Laxmi puja – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Wed, 20 Oct 2021 04:47:18 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Laxmi puja – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 পুজোর দিনেই লক্ষী এলেন ঘরে, এখনই দুর্গা গড়ার অর্ডার শিল্পীর হাতে https://ekolkata24.com/offbeat-news/artist-gets-idol-making-order-of-next-year-durga-puja-on-laxmi-puja Wed, 20 Oct 2021 04:47:18 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8398 বিশেষ প্রতিবেদন: এমন বরাত কতজনের হয়? ভালো কাজ করলে হয়তো তা হয়। তেমনভাবেই বরাত খুলেছে দীপেন মন্ডলের। পরের দুগ্গা পূজো এখন খান ৩৪০ দিন পরে। এমন সময়েই আগামী বছরের ঠাকুর গড়ার দায়িত্ব পেয়ে গেলেন শিল্পী। সৌজন্যে কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রিট ক্লাব।

ক্লাবের কর্তা অভিজিৎ বসু জানিয়েছেন, ” ক্লাবের এই বছরের পুজোর চালিকাশক্তি মনে হল শিল্পী দীপেনই। ওর প্রতিমা দেখে ধন্য ধন্য করল দর্শক .প্রতিবেশী ও বিচারকরা তাই আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই নবীন শিল্পীকে এবং সামনের বছর ও কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রীট ক্লাবের দুর্গা প্রতিমার দায়িত্ব ওর হাতেই অর্পণ করলাম।”

একইসঙ্গে তিনি বলেন, “কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রীট ক্লাবের এ বছরের দুর্গা প্রতিমার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল প্রতিভাবান শিল্পী দীপেন মন্ডল কে, সুদূর বীরভূমের মধ্যবিত্ত ঘরের এই ছেলেটি বহু বছর ধরেই কলকাতায় বিভিন্ন শিল্পীদের সহকারী হিসেবে কাজ করেছে ,কখনো কুমোরটুলি কখনো কালীঘাটের পটপাড়ায়. বেশ ক’বছর ধরে ওর কাজের ধরন দেখছিলাম অসম্ভব প্রতিভাবান এই শিল্পী এবছর নিজেই বেশ কটা ঠাকুর তৈরি করবে ঠিক করে বালিগঞ্জের দুর্গা বাড়িতে. জানুয়ারি মাস থেকেই আমাদের সঙ্গে কথা চলছিল অত্যন্ত নম্র-ভদ্র এই নবীন শিল্পী কে আমাদের প্রতিমার ছবি দেখাই বিশেষ করে সিংহাসনের সাথে আমাদের মণ্ডপে আরো সাতটি সিংহ ও রাধা কৃষ্ণ মূর্তি ও বানাতে হবে সেটাও জানাই…. টাকা পয়সার কোন ফাইনাল না করেই শিল্পী দীপেন মন্ডল ক্লাবে আমাদের মূর্তি তৈরি করবে কথা দেয়।”

একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “প্রথম প্রথম একটু ভয় থাকলেও যতদিন গড়াতে থাকে তত অবাক হতে থাকি এই শিল্পীর একাগ্রতা দেখে ..কলকাতার আরও বড় ছটি ক্লাবের দুর্গা ও তৈরি করে তারই মধ্যে একটি এশিয়ানপেইন্টস সম্মানে সম্মানিত.. সত্যি কখনো কখনো মনে হয় আমরা হয়তো খাঁটি সোনা টাকে ঠিকমতো চিনতে পারিনা ছুটি নাম যশের পেছনে কিন্তু হ্যাঁ কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রীট ক্লাব অত্যন্ত কষ্ট করে আজকের এই পুজোকে কলকাতার মানচিত্র স্থান করেছে তার জন্য আমাদের দুর্গা প্রতিমার রুপি মানুষের মনকে টানে বছরের পর বছর . তাই খাঁটি সোনা কে চিনতে অসুবিধা হয়নি.. আর সেটা

নবীন শিল্পী দীপেন মন্ডল ও জানতো তাই ওর সবকিছু দিয়ে আমাদের এই মূর্তিকে সাজিয়ে তুলেছে কোন ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা ও আশা করিনি ও শুধু চেয়েছে মন প্রাণ দিয়ে কাজটা করতে আজ সত্যিই লক্ষ্মী পূজার সকালে ওকে এবছরের পুজোয় কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রীট ওকে পুজোর আগাম দায়িত্ব দিল।”

]]>
Laxmi Puja: লক্ষ্মী পুজোর আনন্দে মেতে উঠলেন টলিপাড়ার বিভিন্ন তারকা https://ekolkata24.com/entertainment/laxmi-puja-at-bengali-celebs-place Tue, 19 Oct 2021 18:07:24 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8369 বায়োস্কোপ ডেস্ক: মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিন লক্ষ্মীপুজো। দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার লক্ষ্মী পুজোর আনন্দে মেতে উঠলেন টলিপাড়ার একাধিক তারকা। প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও জাঁকজমক করে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল উত্তমকুমারের বাড়িতে। দাদুর ধুতি পড়ে লক্ষ্মী পুজো আরতী করতে দেখা গেল উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চ্যাটার্জী।

এইদিন উত্তমকুমারের বাড়িতে ধনদেবীর আরাধনায় যেতে দেখা যায় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে। আরাধনা করতে করতে লক্ষ্মী পুজোর দিনে উত্তম কুমারের স্মৃতি স্মরণ করলেন গৌরব। তিনি বললেন, “এ বাড়ির নিয়ম মেনে আজ দেবলীনাকে সাথে নিয়েই পুজোয় বসেছি। এর আগে যখন ছোটদাদু ছিলেন, তিনিও ছোট দিদি মাকে সাথে নিয়েই ধনদেবীর আরাধনায় মত্ত হতেন।” ছোটবেলায় লক্ষ্মী পুজোর পর রাত জেগে প্রজেক্টরের সিনেমা দেখার গল্পও তিনি ভাগ করে নিলেন অনুরাগীদের সাথে।

লক্ষী পূজোয় নিজের হাতে দেওয়া আলপনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জিও। মেয়ে ও কয়েকজন বান্ধবীর সাথে একই নিয়মে লক্ষ্মীপুজোয় মাতলেন অভিনেত্রী। নিজের বাড়িতে ধন্য দেবীর আরাধনায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় অভিনেত্রী এনা সেনকেও। তিনি জানিয়েছেন, বাড়িতে পুজোর জন্য আলপনা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তার। প্রত্যেক বছরই লক্ষ্মী পুজোর জন্য বাড়ির সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন দায়িত্ব ভাগ করা থাকে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

ধনদেবীর আরাধনায় মাতলেন লোকসংগীত শিল্পী অদিতি মুন্সীও। বাপের বাড়ির লক্ষ্মীপূজোয় কোন অন্ন ভোগ করা হয় না বলে জানালেন অদিতি মুন্সি। যেহেতু দু’দিন মিলিয়ে লক্ষ্মী পুজো পড়েছে, প্রথমদিন বাপের বাড়ির পূজো সেরে পরেরদিন শ্বশুর বাড়ির লক্ষ্মীপূজোয় মনোনিবেশ করবেন বলে জানালেন সংগীতশিল্পী। আবার, লক্ষ্মী পূজার প্রসঙ্গে বেশ রসিকতার মেজাজে দেখা গেলো অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদারকে। করোনা বিধি মেনে লক্ষী পূজোর সমস্ত আয়োজন করেছেন বলে জানালেন অভিনেত্রী। শুটিংয়ের ব্যস্ততার মাঝেই মায়ের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করেছিলেন ইন্দ্রানী হালদার।

]]>
কোজাগরি উৎসবেই হয় সরস্বতী আরাধনা, ইউএসপি বিশাল জিলিপি https://ekolkata24.com/offbeat-news/the-special-laxmi-puja-of-binpur Tue, 19 Oct 2021 08:03:51 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8276 বিশেষ প্রতিবেদন: বিনপুর থানার হাড়দা গ্রামে এটাই ট্র‍্যাডিশন! চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীর পুজোর মতোই কোজাগরি উৎসব পাঁচদিন ধরে। কয়েক কুইন্টাল জিলিপি কেনাবেচা হয় এখানে।

দুর্গাপুজো শেষ। একবোনের বিসর্জন, আর অন্য বোনের আবাহন এমনটা হয় নাকি! এক বোনকে ছেড়ে অন্য বোনের পুজোটা কি ঠিক? অন্য কোথাও হলেও বিনপুর থানার হাড়দা গ্রামে হয় না। দুই বোন একই সঙ্গে মর্তে এসেছেন, সুতরাং পুজোটাও হবে একই সঙ্গে। কোজাগরীর রাতে দুই বোনকে পাশাপাশি বসিয়ে পুজো করাটাই দস্তুর বিনপুরে। আর সেটাই প্রায় দেড়শো বছর ধরে করে আসছেন গ্রামবাসীরা।

হাড়দা গ্রামে কয়েক ঘর বর্ধিষ্ণু চাষীদের বাস। পুজোর মূল উদ্যোক্তা তাঁরাই। গ্রামবাসীরা বলেন, এই পুজো নাকি স্বপ্নে পাওয়া। জনশ্রুতি, কয়েকশো বছর আগে হাড়দার শুঁড়ি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা গ্রামের সম্পন্ন ‘মোড়ল’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ওই পরিবারগুলিকে ‘মণ্ডল-বাকুল’ বলা হত।

special laxmi puja of binpur

শোনা যায়, গ্রামের অক্রূর মোড়ল স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে মণ্ডল-বাকুলের পারিবারিক কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো শুরু করেন। পুজোর বয়সও কিছু কম নয়। ১৫৭ বছরে পা দিল বিনপুরের কোজাগরী লক্মী আরাধনা। সম্পদের দেবীর পাশে একই সঙ্গে আলো করে থাকেন বিদ্যার দেবী সরস্বতী। দু’জনকে নিয়েই পুজো। দু’জনের একই সঙ্গে আবাহন ও পুজো শেষে বিসর্জন। এটাই পরম্পরা। এটাই রীতি। দেড়শো বছরেও তার অন্যথা হয়নি।

এক চালের প্রতিমা। পাশাপাশি লক্ষ্মী-সরস্বতী। চালচিত্রের মাথায় চৈতন্য বেশে নারায়ণ। দুই দেবীর দু’পাশে তাঁদের চার সখী। পুরাণ মতে এই সখীদের বলা হয় লুক ও লুকানি। পুজোটা করেন সম্পন্ন চাষী পরিবারের মোয়ো, বৌয়েরা। তাই উদ্য়োগ-আয়োজনেও কমতি থাকে না। নাড়ু, মুড়ি, মুড়কি, নারকোলের চিঁড়ে দিয়ে এলাহি আয়োজন। কৃষি থেকেই এসেছে স্বাচ্ছন্দ্য। তাকে লক্ষ্মীর আশিস হিসেবেই দেখেন হাড়দা গ্রামের বাসিন্দারা। বুধবার তাই ব্য়স্ততার অন্ত নেই গ্রামে। খেত ভরা ফসলের আনন্দে হাড়দা গ্রামে লক্ষ্মীর বসতি। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস “মা লক্ষ্মীর আর্শীবাদেই ফসলে ভরে উঠেছে তাদের উঠোন।’’

লোকসংস্কৃতি গবেষক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথায়, বিষ্ণু পুরাণ অনুযায়ী বিষ্ণুর স্ত্রী জ্ঞান ও সম্পদ স্বরূপা। সেই ভাবনা থেকেই গ্রামে দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে দেবী সরস্বতীও পূজিতা হন। কৃষি থেকেই আর্থিক স্বচ্ছলতা। সেখান থেকেই বেড়েছে শিক্ষার হার। আর এ সবই দুই দেবীর কৃপায় সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন গ্রামবাসীরা। তাই একই সঙ্গে একই চালায় দুই দেবীই পূজিতা হন।

শতবর্ষ প্রাচীন কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোকে ঘিরে উৎসবমুখর গোটা বিনপুর। গ্রামের প্রায় চারশো মণ্ডল পরিবার এই পুজোয় সামিল হন। পুজোকে ঘিরে বসে মেলা। পুজোর অন্যতম কর্মকর্তা রাজেশ মণ্ডল বলেছেন, এ বার পুজোর বাজেট পাঁচ-ছয় লাখ টাকার মধ্যে। মণ্ডল পরিবারের সবাই সাধ্যমত টাকা দিয়ে তহবিল গড়েন। যাঁরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন, তাঁরা পুজোয় গ্রামে ফেরেন। লক্ষ্মী পুজোকে ঘিরে হাড়দা গ্রামে শারদীয়া উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।

এই পুজোর আরও একটি বৈশিষ্ট্য আছে, সেটা হল পুজোর মেলায় বিখ্যাত জিলিপি। গ্রামবাসীদের কথায়, লক্ষ্মীপুজোয় বিনপুরের হাড়দা গ্রামের জিলিপির কথা শোনেননি এমন মানুষ নাকি নেই। প্রকাণ্ড মাপের রসে ভরা সেই জিলিপির চলও নাকি প্রাচীন কাল থেকেই। হাড়দাবাসীর বিশ্বাস, জিলিপির রসে মিশে থাকে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ। দেবীর নৈবেদ্যে অবশ্য জিলিপির ঠাঁই নেই।

কিন্তু কে জিলিপি বানাবেন? সে জন্য আগাম নিলাম ডাকে পুজো কমিটি। যিনি সর্বোচ্চ দর দেন, কেবলমাত্র তিনিই মেলায় প্রসাদী জিলিপির দোকান খোলেন। মেলার পাঁচ দিন একমাত্র ওই দোকানেই জিলিপি বিক্রি হয়। বিউলি ডালের গুঁড়োর সঙ্গে আতপ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি হয় বিশেষ ধরনের এই জিলিপি। বছরে মাত্র এক বার। নিয়ম অনুযায়ী কোজাগরীর পরে প্রতিপদ থেকে এই জিলিপি তৈরির কথা। তবে এখন লক্ষ্মীপুজোর দিনেই জিলিপি তৈরি শুরু হয়ে যায়।

বিনপুরের জিলিপিকে ‘ট্যুর প্যাকেজ’-এ সামিল করে ফেলেছে একাধিক বেসরকারি পর্যটন সংস্থা। ঝাড়গ্রামের পর্যটনেও যুক্ত হয়েছে এই পুজোর মেলা।

]]>
Laxmi Puja: কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষী ঘরে এসে কী বলেন? জেনে নিন https://ekolkata24.com/uncategorized/the-story-of-kojagari-laxmi-puja Tue, 19 Oct 2021 07:29:26 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8271 বিশেষ প্রতিবেদন: আবহাওয়া প্রতিকূল, ভীষণ দুর্যোগ চলছে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামীকাল, বুধবার লক্ষ্মীপুজো কিন্তু তিথি বিচারে ও নিশিযাম অনুযায়ী আজ মঙ্গলবারই বাঙালির ‘কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা’। জানেন কী লক্ষী কোজাগরী পূর্ণিমার দিন এসে কী বলেন? 

কোজাগর অর্থাৎ আশ্বিনী-পূর্ণিমা, এবারে অবশ্য দেরিতে হ‌ওয়ার জন্য কোজাগরী পূর্ণিমা কার্তিক মাসে ঠেকেছে। কথিত আছে, এই তিথিতে নিশিযামে লক্ষ্মীদেবী পৃথিবীতে নেমে এসে বলেন, “শুধুমাত্র নারিকেলের জল পান করে কোন মর্ত‍্যবাসী জেগে আছ ? এসো আমি তোমায় ধন-সমৃদ্ধি দান করব।”

ব্রহ্মার মানসপুত্র ভৃগুর ঔরষে ও দক্ষরাজ প্রজাপতির কন্যা খ্যাতির গর্ভে লক্ষ্মী দেবীর জন্ম। লক্ষ্মীর দুই ভাইয়ের নাম ধাতা ও বিধাতা। বিষ্ণুপত্নী লক্ষ্মী স্বর্গ মর্ত‍্য পাতাল, সর্বত্র ধনলক্ষ্মীরূপে পূজিতা। একবার দেবরাজ ইন্দ্রের প্রতি কূপিত দূর্বাসা মুণি অভিশাপবলে স্বর্গ সহ ত্রিলোককে শ্রীহীন তথা লক্ষ্মীহীন করেন। শ্রীলক্ষ্মী সাগরতলে আশ্রয় গ্ৰহণ করেন। লক্ষ্মীহারা ত্রিভূবনে ত্রাহি ত্রাহি রব ওঠে।

তখন ব্রহ্মার নির্দেশে দেব ও অসুর মিলিতভবে সমুদ্র মন্থনে উদ্যোগী হয়। মন্থনের পাকদন্ড হয় মন্দর (মৈনাক?) পর্বত, পাক-রজ্জু বা দড়ি হয় নাগরাজ বাসুকী। দেব ও দানব সম্মিলিতভাবে মন্থন শুরু করে। মন্থনকালে একে একে উঠে আসে লক্ষ্মী, চন্দ্র, পারিজাত, ধণ্বন্তরী, অমৃত, ঐরাবত, উচ্চৈশ্রবাঃ ও সবশেষে অমৃত। এই লক্ষ্মীকেই অযোনিসম্ভবা হয়ে জনকরাজার কন্যারূপে পৃথিবীবাসীও হতে হয়েছিল, লক্ষ্মী হয়েছিলেন রঘুপতি রামচন্দ্রের দয়িতা, সীতা।

অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর রাতে দলবদ্ধভাবে আশপাশের প্রতিবেশীদের বাড়ির গাছের ফসল চুরি করে আনন্দ পায়। অনেক সময় চুরিকরা ফল-সব্জি ফসল-মালিকের বাড়ির দরজাতেই রেখে আসার‌ও প্রচলন আছে।

লক্ষ্মীর পট : সাধারণ মানুষ ও নিম্নবিত্ত কৃষিজীবী, সকলের‌ই তো ধানের গোলা সদৃশ শস্যাগার ছিল না। শস্য মজুত থাকতো মাটির জালা বা ঐ ধরনের বড় পাত্রে। সাধারণত এর ঢাকনাও ছিল মাটির সরাজাতীয় পাত্র। শস্যাগারের খিল তাড়া শিকল অর্গল বা রক্ষী হিসেবে এই সরাকেই আল্পনায় চিত্রিত করে মা লক্ষ্মীর প্রতীক রূপে পুজো করা হতো।

পরে পরে এই সরা-ই লক্ষ্মী-নারায়ণ, ফুল পাখি লতা-পাতা দিয়ে চিত্রিত হয়ে ‘পট-শিল্প’ গড়ে ওঠে। এটি প্রধানত পূর্ব বঙ্গের সংস্কৃতি। এখন অবশ্য সর্বত্র‌ই ছড়িয়ে পড়েছে। এই পটের‌ও অনেক রকমফের আছে।

]]>
করোনা টু বৃষ্টি, ত্রিফলায় লক্ষী পুজোর হাল ভাঁড়ে মা ভবানী https://ekolkata24.com/uncategorized/laxmi-puja-market-condition-is-worst Tue, 19 Oct 2021 04:55:23 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=8230 নিউজ ডেস্ক: সবেমাত্র গিয়েছে দুর্গাপুজো। সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এবং দোসর আবহাওয়া। সবমিলিয়ে লক্ষীর ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা। তিন দুর্যোগে বাজার খারাপ লক্ষীপুজোর। আর কিছু না হোক অন্তত বৃষ্টিটা থামুক। এমনটাই চাইছেন যারা লক্ষী পুজোর পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন রাস্তার মোড়ে মোড়ে।

রবিবার থেকেই লক্ষ্মীপুজোর বাজার নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। কিন্তু কোথায় কী? বিক্রি-বাট্টা তেমন না নেই। তাই ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে। সোমবার সকাল থেকে বিকেল টানা বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন বাজার ঘুরে পুজোর সামগ্রীর কেনার সেই চেনা ভিড় নেই। এটা একদিকে দিয়ে যেমন ভালো, অপরদি খারাপ।

বিক্রেতারা স্পষ্ট বলছেন প্রতিমা বিক্রি অন্যান্য বছর তুলনায় অর্ধেকও হয়নি। তিলের নাড়ু থেকে নারকেল নাড়ু, ধানের শিষ, ডাব, তালের শাঁস নিয়ে সবাই বসে রয়েছেন, কিন্তু খদ্দের নেই। আকাশের হাল খারাপ। ফলে লক্ষ্মীপুজোর বাজার চাঙ্গা না হওয়ার দিকেই এগোচ্ছে।

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, উত্তর তেলেঙ্গানার উপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ রয়েছে। বেপাত্তা শুকনো হাওয়া। সে যে কোথায় তা এখনও জানা যায়নি, অথচ অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ শেষের পথে। এদিকে পুবালি বাতাসের প্রভাব এখনও প্রকট হয়ে রয়েছে। দু’য়ের কোপে টানা বৃষ্টিতে নাকাল রাজ্যের একাধিক জেলা, মূলত দক্ষিণবঙ্গ।

এতেই থামছে না হাওয়া অফিস জানাচ্ছে নতুন একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে যার অবস্থান মধ্যপ্রদেশে সঙ্গে বাংলার উপর আরও একটি নিম্নচাপ রয়েছে। ফলে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে রাজ্যে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতে। পাশাপাশি দুর্যোগ শুরু হবে উত্তরবঙ্গেও। সেখানেও আজ থেকে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

উত্তরবঙ্গে বুধবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। ওইদিন বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার খবর জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের লাগোয়া রাজ্য ওডিশা এবং ঝাড়খণ্ডেও ভারী বৃষ্টি হবে।

]]>