পারভেশ সাহিব সিং ভার্মা বলেন, ‘করোনার (COVID-19)র সময় যখন ২৫,০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল, দিল্লি (Delhi) সরকার এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মদের ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি নতুন আবগারি নীতি তৈরি করতে ব্যস্ত ছিল। আজ, ৮২৪ টি নতুন মদের দোকান খোলা হয়েছে। আবাসিক এলাকা, কলোনি, গ্রাম, নন-কনফর্মিং অঞ্চলেও মদের দোকান খুলছেন মানুষ।
রাত ৩টে পর্যন্ত মদের দোকান খোলা থাকবে, মহিলারা বারে রাত ৩টে পর্যন্ত পান করলে ছাড় দেওয়া হবে। অ্যালকোহল সেবনের বয়সসীমা ২৫ থেকে ২১-এ নামিয়ে আনা হয়েছে।’ তাঁর মতে, ‘এর পিছনে উদ্দেশ্য হল মুখ্যমন্ত্রী সর্বাধিক রাজস্ব উপার্জন করতে চান। যাতে তিনি নিজের প্রচার অভিযানকে প্রসারিত করতে পারেন। তিনি ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য পাঞ্জাবে গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি অ্যালকোহল সংস্কৃতির অবসান ঘটাবেন। কিন্তু তা না করে তিনি দিল্লিতে মদ্যপান বাড়াচ্ছেন।
দিল্লি সরকারের নতুন আবগারি নীতি অনুসারে ১ অক্টোবর থেকে দিল্লিতে ব্যক্তিগত মদের দোকানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে এখন দোকানগুলি আবার খুলেছে।’
]]>.@ArvindKejriwal की शराब नीति से @BhagwantMann तो खुश होंगे मगर दिल्ली की जनता इस फैसले के ख़िलाफ खड़ी है।
दिल्ली के सभी युवाओं को नशे की लत लगाने वाली आम आदमी पार्टी सरकार की शराब नीति के खिलाफ आज लोकसभा में मुद्दा उठाया।https://t.co/afMyYU980y pic.twitter.com/jyybx7JCIo— Parvesh Sahib Singh (@p_sahibsingh) December 6, 2021
এ ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কোথা থেকে এবং কারা বিধানসভার মত কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকায় ওই মদের বোতল নিয়ে এল তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ (police)। তদন্ত চলছে। ঘটনার জেরে বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বিহার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশনের প্রথম দিনেই নীতীশ কুমার সরকার রাজ্যে মদ বিক্রি বন্ধ করার লক্ষ্যে একাধিক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে। সরকার জানিয়েছে, মদ বিক্রি বন্ধ করতে প্রতিটি জেলায় পুলিশের বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এমনকী, ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে। ওই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে বিধানসভা ভবন চত্বর থেকেই উদ্ধার হল রাশিকৃত খালি মদের বোতল। মদের বোতল উদ্ধারের ঘটনা শাসক দল বিজেপি ও জেডিইউকে যথেষ্টই অস্বস্তিতে ফেলেছে।
মদের বোতল উদ্ধারের পর বেশ কয়েক ঘন্টা কেটে গেল এখনও নীতীশ সরকারের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আরজেডি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব এদিন নীতীশ কুমারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, বিধানসভা চত্বর থেকে মদের বোতল পাওয়ার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এই মদের বোতল সেদিনই পাওয়া গেল যেদিন নীতীশ সরকার রীতিমতো বিবৃতি করে রাজ্যে মদ বিক্রি বন্ধ করতে একাধিক ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে।
আসলে বোঝাই যাচ্ছে যে, এই ঘোষণার মাধ্যমে শুধুমাত্র রাজ্যবাসীর দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে। যারা মদ বিক্রি করছে, আর যারা খাচ্ছে নীতীশ কুমারের পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আদৌ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং তারা বুক ফুলিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছে। মদ বিক্রি থেকে সরকারের ঘরে কিছুটা হলেও রাজস্ব আসছে। সে কারণেই সরকার মদ বিক্রির বিষয়টি দেখেও দেখছে না। ।
রাজ্যে এভাবে বেআইনি মদ বিক্রির ফলে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। তেজস্বী ছাড়াও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বিধানসভা ভবনে ২৪ ঘন্টাই থাকে পুলিশি নজরদারি। তারপরেও সেখানে কিভাবে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল এল? গতমাসেই বিহারে বিষ মদ পান করে প্রায় ৪৫ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে মদ নিয়ে আরও কঠিন নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহার সরকার।
]]>বিষাক্ত মদ পান করে বিহারে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অনেকে অসুস্থ। মৃতরা বেশিরভাগ গোপালগঞ্জ ও বেতিয়া জেলার বাসিন্দা। অন্যান্য জেলা থেকে়ও আসছে মৃত্যুর সংবাদ।
এই ঘটনায় রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের. (Nitish Kumar) কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী রাষ্ট্রীয় জনতা দল। আরজেডি (RJD) নেতা মনোজ ঝা বলেছেন, এটাই কড়া সত্যি যে রাজ্যে বিষ মদ পান করে মৃত্যু হচ্ছে।
বিহারে মদ কেনাবেচা নিষিদ্ধ করে মু়খ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার দেশজুড়ে প্রবল আলোচিত হয়েছেন। তবে এও অভিযোগ, প্রতিবেশি পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের ওপারে নেপাল থেকে অবৈধভাবে মদ কেনা বেচা হয়। সীমান্তবর্তী জেলাগুলির বাসিন্দারা রাজ্য পেরিয়ে বাইরে গিয়ে মদ পান করে। এদিকে দিওয়ালি উৎসবে মদের চাহিদা প্রবল। কিন্তু সরকারি নিয়মে মদ বিক্রি বন্ধ। ফলে বেআইনি মদ বিক্রি চলছে।
গোপালগঞ্জ ও বেতিয়া জেলার গ্রামাঞ্চলে বেআইনি মদের ভাটিতে দেদার ভিড়। সেখানে যারা মদ খেয়েছেন অনেকেই বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
]]>