सूत्रों के मुताबिक, बुधवार सुबह से ही नगालैंड के कई हिस्सों में लगातार बारिश हो रही है। बारिश के कारण कई जगह भूस्ख्लन होने से यातायात बाधित हो गया है। मुख्य रूप से राष्ट्रीय राजमार्ग-29, जो कि राजधानी कोहिमा को दिमापुर को जोड़ता है, में कई जगह भूस्खलन हुआ है।
इस कारण यातायात बाधित हुआ है। इसके साथ ही कई जगह भूस्खलन से घरों को भी नुकसान पहुंचा है। हालांकि, अभी तक इसमें किसी के हताहत होने की खबर नहीं है। राहत और बचाव का कार्य जोरशोर से शुरू कर दिया गया है।
]]>নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরেই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন তৎকালীন লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ডিমাপুর থেকে উড়ানের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চিতা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ডিমাপুরের সেই দুর্ঘটনায় চিতা হেলিকপ্টারটি মাটি থেকে উঠেই যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে পড়ে গিয়েছিল। ভিতরে ছিলেন বিপিন রাওয়াত ও অন্যান্যরা। অল্পের জন্য সবাই বেঁচে যান। পরে তদন্তে জানা যায় কোনও ষড়যন্ত্র নয় আসলেই ছিল দুর্ঘটনা।
২০১৫ সালে বিপিন রাওয়াতের নেতৃত্বে ভারতীয় সেনা প্রতিবেশি মায়ানমারের ঢুকে সেখানে থাকা নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। সেই বছরেই মনিপুরে সেনা কনভয়ে নাগা সশস্ত্র গোষ্ঠী এনএসসিএন (খাপলাং) হামলা চালায়। এই হামলায় ১৮ জওয়ানের মৃত্যু হয়। এর প্রত্যাঘাত করতেই নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপর হামলা চালিয়েছিল সেনা বাহিনী।
নাগাল্যান্ড ফের রক্তাক্ত। গত শনিবার রাজ্যের মন জেলায় অসম রাইফেলসের গুলিতে ১৫ জন কয়লা খনির শ্রমিক মারা গেছে। ক্ষোভের মুখে পড়ে এক জওয়ান মৃত। মোট মৃত ১৬ জন। অসম রাইফেলস ঠান্ডা মাথায় গ্রামবাসীদের খুন করেছে বলে অভিযোগ মৃতদের আত্মীয় ও নাগা সংগঠনগুলির।এর জেরে নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী এনএসসিএন (আই-এম) গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখা নাগা আর্মি প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়েছে।
নাগাল্যান্ডের বিতর্কিত পরিস্থিতির মধ্যে তামিলনাডুতে বায়ু সেনার কপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেলেন জেনারেল রাওয়াত। তিনি ছিলেন দেশের সর্বাধিক আগ্রাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র নাগা সংগঠনের কাছে আতঙ্ক।
]]>শনিবার অসম রাইফেলসের গুলিতে রক্তাক্ত হয়েছে নাগাল্যান্ডের মন জেলার তুরি-ওটিং গ্রাম। গুলিতে নিহত ১৫ জনের বেশিরভাগ ওটিং গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গুলি চালিয়ে এতজনকে খুনের পিছনে অসম রাইফেলসের নিশ্চই কোনও উদ্দেশ্যে ছিল।
বিভিন্ন নাগা সংগঠনের অভিযোগ, কেন্দ্রের এনডিএ সরকার চায়না নাগা শান্তি আলোচনা পূর্ণাঙ্গ রূপ পাক। সেই আলোচনা বানচাল করতে অসম রাইফেলসকে ব্যবহার করা হয়েছে। এদিকে ঘটনাস্থল ওটিং গ্রাম থেকে যে ছবি এসেছে তাতে স্থানীয়রা দাবি করেছেন,গুলি করে মেরে মৃতদের বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রমাণ করতে মরিয়া ছিল অসম রাইফেলস। তাদের ফেলে যাওয়া গাড়িতে মিলেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এনএসসিএন সদস্যদের পোশাক। গ্রামবাসীরা জানান, প্রতিরোধের মুখে সেটা করতে পারেনি জওয়ানরা।

গুলি চালিয়ে কয়লা খনির শ্রমিকদের মেরে ফেলার প্রতিবাদে চরম বিবৃতি দিয়েছে নাগা আর্মি। এই সশস্ত্র সংগঠনটি নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী এনএসসিএনের একটি শাখা।
পড়ুন: Nagaland: বড়দিনের আগেই রক্তাক্ত নাগাভূমি, নাগা পাহাড়ে ভয়ের মেঘ
নাগাল্যান্ডের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ন্যাশনাল সোশালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগালিম বা এনএসসিএন নামে পরিচিত। ‘নাগালিম’ অর্থাৎ বৃহত্তর স স্বশাসিত নাগাল্যান্ড। এই দাবিতে দীর্ঘ সময় রক্তাক্ত পথ পেরিয়ে এনএসসিএন ভেঙে যায়। মূল এনএসসিএন ভেঙে প্রধান দুই গোষ্ঠী হল এনএসসিএন (আই-এম) ও এনএসসিএন (খাপলাং)।
নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দেলনের প্রধান তিন নেতা আইসাক চিচিসু, টি মুইভা ও এসএস খাপলাং। প্রথম দু়ই নেতার সংগঠন এনএসসিএন (আই-এম)। তাদের সদর দফতর ডিমাপুরের কাছে ক্যাম্প হেব্রন।
ভারতে থেকেও এই ক্যাম্প হেব্রনে কোনও ভারতীয় নিয়ম খাটে না। এখানে এনএসসিএন (আই-এম) গোষ্ঠাীর বিশেষ নিয়ম চলে। এলাকাটি নিয়ন্ত্র়ন করে সশস্ত্র বাহিনী নাগা আর্মি।
সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাঝে একাধিকবার হেব্রন ক্যাম্প ছেড়ে নাগা আর্মির সদস্যরা মায়ানমার গিয়ে অন্যান্য নাগা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এক্ষেত্রে তীব্র আক্রমণাত্মক খাপলাং গোষ্ঠীর সঙ্গে নাগা আর্মির সংযোগ স্বাভাবিক বলেই মনে করা হচ্ছে।
<
p style=”text-align: justify;”>ভারি আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত নাগা আর্মি ভারতীয় সেনার সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই করতে স্বক্ষম বলেই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছেন। ভারতীয় সেনার নাগা রেজিমেন্ট যেমন বীরত্বের পরিচয় দেয়, ঠিক একইরকম আগ্রাসী নাগা আর্মি।
]]>শনিবার দু’দফায় গুলি চালিয়ে জঙ্গি সন্দেহে নাগাল্যান্ডের মন জেলায় তুরি-ওটিং গ্রামে ১৫ জনকে গুলি করে অসম রাইফেলস। ক্ষোভের মুখে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকে দেশ তোলপাড়।
নিহত গ্রামবাসীরা কয়লা খনির শ্রমিক। তারা সবাই কন্যাক গোষ্ঠিভুক্ত। ফলে কন্যাক গোষ্ঠী প্রবল ক্ষুব্ধ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও নিজে কন্যাক গোষ্ঠীর। তিনিও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। দাবি করেছেন সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা আইন বা আফস্পা বাতিলের।
কন্যাক ইউনিয়নের তরফে নাগাল্যান্ড জুড়ে চলছে শোক দিবস। সংগঠনের তরফে পিটিআই কে জানানো হয়, শোক পালনের এই এক সপ্তাহে জওয়ানদের টহল বরদাস্ত করা হবে না। এই হুঁশিয়ারি না মানলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য তারাই দায়ি থাকবে।
নাগাল্যান্ড সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের সর্বত্র চলছে গুলি চালিয়ে খনি শ্রমিকদের মেরে ফেলার তীব্র প্রতিবাদ। মিজোরাম ও মেঘালয় সরকারের তরফে আফস্পা আইন তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা, গুরুত্বপূর্ণ শহর ডিমাপুর ও মন জেলার সর্বত্র ক্ষোভ তীব্র। রাস্তায় টহলরত জওয়ানদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ছেন উত্তেজিত যুবকরা। কোনওরকমে উর্ধ্বতন অফিসাররা সামাল দিচ্ছেন।
পড়ুন: Nagaland killings: প্যালেস্টাইন নয়! তবে সেরকমই বিদ্রোহী মেজাজ নাগাল্যান্ডে
কন্যাক ইউনিয়নের তরফে দাবি করা হয়েছে, গুলি চালনায় অভিযুক্ত ২১ জন অসম রাইফেলস জওয়ানদের বিচার করতেই হবে। বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা চলবে না। একইসঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন জাতির সংগঠনগুলি। সর্বত্র দাবি, আফস্পা তুলে নেওয়া হোক।
]]>রাজধানী শহর কোহিমা হোক গুরুত্বপূর্ণ শহর ডিমাপুর বা রাজ্যটির অন্যত্র, যখন তখন সরাসরি অসম রাইফেলস জওয়ানদের ঘিরে নিচ্ছেন উত্তেজিত স্থানীয়রা। উগ্র মূর্তিতে জওয়ানদের সঙ্গে চলছে কথা কাটাকাটি। কিছু ক্ষেত্রে বয়স্করা এগিয়ে এসে যুবকদের সামলাচ্ছেন। আর উর্ধ্বতন অফিসাররা পরিস্থিতি ঠান্ডা রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।

নাগাল্যান্ডের মন জেলায় অসম রাইফেলসের গুলিতে ১৫ জন শ্রমিক ও গ্রামবাসী নিহত। ক্ষোভের মুখে এক জওয়ান মৃত। মোট ১৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। জঙ্গি সন্দেহে ভুল করে দফায় দফায় গুলি চালানোর ঘটনায় মন জেলার তুরি-ওটিং গ্রাম দুটি রক্তাক্ত। এই ঘটনার জেরে পুড়েছে অসম রাইফেলস ক্যাম্প। বিভিন্ন সরকারি দফতরে হামলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিবৃতি দিয়ে জঙ্গি সন্দেহে গুলি চালানোর ঘটনা স্বীকার করেছেন।
তবে বিক্ষোভে ফুটছে নাগাল্যান্ড। ক্ষোভ ছড়িয়েছে মনিপুর, মিজোরাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা ও অসমে। এই রাজ্যগুলির পার্বত্য উপজাতি ও নাগা গোষ্ঠীগুলির মধ্যে প্রবল ক্ষোভ।

যে কোনও পরিস্থিতিতে নাগাল্যান্ড জুড়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে মন জেলায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। নাগা গোষ্ঠির ডাকা বনধ চলেছে সোমবার দিনভর। এই বনধের মাঝে প্রতিমুহূর্তে বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন অসম রাইফেলস জওয়ানরা। কোথাও যুবকরা ঘিরে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে। কোথাও তাদের বোঝাতে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন জওয়ানরা।
সশস্ত্র নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী NSCN খাপলাংয়ের হামলার আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন। সেই কারণে টহলরত জওয়ানদের কনভয় ঘুরছে। তাদের দেখে ক্রমাগত ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে স্থানীয়রা।
]]>শ্রমিকদের উপর অসম রাইফেলসের জওয়ানরা গুলি চালায় শনিবার। ঘটনাস্থলে ১৩ জন শ্রমিক মারা যায়। পরে আরও দু’জন মারা যায়। গুলিতে মোট ১৫ গ্রামবাসী মৃত। গ্রামবাসীদের তীব্র ক্ষোভের মুখে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সপ্তাহ শেষের আনন্দে কয়লা খনির শ্রমিকরা নিজের ভাষায় আনন্দের গান গাইছেন। বাকিরা সেই গানে তাল মেলাচ্ছেন। এরা সবাই নাগাল্যান্ডের মন জেলার তুরি-ওটিং গ্রামের বাসিন্দা বলেই দাবি করা হয়েছে।
তুরি-ওটিং দুটি গ্রামেরই বাসিন্দাদের দাবি, ভিডিওটি তোলা হয়েছিল অসম রাইফেলসের গুলি চালানোর আগে। তাঁরা আরও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন। এই ভিডিও ভয়াবহ। এতে দেখা যাচ্ছে গাড়ির উপর মৃতদেহের স্তূপ। একটার পর একটা দেহ গুলিবিদ্ধ। রক্তাক্ত দেহগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বাধা দিচ্ছেন এলাকাবাসী। চিতকার শোনা যাচ্ছে।
ভিডিও দুটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল আলোড়ন ফেলেছে। নাগাল্যান্ড, মনিপুর, মিজোরাম, মেঘালয়, অসম, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশের সর্বত্র । সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বা আফস্পা (AFSPA) বাতিলের দাবি নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে কেন্দ্র সরকারের উপর। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা, নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও ইতিমধ্যে আফস্পা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
]]>সোমবার নাগা সংগঠনগুলির ডাকা বনধ ঘিরে আরও অশান্তির আশঙ্কা। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেস ৫ সদস্যদের প্রতিনিধি ঘটনাস্থল যাওয়া নিয়ে বিতর্ক চরমে। কারণ, তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। জঙ্গি উপদ্রুত নাগাল্যান্ডের পরিস্থিতি যে কোনও সময় ফের রক্তাক্ত হতে পারে এমনই আশঙ্কা। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধিরা কী করে ঘটনাস্থলে যাবেন সেই নিয়ে প্রশ্ন।
শনিবার ও রবিবার জুড়ে অশান্ত নাগাল্যান্ডের মন জেলা। এই জেলার তুরি-ওটিং গ্রামের বাসিন্দাদের উপর গুলি চালায় অসম রাইফেলস। গুলিতে ১৫ জন গ্রামবাসী শ্রমিক মৃত। ক্ষোভের হামলায় এক জওয়ান মৃত। মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবারও সেই অশান্তির ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। মন জেলায় পালিত হচ্ছে বনধ। এই বনধের প্রভাব পড়েছে নাগা জাতি অধ্যুষিত উত্তর পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে। রবিবার রাতভর নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মনিপুরে হয়েছে প্রতিবাদ।
মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও জানিয়েছেন, অসম রাইফেলস গুলি চালায় হয় ভুল করে। তবে তাঁর বিবৃতির পরেই ক্ষোভের আগুন আরও ছড়ায়। এদিকে সোমবার কী করে টিএমসি প্রতিনিধিরা মন জেলায় যাবেন তাই নিয়ে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কটাক্ষ, বনধ ও উগ্র পরিস্থিতির মাঝে প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘চটজলদি’ রাজনৈতিক প্রচারে আসতে চাইছেন।
]]>দলের তরফে রাজ্যসভার সাংসদ ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বিবৃতি দিয়ে এই ঘোষণা করেছেন। প্রতিনিধি দলে থাকছেন তৃণমূলের চার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, সুস্মিতা দেব, শান্তনু সেন ও মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিত্ দেব।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে জঙ্গি দমন অভিযান চলাকালীন সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৩ জন নিরাপরাধ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত হন এক জাওয়ানও। এই ঘটনায় পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়। উত্তেজনা নিরসনে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাগাল্যান্ডের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ভয়াবহ এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও। নিরীহ গ্রামবাসীদের মৃত্যুর সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি টুইট করেছেন, ‘নাগাল্যান্ডের খবর অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমাদের অবশ্যই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে সকল ভুক্তভোগী যেন ন্যায়বিচার পান!’
Worrisome news from #Nagaland.
Heartfelt condolences to the bereaved families. I pray for the speedy recovery of those who were injured.
We must ensure a thorough probe into the incident and ensure that all victims get justice!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 5, 2021
প্রসঙ্গত, এই প্রথন নয়, এর আগেও দেশের নানাপ্রান্তে বিভিন্ন ঘটনার জেরে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে তৃণমূল। এনআরসির সময় অসমে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তাঁদের বিমানবন্দরের বাইরে বেরোতে দেওয়া হয়নি। পরে তিনসুখিয়ায় পাঁচ বাঙালির হত্যার ঘটনার পরও অসমে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। দিল্লি সীমানায় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গিয়েও দেখা করেছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন সহ তৃণমূলের সাংসদ ও নেতারা। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের পিষে দেওয়ার ঘটনার পরও সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল তৃণমূলের সাংসদের প্রতিনিধি দল। তবে সেখানে প্রিয়াঙ্কা-রাহুল সহ কংগ্রেস দল আটকে যান। এবার নাগাল্যান্ডে যাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
]]>পড়ুন: Nagaland: বড়দিনের আগেই রক্তাক্ত নাগাভূমি, নাগা পাহাড়ে ভয়ের মেঘ
জঙ্গি সন্দেহে গ্রামবাসী শ্রমিকদের উপর শনিবার গুলি চালায় অসম রাইফেলস। রক্তাক্ত পরিস্থিতির পর নাগাল্যান্ড সহ উত্তর পূর্বাঞ্চল জুড়েই ধিক্কার শুরু হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে অসম রাইফেলস ‘ভুল’ করে গুলি চালিয়েছিল। এতে ক্ষোভ সামলানো যায়নি।

গ্রামবাসীদের গুলি করে মারার প্রতিবাদে রবিবার দুপুর থেকে নাগাল্যান্ডের মন জেলা তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ। স্থানীয় অসম রাইফেলস ক্যাম্পে ভাঙচুর ও আউট পোষ্ট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্পষ্ট সামগ্রিক পরিস্থিতি নাগাল্যান্ড রাজ্য প্রশাসনের হাতের বাইরে।
গুয়াহাটির সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, আউট পোস্টে হামলা, আগুন ধরানো রুখতে শূন্যে গুলি চালায় অসম রাইফেলস। অভিযোগ এবারেও গুলি লেগে আরও দুই ব্যক্তি মারা গেছেন।

নাগাল্যান্ডের মন জেলার তুরি-ওটিং সড়কের পাশে ওটিং গ্রামে রক্তাক্ত পরিস্থিতির প্রতিবাদে ক্ষোভ ছড়িয়েছে অসম, মেঘাল়য, মনিপুর, মিজোরামে। বিক্ষোভের আক্রোষে উত্তপ্ত পুরো উত্তর পূর্বাঞ্চল।
দিল্লি সফর কাটছাঁট করে তড়িঘড়ি কোহিমা ফিরছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও। তিনি ডিমাপুর হয়েই আসবেন। এদিকে ক্ষোভের আঁচে উত্তপ্ত ডিমাপুর। বিভিম্ন সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘেরাও করার প্রস্তুতি চলছে। রাজধানী কোহিমা শহরেও তীব্র ক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
]]>মায়ানমার সীমান্তবর্তী নাগাল্যান্ডের মন জেলায় ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। জঙ্গি সন্দেহে স্থানীয় শ্রমিক গ্রামবাসীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায় জওয়ানরা। রক্তাক্ত ওটিং গ্রাম। ১৩ জন গ্রামবাসী মৃত। এক অসম রাইফেলস জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার রাতে নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিং গ্রামে সন্ত্রাস দমন অভিযান চলছিল। অসম রাইফেলস অভিযানে নেমেছিল। মায়ানমার থেকে নিয়ন্ত্রিত নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন NSCN খাপলাং গোষ্ঠী এই এলাকায় বেশি সক্রিয়। অভিযোগ, এই গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাধারণ নাগরিকদের উপর গুলি চালায় অসম রাইফেলস জওয়ানরা।

অসম রাইফেলসের গুলিতে ১৩ জন মারা গেছে। এই ঘটনার পর থেকে মন জেলা তীব্র উত্তপ্ত। প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। উত্তেজিত জনগণের লক্ষ্য অসম রাইফেলস ও স্থানীয় পুলিশের চৌকি। একের পর এক আউট পোস্টে হামলা চলছে। মন জেলার ওটিং গ্রাম এখন প্রশাসন বিহীন। সরে গেছে অসম রাইফেলস। গুলি চালানোর ঘটনার জেরে তীব্র প্রতিবাদে নাগাল্যান্ডবাসী আফস্পা আইন তুলে নেওয়ার দাবিতে সরব।
এদিকে মন জেলায় গুলিবিদ্ধ আরও কয়েকজনকে রাজধানী শহর কোহিমাতে আনা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও জানিয়েছেন ভুলবসত অসম রাইফেলস গুলি চালিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।
]]>রবিবার ভোরে অসম রাইফেলস জওয়ানদের গুলিতে নাগাল্যান্ডের মন জেলার তুরি গ্রামে ১৩ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। ক্ষোভের মুখে পড়ে এক জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যায় বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।
মৃত গ্রামবাসীরা সবাই শ্রমিক। তাদের জঙ্গি সন্দেহে গুলি করে জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, তুরি গ্রামের কাছে বাস স্ট্যান্ডে গাড়ি ধরার জন্য অনেকে এসেছিলেন।

মন জেলায় মর্মান্তিক এই ঘটনার পর শোক জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, কেন গুলি চালাল অসম রাইফেলস তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।
নাগাল্যান্ড অশান্ত হতে শুরু করেছে। রাজ্যের সর্বত্র পালিত হচ্ছে ‘কালো দিল’। একের পর এক উপজাতি গোষ্ঠী তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন AFSPA বাতিলের দাবিতে সরব।
সূত্রের খবর, একাধিক উপজাতি গোষ্ঠীর তরফে রাজ্য সরকারের উপর চাপ তৈরি করা হয়েছে। সরকারে থাকা দল এনপিএফের বিধায়করা বিভিন্ন গোষ্ঠীভুক্ত। আসছে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি। মু়খ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিওর সরকার কি সংকটে?
বিশেষ সূত্রে www.kolkata24x7.in জানতে পেরেছে, বদলা নিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে নাগাল্যান্ডের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন NSCN(K), এই সংগঠনটি ভারতের সবথেকে আক্রমণাত্মক বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। মায়ানমারে তাদের মূল ঘাঁটি।
]]>নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও বিবৃতি দিয়ে জানান, ভুলবশত গুলি চলেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিখ্যাত হর্নবিল ফেস্টিভ্যালের মাঝে রক্তাক্ত নাগাভূমি। ১-১০ ডিসেম্বর এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পর্যটন উৎসব। নাগা উপজাতিদের এই উৎসব চলছে রাজ্য জুড়ে। তার মধ্যেই মন জেলায় ঘটল রক্তাক্ত ঘটনা।
সূত্রের খবর, নিরাপত্তা রক্ষীরা গুলি চালায় মন জেলার তুরি গ্রামে। ভোরে ওই গ্রামবাসীরা গাড়ি ধরার জন্য এসেছিলেন। গুলিতে ঘটনাস্থলেই অধিকাংশ মারা যান। এরপর গ্রামবাসীরা হামলা করেন।
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত যে নাগা জঙ্গি সংগঠন NSCN (K) যখন তখন প্রত্যাঘাত করতে পারে বলে আশঙ্কা।
(বিস্তারিত আসছে)
]]>