ছবিটি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে আগামী ১০ই অক্টোবর। প্রসঙ্গত, এর আগে কোয়েল ও পরমব্রতকে শেষবার জুটি বাঁধতে দেখা গেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত হেমলক সোসাইটি ছবিতে। কোয়েল মল্লিক জানিয়েছেন, যদিও তারা দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং একসাথে আগেও কাজ করেছেন, এই প্রথম পরমব্রত অভিনয়ের পাশাপশি পরিচালনাও করছেন এই ছবিতে।

ছবির ট্রেলারের শুরুতে পরমব্রত ও কোয়েলের (যারা ছবির মূল চরিত্র) বিয়ের আনন্দময় দাম্পত্য জীবনের প্রতিফলন এবং বাড়িতে এক নতুন অতিথির আগমনে। অনুপম রায়ের মনমুগ্ধকর গানের সুরের মাঝেই গল্পটি অপ্রত্যাশিতভাবে বিষন্ন ও গুরুতর পরিস্থিতির মোড় নেয়। একটি দুর্ঘটনা আর নবজাতকের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্নতা দেখা দেয় ছবির ঝলকে।
আবার অপরদিকে, অঞ্জন দত্তকে, যিনি একজন প্রবাসী বাঙালির চরিত্রে অভিনয় করছেন, দেখা যায় সন্ত্রাস যোগের কারণে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। ছবির ট্রেলারে কল্পবিজ্ঞানের ছোঁয়াও রয়েছে যা ছবির মূল গল্প সম্পর্কে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে।

ছবির ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই সারা ফেলেছে দর্শকের মনে। আড্ডা টাইমস্ প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি পুজোয় ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে বড়ো পর্দাতেও। অনুরাগীদের পাশাপাশি চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞরাও ছবিটি নিয়ে বেশ উৎফুল্লতা প্রকাশ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। উল্লেখ্য, ছবিটি প্রযোজনা করেছন কোয়েল মল্লিকের স্বামী নিশপাল সিংহ রানে।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটি গল্প অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে ছবির চিত্রনাট্য। অনিরুদ্ধ দাশ গুপ্ত এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় একত্রিত ভাবে ছবিটির চিত্রনাট্য ও গল্প নির্মাণ করেছেন। ছবিতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও কোয়েল মল্লিক ছাড়াও কাঞ্চন মল্লিক, অঞ্জন দত্ত ও জাচারি কফিনের মত অভিনেতাদের অভিনয় করতে দেখা গেছে।
]]>তবে দুর্গার (Durga) আগমন হওয়ার আগেই বাঙালীর ড্রয়িং রুমের টিভি সেটে আসছে দেবীরুপী কোয়েল মল্লিক। মহালয়াতে দেবী দুর্গা রূপে আমরা বহু বড় পর্দার অভিনেত্রীকেই পেয়েছি। একটি দীর্ঘ সময় ধরে দূরদর্শনে দুর্গার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছি ইন্দ্রানী হালদারকে (Indrani Haldar)। তারপর শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী, মিমি চক্রবর্তীকেও পেয়েছি। ইন্দ্রানী হালদারের পরেই দুর্গা চরিত্রের সবথেকে লং রানের অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick)।
সুরিন্দর ফিল্মসের প্রযোজনায় কালারস বাংলাতে মহালয়ায় আসছে নবরূপে মহাদুর্গা। এই চরিত্রের জন্য কোয়েলের অসাধারণ নৃত্য দক্ষতাও আরো একবার দেখতে পাবেন দর্শক। তার জন্য সাজো সাজো রব উঠেছে টলিপাড়ায়। কয়েক মাস আগেই পরিচালক অভিমুন্য মুখোপাধ্যায় এর পরিচালনায় বাঙালি দর্শককে ‘ফ্লাইওভার’ এ চড়িয়ে ছিলেন তিনি। ট্রাফিক ভায়োলেশন যে কি মারাত্মক আমরা পথে পথে খুঁজে ফিরি সেই ছবি দিয়ে। তারপর কয়েক মাসের বিরতি।
কিন্তু এবার ফুল ফর্মে কাজে ব্যাক। ব্যাক টু শুটিং ফ্লোর। আর চরিত্রের জন্য নিজেকে ভেঙ্গে গড়ে নিতে অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক কে কতটা পারদর্শী তা ভালোভাবেই জানেন বাংলা চলচ্চিত্র প্রেমীরা। যেহেতু দুর্গার চরিত্রে তাও আবার মহালয় তাই নাচ একটা বড় জায়গা জুড়ে থাকবে সম্পূর্ণ চিত্রনাট্যের। জোর কদমে চলছে নাচের প্র্যাকটিস।
View this post on Instagram
অবশ্য দেবীরূপে প্রথমবারই কোয়েল মল্লিককে যে আমরা আবিষ্কার করতে চলেছে এমন নয়। ২০১৫-য় জি বাংলার ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ পাঁচ বছর আগে স্টার জলসার ‘দুর্গা দুর্গতিনাশিনী’তে আবার ২০১৮ এবং ২০১৯ তেও আমরা কোয়েলকে পেয়েছি দুর্গা রূপে।এই নিয়ে মোট ছয়বার ‘দুর্গা’ হচ্ছেন তিনি। গেরুয়া সালোয়ার-কামিজে নাচে মগ্ন তিনি। দিনরাত এক করে চলছে রিহার্সাল এবং শুটিং।
]]>এমন অনেক প্রশ্ন থেকে যায়, অনেক এমন প্রাণ যারা হয়তো আজ আর আমাদের মধ্যে নেই তাদের না লেখা চিঠিতে। তারা চলে যাবার পরে তখন হঠাৎ করে সবাই বলতে শুরু করে,’ আহা রে! এত কষ্ট ছিল বুঝতেই পারিনি। একবার যদি বুঝতাম!’
আত্মহত্যার পর এর যে সামাজিক দ্বিচারিতা আমরা সর্বত্র লক্ষ্য করি ঠিক সেটাকেই অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক তুলে ধরলেন নিজের ভাবনায়। সাইকোলজির ছাত্রী হওয়ার জন্য মনোবিজ্ঞান নিয়ে তার অগাধ জ্ঞান।
চলতি মাসটি ‘সুইসাইড প্রিভেনসান মান্হ’। সামাজিক এই বিচারকের কোথায় কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick) উল্লেখ করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। লিখলেন, যখন কেউ আত্মহননের পথ বেছে নেয়, তারপরে সবাই দুঃখ প্রকাশ করে। বলে একবারের জন্য যদি তারা বুঝতে পারত তবে হয়তো এ ঘটনা ঘটত না। কিন্তু বেঁচে থাকাকালীন যখন সে মানসিক কোন সমস্যার ভেতর দিয়ে যায় তখন কেউ তার কথা শোনে না, কেউ বিশ্বাস করে না উপরন্তু বলে দেওয়া হয়, তারা নাকি অ্যাটেনশন সিকার। এই সমাজের আরও অনেক কিছু করার আছে।”
অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক বাংলা চলচ্চিত্র জগৎ থেকে শুরু করে দর্শকদের মধ্যে পরিচিত একজন দক্ষ অভিনেত্রী এবং বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে। তার সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই বোঝা যায় তিনি সর্বদা পজিটিভিটির মন্ত্র ছড়িয়ে দিতে চায়। মনের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে তার এই বক্তব্য নিঃসন্দেহে এই সমাজের কাছে আশার আলো দেখাবে।
]]>ভিডিওতে কোয়েলকে স্বাধীনতা নিয়ে নিজের চিন্তা ভাবনার কথা দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করতে দেখা যায়। ভিডিওতে তিনি জানান, ধর্ম, জাতপাতের ভেদেভেদ না করা মানেই তাঁর কাছে স্বাধীনতা। ভয় না পেয়ে নিজের মতামত সকলের সামনে প্রকাশ করাই, তাঁর কাছে স্বাধীনতা। তাঁর মতে স্বাধীনতা কখনই উৎশৃঙ্খলতা হতে পারে না, স্বাধীনতা মানে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রেখে চলা। মানুষের নির্ভীক হাসিতেই আমি স্বাধীনতা দেখতে পাই বলে জানান অভিনেত্রী। কোয়েল বরাবরই প্রকাশ্যে নিজের মতামত প্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করেন না।
View this post on Instagram
কোয়েল আরও জানান, স্বাধীনতা শব্দটির ব্যাপ্তি অনেক। স্বাধীনতা মানে শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়, নারী পুরুষ নির্বিশেষে তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত কাজ করতে পারা। কোনও অনুমতির অপেক্ষা না করে অসহায় মানুষকে দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াই কোয়েলের স্বাধীনতা। কোয়েলের এই ভিডিওতে বেশ আনন্দিত হয়েছেন তাঁর ভক্তরা। এর আগেও বহুবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মন খুলে কথা বলতে দেখা গেছে। তবে অভিনেত্রীর স্বাধীনতা দিবসের পোস্টের তারিফ করতে ভুলচ্ছেন না কেউই।
]]>ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে এই বার্তা দিলেন কোয়েল। ইংরেজিতে বানান করলে ‘কোয়েল’ নামের চারটি অক্ষর পাওয়া যায়। K O E L- এর প্রত্যেকটি অক্ষরের একটি করে মানে বের করলেন নিসপাল ঘরণী। কোয়েলের কাছে K-এর অর্থ হল তাঁর পুত্র কবীরের নাম। O- এর অর্থ অপটিমিস্টিক। E হল তাঁর কাছে এনথুসিয়াস্টিক এবং L-এর অর্থ লাভ। ইতিমধ্যেই ভিডিওটি নেটদুনিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে।
কিছুদিন ধরেই কোয়েল নিজের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা ‘কোয়েল কথা’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন। এর আগে মল্লিক বাড়ির দুর্গা পুজোর স্মৃতি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন কোয়েল। এবারে অনুরাগীদের জন্য অভিনেত্রীর উপহার তাঁর নামের সিক্রেট মানে। যা নেটিজেনদের কাছ থেকে খুব ভালো রেসপন্স পাচ্ছে। পোস্টে ভালো ভালো কমেন্টও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে বর্তমানে কোয়েলের কাছে তাঁর পুত্র কবীর সবার আগে বলে জানিয়ে দেন অভিনেত্রী। এই পরিস্থিতিতে ছেলেকে সামলে অনেক ভেবেচিন্তে কাজ করছেন কোয়েল।
]]>একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোয়েল জানান, ছোটবেলা থেকে তাঁর বাবা-মা তাঁকে একটাই কথা বলত মা হলে তাঁকে বেশকিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। আজ কোয়েলের মা-বাবার বলা সেই কথা মনে পরে যাচ্ছে। কোয়েলের কথায় যতই তিনি কাজ ব্যস্ত থাকুক না কেন তাঁর মাথায় সব সময় কবীরের কথাই ঘুরছে। বারবারই তাঁর মনে হচ্ছে, কবীরের খিদে পায়নি তো, তাঁর পোশাক বদলাতে হবে না তো, এই ধরনের নানা চিন্তা ঘুরছে কোয়েলের মাথার ভিতর।
কোয়েল আরও বলেন, ‘আমার জীবন, আমার চিন্তাভাবনা সবকিছুই পালটে দিয়েছে কবীর’। এর পাশাপাশি করোনা আবহে বহুদিন ধরে হল বন্ধ থাকার বিষয়ে কোয়েলের থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, দর্শকরা আবারও হলে গিয়ে সিনেমা দেখবেন বলে তিনি আশাবাদী। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি ঠিকঠাক হয়ে যাবে। তখন আবারও হলে আগের মতো দর্শকদের ভিড় লক্ষ্য করা যাবে।
]]>টলিউডের একেবারে প্রথম সারির অভিনেত্রী তিনি। একাধিক বাণিজ্যিক সিনেমাতে অভিনয় করে দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। জিৎ এবং দেবের সঙ্গে একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন সকলকে। বাণিজ্যিক সিনেমার পাশাপাশি বেশ কিছু অন্য ধারার সিনেমাও করেছেন। গোয়েন্দা মিতিনি মাসি এবং রক্তরহস্যের স্বর্ণজা ছবিতে কোয়েল তার অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দেন। তবে মা হওয়ার পর এখন কাজে কিছুটা বিরতি নিয়েছেন। আপাতত ছেলের সঙ্গেই বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছেন।

সচরাচর নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জনসমক্ষে খুব একটা কথা বলতে পছন্দ করেন না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় কোয়েল। নিয়মিত ছবি পোস্ট করেন তিনি। কখনও কাজের ছবি আবার কখনও বেড়াতে যাওয়ার ছবি। নেটমাধ্যমে পোস্টগুলি ভালো সাড়াও পায়। তবে হঠাৎ এমন একটি ভিডিও পোস্ট করলেন যা নিমেষে ভাইরাল হয়েছে। ঘরের দরজা বন্ধ করার পর সকলেই চরম উৎসাহ নিয়ে অপেক্ষা করছিল এরপর কী হবে তা দেখার জন্য। অভিনেত্রী নিজেই তা প্রকাশ করলেন। ঘরের ভিতরে চলছে তাঁর মেকআপ। এরপরই সম্পূর্ণ বদলে গেলেন কোয়েল। মেকআপ শেষে নতুন ড্রেসে এক কথায় অতুলনীয় সুন্দর লাগছে কোয়েলকে। সেই ছবিও পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী।
]]>যদিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় বড্ড বেশি সক্রিয় কোয়েল। লকডাউনে ভক্তদের সঙ্গে কথা বলতে হাজির তিনি নিজের সোশ্যল পেজে। কখনও সেখানে উঠে আসছে ছোট্ট বেলার খুঁনসুটির মুহূর্ত, কখনও আবার ধরা দেয় কোয়েল সম্পর্কে একাধিক না জানা কথা।
তবে এবার বেশ মজার এক গল্প নিয়ে হাজির হলেন কোয়েল মল্লিক। ফুচকা খেতে কে না ভালোবাসে! সুযোগ পেলে মনে হয় গোটা দোকানটাই যদি নিয়ে নেওয়া যেত, আর এই সুযোগ পেয়ে কোয়েল কী কাণ্ড ঘটিয়েছিল জেনে অবার ভক্তমহল। মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজো মানেই রমরমা ব্যাপার। দাদা-দিদিদের মাঝে ছোট্ট কোয়েলের দিন কাটত নানান ব্যস্ততায় আর হুল্লোরে। তবে অনেকেই কোয়েল ব্যাস্ত ভেবে তাঁকে ফেলেই ঘুরতে চলে যেত।
এতেই একবার বেজায় চটে যায় কোয়েল মল্লিক। জুরে দেন কান্নাকাটি, অগত্য বাড়ির গুরুজনদের নজরে পড়ে বিষয়টা, এরপর কোয়েসলের জ্যাঠা তাঁকে বলেন ঘুরতে যাওয়ার কথা, কিন্তু খুব একটা ইচ্ছে ছিল না তাঁর। তবুও মিস না করে বেরিয়ে পড়ে, আর সেখানেই ঘটে অবাক কাণ্ড, এক ধাক্কায় ৫০ টা ফুচকা কাঁদতে কাঁদতে খেয়ে ফেলন কোয়েল! এমন সুযোগ পেলে আপনার সংখ্যাটা ঠিক এর কাছাকাছিই হত, তাই নয় কি!
]]>