kanhiya Kumar – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 22 Oct 2021 09:50:50 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png kanhiya Kumar – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Bihar: কানাহাইয়াকে সামনে রেখেই কংগ্রেসের একলা লড়াই শুরু https://ekolkata24.com/uncategorized/congress-rjd-grand-alliance-broken-in-bihar Fri, 22 Oct 2021 09:50:50 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8670 নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস একলাই চলবে। উত্তর প্রদেশের মতো বিহারেও রিস্ক নিলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের হাত ছাড়ল কংগ্রেস। আগেও বেশ কয়েকবার দুই দল পরস্পর বিরোধী অবস্থানে গিয়েছে। ফের জোট হয়েছে

গত বিধানসভা ভোটের আগে বিহারে আরজেডি, কংগ্রেস ও বামেদের মহাজোট হয়। এই জোট সরকার গড়তে পারেনি। তবে কংগ্রেস জোটের তরফে লড়ে তেমন সফলতা পায়নি। মহাজোটের সিপিআই (এম এল) অভাবনীয় সফলতা পায়। দলনেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য দাবি করেন, কংগ্রেসকে বড়সড় আসন না ছেড়ে তাঁর দল ও বামেদের বেশি আসন বরাদ্দ করলে মহাজোট সরকার গড়ত। তখন থেকেই কংগ্রেস ও আরজেডির মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।

সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধীর নির্দেশে শুক্রবারই পাটনায় আসছেন কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার। সম্প্রতি সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। দল পরিবর্তনের পর এটাই তাঁর নিজ রাজ্যে কংগ্রেস নেতা হিসেবে আসা। বিহার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে কানহাইয়াকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মতভেদ। অনেকেই কানহাইয়াকে মানতে পারছেন না। সূত্রের খবর, কানহাইয়ার সঙ্গে আসছেন হার্দিক প্যাটেল।

বিহারে দুটি আসন তারাপুর ও কুশেশ্বরস্থানে উপনির্বাচন। প্রদেশ কংগ্রেস জানিয়েছে, দুটি আসনেই একলা লড়াই করবে দল। বিহার কংগ্রেসের নেতা ভক্তচরণ দাস জানান, মহাজোট থেকে বেরিয়ে এসেছে কংগ্রেস। তিনি আরও জানান, আগামী লোকসভা ভোটেও রাজ্যে ৪০টি আসনে একলা লড়বে কংগ্রেস।

]]>
Bihar: কানহাইয়াকে নিয়ে ‘ক্রাইসিস’, তীব্র শোরগোল কংগ্রেস ভবনে https://ekolkata24.com/uncategorized/bihar-congress-leaders-opposed-kanhiya-kumar-as-their-mouthpiece Wed, 29 Sep 2021 15:54:08 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6042 নিউজ ডেস্ক: পাটনায় সিপিআই (CPI) বিহার রাজ্য দফতর থেকে যে ছেলে এসি মেশিন খুলে আনতে পারে, সে ‘ডেঞ্জারাস’। তাকে কংগ্রেসের (INC) দায়িত্ব দেওয়া হলে বিদ্রোহ তুঙ্গে উঠবে এমনই বার্তা আসছে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) কাছে। সবের মূলে সদ্য সিপিআই (CPI) ত্যাগ করে কংগ্রেসে (INC) যোগ দেওয়া কানহাইয়া কুমার (Kanhiya Kumar)। সূত্রের খবর, তাঁকেই বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের বড় দায়িত্ব দিতে চলেছেন রাহুল গান্ধী।

কানহাইয়া কুমার বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হতে পারেন এমনই গুঞ্জন রটেছে পাটনার রাজনৈতিক মহলে। এর পর থেকেই বিদ্রোহের আগুন ধিকি ধিকি করে জ্বলতে শুরু করেছে। যদিও বিহার ও কেন্দ্রীয় সিপিআই নেতারা মনে করছেন, কংগ্রেসে যোগ দিয়ে রাজ্যসভায় যেতে চান কানহাইয়া। তাঁর পক্ষে কমিউনিস্ট পার্টির হয়ে দীর্ঘ সময় রাজনীতি চালানোর ধৈর্য্য নেই।

লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া অভিনেতা ও প্রাক্তন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা দলকে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। তাঁর দাবি, কী করে কানহাইয়াকে কংগ্রেসে স্থান দিলেন রাহুল গান্ধী। অভিযোগ, কানহাইয়াকে বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ দেওয়া হলে অনেকেই মানতে পারবেন না।

 kanhiya kumar with Rahul gandhi

এমনিতেই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ জট বিহারে প্রবল। বিধানসভা ভোটে আরজেডি (RJD) ও বামেদের সঙ্গে মহাজোট করেও তেমন কিছু সুবিধা হয়নি। বরং মহাজোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন (CPIML) বিরাট সফল হয়েছে। লিবারেশেনের অভিযোগ, কংগ্রেসকে বেশি আসন দেওয়ার থেকে বামেদের আসন দিলে মহাজোট সরকার গড়তে পারত। নির্বাচনে বিহারে বাম দলগুলি বিশেষ করে সিপিআই (এম-এল) একশ শতাংশের বেশি স্ট্রাইক রেট নিয়ে দেশে নজির গড়ে। বাকি দুই বাম দল সিপিআই (CPI) সিপিআইএম (CPIM) কিছু আসন পায়। মহাজোটের স্টার প্রচারক ছিলেন ততকালীন সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমার।

নির্বাচন পরবর্তী বিহারে মহাজোটের কংগ্রেস ম্রিয়মান। কোনঠাসা কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে সদ্য দলে আসা কানহাইয়া কুমারের মতো জনপ্রিয় মুখ ও বক্তাকে হাতিয়ার করতে চাইছেন রাহুল গান্ধী। মনে করা হচ্ছে তাঁর মূল লক্ষ্য আসন্ন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটে কানহাইয়াকে দিয়ে প্রচার। সূত্রের খবর, এআইসিসি ঠিক করেছে, পাটনার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে বড় পোর্টফোলিও দেওয়া হবে কানহাইয়া কুমারকে।

কানহাইয়া কংগ্রেসে সামিল হতেই কংগ্রেসের হয়ে জবরদস্ত ভাষণ দেওয়া শত্রুঘ্ন সিনহার হুঙ্কার শুরু হয়েছে। এর জেরে বিহার প্রদেশ কংগ্রেসে এখন পাঞ্জাবের মতো বিদ্রোহ পরিস্থিতি। পাটনা কংগ্রেস কার্যালয়ে বিদ্রোহী নেতাদের দাবি ‘নেহি চলেগা কানহাইয়া’। যাঁকে নিয়ে বিতর্ক সেই তুখোর বক্তা নীরব। তেমনই নীরব রাহুল গান্ধী।

]]>
Bihar: ‘আব কেয়া বানসুরি বাজয়াগা কানহাইয়া?’ বেগুসরাই উত্তাপহীন https://ekolkata24.com/uncategorized/bihar-after-kanhaiya-kumar-quits-cpi-said-no-effects-on-party Wed, 29 Sep 2021 06:15:15 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5919 নিউজ ডেস্ক: সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ব্রেকিং দেখেও চমকে যাচ্ছেনা বিহার (Bihar) তথা দেশের অন্যতম আলোচিত রাজনৈতিক এলাকা বেগুসরাই (Begusarai)। সিপিআই (CIP) জেলা কার্যালয়ে তেমন হেলদোল নেই। যে টেবিলে বসে রাজনৈতিক ঝড় তুলতেন কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar ) সেখানে গুটিকয়েক পুরনো পোড়খাওয়া নেতা বসে, আছে কিছু নতুন যুব কর্মী।

শুধু সিপিআই দলীয় দফতরের বাইরে একের পর এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা বাইক রেখে এক্সক্লুসিভ বাইট নিতে মরিয়া। এই সবের কেন্দ্রে কানহাইয়া কুমার, যিনি সদ্য কমিউনিস্ট পার্টি (CPI) ত্যাগ করে কংগ্রেসে (INC) যোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: Politics: নেহরু থেকে কানহাইয়া, কংগ্রেসের ‘বাম’ নেতারা বরাবর সুপারহিট

‘জিসকা যানা থা ওহ চলা গেয়া, কোই ফরক নেহি পড়তা। কানহাইয়া সে পহলে সিপিআই থা, উসকে বাদ ভি রহেগা।’ (যার যাওয়ার সে চলে গেছে। কানহাইয়ার আগেও সিপিআই ছিল, ওর পরেও থাকবে)। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সিপিআই বিহার রাজ্য পরিষদের নেতা তথা বেগুসরাই জেলা সম্পাদক অবধেশ রায়।

কানহাইয়ার সিপিআই ছেড়ে যাওয়া কেমন দেখছেন? অবধেশ রায় জানান, দু:খজনক ঘটনা। কানহাইয়া মার্কসবাদ থেকে সামন্ততান্ত্রিক পুঁজিবাদের পক্ষে গেলেন। তবে সিপিআই যে সমাজ পরিবর্তনের নীতি নিয়ে চলছে তেমনই চলবে।

বেগুসরাই এমন এক জায়গা, যেটি দীর্ঘ সময় ধরে বাম রাজনীতির কেল্লা বলে পরিচিত। বারবার এই কেন্দ্রে সিপিআই জয়ী হয়েছে। বারবার এখানে সিপিআই পরাজিত হয়েছে। বিহারের জমি ভিত্তিক আন্দোলন, জাতপাত ভিত্তিক রাজনীতির মধ্যে বেগুসরাই বিশেষ চিহ্নিত।

আরও পড়ুন: Explained: পঞ্জাব কংগ্রেস থেকে নভজ্যোৎ সিং সিধুর পদত্যাগের কারণ

সিপিআই জেলা সম্পাদক অবধেশ রায় জানান, কানহাইয়ার মতো নেতার কংগ্রেসে যোগদান সাময়িক ধাক্কা তো লাগছেই। তবে কানহাইয়া প্রথম নন, সিপিআইয়ের তাবড় নেতা চন্দ্রশেখর ছিলেন এই বেগুসরাইয়ের। তাঁর মৃত্যুর পর মনে করা হয়েছিল বেগুসরাই থেকে সিপিআই শেষ। তা আদৌ হয়নি। জবরদস্ত বিধায়ক ভোলা সিং সিপিআই ত্যাগ করেন। তাতেও দলের ক্ষতি হয়নি। কানহাইয়া কুমার আধুনিক সময়ের জ্বলন্ত নেতা হিসেবে উঠে এসেছিলেন সিপিআই থেকেই।
কানহাইয়ার সিপিআই ত্যাগ নিয়ে বেগুসরাই উত্তাপহীন। পথ চলতি অনেকেই সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, কানহাইয়া ঠিকই করেছে। কারণ, সিপিআই বেগুসরাইতে শক্তিশালী, কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে লড়াই করতে কংগ্রেসের মতো দল জরুরি।

কারোর কটাক্ষ, আব কেয়া বানসুরি বাজায়েগা কানহাইয়া ? (এবার কি বাঁশি বাজাবেন কানহাইয়া)। কেউ বলছেন, কমিউনিস্ট পার্টি থেকে কংগ্রেসে গেলেন, এর পর তিনি কোথায় যাবেন?

বেগুসরাই নিরুত্তাপ। তবে কেন্দ্রীয় রাজনীতি সরগরম। কানহাইয়া কুমার দলত্যাগের কথা জানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সিপিআই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার কাছে চিঠি দেন। ডি রাজা জানিয়েছেন, সে চলে গেছে। দল লড়াইয়ে থাকবে।

বেগুসরাই কেন্দ্রে বামেরা বরাবর সাংগঠনিক শক্তিশালী। বেশ কয়েকবার এই বিধানসভা থেকে সিপিআই(CPI) ও সিপিআইএম (CPIM) জয়ী হয়েছে। এই লোকসভা কেন্দ্রেও দুবার জয়ী সিপিআই।

তবে বেগুসরাই সর্বাধিক আলোচিত হয়েছে জেএনইউ (JNU) বাম ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমারের দুরন্ত ভাষণ, ছাত্র সংসদের সভাপতি হিসেবে তার বিতর্কিত ‘দেশবিরোধী’ মামলায় জড়িয়ে যাওয়া ও জামিন ঘিরে। কানহাইয়া এক ঝটকায় সর্বভারতীয় সিপিআই নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। গত লোকসভা ভোটে বেগুসরাই কেন্দ্রে বিজেপির (BJP) গিরিরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে লড়েন। বিপুল প্রচার হলেও কানহাইয়া পরাজিত হন। এখন তিনি রাহুল গান্ধীর যুব ব্রিগেডের অন্যতম নেতা।

]]>
Politics: নেহরু থেকে কানহাইয়া, কংগ্রেসের ‘বাম’ নেতারা বরাবর সুপারহিট https://ekolkata24.com/offbeat-news/communist-leader-kanhiya-kumar-joins-national-congress Tue, 28 Sep 2021 13:59:38 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5876 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: সুভাষবাবু কংগ্রেস ত্যাগ করে যেদিন ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করলেন সেদিনই ইতিহাসের কিছু নির্দেশ লেখা হয়ে ছিল। কংগ্রেসের প্রথম বড় ধাক্কা কিন্তু সুভাষচন্দ্র বসুর দলত্যাগ। ভারতীয় রাজনীতির দলত্যাগের এই নজির এখনও সমান জ্বলজ্বলে।  সুভাষবাবু বামপন্থী ছিলেন, তাঁর দলের পতাকা, নীতি আদর্শের দিকটি স্পষ্ট। কংগ্রেস তাহলে কী?

কংগ্রেস তখনও বৃহত্তম রাজনৈতিক মঞ্চ, এখনও। জাতীয় কংগ্রেস বকলমে ইন্দিরা কংগ্রেস বহুধা বিভক্ত হয়েছে, জুড়েছে। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির ইতিহাসের গর্ভগৃহ হিসেবে কংগ্রেসকে অস্বীকার করা যাবেনা। তবে কংগ্রেস ঘোষিত দক্ষিণপন্থী দল। আবার এই দলে বাম মনস্কদের সমাহার কম নয়। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (CPI) ত্যাগ করে জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া কুমার। কংগ্রেসের আদর্শে এখন তিনি চলবেন। যে কংগ্রেস জওহরলাল নেহরুর মতো সমাজতান্ত্রিক নেতা ছিলেন, সেই কংগ্রেসে সামিল আধুনিক ভারতের সমাজতান্ত্রিক তথা কমিউনিস্ট নেতা কানহাইয়া কুমার। কানহাইয়ার দলত্যাগ ভারতের অন্যতম কমিউনিস্ট মনোভাবাপন্ন বিপ্লবী নেতা ভগত সিংয়ের জন্মদিনেই। তবে দলীয় পতাকার রং পাল্টে গেল। সিপিআই জাতীয় পরিষদ, বিহার রাজ্য পরিষদের নেতারা জানতেন কানহাইয়া যাচ্ছেন। বস্তুতপক্ষে সিপিআই কেন্দ্রীয় নেতাদের কিছুই করার ছিলনা। কানহাইয়ার মতো প্রবল জনপ্রিয়, তার্কিক নেতার কাছে দলের বাকি নেতারা তুচ্ছ তা স্পষ্ট হয়েছে মোদী জমানাতেই।

কানহাইয়া কুমারের সিপিআই ত্যাগ ইতিহাসের কয়েকটি দিক ফের দেখতে বাধ্য করছে। জাতীয় কংগ্রেসের সমাজতান্ত্রিক ও বাম মনস্ক নেতার অন্যতম নেহরু। বস্তুত নেহরু প্রায় ঘোষিত বাম ঘেঁষা নেতা ছিলেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমাজতান্ত্রিক শিবিরের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ। সেই প্রভাবে দেশের শিল্প পরিকাঠামো গড়া, কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে চলা সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্যে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।

নেহরু পরবর্তী ইন্দিরা জমানায় কংগ্রেসের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত। বাবার পথেই দেশীয় শিল্প, আর্থিক কাঠামোর জাতীয়করণে ইন্দিরা পুরোপুরি সোভিয়েত অনুগামী হন।  নেহরু-ইন্দিরার পরিচিত ও বন্ধুবলয়টি আরও লাল তারকা খচিত। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এম এন রায়, কমিউনিস্ট মার্কসবাদী নেতা জ্যোতি বসু, এস এ ডাঙ্গে, মোহন কুমারমঙ্গলম, ভূপেশ গুপ্ত, অজয় ঘোষ, পার্বতী কৃষ্ণান-কে নেই। একেবারে লাল তারার ঘেরাটোপে থেকেও নিজের মতো ছিলেন পিতা-পুত্রী।

১৯৬২ সালে ভারত-চিন সংঘর্ষের পর সিপিআই ভেঙে ১৯৬৪ সালে সিপিআইএম তৈরি হয়। নেহরু পরবর্তী জমানায় ক্ষমতা ধরে রাখতে সিপিআইএমের(CPIM) সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে সরাসরি সংঘর্ষে গেলেও সিপিআইয়ের(CPI) সঙ্গে কংগ্রেসের সংযোগ ছিল নিবিড়। সে কারণেই ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের জরুরি অবস্থা ঘোষণাকে সমর্থন করে সিপিআই। পরে অবস্থান বদলেছে এই দলটি। জরুরি অবস্থার বিরোধী নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ কংগ্রেসের মধ্যে চরম সমাজতান্ত্রিক নেতা ছিলেন। পরে তিনিই দেশের প্রথম অ-কংগ্রেসি সরকার গঠনের রূপকার হন।

জরুরি অবস্থার সময় দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় ছাত্র বর্তমান সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনিও কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ। আর মোদী জমানাকে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ বলা জেএনইউ প্রাক্তনী কানহাইয়া কুমার এখন বৃহত্তর মোদী বিরোধী মঞ্চ কংগ্রেসে সামিল। কংগ্রেসের অন্যতম আলোচিত নেতা মনিশংকর আইয়ার তাঁর বাম নীতির জন্য আলোচিত। যতটা আলোচিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁর মার্কসীয় অর্থনীতির জন্য। এরা সবাই কংগ্রেসের ‘বামপক্ষ’।

সেই তালিকায় আরও এক তুখোড় ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার এলেন। কংগ্রেসের ভাষণ দেওয়া নেতার অভাব মিটল। ক্ষয়িষ্ণু সিপিআই-তে থেকে মোদীর মুখোমুখি হওয়া আর কংগ্রেসে গিয়ে সর্বভারতীয় স্তরে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার মধ্যে বিরাট পার্থক্য। যারা ময়দানি রাজনীতি করেন তারা জানেন বড় দলে খেলার সুবিধা। জার্সি বদলে সেই সুবিধা নিলেন কংগ্রেসের কমিউনিস্ট নেতা কানহাইয়া কুমার।

]]>