KLO – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Thu, 19 Aug 2021 17:09:30 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png KLO – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 তালিবান সরকারের অংশীদার হাক্কানি নেটওয়ার্ক সক্রিয় নেপাল থেকে উত্তরবঙ্গে https://ekolkata24.com/offbeat-news/isi-backed-afghan-mikitant-group-haqqani-network-agents-trying-to-contact-indian-separatists Thu, 19 Aug 2021 17:09:30 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=2661 বিশেষ প্রতিবদেন: আফগানিস্তানে দ্বিতীয় তালিবান সরকারের অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব পেতে চলেছে হাক্কানি নেটওয়ার্ক জঙ্গি সংগঠন। এই সংগঠন পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই মদতপুষ্ট। কাবুলে তালিবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের বৈঠকে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান আনাস হাক্কানির ছবি দেখা গিয়েছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, যেহেতু হাক্কানি নেটওয়ার্ক দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংযোগ রাখে ফলে তাদের ততপরতা বাড়বে উত্তরবঙ্গে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে নেপালে থাকা হাক্কানি এজেন্টরা ফের সক্রিয়। তারা পশ্চিমবঙ্গের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে উস্কানি দিতে তৈরি। একইভাবে উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের যোগাযোগ আছে।
নেপালের সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জেলা। দার্জিলিং সংলগ্ন কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলার স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সাম্প্রতিক ততপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেই গোয়েন্দা বিভাগের অনুমান।

তাৎপর্যপূর্ন দুটি ঘটনা,
প্রথমত, ফের সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (KLO) সংগঠনকে। আত্মগোপনে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা জীবন সিংহ সরাসরি ভিডিও বার্তায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে হুমকি দিয়েছে। কেএলও এমন সময়ে হুমকি দেয় যখম তালিবান ও আফগান সরকারের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল।

দ্বিতীয়ত, অনেকটা কাকতালীয় হলেও গত রবিবার যখন কাবুল দখল করছিল তালিবান জঙ্গিরা, ঠিক সেই সময় মেঘালয়ের রাজধানী শিলং ছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী এইচএনএলসি (HNLC) সংগঠনের হামলায় বিপর্যস্ত। নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ ছিল অসহায়। তবে সংগঠনটির অভিযোগ তাদের নেতা অসুস্থ চেস্টারফিল্ডকে ঠান্ডা মাথায় এনকউন্টার করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদ হয়েছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দুটি ঘটনাকে তলিয়ে দেখছেন। তাঁদের অনেকের আশঙ্কা, উত্তরবঙ্গ ও উত্তর পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠিগুলির সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের একটা সংযোগ আগে থেকেই রয়েছে। আফগানিস্তানের ক্ষমতা তাদের হাতে চলে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সংগঠন ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিকে উস্কানি দেবে।

উত্তর পূর্বাঞ্চলের সবকটি রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি গত কয়েকমাসে বিশেষ সক্রিয়। দীর্ঘ দেড় দশক বাদে ত্রিপুরার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (NLFT) গুলি চালিয়েছে। তাদের গুলিতে দুই বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। গত কয়েকমাস ধরেই উত্তরপূর্বের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠির ততপরতা বেশি। ত্রিপুরা ও মিজোরা সীমানায় বিরাট আগ্নেয়াস্ত্র চালান ধরা পড়ে। বাংলাদেশের অতি নিকটে এই চোরাচালান চলছিল। হাক্কানি নেট ওয়ার্ক বাংলাদেশে সক্রিয়।

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে যেহেতু উত্তর পূর্বের প্রথম সারির বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতৃত্ব চিন ও মায়ানমারে থাকে, ফলে হাক্কানির পক্ষে তাদের সঙ্গে ‘কনটাক্ট’ করা সহজ। নেপাল সরকারের কাছে হাক্কানি নেটওয়ার্ক বিষয়ে সতর্কবার্তা রয়েছে। কিন্তু নেপালেও রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি। এই সুযোগ নেবে আফগানিস্তান সরকারের শরিক হাক্কানি নেটওয়ার্ক জঙ্গি গোষ্ঠী।

সম্প্রতি সরকার বদল হয়েছে নেপালে। নেপালি কমিউনিস্ট পার্টির নির্বাচিত সাংসদদের বড় অংশ সমর্থন হারান ওলি। আস্থাভোটে পরাজিত হন। সরকারে এসেছে নেপালি কংগ্রেস। তবে এই সরকার নড়বড়ে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কে পি ওলির সঙ্গে চিনের অতিরিক্ত সখ্যতা নিয়ে কাঠমাণ্ডু ও নয়াদিল্লির মধ্যে সম্পর্ক বারে বারে গরম হয়। একইভাবে নেপালের অভ্যন্তরে চিনা কূটনীতিকর বড়সড় প্রভাব পড়ে। চিন এখন আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের প্রতি নরম।

নেপালে বরাবর সক্রিয় পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। তাদের মদত পায় হাক্কানি নেটওয়ার্ক। নেপাল থেকে তারা নাশকতার পরিকল্পনা করবে বলেই আশঙ্কা। আফগানিস্তানে প্রথম তালিবান সরকারের (১৯৯৬-২০০১) আমলে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের IC814 বিমান অপহরণ কাঠমাণ্ডু থেকেই হয়েছিল। কান্দাহারে সেই বিমান নামায় পাক জঙ্গিরা। মাসুদ আজাহারের মুক্তির বিনিময়ে যাত্রীদের ছাড়ায় ভারত সরকার।

]]>
কিষেনজির মতো মুখ ঢেকে নয়, খোলাখুলি রক্তগঙ্গার হুঁশিয়ারি জীবন সিংহের https://ekolkata24.com/offbeat-news/klo_chief_jibon_singha_video_analysis Thu, 08 Jul 2021 08:48:50 +0000 https://ekolkata24x7.com/?p=345 নিউজ ডেস্ক: কোথায় লুকিয়ে জঙ্গি নেতা জীবন সিংহ? এই প্রশ্নে তোলপাড় গোয়েন্দা বিভাগ। যেভাবে ভিডিও প্রকাশ করে নির্বাচনের পর থেকে হুমকি দিচ্ছে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও) প্রধান তাতে চিন্তিত রাজ্য সরকার।

গোয়েন্দাদের কাছে জীবন সিংহের এটাই সাম্প্রতিক চেহারা। আশ্চর্যের বিষয়, কোনওভাবেই নিজেকে আড়াল করতে চায়নি জীবন সিংহ। ২০১১ সালে বাম জমানা পতনের আগে পশ্চিম মেদিনীপুর ভিত্তিক মাওবাদীদের তৈরি করা রক্তাক্ত সময়ে সংগঠনটির তৎকালীন মিলিটারি কমিশন প্রধান কিষেনজি(কোটেশ্বর রাও) বহুবার মুখ ঢেকে ক্যামেরার দিকে পিছন ফিরে নিজের বক্তব্য দিয়েছিলেন। আর কেএলও প্রধান জীবন সিংহ দিচ্ছে মুখ খোলা অবস্থায় রক্তাক্ত পরিস্থিতির হুঁশিয়ারি।

বিধানসভা ভোটের পরেই জীবন সিংহের একটার পর একটা ভিডিও এসেছে। প্রতিবারই এই জঙ্গি নেতা খোলা মুখে ক্যামেরার সামনে এসে রক্তাক্ত হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। তার দাবি, কামতাপুর স্বশাসিত এলাকা।

উত্তরবঙ্গে নাশকতার হুঁশিয়ারি দেওয়া কেএলও প্রধান জীবন সিংহ (তামির দাস) কোথায়?সে কি ভুটানের জঙ্গলে ফের ডেরা বেঁধেছে? প্রশ্ন উঠছে গোয়েন্দাদের মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গের সংলগ্ন দক্ষিণ ও পূর্ব ভুটানের জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চলগুলিতে দীর্ঘ সময় কেএলও, আলফা সহ সাতটি ভারত বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ঘাঁটি ছিল। ২০০৩ সালে “অপারেশন অলক্লিয়ার” অভিযানে ভুটান সরকার এই ঘাঁটিগুলো ধংস করে। সেই অভিযানের পর থেকে নিখোঁজ জীবন সিংহ।

গোয়েন্দা বিভাগের কাছে বারবার জীবন সিংহের মৃত্যুর সংবাদ এসেছে। কখনও জানা গিয়েছিল আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের একদা বাসিন্দা এই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা সেনা অভিযানে মায়ানমারে মারা গিয়েছে। কখনও খবর আসে জীবন সিংহ নেপালের সীমান্তে আত্মগোপন করে আছে। পরে সেসব তথ্য ভুয়ো বলে জানা যায়।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জঙ্গি শিবির পরিচালনা করছে কেএলও। বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়া জঙ্গি সংগঠনটির লিংকম্যানদের দেওয়া তথ্য থেকে গোয়েন্দা বিভাগ নিশ্চিত হয় জীবন সিংহ বেঁচে আছে।

ভুটান সরকারের জঙ্গি বিরোধী সামরিক অভিযানের পর থেকে কেএলও জঙ্গিদের একাধিক চাঁই ধরা পড়ে। বিশেষ করে ২০০২ সালে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে স্থানীয় সিপিআইএম দফতরে ঢুকে ৫ জনকে গুলি করে খুনের মামলায় ধৃতরা পরে তৃণমূল সরকারের আমলে জামিন পায়। তাদের অনেকেই নিখোঁজ এখন। গোয়েন্দা বিভাগের ধারণা, পুরনো চাঁইদের নিয়ে নতুন করে আগ্রাসী সংগঠন তৈরি করতে চলেছে প্রায় নিষ্ক্রিয় কেএলও প্রধান জীবন সিংহ।

ভারত? ভুটান ? নেপাল ? মায়ানমার ? বাংলাদেশ ? কোন দেশের জঙ্গলে রেকর্ড করা হয়েছে জীবন সিংহের ভিডিও, কোনও সূত্র এখনও নেই।উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ গিয়েছে নবান্ন থেকে।

]]>