জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপত্যকার পাঠানচক এলাকায় জঙ্গি ও যৌথ বাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়। সেই সময়ই গুলিতে ৩ জঙ্গি খতম হয়। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ এখনও এলাকা ঘিরে রেখেছে। আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে আছে কিনা দেখতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
আহত পুলিশকর্মী ও জওয়ানকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মৃত জঙ্গিদের মধ্যে ১ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তার নাম সোহেল আহমেদ রাঠের। সে জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য ছিল। বাকি ২ জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, বুধবার নওগাম এবং কুলগামে যৌথ বাহিনী এনকাউন্টারে ৬ জেহাদিকে খতম করেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাত থেকে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান শুরু করে কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনার যৌথ বাহিনী। মূলত নওগাম এবং কুলগামের বিভিন্ন এলাকায় এই তল্লাশি চালানো হয়। তাতে সব মিলিয়ে ৬ জন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি নিকেশ হয় বলে খবর। এই ৬ জেহাদির মধ্যে ২ জন আবার পাক নাগরিক।
]]>কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাতে অনন্তনাগের (Annatanag) শ্রীগুফওয়ারা এলাকায় গুলির লড়াই শুরু হয়। সেই এনকাউন্টারে নিহত হয় এক জঙ্গি । উদ্ধার হয় বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র। যা দেখে গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, পর্যটনের মরসুমে ভূস্বর্গে বড়সড় নাশকতার ছক ছিল। নিহত জঙ্গির পরিচয় সামনে আসতে ঘুম উড়েছে যৌথবাহিনীর।
#AnantnagEncounterUpdate: Neutralised #terrorist identified as Faheem Bhat of Kadipora #Anantnag. He has recently joined #terror outfit ISJK and was involved in killing of Martyr ASI Mohd Ashraf, who was posted at PS Bijbehara: IGP Kashmir@JmuKmrPolice https://t.co/0zSnVKBufu
— Kashmir Zone Police (@KashmirPolice) December 25, 2021
জানা গিয়েছে, কাদিপোরা এলাকার বাসিন্দা ফাহিম কিছুদিন আগেই জঙ্গিি ইসলামিক স্টেটের শাখা সংগঠন ISJK-তে যোগ দিয়েছিল। সে আইএস-এর সদস্য। সম্প্রতি এক জঙ্গি হামলায় বিজবেহরা থানার জঙ্গি এএসআই মহম্মদ আশরাফ শহিদ হন। তাঁর মৃত্যুর পিছনে ফাহিমের হাত ছিল বলেই কাশ্মীরের পুলিশ দাবি করেছেন।
<
p style=”text-align: justify;”>এছাড়াও বড়দিনে কাশ্মীরে ৩টি আলাদা আলাদা এনকাউন্টারে মোট ৫ জঙ্গি খতম হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন আনসার গজওয়াত উল হিন্দের সদস্য। অন্য ২ জন লস্কর-ই-তইবার সদস্য।
]]>কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার অনন্তনাগ জেলায় বিজবেহারা থানার পুলিশ আধিকারিক মহম্মদ আশরফের উপর জঙ্গিরা হামলা চালায়। তাঁর শরীরে একাধিক গুলি লাগে। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসবাদীরা পালিয়ে যায়। তড়িঘড়ি ওই পুলিশকর্মীকে শ্রীনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
এদিকে, শ্রীনগরেও হানা দেয় জেহাদিরা। শহরের সফকদল থানার অন্তর্গত ইদগাহ এলাকার মেরজনপোরায় এক ব্যক্তির উপর এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি করে সন্ত্রাসবাদীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রউফ আহমেদ নামের ওই ব্যক্তির। হামলাকারীদের সন্ধানে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে জঙ্গিহানায় শহিদ হয়েছেন ২ পুলিশ কর্মী। জখম হন অন্তত ১২ জন। এরপর থেকেই আরও জোরদার হয়েছে কাশ্মীরের জঙ্গিদমন অভিযান।
]]>Terrorists fired upon a civilian namely Rouf Ahmad at Merjanpora, Eidgah, PS Safakadal in Srinagar. The injured was shifted to SMHS hospital where he was declared dead. Case registered, investigation going on: Kashmir Zone Police
— ANI (@ANI) December 22, 2021
কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর মেলে শ্রীনগরের (Srinagar) হারওয়ান অঞ্চলে কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে আছে। জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়েই রবিবার ভোর রাতে সেনা ও পুলিশের এক যৌথবাহিনী অভিযানে নামে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। জঙ্গিরা গুলি চালাতে চালাতে পিছনের দিকে সরে যাওয়ার চষ্টা করে। কিন্তু তারা সেই সুযোগ পায়নি।
কারণ গোটা এলাকাটি ঘিরে রেখেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। বেশ কিছুক্ষণ ধরে উভয় পক্ষের গুলির লড়াই চলে। গুলি বিনিময় থামলে এলাকায় তল্লাশি শুরু করে বাহিনীর সদস্যরা। সে সময় এক জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত জঙ্গি জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাহিনীর অনুমান এলাকায় আরও কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে আছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে, গোটা এলাকা ঘিরে রেখে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ প্রতিনিধি দল তল্লাশি চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর উপর বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। অগাস্ট মাসে তালিবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, কাশ্মীরে জঙ্গিদের সক্রিয়তা বাড়বে। সেই আশঙ্কা মিলিয়ে দিয়ে ভূস্বর্গে জঙ্গিদের কার্যকলাপ অনেকটাই বেড়েছে। সম্প্রতি শ্রীনগরে পুলিশের বাসে জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছেন তিন পুলিশ কর্মী। আহত হয়েছেন আরো ১৪ জন। এই হামলার পর উপত্যাকায় জুড়ে জোরকদমে শুরু হয়েছে জঙ্গি দমন অভিযান। সেই অভিযানে রবিবার সাফল্য মিলল।
]]>মৃত তিন জঙ্গি হল আমির রিয়াজ (amir riyaj), শিরাজ মোলভি (siraj molvi) এবং ইওয়ার ভাট (ewar bhat)। রিয়াজ মুজাহিদিন গাজওয়াতুল হিন্দ নামে এক জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। মৃত তিনজনের মধ্যে শিরাজ হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার। অপরজন সাধারণ সদস্য
পুলিশ কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কুলগামের চাওয়ালগামে (chawalgam) তল্লাশি অভিযান চালায় সিআরপিএফ (crpf) ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। রাতভর প্রবল সংঘর্ষের পর শুক্রবার ভোরে তিন সন্ত্রাসবাদী খতম হয়। মৃত তিন জঙ্গির মধ্যে রিয়াজ লেথপোড়ায় সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। অন্যদিকে শিরাজ মোলভি কাশ্মীরে একাধিক খুনের ঘটনায় যুক্ত। শিরাজ হিজবুল মুজাহিদিনের জেলা কমান্ডার ছিল। শিরাজের কাজছিল জঙ্গি সংগঠনের জন্য সদস্য সংগ্রহ করা। শিরাজের মৃত্যুতে কুলগাম (kulgam) জেলায় হিজবুলের (hijbul) সংগঠন বড় ধাক্কা খেল বলে মনে করছে নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমান, এখনও ওই এলাকায় বেশ কিছু জঙ্গি আত্মগোপন করে আছে তাই গোটা এলাকা জুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি।
সম্প্রতি কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীরা তাদের পরিকল্পনায় কিছুটা বদল আনে। নিরাপত্তা বাহিনীর বদলে তারা সাধারণ মানুষকে নিশানা করতে শুরু করে। বিশেষত অকাশ্মীরি ও পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বেশি করে আঘাত হানতে শুরু করে জঙ্গিরা। এ ঘটনায় গত এক মাসে ১২ জন অকাশ্মীরির মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গিদের এই পরিকল্পনা কেন্দ্রকে নতুন করে উদ্বেগে ফেলে। তাই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বড়সড় তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। সেই তল্লাশি অভিযানেই মিলল সাফল্য। ইতিমধ্যেই কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। আসন্ন শীতের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ শীতের আগে পাকিস্তানের দিক থেকে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে।
কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার (bijay kumar) জানিয়েছেন, শিরাজের মৃত্যু নিরাপত্তা বাহিনীর বড় সাফল্য। জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
]]>পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সকালে ওই মিনি বাসটি থাতরি থেকে ডোডা যাচ্ছিল। সুই গোয়ারের কাছে একটি মোড় ঘুরতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি খাদের মধ্যে উল্টে পড়ে। প্রবল শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল। কিন্তু বাসটি বেশ কয়েকশো ফুট নিচে পড়ে যাওয়ায় তোলা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই খবর দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে। সেনাবাহিনীর জওয়ানরা আসার পরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। উদ্ধারকারী দল বাসটি থেকে একে একে যাত্রীদের উদ্ধার করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৯ জনকে। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কী কারণে বাসটি হঠাৎই খাদে গড়িয়ে পড়ল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশ মনে করছে পাহাড়ের বাঁক ঘুরতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিলেন।
এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মৃতদের পরিবারের প্রতি শোক জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী টুইট করেন, জম্মু-কাশ্মীরের থাতরি-ডোডা রোডে দুর্ঘটনার খবরে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। এই কঠিন সময়ে আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। মৃতদের পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য করবে সরকার। একই সঙ্গে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী এক নির্দেশে আহতদের চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি নিহত ও আহতদের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ দিনের দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মাথাপিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। দুর্ঘটনার খবরে শোক প্রকাশ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। জেলা প্রশাসনকে যত শীঘ্র সম্ভব উদ্ধারকাজ শেষ করার জন্য পরামর্শ দেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংও এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আহতদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন মন্ত্রী।
]]>সম্প্রতি অনুপ্রবেশকারী এক পাক জঙ্গি ধরা পড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে। ধৃত জঙ্গিকে জেরা করেই নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদের গোপন ডেরার হদিশ পায় বলে মনে করা হচ্ছে। ওই পাক জঙ্গিকে নিয়েই গত কয়েকদিন বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই তল্লাশি অভিযান চালাতে বুধবার ভোরে দুরিয়ান ভাট্টির জঙ্গলে গিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। জওয়ানদের উপস্থিতি টের পেয়েই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। উভয়পক্ষের এই সংঘর্ষে এক পুলিশ কর্মী ও এক জওয়ান জখম হন। একই সঙ্গে গুলিতে জখম হয় এক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি। কিন্তু গুলির লড়াই চলায় আহত ওই জঙ্গিকে উদ্ধার করতে পারেনি সেনাবাহিনী। পরে ওই জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম জিয়া মুস্তাফা।
সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বেশ কয়েক ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর বন্ধ হয় গুলির লড়াই। গুলির লড়াই বন্ধ হলে জঙ্গলের ভেতর জঙ্গিদের একটি গোপন ঘাঁটি থেকে পাঁচটি অ্যাসাল্ট রাইফেল, ৩৫ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, দুটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়।
একই সঙ্গে ওই গোপন গুহা থেকে মেলে কম্বল, শুকনো খাবার, বিস্কুট, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও একাধিক জুতো। নিরাপত্তা বাহিনীর আশঙ্কা, জঙ্গিরা গভীর জঙ্গলের মধ্যে ঘাঁটি গেড়েছিল। সে কারণেই তারা খাবার-দাবার, ওষুধ মজুত করেছিল। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা ঘন জঙ্গলের ভিতর পালিয়ে যায়। ওই জঙ্গলে জঙ্গিদের সন্ধানে জোরদার চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।
সেনার এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই জঙ্গলের মধ্যে যে সমস্ত গুহা ছিল সেগুলি সবই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকা থেকে ১২ জন বাসিন্দাকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জঙ্গিদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে। নিরাপত্তা বাহিনী আরও জানিয়েছে ওই এলাকার বাসিন্দারা জঙ্গিদের আশ্রয় এবং নানা গোপন তথ্য দিয়ে সাহায্য করতো। কিন্তু বাসিন্দারা এই অভিযোগ মেনে নিলেও জানিয়েছেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় এই কাজ করতেন না। জঙ্গিরা তাঁদের প্রাণের ভয় দেখিয়েই এ ধরনের কাজ করতে বাধ্য করতো। তবে ধৃত ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পরই রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলা দিয়ে পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের সংখ্যা বেড়েছে। এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে খতম করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত ১৫ দিন ধরে গোটা ভূস্বর্গেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চলছে জোরদার তল্লাশি।
জানা গিয়েছে, কাশ্মীর পুলিশ দুটি আলাদা ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশদ্রোহীতার দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে। তবে এই মামলাতে নির্দিষ্ট করে কোনও পড়ুয়ার নাম উল্লেখ করা হয়নি। ওই দুই মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে থাকা সব ছাত্রের নামেই মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে। শ্রীনগরের সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং সৌরা অঞ্চলের এসকেআইএমএস মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে রবিবার চিকিৎসক পড়ুয়ারা টেলিভিশনে ভারত-পাকিস্তানের খেলা দেখছিলেন। ওই খেলায় শেষ পর্যন্ত পর্যুদস্ত হয় ভারত। পাকিস্তানের জয়ের পর আনন্দে মেতে ওঠে ওই দুই হস্টেলের আবাসিকরা। অভিযোগ, শুধু উল্লাস করাই নয়, ওই ছাত্ররা ভারত বিরোধী স্লোগানও দেয়।
এই মামলায় জড়িত হিসেবে যে সমস্ত ছাত্রকে চিহ্নিত করা হবে একই সঙ্গে এই মামলায় আর যাদের নাম যোগ হবে ভবিষ্যতে তারা কখনও ভারত সরকার এবং জম্মু-কাশ্মীর সরকারের কোনও সরকারি চিকিৎসক বা অন্য কোনও পদে চাকরির আবেদন করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, এর আগে খেলার দিন পাঞ্জাবে সাংরুর ভাই গুরুদাস ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজেও উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল। সেখানেও ভারত-পাক ম্যাচ শেষ হওয়ার পর কিছু কাশ্মীরি ছাত্রের উপর হামলা হয়েছিল। হামলাকারীরা ছিল উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের পড়ুয়া। তবে ওই হামলার ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ আক্রান্তদের আশ্বাস দিয়েছে, তারা পুরো ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়েই খতিয়ে দেখবে। ওই হামলার ঘটনায় ছয়জন কাশ্মীরি ছাত্র জখম হয়েছিলেন।
]]>তিন দিনের সফরের প্রথম দিনে শ্রীনগর থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবার উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিনই তাঁর জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। এই বৈঠকে কাশ্মীরে জঙ্গিদের সক্রিয়তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করবেন। উপত্যকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের হাল-হকিকত সম্পর্কেও আলোচনা করবেন অমিত শাহ।
২০১৯ সালের জুন মাসে শেষবার কাশ্মীরে এসেছিলেন শাহ। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছিলেন, শ্রীনগর থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান চালু করার চেষ্টা চলছে। শ্রীনগর বিমানবন্দরের আয়তন দ্বিগুণ বাড়ানোর কাজ চলছে। এই বিমানবন্দরের উন্নয়নের জন্য সরকার দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করবে। জম্মু বিমানবন্দরের সংস্কার ও উন্নয়নে সরকার খরচ করবে ৬০০ কোটি টাকা।
ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনার শ্রীনগর বিমানবন্দরের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখেছেন। সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি বিস্তারিত কথা বলেছেন।
এদিকে শাহর সফরের জন্য গোটা কাশ্মীর উপত্যকা কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে। উপত্যকায় অতিরিক্ত ২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। আকাশপথে ও ড্রোনের মাধ্যমে চলছে নজরদারি। নিয়োগ করা হয়েছে দক্ষ স্নাইপার ও সার্প শ্যুটারদের। তিনদিনের সফরে শাহ প্রথমে যাচ্ছেন শ্রীনগর। তারপর তিনি জম্মুতে যাবেন। জম্মু থেকেই তিনি দিল্লি ফিরবেন।
বিমানবন্দর উদ্বোধনের পাশাপাশি উধমপুর এবং হান্দওয়ারায় দুটি নতুন সরকারি মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করতে চায় নরেন্দ্র মোদী সরকার। সে কারণেই মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবার সূচনা করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
]]>এই তল্লাশি অভিযানে পাওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে পাক মদতপুষ্ট এক জঙ্গি কাশ্মীরি জঙ্গিদের রীতিমত অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। কাশ্মীরে নাশকতার পিছনে যে পাকিস্তানের হাত রয়েছে তা স্পষ্ট প্রমাণ হল এই ভিডিয়োয়।
এই মুহূর্তে মূলত অকাশ্মীরিদের নিশানা করেছে জঙ্গিরা। ১৫ দিনের মধ্যে জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছে প্রায় ১১ জন ভিন রাজ্যের শ্রমিকের। এরপরই প্রবল আতঙ্কের কারণে ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, জেহাদি প্রচারপত্র, পোস্টার, বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র। ধৃতরা মূলত অস্ত্র, খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে দিত। ভারতীয় সেনা বারবার অভিযোগ করেছে, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরাই কাশ্মীরে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ভূস্বর্গে সাম্প্রতিক নাশকতামূলক ঘটনার পিছনে রয়েছে পাক মদত। পাক জঙ্গিরাই যে ভারতীয় জঙ্গিদের উস্কানি দিচ্ছে, তার প্রমাণ মিলল এই ভিডিয়োতে।
সম্প্রতি ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে এক পাক জঙ্গি কাশ্মীরি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সম্প্রতি এনআইএর তল্লাশি অভিযানে ধৃত এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি মোবাইল পাওয়া যায়। সেই মোবাইলেই ওই ভিডিয়োটি ছিল।
যে ব্যক্তির কাছ থেকে এই মোবাইলটি পাওয়া গিয়েছে তার নাম আরিফ। আরিফের মোবাইলে থাকা ভিডিয়োতে যে ব্যক্তিকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিতে দেখা গিয়েছে সে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। ওই ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক। এনআইএ তল্লাশি অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শনিবার ৩ দিনের সফরে জম্মু-কাশ্মীর আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের চোখে গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। বৈঠক করবেন সেনাকর্তা থেকে শুরু করে রাজ্য প্রশাসনের বিভিন্ন শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে। কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত সোমবার কাশ্মীর নিয়ে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে ও বিস্তারিত জানিয়েছেন। কাশ্মীরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সম্প্রতি এই রাজ্যে সেনা সংখ্যাও প্রচুর বাড়ানো হয়েছে। গোটা উপত্যকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবত করা হয়েছে। শীতের আগেই ভূস্বর্গে আরি ২৫ কোম্পানি সেনা পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
]]>আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পর থেকেই ভূস্বর্গে জঙ্গি হামলা বেড়েছে। জঙ্গিদের প্রতিরোধ করতে পুলিশ, সেনাবাহিনীর তরফেও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। ১৬ অক্টোবর পুঞ্চের মেনধার এলাকায় নারখাস জঙ্গলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযানে গুলির লড়াইয়ে সুবেদার অজয় সিং ও নায়েক হরেন্দ্র সিং শহিদ হন। ১৫ অক্টোবর বিক্রম সিং নেগি ও যোগম্বর সিং নামে আরও দুই জওয়ান শহিদ
১১ অক্টোবর পুঞ্চে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার ও চার জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। মৃত জওয়ানরা হলেন নাইব সুবেদার যশবিন্দর সিং, নায়েক মনদীপ সিং, সরজ সিং, গজ্জন সিং ও বৈশাখ এইচ। এদের মধ্যে জুনিয়র কমিশনড অফিসার ও অপর এক জওয়ানের দেহ প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়। এই সমস্ত শহিদ সেনাদের মৃত্যুর দায় স্বীকার করল পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট নামে এক নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী। একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে এই জঙ্গি সংগঠনটি জানিয়েছে, তারাই সেনা জওয়ানদের হত্যা করেছে। ওই ভিডিয়োতে নতুন এক জঙ্গি সংগঠন বলে নিজেদের পরিচয় দেয় পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট।
এদিকে ভূস্বর্গে জঙ্গিদের সক্রিয়তা বাড়ায় সেনাবাহিনীর তরফে পুঞ্চ ও রাজৌরি জুড়ে ব্যপক তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে। ধৃতেরা জঙ্গিদের আশ্রয় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর পাচার করতে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি পাঞ্জাবে ভারত-পাক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হল বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র। বুধবার বিএসএফ এবং পাঞ্জাব পুলিশের যৌথ অভিযানে চালিয়ে এই অস্ত্র উদ্ধার করে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিএসএফ এবং পাঞ্জাব পুলিশের এক যৌথ প্রতিনিধি দল বুধবার সকালে ভারত-পাক সীমান্তের তরন তারন জেলার খেমাকরণ এলাকায় অভিযান চালায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে ২২টি পিস্তল, ৪৪টি ম্যাগাজিন এবং ১০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে বিপুল পরিমাণ মাদকও। ১ কেজির বেশি হেরোইন মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশের অনুমান, ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে এদেশে অস্ত্র ও মাদক পাঠানো হয়েছিল। স্থানীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই অস্ত্র পৌঁছে যেত জঙ্গিদের হাতে। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে ওই সব অস্ত্রের নাগাল পায়নি জঙ্গিরা। এই মুহূর্তে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের লক্ষ হল, ভারতে বড়সড় নাশকতা চালানো। কিন্তু গোয়েন্দাদের তৎপরতায় নাশকতা চালানোর সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেল।
]]>সম্প্রতি কাশ্মীরে জঙ্গিদের সক্রিয়তা অনেক বেড়েছে। বর্তমানে ভূস্বর্গে সাধারণ নিরীহ মানুষকে নিশানা করছে জঙ্গিরা। বিশেষ করে ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের তারা একের পর এক খুন করে চলেছে। গত ১০ দিনে উপত্যকার পরিস্থিতি এতটাই অবনতি হয়েছে যে, পরিযায়ীদের শ্রমিকরা সকলেই প্রাণ বাঁচাতে ঘরে ফিরতে উদ্যোগী হয়েছেন।
জঙ্গি গোষ্ঠীর মুখপত্রে একটি ছবি ছাপা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে এক হকারকে পিছন থেকে গুলি করে খুন করা হচ্ছে। ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘ উই আর কামিং’। উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে জঙ্গি সংগঠনটি ভারতে তাদের মুখপত্র ‘ভয়েস অফ হিন্দ’ প্রকাশ করছে। গত এক বছরে ভারতে আইএস খোরাসান জঙ্গিগোষ্ঠীর সংগঠন যথেষ্টই বেড়েছে।
এরই মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল বলেছেন, তাঁর আমলে জঙ্গিরা শ্রীনগরের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে আসার সাহস পেত না। তিনি যখন কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন সে সময় পাথর ছোড়ার ঘটনা না ভাবাই যেত না। কোনও জঙ্গির হাতে কারও মৃত্যু হত না। কিন্তু এখন সেখানে জঙ্গিরা প্রকাশ্যেই নিরীহ মানুষকে খুন করছে। কাশ্মীরে যেভাবে ভিন রাজ্যের নিরীহ মানুষ একের পর এক খুন হচ্ছেন তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অগাস্ট থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন সত্যপাল। তাঁর সময়ে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার
আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পর কাশ্মীরে জঙ্গিদের সক্রিয়তা বেশ বেড়েছে। একদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়মিত সেনা বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। অন্যদিকে কাশ্মীরের খুন করা হচ্ছে নিরীহ মানুষকে। গত ১০ দিনে কাশ্মীরে ১১ জন খুন হয়েছেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভিন রাজ্যের শ্রমিক। এই অবস্থায় আইএসকের এই হুমকিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই জঙ্গি গোষ্ঠীর মোকাবিলা করতে তাই নিরাপত্তা বাহিনীকে আরো সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুধু সেনাবাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশকেও আরও সতর্ক ও সক্রিয় হওয়ার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
]]>শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের হাতে খুন হওয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই ভিন রাজ্য থেকে কাশ্মীরে এসেছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় কুলগামের ওয়ানপোহ এলাকায় আচমকাই ভিন রাজ্যের কয়েকজন শ্রমিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। একজন গুরুতর জখম হয়েছেন। হতাহতেরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা।
এর আগে শুক্রবার শ্রীনগরে এক বিহারী ফুচকা বিক্রেতাকে গুলি করে মেরে ছিল জঙ্গিরা। পাশাপাশি পুলওয়ামায় উত্তরপ্রদেশের এক কাঠমিস্ত্রিও জঙ্গিদের হাতে খুন হয়। এ দিনের ঘটনার পর এক বিশাল পুলিশবাহিনী ও সেনা ঘটনাস্থলে গিয়েছে। গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি।
ঘটনার জেরে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কাশ্মীর পুলিশ। উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় থাকা শ্রমিকদের অবিলম্বে সেনা ছাউনি, সিআরপিএফ ক্যাম্প বা স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে শ্রমিকদের স্থানীয় থানা বা সেনা শিবিরে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কাশ্মীরে ‘হরকত ৩১৩’ নামে এক নতুন জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। কাশ্মীরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এই জঙ্গিগোষ্ঠী, এমনটাই দাবি গোয়েন্দাবাহিনীর। গত কয়েকদিন ধরে কাশ্মীরে নিরীহ মানুষ খুনের ঘটনায় জড়িত রয়েছে হরকত ৩১৩। এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে সরাসরি হাক্কানী গোষ্ঠীর সদরদফতর মিরানশাহ থেকে পরিচালনা করা হয় বলে গোয়েন্দাদের ধারণা। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর উপর বিশেষ প্রভাব রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ইলিয়াস কাশ্মীরির।
পাশাপাশি এই জঙ্গিগোষ্ঠীর পিছনে পুরোদস্তুর মত রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। তবে আইএসআই সরাসরি নয়, তালিবানের মাধ্যমে হরকত ৩১৩ জঙ্গিগোষ্ঠীকে সব ধরনের মদত জুগিয়ে চলেছে। তাদের মূল লক্ষ্য হল কাশ্মীর-সহ গোটা ভারতে হরকতকে- ৩১৩ কে দিয়ে নাশকতা চালানো। এর মূল উদ্দেশ্য হল, ভারতীয় সেনাদের বিভিন্ন জায়গায় ব্যস্ত রেখে সেই সুযোগে লস্কর জঙ্গিদের ভারতে ঢুকিয়ে দেওয়া।
]]>কাশ্মীরের বেড়ে চলা জঙ্গি কার্যকলাপের কারণে রাজ্য জুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি। এই তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় বৃহস্পতিবার রাতে পুঞ্চ-রাজৌরি জঙ্গলে সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ বাধে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পুঞ্চ জেলার মেনধার মহকুমার নারখাস জঙ্গলে সেনাবাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও পাল্টা জবাব দেওয়া হয়।
কিন্তু রাতের অন্ধকারে জঙ্গিদের দিক থেকে ছুটে আসা গুলিতে এক সেনা কর্তা ও এক জওয়ান গুরুতর জখম হন। তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কাশ্মীরকে আরও সুরক্ষিত রাখতে মোদি সরকার ভূস্বর্গের উপর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেয়। কিন্তু মোদি সরকারের ওই সিদ্ধান্তে কাশ্মীরে সুরক্ষা তো দূরের কথা বরং জঙ্গি কার্যকলাপ আরও বেড়েছে। মোদি সরকারের ওই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল সেটাই যেন প্রমাণ করতে চাইছে জঙ্গিরা।
উল্লেখ্য, ১০ অক্টোবর পুঞ্চ জেলাতেই জঙ্গিদের গুলিতে এক সেনা আধিকারিক -সহ ৫ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকেই জুম্মু-পুঞ্চ জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জঙ্গিদের সন্ধানে গোটা কাশ্মীর জুড়ে চলছে জোরদার তল্লাশি। সেই তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দু’জনকে প্রাণ হারাতে হল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মনে করছে, কাশ্মীরে জঙ্গিদের সক্রিয়তার পিছনে রয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান তালিবানকে সমর্থন করে জঙ্গিদের উৎসাহ জুগিয়ে চলেছে। এমনকী, তালিবানের সাহায্য নিয়ে পাকিস্তান কাশ্মীরে নাশকতা চালাতে চাইছে।
পাকিস্তানের দাবি, কাশ্মীরের মানুষ কষ্ট রয়েছে। তাদের উদ্ধার করতে হবে। সে কারণেই তারা জঙ্গিদের সাহায্য নিচ্ছে। তবে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের এই ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে হুমকি দিয়েছেন, তারা ছায়াযুদ্ধ চালানো বন্ধ না করলে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হতে পারে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যতই হুমকি দিক না কেন, পাকিস্তান সেই আগের জায়গাতেই রয়ে গিয়েছে। তারা দেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়নের দিকে নজর না দিয়ে জঙ্গিদের মদত জুগিয়ে চলেছে। জঙ্গিদের অর্থ-সহ সব ধরনের সাহায্য করছে। এই কাজ করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ইসলামাবাদ একঘরে হয়ে পড়লেও তাদের যেন কোনও মাথাব্যথা নেই। পাকিস্তানের একটাই লক্ষ্য, কাশ্মীর তথা ভারতে অস্থিরতা তৈরি করা।
সম্প্রতি তাদের এই কাজে দোসর হয়েছে চিন ও তালিবান। বেজিং সরকার নিয়মিত লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশের মত সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করছে। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে চিনের বিবাদ রয়েছে। দু’দেশের ১৩টি বৈঠকের পরেও এখনও মেটেনি সীমান্ত সমস্যা। ভারতের কোন প্রস্তাবই মানতে রাজি নয় বেজিং। তাই ভারতকে বিপাকে ফেলতেই চিন, পাকিস্তান ও তালিবান এই তিন মিত্রশক্তি একযোগে উঠে-পড়ে লেগেছে। তারই ফলশ্রুতিতে কাশ্মীরে বেড়েছে জঙ্গিদের সক্রিয়তা।
]]>আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গিদের সক্রিয়তা বেশ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের গোয়েন্দা দফতর এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিগোষ্ঠী ভারতে নতুন করে নাশকতার ছক কষছে। জঙ্গিদের সেই ছক বানচাল করে দিতেই মঙ্গলবার ভোরে সোপিয়ানের বেশ কয়েকটি জায়গায় শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। এই তল্লাশি অভিযান ৩ লস্কর জঙ্গি খতম হয়েছে বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার রাতে অনন্তনাগ ও বান্দিপোরায় সেনাবাহিনী গুলি করে দুই জঙ্গিকে খতম করেছিল। দুই জঙ্গির মধ্যে ইমতিয়াজ আহমেদ আর লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। ইমতিয়াজ পাক নাগরিক বলে অনুমান।
সম্প্রতি কাশ্মীরে একদিকে যেমন জঙ্গিদের সক্রিয়তা বেড়েছে, তেমনই সীমান্তে চিন ও পাকিস্তান দুই দেশের সেনাবাহিনীও মাঝেমধ্যেই আগ্রাসী হয়ে উঠছে। স্বাভাবিকভাবেই কাশ্মীর ও সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে এখন একাধিক সমস্যার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। একদিকে চিনের আগ্রাসন রুখতে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে আবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
এভাবে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ রোধ করা গেলেও ঘরের শত্রুদের নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে দেশ। কারণ জঙ্গিরাও তাদের পরিকল্পনা বদলেছে। এই মুহূর্তে পাক জঙ্গিরা চেষ্টা করছে, কাশ্মীরের যুবকদের নিজেদের দলে টানতে এবং প্রশিক্ষণ দিতে। সেই প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা কাশ্মীর-সহ গোটা ভারতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে।
কাশ্মীরের যুবকদের সামান্য অর্থের বিনিময়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা কার্যত কিনে নিতে চাইছে। এই এই স্থানীয় যুবকদের জঙ্গি সংগঠনে যোগদানই সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। তাই নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরের যুবকদের যতটা সম্ভব বোঝানোর চেষ্টা করছে। তাদের অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন জঙ্গিদের পাতা ফাঁদে পা না দেয়।
]]>সোমবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছিল সেনা। তখনই লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। উভয়পক্ষের এইগুলির লড়াইয়ে ৫ জওয়ান শহিদ হয়েছেন। শহিদ জওয়ানদের মধ্যে একজন জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার। তবে বাকিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চলছে গুলির লড়াই। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে সেনাবাহিনী। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা। জঙ্গিরা যাতে কোনওভাবেই পালাতে না পারে সেদিকে সতর্ক নজর রাখা হয়েছে। এদিনই সেনা বাহিনীর গুলিতে বান্দিপোরায় এক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি কাশ্মীরে জঙ্গিদের সক্রিয়তা অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে কাবুল তালিবানের হাতে যাওয়ার পর জঙ্গিরা আরো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কাশ্মীর-সহ গোটা দেশে তারা নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে। জঙ্গিদের প্রতিরোধ করতে সোমবার উপত্যকার ১৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সে সময়ই এই সংঘর্ষ ঘটে।
সম্প্রতি ভূস্বর্গে নতুন করে জঙ্গিদের সক্রিয়তা বেড়েছে বিশেষ করে কাশ্মীরি সংখ্যালঘু পরিবারকে নিশানা করছে জঙ্গিরা। ইতিমধ্যেই জঙ্গি আতঙ্কে বহু পরিবার। জম্মু ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহেই কাশ্মীরে একজন হিন্দু ও একজন শিখ শিক্ষককে গুলি চালিয়ে খুন করে জঙ্গিরা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, জঙ্গিরা কাশ্মীরে বিভেদ তৈরি করতে চাইছে। তাই তারা একটি নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষকেই নিশানা করেছে।
সম্প্রতি সাধারণ মানুষের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ৭০০-রও বেশি মানুষকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই যুবক। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ওই সমস্ত যুবসম্প্রদায়কে টাকার টোপ ও অন্যান্য প্রলোভন দেখিয়ে জঙ্গিরা নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করছে। পুলিশ মনে করছে, জঙ্গিদের পাতা ফাঁদে যুবকরা পা দিলে তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হতে পারে। জঙ্গিদের লক্ষ্য হল, জম্মু-কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়কে সেখানকার মানুষ, সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা। এটা করা সম্ভব হলে জঙ্গিরা খুব সহজেই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে পারবে ভূস্বর্গে।
]]>গত সপ্তাহে মাখনলাল বিন্দ্রু নামে এক সমাজকর্মী তথা ওষুধের দোকানের মালিককে প্রকাশ্যেই গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। তার দু’দিন পর দুই শিক্ষককেও জঙ্গিরা গুলি করে খুন করে। নিহত ২ শিক্ষকের মধ্যে একজন পন্ডিত সম্প্রদায়ের অপরজন শিখ। এ ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে, শুধু পণ্ডিতরা নন, সংখ্যালঘু শিখরাও জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে।
পরপর তিন জনের খুনের পর গোটা পণ্ডিত কলোনিতে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সন্ধ্যার পর কাউকেই আর রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না। পন্ডিত সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, কলোনির ভিতর তাও নিরাপত্তা আছে। কিন্তু তাঁরা বাইরে বের হতে ভরসা পাচ্ছেন না। অথচ তাঁদের চাকরি বা বিভিন্ন কাজের জন্য বের হতেই হয়। এভাবে তাঁরা কিভাবে বা কতদিন ঘরে বসে থাকবেন।
উল্লেখ্য, সরকার চাকরি এবং পুনর্বাসন দেওয়ায় নয়ের দশকের উপত্যকা ছাড়া কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারগুলি ফের উপত্যকায় ফিরে এসে নতুন করে জীবন শুরু করেছে। কিন্তু তাদের জীবন ফের অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
শনিবারই কাশ্মীর ছেড়ে চলে যেতে দেখা গিয়েছে এক পন্ডিত পরিবারকে। ওই পরিবারের কর্তা ঘনশ্যাম কাটারিয়া বলেছেন, নয়ের দশকের অন্ধকার সময়েও তিনি বা তাঁর পরিবার কাশ্মীর ছেড়ে যাননি। কিন্তু যেভাবে বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের খুন করা হচ্ছে তাতে তিনি আর কাশ্মীরে থাকতে ভরসা পাচ্ছেন না। সে কারণেই তিনি পরিবার নিয়ে উপত্যকা’ ছেড়ে আপাতত দিল্লি যাচ্ছেন।
নিহত শিক্ষকদের বৃদ্ধা মা কান্তা দেবী বলেছেন, সরকার ও প্রশাসন সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সে কারণেই জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত। কাশ্মীর এখন আর ভূস্বর্গ নয় বরং নরক হয়ে উঠেছে। সেখানে ফিরেছে নয়ের দশকের সেই রক্তাক্ত দিন। কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতির প্রধান সঞ্জয় টিকু বলেছেন, কিছু কাশ্মীরি পরিবার ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে। আরও অনেক পণ্ডিত পরিবার উপত্যকা ছাড়ার ব্যাপারে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
কাশ্মীরি পণ্ডিত ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত সংগঠনগুলি কাশ্মীরে পাকিস্তান বিরোধী একাধিক মিটিং মিছিল করেছে। পাকিস্তানের পতাকাও পুড়িয়ে দিয়েছে তারা।
]]>জঙ্গিরা ফের বড় ধরনের কোন নাশকতা করতে পারে, এই শঙ্কায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে ডেকে আনা হয়েছে৷ পাশাপাশি বিশাল এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনীর জানাচ্ছে, চলতি বছরে এটি দ্বিতীয় বড়সড় অনুপ্রবেশের চেষ্টা।
সেনাবাহিনীর এক কমান্ডার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এই বছর সীমান্তে কোন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হয়নি৷ সীমান্তের ওপার থেকে কোন প্রকার উস্কানি দেওয়া হয়নি।

১৫ কোরের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিপি পান্ডে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এই বছর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হয়নি৷’ তিনি বলেন, “অনুপ্রবেশের কিছু প্রচেষ্টা হয়েছে৷ তবে আগের বছরগুলোর মত নয়। খুব কমই কোন সফল প্রচেষ্টা ছিল। আমি যতদুর জানি, এখনও পর্যন্ত অনুপ্রবেশের মাত্র দুটি প্রচেষ্টা সামনে এসেছে৷
তিনি আরও জানান, গত ৪ ঘণ্টা ধরে উরিতে অভিযান চলছে৷ সেনাবাহিনী জানতে পেরেছ অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের খোঁজা হচ্ছে। তারা কি এই দিকে আছে, নাকি তারা ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷
২৬/১১ মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী মাসুদ আজহারের সঙ্গে বৈঠক করে তালিবান নেতা মোল্লা আবদুল গণি বরাদার। আফগানিস্তানে তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এর পিছনে মদত রয়েছে পাকিস্তানের। দেশে শরিয়তি আইন কায়েম হওয়াতে গোটা পাকিস্তানজুড়েই রীতিমতো উতসবের মেজাজে দেখা গিয়েছে কট্টরপন্থীদের। তালিবানদের আফগানিস্তান দখল এবং আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহার করার জন্য ‘আল্লাকে ধন্যবাদ জানাতে’ ২৭ আগস্ট একটি অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার মাসুদ আজহারের কাশ্মীর দখলের স্বপ্নে তালিবানদের সামিল করায় জল্পনা আরও বাড়ল।
কয়েক দিন আগে মাসুদ আজহার “মার্কিন সমর্থিত আফগান সরকারকে” হটিয়ে ক্ষমতা দখল করায় তালিবানদের প্রশংসা করেছিলেন। জইশ-ই-মহম্মদ নেতা “মঞ্জিল কি তারফ” (গন্তব্যের দিকে) শিরোনামের একটি নিবন্ধে আফগানিস্তানে “মুজাহিদিনের সাফল্যের” প্রশংসা করেছেন। পাকিস্তানের বাহওয়ালপুর মারকাজে জইশ-ই-মহম্মদ কর্মীদেরও তালিবানদের বিজয়ের আনন্দে অভিনন্দন বিনিময় করতে দেখা গিয়েছে।
১৯৯৯ সালে মাসুদ আজহারের মুক্তির পর থেকেই জইশ-ই-মহম্মদ জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে শুরু করে। কাঠমান্ডু থেকে লখনউ যাওয়ার পথে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট আইসি-৮১৪ হাইজ্যাক করে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা। এরপর ফ্লাইটটি আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যাওয়া হয়, সেসময় আফগানিস্তান শাসন করছিল তালিবানরা। ফলে চাপে পড়ে মাসুদ আজহারকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল ভারত সরকার।
চলতি মাসে ক্ষমতা দখলের পর এক বিবৃতিতে তালিবানরা জানিয়েছে, আফগান ভূখণ্ড কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের জন্য ব্যবহার করা হবে না। যদিও ইন্ডিয়ান ইনটেলিজেন্সের রিপোর্ট অনুযায়ী তালিবানদের কাবুল দখলের পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস এবং দেশের গুরুত্বপূর্ন অঞ্চলে নাশকতার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে।
কাশ্মীর ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ’ বিষয়: তালিবান
আফগানিস্তান দখল করার কয়েকদিন পরেই তালিবানরা কাশ্মীরের ব্যাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। সরকারীভাবে জানিয়ে দেয়, এটি একটি “দ্বিপক্ষীয়; এবং ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়”। সংবাদ সংস্থা এএনআই (Asian News International) জানিয়েছে, পাকিস্তানের ঘটনা তালিবানদের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একেবারেই মেলে না।
মাসুদের সুর শোনা গিয়েছে ইমরান খানের দলের নেত্রী মুখেও:
তালিবানের সাহায্যেই ভারতের হাত থেকে কাশ্মীরকে স্বাধীন করবে পাকিস্তান! প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল ‘পাকিস্তান তহেরিক-ই-ইনসাফ’-এর এক নেত্রী এই দাবিই করেছেন টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে। নীলম ইরশাদ শেখ নামের ওই নেত্রী সোজাসুজি বলেন, ”তালিবান বলেছে ওরা আমাদের সঙ্গে আছে। এবং কাশ্মীরকে স্বাধীন করতে আমাদের সাহায্যও করবে।” আফগানিস্তান্মে তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এর পিছনে মদত রয়েছে পাকিস্তানের। এবার কার্যত তাতেই শীলমোহর দিল তহেরিক-ই-ইনসাফ নেত্রী। শোয়ের শেষদিকে তিনি আবার তিনি জানান, তালিবানের পাশে পাকিস্তান যেভাবে দাঁড়িয়েছে তাতে আফগানিস্তানের তালিবান নেতৃত্ব খুব খুশি। তার প্রতিদানেই কাশ্মীর দখলে পাকিস্তানকে সাহায্য করবে তারা।
এর কয়েকদিন আগেও ইসলামাবাদের প্রভাবশালী সংগঠন জমিয়ত-ই-উলেমা-ই-ইসলাম ও দিফা-ই-পাকিস্তান কাউন্সিল-এর প্রধান মৌলানা হামিদ-উল-হক হাক্কানি তালিবানের কাবুল জয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন। তালিবান ও লস্করের জঙ্গিদের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতেও দেখা গিয়েছিল সেদেশের বিভিন্ন সংগঠনগুলিকে।
জমিয়ত-ই-উলেমা-ই-ইসলাম ও দিফা-ই-পাকিস্তান কাউন্সিল-এর প্রধান মৌলানা হামিদ সাংবাদিক সন্মেলনে জানিয়েছিলেনন, ‘বিশ্বের উচিত আফগানিস্তানে এক্ষুনি তালিবান সরকারকে মান্যতা দেওয়া।’ শুধু তাই নয়, আমেরিকা এবং ভারতের মদতেই এতদিন আফগানিস্তানে অশান্তি লেগে ছিল। এবার ইমরান খানের দলের নেত্রীর মুখেও একই সুর শোনায় আবার নতুন করে ভারতে জঙ্গিহামলার আশঙ্কা বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
]]>এই ভিডিওটি টুইটারে @MantashaQ_ নামে একজন ইউজার শেয়ার করেছেন। বর-কনেকে তাদের বিয়ের পোশাকে দেখা যাচ্ছে৷ দু’জনেই হাসছে। ভিডিওতে দেখা যায়, কনে আনন্দ করে তাঁর শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছেন। ভিডিওর সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা আছে, “একজন বধূ বরকে নিয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছেন৷ #KhudkafeelKashmir “
জানা গিয়েছে, ২২ অগস্ট বারামুল্লা জেলার ডেলিনার শেখ আমিরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন সানা শাবনুম৷ তাঁর এই ভিডিওটি ইন্টারনেটে ঝড় তোলে৷ কারণ, বিয়ের দিনে মাহিন্দ্রা থারে চাপিয়ে বরকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান৷ তিনি নিজেই গাড়ি চালান৷
View this post on Instagram
এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব দ্রুত ভাইরাল হয়েছে এবং সবাই এটিকে খুব পছন্দ করছে। ভিডিওতে কনেকে একটি মাহিন্দ্রা থার চালাতে দেখা যাচ্ছে। টুইটার ব্যবহারকারীরা কমেন্ট করে নবদম্পতিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং ভিডিওটিকে ‘সুন্দর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করে লিখেছেন- এখন রীতির পরিবর্তন হচ্ছে।
]]>