life – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 04 Dec 2021 16:30:07 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png life – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 পেনশন প্রাপকদের জন্য স্বস্তি, বাড়ল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সময়সীমা https://ekolkata24.com/business/relief-for-pensioners-deadline-for-submission-of-increased-life-certificate Sat, 04 Dec 2021 16:30:07 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13537 নিউজ ডেস্ক, মুম্বই: পেনশন প্রাপকদের (Penson Holder) জন্য সুখবর শোনাল নরেন্দ্র মোদি সরকার (Narendra Modi Government)। শনিবার কেন্দ্র জানিয়েছে, যারা অবসর নিয়েছেন তাঁদের লাইফ সার্টিফিকেট বা জীবনের প্রমাণপত্র (Life Certificate) জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর (December) পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির জন্যই সময়সীমা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত।

সাধারণত সরকারি পেনশন প্রাপকদের প্রতিবছরই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। এই সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার মাধ্যমে পেনশন প্রাপকদের নিশ্চিত করতে হয় যে তাঁরা জীবিত আছেন। সার্টিফিকেট জমা না করলে পেনশন বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা ৩০ নভেম্বর। সেই সময়সীমা ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু করানোজনিত কারণে দেশের পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা। সে কারণেই শনিবার কেন্দ্র এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল, পেনশন প্রাপকদের জীবনের শংসাপত্র বা লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হল।

করোনাজনিত পরিস্থিতিতে প্রবীণ মানুষেরা অনেকেই বাড়ির বাইরে বের হওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। তাই বয়স্ক মানুষদের কাছে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া এক সমস্যার বিষয় হয়ে উঠেছে। তাই হুড়োহুড়ি না করে সকলেই যাতে ধীরেসুস্থে এই সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেন তার জন্যই সময়সীমা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত। সরকার আরও জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাঁরা শংসাপত্র জমা করতে পারেননি তাদের পেনশন আটকে রাখা হবে না।

তবে অবসর প্রাপ্তদের শুধু যে ব্যাংকে গিয়ে এই সার্টিফিকেট জমা করতে হবে তা নয়। প্রয়োজন মনে করলে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাক্তি অনলাইনে বাড়ি থেকেও এই সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তাঁর মোবাইলে ‘জীবন প্রমাণ মোবাইল অ্যাপ’ ডাউনলোড করতে হবে। সেখানে আধার নম্বর, পেনশনের অর্ডার নম্বর, ব্যাংকের বিবরণ ও অন্যান্য কিছু তথ্য জানাতে হবে। দিতে হবে আঙুলে ছাপ।

]]>
Gabbar Singh: ‘হিন্দুস্তান কি কসম’ ছবি বদলে দিয়েছিল পাকিস্তানি খলনায়কের জীবন https://ekolkata24.com/offbeat-news/the-film-hindustan-ki-kasam-changed-the-life-of-pak-born-villain-gabbar-singh Fri, 12 Nov 2021 18:16:28 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11099 বিশেষ প্রতিবেদন: হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে সেরা খলনায়কদের তালিকায় চোখ বুজে শীর্ষে ঠাঁই করে নেবে যে চরিত্রটি সেটি হলো গব্বর সিং। ‘শোলে’ সিনেমার এই দুর্ধ্বর্ষ ডাকাতের চরিত্রটিকে অভিনয়গুণে যিনি সিনেমার সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্রে পরিণত করেছেন তিনি হলেন আমজাদ খান।

আমজাদ খান ছিলেন সে সময়ের গতানুগতিক খল চরিত্রের অভিনেতাদের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। তার চেহারা, কণ্ঠস্বর আর মেজাজে মিশে ছিল আভিজাত্য। তার উচ্চারণভঙ্গীও ছিল আলাদা ধাঁচের। ফলে খুব সহজেই তিনি দর্শকদের মনে স্থান করে নিতে পেরেছিলেন।

আমজাদ খানের জন্ম ১৯৪০ সালের ১২ নভেম্বর অবিভক্ত ভারতের পেশোয়ারে। পুরো নাম আমজাদ জাকারিয়া খান। বাবার নাম জাকারিয়া খান। রূপালি পর্দায় জয়ন্ত নামে অভিনয় করে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। শতাধিক ছবির এই অভিনেতার সন্তান আমজাদ খানের রক্তে মিশে ছিল অভিনয়। তিনি মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন চল্লিশের দশকের শুরু থেকে। বান্দ্রার সেন্ট অ্যান্দ্রুজ হাই স্কুলে পড়তেন। কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

১৯৫১ সালে ‘নাজনিন’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রযাত্রা শুরু হয়। সে সময় তিনি ছিলেন শিশুশিল্পী। বাবার সঙ্গে অনেক ছবিতে ছোট ছোট ভূমিকায় অভিনয় করতেন তিনি। ‘হিন্দুস্তান কি কসম’ ছবিতে একটি ছোট ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে পরিণত বয়সে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়। সে সময় তিনি মঞ্চেও অভিনয় করতেন।

তিনি প্রথম বড় সুযোগ পান ‘শোলে’ ছবিতে গাব্বার সিংয়ের ভূমিকায়। ছবিটির চিত্রনাট্যকার ছিলেন সেলিম-জাভেদ জুটি। সেলিম খান তাকে এই ভূমিকায় পছন্দ করেন। তার জন্য সুপারিশ করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তিনিও তখন বলিউডে প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছেন। ১৯৭৫ সালে ‘শোলে’ মুক্তির পর গাব্বার সিং-এর চরিত্রটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।

‘শোলে’তে ধর্মেন্দ্র, অমিতাভ, সঞ্জীব কুমারের মতো তারকাদের সঙ্গে শুধু সমান তালেই অভিনয় করেননি আমজাদ বরং সব আলো কেড়ে নেন নিজের দিকে। নায়ক জয় ও ভিরুর চেয়েও বেশি জনপ্রিয়তা পায় গাব্বার। গাব্বারের উচ্চারিত ‘কিতনে আদমি থে?’, ‘ইয়ে হাথ মুঝে দে দে ঠাকুর’, ‘জো ডর গায়া, সমঝো মর গায়া’ ইত্যাদি সংলাপ লোকের মুখে মুখে ফেরে। তিনি গাব্বার সিংয়ের সাজে ব্রিটানিয়া গ্লুকোজ বিস্কিটের বিজ্ঞাপনে অংশ নেন। সেখানে তার সংলাপ ছিল ‘গাব্বার কি আসলি পসন্দ’। কোনো খলনায়কের নামে জনপ্রিয় পণ্যের বিজ্ঞাপন সেই প্রথম।

‘শোলে’র পর অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে দেরি হয়নি তার। একের পর এক ছবিতে খলনায়ক হয়ে পর্দায় দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে থাকেন।

১৯৭৭ সালে তিনি অভিনয় করেন সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার এক চরিত্রে। সত্যজিৎ রায়ের ক্ল্যাসিক ছবি ‘সতরঞ্জ কি খিলাড়ি’তে আওধের শেষ নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের ভূমিকায় দেখা যায় তাকে। আওধ বা লক্ষ্ণৌর শেষ নবাব ওয়াজেদ আলি ছিলেন কবি, সঙ্গীতানুরাগী এবং অভিমানী। এই জটিল চরিত্রে অভিনয় করে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ান আমজাদ খান।

১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’। এ ছবিতে নায়ক ছিলেন অমিতাভ বচ্চন আর খলনায়ক দিলওয়ারের চরিত্রে ছিলেন আমজাদ খান। এখানেও তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। দিলওয়ার শুধু সাধারণ খুনে গুন্ডা নয়, সে পাগল প্রেমিকও বটে। ‘ইনকার’, ‘দেশ পরদেশ’, ‘নাস্তিক’, ‘সাত্তে পে সাত্তা’, ‘দাদা’, ‘চম্বল কি কসম’, ‘নসিব’, ‘গঙ্গা কি সৌগান্ধ’, ‘হাম কিসিসে কম নেহি’ ইত্যাদি ছবিতে খলনায়ক রূপে দেখা যায় তাকে। ‘লাওয়ারিস’ ছবিতে ব্যতিক্রমী ভূমিকায় পর্দায় আসেন তিনি। ছবির প্রথমে এক ধনী লম্পট এবং পরের অংশে ত্যাগী ও দয়াবান ভূস্বামীর চরিত্রে দেখা যায় তাকে।

এখানে অমিতাভ বচ্চনের বাবার ভূমিকায় ছিলেন তিনি। এই সময়ে বেশ কিছু ছবিতে তাকে ইতিবাচক ভূমিকায় দেখা যায়। ‘ইয়ারানা’ ছবিতে অমিতাভের বন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেন আমজাদ খান। ‘কুরবানি’ ছবিতে তীক্ষ্ণ ও রসবোধ সম্পন্ন এক পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে আমজাদ খান চমক সৃষ্টি করেন। কুমার গৌরব-ভিজেতা পণ্ডিত অভিনীত হিট ছবি ‘লাভস্টোরি’তে বন্ধুভাবাপন্ন পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকায় ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে হাসির ছবি ‘চামেলি কি শাদি’ তে অনিল কাপুর, অমৃতা সিং এবং আমজাদ খান দারুণ কমেডি উপহার দেন দর্শককে।

১৯৮৬ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাকে যেসব ওষুধ গ্রহণ করতে হয় তার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় বিপদজনকভাবে তার ওজন বেড়ে যায়। এই বাড়তি ওজনই তার মৃত্যু ডেকে আনে। ১৯৯২ সালের ২৭ জুলাই মাত্র ৫১ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তার।

প্রায় কুড়ি বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ১৩০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত বিখ্যাত ছবির মধ্যে আরও রয়েছে ‘লাভ’, ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘দেশপ্রেমী’, ‘লেকিন’, ‘রুদালি’, ‘পালকো কি ছাওমে’, ‘পারভারিস’, ‘বেশরম’, ‘হীরালাল পান্নালাল’, ‘কাসমে ওয়াদে’, ‘বারসাত কি এক রাত’, ‘ফুল খিলে হ্যায় গুলশান’, ‘মিস্টার নটবরলাল’, ‘সুহাগ’ ইত্যাদি। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে অনেক ছবিতে অভিনয় করেন।

]]>
অভ্যাস পরিবর্তন করে আপনার জীবনকে কীভাবে পরিবর্তন করবেন? https://ekolkata24.com/lifestyle/how-do-you-change-your-life-by-changing-habits Fri, 01 Oct 2021 12:42:13 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=6238 অনলাইন ডেস্ক: আপনি আপনার জীবনের যে পর্যায়ে আছেন তা আপনার অভ্যাসের ফল। সত্যতা শ্রেষ্ঠত্বের বিপরীত। মধ্যবিত্ততা মাঝারি অভ্যাসের ফল। তার মানে, আমরা আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করে মধ্যমত্ব থেকে শ্রেষ্ঠত্বের দিকে যেতে পারি।

অভ্যাসগুলি আপনার জীবন পরিবর্তন করে, কিন্তু সব অভ্যাস আপনার সাফল্যের গ্যারান্টি দিতে পারেনা। কিন্তু আপনি এটা কিভাবে সম্ভব করবেন ? তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা, কঠোর পরিশ্রম করা, এবং ঠান্ডা জলে স্নান করা সবসময় সাফল্যের কারণ হয় না। সুতরাং যখন আমরা অভ্যাস সম্পর্কে কথা বলি, তখন ফলাফল সম্পর্কে কথা বলি না। আমরা আমাদের প্রকৃত আচরণ পরিবর্তন করার কথা বলি যাতে এটি আমাদের জীবনের মান উন্নত করে।

ধাপ ১ : কোন অভ্যাসগুলি মূল্যবান তা নির্ধারণ করুন –
একটি অভ্যাস আপনার জন্য মূল্যবান কিনা তা সিদ্ধান্ত নেওয়া নতুন অভ্যাস গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রায়শই কিছু সম্পর্কে শুনি এবং আমরা মনে করি: “আমার এটি করা উচিত!” আপনি কেবল নিজের জন্য একটি ভাল অভ্যাস কী তা নির্ধারণ করতে পারেন। হয়তো তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা আসলে আপনার জন্য সহায়ক। নিজেকে প্রশ্ন করুন ” কোন অভ্যাস আমার জীবনের মান উন্নত করবে?” এমন অভ্যাসগুলি গ্রহণ করুন যা আপনাকে জীবনে যা চান তার কাছাকাছি নিয়ে আসে।

ধাপ ২ : একবারে একটি অভ্যাসের দিকে মনোনিবেশ করুন-
যখন আপনি একই সময়ে অনেকগুলি কাজ করেন, তখন আপনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। আমরা একই সাথে অনেক কিছু করার চেষ্টা করার একটি কারণ হল যে আমরা নিজেদেরকে অত্যধিক মূল্যায়ন করি। আমরা মনে করি আমরা অল্প সময়ে অনেক কিছু অর্জন করতে পারি। এটা মিথ্যা। আমরা দীর্ঘ সময় ধরে অনেক কিছু অর্জন করতে পারি। সেটা সত্য। তাই একবারে একটি বিষয়ের উপর ফোকাস করুন।

ধাপ ৩ : প্রথমে কম থেকে শুরু করুন –
আমরা অনেক সময় বড় কিছু করতে চাই, সেটা ব্যবসা শুরু করাই হোক বা ক্যারিয়ার গড়া ই হোক । প্রকৃতপক্ষে, জীবনের সবকিছু যা দূর থেকে মূল্যবান তা অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রমের প্রয়োজন। তাই বড় কিছু করার আগে, ছোট দিয়ে শুরু করুন । একইভাবে, আপনি পৃথিবী পরিবর্তন করার আগে, আগে নিজেকে পরিবর্তন করুন। যুদ্ধ ও শান্তির লেখক লিও টলস্টয় বলেছেন – “সবাই পৃথিবী বদলানোর কথা ভাবে, কিন্তু কেউ নিজেকে পরিবর্তন করার চিন্তা করে না।” । ছোট ছোট বিষয়ে মনোযোগ দিন। একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করুন। এটি ছাড়া, আপনি কখনই অর্থপূর্ণ কিছু অর্জন করতে পারবেন না ।

ধাপ ৪ : চেকলিস্ট ব্যবহার করুন –
আমরা যা অর্জন করার চেষ্টা করছি তা মনে করিয়ে দিতে আমাদের অবশ্যই চেকলিস্ট ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখবেন, আমরা আমাদের জীবনকে বদলে দেওয়ার অভ্যাস তৈরি করি জিনিসগুলিকে আরও ভাল করার জন্য।

প্রতিদিন আপনার অভ্যাসগুলি পরীক্ষা করুন। আপাতদৃষ্টিতে, ছোট অভ্যাসের দ্বারা আপনার জীবন কতটা বদলে গেছে তা দেখে আপনি নিজেই অবাক হবেন।

]]>
দারিদ্রতাকে ডজ করেই বিশ্বসেরা হয়েছেন এই রোনাল্ডো https://ekolkata24.com/offbeat-news/lucky-9-the-struggling-life-of-world-greatest-number-9 Wed, 22 Sep 2021 20:04:41 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5315 বিশেষ প্রতিবেদন: দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে তিনি পাঠিয়েছেন বিপক্ষের জালে। তিনি রোনাল্ডো লুইস নাজারিও। সর্বকালের সেরা নাম্বার নাইন।

১৯৭৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রিও ডি জেনেইরোর হতদরিদ্র ঘরে জন্ম হয় রোনাল্ডোর। বাবা নেলিও নাজারিও দি লিমা ও মা সোনিয়া দোস সান্তোস বারাতার। জন্মের পর ছেলের নাম রেজিস্ট্রেশন করার টাকাও নেই। সেটা করতে অনেক সময় লেগেছিল। রোনাল্ডোর বয়স তখন ১১। তার বাবা মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পড়াশোনা তো অনেক দূরের কথা, দু-মুঠো খাবার জোগাড় হওয়া দায়। হাত পাতেননি কারও কাছে।

ব্রাজিলে যার কিছু না থাকে তার কাছে ফুটবল থাকে। সেটাই ছিল রোনাল্ডোর কাছে। সেটাকে সম্বল করেই শুরু হয় দারিদ্রতাকে হার মানানোর লড়াই। খেলতে শুরু করেন স্ট্রিট ফুটবল। আর কে না জানে সাম্বার দেশের রোনাল্ডো মানে ‘বল দখল তো গোল দখল’। সেটাই করতে শুরু করেন ব্রাজিলের স্ট্রিট ফুটবল প্রতিযোগিতাগুলিতে। ধীরে রাস্তা থেকে সুযোগ মেলে স্থানীয় ক্লাবে। শুরু হয় খেপ খেলা।

Ronaldo Luis Nazario

স্থানীয় ক্লাব সাও ক্রিস্তোভাও-এ খেলার সময় ব্রাজিলের ঘরোয়া লিগের বিখ্যাত ক্রুইজেরো ক্লাবের নজরে আসেন। জীবনের গতিপথ পালটে যায় এখানেই। ২৫শে মে, ১৯৯৩ সালে মাত্র ১৬ বছর ‘মিনাস গেরিয়াস চ্যাম্পিয়ন্সশিপে’ ক্যালডেন্সের হয়ে পেশাদার ফুটবলে রোনাল্ডোর অভিষেক হয়। প্রথম নজরে আসেন ৭ নভেম্বর ১৯৯৩ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বাহিয়ার বিপক্ষে এক ম্যাচে একাই ৫ গোল করে।

বদলে যায় জীবন। ক্রুইজে থেকে ডাচ ক্লাব পিএসভি হয়ে ১৭ মিলিয়ন ডলারে পিএসভি থেকে বার্সেলোনায়। প্রথম সিজনেই করেন ৪৯ ম্যাচে ৪৭ গোল। বার্সার হয়ে জেতেন উয়েফা কাপ,কোপা ডেল রে,সুপার কোপা ডি ইস্পানা। পরে খেলেছেন ইন্টার মিলান , রিয়েল মাদ্রিদের , এসি মিলনের মতো বড় ক্লাবে।

কিন্তু যে কিশোরের দল তাঁর ফুটবল দেখে ভক্ত হয়েছেন সেটা কিন্তু এই ক্লাব ফুটবল নয়। ব্রাজিলের জার্সিতে তাঁর করা একের পর এক গোল দেখে। ডি বক্সে তাঁর পায়ে বল মানে গোল।

Ronaldo Luis Nazario

আন্তর্জাতিক ফুটবলে খুব কম ফুটবলারই রোনাল্ডোর মত এতটা সফল হয়েছেন। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র তিনজন ফুটবলার দুইটি ভিন্ন টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন, রোনাল্ডো তাদের একজন। ফুটবলে মাত্র একজন খেলোয়াড়ই বিশ্বকাপের দুটি ভিন্ন টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন।

১৯৯৪ সালের মাত্র ১৭ বছর বয়সেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার সাথে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের আন্তর্জাতিক ফুটবল দলের হয়ে রোনাল্ডোর অভিষেক হয়। ১৯৯৪ সালে আইসলেন্ডের সাথে তিনি ব্রাজিলের হয়ে প্রথম গোল করেন। এখনও পর্যন্ত ব্রাজিলের হয়ে পেলের পর সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। করেছেন ৯৮ ম্যাচে ৬২টি গোল।

১৯৯৭ কোপা আমেরিকার সেরা খেলোয়াড় ছিলেন। ৯৯-এর কোপায় হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। ব্রাজিলের তিনটি ইন্টারন্যাশনাল শিরোপা জয়ে জয়ে দুবারই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়, দুবার সর্বোচ্চ গোলদাতা, একবার রানার্স আপ, এবং যে তিনটি ফাইনাল খেলেছেন তাঁর প্রত্যেকটিতেই গোল করেছেন। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের জয়ী দলের সদস্য তিনি। ১৯৯৮ ফাইনাল এবং ২০০২ এ ব্রাজিলের বিশ্ব জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। আর ফাইনালের সেই দুই গোল। অলিভার কান, যিনি অপ্রতিরোধ্য এক দেওয়াল হয়ে উঠেছিলেন প্রত্যেক স্ট্রাইকারের বিরুদ্ধে , সেই তিনি দু’দুবার হার মানেন রোনাল্ডোর কাছে। চারটে বিশ্বকাপ খেলে তিনবার ফাইনাল, দুবার বিশ্বকাপ জয়। নিজে করেছেন ১৫টা গোল। কার আছে এমন রেকর্ড?

আর এই কারণেই তিনি ফুটবলের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা নাম্বার নাইন। সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকার বললেও ভুল হবে না। ১৭ বছর ধরে বিপক্ষের রক্ষণভাগকে বোকা বানিয়ে যিনি এত গোল করেছেন তাঁকে সেরা স্ট্রাইকার কেন বলা হবে না? দু’টি বিশ্বকাপ, দু’টি কোপা আমেরিকা, দু’বার ব্যালন ডি’অরের সঙ্গে পেয়েছেন তিন বার ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার। ২০১১ সালের ৭ জুন, ব্রাজিলের সাও পাওলোতে রোমানিয়ার বিরুদ্ধে এক আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজের বর্ণাঢ্য কেরিয়ারের সমাপ্তি টানেন তিনি।

]]>