Kisan Morcha – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sun, 21 Nov 2021 11:39:08 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Kisan Morcha – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Farm Laws: ৭০০ কৃষকের মৃত্যুর দায় কার, প্রশ্ন কৃষক নেতাদের https://ekolkata24.com/uncategorized/kisan-morcha-said-that-about-670-farmers-had-died-in-protest-against-the-farm-laws Sun, 21 Nov 2021 11:39:08 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11970 News Desk: কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় প্রায় ৬৭০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। মৃতদের মধ্যে ৫০০ জনেরও বেশি পাঞ্জাবের বাসিন্দা। কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikayat) রবিবার প্রশ্ন তুলেছেন, শহিদ হওয়া কৃষক পরিবারগুলির দায়িত্ব কে নেবে?

দিল্লির তিন সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র (Narendra Modi) মোদির ঘোষণা অনুযায়ী তিন কৃষি আইন আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের বিক্ষোভ চলবে। একই সঙ্গে কৃষকরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আইন এবং গত এক বছরে কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব পুলিশি মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে। পাশাপাশি এদিন এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, আজ নয়, ২৭ নভেম্বরই কৃষক আন্দোলনের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

lakhimpur violence farmers protest

১৯ নভেম্বর শুক্রবার গুরু নানকের জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর কৃষক আন্দোলন জারি রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে রবিবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল কৃষক সংগঠনগুলির। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হল। আপাতত যাবতীয় আন্দোলন কর্মসূচি জারি থাকবে বলেই জানিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা ।

modi farm laws withdrawal announcement

মোদি (Narendra Modi) তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণার পর প্রশ্ন ওঠে যে, দিল্লি সীমান্তে প্রায় এক বছর ধরে যে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা তাকি চলবে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে শনিবারই বৈঠকে বসে সংযুক্ত কিষান মোর্চার অধীনে থাকা ৩২টি কৃষক সংগঠন। তবে শনিবার বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই রবিবার দিল্লির সিংঘু সীমান্তে সকাল ১১টায় দ্বিতীয় দফার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এই বৈঠকেই আন্দোলনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে এই বৈঠক স্থগিত রাখা হয়। ২৭ নভেম্বর এই বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৭ তারিখের বৈঠক না হওয়া অবধি কৃষক আন্দোলনের যাবতীয় কর্মসূচি বহাল থাকবে। সেই সূচি মেনে ২২ নভেম্বর লখনউয়ে যে মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল তাও নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ীই হবে।

কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, “সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে যে সমস্ত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল তা যথারীতি পালন করা হবে। সেই কর্মসূচি মেনেই ২২ নভেম্বর লখনউয়ে মহাপঞ্চায়েত, ২৬ নভেম্বর কৃষক আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সীমান্তে কৃষকদের বিশাল জমায়েত এবং ২৯ নভেম্বর থেকে সংসদ ভবন অবধি ট্রাক্টর মিছিলের যে পরিকল্পনা রয়েছে তা পালন করা হবে। ২৭ নভেম্বরের বৈঠকে ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

Rakesh Tikayet

রবিবার সকালে কৃষক আন্দোলনের সংগঠক সংযুক্ত কিষান মোর্চা সিংঘু সীমান্তে (singhu border)মোদির ঘোষণা এবং তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এদিন বিস্তারিত কোনও আলোচনা হয়নি। এদিন নিজেদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা বলার পর কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল (balbar sing) বলেছেন, “আমরা কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে আমরা শুধু মুখের কথায় বিশ্বাস করছি না। আমরা দেখছি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কবে এই আইন বাতিল করা হয়। পাশাপাশি আমাদের আরও কিছু দাবিদাওয়া রয়েছে। সেই দাবিগুলি আমরা খোলা চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানাবো। এছাড়াও আজ আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সংযুক্ত কিষান মোর্চার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিগুলি যেমন আছে তেমনই চলবে।”

শুক্রবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) সহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘোষণা সত্ত্বেও, কৃষক সংগঠনগুলি অবশ্য এখনই আন্দোলন প্রত্যাহার করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। মোদির ঘোষণার পর রাকেশ টিকায়েতকে প্রশ্ন করা হয়, টিকরি, সিংঘু ও গাজীপুর সীমান্ত থেকে আন্দোলনকারীরা এখনও সরে যায়নি কেন? জবাবে টিকায়েত বলেন, সীমান্ত খালি করার বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই তিন আইন বাতিলও হয়নি। আমরা শুধু মুখের ভরসা করতে পারছি না। এক বছর ধরে কৃষকরা এখানে আন্দোলন করছেন। শহিদ হয়েছেন প্রায় ৭০০ জন কৃষক। এর দায় কে নেবে? এ সময় এক সাংবাদিক টিকায়েতকে প্রশ্ন করেন, আগে আপনি বলতেন বিল প্রত্যাহার না হলে বাড়ি ফিরবেন না ।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তো গণমাধ্যমে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বিল ফেরত নেওয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে টিকায়েত বলেন, লক্ষাধিক কৃষক এখানে এক বছর ধরে ধর্নায় বসে থেকেছেন। কয়েক শো কৃষক শহিদ হয়েছেন। আন্দোলনে করার জন্য কৃষকদের ওপর আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একের পর এক মামলা। গত একবছরে কতকিছু ঘটেছে। সবকিছুর হিসাব বরাবর হলেই আমরা ফিরে যাবো। আমাদের আর কয়েকদিন দেরি হলে অসুবিধা কোথায়?

]]>
মোদীর ভাষণ নয়, সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহারের অপেক্ষায়: সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা https://ekolkata24.com/uncategorized/samyukt-kisan-morcha-said-will-wait-for-the-announcement-to-take-effect-through-due-parliamentary-procedur Fri, 19 Nov 2021 06:40:20 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11732 News Desk: কৃষি আইন প্রত্যাহার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এর পরই প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠন। কৃষক আন্দোলনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানাল, প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানকে স্বাগত। তবে মুখের ঘোষণা নয়, আইন বাস্তবে প্রত্যাহার করে দেখাক সরকার।

কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত ও সারা ভারত কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা সরকারের অবস্থানকে স্বাগত জানান।

উলুবেড়িয়ার প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ হান্নান মোল্লা আগেই দাবি করেছেন, আসন্ন সংসদ অধিবেশনের সময় দিল্লি ঘিরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হবে। সরকারকে বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হবে। তাঁর ঘোষণার পরেই আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে নতুন করে জোশ ছড়ায়।

Farmers to hold rail roko on Oct 18

শুক্রবার গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে শিখ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি এই ভাষণেই বলেন, দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে।

মোদীর ভাষণে তুমুল আলোড়ন ছড়ায় হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশে। মূলত দেশের এই উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকদের নিয়েই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চলেছে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার অভিযোগ, নতুন তিনটি কৃষি আইনের মাধ্যমে সরকার দেশের কৃষি ব্যবস্থাকেই বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে।

প্রবল আন্দোলন, দিল্লি অভিযান, লালকেল্লায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঘিরে বিতর্কিত পরিস্থিতি হয়েছে বারবার। কৃষকদের আন্দোলনকে খালিস্তানি জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপির বহু নেতা, সংঘ পরিবার সংশ্লিষ্ট হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির অনেকেই। কৃষক নেতারা বলেছেন, সরকারকেই আইন প্রত্যাহার করতে হবে।

অবশেষে আইন প্রত্যাহারের কথা জানালেন মোদী। তবে সংসদে আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেই জানাচ্ছে কিষাণ মোর্চা।

]]>
Farm Laws Withdrawn: ঝুঁকলেন মোদী, ভোট বুঝে ক্ষমা চেয়ে ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার’ https://ekolkata24.com/uncategorized/modi-fram-laws-withdrawal-announcement Fri, 19 Nov 2021 04:58:11 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11726
  • News Desk: প্রবল কৃষক আন্দোলনের চাপে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদে বিপুল শক্তি নিয়ে আইন বাতিল হবে না বলে যে দাবি করেছিল বিজেপি তার থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা শুধু দেশ না বিদেশে আলোড়ন ফেলেছে।
  • farmers

    <

    p style=”text-align: justify;”>তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি বলতে চাই যে হয়ত আমাদের তপস্যাতেই খামতি ছিল। তাই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এই মাসে শুরু হতে চলা সংসদ অধিবেশনে এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করব। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আন্দোলন ছেড়ে একটি নয়া সূচনা করি। শীঘ্রই আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া পূর্ণ করে দেব। এবার আপনারা সকলে খেতে ফিরে যান, পরিবারের মধ্যে ফিরে যান।’

    আসন্ন পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের আগে মোদী এই ঘোষণা করলেন। পাঞ্জাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী জোট গড়ার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ বড় হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    উত্তর প্রদেশেও ভোটে কৃষক বিক্ষোভ বিরাট প্রভাব ফেলছে বলেই জনমত সমীক্ষা বলছে। তবে এই রাজ্যে ভোট কাটাকুটির লড়াইতে বিজেপির ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত এসেছে জনমত সমীক্ষায়।

    প্রধানমন্ত্রী দেশের কৃষকদের জন্য তাঁর সরকারের ভূমিকা বলেন। তিনি বলেন, ‘দেশের ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন ছোট কৃষক। তাদের জমির পরিমাণ ২ হেক্টরের কম। তাদের জীবনের আধার এই ছোট জমি। প্রায় ১০ কোটি এমন ছোট কৃষক আছে। এই ছোট জমিতেই তারা নিজেদের পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। তাই বীজ, বীমা, বাজার আর সেভিংসের ক্ষেত্রে কাজ করেছি। আমরা ফসল বীমা যোজনাকে আরও কার্যকরী করেছি। আরও বেশি সংখ্য কৃষককে এর অধীনে নিয়ে এসেছি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কিষাণ সয়েল হেলথ কার্ড দিয়েছি। এতে ফলন বেড়েছে। ছোট কৃষকদের ১ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। কৃষকদের কষ্ট যাতে সঠিক দাম পায়, সেই কাজ করেছে সরকার। গ্রামীণ বাজারকে শক্তিশালী করেছি। আমরা এমএসপি বাড়িয়েছি। পাশাপাশি সরকার রেকর্ড পরিবার ফসল কিনেছে।’

    ]]>
    Lakhimpur: অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী-পুত্রের পিস্তল থেকে চলেছিল ‘গুলি’ https://ekolkata24.com/uncategorized/lakhimpur-kheri-violence-case-forensic-report Tue, 09 Nov 2021 12:08:45 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10831 News Desk: উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার মামলায় বারবার অভিযোগ উঠেছে ওই দিন গুলিও চলানো হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    ফরেনসিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ৩ অক্টোবর ঘটনার দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অজয় মিশ্রর (ajay mishra) ছেলে আশিস মিশ্রর (ashis mishra) পিস্তল থেকেই গুলি চালানো হয়েছিল।

    লখিমপুরের (lakhimpur) ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালীন চার কৃষককে পিষে দেওয়ার পর বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল। কোথা থেকে ওই গুলি চালানো হয়েছিল তা জানতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

    তদন্তে জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্র ও তার বন্ধুরা যে গাড়িতে ছিলেন সেই গাড়ির ভিতর থেকেই গুলি চালানো হয়েছিল। ফরেনসিক রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই দাবি করেছে পুলিশ।

    ঘটনার মূল অভিযুক্ত মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন জগজিৎ সিং (jagjit singh) নামে এক কৃষক। ওই কৃষক তাঁর অভিযোগে বলেন, ঘটনার সময়ে ওই এসইউভিতে ছিলেন আশিস। আশিসের গাড়ি কৃষকদের মধ্যে ঢুকে পড়ে ৪ জনকে পিষে দিয়ে চলে যায়। গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে অনেকেই গুরুতর জখম হন। এরপরই বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। গাড়ির ভেতর থেকে আশিস গুলি চালিয়েছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করে লখিমপুর থেকে ০.৩১৫ বোর বুলেট কুড়িয়ে পায় পুলিশ।

    উল্লেখ্য, লখিমপুর খেলার ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয়ের ছেলে আশিস-সহ আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় স্বতপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

    সোমবার ওই মামলার শুনানিতে উত্তরপ্রদেশে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, লখিমপুর তদন্তের গতি অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। এভাবে তদন্তের কাজ চললে কবে এই মামলা শেষ হবে!

    একই সঙ্গে বেঞ্চ যোগী আদিত্যনাথ (yogi adityanath) সরকারকে লখিমপুরের হিংসার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে (supreme court)এই মামলার পরবর্তী শুনানি

    ]]>
    কিষান মোর্চার ডাকা অবরোধে উত্তর-পূর্ব ভারতে বিপর্যস্ত রেল চলাচল https://ekolkata24.com/uncategorized/blockade-called-by-kisan-morcha-disrupted-train-services-in-north-east-india Mon, 18 Oct 2021 08:42:22 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8090 নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত কিষান মোর্চার ডাকা রেল রোকো আন্দোলনে ব্যাপক সাড়া পড়ল উত্তর-পূর্ব ভারতে। মোদি সরকারের তিন কৃষি আইন বাতিল করা ছাড়াও লখিমপুর কাণ্ডের উপযুক্ত বিচার এবং ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর পদত্যাগের দাবিতে সোমবার দেশজুড়ে রেল অবরোধের ডাক দিয়েছিল কৃষকদের এই সংগঠন। কৃষক সংগঠনের ডাকা রেল রোকো আন্দোলনে এদিন ভোর থেকেই পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে রেল চলাচল ব্যাহত হয়।

    সোমবার সকাল ১০টা থেকে রেল অবরোধ হওয়ার কথা থাকলেও ফিরোজপুর রেলওয়ে ডিভিশনের চারটি সেকশনে ভোর ৫টা থেকেই অবরোধ শুরু করেন কৃষকরা। অবরোধের কারণে ফিরোজপুর- ফাজিলকা ও ফিরোজপুর- লুধিয়ানা শাখায় ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হয়। উত্তর-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৩৮ টি জায়গায় রেল অবরোধ হয়েছে। এই অবরোধের জেরে এক ডজনেরও বেশি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। কিছু ট্রেন ঘুরপথে চালানো হয়েছে।

    Kisan Morcha disrupted train services

    পাঞ্জাব হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের কিছু এলাকায় এদিন সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা রেললাইনে বসে পড়েন। লুধিয়ানা, অমৃতসর, চণ্ডীগড়ের মত এলাকায় সকাল থেকেই কৃষকরা রেললাইনে পতাকা হাতে বসে পড়েন। ৩ কৃষি আইন বাতিল, লখিমপুর খেরি কাণ্ডে দোষীদের গ্রেফতার ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান তাঁরা। একই চিত্র চোখ পড়েছে হরিয়ানার রোহতক, বাহাদূরগড় ও সোনিপতে। রেললাইনের উপর থেকে কৃষকদের সরিয়ে দিতে আরপিএফ বাহিনী ছাড়াও রাফ নামানো হয় হরিয়ানায়।

    রেল রোকো অভিযান আটকাতে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে। যোগী সরকার হুমকি দিয়ে জানায়, যারা প্রশাসনিক কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে এবং ১৪৪ ধারা অমান্য করে জমায়েত করবে তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হবে। যদিও সরকারের এই হুমকিকে উপেক্ষা করে এদিন কানপুর, বেনারস, সহ কয়েকটি জায়গায় রেল অবরোধ হয়। কৃষকরা সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টে অবধি রেল অবরোধ করার কথা আগেই জানিয়েছিল।

    কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত এদিন বলেছেন, এরপরেও যদি কেন্দ্র যদি কোনও কথা না শোনে তবে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামব। আমাদের একটাই দাবি, ৩ কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে লখিমপুরের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু তিন কৃষি আইন বাতিল লখিমপুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিয়ে কেন্দ্র একটি কথাও বলেনি। সে কারণেই আমরা রেল অবরোধের রাস্তায় নেমেছি। কিন্তু এরপরেও যদি সরকারের টনক না নড়ে তবে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব।

    ]]>