Kali temple – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Tue, 26 Oct 2021 12:25:50 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Kali temple – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 ডোমের হাতে কালীমন্দিরে পূজো করতেন পর্তুগিজরা https://ekolkata24.com/offbeat-news/the-history-behind-portuguese-worshipped-kali-temple Tue, 26 Oct 2021 12:25:50 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9231 Special Correspondent : তিনি ডোম কিন্তু তিনি চিকিৎসকও। তাঁর হাতেই প্রাণ রক্ষা পেয়েছিল বসন্ত রোগে আক্রান্ত বহু ফিরিঙ্গি বা পর্তুগিজরা। তাঁদের পূজিত দেবী মন্দিরই আজ পরিচিত ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি।

দ্বিমত রয়েছে কিন্তু, গ্ৰহণযোগ্য দুটি তত্বই। দুভাবেই সত্য বৌবাজারের কালীমন্দিরের কালীর ফিরিঙ্গি রূপ নেওয়ার ইতিহাস। তবু গবেষকদের মধ্যেই দ্বিমত কলকাতার বৌবাজার ফিরিঙ্গি কালীমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা আসলে কে!

কিছু তথ্য পাওয়া যায় ‘কলিকাতা দর্পণ’ বইয়ে, রাধারমণ মিত্র লিখেছেন কটন সাহেব তাঁর বইতে লিখেছেন ‘শ্রীমন্ত ডোম নামে এক ব্যক্তি এই কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন৷তিনি তাঁর মৃত্যুসময় পর্যন্ত ৭০বছর ধরে এই কালীর পূজারীর কাজ করেন৷

শ্রীমন্ত ডোম এই অঞ্জলের বসন্ত রোগীদের চিকিৎসা করতেন৷মন্দিরের ভেতর কালীমূর্তির পাশেই এক শীতলার মূর্তি রাখা আছে৷ এই অঞ্চলের ফিরিঙ্গি বাসিন্দাদের মধ্যে শ্রীমন্ত ডোমের খুব খ্যাতি ও প্রতিপত্তি হয়৷ফিরিঙ্গিরা বসন্ত রোগ থেকে সেরে উঠলে কালীর কাছে পুজো পাঠিয়ে দিত৷সেইজন্য এই কালীর নাম হয় ফিরিঙ্গি কালী’৷

ম্যাককাচন সাহেব লিখেছেন এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠার সময় ৯০৪-৯০৫বঙ্গাব্দ,অর্থাৎ ইংরেজি ১৪৯৮ খ্রীস্টাব্দ৷ রাধারমন বাবু তাঁর বইয়ে লিখছেন অনেকের ধারনা এই কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি অথবা তাঁর ঠাকুরদা তিনিও আর এক অ্যান্টনি!যদিও কবিয়ালের ঠাকুরদা ছিলেন অ্যান্টনি বাগানের মালিক৷ অভিধানে ‘ফিরিঙ্গি’ মানে ইউরোপের বাসিন্দা বোঝানো হলেও আমরা অনেকেই মনে করি পুর্তুগিজরা আসলে ফিরিঙ্গি৷ ফিরিঙ্গি কালীবাড়িতে প্রতিষ্ঠিত কালীমূর্তিটি “শ্রীশ্রীসিদ্ধেশ্বরী কালীমাতা ঠাকুরানি” নামে পূজিত হয়।

১৪৩৭ খ্রিস্টাব্দে ভাগীরথী নদীর অদূরে একটি শ্মশানের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শিব ও কালিকার বিগ্রহ।মন্দিরের তখনও প্রতিষ্ঠা হয়নি। ফিরিঙ্গি কালীবাড়ির সঠিক প্রতিষ্ঠাকাল জানা যায় না। মন্দিরের সামনের দেওয়াল ফলকে লেখা আছে, “ওঁ শ্রীশ্রীসিদ্ধেশ্বরী কালীমাতা ঠাকুরাণী/ স্থাপিত ৯০৫ সাল, ফিরিঙ্গী কালী মন্দির”।

এর থেকে অনুমান করা হয়, মন্দিরটি ৯০৫ বঙ্গাব্দে স্থাপিত হয়েছিল।মন্দিরটি প্রথমে ছিল শিব মন্দির। ১৮২০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শ্রীমন্ত পণ্ডিত এই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ছিলেন।তিনি নিঃসন্তান হওয়ায় ১৮৮০ সালে শশিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৬০ টাকায় দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে মন্দিরটি বিক্রি করে দেন। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার এখনও মন্দিরের সেবায়েত।

ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি একটি চাঁদনি স্থাপত্যের মন্দির। এই মন্দিরের কালীমূর্তিটি মাটির তৈরি। এটি প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট লম্বা সবসনা ত্রিনয়না মূর্তি।কালীমূর্তি ছাড়াও মন্দিরে আছে শীতলা, মনসা, দুর্গা, শিব ও নারায়ণের মূর্তি। মন্দিরে প্রতি অমাবস্যায় কালীপূজা ও প্রতি পূর্ণিমায় সত্যনারায়ণ পূজা হয়।

]]>
নীল চাষ এবং বিশাল বটবৃক্ষের ছায়ায় ওপার বাংলায় লুকিয়ে ৩০০ বছরের কালী মন্দির https://ekolkata24.com/offbeat-news/300-year-old-kali-temple-hidden-in-bangladesh Mon, 25 Oct 2021 05:16:19 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9051 Special Correspondent: ওপার বাংলা বিপর্যস্ত মৌলবাদে। ভাঙা হচ্ছে মন্দির, মূর্তি। এসব অস্থিরতার মাঝেই ৩০০ বছরের ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে সেখানেই।

বাংলাদেশ ঢাকা বিভাগ নরসিংদী জেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা হাড়িধোয়া নদীর দক্ষিণ তীরে সদর থানার চিনিশপুর গ্রামে অবস্থিত এই মন্দির ছায়া সুনিবিড় নির্জন পরিবেশে গড়ে উঠেছে। কালীবাড়ীর মূল আকর্ষণ হচ্ছে প্রায় এক একর জমির উপর বেড়ে উঠা বিশালাকার বট বৃক্ষ। একসময় কালীবাড়ীর অদূরেই নীল কুঠি ছিল। বর্তমানে নীল কুঠির ভাঙ্গা ভিটা ও পরিত্যক্ত ইঁদারা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। নীলকর জেমস ওয়াইজের দেওয়ান রামকৃষ্ণ রায় বর্তমান মন্দিরটি নির্মাণ করেন।

আনুমানিক ১৭৬০ সালে এ মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। দ্বীজ রাম প্রসাদ নামী একজন বীর সাধক মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। কালীবাড়ী প্রতিষ্ঠাতা সাধক দ্বীজরাম প্রসাদ ‘চীন ক্রম’ নামের সাধন প্রণালীতে অভ্যস্ত ছিলেন। চীন ক্রম থেকেই চিনিশপুর গ্রামের নামকরণ হয়।

এই কালী বাড়িতে কোন প্রতিমা ছিল না, দেবালয়ের মধ্যভাগে একটি চতুস্কোন বেদী এবং বেদীর উপর কালিকা যন্ত্র আঁকা আর এই যন্ত্রেই দেবী মায়ের অধিষ্ঠান। যন্ত্রেই পূজা আরাধনা ভোগারতি প্রানের যত আকুতি মিনতি। কথিত আছে এই মন্দিরে কেউ থাকতে পারে না এবং ঐখানে নিশাকালে জপধ্যানে বসে কেউ জীবিত আসতে পারেনি ।চতুষ্সাধনায় সিদ্ব১০৮ শ্রী শ্রী নিগমানন্দ পরম হংস দেব তার চারজন অন্তরঙ্গ শিষ্য সহ উক্ত চিনিশপুর কালী দর্শনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেন।কালী বাড়ীর সেবায়েৎ চন্দ্রকিশোর চক্রবর্তী পরমহংস দেবকে বললেন এখানে রাত্রি যাপন করলে কেউ জীবিত ফেরত আসেনা। নিগমানন্দ পরমহংস দেব এই বিষয়ে তোমার না ভাবলে চলবে বলে সুদূর প্রত্যয়ে জানালেন।

kalibari

মধ্য যামিনী, ঘোর অন্ধকার নীশি রজনিতে পরমহংসদেব ইটের তৈরী ছোট্ট ঐমন্দিরে প্রবেশ করলেন। তার চার অন্তরঙ্গ শিষ্যকে চার দিকে পাহারায় নিযুক্ত করলেন যাতে কেউ উকি ঝুকি দিতে নাপারে। কারণ মায়ের সহিত তার লীলা যে দেখবে সে আর প্রানে বাঁচবে না। মন্দিরে ঢুকেই ঠাকুর দরজার বন্ধ করে দিলেন। আসনে বসে একটু ধ্যানস্থ হতেই ঠাকুর কারও উপস্থিতি অনুভব করল। চোখ মেলে দেখেন ১২/১৩ বৎসরের একটি মেয়ে তার বাম পা ঝুলিয়ে ও ডান পা তার বাম উরুতে রেখে বসে আছে, মুক্ত কেশী পরমাসুন্দরী লালচেলী পরা। অনিন্দ্য রুপের ঝলকে মন্দির প্রকোষ্ট আলোকিত। ঠাকুর ঐতনয়া রুপা মাকে তার কোলে বসতে বললেন। বলার সাথে সাথে মা এসে ঠাকুরের কোলে বসলেন, তাদের মধ্যে অনেক গুহ্য বিষয়ে আলাপ হল। তারপর ঠাকুর মাকে বললেন আমি এই পর্যন্ত যাদের ভার নিয়েছি ওপরে নেব, সেই আগত অনাগত সবার ভার তোমাকেও নিতে হবে তখন মা হেসে বলল আমিত নিয়েই আছি।

চিনিশপুর কালীবাড়ীটিকে মায়ের লীলাক্ষেত্রও বলা হয়। এখানে মা তার ভক্তদের সাথে অনেক লীলা করেছেন। যেমন কালীবাড়ীর পুকুরে হাত দেখিয়ে তার ভক্তকে বলেছিলেন দেখ তোর শাঁখা আমি হাতে পরেছি।

যতীন্দ্র মোহন রায়ের ‘ঢাকার ইতিহাস’ গ্রন্থে শ্রী শ্রী চিনিশপুর কালিবাড়ীটির ইতিহাস জানা যায়। ঔপনিবেশিক আমলে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন সমিতির কর্মকাণ্ড বিপ্লবী মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পরিচালিত হতো। তিনি নির্জন কালীবাড়ীতে বট বৃক্ষের নীচে বসে বিপ্লবীদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান, লাঠিখেলা, ছোড়াখেলা ও কুস্তিখেলার আয়োজন করতেন। বিপ্লবীরা মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে দেশমাতৃকার সদস্য হওয়ার জন্য জীবন বিসর্জন দেওয়ার দীক্ষা নিতেন।

তিনি নাটোরের মহারাজা রামকৃষ্ণ রায়ের জ্যেষ্ঠ ভাই ছিলেন। মহারাজা রামকৃষ্ণ দত্তক পুত্র হয়েও জমিদারির বিশাল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়ে যান। আর আপন পুত্র হয়েও দ্বিজরামকে তাঁর কৃপা ও ভিখারি হয়ে থাকতে হয়েছে। ঐ কারণেই তাঁর মনে সংসার ত্যাগ ও সমাজ বৈরাগ্যের জন্ম নেয়। এরপর তিনি দেবী অনুগ্রহ লাভ ও তাঁর আদেশপ্রাপ্ত হয়ে চিনিশপুরের জঙ্গল কীর্ণ পরিবেশে এসে আশ্রয় লাভ করেন। এখানকার বটবৃক্ষের নিচে দ্বিজরাম প্রসাদ পঞ্চমুণ্ডী আসন প্রস্তুত করে সেখানে বসেই ভগবানের কৃপা লাভের সাধন- ভজন শুরু করেন।

একপর্যায়ে বৈশাখ মাসের মঙ্গলবার অমাবস্যা তিথিতে তিনি সিদ্ধি লাভ করেন। সাধক দ্বিজরামের সিদ্ধিলাভের পর থেকে ঐ বটবৃক্ষটি হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে একটি তীর্থকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায়। প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত-দর্শনার্থী বটবৃক্ষের নিচে সাধু দর্শনে ভিড় করতে থাকেন। ফলে দ্বিজরাম ৩০০ বছর আগে তাঁর ইষ্ট দেবতার নামে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, যার মধ্যে স্থাপন করেন দক্ষিণা কালীর মূর্তি। তখন থেকেই চিনিশপুর কালীবাড়ি হিসেবে সারা ভারতবর্ষে পরিচিতি পায়। বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা গেছে, কালীবাড়ির বয়স ২৫০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। সে হিসাবে বটবৃক্ষের বয়স ৩০০ বছরের কম হবে না।

]]>