদারের সঙ্গে এক মন্ত্রীর তর্কবিতর্ক হয়েছে। পদ পছন্দ হয়নি ওই মন্ত্রীর।
]]>কাবুল জ্বলছিল। আফগান জনগন জীবন বাঁচাতে ছুটছিলেন। মুজতবা আলী লিখেছেন- “বেলা তখন চারটে হবে। দোস্ত মুহম্মদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি রাস্তায় তুমুল কান্ড। দোকানিরা দুদ্দাড় করে দরজা জানালা বন্ধ করছে…সব কিছু ছাপিয়ে মাঝে মধ্যে কানে আসছে বাচ্চায়ে সকাও আসছে, বাচ্চায়ে সকাও এসে পড়ল। এমন সময় গুড়ুম করে রাইফেলের শব্দ হল।… আমি কোনো গতিকে রাস্তা থেকে নেমে, নয়ানজুলি পেরিয়ে এক দোকানের বারান্দায় দাঁড়ালুম। স্থির করলুম, বিদ্রোহবিপ্লবের সময় পাগলা ঘোড়ার চাঁট খেয়ে অথবা ভিড়ের চাপে দম বন্ধ হয়ে মরব না; মরতে হয় মরব আমার হিস্যার গুলি খেয়ে।”
১৯১৯ সালে আফগানিস্তান স্বাধীনতা অর্জন করে। তৃতীয় আফগান-ব্রিটিশ যুদ্ধের পর ব্রিটিশ শাসিত ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখা তৈরি হয়। সেই বিখ্যাত ডুরান্ড রেখা পেরিয়ে একদিন কাবুল চলে গিয়েছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। তাঁর আফগান প্রবাসের দিনলিপি ১৯৪৮ সালে বই আকারে বের হয়।
তবে ভারতের অনেক আগে স্বাধীন আফগানিরা তাদের স্বাধীনতার জাফরানি সুবাস নেয় দুর্গম জামরুদের কেল্লার বুরুজে বন্দুক ঘাড়ে রেখে।

তেমনই স্বাধীন আফগান ভূমিতে চলে যাওয়া সৈয়দ মুজতবা আলীর চিরন্তন সাহিত্য ‘দেশে বিদেশে’ অবশ্য যখন বাংলাভাষী পাঠকরা পড়লেন । তখন ভারত স্বাধীন। তবে স্বাধীন দেশে গিয়ে পরাধীন দেশের লেখকের অভিজ্ঞতার কথা আজও চরম কৌতূহলের কেন্দ্রে।
আজ যখন আফগানিস্তান প্রবল রাজনৈতিক ঘনঘটার কেন্দ্রে, এক শতাব্দী আগেও তেমনই ছিল। আফগান আমির আমানউল্লাহ বনাম ব্রিটিশদের কূটখেলা, সেই সূত্রে একের পর এক গোষ্ঠীর জন্ম। কাবুল দখলে হামলা। ইটালিয়ান, রাশিয়ান- সোভিয়েত, ব্রিটিশ, ইরানি দূতাবাসের পারস্পরিক কূটখেলা আর সময় বুঝে পক্ষ বদল করা সবই ধরা রয়েছে মুজতবা আলীর লেখনিতে।
কাবুল দখলের জন্য গৃহযুদ্ধ চলছিল। “মুজতবা আলী লিখেছেন, আমান উল্লা বসে আছেন আর্কের ভিতর। তাঁর চেলা-চামুন্ডারা শহরের লোকেদের সাধ্য সাধনা করছে বাচ্চার (ডাকাত সর্দার) সঙ্গে লড়াই করার জন্য। …কাবুল শহর দুনিয়া থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন।”
কী অবস্থা ছিল কাবুল নগরীর? মুজতবা আলীর বর্ণনা- “শেতাঙ্গরা রাস্তায় বেরোচ্ছে না; একমাত্র রুশ পাইলটরা নির্ভয়ে শহরের মাঝখান দিয়ে ভিড় ঠেলে বিমানঘাঁটিতে যাওয়া-আসা করছে। হাতে রাইফেল পর্যন্ত নেই, কোমরে মাত্র একটি পিস্তল।”
আফগান জনগণ বন্দুক চালাতে ভালোবাসেন। তাঁদের কটাক্ষ করেই মুজতবার চরম উপলব্ধি দিয়ে শেষ করি। তিনি লিখছেন, ” কিন্তু আশ্চর্য নগরী রক্ষা করাতে এদের কোনো উৎসাহ নেই? দস্যু জয়লাভ করলে লুন্ঠিত হবার ভয় নেই, প্রিয়জনের অপমৃত্যুর আশঙ্কা সম্বন্ধে এরা সম্পূর্ণ উদাসীন, সর্বব্যাপী অনিশ্চয়তা এদের বিন্দুমাত্র বিচলিত করতে পারেনি!”
বহুদর্শী লেখকের জন্ম ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। অসমের করিমগঞ্জে। প্রয়াত হন ১৯৭৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায়।
]]>১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ৯/১১-এর ২০তম বর্ষপূর্তি। এইদিন তালিবান সরকারের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের দিন ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের চাপে এই তারিখে পরিবর্তন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রুশ সংবাদমাধ্যম তাশ জানিয়েছে এই খবর।
তালিবান জঙ্গি সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি কমিশনের সদস্য ইনামুল্লা সামানগনি টুইট -নতুন আফগান সরকারের সূচনা অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। মানুষ যাতে বিভ্রান্ত না হন, সে জন্য ইসলামিক আমিরশাহীর মন্ত্রিসভার একাংশ কাজ শুরু করেছে।
তালিবান সরকারের । ৯/১১- এ শপথ অনুষ্ঠান ঘোষণার পর অস্বস্তিতে পড়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ন্যাটো এবং আমেরিকার জোট তালিবান ঘনিষ্ঠ কাতার সরকারকে চাপ দেয় দিনটি পরিবর্তনের। কাতার সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরেই ফের শপথ নেওয়ার দিন বদল করেছে তালিবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আফগানিস্তানে ফের তালিবান জঙ্গি সরকার। তাদের বন্ধু আল কায়েদা। এই সংগঠনটির প্রধান তথা ৯/১১ নিউইয়র্কে হামলার মূল নির্দেশদাতা ওসামা বিন লাদেন ঘটনার সময় আফগানিস্তানেই ছিল। তাকে চেয়ে তালিবান সরকারের কাছে বার্তা দেয় ওয়াশিংটন। রাজি হয়নি তালিবান। এর পরেই মার্কিন সেনা অভিযান ও কাবুল হয়েছিল জঙ্গি মুক্ত।
]]>গত কুড়ি বছরে মার্কিন সেনা তাদের ইতিহাসে বৃহত্তম সেনা অভিযান আফগানিস্তানেই চালিয়েছে। দু’দশক পরে মার্কিন সরকার ও তালিবান আলোচনার সূত্রে সম্পূর্ণরূপে দেশে ফিরেছে মার্কিন সেনা। আফগানিস্তানে ফের তালিবান জঙ্গি সরকা। তাদের বন্ধু আল কায়েদা। এই সংগঠনটির প্রধান তথা ৯/১১ হামলার মূল নির্দেশদাতা ওসামা বিন লাদেন ঘটনার সময় আফগানিস্তানেই ছিল। তাকে চেয়ে তালিবান সরকারের কাছে বার্তা দেয় ওয়াশিংটন। রাজি হয়নি তালিবান। এর পরেই মার্কিন সেনা অভিযান ও কাবুল হয়েছিল জঙ্গি মুক্ত।
দু দশক পরে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তালিবান দখলে আফগানিস্তানের ক্ষমতা। বিশেষ দিনটিকে তারা বেছে নিয়েছে শপথ গ্রহণের জন্য। তবে দ্বিতীয় তালিবান সরকারের ঘোষণা, তাদের ভিন্ন রূপ দেখবে দুনিয়া। তালিবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ নেওয়ার পরেই আফগানিস্তানকে ঘিরে নতুন করে দুর্দশার মেঘ জমাট নেবে। ইতিমধ্যেই আফগান তালিবান সরকারের নিয়ন্ত্রক হয়েছে পাকিস্তান। চিন্তিত রাষ্ট্রসংঘ।
]]>আফগানিস্তানে দ্বিতীয়বার তালিবান সরকার গঠনের পরেই প্রতিবেশি দেশ চিন যোগাযোগ বজায় রাখতে প্রস্তুত। বেজিং থেকে কাবুলে অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি এসেছে। চিন সরকার বলেছে, আফগানিস্তানে একটি নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সেখানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটি দরকারি পদক্ষেপ হল আর্থিক উন্নয়ন।
বুধবার পাকিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের সরকারের সাথে বৈঠকের পর চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই আফগানিস্তানের জন্য আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেন।
বেজিং জানিয়েছে তারা আফগানিস্তানকে ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেবে। গত১৫ অগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণের অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করেছে তালিবান। তারা আফগানিস্তানকে ইসলামি আমিরশাহী হিসেবে ঘোষণা করে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি আরও বহু দুরের ব্যাপার।
]]>নেপাল থেকে উত্তরবঙ্গ জুড়ে জঙ্গি জাল ছড়ানো নেতা, FBI তালিকাভুক্ত হাক্কানি নেটওয়ার্ক এখন আফগানিস্তানের সরকারি মুখ। পাক গুপ্তচর সংস্থার মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠনটি।
মঙ্গলবার কাবুলে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানায়, মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধানমন্ত্রী করে আফগানিস্তানে সরকার গঠন করেছে তালিবান। উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করবে মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার।
Read More: তালিবান সরকারের অংশীদার হাক্কানি নেটওয়ার্ক সক্রিয় নেপাল থেকে উত্তরবঙ্গে
তাৎপর্যপূর্ণ, তালিবান ২.০ কেয়ার টেকার সরকারে নেই ভারতে সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া অন্যতম তালিবান জঙ্গি নেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই। এই জঙ্গি নেতা ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত প্রথম তালিবান সরকারের আমলে উপ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিল।
তালিবান কেয়ার টেকার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা তথা পাকিস্তান মদতপুষ্ট হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রবীণ নেতা সিরাজউদ্দিন হাক্কানি। আর তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের পুত্র মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুবের নাম প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তানে অভিযানে কাবুলে তালিবান সরকারের পতন হয়। তার অন্যতম নেতা মোল্লা আখুন্দ। তবে তালিবান জানিয়েছে, এটা কেয়ার টেকার সরকার। এর অর্থ এই সরকারের মুখ দ্রুত পাল্টাবে। বুধবার আফগানিস্তানে তালিবান ২.০ সরকারের প্রথম কাজের দিন। আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের মুহূর্তে কোন কোন দেশ থাকবে উপস্থিত তাই চর্চিত।
]]>তালিবান মুখপাত্র মোহাম্মদ নৈয়মও এই বিষয়ে টুইট করেছেন৷ তাতে লিখেছেন, বৈঠকের পর গ্রিফিথস বলেছেন রাষ্ট্রসংঘ আফগানিস্তানের সঙ্গে সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে
"I met with the leadership of the Taliban to reaffirm United Nation's commitment to deliver impartial humanitarian assistance & protection to millions in need in Afghanistan," tweets Martin Griffiths, UN Under-Secry-General for Humanitarian Affairs & Emergency Relief Coordinator pic.twitter.com/qE7JALwHww
— ANI (@ANI) September 5, 2021
রবিবার কাবুলে এক সমাবেশে বেশ কয়েকজন ধর্মীয় ব্যক্তি তালিবান এবং প্রতিরোধ ফ্রন্টকে বর্তমানে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন৷ এই সংঘাতকে দেশে একটি অবৈধ যুদ্ধ বলে উল্লখে করেছে।
অন্যদিকে তালিবান প্রতিনিধি দল গত কয়েকদিন ধরে দোহায় ব্রিটেন, পাকিস্তান ও জার্মানির কূটনীতিকদের সঙ্গে দেখা করেছে। তালিবানের রাজনৈতিক কার্যালয় দোহায়৷ তার প্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কানাডা, ভারত ও জার্মানির রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
তালিবান আর এক মুখপাত্র সুহেল শাহীন শুক্রবার একের পর এক টুইট করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনার তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহসান রাজা শাহের সঙ্গে মানবিক সহযোগিতা, পারস্পরিক স্বার্থের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আফগানিস্তানের পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ কূটনীতিক সাইমন গাসের সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।
শের মোহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাইয়ের নেতৃত্বে তালিবান প্রতিনিধি দল দোহায় পাকিস্তান ও ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
]]>